নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চাই মধ্য ডানের স্থিতিশীলতা।

নিরপেক্ষ মতামত কখনও মধু কখনও হুল।

মৌ-মাছি

বিরোধীতা বা সমর্থনের চেয়ে নিজস্ব নিরপেক্ষ মতামত প্রকাশে উচ্চকন্ঠ। সুশীল ও স্বাধীন লেখা বা মতামতের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।

মৌ-মাছি › বিস্তারিত পোস্টঃ

অাওয়ামী লীগ কেন ক্ষমতায়, ক্ষমতায় এসে এমন মার দিব, নির্বংশ করে দিব!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:১৪

সারা বিশ্বে কট্টোর পন্থীদের জয়ের একটা হিড়িক শুরু হয়েছে। এক এক সময় প্রগতিবাদীদের অথবা প্রতিক্রিয়াশীলদের জয়ের একটা হিড়িক শুরু হয়, অার সেটা সারা বিশ্বেই প্রায় একসাথে ঘটে থাকে বলে অামার মনে হয়। নব্বইএর দশকের মাঝামাঝি থেকে প্রগতিশীলদের জয়ের একটা ধারা শুরু হয়। অামেরিকায় ডেমোক্র্যাট, ব্রিটেনে লেবার, ভারতে কংগ্রেস, ও বাংলাদেশে অাওয়ামীলীগ। এর পরে নতুন শতাব্দীর শুরুতে প্রতিক্রিয়াশীলরা জয়ী হওয়া শুরু করে। ব্রিটেনে লেবার নিজেই টনির নেতৃত্বে বেশ কিছুটা প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে যাওয়ায় সেটি বাদে উপরের অালোচ্য দেশগুলোতে প্রতিক্রিয়াশীল ও ক্ষেত্রবিশেষে কট্টোর রিপাবলিকান, বিজেপি ও বিএনপি ক্ষমতায় অাসে। তারপর অাবার একটি ধাপে প্রগতিশীল দলগুলোর ক্ষমতা দখলের পালা চলে অাসে। এখন অাবার পাল্টা স্রোত দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিকানরা কংগ্রেসে ফিরে এসেছে, ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে জেতার সম্ভাবনা নেমে যাচ্ছে, টোরিরা ক্ষমতায় ফিরে এসেছে। ভারতে কংগ্রেসের অবস্থান নামছে, কতটা নামছে তা অবশ্য বর্তমানে নিশ্চিত নই। বাংলাদেশে চসিক নির্বাচনে বিএনপি জিতেছে (কতটা দলের জোরে, কতটা ভোট কাটাকাটিতে সেটার বিবেচনা বাদ দেয়া যায়), ঢাসিক নির্বাচনে সরকারী দল হেরে যাওয়ার ভয় পাচ্ছে। পরের নির্বাচনে বিএনপির অাবার ক্ষমতায় ফিরে অাসার সম্ভাবনা জোরালো হচ্ছে। ২০০১ এর স্টাইলে বিএনপি এবারও নির্বাচন কমিশনের প্রতি খানিকটা অনাস্থা দেখিয়ে, প্রধান উপদেষ্টাকে হাল্কা বিতর্কিত করে নির্বাচনে যাবে। সাথে চেষ্টা করবে প্রশাসনকে হাতে রেখে (টাকায় কিনে ফেলে অথবা মাহমুদুরের উত্তরা বৈঠকের অাদলে কাজে লাগিয়ে)। যা হোক এ অবস্থায় বিএনপি সমর্থকরা কেমন বোধ করছেন? কয়েকদিন যাবৎ অাশে পাশে থাকা বিএনপি সমর্থকদের সেই অনুভুতি ও মনোভাবের ব্যারোমিটার দেখার চেষ্টা করছিলাম। তারা কি ক্ষমতায় যাওয়ার দায়িত্বশীলতা অনুভব করছেন নাকি ২০০১ স্টাইলে প্রতিশোধ পরায়নতায় মত্ত হয়ে উঠছেন? দুঃখের বিষয় হল তার পরেরটিই চর্চা করছেন। তাদের প্রতিশোধ পরায়নতা বোধ বিস্ফোরনের পথ খুঁজছে।



বাংলাদেশে সরকারী দলের নেতারা বেপরোয়া অাচরন করে। এটি নতুন কিছু নয়। অাওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয়বাদী, জামায়াত দল নির্বিশেষে এটি সত্যি। কেউ যে ধোঁয়া তুলসী পাতা নয়, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বিশ বছরের তুলনামুলক গণতান্ত্রিক শাসনকালে অাওয়ামীলীগ ও বিএনপির পাল্টাপাল্টি ক্ষমতারোহনে এটা নির্ভেজাল ভাবে প্রতিষ্ঠিত। অাওয়ামী লীগের কিছু নষ্ট লোক জন বেপরোয়া কিছু করে উদাহরণ তৈরী করে। এর পর বিএনপি এসে যুক্তি দেয় অাওয়ামী লীগ ময়লা খেলে কিছু হয় না, অামরা খেলে হবে কেন? এভাবে বিএনপির সব ময়লা খাওয়া বৈধ হয়ে যায় কিছু অাওয়ামী লীগ ময়লা খেয়ে থাকলেই। অামি তাই এই ময়লা খাওয়া অার লেজুর দল (ছাত্র/যুব/মহিলা লীগ/দল) সমুহের কর্মকান্ড এখানে অানব না। এগুলো দিয়ে কারা ভাল, কারা মন্দ এটি বিচার করার কিছু নেই। অাওয়ামী অামলের প্রতিটি মন্দ কাজের বিপরীতে বিএনপি অামলের যুৎসই মন্দ কাজ বলা যাবে, একই ভাবে বিপরীতটিও সত্যি। এখানে ফাঁসির অাসামী ছেড়ে দেয়া, সরকারী দলের সন্ত্রাসে বিরোধী নেতা হত্যা ইত্যাদি সবই অন্তর্ভুক্ত। অামরা বরং বিএনপি সমর্থকদের দীর্ঘমেয়াদী চিন্তাভাবনা গুলো দেখি।



