নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাই মধ্য ডানের স্থিতিশীলতা।

নিরপেক্ষ মতামত কখনও মধু কখনও হুল।

মৌ-মাছি

বিরোধীতা বা সমর্থনের চেয়ে নিজস্ব নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশে উচ্চকন্ঠ। সুশীল ও স্বাধীন লেখা বা মতামতের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

মৌ-মাছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডান পন্থা মানেই কি সুবিধাবাদ? বিএনপির বেশির ভাগ নেতাকর্মীরা কি তাই সুবিধাবাদী!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:৪৫

দেশে কোন দল করেন? উত্তর ধরুন বিএনপি বা জামায়াত। এরপর প্রশ্ন করবেন, বিদেশের কোন দলগুলোকে সমর্থন করেন। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে রিপাবলিকান নাকি ডেমোক্র্যাট, বা যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে টোরি নাকি লেবার, ভারতের ক্ষেত্রে বিজেপি নাকি কংগ্রেস। উত্তর অাসবে ডেমোক্র্যাট, লেবার, বা কংগ্রেস। অার দেশের অাওয়ামীগ সমর্থক যারা তারাও বিদেশের দল গুলোর ক্ষেত্রেও বলবে ডেমোক্র্যাট, লেবার, বা কংগ্রেস। অবশ্য ভারতের ক্ষেত্রে বিষয়টি অারেকটু জটিল তাই সেক্ষেত্রে অনেক বিএনপি,জামায়াত সমর্থক ব্লগের রিভার্স খেলার মতোই খেলে থাকেন। কংগ্রেসের সাথে অাওয়ামী লীগের একটা সম্পর্ক থাকায় অার ভারতে উত্তেজনা তৈরী হলে বাংলাদেশে উল্টো উত্তেজনা তৈরী করার অাশায় তারা বিজেপিকে ক্ষমতায় চান, যদিও নীতিগতভাবে কংগ্রেসের মুল্যবোধকে সমর্থন করে থাকেন। যা হোক এখানে সমর্থন বলতে অাপনি সেই দেশের বসবাসকারী হলে সরাসরি সমর্থক হতে পারেন অথবা বাংলাদেশ সহ অন্য দেশে বসবাসকারী হলে সংশ্লিষ্ট দেশে কোন দলের লোক জন ক্ষমতায় গেলে অাপনি মনে প্রানে খুশি হোন, সেটা বিবেচ্য।



অামরা সবাই মোটামুটি একমত হবে যে, ডেমোক্র্যাট, লেবার, কংগ্রেস বা অাওয়ামীগ এগুলো একই ধরণের রাজনৈতিক দল -- এরা মধ্যবাম পন্থী, বুর্জোয়া দল হলেও খানিকটা শ্রমিকশ্রেনীর রাজনীতির মিশ্রন ঘটাতে উৎসাহী, ধর্মীয় ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ টাইপের উদার ও প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক। অন্যদিকে রিপাবলিকান, টোরি, বা বিজেপি, বা বিএনপি/জামাত হল (মধ্য) ডানপন্থী, পুরোপুরি বুর্জোয়া, ধর্মপন্থী কট্টোর ও প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির ধারক। সমাজে অবশ্য প্রগতিশীল ও প্রতিক্রিয়াশীল দুই ধরণের লোকই দরকার অাছে। গাড়িতে যেমন এক্সেলারেটর ও ব্রেক দুটোই থাকে। প্রগতিশীলরা যখন সমাজকে একটানে খুববেশী এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে, স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে তখন প্রতিক্রিয়াশীলরা লাগাম টেনে ধরে থিতু হতে সাহায্য করবে। যা হোক মুল বিষয় হল নিজ নিজ দেশের প্রগতিশীলরা অন্যদেশের ক্ষেত্রেও প্রগতিশীল দলকেই সমর্থন দেয়, কিন্তু নিজ নিজ দেশের প্রতিক্রিয়াশীলরা অন্যদেশের ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়াশীলতাকে সমর্থন দিতে পারে না। তাদেরকে প্রগতিশীলতাকেই সমর্থন দিতে হয়। ইহা প্রতিক্রিয়াশীলদের জন্য একধরনের নৈতিক পরিহাস। বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীলরা ঐক্যতানের হলেও বিভিন্ন দেশের প্রতিক্রিয়াশীলরা একে অপরের পুরোপুরি বিপরীত। কাজেই অন্যদেশের বিপরীত প্রতিক্রিয়াশীলতাকে ঠেকাতে নিজ দেশের প্রতিক্রিয়াশীলরা সংশ্লিষ্ট দেশের প্রগতিশীলতাকেই নীতিগত ভাবে সমর্থন দিতে চান। এখানে প্রতিক্রিয়াশীলদের জন্য নৈতিক সমস্যাটা হল তারা অন্যের কাছে যে অাচরন চান নিজে অাবার সেই অাচরন করতে চান না। অার প্রতিক্রিয়াশীলতা তাই একধরনের সুবিধাবাদ তাড়িত রাজনীতি।



