নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর বুকে ছাঁপ রেখে যেতে চাই।

মোস্তারিক

পৃথিবীটা হোক কাব্যময়।

মোস্তারিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছুক্ষনের ঈশ্বর

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

নিয়ায সাহেব আফিসে আসার পর ১ম কাপ চা শেষ করে, খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছিলেন। তার বিশাল ঔষধের ব্যবসা। তার কম্পানীর ঔষধ বিশ্বের পঁচিশটি দেশে রপ্তনি হচ্ছে।স্ত্রী দুই মেয়েকে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করেন। তিনি প্রতি দুই মাসে একবার লন্ডন যান।তার সম্পদ যে হারে বৃদ্ধি পেয়ছে, ঠিক সেই হারে কাছের মানুষ ও বদ্ধু কমেছে।এখন তাকে নিরসঙ্গ বলা চলে। তিনি একরকম হাঁপিয়ে উঠেছেন।

টেলিফোনের শব্দে নিয়ায সাহেবর খবরের কাগজে চোখ রেখে আভ্যস্ত হাতে ফোনে স্পিকর বোতামে চাপ দিতেই আপর প্রান্ত থেকে মিষ্টি কন্ঠ ভেসে আসল – স্যার আপনকে বিরক্ত করার জন্য আন্তরিক ভাবে দুক্ষিত। একজন ইন্টারভিউ এর জন্য আপক্ষা করছেন, তাকে কি আপনার রুমে পাঠাবো? নিয়ায সাহেবর তকে একঘন্টা পরে পাঠাতে বল্লেন। ফোনটি টোঁ টোঁ শব্দ করে কেটে গেল।

নিয়ায সাহেবের পিএস এর নাম নীলা । তার গলার আওয়াজ আনেকটা পুরুশালী, সামনে দাঁত সামান্য উঁচু , সর্বদা উপরের ঠোঁট দিয়ে উঁচু দাঁত ঢাকবার বৃথা চেষ্টয় রত, গায়ের রং শ্যামলা বল্লে ভুল হবে। নীলার কন্ঠ স্বর এমন সুরালো হল কি করে?

তিনি তৎক্ষনত বেল চাপলেন। এক মিনিটের মধ্যেই নীলা দরজায় মথা গলিয়ে পুরুশালী গলায় বল্ল – স্যার আসতে পারি? আসুন বসুন । নিয়ায সাহেবের সমনে চেয়ারে বসতে কম্পানির সবাই ইতস্থতা বোধ করে, নীলাও বেতিক্রম নয়। দ্বিতীও বার বলায় সে বসল। তিনি নীলার চোখের দিকে তাকিয়ে নীচু স্বরে বল্লেন- ফোনে আপনার গলা আন্যরকম শোনাল! লজ্জায় নীলার মুখটা আরো কাল হয়ে গেল, সে মাথা নীচু করে বল্ল - স্যার ছোট্ট একটা ভয়েজ চেঞ্জার সফটওয়ারে সাহায্যে।

তিনি প্রসঙ্গ পরিববর্তন করে বল্লেন ভদ্রলোককে পাঠান এখন আমি তার ইন্টারভিউ নিব।
নিয়ায সাহেব মাঝে মাঝে নিজে ইন্টারভিউ নেন। চাকরী প্রার্থির সাথে তিনি এক আদ্ভুত প্রশ্নের খেলায় মেতে উঠেন, এ খেলা তাকে কিছুটা বৈচিএ দেয় ও নিজেকে কিছুক্ষনের ঈশ্বর মনে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.