![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
knowledge is virtue.
হযরত মুহম্মদ (সা)-এর কর্মপদ্ধতি: বিশ্ব পর্যায়ে
১৪. বিশ্বপরিচয় লাভ
ক. বিশ্ব সম্পর্কে এই জ্ঞানলাভ যে, বিশ্ব 'খোদ্ মজুদ' নহে।
খ. বিশ্ব সম্পর্কে এই জ্ঞানলাভ যে, সৃষ্টিজগত বিক্ষিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও একত্রীভূত এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও উহা এক।
গ. বিশ্ব সম্পর্কে এই জ্ঞানলাভ যে, মানুষ বিশ্বেরই অংশ বিশেষ, তবে সে 'আশ্রাফুল আলম' (বিশ্ব-জগতের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম); বিশ্ব সম্পর্কে আরো জ্ঞানলাভ যে, বিশ্বের লালন-পালনে মানুষও অংশগ্রহন করিতে সমর্থ।
১৫.বিশ্বের লালন পালন
ক. বিশ্ব-প্রতিপালনের জন্য একটি বিশেষ প্রতিপালন-ব্যবস্থা অপরিহার্য, এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
খ. সেই পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রয়াস।
১৬. বিশ্ব পালনে প্রতিনিধিত্ব
ক. বিশ্বের লালন-পালনের বিধিবিধান প্রণয়ন
খ. বিশ্ব লালন-পালনে মানুষের অংশ নির্ধারণ।
গ. প্রতিপালনে স্ব-অংশ নির্ধারণ।
ঘ. নিজের অংশের দায়িত্ব অনুযায়ী বিশ্ব প্রতিপালনের জন্য চেষ্টা ও সাধনা।
ঙ. বিশ্ব প্রতিপালনে সাফল্য লাভ।
১৭. বিশ্বের শিক্ষা
ক. বিশ্বের শিক্ষা এবং তার লক্ষ্য ও আদর্শ নির্ধারণ।
খ. বিশ্বকে শিক্ষিত করিয়া তোলার ব্যাপারে মানুষের ভূমিকা।
গ. বিশ্বকে শিক্ষিত করিয়া তোলার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজ ভূমিকা।
ঘ. বিশ্বের শিক্ষায় যথাসাধ্য ভূমিকা গ্রহণ।
ঙ. বিশ্বের শিক্ষায় সাফল্য।
১৮. বিশ্বের স্বাচ্ছন্দ্য বিধান
ক. এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ যে, বিশ্বে সমৃদ্ধি বা স্বাচ্ছন্দের সীমা থাকা উচিত।
খ. বিশ্বকে সেই সীমা পর্যন্ত উপনীত করার চেষ্টা।
১৯. বিশ্বের তরবিয়ত বা বিশ্বকে গড়িয়া তোলা
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্বকে গড়িয়া তুলিতে হইবে।
খ. বিশ্বকে গড়িয়া তোলার আদর্শ ও কর্মপন্থা গ্রহণ।
গ. উহা বাস্তবায়নের জন্য কর্মক্ষেত্রে অবতরণ।
২০. বিশ্বের সংগে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্ব সামঞ্জস্য-কামী।
খ. বিশ্বকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার চেষ্টা।
২১. বিশ্বকে সংস্কৃতিমান করা
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্ব সুসভ্য হওয়া উচিত।
খ. বিশ্বকে সুসভ্য হওয়ার ব্যাপারে চেষ্টা।
২২। বিশ্বের প্রগতি বিধান
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্ব প্রগতিকামী।
খ. বিশ্বের প্রগতির ব্যাপারে যথাসম্ভব চেষ্টা।
২৩. বিশ্বের পূর্ণতা সাধন
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্বের পূর্ণতা বিধানের আবশ্যকতা রহিয়াছে।
খ. বিশ্বকে পূর্ণতাবিধানের ব্যাপারে সাহায্য দানের চেষ্টা।
২৪. বিশ্বে অহ্ম বা আমিত্ব বোধ সৃষ্টি
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, সকল অহম-বোধ বা আমিত্বকে আল্লাহর অভিমুখী করিয়া তোলা দরকার।
খ. বিশ্বে অহমবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা।
২৫. বিশ্বে আনুগত্য সৃষ্টি
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, অহম-বোধের ন্যায়ই আনুগত্যের প্রয়োজন।
খ. আনুগত্য সৃষ্টির চেষ্টা।
২৬. বিশ্বের কল্যাণ-বর্ধন
ক. এই সিদ্ধান্ত যে, বিশ্ব কল্যানময় হইতে পারে, অকল্যানময়ও হইতে পারে।
খ. বিশ্বকে কল্যানময় করার চেষ্টা।
.......................
তায্কিরায়ে মুহম্মদী-আল্লামা আযাদ সুব্হানী
অনুবাদ: মুজিবুর রহমান।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২১
জেনো বলেছেন: অবশ্যই। আর এগুলো নতুন কোন বাক্য নহে। বি রাসেল কে কেমন পান?
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:১৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি তো ইসলামকে সম্প্রসারিত করছেন; ইসলাম কি নতুন কিছু গ্রহন করে?