নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির আপত্তি কি শুধু সরকার প্রধান নিয়ে?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দুটি বিষয় লক্ষণীয়। একদিকে রয়েছে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। অন্যদিকে, বিরোধী দলের একটানা হরতাল-অবরোধে প্রাণহানি থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক বিপর্যয় আমাদের অতিষ্ঠ করার বিষয়টি রয়েছে। আমরা চাইছি এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ। সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও

গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোকÑএ প্রত্যাশা আমারও। এ উদ্দেশ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু বিরোধ বেধেছে নির্বাচনকালীন সরকারপ্রধান কে হবেন, তা নিয়ে। আমার মতে, এ মুহূর্তে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলেও সমস্যার সমাধান হবে না। তখন সরকারপ্রধান কে হবেন, এটা নিয়ে বিতর্ক দেখা দেবে। তবে সর্বদলীয় সরকারপ্রধান হিসেবে নির্বাচনকালে শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা হ্রাস করে এ বিরোধের মীমাংসা করা যায়। এতে উভয় পক্ষেরই উইন-উইন অবস্থা হবে। এ ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা মন্ত্রীদের মতামত উপেক্ষা করে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না। তাকে মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর এককভাবে একচ্ছত্র নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করার প্রক্রিয়া রহিত হবে। এতে যারা বিভিন্ন দলের সদস্য থাকবেন, বিশেষ করে বিরোধীদলীয় মন্ত্রীদের মতামতকে অগ্রাহ্য করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না। এভাবেই প্রকৃত গ্রহণযোগ্য সমাধানে এগিয়ে যাওয়া যায়।

নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনকালীন সর্বময় ক্ষমতা অর্পণ করতে হবে। নির্বাচনের স্বার্থে

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের অধিকারী হবে নির্বাচন কমিশন। ইসির কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে সর্বদলীয় সরকারকে কাজ করতে হবে। অন্যদিকে নির্বাচিত এমপি-মন্ত্রীরা পদে থেকে সুযোগ-সুবিধা ভোগ করলে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করার ক্ষমতাও ইসির

থাকতে হবে।

এতে দেশে চলমান সহিংসতার অবসান হবে কি-না, সেটাই একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও বিচারের রায় কার্যকর করার প্রসঙ্গটি বিবেচনায় না নিয়ে এ প্রশ্নের মীমাংসা খোঁজা বৃথা।

আমরা জানি, লিখিত পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়া গেলে যে কোনো সময় যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকর হতে পারে। তখন দেশে পুনরায় লংকাকাণ্ড ঘটতে পারে। দেশে কী ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে, তার নমুনা আমরা বিরোধীদলীয় জোট আহূত হরতাল-অবরোধ চলাকালে প্রত্যক্ষ করেছি।

রেললাইন উপড়ে ফেলা, বোমা মেরে মানুষ মারা, গুলি করে বিজিবি সদস্য হত্যা, সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন গাড়িচালকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের হাত-পায়ের রগ ও কব্জি কর্তন ইত্যাদি সহিংস ঘটনা যে কোনো সুস্থ মানুষের বোধের বাইরে। এভাবে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিকল্পিতভাবেই। এতে জামায়াত-শিবিরই যে অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছে, সে ব্যাপারে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। কাজেই শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা

অনেকাংশে বা সম্পূর্ণ ত্যাগ করলেই দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে কি-না, সে ব্যাপারে কিন্তু সন্দেহ থেকে যাবে।

আমার মতে, এসব করলেও বর্তমান সহিংসতা থেকে মুক্ত হতে পারবে না দেশবাসী। কারণ, বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় যাকÑএটা জামায়াত ও জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীরা চায় না। একটি গণতান্ত্রিক দল ক্ষমতায় গেলে তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাতিল করতে পারবে না। যেমন বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বাঁচাতে পারেনি। তবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছিল তারা। মূলত একাত্তরের যুদ্ধাপরাধে দোষীদের বিচার বানচাল করতে হলে একটি অস্থির পরিস্থিতির সৃষ্টি করে অগণতান্ত্রিক সরকারের দ্বারস্থ হতে হবে জামায়াতকে। এ জন্যই দেশের মধ্যে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডার বাহিনী সশস্ত্র তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।

আমার অভিমত হলো, দৃঢ়হস্তে এই অপরাধীদের দমন করতে হবে। বর্তমান সরকারকে একটি সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে হলে নাশকতা সৃষ্টিকারীদের কঠোরহস্তে দমন করা ছাড়া উপায় নেই। আর জনগণের জানমালের নিশ্চয়তা বিধান করা শেষ পর্যন্ত সরকারের ওপরই বর্তাবে। তাই এ

ব্যাপারে নীরব দর্শকের ভূমিকা গ্রহণ করে থাকলে চলবে না। কারণ, এই সহিংসতা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দেশ ভয়ানক অস্থিরতার দিকে ধাবিত হতে পারে। তখন সন্ত্রাসের রাজত্ব দীর্ঘকালের জন্য আমাদের বুকের ওপর চেপে বসতে পারে। তাই সন্ত্রাস দমনে সরকারের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন

কর্তৃক দৃঢ় পদক্ষেপ আশা করছি

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.