![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হাবলু ও পাকাশী - এক কথায় হরিহর আত্মা বল্লে কম বলা হয়। দুজনের বন্ধু্ত্বের সূএপাত বাল্য কালে। যদিও সেই বন্ধুত্বে আকাশে ক্ষণস্হায়ী মেঘ জমেছে। পাকাশীর আর্থনীতিক বিপ্লব তার নাসিকাটার কিঞ্চিত উচ্চতা দিয়েছে। “বন্ধু পুরাতন ভাল আর খেলনা নতুন ভাল” - এই প্রবাদ তার কাছে গুরুত্ব হীন। তাকে এখন নব্য ধনী বলা যেতে পারে। আচাড় আচড়নে যার ছাপ অত্যান্ত স্পষ্ট। আমি দুই জনের বন্ধু্ত্বের ঊসা লগ্নের একটা ঘটনা বলি-
প্রায় ২৫ বছর আগে বগুড়া শহরটা ছিল ছবির মত। হাবলু ও পাকাশী ৫ম শ্রেনীর ছাএ। তরা প্রতিদিন শহরের প্রাণ কেন্দ্র সাতমাথায় অবস্হিত বগুড়া জিলা স্কুলে যায়। তখন শহর বলতে পাশা পাশি জিলা স্কুল ও ভি,এম গালস্ স্কুল মাঝে ব্রটিশ আমলের সারকারি বাংলো এবং পাশে পাকা কাচারী ভবন। জিলা স্কুল ও সারকারি বাংলো সুন্দর পাকা পায়ে চলা পথে ঘেরা আর সেই পাথটাকে আবিরাম অকৃপন ছায়া দিয়ে যাচ্ছে এক সারি দৈত্যকার কড়ই গাছ। পথটা ছিল বিনোদনের এক চমৎকার জায়গা। সাপ খেলা,যাদু,বানর খেলা, ফুল গাছের দোকান,বিভিন্ন কবিরাজের পসরা,নাপিত,এমন কি দন্ত চিকিৎসক পর্যন্ত বাদ নেই। সবচেয়ে মজার বিষয়- কিছু জতিষী এবং একটা ভাগ্য গননা কারি টিয়া পাখি ছিল নিয়মিত। আজকের গল্পটা গননা কারি টিয়াপাখি নিয়ে।
ছুটির পর হাবলু ও পাকাশী নিয়মিত স্কুলের পেছনে একটা সিনর গোল্ড সিগারেট ভাগে সেবন করে ফুটপাতে নানা আয়োজন উপভোগ করে। তাদের সবচেয়ে বড় আকর্ষন ঐ টিয়া পাখি, যে ১ টাকার বিনিময়ে এক সরি করে রাখা খামের মধ্য থেকে একটা খাম ঠোঁট দিয়ে তোলে, সেই খামের মধ্যে একটা চিরকুটে ভাগ্য লেখা থাকে। দুজনে এক সাথে ২ টাকা যোগার করে ভাগ্য দেখবে তা খুব সহজ না। তবে তারা এই টিয়া পাখির বিষয়টা বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখে। আবশেষে তারা আলমের ঝাঁল বুট খাওয়ার লোভ একদিনে জন্য বিষর্যন দিয়ে ২ টাকা বাঁচায়। টিয়া পখি দিয়ে নিজেদের ভবিষ্যত জেনে নিবে বলে।
যথারিতি স্কুলের পর ধূমপান পর্ব শেষ করে টিয়া পাখিওয়ালার সামনে য়ায়। পাখিওয়ালা টিয়াকে টকটকা লাল কাঁচা মরিচ খাওয়াচ্ছে। দুজনের হাতে ২টা চকচকা ১ টাকার নোট দেখে পাখিটা বেশ চঞ্চল হয়ে ওঠে। পাকাশী পাখিওয়ালাকে বলে দুজনের ভাগ্যর জন্য কত নিবেন? সে উওর দেয় ২ টাকা। হাবলু বলে - ছোট বড় সবার জন্য এক দাম! এটা ঠিক না! ১ টাকা হলে পাখি ছাড়েন, ভাগ্যটা চেক করি। পাখি ওয়ালা ১ টাকাতেই রাজী হয়।
