![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
knowledge is virtue.
হযরত মুহম্মদ (সা)-এর কর্মপদ্ধতি: ব্যক্তিগত পর্যায়ে
১. আত্মোপলব্ধি
ক. এই উপলব্ধি যে, আমি আছি।
খ. এই উপলব্ধি যে, আমি যাহাই হইনা কেন, ইহার মর্যাদা ও মূল্য আছে।
গ. এই উপলব্ধি যে, আমি যাহা আছি, আমাকে তাহার যোগ্য হইয়া থাকিতে হইবে।
ঘ. এই উপলব্ধি যে, আমিই আমার জিম্মাদার।
ঙ. এই উপলব্ধি যে, যদি নিজেকে প্রতিপালন না করি তাহা হইলে টিকিতে পারিব না।
চ. এই উপলব্ধি যে, নিজের প্রতিপালন আরম্ভ করিয়া দিই।
২. আপন লালন পালন
ক. লালন-পালনের জন্য অপরের নির্ভরশীলতা হইতে মুক্তি।
খ. নিজেকে পালনের পদ্ধতি নির্বাচন।
গ. আত্মপালন-পদ্ধতির উন্নয়ন।
ঘ. নিজ লালন-পালনের আদর্শ নির্ধারণ তদনুযায়ী জীবিকা অর্জনের পন্থা নিরূপণ।
৩. নিজের তরবিয়ত বা নিজকে গড়িয়া তোলা
ক. নিজেকে গড়িয়া তোলার আদর্শ ও পদ্ধতি নির্ধারণ।
খ. নিজেকে গড়িয়া তোলার ব্যবস্হাকরণ ও তাহা সমাপ্তিকরণ।
৪. নিজ শিক্ষা
ক. শিক্ষার আদর্শ ও পদ্ধতি নির্ধারণ।
খ। নিজের শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্হাকরণ এবং তাহা সমাপ্তিকরণ।
৫. আত্ম স্বাচ্ছন্দ
ক. স্বাচ্ছন্দ লাভের উদ্দীপনা।
খ. স্বাচ্ছন্দ লাভের চেষ্টা করা।
গ. স্বাচ্ছন্দ হাসিল করার নিয়ম।
৬. আপন যৌন-প্রয়োজন
ক. যৌন-সংযোগের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত।
খ. যৌন-সংযোগের আদর্শ ও পদ্ধতি নির্ণয় ও তাহা কার্যকরীকরণের সিদ্ধান্ত।
গ. স্ত্রীদের মান নির্ধারণ এবং সে রকম বিবি পাওয়ার জন্য প্রতীক্ষা।
ঘ. উদ্দিষ্ট মানের স্ত্রী লাভের উপায়।
৭. আপন পরিবার-পত্তন
ক. পারিবারিক জীবন প্রয়োজন- এই সিদ্ধান্ত।
খ. পারিবারিক জীবনের বিধি-বিধান।
ঘ. পারিবারিক জীবনের আপদ-বিপদের মুকাবিলা।
ঙ. পারিবারিক জীবনের আদর্শ প্রতিষ্ঠায় সাফল্য।
৮. আত্মপরিচিতি
ক. এই পরিচয় লাভ যে, আমি আমিই-আমি অপর কেহ নহি।
খ. আমি সুউচ্চ ও গভীরতাময় মর্যাদার অধিকারী মানুষ।
গ. আমি মানুষের জন্য জন্ম লাভ করিয়াছি, নিজের জন্য নহে।
ঘ. আমি যাহা আমাকে তাহাই হইতে হইবে।
ঙ. আমার যাহা হওয়া উচিত আমি তাহা না হইলে আমি ধ্বংস হইয়া যাইব।
চ. আমার যাহা হওয়া উচিত আমি তাহা হইতে পারিব।
ছ. আমার চেষ্টার সহিত অদৃশ্য সাহায্য লাভও হইবে।
জ. আমি যেই হইনা কেন, আমার জীবন সাধারণের জীবনের মতো নহে।
৯. আত্মোন্নতি
ক. জ্ঞানের ব্যাপারে আত্ম-তুষ্টি বর্জন।
খ. উন্নতির স্পৃহাকে সদা জাগ্রত রাখা।
গ. উন্নতির আদর্শ ও পন্থা নির্ধারণ।
ঘ. উন্নতির কর্মসূচী প্রণয়ন।
ঙ. উন্নতির পথে বাধা মুকাবিলা করা।
চ. উন্নতির চেষ্টায় সাফল্যলাভ।
১০. আপন পূর্ণতা বিধান
ক. পূর্ণতার আদর্শ ও পদ্ধতি নির্ধারণ।
খ. পূর্ণতা আনয়নের জন্য চেষ্টা ও সাধনা।
গ. পূর্ণতা বিধানে সাফল্যলাভ।
১১. স্বীয় খেলাফত প্রতিষ্ঠা
ক. খিলাফতের আদর্শ ও বিধি-বিধান।
খ. খিলাফতের জন্য চেষ্টা ও সাধনা।
গ. খিলাফত লাভ।
১২. অহমবোধ বা 'আমিত্ব' উপলব্ধি
ক. অহম্-বোধ বা আমিত্বের আদর্শ ও উহার ব্যবহার বিধি নির্ধারণ।
খ. আমিত্ব অর্জনের চেষ্টা ও সাধনা।
গ. আমিত্বে স্হিতিলাভ।
১৩. আপন রব্বানিয়াত
ক. রব্বানিয়াতের আদর্শ ও উহার প্রয়োগবিধি নির্ধারণ।
খ. রব্বানিয়াত বরণ।
গ. রব্বানিয়াতে স্হিতিলাভ।
..............
