নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

“Those who have the privilege to know have the duty to act.”― Albert Einstein

মোস্তফা কামাল পলাশ

"সকলের তরে সকলে আমরা, প্রত্যেকে আমরা পরের তরে"

মোস্তফা কামাল পলাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ শনিবার বিকেল থেকে সাতক্ষিরা ও খুলনা জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৫



শনিবার বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ (যদিও আন্তর্জাতিক সাইট গুলোতে নাম বলছে MATMO) সাতক্ষিরা ও খুলনা জেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বঙ্গোপসাগর থেকে উত্তর-পশ্চিম উপকূলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান গতিপথ ঠিক থাকলে ঘূর্ণিঝড়টি কোলকাতার হলদিয়া বন্দরের উপর দিয়ে স্হাল ভাগে প্রবেশ করবে ক্যাটেগরি ২ মানের ঘূর্ণিঝড় হিসাবে। স্হলে ভাগে প্রবেশের সময় বায়ুর গতিবেগ ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার থাকতে পারে।



যেহেতু স্হলভাগে প্রবেশের পরে বেশিভাগ ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড় দূর্বল হয়ে পড়ে তাই ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের স্হলভাগে প্রবেশের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকতে পারে ঘন্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশের স্হলভাগে প্রবেশের সময় (ঘূর্ণিঝড়ের বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ) বিভিন্ন আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল ৬ থেকে ১২ ঘন্টার পার্থক্য নির্দেশ করতেছে। কোন স্হানের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ অতিক্রম করার ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পরে ঘূর্ণিঝড়ের বৃত্তের কেন্দ্র অতিক্রম করে। ঘূর্ণিঝড়ের বৃত্তের পশ্চাৎ অংশ একই স্হানের উপর দিয়ে অতিক্রম করে আরও ৩/৪ ঘন্টা পরে। ফলে একটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোন স্হানের উপর দিয়ে প্রায় ৩ থেকে ৬ ঘন্টা উচ্চ গতিবেগের বাতাস বয়ে যায়। নিম্নে উল্লেখ করার হলো কোন আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল কোন সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাংলাদেশের স্হলভাগে প্রবেশ করবে বলে পূর্বাভাষ করতেছে:



১) আমেরিকার Global Forecast System (GFS) এর মতে শনিবার সন্ধা ৬ টায়



২) কানাডার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল GEM এর মতে শনিবার সন্ধা ৬ টায়



৩) জার্মানির আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল ICON এর মতে শনিবার দুপুর ১২ টায়



৪) আমেরিকার আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল Navy Global Environmental Model (NAVGEM) এর মতে শনিবার দুপুর ১২ টায়



৫) ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল European Center for Medium-Range Weather Forecasts or ECMWF এর মতে শনিবার দুপুর ১২ টায়

সংযুক্ত ছবিগুলোহতে সম্ভব্য ঘূর্ণিঝড়টির স্হলভাগে প্রবেশের সময় ও স্হান দেখে নিতে পারেন। প্রায় সকল আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেল ঘূর্ণিঝড়টির স্হলভাগে প্রবেশের স্হান একই নির্দেশ করতেছে।

ছবি কৃতজ্ঞতা: ট্রপিকালটিডবিট ডটকম, Cooperative Institute for Meteorological Satellite Studies, Joint Typhoon Warning Center

বিঃদ্র: সাধারণত আবহাওয়া পূর্বাভাষ মডেলগুলো নির্দেশিত ঘূর্ণিঝড়টির স্হলভাগে প্রবেশের সময়র প্রায় ৩ থেকে ৬ ঘন্টা ভুল-ট্রুটি থাকে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ঝড় তুফান এলেই আপনার পোষ্ট পাই। এছাড়া আপনার কোনো খবর নেই।

যাই হোক বুলবুল থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুক।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৫:৫৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:
রাজীব ভাই, "বিপদে বন্ধুর পরিচয়" প্রবাদ বাক্যটা সত্য ধরে নিলে আমি হইলাম আপদকালীন ব্লগার হে হে হে। বন্যা, ঘুর্নিঝড় এর সময় যখন সবাই নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে দৌড়ায় তখন আমি একটিভ হই। যাই হউক, অনেক দিন ভাবির লগে আপনার ছবি দেখি না; ভাবিকে নিয়ে কোবতে চর্চাও কমে গেছে আপনার =p~

নিজের পড়া-লেখা, অন্যকে পড়ানো; সংসার নিয়ে চরম ফ্যাসাদে আছি। টাইম ম্যানেজমেন্টে আমি খুবই দূর্বল। তাই এই ইচ্ছাকৃত অনিয়মিত হওয়া ব্লগে। আশা করি আপনি ভালো আছেন।



২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০০

সোহানী বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ঝড় তুফান এলেই আপনার পোষ্ট পাই। এছাড়া আপনার কোনো খবর নেই।.................হাহাহাহাহাহা

সহমত রাজিব ভাই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:০৯

মোস্তফা কামাল পলাশ বলেছেন:


আপু, নিজের পড়া-লেখা, অন্যকে পড়ানো; সংসার নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলার মাঝে আছি। টাইম ম্যানেজমেন্টে আমি খুবই দূর্বল। তাই এই ইচ্ছাকৃত অনিয়মিত হওয়া ব্লগে। আশা করি আপনি ভালো আছেন।

আপু, নিউইয়র্ক ভ্রমন নিয়ে একটা ভ্রমন ব্লগ শুরে করে দিন। বিশেষ করে জাল ভর্তি মাছ ধরার ঘটনাগুলো শেয়ার করুন।



৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৭

সোহানী বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লা। তুমি হাটে হাড়ি ভাইঙ্গো না। নিউইয়র্ক এ প্রায় যাওয়া হয় এবং মাছ প্রায় প্রতিবারেই ধরতে যাই, এবার যেয়ে ও ধরেছিলাম তবে কম এবং সাইজে একটু বড়। কিন্তু সামারের মাছগুলো যেভাবে জালে উঠেছিল তা অবিশ্বাস্য। আসলে যে মাছ ধরেছিল তাকে আমরা আসল জেলে উপাধীতে পদোন্নতি দিয়েছিলাম শেষে.....হাহাহা।

তবে মাছগুলো নিয়া কি করছিলাম সেটাতো জানতে চাইলা না। সে মাছ ধরে ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা। তারপর গাড়ি নিয়ে সবার বাড়ি বাড়ি যেয়ে বিলি করে আসছিলাম। এতো মাছ রাখার কোনই উপায় ছিল না। শখের তোলা আশি তোলা আবারো টের পেলাম এবার হাড়ে হাড়ে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.