![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জানুয়ারী ১৯৯১, ক্লাস ফাইফ এর বার্ষিক পরীক্ষার পর লম্বা ছুটিতে গ্রমের বাড়ী পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে পরিবার সহ বেড়াতে গিয়েছি। চারদিকে নির্বাচনের সাজসাজ রব। দাদা বাড়ি নানা বাড়ি একই উপজেলায় হওয়ায় সকালের খাবার নানা বাড়ি, রাতের খাবার দাদা বাড়ি। কাকাদের সাথে মিছিলে গেলে নৌকা। মামাদের সাথে মিছিলে গেলে কখনও ধানরে শীষ কখনও লাঙ্গল। এখানে বলে রাখা ভাল যে রুহুল আমিন হাওলাদার (জাতিয় পার্টির মহাসচিব) আমাদের দুরসম্পর্কের মামা।সেহেতু ইচ্ছা না থাকলেও মামাদের তার ভাইয়ের মিছিলে যেতে হত।আর তারদের সাথে আমি।আমার ভাই তোমার ভাই রুহুল ভাই রুহল ভাই।
নানা ছিলেন জামাতের সর্মথক এই সাথ শরশিনার মুরিদ। মধ্য প্রাচ্য থেকে বড় মামার পাঠানো ডেক সেটে নানা বাজাতেন দেলোয়ার হোসেন সাইদীর মাওফিল। একনিষ্টমনে শুনতাম তখন খেকেই তার প্রতি শ্রদ্ধা বাড়তে থাকে, মুগ্ধ হয়ে যেতাম তার কেরাত, তাফসির আর ইসলামী আলোচনা শুনে।সেই লোক নাকি রাজাকার , বিশ্বাস হতে কষ্ট হয়।যার আঙ্গুলের ইশারায় লক্ষ লক্ষ মানুষ সকল ভেদাভেদ ভুলে একই কাতরে দাড়িয়ে যেতেন, দুর্বল ইমানের লোক পাচ ওয়াক্ত নামাজ ধরতেন।বলা বাহুল্য আমাদের বই পুস্তক, মিডিয়া এবং অন্য অন্য মাধ্যম দেশের মানুষকে কতটুকু ইসলাম শিক্ষাদেয় ? এদেশের সমাজ গঠনে এইসব আলেমের ভুমিকা ব্যাপক।এদের মধ্যে হাবিবুর রহমান, তোফাজজল হুজুর, চরমোনাইর পীর, আব্বাসি হুজুর, তাবলীগদল, আটরশি এবং আরও অনেকে, তারাই দেশের মানষের মধ্যে ইসলাম প্রচারের ব্রত পালন করে যচ্ছে যদিও তাদের মতের পাথৃক্য আছে, কিন্তু ইসলামরে মুল নীতিতে সবাই একই জায়গায় । তাদের কারনেই এদেশে এখনও বেহায়াপনা, উলঙ্গপনা, মাদকতা, সামাজিক অবক্ষয় অনেক কম।তাদেরই কারনে এইডস আক্রান্ত্রের হার পৃথিবীর অনেক মুসলিম দেশের তুলনায় আমাদের দেশে অনেক কম।এথনও মা বনেরা অনেকাংশে নিরাপদ ভাবে ঘরে ফিরতে পারছে। যদিও প্রতিদিন কিছু কিছু ঘটনা ঘটছে, নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করে দেখেন তার জন্য কারাদায়ি এ সব আলেম ওলামা না দেশের তথাকথিত ধর্মরিপেক্ষর আড়ালে ধর্মহীনতার তৎপরতার ধারক বাহকেরা।
এদেশের মুসলমান আর আফগানী মুসলমান এক নয়।তারা গোড়ামিও পছন্দ করে না আবার ধর্মের প্রতি আঘাতও পছন্দ করে না।ইস্কুল মাষ্টার দাদাকে দেখেছি নো্কাই ভোটদিতে আবার মাটির বাংকে টাকা জমিয়ে চরমোনাইরে বৎসরিক মাওফিলে শরিক হতে।সেনাকর্মকর্তা বাবাকে দেখছি ৫৮বছর বয়সে কুরআন শিক্ষার বই নিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মসজিদে থাকতে, আপ্রান চেষ্ঠায় শুদ্ধ উচ্চারনে কুরআন পরতে।আবার শেখ মুজবরের ভাষণে ইত্তেজিত হয়ে আমাদের বলতে এই দেথ আমার নেতা পারলে দুনিয়া খুজে একটা দেখা।