১৯৭৫ সালের পরে বিএনপি সমর্থকরা বিশ্বাস করত অাওয়ামী লীগ অার জীবনেও ক্ষমতায় অাসতে পারবে না। ১৯৯১ এর নির্বাচনে সবাই যখন বলছিল অাওয়ামী লীগ জিতবে, তখন বিএনপি জয়ী হয়ে সমর্থকদের সেই বিশ্বাস কে অাকাশচুম্বী করে দেয়। ১৯৯৬এ লংকাকান্ড করেও অাওয়ামী লীগ একা সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হয়। বিএনপি ১১৬ অাসন পেয়ে যায়। বিএনপি সমর্থকরা একাধারে মারাত্নক বিস্মিত ও ইর্ষান্বিত হয় অাওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে দেখে, অার অপর দিকে কিছুটা অাশান্বিত হয় এত গোলমাল, ১৫ই ফেব্রুয়ারী জোর করে নির্বাচনের পরেও ১১৬ অাসন পাওয়ায়। ১৯৯১ ও ৯৬ এর নির্বাচন হয়ে ছিল ইতিবাচক ও পরিবর্তনের এজেন্ডা নিয়ে। ২০০১ এ বিএনপি ক্ষমতায় অাসে সম্পূর্ণ নেতিবাচক রাজনীতি দিয়ে, নিজে কোন এজেন্ডা নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, বরং অাওয়ামী লীগকে টেনে নামানোর জন্য। অবশ্য একটি এজেন্ডা ছিল -- ভারতকে গ্যাস দেয়ার, নির্বাচনের অাগে তারেক দিল্লী গিয়ে কথা দিয়ে এসেছিলেন, নির্বাচনের পরে সাইফুর মাটির নীচে গ্যাস রেখে কি হবে বলেছিলেন, বিএনপি পন্থী তামিম বলেছিলেন গ্যাস বিক্রি করেই দেয়া দরকার, পরে দরকার হলে ক্যানে করে গ্যাস অানা হবে, অার মাহমুদুর টাটাকে প্রায় বিনা পয়সায় গ্যাস দিয়ে দিচ্ছিলেন। বিএনপি এখন ট্রানজিটেরও পক্ষে। সামনে নির্বাচনে ভারতকে হাতে রাখতে বিএনপির হাতে অার কিই বা করার অাছে।



যা হোক যে কোন ভাবে অাওয়ামী লীগকে ৬০ এ নামাতে পেরে অামাদের বিএনপি সমর্থকরা তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলেছিল। ঘোষনা দিয়েছিল ২১ বছর পরে অাওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছিল। পরের বার অাসবে অারও ২১ বছর পরে। ২০০১ এর নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মাত্রাতিরিক্ততা সেটারই বহিঃপ্রকাশ ছিল। একই ধারায় তারা রাজনৈতিক ভাবে হাসিনাকে গণভবন থেকে বিতাড়িত করে, রেহানাকে দেয়া জায়গায় খালেদা নিজে থানা উদ্বোধন করে। মান্নান ভুঁইয়া ঘোষনা দিয়েছিল পরের নির্বাচনে অাওয়ামী লীগ ৩০ অাসন পাবে। দুঃখের বিষয় এর পরই বিএনপির দুর্দিন শুরু হয়েছে। জিয়ার ক্ষমতা অারোহন অবৈধ হয়েছে, স্বাধীনতার ঘোষনা মুজিবের নামে বলে অাদালত বলেছে, খালেদার সেনানিবাসের বাসা হাতছাড়া হওয়ার পথে, তারেকের কোমড় ভেঙেছে, কোকোর নামে দেশে বিদেশে দুর্নীতির মামলা। অাওয়ামী লীগ ৩/৪ অংশ নিয়ে ক্ষমতায় অাসায় অামাদের বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে মারাত্নক হতাশা ও সেই থেকে হিংসাত্নক ক্ষোভের জন্ম হয়। তারা বুঝতে পারছে, অাওয়ামী লীগকে ৫ বছরের বেশী অার ক্ষমতা থেকে দুরে রাখা সম্ভব নয়। যা হোক এই হতাশা বোধ, অার হিংসাত্নক ক্ষোভ অারো উসকে যাচ্ছে অাওয়ামী লেজুর দলগুলোর বেপরোয়া অাচরনে ও তাদের কাছে মার খেয়ে।



সামনের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় অাসবে। অামাদের বিএনপি সমর্থকরা পরিকল্পনা করছেন কি ভাবে সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে "বিয়ের রাতেই বিড়াল মারবেন" (ঐদিন কতগুলো অাওয়ামীর লাশ পড়বে -- অামার এক পরিচিত জন বললেন "মার তো দিবই, নির্বংশ করে দিব"।) বিডিঅার মামলায় কাকে কাকে রিমান্ডে নিবেন, যেমন চেষ্টা করেছিলেন রমনা বটমুলে বোমা মামলায়। হাসিনা কে মারার জন্য অারেকটি ১৫ অাগষ্ট বা ২১ শে অাগষ্ট ঘটাবেন সেটা তো অামরা প্রকাশ্যেই শুনছি। গামা হত্যায় ২১ জনকে ফাঁসি দিবেন। এত দীর্ঘ মেয়াদী প্রতিশোধ পরায়ণতার প্রস্তুতিতে অামি বিস্মিত। অামরা অাসছি ক্ষমতায়। কাজেই কোনরকমে কয়েকটা দিন পার করতে পারলে হয়। তাই প্রস্তুতি চলছে, পাগলা হাতির প্রমত্ত ভাংচুরের। অামরা কি এই বিএনপি কে ক্ষমতায় চাই? যা হোক অাওয়ামী লীগ যদি বুদ্ধিমান হয় তাহলে তারা পরের বার নির্বাচনে জিতে অাসাকে পুরোপুরি ঝুঁকি পূর্ণ করে হলেও তাদের রাজনৈতিক কাজ গুলো সমাধা করবে, কাজ গুলো হলো, খালেদাকে সেনানিবাস থেকে বের করা (অন্য কথায় সেনা বাহিনীকে দল থেকে বের করে বিএনপিকে জনগণের দলে পরিণত করা), যুদ্ধপরাধীদের বিচার, সংবিধানের যথোপযুক্ত সংশোধন। পরপর দুইবার ক্ষমতায় অাসা জরুরী নয়, জরুরী হল দেশের জন্য দীর্ঘ স্থায়ী গুনগত পরিবর্তন করা। এই কাজ গুলোর সবগুলোই দেশের রাজনীতিকে সুস্থধারায় ফিরে অানতে ব্যপক ভাবে সাহায্য করবে।



