![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টেবিলে রাখা ঘড়িটা টিক টিক করে বেজে চলেছে। সকাল হয়ে গেছে। ঘুম থেকে উঠতে ইচ্ছে করছে না সবুজের। হাত বাড়িয়ে শুয়ে শুয়েই এলার্মটা অফ করলো। আরো কিছুক্ষন শুয়ে থাকবে সবুজ। দিনের বেলাতেও রুমে কেমন একটা ঘুটঘুটে অন্ধকার। সিলিঙ্গের দিকে তাকিয়ে আনমনে ভাবে, তার জীবনটা আর ৫/১০টা মানুষের মত সুন্দর না। তার জীবনে কোথাও যেন কেউ নেই। জন্মের পর পরই মা মারা গেছে। বাবাকেও হারিয়েছে শৈশবে। অনেক চড়াই-উতরাই করে জীবনটা পার করে চলেছে।
ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়াতে সবুজ বেশ ভালো ছিলো। মামার বাড়ি থেকে লেখাপড়া করেছে। স্কুলের শিক্ষকরা তার লেখাপড়ার আগ্রহ দেখে অনেক হেল্প করেছে। বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ, প্রাইভেট ফ্রি, বই-খাতা ইত্যাদি নানারকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে তারা সবুজের উপকার করেছে। তাদের সাহায্যের বদৌলতে আজ সবুজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। তার জীবনের চাকা ঘুরে চলেছে অনবরত।
শুয়ে শুয়ে এতো কিছু ভাবছিলো সবুজ। ভাবনার ছেদ পড়লো রুমমেটদের চেচামেচির কারণে। ‘এই সবুজ, ওঠ, ওঠ... তোর না আজকে বার্থ ডে?’ সবুজ জানে না তার আসল বার্থডে কবে; স্কুলের সার্টিফিকেটে যেটা লেখা আছে, সেটাকেই সে বার্থডে বলে মনে করে। বিশেষভাবে কখনো বার্থ ডে উদযাপন করে নি সে। ভার্সিটিতে এসেই বন্ধুরা মিলে এটাকে বিশেষ করে তুলেছে।
এমন সময় অর্পিতার ফোন- ‘সবুজ তুই কই? আমরা সবাই টিএসসি তে তোর জন্য অপেক্ষা করছি। তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।‘ বলেই কলটা কেটে দিল। বন্ধুদের একটাই দোষ; কথা শেষ করতে না দিয়েই কল কেটে দেয়।
রুমমেট মাহিন বললো, ‘কিরে, অর্পিতার কল ছিল নাকি?’ মাথা নেড়ে সায় দেওয়াতে মাহিন খোচা দিয়ে বললো, ‘অর্পিতা মেয়েটা তোকে অনেক পছন্দ করে, রিলেশনটা করে ফেল না! আর কত দিন অসহায়ের মত একা একা থাকবি?’
মাহিনের ‘অসহায়’ কথাটা সবুজের মনে ধাক্কা দেয়। সত্যিই তো, সে অসহায়। ইচ্ছে থাকলেও আর পাঁচটা ছেলের মত রিলেশনে জড়াতে পারে না। অনেক অর্থকষ্টে চলে সারাটা বছর। যাদের পুরো মাস চলতেই টাকার টানপোড়েন চলে, তাদের আবার গার্লফ্রেন্ড! নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। নিজের অব্যক্ত কথাগুলো কাউকে জানায় না সে।
হাত-মুখ ধুয়ে হালকা ফ্রেশ হয়ে টিএসসি’র উদ্যেশে পা বাড়ালো। সাথে মাহিন, সুমন ও হিমু; ভার্সিটির বন্ধুগুলো যেন অন্যরকম- যা করবে, যা খাবে, যা দেখবে সব কিছুই শেয়ার করবে।
অর্পিতা সাথে কয়েকজন বান্ধবীসহ একটা কেক এনেছে। সবুজ তাদের আয়োজন দেখে অবিভূত! বছরের প্রতিটা দিন এ রকম আসে না কেন? সবাইকে নিয়ে বেশ হাসি-আড্ডার মধ্যে কিছুটা সময় পার করলো।
***
সন্ধ্যায় টিউশনী। টিউশনী কাজটা অনেকটা ‘খোয়া-ভাঙ্গা’ কাজের মত! ‘কাবিটা-কাজের বিনিময়ে টাকা’! অবশ্য এ মাসের টাকা টা দিতে দেরী করছে কেন সে বুঝতে পারছে না। মাসের ৬ তারিখ, এই কয় দিন বন্ধুদের কাছে ধার করে চলেছে। তাদের বলেছে, এ মাসের টাকা টা পেলেই শোধ দেবে।
পড়ানো শেষে আন্টিকে বিষয়টা জানাবে কি না ভাবলো। কিন্তু নাহ, মুখ ফুঠে চাইতে পারলো না। আজকেও নিরাশ হয়ে টিউশনীর বাড়ি থেকে বের হলো। টিউশনী বাড়ি থেকে তার রুমের দূরত্ব প্রায় ১ কিমি এর মত। রিকশায় যেতে ১০ টাকা লাগে। পকেটে হাত দিয়ে দেখলো মাত্র ১০ টাকা-ই আছে। টাকাটা পকেটে সযত্নে রেখে দিল। এবং পায়ে হাটা শুরু করলো।
রাস্তার ফুটপাত ধরে হেটে চলেছে। পাশ দিয়ে রিকশা, প্রাইভেট কার, গাড়ি সব ছুটে চলেছে। কিছু দূর যেতেই দেখলো বিশাল এক জ্যাম পড়েছে। সব আটকে গেল জ্যামে। সবুজের মনে হল তার জীবনেও বুঝি এই রকম জ্যাম পড়েছে। একটার পর একটা সমস্যা নিয়ে পথ চলতে হয়। একটু পরেই সবুজ বাতি জ্বলে উঠলো। আর সাথেই সব আগের মত চলতে আরম্ভ করলো। সে ভাবে, কবে যে সবুজের সবুজ বাতি জ্বলে উঠবে!
