![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১২ জুন, ২০১৩ ভোর ছয়টায় গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে মাহমুদুর রহমানকে একটি প্রিজন ভ্যানে করে কড়া পুলিশি প্রহরায় ঢাকার সিএমএম আদালতে সকাল পৌনে নয়টার দিকে এনে হাজির করে। তাকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোর্টহাজতে রাখা হয়। সাড়ে ১১টায় মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশিদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। ওই সময় ম্যাজিস্ট্রেট অন্য একটি মামলার শুনানি গ্রহণ করছিলেন। কিছুক্ষণের জন্য আদালত মুলতিব করে তিনি এজলাস ছেড়ে পেছনের খাস কামরায় চলে যান।
১১টা ৪০ মিনিটে তিনি ফের এজলাসে এসে আসন গ্রহণ করেন। এর ৫ মিনিট পর সরকারপক্ষের প্রধান আইনজীবী মহানগর পিপি আবদুল্লাহ আবুসহ সরকারপক্ষের আরও তিনজন আইনজীবী ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরা থেকে রেবিয়ে এজলাস হয়ে সামনের আইনজীবীদের সারিতে এসে বসেন। কোর্ট ইনস্পেক্টর মামলার নম্বর বলার সঙ্গে সঙ্গে পিবি আবদুল্লাহ আবু কথিত শাহবাগি জাগরণ মঞ্চের ফ্যাসিবাদী আচরণের বিষয়ে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিভিন্ন লেখার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, তিনি শাহবাগের আন্দোলনের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আমার দেশ পত্রিকায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এতে হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠীর উত্থান ঘটেছে। এসব ধর্মীয় গোষ্ঠী শাহবাগে হামলার চেষ্টা করেছে। মাহমুদুর রহমানের লেখার কারণেই শাহবাগের তরুণদের আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেছে। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতা নয়। এ মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রয়োজন।
মাহমুদুর রহমানের যুক্তি : সরকারপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের পর আদালতে উপস্থিত সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া ও অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, এ মামলায় মাহমুদুর রহমান নিজেই শুনানি করবেন। আমরা সুপ্রিমকোর্ট বার ও ঢাকা বারের নেতারাসহ দুই শতাধিক আইনজীবী তার সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশ করতে আদালতে হাজির হয়েছি। আদালত অনুমতি দিলে মাহমুদুর রহমান বলেন, মাননীয় আদালত! আপনার প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান রেখে আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, আমি আপনার এ আদালতে সরকারের উত্থাপিত রিমান্ডের আবেদন বাতিল কিংবা আমার জামিনের আবেদন করছি না। এ আদালতে আমার পক্ষে কোনো আইনজীবীও নিয়োগ করিনি। কারণ হচ্ছে যে, আমি শত শত আইনজীবী নিয়োগ করলেও আপনি উভয়পক্ষকে শুনে স্বাধীনভাবে আদেশ দিতে পারবেন না। আপনার কাছে ওপর থেকে যে নির্দেশনা এসেছে, আপনি তার বাইরে যেতে পারবেন না। যদিও আদালত এখন স্বাধীন। কোনো অভিযোগ ছাড়াই, এমনকি ঠুনকো অভিযোগ এনে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করছে। আর আদালত কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই রিমান্ড মঞ্জুর করছে। আর রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ করছে বাণিজ্য। সরকার রিমান্ড অস্ত্র ব্যবহার করে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বিরোধী মতের নাগরিকদের জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। এর দায়দায়িত্ব আদালতও এড়াতে পারে না। যেহেতু আপনি সরকারের নির্দেশনার বাইরে যেতে পারবেন না, এ কারণেই আমি আপনার কাছে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করছি না।