ব্যক্তির চেয়ে যদি দল বড় হয়, দলের (বা বাড়ির) চেয়ে যদি দেশ বড় হয়, তাহলে বলতেই হয় দেশের স্বার্থে খালেদাকে সেনানিবাস থেকে বাইর করা হোক, যুদ্বাপরাধীদের বিচার হোক, সংবিধানের যথোপযুক্ত সংশোধন হোক, তারপর বিএনপি ক্ষমতায় অাসুক (যাতে কোন দল মনে করে না বসে যে তারা এসেছে ২৫ বছর ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য), অার অামাদের বিএনপি সমর্থকরা প্রতিহিংসা পরায়নতা বাদ দিয়ে দায়িত্বশীলতার কথা ভাবা শুরু করুক এখন থেকে।

মন্তব্য ৬৪ টি রেটিং +১০/-১৪

মন্তব্য (৬৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:২৮

বাঘ মামা বলেছেন: সহমত



চমৎকার বিশ্লেষণ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৬

মৌ-মাছি বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৩৫

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: দেশের কথা ভাবলে আগে শেখ সেলিম, তাপস, নানক আজম এদএর ধরে বিডিআর হত্যার বিচার করতো। এই কুলাংগারগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে পংগু করে দিয়েছে। এই বিচার করে না কেন? বাড়ই নিয়ে কথা বলতে আসছেন।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৩

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার পোস্টের স্পিরিটের সাথে খুব বেশী সম্পর্কিত বলে মনে হচ্ছে না। আপনি দেশের কথা বাদ দিয়ে দলের দিকটা দেখেছেন।

সেলিম তাপস, নানক, আজম, তোরাব, পিন্টু এদের ঠিক কারা কারা জড়িত এ বিষয়ে রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়া যেতেই পারে। সেটি নিয়ে আমি ভাবিত নই।

একটা ক্যু এর নিয়মতান্ত্রিক বিচার হচ্ছে, আমি এইটুকুকে ইতিবাচক ভাবে দেখতে চাই। এর আগে কোন ক্যু এর বিচার হয় নি (জিয়ার আমলে ২১/৪১ টি ক্যুতে ১১০০ মতন আর্মি মরেছে, এরশাদ আমলে কিছু ছোটখাট ক্যু হয়েছে, ৯৬ এর ২০০৮ এর ক্যু এরও বিচার হবে না হয় তো। আর বিএনপি সাধারণতো কোন বিচার করার পক্ষপাতি হয় না। জিয়া হত্যার বিচারও করা হয় নি একারনে।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ২:৫০

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: ব্যক্তির চেয়ে যদি দল বড় হয়, দলের (বা বাড়ির) চেয়ে যদি দেশ বড় হয়, তাহলে বলতেই হয় দেশের স্বার্থে খালেদাকে সেনানিবাস থেকে বাইর করা হোক

দেশের স্বার্থে কোনটি গুরুত্বপূর্ন বিডিআর হত্যার বিচার নাকি খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ?

কোনটি দলীয় কথা? তদন্তে শেখ সেলিম, তাপস, নানক, আজমদের নাম এসেছে। পিন্টুকে যদি জেলে রাখা হয় তাহলে দেশের স্বার্থে এদএরকে কেন জেলে রাখা হবে না?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০২

মৌ-মাছি বলেছেন: দেশের জন্য দুটোই সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটা দরকার সশস্ত্রবাহিনীকে পরিচ্ছন্ন করতে আর একটি দরকার রাজনীতি পরিচ্ছন্ন করতে। নিয়মতান্ত্রিক বাহিনী চাই, সেনা মুক্ত রাজনীতি চাই।

আমি জানিনা পিন্টু সহ এদের কারা কারা জড়িত। আপনি যে ভাবে বলছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনার কাছে প্রমান আছে, সত্যি থেকে থাকলে সেগুলো বিচারআদালতে জমা দিন। আমি জোর দিচ্ছি জড়িত বিডিআর ও সেনাসদস্যদের বিচারের উপর।

আর আমাদের বিএনপি থেকে রাজনৈতিক অভিযোগের কিছু নমুনা বলি -- রমনা বটমুলের পরে বলা হল হাসান ইমাম জড়িত, ক্ষমতায় গিয়ে কিছু করা হয় নি। ২১ শে আগষ্টে নাকি হাসিনা নিজে বোমা মারতে বলেছে, ক্ষমতায় গিয়ে এটিরও বিচার বিএনপি করবে না করা হবে না। কাজেই শুধু রাজনৈতিক অভিযোগ তোলার জন্য এগুলো বলে লাভ নেই। বিএনপির তোলা অভিযোগ সব সময় গুজব হিসাবে রয়ে গেছে বা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দেখানো দরকার আমরা যে সব গুজব তুলেছি সেগুলো আইন আদালতের মাধ্যমেও টিকেছে। অন্তত আমরা ক্ষমতায় গিয়ে সেগুলোর সত্যতা দেখিয়েছি।


৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০১

সাইক চৌধুরী বলেছেন: ভালো লিখেছেন। আমি মনে করি ধীরে ধীরে আমাদের রাজনীতিও সহনশীল হবে। আমাদের শিশু গনতন্ত্র নিশ্চয়ই একদিন আমাদের চিন্তার মত করে কাজ করবে। তার আগে দরকার তার সঠিক বিকাশ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৫

মৌ-মাছি বলেছেন: ভাল বলেছেন। ২০ বছর একটা দেশের গণতন্ত্রের জন্য তেমন কিছু নয়, বিশেষ করে যেখানে ক্ষমতালোভী সেনাবাহিনী থাকে।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৭

উদাসীফাহিম বলেছেন: ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: ব্যক্তির চেয়ে যদি দল বড় হয়, দলের (বা বাড়ির) চেয়ে যদি দেশ বড় হয়, তাহলে বলতেই হয় দেশের স্বার্থে খালেদাকে সেনানিবাস থেকে বাইর করা হোক

দেশের স্বার্থে কোনটি গুরুত্বপূর্ন বিডিআর হত্যার বিচার নাকি খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ?

কোনটি দলীয় কথা? তদন্তে শেখ সেলিম, তাপস, নানক, আজমদের নাম এসেছে। পিন্টুকে যদি জেলে রাখা হয় তাহলে দেশের স্বার্থে এদএরকে কেন জেলে রাখা হবে না?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৬

মৌ-মাছি বলেছেন: নিজের বক্তব্য কিছু থাকলে বলুন। না হলে কপি পেস্ট নিরুৎসাহিত।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:০৭

নষ্ট ছেলে বলেছেন: বাংলাদেশের হাজারো সমস্যার মধ্যে খালেদার বাড়িটা কত নাম্বার সমস্যা?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৮

মৌ-মাছি বলেছেন: রাজনীতি হল যে কোন দেশের জন্য এক নম্বর সমস্যা।

যা হোক কথা তো সেটাই। আমরা বিএনপি থেকে এটাকেই এক নম্বর জাতীয় সমস্যা বানিয়ে আন্দোলন করার চেষ্টা করছি। সেটিকে আপনার কেমন মনে হয়?

৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৪

মানজুর মজুমদার বলেছেন: খালেদা বাড়ি ছাড়লেই কি রাজনীতি তে সহনশীলতা আসবে?

দেশের স্বার্থে খালেদাকে সেনানিবাস থেকে বাইর করা হোক।
আজব কথা বললেন ভাই! মুক্তমনের অধিকারীরা এটাকে এই মুহুর্তে কোনো প্রবলেম, দেশে আরও অনেক প্রবলেম আছে যেগুলো আপনি এভয়েড করে গেছেন।


০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২০

মৌ-মাছি বলেছেন: সেই গল্পের কথা মনে আছে। মিথ্যা কথা না বলে সত্যি বললে যেমন সব পাপকাজ থেকে মুক্ত থাকা যায়, ঠিক তেমনি রাজনীতি ঠিক হয়ে গেলে দেশের অন্য উন্নতি তর তর করে হয়ে যায়। রাজনীতি ঠিক করা জরূরী। দেশের রাজনীতে সেনা প্রভাব কমানো জরূরী।

৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:১৯

নেক্সাস বলেছেন: ভাইরে দেশে যে বাকশাল চলছে সে ব্যাপারেতো কিছু বল্লেন না....

নাটোরের যে নির্দোষ চেয়ারময়ানটাকে মেরে ফেল্লো তার কথা কিছু বল্লেন না...

গুনগত পরিবর্তন তো করার কথা ছিল আপনার নেত্রীর।কেননা তিনি সো কলড দিন বদলের সরকারের মন্ত্রী।আপনার নেত্রী কে জিঙ্গেস করুন কোথায় দিন বদল হয়েছে গত ২ বছরে

খুনের আসামী বিচারপতি...

খুনের আসামী বেকসুর খালাস পেয়ে ঘুরে বেড়ায়...

প্রতিদিন খবরের কাগজ খু্ল্লে লাঠি সোটা চুরি চাপাতি হাতে দেখা যায় ছাত্রলীগ কর্মীদের....

পিলখানায় সরকারী মদদে ৭৬জন সেনা কর্মকর্তা কে হত্যা করা...

৪০ টাকা কেজি চাল....

এসব কি দিনবদল....??????


বুঝলাম খালেদা জিয়াকে সেনানিবাস থেকে বের করে দিলে দেশের মহা কল্যান হয়ে যাবে...দেশের মানুষ হয়ত এর সুফল হিসেবে ১০ টাকয় চাল খাবে...দেশে বিদ্যুৎ সংকট কমে আসবে...কিংবা বাংলাদেশর হাত ছাড়া হয়ে ভারতের হাতে চলে যাওয়া মধ্যপ্রাচ্যের বিশাল শ্রম বাজার আবার বাংলাদেশের হাতে ফিরে আসবে...।


কিন্তু আমাকে কি বলবেন?
নাটোরের ঐ তরুন চেয়ারম্যানটাকে মেরে ফেলে দেশের কি কল্যান হয়েছে বা হবে?

দেশের কোন কল্যানের স্বার্থে পিলখানায় ৭৬ জন সেনা অফিসার কে মেরে ফেলা হল?


জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে কি কল্যান সাধিত হয়েছে বলবেন কি?