কানা-বাবা বলেছেন: ডানপন্থা মানেই সুবিধাবাদ নয়, এটি একটি চিন্তাধারা যা পৃথিবীরে সবেদেশেই পাবেন। বাংলাদেশের সমস্যা হলো ডানপন্থীদের রেপ্রেজেন্ট করার জন্য কোন সঠিক রাজনৈতিক দল নেই। বিএনপির শুরুটা হয়েছিলো এই জায়গাটাকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। কিন্তু যেহেতু এটি একটি সামরিক পোষাক পড়া লোকের দ্বারা গঠিত হয়েছিলো সেহেতু তিনি বেশি অনেস্ট রাজনৈতিক লোক পাশে পান নি। বরং কিছু সুবিধাবাদি লোক এসে জুটেছিলো, সাথে জামাট, মুসলিম লীগের ৭০ এর পলাতকগুলোও। আসলে আমি ডানপন্থীদে জন্য দুঃখ অনুভব করি যে তাদের কেউ নেই। তবে অতীত ও বর্তমান খারাপ হলেও হয়তো ভবিষ্যতে এই বিএনপিই হয়ত শুদ্ধ ডানপন্হী দলে পরিনত হবে। আর তা দেশের জন্য ভালো - শক্ত ডানের অভাবে আওয়ামি লীগ স্বেচ্ছাচারী দলে পরিনত হতে পারে।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-১৩

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৪

অস্থির পৃথিবী বলেছেন: আমার মতে সুবিধাবাদ না বলে স্বার্থের রাজনীতি বললে ভালো হয়। অবশ্য এই স্বার্থ যে সবসময় দলীয়-ই হবে এমন কোন কথা নাই, দেশের স্বার্থও হতে পারে। যেমন আমেরিকার রিপাবলিকান পার্টি,তারা নিজের দেশের জন্য যে কোন কিছু করতে প্রস্তুত তাতে কার কি ক্ষতি হল তাদের যায় আসে না।আপনি যে প্রতিক্রিয়াশীলদের কথা বলেছেন তাদের মূল মন্ত্রই হল উগ্র জাতীয়বাদ ।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৩

মৌ-মাছি বলেছেন: স্বার্থপরতা ও সুবিধাবাদকে আমি তেমন করে আলাদা করতে পারছি না। কাজেই সুবিধাবাদের বদলে আমি স্বার্থপরতা বলতেও কোন সমস্যা দেখছি না।

দেশের স্বার্থে বলাটা কতখানি পর্যন্ত যাবে আমি নিশ্চিত নই। তবে রিপাবলিকানরা সে দেশের কর্পোরেট ধনিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষার্থে যে কোন কিছু করতে পারে সেটা আমি মনে করি।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৫

জাতি জানতে চায় বলেছেন: সেই পুরানা আওয়ামী বচন! আওয়ামীলীগ হইলেই কি নিরপেক্ষতা ও যৌক্তিকতা হারাইতে হয়?!

