![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলন, প্রধানমন্ত্রীর কানাডা সফর, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বক্তৃতা, চীনা প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর, ভারতের গোয়ায় বিম্সটেক সম্মেলন, বিশ্বব্যাংক প্রধানের আগমন—এইরূপ অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে সম্প্রতি। বাংলাদেশ নিয়ে, বাংলাদেশের জনশক্তির বিনিয়োগ নিয়ে, বিভিন্ন প্রকল্প, চুক্তি স্বাক্ষর, বিভিন্ন প্রক্রিয়াকরণ এলাকা তৈরি, বন্দর নির্মাণ, যোগাযোগ সেতু নির্মাণ প্রভৃতির ক্ষেত্রে বেশ লক্ষণীয় তোড়জোড় নজরে আসছে। এসব দেখে পুরনো কথা মনে পড়ল। সেই ১৯৭২ সালে ‘ক্লাব অফ রোম’ নামে একটি ছোট্ট সংস্থা Limits of Growth নামে একটি গ্রন্থে উল্লেখ করেছিল যে, ১৯৮১’র মধ্যে পৃথিবীর সমস্ত খনিজ সোনা তোলা হয়ে যাবে এবং এভাবে তামা, সীসা, গ্যাস সব ১৯৯৩-তে শেষ হবে। তারপর পৃথিবীব্যাপী নেমে আসবে মহাদুর্ভিক্ষ। শুধু তাই নয়, এমন আশঙ্কার কথা নিয়ে পল এলিরিখও The Population Bomb বলে নিও-ম্যালথেসীয় একটি গ্রন্থ প্রণয়ন করেছিলেন। তাতে তিনি বলেন, ১৯৭০ সাল নাগাদ পৃথিবীর জনবিস্ফোরণ এমন এক পর্যায়ে যাবে তাতে গোটা পৃথিবী দুর্ভিক্ষের কবলে পড়বে। কিন্তু বাস্তবত এসবের কোনোটাই এখনও সত্যে পরিণত হয়নি। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে কার্যত এখন আর কেউ না খেয়ে মারা যায় না। স্বাধীনতার পরে অনেকটা সময়ে এ জনসংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। দারিদ্র্যকে দূর করে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীতকরণের প্রচেষ্টায় ব্যস্ত। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব! কোন্ প্রক্রিয়ায় সে অগ্রগমন ঘটবে! তথ্য-পরিসংখ্যান যাই হোক, অধিকাংশ মানুষের মাঝে কাজ করার প্রবণতা এখন বেড়েছে। আবাদি জমির পরিমাণ কমেছে, কিন্তু আবাদ বেড়েছে। খন্দ আর হাইব্রিডিটি বাংলাদেশের ঊর্বর জমিকে আরো উত্পাদনমুখী করেছে। পোলট্রি খামার, মত্স্য উত্পাদনে প্রাচুর্য এসেছে। সবজি চাষেও এখন নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। আসলে প্রয়োজন থেকেই তো উত্পাদনের প্রশ্ন আসে— তাইতো দার্শনিক কার্ল মার্কস বলেছেন, উত্পাদন ব্যবস্থা ও শ্রেণি সম্পর্কই সমাজ বদলিয়ে ফেলে। শ্রম-ঘনত্ব, শ্রমের যথাযথ মূল্য প্রদান উত্পাদনের অনিবার্য ক্ষেত্র। সেটি বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। খুব মনে আসে ১৯৯৮ সালে যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু দেশের বৃহত্ বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেন তখনই বুঝি এক বিরাট জানালা দেশবাসীর সম্মুখে খুলে গিয়েছিল। এই জানালাটি আসলে কী? শুধুই যোগাযোগের নয় এটি— সম্পর্ক-আত্মোন্নয়ন-উত্পাদনের চ্যালেঞ্জ প্রভৃতি। এটি যেন খুলে দিয়েছিল উত্তরের সঙ্গে গোটা দেশের মানুষের