নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাহাড়ের প্রতিধ্বনী

মমতাজ-কলি

ভাল করে বাঁচতে চাই

মমতাজ-কলি › বিস্তারিত পোস্টঃ

"মেয়েরা প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণ আইন ব্যবহার করছে"

০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৮

এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তিনবার একই ধরনের হতাশা প্রকাশ করলো দিল্লি হাইকোর্ট। মেয়েরা অনেক ক্ষেত্রেই ধর্ষণ আইনের অপব্যবহার করছে। শনিবার এক মামলায় রায় দেয়ার সময় বিচারপতি কৈলাশ গাম্ভির বলেন, ‘ছেলেদেরকে হয়রানি করতে অনেক ক্ষেত্রে জোর করে বিয়ে করার জন্যও ধর্ষণ মামলাকে প্রতিশোধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে’। যে মামলার রায় দেয়ার সময় তিনি মন্তব্যটি করেন, সেক্ষেত্রেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক পুরুষের জামিন আবেদন মঞ্জুর করার সময় তিনি এ আক্ষেপ প্রকাশ করেন। ওই পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী নারী আবার নিজেকে তার স্ত্রী বলে দাবি করছে। হাইকোর্ট থেকে আরও বলা হয়, অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা নিজ সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। পরে সম্পর্ক ভেঙে গেলে, বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে বাধ্য করার জন্য ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। এতে করে তারা বিয়েকে স্রেফ হাসি তামাশার বিষয়ে পরিণত করেছে। একই সঙ্গে ধর্ষণ মামলার হারও বেড়ে চলেছে। অনেক মামলার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, নিজ সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার পর যখন কোন কারণে সম্পর্ক ভেঙে গেছে তখন আইনকে প্রতিশোধ নেয়ার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কখনও বা ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়ার জন্য কখনও বা বিয়ে করতে বাধ্য করার জন্য। বিচারপতি গাম্ভির অভিযুক্ত আসামিকে জামিন দেয়ার সময় উল্লেখ করেন, দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে মহিলা ওই পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। এফআইআর অনুযায়ী, ধর্ষণ হওয়ার পর পুলিশের সাহায্য নিয়ে ওই পুরুষকে বিয়ে করতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে সে তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। তারপরই মহিলাটি ওই পুরুষের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করে। মামলা করতে দেরি করার কারণ হিসেবে সে বলেছে, তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছিল। আদালত থেকে বলা হয়, এধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব অভিযোগ দাখিল করা উচিত। আর মামলা দায়ের করতে দেরি হলেও তার পিছনে যথাযথ কারণ থাকা বাঞ্ছনীয়। ধর্ষণ মামলার ক্ষেত্রে অভিযোগ দাখিল করতে দেরি করলে মেডিকেল ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় না বললেই চলে। ফলে, ধর্ষণকারীর বিরুদ্ধে মামলা প্রমাণ করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। হাইকোর্ট ধর্ষণ মামলার বিচারকদেরকে সতর্কতার সঙ্গে ধর্ষণ মামলার বাদী নারীদের উদ্দেশ্য যাচাই করে দেখতে সুপারিশ করেছে। আসলেই ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা কতটুকু নাকি পুরো বিষয়টি নিজ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য সেটা নিরূপণ করার জন্য বিচারকদেরকে সচেষ্ট থাকার তাগিদ দেয় হাইকোর্ট। চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে বিচারপতি জি পি মিত্তাল এবং বিচারপতি সুরেশ কেইট পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলার এফআইআর বাতিল করেছেন। মামলা দুটির একটি অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণ ও অপরটি প্রাইভেট এক্সিকিউটিভকে গণধর্ষণের অভিযোগ। দুটি মামলাতেই ধর্ষণের শিকার দাবি করা মেয়ে দুটির দেয়া এফআইআর এ ঘটনার বিবরণে একাধিক জায়গায় পরস্পরবিরোধী কথা রয়েছে। এই তিনটি পৃথক ধর্ষণ মামলার রায়ের মোদ্দা কথা হলো, বিচারকদেরকে সতর্ক থাকতে তাগিদ দেয়া হয়েছে। তারা যেন ধর্ষণের মামলা শুনেই একতরফা মানসিকতা ধারণ করে বসে না থাকে। মামলার বিবরণ ও তথ্যপ্রমাণের মধ্যে অশালীন, গর্হিত বিষয়বস্তু থাকলেও ধর্ষণ মামলায় কাউকে শাস্তি দেয়ার আগে তথ্যপ্রমাণ পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বিশ্লেষণ করে দেখার অনুরোধ করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট এটাও স্বীকার করেছে যে ধর্ষণের অধিকাংশ অভিযোগই সত্য যেখানে কোন মেয়েকে জোরপূর্বক কখনওবা ব্ল্যাকমেইল করে অত্যাচার করা হয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে প্ররোচিত করা হয় মেয়েদেরকে। কিন্তু একই সঙ্গে এমন অনেক ঘটনাও রয়েছে যেখানে উভয় ব্যক্তির সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। সূত্র : http://71.18.24.199/?p=37517

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

আজম মাহমুদ বলেছেন: এটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.