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩২

মৌ-মাছি বলেছেন: দলকানা ধরনের মন্তব্য ছাড়া এই লেখার মুল প্রতিপাদ্যের পক্ষে বা বিপক্ষে আপনার কি কোন বক্তব্য আছে? থাকলে দিন। আর না থাকলে এই ধরনের মন্তব্য আমি নিরুৎসাহিত করছি। আমি কাউকে নিজ ইচ্ছামত কালার করতে যাই না। আর আমার প্রতি সেটা করার চেষ্টা করেও কোন লাভ হবে না। আমার মাথা অনেক ঠান্ডা :) আর আমি আগেই বলেছি আমার দৃষ্টি ভঙ্গী কি রকমের। সেটার পুনরোল্লেখও দরকার নেই।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৯

নষ্ট ছেলে বলেছেন: "অামরা সবাই মোটামুটি একমত হবে যে, ডেমোক্র্যাট, লেবার, কংগ্রেস বা অাওয়ামীগ এগুলো একই ধরণের রাজনৈতিক দল -- "

হে হে হে....কই রাজরানী কই ুতমারানী.....

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৩

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনি মুখ একটু ফাঁক করলেই যদি অশ্লীল কথা বের হয়, তাহলে কথা বলা বন্ধ করুন। আপনার কিছু বলার দরকার নেই।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৪

মোস্তাক খসরু বলেছেন: অনেক পরে বুঝলেন ভাই ওরা এর চাইতেও একটু বেশী। ওরা সার্থ রক্ষার্তে সব কিছু করতে পারে। বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার শুন্যতায় ওদের মতো নেতাদের কথা কিছু কিছু মানুষ শুনছে। তবে জিয়া যে কাজটি করে দিয়েছিল তা এখন এন্টি আওয়ামী লবি হিসাবে বিএনপি এ দেশে প্রতিষ্ঠা পেয়ে গেছে। এই দলে রাজাকার মুসলিম লীগ ভাসানী ন্যাপ থেকে শুরু করে সমস্ত নিষিদ্ধ ইসলামি দল ও বাটপার ফেরেববাজদের মিলন মেলায় পরিনত হয়েছে। এদের প্রধান উপজীব্য হল ধর্ম ও ভারত বিদ্বেশ। আর এই দুইটি মুলা বাঙ্গালী খুব ভাল খায়। যুক্তি বা বুদ্ধির ধার তারা কখনো ধারে না। প্রতিবশী যদি অর্থনৈতিক ভাবে সবল থাকে তাহলে আপনি সবসমায় হীনমন্যতায় ভুগবেন। এটাই স্বাভাবিক একথাটি তারা কোন সমায়ই বুঝতে চায় না। তারা সুধু ভারতের দাদা সুলভ ব্যাবহারের জন্য, লড়াই লড়াই লড়াই চাই লড়াই লাগলে আমরা নাই। তার প্রমান বেগম খালেদা জিয়া ভারত গিয়ে সব ভুলে যান। কিন্তু অন্যদল কোন চুক্তি করলে ভারতকে সব দিয়ে দিল। এই তো বিএনপি।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৫

মৌ-মাছি বলেছেন: আমাদের আলোচনার পরিসর আরেকটু বিস্তৃত অর্থে।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৭

রাজর্ষী বলেছেন: কথা ঠিক

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৬

মৌ-মাছি বলেছেন: হমম!

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১৮

একলা একজন বলেছেন: আপনার টয়লেট কি আপনি পরিস্কার করেন?

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩৪

মৌ-মাছি বলেছেন: ধরে নেই ভাল অর্থেই প্রশ্নটি করেছেন। শৌচকার্য আমরা নিজেরা করেই পুত পবিত্র হই, তাই না :)

৭| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৪৫

বোবা ছেলে বলেছেন:
-

আম্লীগ ও তাকে রাত-দিন পা চাটায় ব্যাস্ত পতিতা সম রামপন্হী বাম দলরাই হইলো একমাত্র গংগা জলে ধোয়া খাঁটি ভারতীয় নি:সার্থ দেশ প্রেমিক.........!!


