![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৪ বছরে রাজধানীতে ২২ হাজার ২১৫ তালাক: বাড়ছে পারিবারিক হত্যা: গ্রামের চেয়ে শহরে বিবাহবিচ্ছেদ বেশি
কিঞ্চিৎ ভুল বোঝাবুঝিতে সুখের ঘরে ঢুকে পড়ছে দুখের আগুন। পারিবারিক বন্ধন ভেঙে প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। পরকীয়ার ঘটনায় একের পর এক তছনছ হচ্ছে সাজানো সংসার। ঘটছে খুনোখুনির ঘটনাও। বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের জেরে বিবাহবিচ্ছেদ অনিশ্চিত গš—ব্যের দিকে ধাবিত করছে নিষ্পাপ শিশুসš—ানদের। পরবর্তীতে এ শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। শিশুকাল থেকে পিতৃ-মাতৃহীনতার কারণে ঢুকে যাচ্ছে অন্ধকার নেশার জগতে। আক্রাš— হচ্ছে নানা মানসিক রোগে। ঝরে পড়ছে বিদ্যাপীঠ থেকে। বহুবিধ কারণে সারা দেশে নারী নির্যাতন, তালাক ও পরকীয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশ্লিষ্টরা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
গত প্রায় ৫ বছরে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৫৪ হাজার ৪৯৫টি। পরিসংখ্যান বলছে গ্রামের চেয়ে শহরে তালাকের ঘটনা বেশি। তালাকে পুর“ষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে।
পরকীয়ার জেরে গত ১৯ অক্টোবর রাজধানীর মিরপুরে গিয়াসউদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী খুন হন। পুলিশ জানায়, গিয়াসউদ্দিনের স্ত্রী লিনা তার প্রেমিক তানভীর ও তানভীরের বন্ধুদের দিয়ে ¯^ামীকে হত্যা করান। একই কারণে গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় মিরপুর মধ্য পাইকপাড়ায় ৭ বছরের ছেলে সাবিদ হোসেন ও স্ত্রী আইরিন আক্তার আরজুকে হত্যা করেন তার ¯^ামী। স্ত্রীর পরকীয়ার খেসারত হিসেবে ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিনকে লাশ হতে হয়েছে। তার সš—ানদের ভবিষ্যৎও নষ্ট হওয়ার পথে। অন্যদিকে ব্যাংক কর্মকর্তা বাবার পরকীয়ার জেরে মায়ের সঙ্গে সাবিদকে শুধু প্রাণই দিতে হয়নি, তার দেড় বছরের ছোট ভাই সানভীরের জীবন এখন অনিশ্চয়তায় ঘুরপাক খাচ্ছে।
অপরাধ বিশ্লেষক ও মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মোবাইল ফোন, চ্যাটব·, ফেসবুক, যৌতুক, নেশার উন্মাদনা, বিপরীত লিঙ্গ থেকে যৌন চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়ে দাম্পত্য কলহ, পরকীয়া, আর্থিক দৈন্য, বিদেশি বিশেষ করে ভারতীয় চ্যানেলের নাটক-সিনেমার প্রভাবসহ মানসিক হীনম্মন্যতার কারণে পারিবারিক বন্ধন ভেঙে যাচ্ছে। এর ফলে ভাঙছে সংসার। বাড়ছে নারীর ওপর নির্যাতন। পারিবারিক এ ভাঙনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে শিশুদের ওপর।
সমাজবিজ্ঞানীরা এও বলছেন, নারী আর্থিকভাবে ¯^াবলম্বী হওয়ায় সে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। তাই ¯^ামী ও তার পরিবারের নির্যাতন তারা এখন আর মুখ বুজে সহ্য করছে না। তাই বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা বাড়ছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) হিসাব অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এ বছরের অক্টোবর পর্যš— ১১ হাজার ৫৬৬টি তালাকের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৭ হাজার ৩১৬টি তালাক দেওয়া হয় নারীর প¶ থেকে। আর পুর“ষের প¶ থেকে ৪ হাজার ২৫০টি। এতসব ঘটনার মধ্যে পারিবারিক, সামাজিক ও আইনি মীমাংসায় মাত্র ৩০৬টি তালাক প্রত্যাহার করা হয়।
ঢাকা দ¶িণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৫টি অঞ্চলে একই সময়ে ১০ হাজার ৬৪৯টি তালাকের নোটিশ জমা পড়ে। সেখানেও তালাক প্রদানে নারীরা এগিয়ে। তালাক দেওয়ারেে ত্র বেশিরভাগ নারীর বয়সই ২৫ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। আর ২০১০ সাল থেকে গত অক্টোবর পর্যš— প্রায় ৫ বছরে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে ৫৪ হাজার ৪৯৫টি। পরিসংখ্যান বলছে গ্রামের চেয়ে শহরে তালাকের ঘটনা বেশি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ২০১২ সালে ২ হাজার ৮৭৯টি তালাকের ঘটনা ঘটলেও পরের বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৩৮০টিতে।
ড. শাহ এহসান হাবিবের মতে, সংসার টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন পারিবারিক বোঝাপড়া। এছাড়াও মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের সহায়তায় অš—ত জেলায়-জেলায় স্থায়ীভাবে পারিবারিক কাউন্সেলিং আয়োজনের মত দেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা জানান, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়া অবস্থায় অনেকেই প্রেমে জড়িয়ে পড়ে গোপনে বিয়ে সেরে ফেলছে। এরপর কয়েক বছর যেতে না যেতেই পরিবারের মন র¶া অথবা নানা দৈন্যদশায় পড়ে তারা তালাকের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিনই এ রকম ঘটনা ঘটছে।
রাজধানীর গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরায় ধনাঢ্য পরিবারে সবচেয়ে বেশি বিবাহবিচ্ছেদ হচ্ছে। বাদ পড়ছে না মডেল-তারকা পরিবারও। কিন্তু সম্মান বাঁচাতে উভয় পরিবারের প¶ থেকে তা গোপন রাখা হচ্ছে।
দিনদিন পারিবারিক বন্ধন ন্যুব্জ হয়ে পড়ায় নারী নির্যাতনের ঘটনাও বেড়ে চলেছে। একই সঙ্গে সৎ মা, পাড়া-প্রতিবেশীসহ বহুবিধ কারণে শিশুর ওপরও অত্যাচার বাড়ছে।
এর সমাধান আমরা কোথায় পাবো?????
২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫০
ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।।
৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩
ভূতের কেচ্ছা বলেছেন: এর সমাধান আমরা কোথায় পাবো?????
৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৫৮
সকাল হাসান বলেছেন: মুনতাসীর মামুন
বাসায় গিয়ে দেখা না করাটাই উত্তম হবে বলে আমি মনে করি।।
1 hour ago · Sent from Web
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৯
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য... সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে দিন দিন। পরিবারের বন্ধন যে কতটা শক্তিশালী একটা জায়গা তা সবাই যেন ভুলেই গেছে। আর এর খেসারত দিতে হচ্ছে অসহায় ছোট শিশুেদেরঅ বিনা অপরাধে শাস্তি পেতে হচ্ছে তাদের। আর জন্য আমি প্রথম দায়ী করবো ভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলোকে। তারপর মোবাইল... অবাধ পর্ণ মুভি.... বিভিন্ন চ্যাট অপশান ও সবার শেষে ফেইসবুক।
ধন্যবাদ