নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ধারার রাজনীতি

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৯

কয়েক মাস ধরে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনেকটাই শান্ত। হরতাল-অবরোধ নেই, উত্তেজনা সৃষ্টি করার মতো সভা-সমাবেশ নেই, বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভও নেই। কিন্তু এই শান্তভাব কত দিন থাকবে, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। অনেকেই এ নিয়ে নানা ধরনের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ একে বড় কোনো ঝড়ের পূর্বাভাস হিসেবেও উল্লেখ করছেন। কিন্তু দেশের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। তারা যেমন সব কিছু লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া ঝড়ও চায় না, তেমনি দমন-পীড়নের মাধ্যমে বড় ধরনের অশান্তির কারণ তৈরি করা হোক, সেটাও চায় না। আমাদের মনে রাখতে হবে, শক্তি প্রয়োগ করে কখনো কখনো মানুষের ক্ষোভকে সাময়িকভাবে অবদমন করে রাখা যেতে পারে; কিন্তু আখেরে এর ফল ভালো হয় না। কারণ ক্ষোভ প্রকাশের স্বাভাবিক পথ রুদ্ধ হয়ে গেলে তখন তা অস্বাভাবিক পথে বেরিয়ে আসারই চেষ্টা করে। এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিএনপি এ দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। তিন-তিনবার তারা দেশের ক্ষমতায়ও এসেছে। সারা দেশে দলটির ব্যাপক জনসমর্থনও রয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে, নেতাকর্মীদের জেলে পুড়ে রেখে, দমন-নির্যাতন চালিয়ে তাদের হয়তো সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যাবে; কিন্তু তাতে দেশের রাজনীতিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। হিংসা হিংসাকেই ডেকে আনবে। সরকার ও শাসক দলকে এ সত্যটি উপলব্ধি করতে হবে।
এটা ঠিক, বিগত সময়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আন্দোলনের নামে অনেক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হরতাল-অবরোধের নামে বহু ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি বহু মানুষের জীবন ও সম্পদ বিনষ্ট করেছে। সম্ভবত তারা তাদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং সে কারণেই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি থেকে সরে এসেছে। এ অবস্থায় সরকারেরও উচিত সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করা, তাদের জন্য স্বাভাবিক রাজনীতির পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভিন্নমত প্রকাশ করা নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কোনোভাবেই সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া উচিত নয়। কিন্তু যেভাবে বিএনপির প্রবীণ ও গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের প্রায় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অর্ধশতাধিক করে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তাঁদের কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে- এটাকে দেশের মানুষ ভালো চোখে দেখছে না। যারা বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষের প্রাণ হরণ করেছে, অবশ্যই তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। কিন্তু এই অজুহাতে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের জেলে পুড়ে রাখা কিংবা বিএনপিকে দলগতভাবে অকার্যকর করে রাখার চেষ্টা করা হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক।
সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ দলীয় নেতাদের কথায় এটাই স্পষ্ট হয় যে তাঁরা গণতান্ত্রিক রাজনীতির আদর্শ অনুযায়ী পারস্পরিক আস্থা ও সহনশীলতার ভিত্তিতেই আগামী দিনে রাজনীতি করতে চান। এমনকি ক্ষমতায় গেলেও তাঁরা কোনো ধরনের প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। আমরা মনে করি, সরকার বা ক্ষমতাসীন দলেরও উচিত, তাঁদের সেই রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সম্মান জানানো এবং কোনোভাবেই তাঁদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে বাধাগ্রস্ত না করা।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:

"এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বিএনপি এ দেশের একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। তিন-তিনবার তারা দেশের ক্ষমতায়ও এসেছে। সারা দেশে দলটির ব্যাপক জনসমর্থনও রয়েছে। হাজার হাজার মামলা দিয়ে, নেতাকর্মীদের জেলে পুড়ে রেখে, দমন-নির্যাতন চালিয়ে তাদের হয়তো সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখা যাবে; কিন্তু তাতে দেশের রাজনীতিতে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। হিংসা হিংসাকেই ডেকে আনবে। সরকার ও শাসক দলকে এ সত্যটি উপলব্ধি করতে হবে। "

বিএনপি একটা দল, তবে রাজনৈতিক দল নয়।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:

" সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি চেয়ারপারসনসহ দলীয় নেতাদের কথায় এটাই স্পষ্ট হয় যে তাঁরা গণতান্ত্রিক রাজনীতির আদর্শ অনুযায়ী পারস্পরিক আস্থা ও সহনশীলতার ভিত্তিতেই আগামী দিনে রাজনীতি করতে চান। "

-নেকড়ে খাঁচায় গেলে ঘাসও খায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.