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৩৯
এম মশিউর বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন রশিদ ভাই,
গল্প লেখার চেষ্টা করছি।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ভালো থাকবেন।
২| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:১১
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কিউট এন্ডিং !
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৪১
এম মশিউর বলেছেন: ধন্যবাদ অভি দা,
অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
৩| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভালো লেগেছে অনেক ভাইয়া
ইয়ে সবুজ বাতি কি জ্বলেছিলো??
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ৯:৫০
এম মশিউর বলেছেন: সবুজ বাতি জ্বলার অপেক্ষায় আছে সবুজ।
অবশ্যই জ্বলে উঠবে। এ আত্মবিশ্বাস সবুজের আছে।
ইয়ে মানে আপনি 'এক টুকরো মেঘ' আপু?
৪| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:০৭
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: হু ভাইয়া ফেসবুকের মেঘ
আর সামুর খরগোশ
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১৫
এম মশিউর বলেছেন:
৫| ১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:১১
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
আরও চাই এইরকম গল্প
১৪ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৩০
এম মশিউর বলেছেন: ঘূণপোকা ভাই,
কিছু একটা লিখতে পারছি সেটাই বড় কথা। এতেই আমি খুশি।
ভালো থাকবেন।
আপনার কমেন্ট ৫ বার রিপিট হয়েছে। একটা রেখে বাকিগুলো মুছে দিলাম।
৬| ১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৪
এহসান সাবির বলেছেন: দারুন।
++++
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
এম মশিউর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এহসান সাবির ভাই।
ভালো থাকবেন।
৭| ১৫ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:১৭
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: শেষ টা মশিউর ভাইয়ের মতই মিষ্টি
তবে এশিয়ার কথা ভুলতে পারতেছিনা ।
ভাল থাকুন প্রিয় মশিউর ভাই
১৫ ই মে, ২০১৪ রাত ১১:৫০
এম মশিউর বলেছেন: মাহমুদ ভাই,
এশিয়া যাবে, ইউরোপ আসবে.।
সবই হবে।
ভালো থাকবেন।
৮| ১৫ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
একজন আরমান বলেছেন:
ছোট্ট এবং সুন্দর।
শুভকামনা মশিউর।
১৬ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৬
এম মশিউর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ একজন আরমান,
আপনার বিবাহিত জীবনেও শুভকামনা।
৯| ২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ১২:৪১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা লেখেন না?
সামহোয়্যারইন ব্লগের কবিব্লগারদের স্ব-নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা নিয়ে একটা পোস্ট তৈরি করছি। আপনার অংশগ্রহণ এ পোস্টকে মূল্যবান করবে। ফেইসবুকে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া আছে।
ফেইসবুকে আমরা মনে হয় কানেকটেড না। সম্ভব হলে আমাকে প্লিজ এ্যাড করুন।
শুভেচ্ছা।
২৪ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১
এম মশিউর বলেছেন: ফেসবুকে অনেক আগে থেকেই আপনার সাথে কানেক্টেড। তবুও যোগাযোগের ঘাটতি আছে।
আপনার ফেবু পোস্টটি দেখলাম। কমেন্ট করে এসেছি।
ভালো থাকবেন সোনাবীজ ভাই।
১০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:২৪
এহসান সাবির বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২৩
এম মশিউর বলেছেন: এহসান সাবির ভাই,
আপনাকেও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো।
ভালো থাকবেন সব সময়।।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে গল্প । দারুণ একটা এন্ডিং ।