নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয়নাল আবদীন ফারূকের কেলেঙ্কারি নামা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

ঘটনা-১

ওই নারী সাংবাদিককে চিনিই না! :P

ওই ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনিই না। তার সঙ্গে আমার কখনো সাক্ষাৎ, এমনকী ফোনালাপও হয়নি’- কথাগুলো বাংলানিউজকে বলছিলেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক।



তার বিরুদ্ধে জনৈক ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিকের শ্লীলতাহানির অভিযোগের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।



মঙ্গলবার বিকেলে বাংলানিউজ অফিসে ফারুক অভিযোগকারীর মামলায় নিজেকে নির্দোষ করেন।



জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘এই অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে তোলা হচ্ছে।’



পুলিশের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তা এ ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।



এ ঘটনায় মঙ্গলবার ফারুকের মেয়ে তামান্না ফারুক থীমা গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও (ডাইরি) করেছেন। এর একটি লিখিত কপি ফারুক বাংলানিউজকে দেন।



ডায়েরিতে থীমা দাবি করেন, মামলাকারী ফ্রিল্যান্স নারী সাংবাদিককে তার বাবা ফারুক ব্যক্তিগতভাবে চেনেন না। কখনো তার সঙ্গে দেখা হয়নি কিংবা ফোনালাপও হয়নি।



ডায়েরিতে থীমা অভিযোগ করে বলেছেন, ‘আমার বাবাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় করতে এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।’



মামলাটি যে ভিত্তিহীন সে বিষয়ে বাদীর নিজের মুখে স্বীকার করা অডিও রেকর্ডও থীমার কাছে রয়েছে বলেও ডায়েরিতে উল্লেখ করেন তিনি।



এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান থীমা।



থীমা উল্লেখ করেছেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই দিন তার বাবা জয়নুল আবদিন ফারুক সকাল ৯টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। বক্তব্য রাখেন। যার খবর পরদিন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছে।



থীমা আরো বলেছেন, ওইদিন প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠান শেষে ফারুক বেলা ২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট নির্বাচনে ভোট দিতে যান। ভোটদান শেষে উত্তরায় একটি ঘরোয়া সভায় যোগ দিয়ে রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন।



ন্যাম ভবনের বাসায় আপত্তিকর ঘটনাটি ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে থীমার দাবি, ২২ সেপ্টেম্বর ফারুক ন্যাম ভবনের বাসায় যাননি।



ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। প্রতিপক্ষ নানা কারণে, নানা স্বার্থে হয়রানির চেষ্টা করে। কিন্তু জনগণ সচেতন। তারা সব কিছুই বোঝেন।’



উল্লেখ্য, নারী সাংবাদিকের দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে- গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে বাদী বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের সংসদ ভবন সংলগ্ন ন্যাম ফ্ল্যাটে সাক্ষাৎকার নিতে যান। আসামি ফারুক তাকে ড্রয়িং রুমে বসতে বলেন। কিছুক্ষণ বসার পর ফারুক তাকে তার শয়নকক্ষে নিয়ে যান। এরপর তাকে জোর করে নিপীড়ন করেন।



এ সময় বাদী চিৎকার করে ফারুকের শয়ন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন এবং বাইরে উপস্থিত মানুষকে ঘটনা জানান। ফারুক এ সময় তাকে ধমক দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।



এদিকে, মামলাটি দায়েরের পর ট্রাইব্যুনালের বিচারক আরিফুর রহমান অভিযোগকারীর জবানবন্দি রেকর্ড করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে শ্লীলতাহানির ঘটনার তদন্ত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম অথবা তার অধীনস্থ একজন মহানগর হাকিমকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।



ঘটনার সত্যতা প্রমাণের জন্য মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করেছেন বাদী। মামলায় বাদী নিজেকে অবিবাহিত বলে উল্লেখ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিশপুর থানা এলাকায়।





ঘটনা-২

জয়নাল আবদীন ফারুক একজন লম্পট : শিকাগো বিএনপি নেতা রহমত:P



বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। জাতীয় সংসদে জয়নুল আবদীন ফারুকের ইমপিচমেন্টেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।



সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো বসবাসকারী রহমতের অভিযোগ তার স্ত্রীকে দেশ থেকে টেলিফোন করে বাজে প্রস্তাব দিয়েছেন জয়নুল আবদীন ফারুক। বিষয়টি বাংলালিকসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তার ও তার স্ত্রীর বড় ধরনের সম্মানহানি ঘটেছে।



রহমত জানান, তার স্ত্রী মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙ্গে পড়েছেন। স্বামীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের কথা ভেবে জয়নুল আবেদীন ফারুককে মুখের ওপর কোনো ধমক দিতে না পেরে তার স্ত্রী টেলিফোনে কথাগুলো শুনেছিলেন বলেই দাবি রহমতের।