উন্নয়ন-সম্পর্ক। অবশ্যই এটি বিশ্বাস করা কঠিন নয় যে, বঙ্গবন্ধু সেতুর ফলেই সর্ব-উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এখন চা-কমলা-পাথর-পোলট্রি ছাড়াও শত শত জমিতে এবং ছোট ছোট শাখা নদীতে নানামুখী উত্পাদন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বগুড়া অঞ্চলে বিস্ময়করভাবে ব্যক্তি উদ্যোগে মেশিনারিজ সামগ্রী ও হাতে তৈরি যানবাহন ও পণ্যের তুমুল সম্প্রসারণ ঘটেছে। যা একটা শ্রেণির মানুষের ভেতর যোগাযোগের ক্ষেত্রকে সহজতর করেছে। হাতে তৈরি তিন চাকার যানবাহন এখন পল্লী-প্রান্তরে মানুষের পরিবহনের ক্ষেত্রে নতুন প্রান্ত খুলে দিয়েছে। এতে মানুষের চলাফেরা, হাট-বাজার, ব্যবসা-বাণিজ্য সমানতালে ঊর্ধ্বগতিতে সম্প্রসারিত হয়েছে। এজন্য সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রায় নেই-ই। ব্যক্তি উদ্যোগেই এসব অটোমোবাইল তথা মেশিনারিজ শিল্প ডেভেলপ্ড করেছে। এসবের ঝুঁকি নিয়ে হয়তো নানা অভিযোগ আছে কিন্তু ইকোনমি হওয়ার কারণে কোনো অভিযোগই ধোপে টিকছে না। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-নাটোর-পাবনা-বগুড়া অঞ্চলে সব্জি ও মাছের চাষ এখন বেশ তুঙ্গে। দারিদ্র্য দূরীকরণের পথে এই একটি সেতু কী অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে মানুষের মনে। আজকে রাস্তাঘাটে যানচলাচল দেখলেও পরিবর্তনের জন্য মানুষের ভেতরে উদ্যমতার শক্তিটি চেনা যায়। কর্মমুখরতার এ জায়গাটি সৃষ্টি করে দিয়েছে যেন ওই সেতুটি। কিন্তু একইভাবে হয়তো এর বিপরীত বিষয়ও কম নেই! অনেককিছু সহজলভ্য এবং অর্থকড়ির বিচিত্র সঞ্চালনের ফলে জন-জাগরণের যে জোয়ার তাতে সহজলভ্যতাও কিছু ঘটেছে। সেটি তো অস্বীকার করা যাবে না। আমরা শরত্চন্দ্রের উপন্যাসে পড়লে দেখি যে, ব্রিটিশরা ভারতবর্ষে রেল লাইন বসালো, রেল চালু হলো— যোগাযোগ-অর্থনীতিতে পরিবর্তন আসলো কিন্তু সাথে করে নিয়ে এলো কী! মহামারী-প্লেগ-দুর্ভিক্ষ আর শ্রমিক-মানুষকে পশু বানাবার ব্যবস্থা। একই ট্রাকে মানুষ আর পশু একসঙ্গে উঠছে। লেখক বলছেন, ওদের ভেতরে বুঝি কোনো ভেদ নেই। তাই এ সেতু হয়তো কেড়েও নিয়েছে অনেক আনন্দের বেগ। কিন্তু প্রাপ্তি তো অনেক। তবে অর্থযোগে ‘অনুত্পাদনশীল অর্থ’ও বাড়ে। মধ্যস্বত্বভোগী, দালাল তৈরি হয়। সেখানে কৃষক-উত্পাদক অনেকটাই অসহায়। উচিত দাম না পেয়ে মাল ফিরে নিয়ে গেলেও বাধ্য হয়ে পরেরদিন আরো কম মূল্যে বেচতে হয়— এ সময় কৃষক ন্যায্যমূল্য পায় না। ফড়িয়ারা বিনা শ্রমে অর্থ লুটে নেয়। বিষয়গুলো প্রান্তিক চাষিদের জন্য অন্যায়— কিন্তু ওরা ভাগ্যের দোষ দিয়েই বিদায়। তবে এখন হয়তো তারা এতোটা প্লেন চিন্তা করে না— কিন্তু ফড়িয়াদের হাতেই অনেক অর্থই যে চলে যায়— তার আর রক্ষা কোথায়! তবে সমাজে অনর্থ সৃষ্টি হলেও বিস্ময়কর পরিবর্তনগুলো দারিদ্র্য দূরীকরণের বিপক্ষে বিরাট শক্তি। বেকারত্ব প্রশমিত করে জীবনের বাঁকে এনেছে নতুন পরিবর্তনের ধারা।
২.
