নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সবার উপরে ঘুম সত্য

নীরবতা কাম্য...।

মরফিন

একটি ইউথাইরয়েড ব্লগ। হাইপো/হাইপারথাইরয়েডরা নিজ দায়িত্বে বিচরন করবেন।

মরফিন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুপি রিবিউঃ নিঃস্বার্থ বালুবাসা--what is lub?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩২

আমি কোন মুপিবোদ্ধা নই যে মু্পি রিবিউ লিখব। কালকে গেসিলাম অনন্ত বাইয়ের নিঃস্বার্থ বালুবাসা দেক্তে। তাই আইজ এই অমর মুপির সম্পর্কে আমার বন্ধু মহলকে কিঞ্চিত জানানোই এই পুস্টের উদ্দেশ্য। আর আমি বাংলা ভাষায় নিতান্তই নিদান তাই গুরু এবং চন্ডাল উভয় সাহেবের উপস্থিতিতে কেউ মাইন্ড খাইয়েন না।

কাহিনী বেত্তান্তঃ

মুপির নায়ক বাংলা শিনেমার চুপারস্টার এ জে অনন্ত, মুপিতেও সুপারস্টার অনন্ত। তার গার্মেন্টেসের ব্যবসা, হাজার কোটি টাকার মালিক। তার শখ হইল মুপি করা। তামাম দুইন্নার মাইয়াপান, পোলাপান, বুড়াপান, বুড়িপান থিকা শিশুপানরা পর্যন্ত তার জইন্নে পাগল। হেয় যে CIP চামের উপ্রে হেইডাও দেহায়া দিল (লগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে পত্রিকায় প্রকাশিত ফটো)। আর মুপির নাইকা জনাবা ফুলকপি, অ চরি চরি মেঘলা (যেই নামখানা আবার রাজ্জাক সাহেব দিয়াছেন) পথে পথে ঘুরতাসে মঢেল হওয়ার লাইগা (বাপের জন্মেও দেহি নাই কাউরে এমতে ঘুরতে)। তার জীবনেও আছে চরম ট্রাজেডির ঘটনা। ছুডকালে শাকপাতা খাওয়া লইয়া মায়ের-বাপের যুদ্ধের পর হেয় শাকপাতারেই মেইন ডিশ হিসাবে খাইতে সম্মত হয়। রাজ্জাক সাহেবের বাড়িতে কাঙ্গালীভোজ খাইতে গেলে তারে খুব ভালা পায় রাজ্জাক সাব। তারে নিজের কন্যার মত মানুষ কইরা তোলে। (এই পর্বে কিছুক্ষন বাদে বাদেই কান্নাকাটি চলপে)

কিন্তু ভাগ্য সহায় হয় না। কলেজে পরার সময় রাজ্জাক সাহেব পরলোক গমন করলে মেঘলা আবার পূর্বদশায় যায় মেঘলা। তখন জলিল বাই চুপারস্টার। তার ছবি বুকে নিয়া মাইয়ারা ঘুমায়, পুলারা টয়লেটে যায় (বি,দ্র, ন্যাস্টি মাইন্ডস, স্টে অ্যাওয়ে) :P তো একদিন কলেজে সখা সখিরা মেঘলারে জলিলবাইয়ের লগে থাকা মাইয়ার চাইতেও সুন্দর আখ্যা দিয়া তারে মঢেল হইতে কয়। (দিল আর কি কামডা সাইরা) হেরপর যথারীতি হাজার বছরের বাংলা ছবির স্টাইলে নাইকা আসে ঢাকায়, মঢেল হইতে। হেইখানে পরিচয় হয় একজনের লগে। হেয় বুজায় হুইশকি না খিলাইলে মঢেল হওন যায় না। তো মেঘলা হুইশকি খায় (শাকপাতা স্টেজ কিন্তুক অনেক আগেই শেষ), তার সাথে ডেটিং মারে। কিসুদিন পর হেই বেডা জাপান যায়, কথা দেয় ফিরা আইসা তারে বদু করপে। জাপান যাইয়া আর খবর নাই। মেঘলা জাপান ফুন দেয় আর শুইনা হয় মর্মাহত, লুকটা নাকি বিবাহিত!!

