নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম

আমার ব্লগে সবাইকে স্বাগতম

মোমের মানুষ

[email protected]

মোমের মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরকারী টাকা মেরে পারাবারিক কবরস্থান নির্মাণে জীবদ্দশাতেই নিজেদের নামের আগে মরহুম যোগ করে নেমপ্লেট লাগিয়েছে ঝিনাইদহের জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৮

এই জনমে আর কি দেখানোর বাকি রাখল এই আওয়ামিলীগ নেতা...................?



সরকারী টাকা মেরে পারাবারিক কবরস্থান নির্মাণে জীবদ্দশাতেই নিজেদের নামের আগে মরহুম যোগ করে নেমপ্লেট লাগিয়েছে ঝিনাইদহের জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল ওয়াহেদ।



পারিবারিক কবরস্থান, টাইলসে মোড়ানো দেয়াল। সমাধিফলকগুলো শ্বেতপাথরের তৈরি। পাঁচটি ফলকের প্রতিটিতে নাম ও জন্মতারিখ খচিত। দুটিতে জন্ম ও মৃত্যুতারিখ উল্লেখ আছে। বাকিগুলোতে মৃত্যুর তারিখের জায়গাটি ফাঁকা।

কবরস্থান পাকাকরণ, টাইলসে মোড়ানো ও সমাধিফলক—এসবই করিছেন আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার। তিনি জীবিত থাকলেও কবরের নামফলকে নিজেকে ‘মরহুম’ লিখে রেখেছেন। যে তিনটিতে মৃত্যুর তারিখ লেখা হয়নি, তাঁরা সবাই বেঁচে আছেন। তার চেয়েও বড় কথা, তিনি এই পারিবারিক কবরস্থানটি পাকা করেছেন সরকারি টাকায়।

আবদুল ওয়াহেদ ঝিনাইদহের জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুমরাবাড়িয়া ইউনিয়নের ডেফলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। ডেফলবাড়িয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় প্রায় এক শতাংশ জায়গার ওপর জেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের টাকায় ২০১১-১২ অর্থবছরে এক লাখ ১৫ হাজার টাকায় পারিবারিক এই কবরস্থানটি নির্মাণ করেছেন তিনি। জেলা পরিষদের প্রশাসক হওয়ায় প্রকল্প অনুমোদন ও খরচ করার ক্ষমতা নিজের হাতেই রয়েছে তাঁর। এ কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা পারিবারিক কবরস্থান পাকাকরণে খরচ করেছেন বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, ওই গ্রামের ঈদগাহের পাশে আনুমানিক এক শতাংশ জায়গায় প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। প্রাচীরের গায়ে মূল্যবান টাইলস দেওয়া। এই কবরস্থানে আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার তাঁর স্ত্রী লায়লা জোয়ার্দ্দারের নামেও জায়গা রেখে ফলক বানিয়েছেন। তাতে নামের আগে ‘মরহুমা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া পরিবারের লোকজনের নামে আরও তিনটি ফলক রয়েছে।

তবে আবদুল ওয়াহেদ জোয়ার্দ্দার দাবি করেন, ‘কবরের মূল প্রাচীরের উন্নয়ন নিজের টাকায় করেছি। প্রকল্প থেকে এখানে টাকা ব্যয় করা হয়নি। ঈদগাহ ও কবরস্থান উন্নয়নের নামে কেউ টাকা তুলে থাকলে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।’

জেলা পরিষদের তৎকালীন উপসহকারী প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম বলেন, ঈদগাহ ও কবরস্থান একই স্থানে হওয়ায় একসঙ্গে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রথম বরাদ্দে প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় বরাদ্দ আনা হয়।



সূত্র প্রথম আলো





উনার উচিত সরকারী টাকায় উনারদের কবরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্রও লাগিয়ে রাখা। কারণ নয়তো সরকারী টাকা আত্মসাৎ এর অপরাধে পরবর্তীতে কবরে গরম অনুভূত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.