০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৫

মৌ-মাছি বলেছেন: আমি এ সব খুচরা বিষয়ে বলতে চাইনা। উপরের এক প্যারায় সেটা পরিস্কার করে বলা হয়েছে। নাটোরের চেয়ারম্যানের বিপরীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার আছে, বিচারক হিসাবে ফায়েজী আছে, ১৫ আগষ্ট মামলার আসামীদের ছেড়ে দেয়া আছে (জিন্টু আছে), ৪০ টাকা কেজি চাল আমাদেরও আছে।

পোস্টের মুল বিষয় হল ক্ষমতায় গিয়ে যে দায়িত্ব চাপে সেটা উপলব্ধি করা, প্রতিশোধ পরায়নতা দেখানো নয়। আমরা ক্ষমতায় আসছি, তাই প্রতিশোধের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে, সেটাই বিষয়। সেই বিষয়ে বক্তব্য থাকলে বলুন।

৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২১

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: এই না হলে হাম্বা সমর্থক। হাম্বা সমর্থকরা বিনা ফিতে ট্রানজিট দিলেও মেনে নেয়। এখন আসি আপনের কথায়। খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ কেন বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচারের মত গুরুত্বপূর্ন একটু বলবেন কি?

বিডিআর হত্যাকান্ড নিয়ে সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছে সেখানে সরাসরি শেখ সেলিম, নানক, আজমদের নাম এসেছে। কে জড়িত আর কে জড়িত না সেটাতো আরও তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। আমার কথা হলো পিন্টুকে যে অভিযোগে আটকে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে সেই একই অভিযোগে হাম্বালীগের এসব নেতাকেও আটকে রাখা যায়। আপনার দল হাম্বা যদি দেশের স্বার্থকে বড় মনে করতো তাহলে তারা সেটি করতো। শুধু পিনটুকে আটকে না রেখে ওদেরকেও আটকাতো।


হাসান ইমাম অবশ্যই জড়িত ছিল। হাসান ইমাম কে বলেনতো? উনাকে একজন অভনেতা হিসেবেই আমরা চিনতাম। তাহলে আওয়ামিলীগের এত বড় বড় নেতা দেশে ছিল উনি কেন বিদেশে পালিয়ে ছিলেন একটু বলবেন কি?

গ্রেনেড হামলার বিচারেও সকল স্বাক্ষী ও নমুনা (যেমন গাড়ি) ছিল আওয়ামিলীের হাতে। শেখ হাসনা সরকারকে সাহায্য করে নি সঠিক তদন্তে। আর বিএনপি হাম্বাদের মত অতীতমুখী দল নয় তাই এসব বিচার আচার নিয়ে সময়ক্ষেপন কম করে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৩

মৌ-মাছি বলেছেন: প্রথম লাইনে আপনি কিছু অশালীনতা করার চেষ্টা করেছেন। আর আমি কোন দলের সে বিষয়ে আপনার বিষোদগার করার কিছু নেই। মুল প্রসংগে যুক্তি সংগত বক্তব্য না থাকলে মানুষ গালিবাজি ও ব্যক্তিআক্রমন দিয়ে পোষানোর চেষ্টা করে। আমার ব্লগে শালীনতা চর্চা করা হয়। আপনি ভুল করে এই ব্লগে চলে এসে থাকলে সেই বিষয়ে যত্নবান হবেন বলে আশা করছি। এ ছাড়া আপনার বক্তব্য ও মতামতে আপনি স্বাধীন।

হাসান ইমামের বিচার বিএনপি থেকে আমরা কি ২০০১--২০০৬ এ করেছি?

যা হোক আপনার মন্তব্য পোস্টের মুল প্রতিপাদ্য থেকে অনেক অনেক দুরে। দয়া করে পোস্টের প্রসংগ বুঝে মন্তব্য করুন।

১০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আমাদের সেনাবাহিনী বর্তমানে বিশৃখল বাহিনীতে পরিনত হয়েছে, আগেও ছিল, রূপগঞ্জ, ১০ ট্রাক ... এইসব কিছু ঘটলে মানুষ কিছুটা জানতে পারে।
একটা নিয়মিত বাহিনীতে চাকুরি অবস্থায় পরিকল্পিত হত্যাপ্রচেষ্টা, বিষ্ফোরন ঘটানো। যেকোন ground এই এটা গুরুতর অপরাধ, সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড অবধারিত ছিল। নিন্তু খুবই লঘু দন্ড দেওয়া হল

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৬

মৌ-মাছি বলেছেন: হমম সেটা সত্যি। গুরু দন্ড দেয়া উচিৎ ছিল। এ জন্য বিডিআরের (বা অন্যান্য বাহিনীরও) আইন পরিবর্তন দরকার। যার হাতে আস্থার সাথে বন্দুক দেয়া হয় তার হাতে কেউ অনাবশ্যক মারা পড়লে তার শাস্তি মৃত্যুদন্ডই হওয়া উচিৎ।

১১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৭

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: হা হা হা। অশালীনতা? শালীন অশালীনতো আপেক্ষিক বিষয়। এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। হাম্বালীগের গুন গান করে বেড়ালে তাকে হাম্বা সমর্থকই তো বলা উচিৎ। দেশের তাবত সমস্যা বাদ দিয়ে এক হিংসুটে নারী ব্যস্ত কিভাবে আরেকজনকে বাড় থেকে বের করা যায়। আর আপনাদের মত লোকজন বলে সেটা নাকি দেশের স্বার্থে। তাহলে এই ৪০ বছর কি দেশের স্বার্থ লংঘিত হয়েছে? দেশ কি এই বাড়ির অভাবে পিছিয়ে পড়েছে? নাকি ফ্রি ট্রানজিটে পিছিয়ে পরছে। মহাশয় একটু জবাব দিলে বাধিত হতাম। তারপর আলুচনায় আসতাম কোনদল দেশের স্বার্থ দেখে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪১

মৌ-মাছি বলেছেন: আমার মনে হয় মুল প্রসংগে আপনার কোন বক্তব্য নেই। অথবা আপনি প্রসংগ বুঝেন নাই।

আপনি বিএনপিতে লুকিয়ে থাকা রাজাকার (আশা করছি আপনি তা নন) হলেও আমি আপনাকে ট্যাগিং করব না।

ধন্যবাদ, আলোচনায় আসতে চেষ্টা করার জন্য।

১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৭

কলাবাগান১ বলেছেন: "আর বিএনপি হাম্বাদের মত অতীতমুখী দল নয় তাই এসব বিচার আচার নিয়ে সময়ক্ষেপন কম করে।"

আর তাই বিনা বিচারে নির্বংশ করতেই বিনপি আগ্রহী..

