![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিন বদলের শপথ নিয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শপথ গ্রহণ করে আওয়ামী নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার। ইতোমধ্যে এই সরকারের চার বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। নানামুখী ষড়যন্ত্র, নাশকতা এবং বিরোধী দলের ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সত্ত্বেও এই সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার রক্ষা করে চলছে, অর্জন করেছে নানামুখী দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক সাফল্য। সুশাসন, কৃষি, শিক্ষা, চিকিৎসা, অর্থনীতি, যোগাযোগ, সর্বস্তরে লেগেছে দিন বদলের ছোঁয়া। ইতোমধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের বিচার এবং রায় বাস্তবায়িত হয়েছে। জাতি কলঙ্কমুক্ত হয়েছে। শুরু হয়েছে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাজ। ইতোমধ্যে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে কিছু দাগী যুদ্ধাপরাধীদের, এবং বিচারকাজ চলছে। বিডিআর বিদ্রোহের বিভাগীয় বিচারকাজ শেষ হয়েছে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে, এছাড়া ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী অন্যান্য গুরুতর অপরাধীদের বিচারকাজে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। যে কোনো সময়েই ঘটতে পারে নানা প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। সব দুর্যোগ এড়ানো যায় না, দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবেলার মধ্যে নিহিত আছে সরকারের সাফল্য। বিভিন্ন স্থানে নানান দুর্যোগে সরকারের গৃহীত তাৎক্ষণিক ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। সাহসিকতা ও গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ সরকার সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় লড়াই করেছে। সম্প্রতি মর্মান্তিক গার্মেন্ট অগি্নকা-ে নিহতের পরিবারকে নগদ ৬ লাখ টাকা আর্থিক সহযোগিতা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। যে কোনো সময়ের তুলনায় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। বেড়েছে জাতীয় প্রবৃদ্ধি, কমেছে মুদ্রাস্ফীতি। জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় ৬.৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ১১.৫৯ থেকে কমে ৭.৪১ শতাংশ হয়েছে। খাদ্যপণ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ থেকে ৭.৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। বিশ্বে নানামুখী দুর্যোগ থাকা সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ। শুধু তাই নয়, ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সাত দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ কোটি ডলার। এর আগে অক্টোবর মাসে ১৪৫ কোটি ডলারের রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১২ বিলিয়ন ডলারের ওপর। চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) ৬১২ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৪ শতাংশ বেশি। দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্যে চলতি ২০১২-১৩ অর্থবছরের রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা ও ভর্তুকি ঘোষণা করেছে সরকার। বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করা। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিক সাফল্যে বিশ্বব্যাংকের 'বিশ্ব উন্নয়ন প্রতিবেদন-২০১৩' শীর্ষক এক প্রতিবেদনে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের তালিকায় চীন, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর ও তুরস্কের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটেও ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে জাতীয় বাজেটে এক লাখ ৬৩ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকার অর্থ বরাদ্দ করা হয়। রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫টি পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে ইউরোপের ২৭টি দেশসহ প্রায় ৩৭টি দেশে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার রয়েছে। নানামুখী দুর্যোগের পরও রপ্তানি আয় বৃদ্ধি হয়েছে ১১%, ফলে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার যুগে বাংলাদেশ সবল অর্থনীতি নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের মতে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে এবং ২০৫০ সাল নাগাদ প্রবৃদ্ধি পশ্চিমের উন্নত দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। কৃষিনির্ভর বাংলাদেশের প্রাণভোমরা কৃষি আর কৃষকের মাঝে নিহিত রয়েছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বরাদ্দকৃত ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে বাজেট ব্যয়ের প্রায় ৫০.৮২ শতাংশ, যা জিডিপির ৯.৩৬ শতাংশ। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ২০১৫ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ২২ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ২০১৫ সালে জিডিপির ৩ শতাংশ ব্যয় করার কথা রয়েছে। 'ঘরে ফেরা কর্মসূচি', 'একটি বাড়ি একটি খামার', 'আশ্রয়ণ প্রকল্প' ইত্যাদি সুনির্দিষ্ট প্রকল্প ও কর্মসূচি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দারিদ্র্যের হার কমেছে প্রায় ১০ শতাংশ। গত অর্থবছরের মতো ২০১২-১৩ অর্থবছরে ১৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুদ রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বিদেশি বন্ধুদের সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে, এছাড়া ভারতের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে সর্বোচ্চ পদক স্বাধীনতা সম্মাননা দেয় সরকার। এই সরকার দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে আইনি লড়াই শেষে অর্জন করে। বাংলাদেশের মূল ভূখ-ের প্রায় সমপরিমাণ ১ লাখ ১১ হাজার বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রবক্ষের ওপর সার্বভৌমত্ব অর্জন করে যা বাংলাদেশের জন্য একটি অভূতপূর্ব সাফল্য। সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর নিরলস পরিশ্রমের ফলে ৩৫৯৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৫১টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাণিজ্যিকভাবে চালু করেছে। এ বছর সর্বোচ্চ ৬৩৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে রেকর্ড হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৮৩১৫ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে এবং পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিক্ষা জাতির মেরুদ-। বর্তমান সরকার শিক্ষার গুরুত্ব বুঝে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন এবং সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আমাদের এই দরিদ্র দেশে প্রায় সাড়ে তিন কোটি শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে গরিব ও মেধাবী ৩০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে। ফলে