পল্লীর ব্যস্ত জীবনাচরণের একটি বড় প্রবণতা এখন টেলি-কমিউনিকেশন প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি উঠে এখন এসেছে প্রায় সকলের হাতে। শিক্ষা-সংস্কৃতি-ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্র এর প্রভাব বেড়ে চলছে। প্রযুক্তির তো একটা প্রবাহ আছে। সেখানে বর্তমান প্রজন্ম বড় গতিশক্তি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যখন শেষ হলো তখন বিশ্ববাসীর যে পারমাণবিক অভিজ্ঞতা— সেটা এমন একটি নৈরাশ্যমূলক ধারণা প্রজন্মের মাঝে সৃষ্টি করেছিল তাতে অনেকেরই মনে হয়েছিল সামনে ভবিষ্যত্ বুঝি তীব্র উত্কণ্ঠাময় ও জটিল। মানুষে মানুষে ভেদ বৃদ্ধি পাবে, ঐক্য আর রইবে না। সংস্কৃতিই হয়ে উঠলো যেন বিভক্তির। ফলে মানুষ দাঁড়াবে কোথায়। কিন্তু আশ্চর্য রকমভাবে আটের দশকে স্নায়ুযুদ্ধের নতুন রূপ তৈরি হলো। চিন উঠে আসলো। ভারত বৃহত্তর জনশক্তি নিয়ে প্রযুক্তিকে উপযোগের অংশীদার করলো। ফলে শাসক ও শোষিতের মধ্যে যে নতুন দ্বন্দ্ব দেখা দিল তা একদিকে চির প্রচলিত মূল্যবোধগুলোর অস্বীকৃতি আর অন্যদিকে তা গ্রহণ করার অনিবার্য নতুন প্রচেষ্টা। এতেই শামিল হলো বৃহত্তর জনতা। এই ধারাবাহিকতায় এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি, যে শিশুটি জন্ম নিচ্ছে সেও একপ্রকার প্রাযুক্তিক জৌলুসকে বা তার উদ্ভূত বলিহারি ঝাঁ-চকচক খবরদারীকে স্বাচ্ছন্দে মেনে নিচ্ছে। সেভাবে তার মানস-গঠনও তৈরি হচ্ছে। গ্রাম-গঞ্জে এখন তো দেখা যাচ্ছে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বটেই— পাসপোর্ট, হজে যাওয়া, জাতীয় পরিচয়পত্র করা প্রভৃতিতে সর্বপ্রকার অভ্যস্ততা তৈরি হয়েছে এবং চাকরি-বাকরি থেকে শুরু করে জীবনের সব পর্যায়ে ব্যবসা-সওদা কিংবা মাছ বিক্রেতা পর্যন্ত এর সত্যকে নির্দ্বিধায় গ্রহণ করেছে। প্রত্যেকটি কাজের অংশীদার এখন এই প্রযুক্তি। সেটি কোনো শ্রেণি বা বর্ণ বলে কথা নয়। আর এতে করে ক্রেতা-বিক্রেতার সংশ্রবও বেড়েছে। এমনকি ই-মেইল-ইন্টারনেট-ইউটিউবও কম জনপ্রিয় নয়। তবে এর কুফল যাই থাক— সুফল অস্বীকার করা যাবে না। আর বর্তমান বিশ্বে কোনো বেড়া দিয়ে একে ঠেকিয়েও রাখা যাবে না। তাই চ্যালেঞ্জটি নেওয়াই সঙ্গত। কিন্তু এজন্য জ্বালানি দরকার। সরকারের এখন যে জ্বালানি চ্যালেঞ্জটা— সেটা যদি পুরোপুরি সফল হয়— তাহলে প্রযুক্তির উপলক্ষ্যগুলো প্রাত্যহিক কাজের মতোই গতি পাবে। এই স্বাচ্ছন্দ্যের ভেতরে গড়ে উঠবে জীবনযাপনের স্বপ্ন ও বাস্তবায়নের সংকল্পগুলো। এখনও গ্রামের অনেক এলাকা বিদ্যুিবহীন। ফলে কিছু কাজের জন্য পার্শ্ববর্তী বিদ্যুত্প্রবণ এলাকায় তাদের যেতে হয়। সরকারকে এখন এই কাজটি সম্পন্ন করতে হবে। চিনা সরকারের সঙ্গে যে চুক্তিগুলো হলো— তাতে কিছু বড় বড় প্লান্ট তৈরির ব্যাপার এসেছে। সেগুলো ঠিকঠাক হলে যে রেটেই হোক একটা পরিবর্তন আসতে পারে। আর এভাবেই এগুনোর পথ প্রশস্ত হবে।
৩.
