![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মানুষ হয়ে থাকতে চাই, এপৃথিবীকে ভবিষ্যতের মানুষের জন্য আরো উপযুক্ত করে রেখে যেতে চাই, যেখানে মানুষ মানুষের জন্য হবে। এবং তার স্রষ্টাকে ভালোবাসবে।
দেশে সরকারী বা বিরোধী দল থাকবে। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো বিএনপি কখনো অন্য কোন দল। সেখানে সরকারী নীতি, কর্মকান্ডের সাথে বিরোধিতা থাকতেই পারে। দেশে দেশে সেটা চিরন্তন।
কিন্তু বিরোধিতা বা প্রতিবাদ কিংবা সেটা দমনের ভাষা কি শান্তিপূর্ণ হতে পারেনা, গঠনমূলক বা জনকল্যাণময় হতে পারেনা?
দুই বিরোধী পক্ষের সম্ভাব্য বর্তমান কার্যকলাপের একটা তালিকা করা যাকঃ
সরকারী দলের অস্ত্র হলোঃ পুলিশী একশন, মৃদু লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট, ছররা গুলি, সরাসরি গুলি, গ্রেফতার, কোর্ট, সংবাদ সম্মেলন, মিডিয়ায় প্রচার, কখনো দলীয় লোকজন দিয়ে সংঘাত, হত্যা, বিরোধীদলের কর্মসূচী পন্ড, বিক্ষোভ, গণমঞ্চ তৈরী, জনসভা, দেশ বিদেশে অভিযোগ ইত্যাদি।
বিরোধী দলের প্রতিবাদের ভাষা হলোঃ হরতাল, পিকেটিং, বিক্ষোভ, মিছিল, ককটেল, ভাঙচুর, সরকারী দলের সাথে মারামারি, পুলিশকে আক্রমণ, সুযোগ পেলেই হত্যা বা সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস, কখনো আইনী লড়াই, সংবাদ সম্মেলন, মিডিয়ায় প্রচার, মঞ্চ তৈরী, জনসভা, দেশ বিদেশে অভিযোগ।
স্বাধীনতার পর ৪২ বছরেও এই দৃশ্যগুলোর আজো কোন পরিবর্তন হয়নি, অদূর ভবিষ্যতে হবে কিনা বলা যায়না।
তালিকা দুটো খুব কাছাকাছি এবং একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে, ভাষাটা সংঘাতের, উত্তেজনা সৃষ্টির, রক্তের নেশার এবং শেষ পর্যন্ত ঘটনা গড়ায় একদফা দাবীতে, সেটা হলোঃ যে কোন মূল্যে পরস্পরকে কঠিনভাবে জীবন দিয়ে হলেও প্রতিহত করা।
জনগণের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে যদি আমরা ভাষাটাকে পরিবর্তন না করি তবে এ জাতির ভাগ্যে অশনি সংকেতের ঘনঘটা খুব বেশী দূর হবেনা।
পক্ষান্তরে, বিরোধী দল যদি সরকারের কোন নীতি বা কাজের প্রতিবাদ করে গঠনমূলকভাবে, ধরা যাক, কোনদিন কোন সমাজসেবা বা জনকল্যাণমূলক কাজ (যেমন অসহায়কে সেবা দিয়ে বা স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন/ বাঁধ নির্মাণ করে) বেশী বেশী করে বলল, আজ আমরা এটা করলাম সরকারের অমুক নীতির প্রতিবাদে, আমরা জনগণকে সেবা করে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা জনগণের বা দেশের উন্নয়নে বিশ্বাস করি, সুতরাং আমাদেরকে নির্বাচিত করলে আমরা জনগণের জন্য অধিকতর সুফল বয়ে আনবো।
অথবা সরকারও যদি সদিচ্ছা প্রকাশ করে বিভিন্ন কমিটিতে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে, বিরোধী দলকে বিরোধী গণ্য না করে সহযোগী এবং দেশ গড়ায় সমান অংশীদার ভাবে, এবং সেভাবে গঠনমূলক কাজ করেই দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হয়ে আসতে চায়, তাহলে কিন্তু প্রতিবাদ, বিক্ষোভ বা সংঘাত খুব বেশীদূর এগোয়না।
অতীতে আমরা দেখেছি বেগম জিয়া, হাসিনা, এরশাদ, বামপন্থী বা জামাত/ ইসলামপন্থী দলগুলোর নেতাদের একমঞ্চে পাশাপাশি বসতে বা আলোচনায় অংশ নিতে। একসাথে তারা হেসেছে, বিনিময় করেছে, দেশকে ভালোবেসেছে। সুতরাং এখনো সে হৃদ্যতাসূচক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
কাজেই, জনগণকে জিম্মি না করে এখন সব দলের কাছ থেকে আাপামর জনতা চায় সবাই সংঘাত এড়িয়ে শান্তির পথ অবলম্বন করুক। দেশকে ভালোবেসে দেশের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়ুক। নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলে সবদল প্রতিযোগিতা করুক জনকল্যাণে। কোনভাবেই, কোন অজুহাতেই জনধ্বংস বা সম্পত্তি ধ্বংস বা গোলযোগ সৃষ্টি বা "কঠোর হাতে" মোকাবেলা, বা কঠিন কর্মসূচী প্রত্যাশিত নয়।
আশাকরি জনগণের তথা দেশের শান্তি সমৃদ্ধির কথা ভেবেই সবার আশু শুভবুদ্ধির উদয় হবে।
©somewhere in net ltd.