নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম

মোমের মানুষ

[email protected]

মোমের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ চলছে অনুমতি ছাড়াই: কালের কন্ঠ

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

শাহবাগের গনজাগরন আন্দোলনের বিপক্ষে কালের কন্ঠ ও চলে গেল!

সবই টাকার কেলেসমাতি মনে হয়।



পুলিশের অনুমতি ছাড়াই চলছে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অ্যাক্ট অনুযায়ী সমাবেশ করতে হলে আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। তাদের অনুমতি পাওয়ার ওপর নির্ভর করে সভা-সমাবেশ হবে কি না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমাবেশ করলেও অনুমতি নিতে হয়। এর ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের ক্ষেত্রে।

একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, গণজাগরণ মঞ্চ থেকে একের পর এক সভা-সমাবেশ করা হলেও পুলিশের অনুমতি নেয়নি আন্দোলনকারীরা। তারা শাহবাগ, রায়েরবাজার বধ্যভূমি, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। গতকাল রবিবার উত্তরায় সমাবেশ করে তারা। এগুলো পুলিশের অনুমতি নিয়ে করা হয়েছে এমন সংবাদ পাওয়া যায়নি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীতে কোনো সমাবেশ করতে হলে কোনো দল বা সংগঠনকে আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অনুমতির জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ দেওয়া হয় সমাবেশ করা হলে কোনো গণ্ডগোলের আশঙ্কা আছে কি না তা জানানোর জন্য। ইতিবাচক রিপোর্ট পাওয়ার পর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয় থেকে অনুমতি দেওয়া হয়। অনুমতিপত্রে সমাবেশের সময়, তারিখ উল্লেখসহ ১০-১২টি শর্ত দেওয়া হয়। শর্তে কোন পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করা যাবে তা উল্লেখ থাকে। জানতে চাওয়া হয়, সমাবেশ শুরুর কতক্ষণ আগে লোকজন উপস্থিত হতে পারবে। সমাবেশ ক'টার মধ্যে শেষ করা হবে সে সময়ও উল্লেখ থাকে। জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই অনুমতি বাতিল করতে পারে বলেও শর্তের মধ্যে উল্লেখ করা থাকে। সভার জন্য নির্ধারিত এলাকার বাইরে কোথাও যান ও জন চলাচলে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না- এ কথাও উল্লেখ করা থাকে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। এ রায় মেনে নিতে না পেরে ব্লগার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টরা ওইদিন বিকেলে শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন শুরু করে। ওইদিন জামায়াতের হরতাল থাকায় যান চলাচলে তেমন প্রভাব পড়েনি। তবে পর দিন থেকে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজট দেখা যায়। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা সমাবেশ চলে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে। সে সময় শাহবাগ এলাকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। রাস্তা বন্ধ করে এই সমাবেশ চালানোর ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতি রয়েছে কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। এমনকি শাহবাগ পুলিশের যে এলাকার অধীন সেই রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হাসান সমাবেশের অনুমতি রয়েছে কি না জানাতে পারেননি। গত শনিবার বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি নতুন যোগ দিয়েছি। অনুমতি নিয়েছে কি না আমি বলতে পারব না।'

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক উপপুলিশ কমিশনার কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমার জানা মতে কোনো সমাবেশেরই অনুমতি নেয়নি গণজাগরণ মঞ্চ। তবে ব্যাক ডেটে অনুমতি নিয়েছে কি না সেটা আমার জানা নেই।'

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরে সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। সেখানে সমাবেশের আগে পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল কি না জানতে চাইলে মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ইমতিয়াজ আহমেদ শনিবার রাতে কালের কণ্ঠকে বলেন, 'মিরপুরে গণজাগরণ মঞ্চের যে সমাবেশ হয়েছে তাতে পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমার কাছে কোনো চিঠি আসেনি। সমাবেশ করতে হলে সাধারণভাবে পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'ডিসি হিসেবে অনুমতি পাওয়া না পাওয়ার বিষয়টি আমার জানার কথা।'

