![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ বিশৃঙ্খলার গহ্বরে নিমজ্জিত হতে পারে বলে মন্তব্য করে ব্রিটেনের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান বলেছে, শেষ পর্যন্ত রাজপথেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হতে পারে।
প্রতিবেদনে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালকে ‘বিতর্কিত’ এবং বিচারকে ‘তথাকথিত’ বলে মন্তব্য করে বলা হয়েছে, এই বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
গতকাল গার্ডিয়ান-এর অনলাইনে প্রকাশিত ‘ভায়োলেন্স অ্যান্ড প্রোটেস্টস কুড ডিরেইল বাংলাদেশ ইলেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সহিংসতা ও প্রতিবাদ-বিক্ষোভ এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে বিঘ্নিত করতে পারে। এ নিয়ে আতঙ্ক তুঙ্গে উঠছে। যদিও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দৃঢ়তার সঙ্গে বলছেন যে, নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। গত মাসে বিরোধী দলগুলোর রাজপথে সংঘাতের পর গ্রীষ্মজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ-বিক্ষোভ গড়ে তোলার পরিকল্পনা করছে। অনেকেই তাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, বিশ্বের অষ্টম জনবহুল এই দেশ নির্বাচনকে ঘিরে সংঘাতে নিমজ্জিত হবে।
ঢাকা থেকে জেসন বার্কের লেখা ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এখন থেকে ৬ বছর আগে সহিংসতা ও হরতালের কারণে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। আসে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিতর্কিত একটি আদালতে ৪২ বছর আগের যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বিচার করা হচ্ছে। এ নিয়ে এরই মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে মেরুকরণ হয়ে গেছে। ফেব্রুয়ারিতে ওই আদালত রায় দেয়ার পর কমপক্ষে ৭০ জন নিহত হয়েছে।
এরপর এপ্রিলে একটি গার্মেন্ট কারখানা ধসের ফলে প্রায় ১,১৩০ জনের প্রাণহানি হয়। এই কারখানা পশ্চিমাদের জন্য পোশাক প্রস্তুত করত। বাংলাদেশে যে বিকাশমান গার্মেন্টবাণিজ্য আছে—তা রাজনৈতিক যে কোনোরকম সঙ্কটে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই গার্মেন্ট থেকেই রফতানির শতকরা ৮০ ভাগ অর্জিত হয়। এ খাতে কাজ করেন ৩৫ লাখের মতো মানুষ। এমন পরিস্থিতি হলে তাদের অবস্থার উন্নয়ন করা হয়ে পড়বে জটিল।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলেন, ‘সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দুর্যোগের মতো নিয়ন্ত্রণহীন কোনো ব্যাপার ছাড়া নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুসারে (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া) অনুষ্ঠিত হবে।’
তবে অনেক ইস্যুরই মীমাংসা হয়নি। প্রধান বিরোধী দল বিএনপি দাবি করছে, আওয়ামী লীগ সরকারকে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তবে শেখ হাসিনা জেদ ধরেছেন যে, নির্বাচনের সময়ও তিনিই সরকারপ্রধান থাকবেন।
গওহর রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে নির্বাচন কমিশনের ওপর। তারা অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যা যা করা প্রয়োজন মনে করবে, তাই করা হবে। কিন্তু এতে খালেদা জিয়ার সন্তুষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
বিএনপির একজন নেতা গার্ডিয়ানকে বলেন, তাদের দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখেই একদলীয় নির্বাচন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে সব সময়ই ক্ষমতাসীনরা নির্বাচনে হেরে যায়। এ সরকারও জানে তারা নির্বাচনে হেরে যাবে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা সবকিছু করতে প্রস্তুত।’
রমজানের আগেই বিক্ষোভ-সমাবেশ করতে চায় বিএনপি। তারা শক্তি প্রদর্শন করতে চায়। শরতে শুরু হতে পারে আসল লড়াই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তিনটি উপাদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা হলো—বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দলগুলোর ভূমিকা, যুদ্ধাপরাধের চলমান বিচার এবং নতুন ভোটারদের সম্ভাব্য সমাবেশ।
বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র জামায়াতে ইসলামী ২০০৮ সালের নির্বাচনে পেয়েছিল মাত্র দুটি আসন। কিন্তু সামান্য ব্যবধানে জয়-পরাজয় হয়—এমন অনেক আসনে তাদের ভোটাররা ফলাফল নির্ধারণ করে থাকেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, তথাকথিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যাদের বিচার হচ্ছে, তারা মূলত জামায়াতে ইসলামীর নেতা। ফলে অভিযোগ উঠেছে যে, বিচারটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তবে সরকার তা অস্বীকার করছে।
জামায়াতের পাশাপাশি নতুন একটি শক্তির উত্থান ঘটেছে। তার নাম ‘হেফাজতে ইসলাম’। গত মাসে হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তবে পুলিশ অজ্ঞাতসংখ্যক বিক্ষোভকারীকে (হেফাজতকর্মী) হত্যা করেছে।
শাহবাগীদের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ইমরান এইচ সরকার এখন পলাতক। তবে তিনি বলেন, তারা আবার বিক্ষোভ শুরু করবেন।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুর রাজ্জাক বলেন, প্রত্যেকের রাস্তায় শান্তিপূূর্ণ বিক্ষোভ করার অধিকার রয়েছে।
মনে হচ্ছে একটি বিষয়ে সবাই একমত, আর সেটি হচ্ছে লড়াই। রাজপথেই হবে জয়-পরাজয়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
নিজাম বলেছেন: এই লেখার লেখকের নাম কি? তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় আছে নাকি? আমরা সাধারণ মানুষ এমনটি চাই না। চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর। যে দলই ক্ষমতায় আসুক আমাদের সাধারণ মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না, পরিবর্তন নয় নেতা-কর্মীদের। তাহলে রাজনৈতিক অস্থিরতায়, হরতালে, বিক্ষোভে সাধারণ মানুষ মরবে কেন? নেতারা তো মরে না!