সবকিছু নিয়ে ভালইতো ছিলাম আমরা। দেশ একটু একটু করে আগাছ্ছিল, কোন শকুনের নজর পরল আমার সোনার দেশের প্রতি। যে একটা জতিকে খন্ড খন্ড করতে চায়। রাজনৈতিক শিষ্টাচার ভুলে প্রতিহিংসা ছড়িয়ে দিল আমারপ্রিয় জন্মভুমিতে। যার শুরু হয়েছিল আওমিলীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে।এখনও চলছে সেই প্রতিহিংসার রাজনীতি।
হে আল্লাহ আমারদেশকে তুমি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করো।দেশের পরিচালকদের ভাল মন্দ বোঝার তৌফিক দাও। পায়ে গু লাগলে তা কেটে না ফেলে ধুয়ে ফেলতে হয়, প্রয়োজনে সার্ফএকসেল ব্যবহার করতে হয়।তাদের উত্তর সুরিরা তাই করেছিল।যে সংঘাত তারা এড়িয়েছিল, দেশ স্বাধীন হবার পর পর সাধারন ক্ষমার মাধ্যমে, তা কি আবার হয় শুরু হলো? এতে কি দেশের ভাল হবে ? না পিছিয়ে পরব আরও ১০০ বছর।
২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৬
সঞ্জিত ভৌমিক বলেছেন: বায়ান্নর ফেব্রুয়ারিতে নিহত হয়েছিল ৫ জন : এই ফেব্রুয়ারিতে পুলিশের গুলিতে নিহত ৭৭
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:১৬
মহসিন১২৩ বলেছেন: কাকে মারব আমি? রাজাকার মারতে গেলে আমার নানার গোষ্টি সাফ।
নানার গোষ্টির মধ্যে দুমকী উপজেলার চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ হাওলাদার ছাড়া আরকেও আওমিলীগ নাই, যে রুহুল আমিন হাওলাদারের চাচা।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: ভাই, পাঠ্য পুস্তকের ইসলাম শিক্ষা বইতে যেই শিক্ষা দেয় এইসব ওয়াজে তার চেয়ে হাজার গুন ভুল জিনিসটা শিখায়। সমস্যা হলো আমরা নিজেদের এমনই পন্ডিত মনে করি যে এসব পাঠ্যপুস্তককে দাম না দিয়ে বাইরে বাইরে টোটো ঘুরি
০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩২
মহসিন১২৩ বলেছেন: কোন ওয়াজে আপনি শুনেছেন ধর্ষন করা হালাল,সুদ খাওয়া হালাল, টেন্ডার বাজি হালাল, সংখালগুদের অত্যাচার করা হালাল? শিবির হরতাল ডাকে দিনে, রাতে ককটেল ফুটিয়ে সংখ্যা লঘুর জুয়েলারীতে ডাকাতি করে কারা??? শিবির নািক অন্য কেও, যাদের ভয়ে থানায় মামলা পর্যন্ত করতে ভয় পায় ভুক্ত ভোগি, পুলিশ আসে একঘন্টা পর।এ জাতির কপালে আরও দুরগতি আছে...............
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:২৯
মনে নাই বলেছেন: অপরাধীকে যথোপযুক্ত শাস্তি দেয়া আল্লাহর আইন।
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: দুর্গতি তো আছেই। সমস্যা হলো নতুন তো কেউ আসতেছে না। এই শাহবাগ আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু নতুন কেউ আসছে না। সেই ঘুইরা ফিরা লীগের পোলাপান। যদিও ইমরান মিয়া এখন জন গনের পালস ধরবার পারছে কিন্তু লীগও যদি সামনে ক্ষমতায় আসে তাইলে তো আর কথাই নাই!
জামাত শিবির এইবারে নিশ্চিহ্ন হইলেও একটু শান্তি পাওয়া যাবে
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৩
আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: সবগুলো রাজাকারের শাস্তি হলেই দেশ এগিয়ে যাবে। ঘরে শত্রু রেখে কখনো উন্নতি হয় না।