এরপর জলিল বাইয়ের এক লাইভ শু (জুতা না কিন্তু আবার) তে মেঘলা তার প্রেমে হাবুডুবু খায়। সেকরেটারীর কাছ থিকা তার কার্ড নেয়। পরে ফুন দিয়া যায় তার অপিসে। জলিল বাই ব্যস্ত মানুষ, পরথমে দেহা করতে চায় না, কিন্তুক কি মনে কইরা জানি তারে তার নিজের অফিসে বসাইতে কয়। (বজ্জাত পুলাপাইন, চিন্তার লাগাম টাইনা রাখো) যাই হোক মেঘলাপু তার এত্ত বড়ড় অপিস দেইখা ভিড়মি খায়। এখান থেকে শুরু হইবে বালুবাসার পর্ব। জলিল বাই তার গল্প শুইনা কাইত। তারে ঢাকায় গাড়ি-বাড়ি কিন্না দেয়। মেঘলাপু ঘুইরা বেড়ায় মনের সুখে। দেশে তার বাপ মারেও বাড়ি কইরা দেয় আর বইনদের ঢাকায় পড়ালেখার ব্যবস্থা করে জলিল বাই। কিন্তু সে অন্নেক ব্যস্ত থাকায় মেঘলাপুরে সময় দিতে পারে না। এই চামে একজন আইসা মধু খাইতে চায়। নিজের লেখা একটা কবিতার কথা মনে পইরা যায়, যা কোন এক কবি বন্দুরে নিয়া লেখছিলাম-

মধু যদি জমে এসে মৌচাকে

সাধু হয়ে না থেকে খেয়ে নিও ফাঁকে।

ভাবো যদি রেখে ঢেকে খাবে তুমি পরে

ঝরে যাবে সেই মধু অন্যের তরে।

বলা বাহুল্য, হইলোও তাই। মেঘলা আপুর সাথে এক পাংখার (ফ্যান) বিরাট পিরিতি। জলিল বাই তারে ফুন দিয়া ব্যস্ত পায়। মনের দুঃখে অবিনয় করতে গিয়া দড়ি ছিড়া পইরা যায় (ওজনের জন্যেই ছিড়ছে বইলা মনে লয়)। তারে নিয়া যায় দেশের বাইরে। সেইখান থিকা মেঘলাপু দেশে চইলা আসে মধু বিতরন করতে। আর জলিল বাই জানতে পারে মৌচাকে ঢিল পরেছে। এরপর নানান হাঙ্গামা। আর মেঘলাপুর নানান পিরিতি (একটার পর একটা)। লিখা শেষ করা সম্ভব না। শেষমেস মিসা সওদাগর মেঘলাপুরে সওদা করতে চায়। ইন্টারন্যাশনাল মঢেল বানানোর লুভ দেখাইয়া আবার তারে শরাব খিলায়া সাদা স্ট্যাম্পে সই লইয়া লয়।

আর জলিল বাই মেঘলাপুরে নিষেধ করলে তাদের মইধ্যে কলহ বাদে। জলিল বাই তার দেয়া গাড়ি ফিরায়া নেয়। এতে মেঘলাপু চেইতা গিয়া তার মা-বাবা-বোনদের সাথেও সম্পর্ক নষ্ট কইরা ফালায়। জলিল বাই বুজতে পারে নারী জাতি খালি টেকা চিনে। :P আর তার মেঘলাপুতো টেকার লগে টুকাও চিনে। তাই সে মনের দুঃখে তার স্থাবর-অস্থাবর, আসমানি-জমিনি সব ধরনের সম্পত্তি তার নামে লেইখা দেয়। এরপরের অংশ কি হইতে পারে আপ্নারা জানেন। তাই আর লেখলাম না। মুপির শেষে জলিল বাই মেঘলাপুরে বাচায়া চইলা যাইতে চাইলে শিনেমার ৫০ তম বার (সংখ্যা গননায়ও আমি কিঞ্চিত দুর্বল আছি) মাপ চায়, আ আ আ , আমারে মাপ কইরা দেও। আমি আর এরাম করপ না। এবং তহনই মুপির আসল অংশ। কিন্তু বেকুব আমি, ঘুমে চোখ লাইগা আসতেছিল। দেখলাম জলিল ভাই মেঘলাপুরে দেহানের জন্যে কই জানি হাত দিয়া কি জানি বাইর করতাছে (আবারো...ন্যাস্টি মাইন্ডস, স্টে অ্যাওয়ে) ঘুম ঘুম চোখে ভাব্লাম জলিল বাই কি প্যান্টের তলা থিকা টান দিয়া লাল আন্ডারওয়ার বাইর কইরা আনল নাকি? কিন্তু না!! তুমুল করতালির মাঝে তন্দ্রা কাটিয়া আবিষ্কার করলাম জলিল বাই তার হার্ট বাইর কইরা আনছে!! :O যেই হার্টে আবার তার নিজেরি ছবি। লুল রে লুল। আবারো আমার মইদ্যে কাব্য প্রতিভা চইলা আসতে চায়। থাউক। আমার কাহিনী বেত্তান্ত বলা শেষ। এইবার আলুচনা করি।



