![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুুখরঞ্জন বালীকে সরকারি নীলনকশা অনুযায়ী কিডন্যাপ করা হয়েছিল। এটা করা হয়েছিল সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য। কিন্তু সত্যকে তো মিথ্যে দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না—সত্যের জয় হয়ই।
সুুখরঞ্জনের অন্তর থেকে বের হওয়া সত্যকে ঢেকে রাখতে পারেনি সরকার। কিডন্যাপ হওয়ার আগে সত্য প্রকাশে নির্ভীক আমার দেশ-কে বালী একটি এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। বালীর সত্য উচ্চারণকে সবার আগে পাঠকের সামনে তুলে ধরেছিল আমার দেশ। সেই সুখরঞ্জন বালী এখন কলকাতার কারাগারে। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হয়েও তিনি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহৃত হয়েছিলেন। ‘অবশেষে ভারতের একটি কারাগারে বালীর সন্ধান পাওয়া গেছে’ মর্মে গত সপ্তাহে ঢাকা থেকে প্রকাশিত ইংরেজি পত্রিকা নিউএজ খবর প্রকাশ করে। এরপর বিবিসি, আলজাজিরা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত নিউজ প্রকাশ হতে থাকে। মাওলানা সাঈদীর আইনজীবী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বালী মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসায় রাষ্ট্রপক্ষের নির্দেশে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে গেছে। আসামিপক্ষ থেকে ট্রাইব্যুনালে এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বালীর সন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের হলে আদালত তা খারিজ করে দেয়। ‘বালীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গেছে’ মর্মে আমার দেশ পত্রিকায় বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। অপহরণের পরদিন প্রকাশ করা হয় দুই দিন আগে আমার দেশ-এর কাছে দেয়া একটি সাক্ষাত্কার। ওই সাক্ষাত্কারে বালী বলেছিলেন, ‘মামলার বাদী মাহবুব মোরে চাপ দেয় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। সাঈদী সাব মোর ভাই বিশাবালীরে খুন করে নাই। সাঈদী সাব মোর ভাই বিশাবালীরে খুন করছে—মুই মোর ভাইর মরণ লইয়া এই রহমের মিথ্যা কতা কইতে পারমু না।’
উল্লেখ্য, সুখরঞ্জন বালী কলকাতার একটি কারাগারে বন্দি জীবনযাপন করছেন। সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাকে অপহরণ করে ভারত সীমান্তে ঠেলে দেয়। কারাগারে থেকেই এক বিবৃতিতে বালী তার অপহরণ ও ভারতে পাঠিয়ে দেয়ার কাহিনী তুলে ধরেন। গত ১৬ মে ইংরেজি দৈনিক নিউএজ-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদনটি লিখেন ডেভিড বার্গম্যান। সুখরঞ্জন বালী কলকাতার দমদম সংশোধন কেন্দ্রে আটক রয়েছেন বলে গত ফেব্রুয়ারিতে তথ্য পায় নিউএজ। তাকে দেখতে তার পরিবারের সদস্যরাও সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে এবং কীভাবে তিনি সেখানে গেলেন, তা জানতে কাজ করে পত্রিকাটি।
কে এই সুখরঞ্জন বালী : পিরোজপুর জেলার জিয়ানগর উপজেলার উমেদপুর হিন্দুপাড়ার সুখরঞ্জন বালী (৫৭)। মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের একজন মানিত সাক্ষী ছিলেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সুখরঞ্জন বালীর আপন ভাই বিশাবালী হত্যাকাণ্ডের জন্য তাকে সাক্ষী হিসেবে নেয়া হয়। সরকারপক্ষের আইনজীবীরা গত বছর ২০ মার্চ ট্রাইব্যুনালকে জানিয়েছিলেন, সুখরঞ্জন বালীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার নামে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থাপিত জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থাপিত এ ধরনের ৪৬ জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণের আবেদন জানান সরকারপক্ষের আইনজীবীরা। ট্রাইব্যুনাল ৩০ মার্চ এক আদেশে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থাপিত ১৫ জনের জবানবন্দি সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করে আদেশ দেয়। যাদের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপস্থাপিত জবানবন্দি আদালত সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেছে, তাদের একজন হলেন সুখরঞ্জন বালী।