তায্কিরায়ে মুহম্মদী-আল্লামা আযাদ সুব্হানী
অনুবাদ: মুজিবুর রহমান।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩
জেনো বলেছেন: রবুবিয়ত নতুন একটি মতবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যদিও অন্ত-সার সুফিবাদের। সূফিভাইকে অনেক ধন্যবাদ এই মূর্খের কপি-পেস্ট লেখা পড়ার জন্য। এটি টাইপ করেছিলাম মূলত নিজের মনে রাখার সুবিধার জন্যই, কারো কাজে লাগতে পারে ভেবেই এখানে দেয়া।
অ. ট.- 'নূর' বিষয়ক কমেন্টালোচনা দেখলাম। মাইন্ডসেট কারো সংগে এই ধরনের আলোচনা ফলপ্রসু হতে দেখিনি। এই ধরনের বিষয়গুলো আলোচনার জন্য 'জ্ঞান' একটি প্রধান বিষয়, যুক্তি তথ্য ও অন্যান্য ব্যাপার গুলো আরো পরের বলে আমার মনে হয়।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: রবুবিয়াত মতবাদের কথা শুনিনি। কতশত মতবাদ আছে! ভাবলে অস্থির লাগে। এর মূলকথা যদি এগুলো হয়, সূফির সাথে অন্তর্দ্বন্দ্ব নেই।
নূর বিষয়ক আলোচনায় যেতামই না, কিন্তু মনে হল, এ নিয়ে এভাবে আলোচনা রাসূল দ.'র ই অবমাননার প্রকারান্তর। তাই যাওয়া। হ্যা, অন্তজ্ঞান বা প্রজ্ঞা তো অবশ্যই প্রয়োজন। আর এ ধরনের আলোচনা থেকেই যে প্রজ্ঞার জন্ম হয়!
ব্লগ আসলে ওই আলোচনার উপযুক্ত নয়, ব্যক্তিগতভাবে এ ধরনের আলাপে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করি, লেখায় না।
রবুবিয়াতের বিষয়টা কী জানতে পারলে খুব ভাল লাগতো।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৬
জেনো বলেছেন: দেখি নতুন কিছু জানতে পারলে লিখব।
এটা অনেকটা ইকবালের 'খুদী' ধারনার কাছাকাছি।
নিজের ভেতর বিশ্ব ধারণ।
ভাল থাকবেন।
৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১০
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: বাপরে
এইটার তো নামই শুনিনাই
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৬
জেনো বলেছেন: শুইনা কাম নাই। এইগুলান কুনো ভার্সিটির সিলেবাসে নাই। টেকা পয়সাও নাই, উল্টা হারাইতে হয়।
তয় এরপরও কিছু পাগল রে সব যুগেই রাস্তায় দেখা যায়।
৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সহজ কথাটি সহজ করিয়া বলা সহজ নয়-
সকল জ্ঞানকে এক মালায় এনেছেন যিনি তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা।
আমাদের সাথে শেয়ারের জন্য ধণ্যবাদ।
ওয়াহদানিয়াত নিয়ে এইরকম নির্যাস কিছু সংগ্রহে আছে কি? থাকলে এখানে এক চাতক অপেক্ষমান।
+++
১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪০
জেনো বলেছেন: 'সকল জ্ঞানকে এক মালায় এনেছেন যিনি তার প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা।'
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
ব্লগে যে কয়েকজন মানুষকে আমি শ্রদ্ধার আসনে রেখেছি আপনি তাদের একজন।
পরের পোস্টে কিছু থাকতে পারে। তবে সবকিছু কি শব্দ-বাক্যে বন্দি সম্ভব? সে অনুমতি কি আছে?
