![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি হেঁটেছিলাম সমুদ্রের বেলাভূমি ধরে,
মাইলের পর মাইল। অক্লান্ত পদক্ষেপে।
পায়ের ছাপ রেখে গিয়েছিলাম নরম বালিতে।
যেন দিকচিহ্ন, অচেনা পথিককে পথ দেখানো।
হঠাৎ থমকে দাঁড়ালাম।
সারি সারি শামুক বিছিয়ে আছে।
যেন বালিয়াড়ি শামুকের চাদর পরেছে গায়ে।
আমি শামুক দেখেছিলাম - নিস্তব্ধ, শুয়ে থাকা শামুক।
ওরা মরে গিয়ে সৌন্দর্য ছড়িয়েছে উজ্জ্বল।
ঢেউগুলো পায়ের পাতা ভেজাতে চাইলো।
আমি সরে গেলাম, ওদের আরও বিস্তৃত হতে দিতে চাইলাম।
ফেনার মুকুট মাথায় নিয়ে ঢেউগুলো যেন নটরাজ।
বালি ভেজাচ্ছে। বালি আবার শুষেও নিচ্ছে।
আমি ভেজা বালিতে তোমার নাম লিখেছিলাম।
দেখতে চাইলাম, সাগর তোমাকে কতটা ভালবাসে।
আমি আবার হেঁটে গেলাম পদচিহ্ন বাড়িয়ে।
পেছনে ফিরে খুঁজলাম তোমার নাম।
ঢেউ আস্তে আস্তে তোমাকে বুকে তুলে নিল।
তুমি হারিয়ে গেলে বালির অক্ষর থেকে।
এভাবেই সব মুছে যায়। নয় নিয়ে যায় কেউ।
কিছু আবার রয়েও যায় - সাম্পানগুলোর মত।
সারি বেঁধে রাখা নৌকাগুলো।
কুয়াশার চাদরে মোড়া, আবছায়া সিল্যুট
আমার দৃষ্টি কোমল করে দিল
নিস্পন্দ সারি বাঁধা নৌকা।
কেউ মুছে যায়, কেউ ঝাপসা হয়, কেউ লুকিয়ে পড়ে।
যেমন লুকোলো লাল কাঁকড়াগুলো।
আমার পদক্ষেপের কম্পনে।
আমি ওদের ধরতে চাইলাম।
কিন্তু ক্ষনিকের সুখের মতই ওরা গর্তে লুকোলো।
অবশেষে দিনের শেষে আমি নিজেকে খুঁজে পেলাম।
যে খোঁজ আমি চালিয়ে যাচ্ছিলাম নিরন্তর।
সাগর আমাকে শেখালো, বালি আমাকে বসতে দিল,
ঢেউ আমাকে নিয়ে খেলা করলো।
আর সবশেষে আমি একা হয়ে গেলাম বিশাল বিস্তৃতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
#কাব্যতাড়না
©somewhere in net ltd.