নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মন্ত্রক

আমি আমার দেশের জন্যে

মন্ত্রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতের অপচ্ছায়া এড়াতে পারলেন না খালেদা জিয়া

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২১

মনে মনে অনেক শপথ নিই, আবার নানা সামাজিকতা ও দায়বোধে পড়ে নিজেই নিজের শপথ ভঙ্গ করি। ভঙ্গ করতে হয়। যেমন একসময় শপথ করেছিলাম, কোনো বাঙালি আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব অকারণে ইংরেজি ভাষায় বিয়ের দাওয়াত দিলে সে বিয়েতে যাব না। এই শপথটি সেদিন আরো শক্ত হয়েছিল যেদিন আমার গ্রাম সূত্রের ভাই তাঁর অধুনা ধনী হওয়া চাচাতো ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের কার্ডটা নিয়ে আমার কাছে এলেন। বললেন একটু পড়ে অর্থ করে দিতে। দাওয়াত নিয়ে অমন করুণ রসিকতা দেখে আমার ভেতরের শপথটাকে আরো শক্ত করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই শপথ আমি রাখতে পারিনি। সামাজিকতা আর আত্মীয়তা রক্ষায় মন খারাপ করে হলেও বিদেশি ভাষায় দেওয়া স্বদেশি নিমন্ত্রণে যেতে হয়। ঠিক একইভাবে আগে স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিএনপির মূর্খ ও মতলবি আচরণ দেখে ইতিহাস বিশ্লেষণ করলেও পরে মনে হয়েছে, এমন অমার্জিত বিকৃতি নিয়ে মতামত দেওয়ার মধ্যেও একটি রুচির প্রশ্ন কাজ করে। ফলে ঠিক করেছিলাম, এমন নিকৃষ্ট পাগলামির উত্তর দিয়ে একে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো মানে হয় না। কিন্তু আবারও আমাকে নিজ সিদ্ধান্ত থেকে একটু সরে এসে এই নিবন্ধটি লিখতে হলো।
গত ২১ ডিসেম্বর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বয়ান করতে গিয়ে একটি প্যাকেজ বানিয়ে ফেলেছেন। তাই পাকিস্তানি সেনানিবাসের নিরাপদ আশ্রয়ে নয়—আমাদের মতো কিশোর যারা মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস জীবন হাতে নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ছুটে বেড়িয়েছি গ্রাম থেকে গ্রামে, পাকিস্তানি জান্তার বর্বরতায় যাদের তিন পুরুষের সম্পদ ভস্মীভূত হয়ে মুহূর্তে কপর্দকশূন্য হয়ে গেছি। কাছের মানুষদের পাকিস্তানি বুলেট ও বিহারিদের বর্বরতায় শহীদ হতে দেখেছি। আজ যাদের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোনো কথা বলার কথা নয়, তারা যখন দেশের মানুষকে ইতিহাস-ভ্রান্ত গণ্ডমূর্খ ভেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত করে তখন চোখ-কান বন্ধ রাখা নিজের বিবেকের কাছে অন্যায় বলে মনে হয়।
বেগম জিয়া রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপির অঙ্গসংগঠন মুক্তিযোদ্ধা দলের সমাবেশে যেসব বাক্য ছুড়লেন, যদিও বিস্মিত হওয়া উচিত নয়, তবে বিব্রত হলাম এই ভেবে যে এসব বচন ভবিষ্যতে ইতিহাসবিদদের কলমে শব্দবন্দি হলে এ দেশের রাজনীতিকদের মূর্খতা বা বিকৃত জাতি হিসেবে আমাদের কতটা অপমানিত করবে! অনেকে বেগম জিয়ার একটি সুনাম সব সময় করেন যে তিনি বক্তব্য প্রদানে অনেকটা হিসেবি। অযথা বেশি কথা বলেন না। যেটুকু প্রস্তুত করে দেওয়া হয় তার বাইরে বেফাঁস বলে বিপদ ডেকে আনেন না। এই মহৎ গুণটিকে নিন্দুকরা অবশ্য অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে। আমি সেদিকে কান দিতে চাই না। এসব নিন্দুক এবার নিশ্চয়ই পেয়ে বসবে। বলবে সমাবেশে তিনি হয়তো স্ক্রিপ্টের বাইরের কথা বলে ফেলেছেন। অথবা এবার নেত্রীকে ডোবানোর জন্য দুষ্টু সঙ্গীরা বেগম জিয়ার পরামর্শক হয়েছিলেন। আর পুরো শব্দচয়ন দেখে মনে হয়েছে জামায়াতের অপচ্ছায়া গ্রাস করেছে বেগম জিয়াকে। যে বিকৃত ইতিহাস বলে আনন্দ পায় জামায়াত, সেই শব্দবাণ এমন অসময়ে বেগম জিয়া ছুড়ে মারায় আনন্দ পাচ্ছেন কেন? নাকি যাঁরা বলেন, বিএনপি আসলে এখন জামায়াতেরই বি টিম তারাই কি সত্যি!