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৩
মিজানুর রহমান মিলন বলেছেন: রবুবিয়ত এ সম্পর্কে তো শুনিনি আগে ! তবে লেখাগুলো পড়ে খুব ভাল লাগলো। চমৎকার। সবার জানা দরকার ।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৯
জেনো বলেছেন: ভাই অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
ব্যাপারগুলো সুফি ঘরানার তো তাই হয়তো চোখে পড়েনি। ছোটকালে আমরা পড়ার টেবিলের সামনে যেমন টাইম টেবল রাখতাম তেমনি এটাও একটা টাইম টেবল যার টাইমফ্রেম পুরো লাইফটাইম আর এটার পরিপূর্ন বাস্তবায়নকারী হচ্ছেন রাসূলাল্লাহ্।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রাসূলের নির্দেশিত পথে চলার শক্তি দিন।
৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:১৪
পাঠক১৯৭১ বলেছেন:
এগুলো মানব সভ্যতার শুরু থেকে ধর্মীয় ভাবনা হিসেবে মানুষ ভেবেছে; কিন্ট সময়ের সাথে এগুলো ভিন্নরুপে প্রকাশ পাচ্ছে ও কার্যকরী হচ্ছে!
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:৪৬
জেনো বলেছেন: আপনার মন্তব্য খুব ভাল লাগল।
মানুষ তার প্রয়োজনেই বিভিন্ন জ্ঞানের উদ্ভব ঘটিয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণীকরণের মাধ্যমে পাথরযুগ হতে আজ পর্যন্ত যত জ্ঞান চর্চিত হচ্ছে সবই মানুষের তৈরি, আপনার সাথে সম্পুর্ন একমত এ ব্যাপারে।
নৈতিক দৃষ্টিকোন থেকে (ব্যাবহারিক এবং তাত্ত্বিক নীতিবিজ্ঞানের পরিধির মধ্যে) ধর্ম ছাড়া বৃহৎ জনগোষ্টির জন্য সহজে ব্যবহারোপযোগি এবং অধিক ফলদায়ক আর কোন ব্যবস্হা আমার চোখে পড়ছে না তত্ত্ব এবং ইতিহাসে।
বর্তমান সমাজ এবং সভ্যতার পরিপেক্ষিতে ধর্মের পরিধি কতটুকু থাকা উচিত, সে বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:২০
খেলাঘর বলেছেন:
এখন এ গুলো চেয়ে অনেক শক্তিশালী তত্ব কাজ করছে।
এখন বালি আর পাথর নিয়ে জীবন চলবে না।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫
জেনো বলেছেন: বিস্তারিত বলেন... যেসব তত্ত্ব কাজ করছে তাদের নাম, উৎপত্তি, গঠনপ্রক্রিয়া, ধরণ, কাজের ক্ষেত্র, ক্রমবিকাশ, সময়কাল, ব্যবহৃত সমাজের (জনসমষ্টি) পূর্ববর্তি ও পরবর্তী অবস্হা এবং অবশ্যই ফলাফল।
সেগুলো কোনো পূর্ববর্তী তত্ত্বের সাহায্য ব্যতিতই 'সম্পূন্য' এবং কাজ করছে অনির্ধারিত মাধ্যমে।
কোন অর্থে শক্তিশালী সেটাও বুঝিয়ে বলবেন।
আমি জানি আপনি কে এবং কি। তবে এই প্লাটফর্মে আপনি আমার মতই একজন এবং অচেনা।
আ্শা করি সময় বের করে আলোচনা করবেন। আমি তালগাছবাদী নই, আশা করি আপনিও নন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১
গোলাম দস্তগীর লিসানি বলেছেন: সূফিতত্ত্বের নির্যাস নিঙরে দেয়া হল ভাই! অনেক অনেক বেশি ভাল থাকুন।