ঈমানে কই মাইনাস ২ টা দিছি......... :)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৪

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনার আরো গোটা কয়েক নিক থাকলে সবগুলো দিয়েও মাইনাস দিতে পারেন বিদ্রোহী সাহেব :) তাতে আপনার ভিতরের কদর্যতার ভান্ডার যদি কিছু কমে আমি খুশিই হব। আপনার ভাষার মানের কারনে আপনার মন্তব্য আমি সাধারণত গণনা করি না। :)

৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০০

বোবা ছেলে বলেছেন:
লেখক বলেছেন:

অামরা সবাই মোটামুটি একমত হবে যে, কংগ্রেস বা অাওয়ামীগ এগুলো একই ধরণের রাজনৈতিক দল -- এরা মধ্যবাম পন্থী, বুর্জোয়া দল হলেও খানিকটা শ্রমিকশ্রেনীর রাজনীতির মিশ্রন ঘটাতে উৎসাহী, ধর্মীয় ভাবে ধর্মনিরপেক্ষ টাইপের উদার ও প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক।


--------------->> মুজিব কোটের রং হইলো কাল, ইট ইজ হার্ড টো হাইড..............:)

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৮

মৌ-মাছি বলেছেন: আংশিক কোট করেন কেন? তাতে কি কোন ধরনের সুবিধা হয়!

সবদেশেই মোটামুটি দাগে দুটি করে ধারা আছে। দৃশ্যমান কিছু পার্থক্য ও স্থানীয় কালচার বাদ দিয়ে এগুলোর তাই অন্তমিল থাকেই। আপনার বুদ্ধিতে যে সব কিছু ধরা পড়বে তাতো নয়, তাইনা। আমরা সবাই এক এক পর্যায়ের কুয়োর ব্যাঙ বই তো কিছু নই।

৯| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:১৫

কানা-বাবা বলেছেন: ডানপন্থা মানেই সুবিধাবাদ নয়, এটি একটি চিন্তাধারা যা পৃথিবীরে সবেদেশেই পাবেন। বাংলাদেশের সমস্যা হলো ডানপন্থীদের রেপ্রেজেন্ট করার জন্য কোন সঠিক রাজনৈতিক দল নেই। বিএনপির শুরুটা হয়েছিলো এই জায়গাটাকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য। কিন্তু যেহেতু এটি একটি সামরিক পোষাক পড়া লোকের দ্বারা গঠিত হয়েছিলো সেহেতু তিনি বেশি অনেস্ট রাজনৈতিক লোক পাশে পান নি। বরং কিছু সুবিধাবাদি লোক এসে জুটেছিলো, সাথে জামাট, মুসলিম লীগের ৭০ এর পলাতকগুলোও। আসলে আমি ডানপন্থীদে জন্য দুঃখ অনুভব করি যে তাদের কেউ নেই। তবে অতীত ও বর্তমান খারাপ হলেও হয়তো ভবিষ্যতে এই বিএনপিই হয়ত শুদ্ধ ডানপন্হী দলে পরিনত হবে। আর তা দেশের জন্য ভালো - শক্ত ডানের অভাবে আওয়ামি লীগ স্বেচ্ছাচারী দলে পরিনত হতে পারে।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:৩৯

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনি খুব সুন্দর করে বলেছেন। আমি আপনার বক্তব্য মুল পোস্টে জুড়ে দিলাম।