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৩

মৌ-মাছি বলেছেন: এটা একটা ভাল কথা বলেছেন।

অপারেশন ক্লিন হার্ট ও ক্রসফায়ার কিন্তু বিএনপির সৃষ্টি। এখন আওয়ামীলীগ সরকারও এগুলো কমবেশী ব্যবহার করছে বলে দেখা যায়।

১৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৯

সাইক চৌধুরী বলেছেন: মৌমাছি, একটি বিষয়ে একটু দ্বিমত পোষন করতে চাই। খালেদা জিয়ার বাড়ির বিষয়টি মনে হয় আদামতেই সমাধান হতে পারত। কিন্তু আপনি কি বিচারক দের রায়টি পড়ে দেখেছেন?

আদালতে রিট করা হয়েছিল, নোটিশ বাতিলের বিষয়ে বা নোটিশ টি অগ্রহনযোগ্য। কিন্তু রায়ে আদালত এমন কিছু বিষয় এনেছে যা পড়ে যে কারো মনে হতে পারে এটা খুবই প্রতিক্রীয়াশীল একটি রায় হয়েছে। রায়ে এমন কিছু বাড়তি বিষয় আদালত সংযোজন করেছে যা তাদের নিরপেক্ষতা কে প্রশ্নযুক্ত করবার জন্য যথেষ্ট। তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই বাড়ির সমস্যা কোনভাবেই জাতির জন্য অগুরুত্তপূর্ন কোন বিষয় নয়। যেহেতু তিনি একজন সক্রিয় রাজনীতিবিদ, সেটা অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্ববহন করে। আমি বরং মনে করি সরকার এমন একটি বিষয়ের অবতারনা করে আমাদের অনেক সমস্যা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করেছেন। একই সাথে বিরোধী দলের দৃষ্টিও দূরে রাখার চেষ্টায় রত।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৯

মৌ-মাছি বলেছেন: আদালত কি করতে পারে আর না পারে সেটি আদালত পাড়ার লোক জন বলতে পারবেন। তবে সুয়োমুটো বা বিচারকের বিচার বুদ্ধি বলে একটা কথা আছে। আইনেও আছে ধর্মেও আছে।

হমম, আপনার মন্তব্যের শেষ অংশের সাথে আমি একমত। বিএনপি কে ব্যতিব্যস্ত রাখছে সরকার। আর দিশাহীন বিএনপি ইস্যুটি একবার আদালতে আরেক বার রাজনীততে আরেকবার মানবিক আবেদনে আরেকবার দয়া দাক্ষিন্যতে নিয়ে যাচ্ছে।

১৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪১

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: কলাবাগান, বিএনপি কাকে নির্বংশ করেছে?

তবে ব্রাদার আগে না করলেও সামনের বার করবে টেনশন নিয়েন না।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৫

মৌ-মাছি বলেছেন: ঠিক এই কথাটাই পোস্টের বিষয় বস্তু।

সামনের বার নির্বংশ করবে। আমাদের প্রতিটি বিএনপি সমর্থক ঠিক এই মনোভাবই চর্চা করছে।

ধন্যবাদ, জেনে হোক আর না জেনে হোক পোস্টের যথার্থতা প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করার জন্য।

১৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৩

নেক্সাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি এ সব খুচরা বিষয়ে বলতে চাইনা। উপরের এক প্যারায় সেটা পরিস্কার করে বলা হয়েছে। নাটোরের চেয়ারম্যানের বিপরীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার আছে, বিচারক হিসাবে ফায়েজী আছে, ১৫ আগষ্ট মামলার আসামীদের ছেড়ে দেয়া আছে (জিন্টু আছে), ৪০ টাকা কেজি চাল আমাদেরও আছে



নিজের বক্তব্যের ফাঁদে নিজে ধরা পরেছেন কিন্তু।


ঘটনার পিছনে ঘটনা দেখানো কিন্তু প্রতিশোধ নিচ্ছেন আর অন্যকে বলছেন আর অন্যকে বলছেন ক্ষমতায় গিয়ে দায়িত্ববোধ দেখাতে


যারা ক্ষমতায় এখনো যায়নি তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে ভাবার আগে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের দায়িত্ববোধ নিয়ে ভাবা বেশি জরুরী।

কি দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে আপনার নেত্রী কিংবা সরকার?

বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে কখন দেখেছেন ছাত্রদলের এমন কাটাকাটি হানাহানি..লুচ্চামী..( যা কিনা নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে)
আপনার নেত্রীর দায়িত্ব ছিল ছাত্রলীগের কুকুরদের সামলানো।

আপনার নেত্রী কি সেটা পেরেছে?


৪০ টাকা চাল আপনাদের ছিল মানে বুঝলাম না।
ধরে নিলাম আপনি বুঝাতে চাচ্ছেন বিএনপির আমলে ৪০ টাকা দর চাল ছিল।এটা একান্তই তথ্যের অপপ্রচার।৪০ টাকা দর চাল ছিল মইন ফখরু ( যা কিনা আপনাদের আন্দোলনের ফসল) সরকারের আমলে।বিএনপির আমলে চাল ছিল সর্বশেষ ২৮ টাকা।
তারপরও ধরে নিলাম বিএনপির আমলে চাল ছিল ৪০ টাকা আর এখনো ৪০ টাকা।তাহলে বলেনতো বিএনপির চাইতে লীগের সুপেরিয়রিটি কোথায়?
আপনার নেত্রী জনগনকে কথা দিয়েছিল ১০ টাকায় চাল খাওয়াবে !!
আপনার নেত্রীর দায়িত্ব ছিল জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা।আপনার নেত্রী সে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে কি?