জানা যায়, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে রাজি না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষের লোকজন সুখরঞ্জনকে ভয়ভীতি দেখালে তিনি আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তিনি সত্য ঘটনা ট্রাইব্যুনালে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। এতে মাওলানা সাঈদীর পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য নিজ থেকে সাক্ষী হিসেবে ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেয়ার জন্য আবেদন করেন। গত বছর ৫ নভেম্বর আবেদন শুনানির জন্য ধার্য ছিল। নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালে সাঈদীর মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের কথা ছিল। কিন্তু সাঈদীর আইনজীবীরা তাদের পক্ষে বাকি সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আবেদন করেন। একজন সাক্ষীকে হাজির করার সময় ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায় বলে আইনজীবী মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন।
সাক্ষীকে যেভাবে ধরে নেয়া হয় : আইনজীবী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৫ নভেম্বর সকাল সোয়া দশটার দিকে মিজানুল ইসলামসহ মাওলানা সাঈদীর আরও কিছু আইনজীবী একটি গাড়িতে করে ট্রাইব্যুনালে আসছিলেন। তাদের সঙ্গেই ছিলেন সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী। তাদের বহনকারী গাড়ি ট্রাইব্যুনালের পাশে মাজার সংলগ্ন গেটে আসার পর দায়িত্বরত পুলিশের কিছু সদস্য গাড়িটি থামার সঙ্কেত দেন। গাড়িটি থামলে তারা গাড়ির সবাইকে নামতে বলেন। পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাডভোকেট মনজুর আহমদ আনসারী, হাসান আল বান্না সোহাগসহ সবাই নেমে আসেন। তখন তাদের হেঁটে ট্রাইব্যুনালে যেতে বলা হয়। এরপর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে গাড়ি থেকে নেমে আসতে বলেন পুলিশের সেসব সদস্য। সাক্ষী নেমে আসার পর শুধু মিজানুল ইসলামকে গাড়ি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের সামনে পর্যন্ত যেতে দেয়া হয়। উল্লেখ্য, এ আইনজীবী পক্ষাঘাতগ্রস্ত রোগে আক্রান্ত। হাঁটতে পারেন না।
গাড়ি থেকে নেমে আইনজীবীদের সঙ্গে সুখরঞ্জন বালী দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকধারী পুলিশের চার সদস্য সাক্ষীর দুই হাত ধরে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। উপস্থিত আইনজীবীরা বাধা দিতে চাইলে তাদের ধাক্কা দিয়ে সরানো হয়। সুখরঞ্জন বালীকে মাজার গেট দিয়ে বের করে দোয়েল চত্বরের দিকে ট্রাইব্যুনালের অপর গেটের দিকে নিয়ে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের এক সদস্য মোবাইলে ফোন করলে ট্রাইব্যুনালের ভেতরের চত্বর থেকে পুলিশের পিকআপ ভ্যান তাদের কাছে আসে। তখন সাক্ষীকে গাড়িতে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবীরা জানান, তাকে গাড়িতে তোলার সময় থাপ্পড় দেয়া হয় এবং টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে ধাক্কা মারা হয়। ওইদিন সকাল সাড়ে দশটায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হলে অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বিষয়টি অবহিত করেন। তত্কালীন ট্রাইব্যুনাল চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক বলেন, কোর্ট শেষে আমরা বিষয়টি দেখব।
আমার দেশের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে সুখরঞ্জন বালী : গত ৩ নভেম্বর সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী স্থানীয় ভাষায় সাক্ষাত্কারে আমার দেশ-কে বলেছিলেন, ‘মামলার বাদী মাহবুব মোরে চাপ দেয় মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য। সাঈদী সাব মোর ভাই বিশাবালীরে খুন করে নাই। সাঈদী সাব মোর ভাই বিশাবালীরে খুন করছে—মুই মোর ভাইর মরণ লইয়া এই রহমের মিথ্যা কতা কইতে পারমু না।’ তিনি বলেন, বছর দেড়েক আগে পাড়েরহাট হাইস্কুলে তদন্ত সংস্থার লোকজনের কাছে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মাওলানা সাঈদীর মামলার বাদী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল আলম হাওলাদার সেখানে নিয়ে যান। মাহবুব এবং তার সঙ্গীয় মানিক তদন্ত সংস্থার লোকজনের সামনে আমার দু’পাশে বসে। আমার ভাই বিশাবালী হত্যার জন্য দায়ী করে মাওলানা সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেয়ার কথা বলে। আমি সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে কথা না বলায় তারা আমাকে মারধর করে। আমি তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলি যে, আমি যা মুখে বলব, তা যেন লেখা হয়। এ সময় তদন্ত সংস্থার লোকজন মাহবুবকে বলতে থাকেন, ‘কাকে নিয়ে এসেছো—সে তো ক্ষতি করে ফেলবে।’ একপর্যায়ে আমাকে সেখান থেকে চলে আসতে বলা হয়। তিনি বলেন, সেখানে কোনো জবানবন্দি আমি দেইনি, কাগজে স্বাক্ষরও দেইনি। এর পর মাহবুব আমাকে বলে, সাঈদী সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে সে আমাকে দেড় লাখ টাকা দেবে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় সে আমাকে পায়ের রগ কেটে ফেলার হুমকি দেয়। এতে আমি আমার আত্মীয়ের বাড়িতে চলে যাই।
সুখরঞ্জন বালী জানান, এ ঘটনার পর একদিন তার বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যায় মাহবুবুল আলম। সেদিন তিনি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বলেন, তারা আমার মেয়ে ও স্ত্রীকে বলে সুখরঞ্জন নিখোঁজ মর্মে একটি মামলা করার জন্য। এ প্রস্তাবে স্ত্রী ও মেয়ে রাজি না হলে বিভিন্ন ভাবে চাপ দেয়। একপর্যায়ে সাদা কাগজে আমার মেয়ের একটি স্বাক্ষর নিয়ে যায় তারা। এ স্বাক্ষর দিয়ে তারা থানায় জিডি করেছে বলে আমি শুনেছি। তিনি আরও বলেন, আমি ট্রাইব্যুনালে সত্য কথা বলতে চাই। মিথ্যার ওপর সাঈদী সাহেবের মতো একজন মানুষের বিচার হতে পারে না। ট্রাইব্যুনালের সত্য বিষয়টি জানানো দরকার বলেই ঢাকায় এসেছি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির আদেশ দেয় প্রথম ট্রাইব্যুনাল। মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ২০টি অভিযোগের মধ্যে ১২টি অভিযোগে তাকে খালাস এবং দুটি অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল বাকি ছয়টি অভিযোগে কোনো দণ্ড দেয়নি। যে দুটি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুখরঞ্জন বালীর ভাই বিশাবালী হত্যার অভিযোগ। মাওলানা সাঈদীর মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
সুখরঞ্জন বালী একজন হিন্দু। তার রাজনৈতিক আদর্শ আর সাঈদীর রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে বিরাট পার্থক্য—বিপরীত ধর্ম ও মতাদর্শের একজন লোককে ঘায়েল করার বিরাট সুযোগ পেয়েও যিনি বিবেকের কাছে বন্দি হয়ে সত্য কথা বলেছেন। সুখরঞ্জন বালী তার এ মহত্ কর্মের জন্য ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে সব মানুষের কাছে তিনি সত্ মানুষের প্রতিচ্ছবি হয়ে থাকবেন। - আলমগীর হোসেন
সূত্র : Click This Link
২| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
মোঃ জুম্মা বলেছেন: !!!!
৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মাসরুর প্রধান বলেছেন: আমার দেশ একমাত্র সত্যের পক্ষে বাকি সব পত্রিকা মিথ্যা।
৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সাবু ছেেল বলেছেন: কুকুরের দেশ পত্রিকা পড়া হারাম (আবার ভুল করে হারেম পইড়েনা না!)
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯
পুংটা বলেছেন: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ওরফে দেলু রাজাকারকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ফাঁসির আদেশ দেয় প্রথম ট্রাইব্যুনাল। রাজাকার সাঈদীর বিরুদ্ধে মোট ২০টি অভিযোগের মধ্যে ১২টি অভিযোগে তাকে খালাস এবং দুটি অভিযোগে ফাঁসির দণ্ড দেয় ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনাল বাকি ছয়টি অভিযোগে কোনো দণ্ড দেয়নি। যে দুটি অভিযোগে মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসির দণ্ড দেয়া হয়, তার মধ্যে একটি হচ্ছে সুখরঞ্জন বালীর ভাই বিশাবালী হত্যার অভিযোগ। রাজাকার সাঈদীর মামলাটি বর্তমানে আপিল বিভাগে বিচারাধীন।.........এভাবে লিখুন।
একজন রাজাকারকে বাচাতে আপনি এত মরিয়া কেন?
আপনি একজন প্রেসক্লাব সভাপতি। সংবাদ আপনার কাছে নিরপেক্ষ হোক।