১০| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৫৯

গদাম বলেছেন: হালা BAL এর গু চাটা দালাল

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৯

মৌ-মাছি বলেছেন: কাক যত চেষ্টাই করুক কা কা ছাড়া কিছু কিন্তু বের হয় না।

ব্লগ হওয়াতে কাক কোকিল সবাই চেষ্টা করে একটু গান করে দেখার।

১১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১১

একজন আমি বলেছেন: গদাম বলেছেন: হালা BAL এর গু চাটা দালাল

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৪০

মৌ-মাছি বলেছেন: কাক যত চেষ্টাই করুক কা কা ছাড়া কিছু কিন্তু বের হয় না।

ব্লগ হওয়াতে কাক কোকিল সবাই চেষ্টা করে একটু গান করে দেখার।

১২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাজিদ বলেছেন: অামরা সবাই মোটামুটি একমত হবে যে, ডেমোক্র্যাট, লেবার, কংগ্রেস বা অাওয়ামীগ এগুলো একই ধরণের রাজনৈতিক দল

এই লাইনের পরে এই লেখা নিয়ে আপনার সাথে আলাপ করা অর্থহীন। যিনি ডেমোক্রেটিক পার্টি আর আওয়ামিলীগকে একই রকম দল মনে করে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৭

মৌ-মাছি বলেছেন: প্রথমত আলাপ করা অর্থহীন হবে কেন? আপনি দেখিয়ে দিন যে এই এই ভাবে এই দলগুলো একরকমের দল নয়। আর একই ভাবে দেখিয়ে দিন রিপাবলিকান, টোরি, বিজেপি বা বিএনপি একই রকমের দল নয়।

তবে আপনি যে রকম পর্যায়ের "একই ধরণের" বলেছেন মানে প্রায় ৯০-১০০% আমি তা বলছি কখনই, বর্তমান কাঠামোই এগুলোর মুল ভাবধারায় ৬০-৭০ মিল রয়েছে। আর জাতি ধর্ম স্থান বিচারে দৃশ্যমান তফাৎ তো থাকবেই। কোন লেভেলের অ্যাবস্ট্রাকশন ব্যবহার করতে হবে সেটা হচ্ছে বিষয়।

তবে একটা জিনিস লক্ষ করছি, আমরা শুধু এটা মানতে রাজী নই যে আওয়ামীলীগ ঐ দলগুলোর কাছাকাছি, কিন্তু বিএনপি সম্পর্কে যা বলা হয়েছে সেটা সম্পর্কে নিশ্চুপ। তারমানে ঐটা মেনে নিয়েছি।

১৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

সাজিদ বলেছেন: বিএনপি সম্পর্কে যেটি বলেছেন সেটি মেনে নেয়ারতো কোন প্রশ্নই আসে না। কারণ বাংলাদেশের একমাত্র প্রগতিশীল দল হলো বিএনপি। প্রগতিশীলতা মানে যদি হয় সময়ের প্রয়োজনে নতুনের পানে ছুটে যাওয়া।

এই দলের জন্ম হয় একজন সামরিক শাসকের শাসনকালে। জিয়া কি করেছে? তিনি কি কিছু সিভিল আর আর্মি বুরোক্রেটদের ধরে নিয়ে শুধু দল করলেন? তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের দিকে এগিয়ে গেলেন যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা যেমন ছিলেন তেমনি ছিলেন স্বাধিনতাবিরোধীরা। ছিলেন ডানপন্হি বামপন্হি সবাই। হিন্দু মুসলিম উপজাতীয় এরা সবাই। এই সবাইকে নিয়ে চলার যে মানসিকতা এর নামইতো প্রগতিশীলতা। তাই নয় কি? আপনি যে ডেমোক্রেটদের কথা বলছেন তাদের সাথে রিপাবলিকানদের মূল পার্থক্যের এটি কি একটি নয়, ডেমোক্রেটরা মাইনরিটিদের অধিকার রক্ষা করে তাদের মর্যাদাকেও রক্ষায় উদয়োগ নেয়। জিয়া সেটি বুঝতে পেরেছিলেন বলেই সবাইকে নিয়েই দল গঠন করেছিলেন। তাহলে প্রগতিশীল কারা? যারা রাজাকার, মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতীয়, বামপন্হি, ডানপন্হি সবাইকে নিয়ে একসাথে একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় সেটি হলো বাংলাদেশী জাতিয়তাবাদ।