গতকাল রবিবার উত্তরায় গণজাগরণ মঞ্চ সমাবেশ করেছে। জানতে চাইলে উত্তরা বিভাগের উপ কমিশনার নিশারুল আরিফ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'তারা সমাবেশ করার অনুমতি নিয়েছে কি না আমার জানা নেই। এটি পুলিশ কমিশনারের অফিস থেকে হয়ে থাকে।' এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অনুমতির বিষয়ে আমি কোনো কাগজপত্র পাইনি।'

ক'দিন আগে যাত্রাবাড়ী এলাকায় সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। যাত্রাবাড়ী এলাকায় অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করা হয়েছিল কি না জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে জানান, 'লিখিত অনুমতি নিয়েই তারা সমাবেশ করেছে। তবে গণজাগরণ মঞ্চের কে অনুমতি চেয়েছিল তার নাম এ মুহূর্তে বলতে পারব না।' আবেদনের কপিটি কি পাওয়া যেতে পারে? ওসি বলেন, 'এগুলো সিক্রেট জিনিস, দেওয়া যাবে না।' আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'স্মারক নম্বর কত তা মনে নেই।'

স্মারকলিপি দিতে গিয়ে যা হলো : গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের সমাবেশে আন্দোলনকারীরা আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এ কারণে ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাংবাদিকরা ভিড় করতে থাকেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর কক্ষের সামনে। পৌনে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে ঢোকেন। এরপর তাঁর কক্ষে যান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু। প্রতিনিধিদলটি কখন আসছে এ নিয়ে তখন সবার মাঝে ব্যস্ততা দেখা যায়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী চারতলা থেকে লিফটে নিচে নেমে যান। যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তাঁরা জানান, পিলখানায় অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। স্মারকলিপি নিয়ে আন্দোলনকারীরা ৫টার পরে আসবেন। সে সময় সাংবাদিকদের অনেকে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পরই লিফটে ওপরে উঠে আসেন দুই মন্ত্রী। সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তাঁরা জানান, আন্দোলনকারীরা এখনই স্মারকলিপি নিয়ে আসছেন। এরপর আবার শুরু হয় অপেক্ষা।

বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে একটি গাড়িতে করে মন্ত্রণালয়ে যায় প্রতিনিধিদলটি। ডা. ইমরান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কক্ষে গিয়ে তাঁর হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন। সে সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্মারকলিপি নিয়ে যাওয়া প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানান। মন্ত্রী বলেন, শাহবাগের আন্দোলনকারীরা যে দাবি করেছে তা যৌক্তিক। সে সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। ওইদিন গণজাগরণ মঞ্চের নেতারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যে 'প্রটোকল' পেয়েছেন তা এ দেশের অন্য কোনো দল বা সংগঠনের নেতারা এখন পর্যন্ত পাননি।

সূত্র কপিপেস্ট

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: এটা কোন রাজনৈতিক সমাবেশ না যে অনুমতি লাগবে ।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০১

মোমের মানুষ বলেছেন: হিমুদা! ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মাহফীলে ও মনে হয় অনুমতি লাগে

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৩

কাকপাখী বলেছেন: যে ভুমি প্রতিমন্ত্রী বসুন্ধরার মালিক শাহ আলমরে প্রকাশ্যে ডাকাত বলেছিল সেই মান্নান এখন বসুন্ধরার প্লটের উদ্ধোধন করেন ।সবই টাকার খেলারে মমিন ।সব টাকার খেলা ।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

মোমের মানুষ বলেছেন: সবই টাকার খেলারে মমিন ।সব টাকার খেলা ।

বিচিত্র এ দেশে সবই সম্ভব

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৪

পক্ষপাতদুষ্ট বলেছেন: ক-তে কালের কণ্ঠ > তুই রাজা কার ? তুই রাজা কার ?

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

মোমের মানুষ বলেছেন: ক- তে কালের কন্ঠ তুই রাজাকার!! তুই রাজাকার!