উন্নয়ন আসলে শুধু প্রবৃদ্ধির স্কেলে মাপা যাবে না। এটি মানবসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ মানবসম্পদের পরিবৃত্ত কোনো শ্রেণি বা এলাকায় নয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর ফলে জনজীবনের যে চাঞ্চল্যের কথা বলেছি সকলের নিশ্চয়ই আরো একটি আশাবাদ আছে দক্ষিণাঞ্চলের পদ্মাসেতু নিয়ে। এটিও উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তর ভূমিকা রাখবে, সন্দেহ নেই। দক্ষিণাঞ্চল অসংখ্য নদী-উপনদী-জলাজঙ্গলে ঊর্বর ও সমৃদ্ধিপ্রবণ এলাকা। সেটি উন্নয়নের রোডম্যাপে যুক্ত হলে আশা করা যায় জীবনের গতি আরো বাড়বে। যেটি বলেছি, দুর্ভিক্ষ বা খাবার না পাওয়ার চিন্তা সত্তর দশকের গোড়ায় অনেক চিন্তাবিদ করেছিলেন। তখনও বুঝি প্রযুক্তির এ ফ্ল্যাশ তাদের নজরে আসেনি। একপ্রকার তাত্ত্বিক ব্যাখ্যাতেই তারা ম্যালথাসের তত্ত্বকে নবায়ন করেছিলেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর মার্কিন ষড়যন্ত্রে (যারা তলাহীন ঝুড়ির দেশ বলেছিল) যুদ্ধবিধ্বস্ততা কাটিয়ে ওঠার আগেই এক আরোপিত দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছিল। হয়তো কিছুটা প্রশাসনিক অদক্ষতাও তার ভেতরে লুকিয়েছিল। তখন এদেশের জনসংখ্যাও এখনকার মতো ছিল না। পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের এ জনপদে গ্রামের মানুষ তখনও আবেগে গৃহকাতর ছিল। তখন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ একটি বিশেষ মহলেরই ছিল। যোগাযোগেও ছিল নাজুকদশা। সেটি দীর্ঘ সময়ে আজকের পর্যায়ে উঠে আসার যে শক্তি ও সামর্থ্য সেটি তো বাংলার মানুষের সংগ্রামী সরলমনা শক্তিরই ফল। এখন গত দুই-তিন প্রজন্ম ধরে স্বপ্ননির্ভর সম্পাদনার যেন বাস্তবে সত্যরূপ লাভ করেছে। এই সত্যরূপের জয়শক্তি হলো তরুণরা। তারাই দারিদ্র্য দূরীকরণের শক্তি। তরুণদের মেধা ও কর্মচঞ্চলতাও সে স্বীকৃতিই দেয়। আর সেই প্রবাহ বেয়ে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে তৈরি হওয়ার ইচ্ছে ব্যক্ত করছে। এটি অর্জনের জন্য এখন দুর্নীতি কমাতে হবে। পরিকল্পনা আরও বৃহত্তর হতে হবে। পুরনো আমলাতান্ত্রিক লাল সুতোর দৌরাত্ম্য থেকে বেরুনোর পথ খুঁজতে হবে। স্মরণ রাখা জরুরি, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের নির্ধারিত কাজ যেমন রয়েছে তেমনি জনকল্যাণের স্বার্থে তার পরিধি বিস্তারেরও সুযোগ আছে। কিন্তু রিজিড হওয়ার কিছু নেই। আর এক বিভাগের সঙ্গে অন্য বিভাগের সংঘর্ষের সুযোগও নেই। প্রশাসনে শৃঙ্খলা থাকাটা জরুরি। যারা গুণী তাদের কাজের মর্যাদা দিতে হবে। সরকার কিছুতেই নির্ধারিত কারো ওপর নির্ভরশীল হবে না। দেশের উন্নয়নের চলতি ধারা এখন সরকারপ্রধান ছাড়া কার্যত কারো উপরই নির্ভরশীল নয়। ক্ষমতাসীন দলের যে কর্মশক্তি, জনসেবার যে প্রত্যয়— তার ভিত্তিতেই সরকারের পরিকল্পনা থাকতে হবে। বস্তুত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা জনস্বার্থে এসব বাস্তবায়ন করবেন। এগুলো কারো একক কৃতিত্বের ব্যাপার নয়। জনতার সংগ্রামের ভেতর দিয়ে অনেক রক্ত ক্ষয় করা এ স্বাধীনতা যেন কল্যাণমূলক হয়। সকলের হয়। সার্বজনীনতা থাকে। সম্মুখে চলাটা চ্যালেঞ্জিং— সে চ্যালেঞ্জটুকু জনগণ নিচ্ছে কিন্তু অভ্যন্তরীণ ভূত যাতে তা কোনোভাবেই তছনছ না করে— সে সতর্কতা থাকা চাই। এজন্যই কল্যাণকর শক্তির একাগ্রতাই ঐক্য— সেটিই হোক নিশ্চিন্ত অগ্রবর্তী পথ।
©somewhere in net ltd.