যখন কিছু হবে টেনে নিয়ে আসবেন অতীত... নিজেরা অপাদামস্তক অতীতমুখী হয়ে বার অন্যকে বলবেন আপনার সামনে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ ....

সত্যি সেলুকাস।
সবাইকে আপনারা গাঁজাখোর ভাবেন তাইনা..??

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৫

মৌ-মাছি বলেছেন: পোস্টে খুচরা বিষয়ে বলবনা বলা সত্ত্বেও লোকে সেইটি নিয়েই পোস্টের সমান মাপের মন্তব্য করে ফেললে নুন্যতম কিছু বলে সেটা অফ করে দিতে হয়।

আওয়ামী দোষ স্খলন নিয়ে আপনি যা বলেছেন, আমি কি কোথাও তার কোন বিরোধিতা করেছি? আমি শুধু বলছি ঐ গুলো আমাদেরও আছে। ওরা ময়লা খেয়েছে, আমরাও খেয়েছি। আমাদের সেটি না করে ভাল পথে চলা উচিৎ। আওয়ামীলীগ আমাদের পীর না যে তাদের অনুসরন করতে হবে। এটুকুতেই এত ক্ষিপ্ত হওয়ার কি আছে।

যা হোক আপনাকে অনুরোধ করছি মেজাজ বজায় রেখে কথা বলতে। তা না পারলে মন্তব্য করার দরকার কি?

১৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৫

নষ্ট ছেলে বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী,
শুধু আওয়ামী লীগের আমলেই সেনাবাহিনী বিশৃঙ্খল বাহিনীতে পরিনত হয় কেন? যেমনটা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর সময়।

আওয়ামী লীগ কি সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ নাকি তারা এখনো সেনাবাহিনী ধ্বংস করে রক্ষী বাহিনী গঠনের স্বপ্ন লালন করে?
যদি তাই করে থাকে তাহলে আরেকটা ১৫ই আগষ্ট অসম্ভব কিছু না!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৬

মৌ-মাছি বলেছেন: জিয়ার আমলে ২১ বা ৪১টা ক্যু হয়েছিল। যেটি নির্দেশ করে সেই সময় সেনাবাহিনীতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছিল। তবে প্রায় সবগুলোতে জিয়া জয়ী হওয়ায় একরকম স্থিতিশীলতা ছিল বলা যায়।

কাজেই শুধু এক আমলেই বিশৃঙ্খল হয়, সেটা ঠিক নয়।

আর শেষ লাইনে যা বললেন সেটাই আমার এই পোস্টের বিষয় বস্তু।
আপনাকে ধন্যবাদ, এই সাহায্য করার জন্য।

১৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৫

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: অপারেশন ক্লিন হার্ট ও ক্রসফায়ার কিন্তু বিএনপির সৃষ্টি। এখন আওয়ামীলীগ সরকারও এগুলো কমবেশী ব্যবহার করছে বলে দেখা যায়।

হায়রে মৌমাছি !!!! দল প্রীতি আর ছাড়লেন না।

সিরাজ শিকদারকে কোন আদালতে বিচার করা হয়েছিল কনে ডেহি?

আর বিএনপিতো কয়ডা হাম্বারে মারসিল অপারেশন ক্লিন হার্ট আর ক্রস ফায়ারে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০২

মৌ-মাছি বলেছেন: হমম, সিরাজ সিকদারকে আওয়ামী লীগ মেরেছিল।

আর অপারেশন ক্লিনহার্টে যদি শুধু হাম্বারে মেরে থাকে (আপনি যেমন বললেন) তাহলে তো আমার পোস্ট আরো যথার্থই হল।

১৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: হাসান ইমাম জরিত না কি ? source টা কি.. দিনকাল পত্রিকা ?

কোন আমলের তদন্তে তার নাম তো শুনলাম না, বানোয়াট জজ মিয়াও তার নাম কইতে ভুইলা গেছিল মনে হয়

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৬

মৌ-মাছি বলেছেন: হমম, সেটাই। বিএনপি থেকে আমরা শুধু গুজব ছড়াইতে পছন্দ করি। কিন্তু কেউ সত্যি জড়িত থেকে থাকলে তার বিচারে আমরা উৎসাহিত নই।

১৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৬

আসক্ত_আমি বলেছেন: কয়েকদিন যাবৎ অাশে পাশে থাকা বিএনপি সমর্থকদের সেই অনুভুতি ও মনোভাবের ব্যারোমিটার দেখার চেষ্টা করছিলাম। তারা কি ক্ষমতায় যাওয়ার দায়িত্বশীলতা অনুভব করছেন নাকি ২০০১ স্টাইলে প্রতিশোধ পরায়নতায় মত্ত হয়ে উঠছেন? দুঃখের বিষয় হল তার পরেরটিই চর্চা করছেন। তাদের প্রতিশোধ পরায়নতা বোধ বিস্ফোরনের পথ খুঁজছে।
যে মার খাইছে রে ভাই ক্ষমতায় গিয়া ক্যামনে ঠিক থাকবো। রাস্তা ঘাটে ফালায়া পিটায়া সাপের মতন মারলেন( সানাউল্লাহ বাবু), ক্ষমতায় গিয়া ঝাল তো মিটাইতে পারেই। ;)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০০

মৌ-মাছি বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টের যথার্থতা প্রমানে আপনার মন্তব্য সাহায্য করবে।

২০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪৬

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: বাই আন্নে আঁর কোন প্রশ্নের জবাব দেন না। খালি পেচান।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৩

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনে প্রসংগে মন্তব্য করুন, আর বিষোদগার বাদ দিয়ে। মনে রাখবেন আমি কাউকে ব্লক করি না, ট্যাগিং করি না, প্রতিটি মন্তব্যের জবাব দেই, আপনার পয়েন্ট যথার্থ হলে মেনে নেই, আর ভুল থাকলে সেটিও দেখিয়ে দেই। এগুলোতে ছোট খাট বিচ্যুতি হলে সেটি শুধু আমার অক্ষমতা