বিগত বছরগুলোতে ৯৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিশুকে বিদ্যালয়ে আনা সম্ভব হয়েছে, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৪৮ শতাংশ থেকে কমে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া ২০১৮ সালে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বছরের শুরুতেই মাধ্যমিক পর্যন্ত সকল স্তরের শিক্ষার্থীর মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১২ সালে ২৩ কোটি পাঠ্য পুস্তক বিতরণ করা হয়, ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারিতে নতুন পাঠক্রম (কারিকুলাম) অনুযায়ী লিখিত প্রায় ২৭ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে পেঁৗছে দেয়া হবে। সময়মত বই বিতরণ করায় এখন জানুয়ারি থেকেই ক্লাস শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব পাঠ্যপুস্তক নিয়ে ই-বুক চালু করা হয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নির্ধারিত বছর ২০১৫ সাল। কিন্তু বাংলাদেশ তার অনেক আগেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের সংখ্যাসমতা অর্জন করেছে এবং তা এখন স্থিতিশীল। উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। শিক্ষায় ছেলেমেয়েদের সমতা অর্জন এখন সারাবিশ্বে বাংলাদেশ আদর্শ (মডেল) দেশ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। এছাড়া বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য ইতোমধ্যে বেশকিছু নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছে। আরো ৬টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ চলছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি খাতে শিক্ষা বিস্তারে সরকার ২০১২ সালে ১৬টি নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে। চালু হয়েছে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য নতুন কয়েকটি মেডিকেল কলেজ। বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস ও স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। কেবল মানুষের সুখ আর স্বস্তি নয়, আধুনিক যুগে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি মানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ বেশ দরকারি। যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণকাজ পরিকল্পনা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেস ওয়ে বিমানবন্দর থেকে শুরু করে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর, গোলাপবাগ হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। এছাড়া দুটো লিংক মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে তেজগাঁও হয়ে এবং পলাশী থেকে মগবাজার রেলক্রসিং হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার এবং মিরপুর থেকে বনানী পর্যন্ত ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। রাজধানী ঢাকায় যানজট নিরসনে মেট্রোরেল বাস্তবায়নের জন্য জাপানের সঙ্গে অর্থচুক্তির প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে ৫৩০টি নতুন বাস আমদানি করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে তিস্তা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে দুইটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ এবং একটি ৩১০-৩০০ ও দুইটি ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ সংযোজন করা হয়েছে। বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে এবং সেই লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলাফল, প্রায় ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও তথ্য সেবা নিচ্ছে এবং প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছে। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দেশের ৪৫৮২টি ইউনিয়নে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু করা হয়েছে। টেলি-কমিউনিকেশন খাতে তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক থ্রিজি চালু হয়েছে, এখন মোবাইল ফোনেই টেলিভিশন দেখা যাচ্ছে। দেশে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন এবং তথ্য কমিশন গঠন করেছেন। ফলে মিডিয়া এখন পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে। ইতোমধ্যে ১৬টি নতুন টেলিভিশন চ্যানেল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ১৪টি কমিউনিটি রেডিও এবং ৮টি এফএম রেডিও খোলার অনুমতিও দেয়া হয়েছে। 'সংসদ বাংলাদেশ' নামে স্বতন্ত্র টেলিভিশন চ্যানেলের মাধ্যমে সংসদ অধিবেশন জনসাধারণের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই সরকার দুঃখী মানুষের সরকার। দারিদ্র্য নিরসনে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সরকার সামাজিক নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন খাতে ২০১২-১৩ অর্থবছরে ২২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ফলে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে সঠিক জনসংখ্যা এবং সম্পদের তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এই সরকার তার মেয়াদকালে অত্যন্ত সফলতার সাথে সম্পন্ন করে পঞ্চম আদম শুমারি ও গৃহগণনার কাজ। রাজধানী ঢাকার সৌন্দর্য বর্ধন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে হাতিরঝিল প্রকল্প জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। শিশু মৃত্যুহার হ্রাসকল্পে ২০১১ সালে বাংলাদেশ সরকার অর্জন করে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড। মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের স্বীকৃতিস্বরূপ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জাতিসংঘের বিরল সম্মাননা 'সাউথ সাউথ' পুরস্কারে ভূষিত হওয়ায় দেশের গৌরব আজ বিশ্বব্যাপী। বিশ্বের শীর্ষ জনমত জরিপ প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের এক জরিপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকা-ের প্রতি ৭৭ শতাংশ বাংলাদেশির সমর্থন রয়েছে। আমেরিকার টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন গবেষক ২২টি গণতান্ত্রিক দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে বিশ্বের চারজন নারী নেত্রীকে আয়রন লেডি (লৌহ মানবী) হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যতম। এছাড়া ৭০০ কোটি মানুষের এই বিশ্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শান্তি মডেল জাতিসংঘে গৃহীত হয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি বিরল সম্মাননা। বর্তমান সরকার, তার মেয়াদের ৪ বছর অত্যন্ত সফলতার সাথে পার করেছে। সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের নানামুখী দেশি ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের বেড়াজাল ডিঙিয়ে দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে এ সরকার। আশা করা যায়, উন্নয়নের এই গতিধারায় বাংলাদেশ অচিরেই সত্যিকারের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। যে সোনার বাংলার বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সোলেমানের বাপ বলেছেন: আপনার মাথাও টাল হইয়া গেছে?