আর আওয়ামিলীগতো মনে করে তারা ছাড়া বাকি কোন দলই থাকতে পারে না বাংলাদেশে। ৭৩ এর নির্বাচনে তারা অল্প কয়জন বিরোধিকেও নির্বাচিত হতে দিল না। লীগের সব কথা জানেন অহেতুক বলে লাভ নাই। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল দুটি দল হলো আওয়ামিলীগ আর জামাত। এখনও তারা দেখেন সেই ৭২ এর সংবিধানে ফেরত যেতে চায়। বাকশালের আদর্শ ধারন করে। একটি পত্রিকা লিখতো বলে সেই পত্রিকা বন্ধ করে সম্পাদককে ধরে নিয়ে জেলে দিল। একটি টিভি চ্যানেল বন্ধ করে দিল। তাদের বিরোধিতা করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকেও তারা অপমান করতে পিছপা হয় না। অথচ তারাই মুক্টিযুদ্ধের আদর্সের কথা বলে। যেই দলটি এত বেশী প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদেরকে প্রতিক্রিয়াশীল না বলে আপনি বলছেন বিএনপিকে? তারেকর নামে সব মিডিয়া খেয়ে না খেয়ে প্রচার চালিয়েছে। কয়টি পত্রিকা বন্ধ হয়েছে? কয়জন সম্পাদক জেলে গিয়েছে? এত কম প্রতিক্রিয়া দেখানোর পরেও বিএনপি হয়ে গেল প্রতিক্রিয়াশীল? জিয়া যে উদারতার রাজনীতির সুচনা করেছিল খালেদা জিয়াও সেটা বজায় রেখেছে। নিজেদের দলীয় মূলনীতিতে না থাকলেও সব ডলের মতামতকে শ্রদ্ধা দেখিয়ে সংসদীয় শাসন ব্যবস্হা প্রবর্তন করেছে। শেখ হাসিনার এরকম কি উদারতা আছে? তার এই সংকির্ন ও প্রটিক্রিয়াশীল মানসিকতা তার কর্মী সমর্থকদের মাঝেও সন্চার হয়। যে দল সবচেয়ে বেশীবার ক্ষমতায় ছিল সেই দলের একজন মাত্র সাংসদ নিয়ে বাকি ১৪ জন নিজ দল বা জোটের সাংসদ নিয়ে তারা নিজেদের পছন্দসই জাতীয় মূলনীতি ও সংবিধান রচনা করতে চায়। জামাত ক্ষমতায় যডি কোনদিন আসে তাহলে লীগের মত বা তার থেকে প্রতিক্রিয়াশীল হবে এটাও নিশ্চিৎ। একমাত্র বিএনপি ই হলো উদারপন্হি দল। ডানপন্হীরা (সালাউদ্দীন কাদের) যেমন এখানে নিরাপদ বোধ করে ঠিক তেমনি বামপন্হি ব্যকগ্রাউন্ডের প্রচুর নেতা আছে (শাহজাহান সিরাজ, নোমান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ঝিরউদ্দিন স্বপন, খৈয়াম,)। এমনকি ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতিও (হাবিবুর রহমান) বিএনপিতে এসে রাজনীতি করতে পারে। লীগ এই বাস্তবতাটুকু মেনে নিতে পারে না যে দেশে তাদের মত পিতার নামে জিকির করে না এমন অনেক মানুষ আছে আর তারাও এদেশের নাগরিক ও সম অধিকার আছে। কিন্তু আপনারাতো লীগ ছাড়া আর কাউকে সেই নাগরিক অধিকার দিতেও চননা এর নাম যদি প্রতিক্রিয়াশীলতা না হয় তাহলে কিছু বলার নাই।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:২৬