মাহমুদুর রহমানের এ বক্তব্যের জের ধরে বিচারক বলেন, আপনি যদি কোনো আবেদন না করেন, তাহলে শুনানি করছেন কেন? জবাবে মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি শুধু আমার মামলার প্রসঙ্গটিই টেনে কিছু বলছি। এ সময় সরকারপক্ষের আইনজীবীরা হৈচৈ শুরু করলে মাহমুদুর রহমানের পক্ষের আইনজীবীরাও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। আদালত উভয়পক্ষকে শান্ত করে মাহমুদুর রহমানকে বক্তব্য দিতে বলেন। মাহমুদুর রহমান তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহারে বর্ণিত অভিযোগ সম্পর্কে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, স্কাইপ একজন বিচারপতির অবৈধ কথপোকথন প্রকাশের ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে একটি মামলায় উচ্চ আদালতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে জামিনের আবেদন করলে আদালত তা ফেরত দেন। ওইদিন থেকেই আমি নিজ কার্যালয়ে অবরুদ্ধ জীবন কাটাই। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে গত ১১ এপ্রিল পুলিশ আমাকে আটক করে নিয়ে যায়। অথচ আমার বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। তিনি আদালতের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, অফিসে অবরুদ্ধ থেকে মত্স্য ভবনে গিয়ে লোকজনকে উসকানি দিয়ে উত্তেজিত করে আমি কীভাবে শাহবাগের জাগরণ মঞ্চ ভাঙতে গেলাম? কাজেই এটি একটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলা। পুলিশের রিমান্ড আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষকে উসকানি কিংবা উত্তেজিত করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় যদি সরকার বা পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে, তাহলে খুনের মামলার আসামি, গডফাদার, শীর্ষ সন্ত্রাসী, টেন্ডারবাজদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় কত দিন রিমান্ডের আবেদন করবে? আদালতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আদালত যদি সত্যিকার অর্থেই স্বাধীন হতো এবং আপনারা বিচারকরা যদি স্বাধীনভাবে ও জুডিশিয়াল মাইন্ড প্রয়োগ করে বিচার করার সুযোগ পেতেন, তাহলে আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে আপনার শোকজ করার বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু আপনি তা করতে পারবেন না। যে কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে এমনটা হলে ওই দেশের বিচারকরা অবশ্যই এটা করতেন। তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ২৮ জন আসামির মধ্যে আমাকে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২৮ নম্বর আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য সরকারের তোড়জোড়ের সীমা নেই। অথচ অবশিষ্ট ২৭ জন আসামির কোনো হদিস খুঁজে দেখারও চেষ্টা করেনি সরকার। এর চেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর কী হতে পারে? তিনি বলেন, শুধু সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ, দুর্নীতি, লুটপাট ও অপকর্ম প্রকাশ করার কারণেই আমাকে নির্যাতনের জন্য সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেছে।
মাহমুদুর রহমান রিমান্ড প্রসঙ্গে আরও বলেন, পুলিশ রিমান্ড চায় আর আপনারা কোনো ধরনের বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই তা মঞ্জুর করেন। ফলে রিমান্ড এখন সরকারের কাছে একটি ডালভাতে পরিণত হয়েছে। রিমান্ডের নামে পুলিশ ও সরকার এখন যা করছে, তা কোনো সভ্য দেশে কল্পনাও করা যায় না। সরকারের পাশাপাশি আদালতও এর দায় এড়াতে পারবে না। এর আগে রিমান্ডে নিয়ে পুলিশের নির্মম ও পৈশাচিক নির্যাতনের বিবরণ তুলে ধরে মাহমুদুর রহমান বলেন, এর আগে আমাকে সাত দিন রিমান্ডে রেখে অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে। রিমান্ডে আমি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আদালতের নির্দেশেই আমাকে সরকারি হাসপাতালে চিকিত্সার জন্য নেয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার চিকিত্সার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
চিকিত্সা সংক্রান্ত নথিপত্র আদালতে পেশ করে তিনি বলেন, মেডিকেল বোর্ড আমার চারটি মারাত্মক রোগ চিহ্নিত করেছে। তারা আমাকে দ্রুত চারটি টেস্ট করতে লিখেছেন। অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ পরীক্ষাগুলো না করিয়ে আমাকে দ্রুত কাশিমপুর কারাগারে পাঠিয়ে দেয়। হাসপাতালের রিলিজ অর্ডার পেশ করে তিনি বলেন, আমাকে একনাগারে আধাঘণ্টার বেশি বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। দূরের কোনো পথ চলতে নিষেধ করা হয়েছে। নিয়মিত চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে চলতে ও ওষুধ সেবন করতে বলা হয়েছে। সরকার তাদের চিকিত্সকদের এসব নির্দেশনাও মানছে না।