“জয়নুল আবদীন ফারুক একজন লম্পট চরিত্রের মানুষ বলেই তার অপেক্ষাকৃত সহজ-সরল স্ত্রীকে আজে বাজে প্রস্তাব দিতে সাহস করেছেন,”



রহমত জানান, ডার্কেন এন্ড অ্যালিস নামে যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা একটি ল’ফার্মের সঙ্গে তিনি এরই মধ্যে কথা বলেছেন। মামলার প্রস্তুতি চলছে। রহমত বলেন, আমার স্ত্রী একজন আমেরিকান নাগরিক। তাকে টেলিফোন করে যেসব আজেবাজে কথা বলা হয়েছে এবং প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তার জন্য একজন নাগরিক হিসেবে মার্কিন বিচারব্যবস্থার সহযোগিতা তিনি চাইতে পারবেন বলেই প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে ল’ ফার্মটি।



জয়নুল আবদীন ফারুকের টেলিফোন কলগুলো বাংলালিকস ছাড়াও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোনে রেকর্ড করা রয়েছে সেগুলোসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস সংগ্রহ করে শিগগিরই মামলাটি করতে চাইছেন রহমত।



এছাড়া, দেশেও একটি মামলা করতে চান মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, এই ব্যক্তির কারণে তার ও তার স্ত্রীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের সন্তান রয়েছে তার ওপরও পড়ছে এর প্রভাব।



রহমত জানান তার স্ত্রী মানুসিকভাবে এতটাই ভেঙ্গে পড়েছেন যে তাকে চিকিৎসকের কাছে নিতে হয়েছে।



মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানালেন মাত্র এক বছরের কিছু সময় আগে জয়নুল আবদীন ফারুকের সঙ্গে তার ও তার স্ত্রীর সাক্ষাৎ হয়। ফারুক যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে শিকাগো গেলে রহমত তার বাসায় দেওয়া একটি ইফতার পার্টিতে তাকে দাওয়াত করেন। সেখানেই তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় ফারুকের। এরপর অক্টোবরে আরও এক দফা যুক্তরাষ্ট্র সফরে এসে শিকাগোতে ফারুকের বাড়িতে চার দিন থাকেন।



ফারুক যুক্তরাষ্ট্র এসে ক্যাসিনোতে হাজার হাজার ডলার হারিয়ে বিপাকে পড়লে রহমত উল্লাহই তাকে উদ্ধার করেন। তার হোটেল বিল, খাবার খরচও বহন করেন বলে জানান তিনি।



রহমত বলেন, “টাকা পয়সা নেই এমন কথা বলাতেই নিজের বাড়িতে থাকতে দেই। কিন্তু ৬৪ বছর বয়সের এক বৃদ্ধর, যার নিজেরও আমার স্ত্রীর বয়সী দুটি মেয়ে আছে সে এমন আচরণ করতে পারবে তা আমি ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি।”



রহমত বলেন, ফারুক আমার স্ত্রীকে বাজে প্রস্তাব দিয়েই ক্ষান্ত হননি তিনি তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তার কাছে অস্ত্র আছে বলেও শাসিয়েছেন।



দেশে গিয়ে বিএনপি অফিসের সামনে অবস্থান নিয়ে এমন ঘটনার প্রতিবাদ করবেন বলেও জানালেন রহমত। এছাড়া আইন-ও-শালিস কেন্দ্রের সহায়তা চাইবেন বলেও জানান তিনি।



রহমত বলেন, আমি আশা করবো দল এমন একজন লম্পটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আর দল যদি নাও নেয় আমি একাই এর শেষ দেখে ছাড়বো। স্ত্রীর প্রতি আমার আস্থা রয়েছে। আমি তাকে মোটেই অবিশ্বাস করছি না। জয়নুল আবেদীন ফারুকই তাকে আজে বাজে কথা বলেছেন। আমাদের ক্ষতি যা হবার হয়েছে, কিন্তু এমন ব্যক্তিকে আমি ছেড়ে দেবো না, বলেন রহমত উল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

হাসিব০৭ বলেছেন: জনগন কে এখনও কেন যে বোকা ভাবে তাই বুঝিনা..................

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০২

ডাক্তার আমি বলেছেন: ফারুক আর হু মু এরশাদ একই চরিত্রের .....

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:১০

এই আমি সেই আমি বলেছেন: ফারুকের বয়ান , অভিযোগকারীকে ফারুক ক্ষমা করে দিয়েছেন ।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

নাহিনরানা বলেছেন: সে আসলেই কুলাংগার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.