![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের হারানো সুরের খোঁজে এঁকে যাই নৈশ্বাব্দিক অপেক্ষার ছবি। যদি কখনো ফিরে পাই বিশ্বাসের সেই পুরোনো রঙ তুলি তবে আবার আঁকতে চাই ভালোবাসার পুরনো সেই ক্যানভাসে পুরনো সেই একই ছবি -একই বিশ্বাস ।
দিন চলে যেত গতিহীন। কেঁচোর মত। সাঁকোর পাড়ের শালিক পাখিরা ছিল অর্থহীন। গাভীর মত মেঘ চড়লেও বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঠিকই হত। তখন আমারই কেবল সন্ধ্যা হত না। জানালার পাশে বৃষ্টির শব্দ শোনার জন্য মনের অজান্তে কখনো দৌড়ে যেতাম না। কখনো হেমন্তের বিকেলে সর্ষে ক্ষেতের হিমেল হাওয়া আমার মনে সবিশেষ স্পন্দন, বুক চির-চির কম্পন হয়ে ধরা দেয়নি। রাতের ঘন কুয়াশায় ডুবতে কখনো সাধ জাগেনি। আগস্টের খরা রোদে শিরিষের ছায়ায় দাঁড়িয়ে জীবন থেকে জীবনের গালগল্প করিনি আগে কখনো। নদীর পাড়ে জলের শেষ ঠিকানা খুঁজতে বের হওয়ার কোন কথা ছিল না এই জীবনে। এমন করে কারোর জন্য কবিতার পরশা সাজিয়ে লিখতে বসতাম না।
তুমি এসে হাত বাড়িয়ে গতি দিলে। এও জানি এখন তুমি খাঁচায় বন্দি। যেমনটি আগেও ছিলে। তবুও কেন বদ্ধ খাঁচার ফাঁক দিয়ে হাত বাড়িয়ে সামান্য প্রাণের ছোঁয়া দিলে এই জীবনে। এ যে প্রাণ নয়-দাগ; না দাগও নয়। দাগতো একদিন মুছে যাবে। -ক্ষত! না, ক্ষতও নয়। আদর সোহাগ পেলে ক্ষতও একদিন শুকিয়ে যাবে। মিলে যাবে শরীরের সাথে। প্রেমের কলঙ্কও নয় যে শুনতে খারাপ লাগলেও ভালোবাসা পেলে একদিন সব ভুলে যাবো। আর আমার মৃত্যুর পর সবাই ভুলে যাবে। না, কেউই ভুলবে না। তুমি আমি আমরা সবাই, কেউই ভুলবে না।- কারণ এটা যে আমার গ্লানি।
©somewhere in net ltd.