মাহমুদুর রহমান রিমান্ডের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা তুলে ধরে বলেন, অসুস্থ লোককে রিমান্ডে দেয়া যাবে না, এটি উচ্চ আদালতের নির্দেশ। একনাগারে কাউকে তিন দিনের বেশি রিমান্ডে নেয়া যাবে না। অথচ আমার বিরুদ্ধে আদালতের দেয়া এখনও ছয় দিন রিমান্ড বাকি রয়েছে। ওই অবস্থায়ই আবারও সরকার রিমান্ডের আবেদন করেছে। রিমান্ডের বিষয়ে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা আপনারা নিম্ন আদালতের বিচারকরা মানছেন না। এটাই বিচার বিভাগের জন্য অশনি সঙ্কেত। আশা করি আপনি সব দিক বিচার করে আদেশ দেবেন।
মাহমুদুর রহমানের বক্তব্যের পর অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া আদালতকে উদ্দেশ করে বলেন, একজন মানুষ বাঁচলে তারপরেই তার বিচার করা সম্ভব। কিন্তু রিমান্ডের নামে নির্যাতন করে একটি মানুষকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিয়ে আপনারা কার বিচার করবেন? আমরা এ মামলায় সরকারের রিমান্ডের আবেদন বাতিলের জোর আবেদন করছি।
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, মাহমুদুর রহমান দেশের সাংবাদিক সমাজের গৌরব। এরই মধ্যে গোটা জাতি তাকে স্বাধীনচেতা ও সময়ের সাহসী সন্তান হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে। সরকার তার সাহস ও সততার কাছে হেরে গিয়ে নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি আদালতের কাছেও যদি সুবিচার না পান, তাহলে কোথায় যাবেন? সরকারের বর্বর নির্যাতন ও সীমাহীন জুলুমের শিকার হয়ে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে আপনার সামনে শুনানি করেছেন। আমরা আশা করছি আদালত বিষয়টি বিচারিক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখবেন। কেননা এর আগে রিমান্ডে নিয়ে তাকে ইলেক্ট্রিক শক দেয়াসহ বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তার জীবন এখন বিপন্ন হওয়ার পথে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেবে বলে ঘোষণা দেয়। এর পরপরই আদালতে উপস্থিত শত শত আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা চিত্কার করে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন? সরকার যা বলেছে, ওই আদেশই দিয়ে দেন। আমরা মাথা পেতে নেব। আইনজীবীদের চিত্কার ও চেঁচামেচির একপর্যায়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বলেন, আপনি আদেশ দিয়ে দেন। এ পর্যায়ে কোর্ট ইনস্পেক্টর আদেশ পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো। পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আদালতে শুনানিকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বারের সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম, সাবেক সম্পাদক খোরশেদ আলম, সিনিয়র আইনজীবী বোরহানউদ্দিন, ওমর ফারুক ফারুকী, নুরুল ইমান বাবুল, আবদুর রাজ্জাক, জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মো. রফিকুল ইসলাম, আবদুল লতিফ তালুকদার, নুরুজ্জামান, সাবেক সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এই ফালতুটার কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ
৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অদৃশ্য শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে যে বিচারকরা মামলার রায় নির্ধারণ করে , তাদের মুখে 'চেপ' দিয়ে গেলাম ।
৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫১
নূর আফতাব রুপম বলেছেন: সাদা মনের মানুষের মন এত কালো ক্যান ? হ্যাঁই বুজি বালের সদস্য !!
৫| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮
ইকবাল পারভেজ বলেছেন: সাদা রংয়ের আওয়ামী বলদটা, বলদই রইয়া গেল, মানুষ হইতে পারল না!
৬| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯
মমতাজ-কলি বলেছেন: হায়রে সাদা মনের মানুষ! মনে কালিমা রেখে মানুষ বিচার করা ঠিক না!
৭| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
জহির উদদীন বলেছেন: পচাঁ সাবান দিয়া সাদা মনের মানুষটারে একটু ধলা করতে মুন্চায়........
৮| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ফালতু হারামিটার কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ!