মৌ-মাছি বলেছেন: "বাংলাদেশের একমাত্র প্রগতিশীল দল হলো বিএনপি" এই কথাটি যদি আসলেই সত্যি হত তাহলে আপনি আমি সবাই খুবই খুশী হতাম। বিএনপিতে প্রগতিশীল কিছু লোক আছে বা ছিল সত্যি (যেমন হয়তো ধরুন আপনি) কিন্তু প্রতিক্রিয়াশীল লোকের সংখ্যা এত বেশী ও তারা এত ডমিনেটিং যে প্রগতিবাদীরা বসে বসে খাবি খাবি খায়।

বিএনপিতে সকল দলের লোক সহজেই যেতে পারে এটি ঠিক, কিন্তু তারা কিন্তু তাদের দল চ্যুত হয়ে আদর্শ চ্যুত হয়ে শুধু সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যে বিএনপিতে যায়। এই আদর্শ হারানো লোক গুলোর সামনে বিএনপিও কি আজকাল কোন সুনির্দিষ্ট আদর্শ দিতে পারছে! হ্যাঁ কট্টোর আওয়ামী বিরোধীতা দিতে পারছে সেটা ঠিক।

জিয়া "বাংলাদেশী" শব্দে সবাইকে একত্র করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আজ ৩৩ বছরেও কি বিএনপি একমাত্র মুসলিমদের বাইরে আর কারও (কি ধর্মীয় দিক থেকে, কি নৃতাত্ত্বিক দিক থেকে) আস্থায় আসতে পেরেছে। পারেনি। জিয়া নিজে তেমন করে সময় পায় নি। কিন্তু খালেদা এখন তো আরো অনাস্থা সৃষ্টি করছে। একমাত্র গয়েশ্বর আছে বিএনপিতে, তাও প্রায়ই বিভিন্ন রকমের ঝামেলার সম্মুখীন।

আপনি ডেমোক্র্যাটদের সাথে বিএনপিকে তুলনা করেছেন, খুবই ভালকথা। কিন্তু ডেমক্র্যাটরা যেমন সবধরনের লোকের আস্থা ভোগ করে, বিএনপি আদৌ করে কি? ডেমোক্র্যাটরা কি আমাদের বিএনপির মতো কোন নির্দিষ্ট একটা ধর্মের প্রতি একটু খানি বেশী উদারতা দেখায়? আমার জানামতে দেখায় না। আর সবচেয়ে বড় বিষয় ডেমক্র্যাটরা কি কোন কালেও কোন রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে!

আপনি আওয়ামীদের অনেকগুলো উদাহরণ উল্লেখ করেছেন। ওর সবগুলো কিন্তু আমাদের বিএনপিরও আছে। ওদের ছিল মখা আলমগীর আমাদের আছে মাহমুদুর (যে সারাজীবন প্রকৌশলী হয়ে আসল হঠাৎ আজ কি কারনে মুল পরিচয়ে সাংবাদিক হতে চায় কে জানে)। ওরা চ্যানেল ওয়ান, আমার দেশ বন্ধ করে, বিএনপি বন্ধ করেছিল ২১শে টিভি। সাংবাদিক সালিম সামাদ সহ আর কাকে কাকে যেন বিগত সরকার মাসের পর মাস জেলে পুরে রেখেছিল। কাজেই এইসব দিক থেকে সমানে সমানে ধরা যায়। সুতরাং এসব বিচারে আওয়ামীলীগকে আমরা প্রতিক্রিয়াশীল বললে নিজেদের বিএনপিকে তো আরো আগে বলতে হয়।

যাহোক, একটা কথা পরিস্কার বলা দরকার, বিভিন্ন ধরনের লোকে আসার রাস্থা খোলা থাকা আর সবার স্বার্থ সমুন্নত রাখার রাজনীতি আলাদা। বিএনপির প্রথমটি আছে, পরেরটি নেই। আর সমস্ত উদারপন্থা পচে গিয়েছে যেভাবে এখন রাজাকারদের তোষন করছে বিএনপি। সাকা যদি আমাদের কাছে ডানপন্থার প্রতিনিধি হয় তাহলে জামাত আর বিএনপিতে তফাৎটা থাকে কোথায়!

যাইহোক ভাল থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.