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৫

জননেতা বলেছেন: ক- তে কালের কন্ঠ তুই রাজাকার!! তুই রাজাকার!

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৬

মোমের মানুষ বলেছেন: ক- তে কালের কন্ঠ তুই রাজাকার!! তুই রাজাকার!

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

এম.ডি জামান বলেছেন: মেট্রোপলিটন এরিয়া যে কোন সভা সমাবেশ করার জন্য সংশ্লিষ্ট মট্রোপলিটন পুলিশের অনুমুতি লাগে।
কিন্তু শাহবাগ যেহেতু সরকারের চেয়ে শক্তিশালী (ইমরান সাহেবের কথা মত) তাই তাদের অনুমুতির কোন প্রয়োজন নাই।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৯

মোমের মানুষ বলেছেন: যদি বিধান থাকে তাহলে আইন সবার জন্যই সমান। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, ওয়াজ-মাহফীলেও অনুমতি লাগে

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

যোগী বলেছেন: তাইলে বোঝেন উত্তল জনতার স্বত:ফূর্ততা কেমন জিনিশ!
জনগনের আবেগ বা চেতনা এমন একটা জিনিশ তা জাগলে অনুমতি নেওয়ার টাইম থাকেনা।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২০

মোমের মানুষ বলেছেন: জনগনের আবেগ বা চেতনা এমন একটা জিনিশ তা জাগলে অনুমতি নেওয়ার টাইম থাকেনা।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৮

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: এটা হল গনজাগরন। গনজাগরন কারো অনুমতি নিয়ে হয় না। কারো অনুমতি নিয়ে জনগন জাগে না। জাগে নিজের তাগিদে।

কোনো অপপ্রচারের বেল নাই। সব অপপ্রচার নর্দমায় চলে যাবে গনজোয়ারের ধাক্কায় !

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

মোমের মানুষ বলেছেন: জনগনের আবেগ বা চেতনা এমন একটা জিনিশ তা জাগলে অনুমতি নেওয়ার টাইম থাকেনা।

কোনো অপপ্রচারের বেল নাই। সব অপপ্রচার নর্দমায় চলে যাবে গনজোয়ারের ধাক্কায়

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪

তাওহীদ বলেছেন: প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় দাঁড়াতে অনুমতির দরকার পরে নাকি?


তবে যেহেতু এখন দিনক্ষণ ঠিক করে কর্মসূচী দেয়া হচ্ছে তাতে অনুমতির প্রয়োজন থাকলেও আবেগের জোয়ারে সম্ভবত কারো মাথায় আসেনি। এমনও হতে পারে শুরু থেকেই প্রটেকশন পাওয়ায় এমন হয়েছে। (সরকারতো সেটা দেবেই কারণ এটা তাদের এজেণ্ডার সাথে মিলে)
এবার প্রশ্ন যেহেতু উঠেছে... কাগুজে কাজটি হয়ে যাবে আশাকরি।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭

মোমের মানুষ বলেছেন: এমন একটি গনদাবী গন আন্দোলন সব প্রশ্নের উর্দ্ধে থাকাই ভাল

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: ব্যাক্তি স্বার্থ , দলিও স্বার্থে বা অন্য যে কোন স্বার্থে জাত মান এর পার্থক্যে সমাবেশ করলে এবং তা যদি হয় গন রাস্তা আটকিয়ে তবে অবস্যই অনুমতি লাগবে । ধর্মিও সমাবেশে একটা ধর্মই প্রাধান্য পাবে । রাজনৈতিক সমাবেশেও তাই । কিন্তু শাহবাগের এটা "গনজাগরন" কোন ভেদাভেদ রাখা হয় নাই । সবাই আসতেছে প্রাণের দাবি নিয়ে । কেউ ভোট চাইতে বা অন্য কোন পূর্ব নির্ধারিত প্রগ্রাম সফল করতে আসছে না ।

বুঝাইতে পারছি কিছু ?

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

মোমের মানুষ বলেছেন: এমন একটি গনদাবী গন আন্দোলন সব প্রশ্নের উর্দ্ধে থাকাই ভাল

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.