পরবর্তি সমস্যা কার ভাগ্য আগে দেখা হবে? এই নিয়ে দুই বন্ধুর কথা কাটাকাটি প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে। পাখিওয়ালা মহাবিরক্ত। আবশেষে পাখির মাধ্যমে সমাধান হয়। পাখি ছাড়া হবে পাখি আগে যার কাছে যাবে তার ভাগ্য আগে দেখা হবে। এই পরিক্ষায় পাকশীর দিকে টিয়া পাখি যায়, অর্থাৎ পাকাশীর ভাগ্য প্রথম পাখির দ্বারা উঠানো হবে। হাবলুও তা মেনে নেয়।
১ টাকা প্রদানের পর যথারিতি টিয়া পাখি বীর দর্পে খামের সারির উপর দিয়ে হাটতে হাটতে থমকে দাঁড়িয়ে, লাল ঠোঁট দিয়ে একটা খাম তোলে। পাখি ওয়ালা খামটি পাকাশী হাতে দেয়। কাঁপা কাঁপা হাতে পাকাশী খাম খুলে মনোযোগ দিয়ে পড়ে মহা আনন্দে বলে ওঠে - আমার বিশ্ব সুন্দরী বউ হবে। হাবলু চিরকুটটি হাতে নিয়ে দেখে সত্য চিরকুটে লেখা আছে “সেরা সুন্দরী বউ ভাগ্য”। হবলুর জন্যও পাখি একটা খাম তোলে তাতে লেখা- “সেরা কবি ভাগ্য” তার অর্থ হবলু ভবিষ্যতে কবি হবে। হাবলুর কাছে পাকাশীর ভাগ্য বেশ আকর্ষনীয় মনে হয়। তবে দুজনেই ভাগ্য মেনে নেয়। যেহেতু পাকাশীর ভ্যগ্য হাবলুর চেয়ে অপেক্ষাকিত ভাল, তাই সে নানা ভাবে বন্ধুকে সান্তনা দেয় এবং স্মরন করিয়ে দেয় ভাগ্য গননা নিয়ে দরদাম করা হাবলুর ঠিক হয়নি।
২৫ বছর পূর্বের শিশু মনে বিশ্বাস তারা আজও বহন করছে। হাবলু ও পাকাশী দুজনেই চল্লিশ উর্ধ। হাবলু সারা জীবন হাজার খানিক কবিতা বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠায়েছে। কিন্তু একটাও ছাপা হয়নি! সবচেয়ে বড় ধাক্কা যখন তার কবিতা স্কুল ম্যাগাজিনেও বাদ পড়ে। তবে সে হালছাড়েনা একটা হলেও কোনদিন তার কবিতা ছাপা হবে।
আর পকাশীও সাড়া জীবন কয়েক হাজার পাত্রি দেখেও কাঙ্খিত বিশ্ব সুন্দরী খুঁজে পায়নি। সে যে নারীকেই দেখে তাকে টিয়া পাখির ঠোঁটে তোলা চিরকুটের মত মহা সুন্দরী মনে হয়না। সেও খুঁজে চলছে সেই মহা মায়াবিনী।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৮
মোস্তারিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:২৬
Mahmud Makky বলেছেন: Hmm....ভলো লাগল
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ২:২৩
মোস্তারিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:০৭
দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: হাবলু ও পাকাশীর জন্য সমবেদনা
যাই হোক,সুন্দর উপস্থাপনায় ভাল লাগলো।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫১
মোস্তারিক বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৫৫
বুস্তান চৌধুরী বলেছেন: ভাল লাগল