বানরের তেলতেলে বাঁশে ওঠার অঙ্ক ছেলেবেলায় আমাদের অনেককেই কষতে হয়েছে। একে কথাচ্ছলে গল্পেও রূপান্তর করা হয়। এই রাজনৈতিক দুঃসময়ে মেধা প্রয়োগ করে একটু একটু বাঁশ বেয়ে যখন ওপরে ওঠার কথা, ঠিক এমন সময় বেগম জিয়া একেবারেই অপ্রয়োজনে বাঁশ ধরে এমন নাড়া দিলেন যে অনেক কসরতে যেটুকু উঠেছিল বিএনপি আবার এক লহমায় নেমে এলো নিচে।
আমাদের পূর্বপুরুষরা তিলে তিলে উজ্জ্বল ঐতিহ্য গড়েছেন এ দেশে। আর ইতিহাসচর্চাবিমুখ জাতি হিসেবে আমরা প্রজন্মের জন্য তা ধারণ করতে পারছি না। আমাদের রাজনীতিকরা কি ইতিহাস মূর্খ, নাকি তারা দেশের মানুষকে মূর্খ ভাবেন? এসব মূর্খতা বা শঠতা সামনে আসবে ভেবে সম্ভবত ঐতিহাসিক কলিংউড বহু আগেই বলেছিলেন, ইতিহাসের বিষয়বস্তু হবে দুই প্রজন্মের আগ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনা। অর্থাৎ কমপক্ষে ৫০ বছর আগের ঘটনা। কারণ এমনটি হলে তত দিনে ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কুশীলব মানুষগুলো হয়তো বেঁচে থাকবেন না। বা তেমন ভূমিকা রাখার বয়স থাকবে না। তখন তথ্যসূত্র বিশ্লেষণ করে ইতিহাসবিদ ইতিহাসের সত্য খোঁজার চেষ্টা করবেন। ফলে কোনো পক্ষের আরোপিত ইতিহাস যুক্ত করার সুযোগ থাকবে না। বলা হয় ইতিহাস যে কেউ লিখতে পারবে না। ইতিহাস লিখবেন একমাত্র পেশাজীবী ইতিহাসবিদ। কারণ তিনিই জানেন ইতিহাস লিখন পদ্ধতি। জানেন কিভাবে তথ্যসূত্র সংগ্রহ ও শনাক্ত করতে হয়। আর কিভাবেই বা একে বিশ্লেষণ করতে হয়। রাজনীতিবিদরা ইতিহাসের ঘটনা সৃষ্টি করেন আর ইতিহাসবিদরা সেসব ঘটনার সন্নিবেশে রাজনৈতিক ইতিহাস লেখেন। মজার ও হতাশার বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে মেধাবী রাজনীতিকরা একাধারে ইতিহাসের ঘটনা সৃষ্টি করেন, আবার নিজেরাই নিজেদের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে ইতিহাসও লিখে ফেলেন। আর এ কারণেই খালেদা জিয়ার মুখে শুনতে হয় স্বাধীনতার ঘোষণাতত্ত্ব আর জানতে হয় বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি, তিনি চেয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে—এমন সব বক্তব্য। অবশ্য বেগম জিয়া চমকে দেওয়ার মতো নতুন কোনো কথা বলেননি। এটি বিএনপির হঠাৎ আবিষ্কার নয়। জিয়াউর রহমান জামায়াত পুনর্বাসন প্রকল্প চালু করার পর জামায়াতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বে জড়িয়ে ফেলেন বেগম জিয়া। এ কারণে ইতিহাস সৃষ্টি প্রকল্পে জিয়াউর রহমান আর খালেদা জিয়ার তথ্যসূত্রে অনেক পার্থক্য রয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষণা কে দিয়েছিলেন আর কে দেয়নি এটি ভীষণ অরুচিকর গ্রাম্যতা ভরা তর্ক। এই ৪৪ বছরে লাখ লাখ মানুষ বেঁচে আছেন যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁদের কৈশোর-যৌবন