![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা শিশুদের যতটুকু অবুঝ মনে করি শিশুরা ঠিক ততটা অবুঝ নয়। তাই অনেক সময় আমরা এমন কিছু কাজ শিশুর সামনে করি যা করা উচিৎ নয়। কিন্তু এইসব কর্মকান্ড শিশুর চরিত্রে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে। নিজের অজান্তেই আপনার শিশু এমন হয়ে যায় যা আপনি কখনো আশা করেন নি।
বড়রা শিশুদের সামনেই তাদের কর্মকান্ডের গল্প একে অপরকে শোনায়। যেটা করা উচিত নয়। সেটা ভাল হোক বা খারাপ হোক। এছাড়া বড়দের সব কথাই শিশুরা মনোযোগ দিয়ে শোনে। তাই বড়দের আলোচনা গুলো শিশুদের সামনে না করাই ভাল।
শিশুর আত্মসম্মান বোধ যথেষ্ট টনটনে। তাই অন্য বাইরের লোকের সামনে শিশুকে এমন কোন কথা বলা উচিত নয় যাতে সে অপমানিত বোধ করে। এতে করে হীনমনোতায় ভুগবে এবং অন্যকেও অপমান করতে শিখবে। প্রয়োজন হলে শিশুর সাথে সরাসরি কথা বলুন। তার ভাল কাজের প্রসংসা ও মন্দ কাজের জন্য তিরস্কার করুন।
মা-বাবার ঝগড়া শিশুর জীবনে সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা। যা শিশুর ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে। শৈশবকে দুর্বিসহ করে সারা জীবনের জন্য একটি শিশুকে মানসিক ভাবে পঙ্গু করে দেয়। যত ঘটনাই ঘটুক শিশুর সামনে কখনোই মা বাবার ঝগড়া করা উচিত নয়।
আপনি বাসায় থেকে শিশুকে দিয়ে ফোন ধরাচ্ছেন এবং শিশুকে দিয়ে বলাচ্ছেন বাবা বাসায় নেই। কিংবা প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে না চাইলে আপনি এই বলে টিচারকে বিদায় করছেন যে শিশুর জর এসেছে। এভাবে আপনি শিশুকে মিথ্যবলা শেখাচ্ছেন। শিশুর জীবনে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করছেন। শিশু ভাবছে এভাবে মিথ্যা বলাতে কোনও পাপ নেই।
শিশুর স্কুলের ব্যাগ বহন করার জন্য যদি একজন লোক রেখে দেন তাহলে সেই শিশু অলসতা ও পরনির্ভরশীলতা শিখছে আপনার কাছ থেকে।
আপনি যদি গ্যাসের চুলায় কাপড় শুকান এবং অপ্রয়োজনে ঘরের লাইট-ফ্যান চালিয়ে রাখেন তাহলে আপনার শিশুকে আপনি অপচয় শেখাচ্ছেন।
আপনার শিশুকে দেখাশোনার জন্য রাখা গৃহপরিচারিকাকে যদি আপনি গালাগালি করেন তাহলে আপনার শিশু শিখবে বেয়াদবি।
সময় কাটানোর জন্য শিশুকে সুন্দর বই পড়তে দিন। তাতে বই পড়ার অভ্যাস হবে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
মনসুর আলী বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ আমিনুর রহমান ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো বলছেন। সহমত ।