আলুচনাঃ

আলুর সাথে চনা (গোমূত্র) মিলাইয়া কিন্তু ইহা বানায় না। এইডা হইল গুল গুল টেবিলে বইসা করতে হয় অথবা আমার মত অপিসে কাম ফাকি দিয়া পুস্ট লিখা করতে অয়। ফাইজলামি বাদ।

১. জলিল ভাইয়ের উচ্চারন কিন্তুক আগের চাইতে ভালো হইসে

২. অভিনয়ও আগের চাইতে অনেক ইম্প্রুভড, তয় ময়লা ধোলাইকারী বর্ষাপুর উন্নতি কম

৩. মুভির অ্যানিমেশন ভাল হইসে, তবে এতোটা খেলো না করে আরেকটু ভালো করা যেত

৪. গানগুলাও খারাপ না।

আর সবচে বড় কথা যেটা এই ছবি দেখার পয়সা উসুল, নির্মল বিনুদুন। অনন্তরে নিয়া বহুত পচানি হইসে, চলবেও জানি। সে নিজেরে অনেক বড় ভাবে, হেন তেন ইত্যাদি। কুংফু পান্ডা মুভির একটা ডায়লগ মনে পরলঃ “there is no secret ingredient of ‘secret ingredient soup’ if you want to make it special, you have to just think its special.”



যাই হোক, ধইন্যবাদ কষ্ট কইরা পড়ার জন্য। হ্যাভ ফান। :D

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

তারেক হিমু বলেছেন: “there is no secret ingredient of ‘secret ingredient soup’ if you want to make it special, you have to just think its special.


আমরা কতিপয় "নিকৃষ্ট" দর্শক থাকি আর না থাকি, জলীল থাকবে চিরকাল, ব্লগের পাতায় পাতায়, ফেসবুকের স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাস.... :P :P :P

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫২

মরফিন বলেছেন: :| :| :P :P

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

রাহুল বলেছেন: মুপি দেহি নাইক্কা কিন্তু তারে ভালা পাই।সাকিপের ফিলিম তো রিক্সাওয়ালারা দেহে কিন্তু জলিল ভাই তো সিনেপ্লেক্স র যমুনা ফিউচার পার্কে চলে যা বড়লোকের পুলাপাইণ দেইখা মজা লয়।বদের হাড্ডি সবগুলা।মন্দ হইলে দেহে কে?

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৩

মরফিন বলেছেন: বালা কইচেন!

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

এইচ ইউ রোকন বলেছেন: কিছু কইমু না যা কওনের আপনেত কইয়ালাছেন

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৪

মরফিন বলেছেন: :)

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭

ডুয়েট বলেছেন: হুম আমাগো আবুল মাল ও দেখছে। হেয় ও তো কইছে বালা অইছে। =p~

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:১৯

মরফিন বলেছেন: হুম!!

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: ওয়াও

কি জটিল রিভিউ ;)

১১ ই মার্চ, ২০১৪ রাত ১:২০

মরফিন বলেছেন: আপ্নে আর কত কবিতা লেকবেন!! একটু মুপি টুপি দেকেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.