কাটিয়েছেন, তাঁদের সামনে মায়ের কাছে মাসির গল্প করে লাভ নেই। না হলে কৈশোর থেকে রাজনীতির মাঠে ছুটে বেড়ানো বঙ্গবন্ধু সারাটি জীবন আন্দোলন-সংগ্রামে কাটিয়েছেন বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য। বিশ্ববাসীর কাছে সুপরিচিত নেতা যিনি, দুর্ভাগ্য এই তাঁর পাশে দাঁড় করানো হলো ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পর্দায় আসা সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে। বিশ্ববাসী দূরে থাক, দেশবাসীর কাছেও যাঁর কোনো পরিচয় জানা ছিল না। তেমন একজন অজ্ঞাতকুলশীল মেজর ঘোষণা দিলেন আর মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল? তাহলে এর আগের লিগ্যাসির কী হবে? আরো অবাক করা বিষয়, বেচারা জিয়াউর রহমান নিজের জীবদ্দশায় জানতে পারলেন না তিনি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক ছিলেন। এ দাবি তিনি কখনো করেননি।
সেই যে ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু ঘরে ঘরে দুর্গ গড়তে বলেছিলেন আর গ্রামগঞ্জে সর্বত্র তরুণরা বাঁশের লাঠি বানিয়ে মার্চপাস্ট করতে থাকল। সুবিধামতো রাইফেল ট্রেনিং দিতে থাকল অনেকে। সোয়াত জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে পাঠানো বাঙালি হত্যার অস্ত্র খালাস করতে অস্বীকার করল ডক শ্রমিকরা। ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রজাতন্ত্র দিবসে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র উড়ল সবুজ জমিন আর লালবৃত্তের মধ্যে সোনালি মানচিত্রে বাংলাদেশের পতাকা। স্বপ্নের বাংলাদেশের প্রতীকী ঘোষণা। ২৫ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ঢাকার রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে তরুণদের ব্যারিকেড দেওয়া। ফার্মগেটের ব্যারিকেডে বাঙালি তরুণদের সঙ্গে পাকিস্তানি হানাদারদের সংঘাত। অসংখ্য বাঙালির মৃত্যু। পিলখানায় বাঙালি সৈন্য আর রাজারবাগে পুলিশদের প্রতিরোধ যুদ্ধ। কই, এ সময় তো মঞ্চে জিয়াউর রহমানের আবির্ভাব হয়নি। আর তাঁর ঘোষণার অপেক্ষায় বাঙালি বসে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’—এই অগ্নিমন্ত্রেই তো যাবতীয় নির্দেশনা পেয়ে গিয়েছিল বাঙালি। এর পরও বিএনপি ও বিএনপি নেত্রীর অমার্জিত ও ইতিহাসমূর্খ বক্তব্য দলটিকে কলঙ্কিত করার জন্য কি যথেষ্ট নয়! অন্য সব রাজনৈতিক সুবিধাবাদী অকালকুষ্মাণ্ডদের কথা ছেড়ে দিলাম, বিএনপির থিঙ্কট্যাঙ্ক রাজনীতিবিজ্ঞানী শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এ প্রসঙ্গে কী প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করবেন? রাজনৈতিক সুবিধার কারণে তাঁর মতো রাজনীতিবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদরা যদি নষ্ট বাউলের দোহার হন, তবে আর লজ্জা রাখব কোথায়!