যে কারনে দরকার
Click This Link
৯| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
কয়েস সামী বলেছেন: ইনজাসটিস! একজন খুনের আসামীকেও এভাবে ট্রিট করা হয় না।
১০| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:১৭
নিষ্কর্মা বলেছেন: সমস্যা হচ্ছে, বিম্পি আমলেও একই জিনিস হৈসে। সেই সময়ে আমার দেশ বিম্পি সরকারকে সাপোর্ট করে গেছে। এখন নিজের পশ্চাদ্দেশ দিয়া একই বাঁশ ঢুকায় বেশি ব্যাথা লাগতেছে, যেটা ৭/৮ বছর আগে শাহরিয়ার কবিরের লাগছিল।
১১| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৯
পীপিলিকা বলেছেন: ভাই ব্লগে আস্তিক-নাস্তিক ক্যাচাল এ দেশে ব্লগ শুরুর পর থেকেই। কারও নিছক মতামতকে গণমাধ্যমে প্রকাশ করে ধর্মীয় দাংগা সৃষ্টিকারি এই আবালটাকে লটকানো উচিত।
১২| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৩
হায়দার সুমন বলেছেন: সরকার তার সাহস ও সততার কাছে হেরে গিয়ে নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে।
একমত
১৩| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ও কাবা ঘরের গিলাফ নিয়া মিথ্যাচার করেছে ওর পত্রিকার মাধ্যমে ব্লগারদের নিয়া ব্যপাক মিথ্যাচার আর উস্কানি দিয়েছে, আপনারা ওর পক্ষাবলম্বন করেন দেখে মনটা খারাপ লাগে ।
কেউ কেউ আমার গায়ে আওয়ামীলীগের সিল মেরে দিতে চান, তাতে আমার দুঃখ নাই, আপসোস লাগে আমরা আজো দলীয় দৃষ্টিকোন ছাড়া কোন বিষয়েরই বিচার করতে পারি না, ধন্যবাদ সবাইকে ।
১৪| ১৪ ই জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
মমতাজ-কলি বলেছেন: ভাই সাদা মনের মানুষ! আপনার এই আক্ষেপের জন্য ব্যথিত। আমরা এখনও নোংরা রাজনীতির বৃত্তেই আছি। প্রকৃত অর্থে আমরা গণতন্ত্রমনা মানুষ হতে পারিনি। কোন নীতিবোধ সম্পন্ন মানুষ বিনা বিচারে কাউকে ঝুলিয়ে দেয়ার দাবী তুলতে পারেনা। মত প্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে সবার থাকা উচিত।
১৫| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২০
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: আমার স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য আপনার স্বাধীনতা যদি ব্যহত হয় সেটাকে স্বাধীনতা বলা যাবে না, সেটা হবে অপরাধ । সুতরাং............
১৬| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১
মমতাজ-কলি বলেছেন: তা বটে। তবে অন্যের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা থাকলে ভাল হয়।
১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৯
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ কলি
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:২২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তিনি আরও বলেন, এ মামলায় ২৮ জন আসামির মধ্যে আমাকে ২৮ নম্বর আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ২৮ নম্বর আসামিকে রিমান্ডে নেয়ার জন্য সরকারের তোড়জোড়ের সীমা নেই। অথচ অবশিষ্ট ২৭ জন আসামির কোনো হদিস খুঁজে দেখারও চেষ্টা করেনি সরকার। এর চেয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা আর কী হতে পারে? তিনি বলেন, শুধু সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ, দুর্নীতি, লুটপাট ও অপকর্ম প্রকাশ করার কারণেই আমাকে নির্যাতনের জন্য সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেছে। !!!
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পরে আদেশ দেবে বলে ঘোষণা দেয়। এর পরপরই আদালতে উপস্থিত শত শত আইনজীবী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা চিত্কার করে বিচারকের উদ্দেশে বলেন, এত লজ্জা পাচ্ছেন কেন? সরকার যা বলেছে, ওই আদেশই দিয়ে দেন। আমরা মাথা পেতে নেব। আইনজীবীদের চিত্কার ও চেঁচামেচির একপর্যায়ে সরকারপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আবু বলেন, আপনি আদেশ দিয়ে দেন। এ পর্যায়ে কোর্ট ইনস্পেক্টর আদেশ পড়ে শোনান। এতে বলা হয়, তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলো। পুলিশ সতর্কতার সঙ্গে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
হায়রে বিচার ব্যবস্থা!!! হে বিচারপতিরা জাগুন.. নয়তো জানুন
ইতিহাস কি কাউকে ক্ষমা করে???????