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২
ক্ষেত্রফল বলেছেন: আপনার দালালী দেইখা জামাতের দালালগুলোরও লজ্জা পাওয়ার কথা
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০৪
আদম_ বলেছেন: কৃষিতে কি উন্নয়ন হয়েছে? একটু বলবেন।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল লিখেছেন
দৃষ্টিপাত
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
: হে নরাধম পশু ধিক্কার
কেন এ কুলুসিত জীবন ঐ বোন টার
ধিক আজি মানবতায়
সমাজ বিমুখ আজি এ লজ্জায়
কবি নজরুল এর বিদ্রোহী আওয়াজ
আমি মানিনাকো কোন আইন
আমি টর্নেডো আমি ভিম ভাসমান মাইন
মহা বিদ্রোহী রন ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত যবে
উৎপীড়নের ক্রন্দন রোল
আকাশে বাতাসে ধবনিবেনা ।
বল বীর
বল উন্নত মম শীর
শীর নেহারি নত শির ঐ শিখর হিমাত্রির ।
অর্থ অন্যায়ের নিকট কখনও মাথা নত নয় ।
আজ আইনের লোকের নিকট আইন বিকৃত ও বিচারক আজ ক্ষমতার গেঁড়াকলে আমলাদের হাতের পুতুল ।
এই যে ভারত নিয়ন্ত্রন সরকার না পারছে পার্বত্য মুক্তি বাস্তবায়ন
না পারছে সিমান্তে বিএসেফ কর্তৃক অন্যায় হত্তা বন্ধ । , না পারছে দেশকে জনগণকে সামাল দিতে ,অগ্নিদহন দ্রব্য মুল্যর উদ্ধগতি ,।হাওর বিল টিপাই মুখ খাল সুন্দরবন সহ পর্যটন প্রাকৃতিক স্থান সমুহ আজ ভারতের নিয়ন্ত্রনে । বাড়ছে প্রতিনিয়ত ঘুষ দুর্নীতি ; হত্তা ধর্ষণের অহরহ চিত্র আর হায়নাদের অবৈধ দখলের রাজনীতি ।
সাধারন মানুষের বাড়ছে দুর্ভোগ , দেশ আবারও পরাধীনতার শিখলে
বন্ধি হে বাঙ্গালী জাগ্রত হও সময়ে আরেকবার ।
বাংলার বুকে মানুষ রূপি হায়নাদের উৎপাত এর তিব্র প্রতিবাদে সবাই আওয়াজ দিন ।
ধর্ষণ , ইজ্জত লুণ্ঠন , যৌন হয়রানি এবং নির্যাতন করে নির্বিশেষে হত্তা প্রভৃতি ভারত ও প্রাশ্চাত্য অন্যান্য ভবগুরে সমাজের মত আমাদের বাঙ্গালী সমাজেও প্রতিনিয়ত দেখছি এর বিস্তার ।
আমাদের রুখে দাড়াতে হবে ।নয়ত এদেশ এ জাতি আবারও বিষাক্ত কাল থাবায় নেমে আসবে অন্ধকার । মেয়েরা হারাবে তাদের পূর্ণ অধিকার । আসুন সচেতন মহল জানাই আজি তিব্র প্রতিবাদ ,
, চাই উপযুক্ত বিচার , চাই হায়েনা মুক্ত বাংলাদেশ / জানাই ধিক্কার ।
গ্রাম বাংলার সব স্থানে তাই তিব্র প্রতিবাদ জানাই
আসুন সবাই মিলে এ কর্মসূচিকে সফল করি
সত্যর আওয়াজে / বাচতে হলে লড়তে হবে সমাজে ।
***আমার আহবান , তিব্র প্রতিবাদে
আমার সাথে সবাই আওয়াজ দিন
ঢাকার বন্ধুরা মিলে প্রতিবাদ সভা এবং সারা বাংলায় যেন সব স্থানে স্কুল ,কলেজ ,বিশ্ববিদ্যালয় ,মাত্রাসা সহ সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রিদের মধ্য সাড়া ও সচেতনতা জাগে সেই বিষয়ে সোচ্চার
হওয়ার জন্য আহবান করা গেল , প্রত্যক সচেতন ব্লগারকে এ
বিষয়ে অন্তত একটা করে পোষ্ট লিখে আওয়াজ দিন
ধর্ষক দের ফাঁসি চাই । হায়নাদের উৎপাত বন্ধ হোক , নিপাত যাক ,
বাংলার মাটিতে মেয়েদের নির্যাতন করা
চলবেনা বন্ধ হোক ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
ভাই আপনাকে এমপি হিসাবে পাইতাছি কবে ?