মুক্তিযুদ্ধে নিহতের সংখ্যা আর সম্ভ্রম হারানো নারীর সংখ্যা নিয়ে স্বাধীনতার ৪৪ বছর পর বিতর্ক তুলে বিএনপির কী অর্জন হবে বোঝা গেল না। এতে কি আওয়ামী লীগ অপদস্থ হলো আর বিএনপির ধানের শীষ লক লক করে বেড়ে গেল? বিএনপি নেত্রীর একটু ইতিহাসে চোখ বুলানোর সুযোগ থাকলে জানতেন পাকিস্তানি কারাগার থেকে দেশে ফেরার পথে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের তথ্য, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য আর লন্ডন ও ভারত হয়ে ফেরার পথে মুক্তিযুদ্ধসংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্যের আলোকেই বঙ্গবন্ধু ৩০ লাখের কথা বলেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক অনেক গবেষক দাবি করেছেন, ভারতে কোটি বাঙালি শরণার্থী হয়ে যাওয়ার পর আঘাত ও অসুস্থতাজনিত কারণে যেসব মৃত্যু হয়েছে, সেসব যুক্ত করলে এই সংখ্যা আরো বড় হতে পারে। আমাদের কথা তা নয়। ‘অগুনতি’ কথাটিকে এত সূক্ষ্ম পরিসংখ্যানে এনে বিতর্ক তোলার কোনো হেতু থাকে না। যদি এমন হতো বেগম জিয়া গবেষণা করে প্রকৃত তথ্য নিয়ে আসতে পেরেছেন, তাহলে অন্য কথা হতো। আসলে এই সংখ্যা নিয়ে তো গত চার দশকের অধিককাল ধরে বাঙালির কোনো সংকট তৈরি হয়নি। তিনবার প্রধানমন্ত্রী থেকেও তো বেগম জিয়া এই প্রশ্ন কখনো তোলেননি। শহীদ আর নির্যা তিত নারীর সংখ্যা কম বললে কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে পাকিস্তান আর তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামী। বিএনপি নেত্রী পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি করেন বলে জামায়াতের ভাষায়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি হানিকর অমন মন্তব্য করতে পেরেছেন। যদিও এসব বক্তব্য নতুন নয় বিএনপির জন্য। জিয়াউর রহমান নিহত হলে বিএনপির মেধাবী নেত্রী দলের হাল ধরার পর থেকে একটি কুচক্রী মহলের থাবায় বন্দি হয়ে গিয়েছিলেন। তাই তাঁকেই যূপকাষ্ঠে মাথা রাখতে হয়েছে। জামায়াতি ভাবধারার বলয়বন্দি হয়েছেন। ১৫ আগস্টের খুনিদের দিক থেকে প্রজন্মের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতে জন্মদিন বিতর্ক তুলে তাঁকেই বলির মঞ্চে আনা হলো।
এসবের পরও প্রশ্ন একটাই, আজ হঠাৎ এমন সব অমার্জিত বক্তব্য তুলে কী লাভ হবে বিএনপি নেত্রীর? অনেক ফ্লপ নায়িকার মতো এই মুমূর্ষু দশায় বিতর্ক তুলে নিজেদের আলোচনায় আনতে চান? নাকি রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়া জামায়াতকে প্রশ্রয় দেওয়ার পথ খুঁজছেন? অথবা কি কোনো পাকিস্তানি এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তার ওপর?
খালেদা জিয়ার এসব বচনে আওয়ামী লীগের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাস্নাত মানুষ এসব বক্তব্য করুণার চোখে দেখতে পারেন। তবে সতর্ক হতে হবে প্রকৃত অর্থে জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে বিএনপি করছেন যাঁরা তাঁদের। কারণ তাঁদের নেত্রীর ঘাড়ে নতুন করে জামায়াতের অপচ্ছায়া ভর করে থাকলে নিঃসন্দেহে দল আরো বিপন্ন দশায় পৌঁছে যাবে। এ কে এম শাহনাওয়াজ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.