![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঠাগার স্থাপন করুন, প্রতিটি ইউনিয়নে নয়।
আমাদের দেশের একাডেমিক শিক্ষা ব্যবস্হা এখনো নিরানন্দময়।পাঠ্যপুস্তকে ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দ খুজেঁ পায়না।সন্ধ্যা হলেই আশেপাশের বাড়ীতে শুনতে পাই স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা সজোরে আওয়াজ করে পড়া মুখস্ত করেছে।অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মূল উদ্দেশ্য গ্রেড বা ভালো সার্টিফিকেট অর্জন করা ,জ্ঞার্নাজন নয়।ফলে তারা নিরানন্দময় পাঠ্যপুস্তকের মধ্যেই সারাদিন ঝুকে পড়ে থাকে। পাঠ্যপুস্তক বর্হিভূত কোন বই পড়েনা।কেবল পাঠ্য বই পড়লেই পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব নয়। ফলে মুখস্ত করা প্রশ্নের উত্তর খাতায় লিখে ভালো নাম্বার /সার্টিফিকেট অর্জন করলেও জ্ঞানে গুণে তারা অনেক দূর্বল। ইন্টারভিউ টেবিলে গেলেই তা প্রমাণ হয়।উচ্চ গ্রেডের সাটিফিকেট নিয়ে চাকুরী না পেয়ে তারা বিভিন্ন অনৈতিক ও সমাজবিরোধী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।দেশকে ধনে- জ্ঞানে উন্নত করতে হলে আমাদের ক্ষয়িঞ্জু তরুণ সমাজকে জ্ঞানের আলোর সংস্পর্শে আনতে হবে। তাদেরকে জ্ঞানে গুণে উন্নত করতে হবে , মনের চোখ খুলতে হবে। ছোট বেলা থেকেই তাদেরকে সৃজনশীল করে তুলতে হবে।।এজন্য প্রয়োজন সরকারীভাবে প্রতিটি ওয়ার্ডে পাঠাগার স্থাপন করা প্রতিটি ইউনিয়নে নয়। বই পড়াকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন আয়োজন করা এবং পুরস্কারের ব্যবস্থা করা। কারণ বই মানুষকে আলোকিত করে ।যারা বই পড়ে তারা কখনো খারাপ কাজ করতে পারেনা। জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রদূত গ্রীসদের মতে বই হলো“ আত্মার ওষুধ”।দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের মতে –পাঠাগার হলো তীথস্থান।পবিত্র কুরআনে নামাজ পড়ার ব্যাপারে ৮২ জায়গায় তাগিদ দেয়া হলেও জ্ঞান-চর্চার ওপর তাগিদ দেয়া হয়েছে ৯২ জায়গায়। জ্ঞানের চর্চা ও বিকাশের ক্ষেত্রে পাঠাগারের ভূমিকা অনেক । তাই জ্ঞানের আলোয় সমাজকে আলোকিত করতে প্রতিটি ওয়ার্ডে সরকারীভাবে পাঠাগার স্থাপনের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।।
©somewhere in net ltd.