২১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৩

নেক্সাস বলেছেন: ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: হা হা হা। অশালীনতা? শালীন অশালীনতো আপেক্ষিক বিষয়। এক দেশের গালি আরেক দেশের বুলি। হাম্বালীগের গুন গান করে বেড়ালে তাকে হাম্বা সমর্থকই তো বলা উচিৎ। দেশের তাবত সমস্যা বাদ দিয়ে এক হিংসুটে নারী ব্যস্ত কিভাবে আরেকজনকে বাড় থেকে বের করা যায়। আর আপনাদের মত লোকজন বলে সেটা নাকি দেশের স্বার্থে। তাহলে এই ৪০ বছর কি দেশের স্বার্থ লংঘিত হয়েছে? দেশ কি এই বাড়ির অভাবে পিছিয়ে পড়েছে? নাকি ফ্রি ট্রানজিটে পিছিয়ে পরছে। মহাশয় একটু জবাব দিলে বাধিত হতাম। তারপর আলুচনায় আসতাম কোনদল দেশের স্বার্থ দেখে।
০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৪১


.................
লেখক বলেছেন: আমার মনে হয় মুল প্রসংগে আপনার কোন বক্তব্য নেই। অথবা আপনি প্রসংগ বুঝেন নাই।

আপনি বিএনপিতে লুকিয়ে থাকা রাজাকার (আশা করছি আপনি তা নন) হলেও আমি আপনাকে ট্যাগিং করব না।

ধন্যবাদ, আলোচনায় আসতে চেষ্টা করার জন্য।
................


ডার্ক জাস্টিনের বক্তব্যে রাজাকার এর আকার কোথায় পেলেন বোধগম্য হলনা।তবে এটা সহজে বোধগম্য হয়েছে যে আপনি তর্কযুদ্ধ নিতান্তই নাবালক ।ঐ গতানুগতিক অন্তসারশূন্য কথামালা দিয়ে রাজনীতি হয়... ক্ষেত্র বিশেষে ছাগলামী হয়।কিন্তু ডিবেট হয়না....

যাকে তাকে রাজাকার বলা এটা এক ধরণের স্থুল বুদ্ধির পরিচয়।আপনি দায়িত্ববোধ নিয়ে তো বল্লেন।সবার আগে নিজের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করুন।তর্ক করতে গিয়ে নিজের আওয়ামী মতের সাথে না মিল্লে যাকে ইচ্ছা তাকে রাজাকর বলা কোন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:০৯

মৌ-মাছি বলেছেন: ডার্ক এর মত আপনি আসলে আমার কথা বার্ত ঠিক মতো বুঝেছেন বলে আমি মনে করতে পারছি না। শর্তযুক্ত কথা আপনি বুঝবেন না। আমি কাউকে ট্যাগিং করি না, সে বিএনপিতে লুকিয়ে থাকা রাজাকার হলেও (আর ডার্ক যে সে রকম নয় সেই আশাবাদও ব্যক্ত করা হয়েছে।)।

২২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৫

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: শালার ভাদা তুই রাজাকর বলিশ কাকে?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫৯

মৌ-মাছি বলেছেন: যাক গালাগালি শুরু করলেন তাইলে। :) কিন্তু মাত্র এতটুকু কেন। আমি ভাবছিলাম ভিতরে ভিতরে গুমরে গুমরে উঠছে, বমি না করা পর্যন্ত শান্ত হবেন না।

যদি শান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আমরা আরো আলোচনা চালিয়ে যেতে পারি, এখন একটু বিরতিতে যাব অবশ্য। আর শান্ত না হয়ে থাকলে পরের মন্তব্য ইচ্ছামত গালি দিন, সব উগড়ে বের করে দিন। আপনিও শান্তি পাবেন, আমারও ভাল লাগবে। আশা করছি আমি এসে দেখব আপনি শান্ত হয়েছেন, আমরা আবার একটা জমপেশ আলোচনা করার পরিবেশ পেয়েছি।

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০২

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: কোনটা গালি দিলাম। ভাদা যদি গালি হয় তাহলে রাজাকরতো তার থেকে হাজারগুন বেশী গালি। তুমি আমাকে রাজাকর বললা কিভাবে?

হাম্বালীগের ......... না চুষলেই কি রাজাকার?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১১

মৌ-মাছি বলেছেন: আমি কাউকে ট্যাগিং করি না, সে বিএনপিতে লুকিয়ে থাকা রাজাকার হলেও। আর আপনি যে সে রকম নন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে। বাকী টুকু ঠাকুর ঘরে কে রে আমি কি কলা খাই নি বললেন আমার কি খুব বেশী কিছু করার আছে।

মুল প্রসংগে কথা না বলে এদিক সেদিক নিয়ে গিয়ে আমার পোস্টে কোন লাভ নেই।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৪

ডার্ক জাস্টিস বলেছেন: তয় মাম্মা তুমি যে এখন একখান হাচা কথা কইসো এই জন্য একখান পাপ্পি লও :>

কারণ তুমি তো চামে চিকনে আইসা কইতা তুমি নাকি বিএনপি। তয় তোমাগো মত বর্ণচোরা গুলা রেহাই পাইয়ে গেছে আগে। সামনে কোন রেহাই নাই

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১৪

মৌ-মাছি বলেছেন: চামে চিকনে কেন কমু। আমি পরিস্কার করেই বলেছি।

কোন লাভ নেই ভাই। আমাদের মনের গহিনের কদর্য গুলো উগড়ে বের করানো আমার কাজ। এই পোস্টে আপনার ভিতর থেকে কিছু বের করানো গেছে। পোস্টের প্রতিপাদ্যের সাথে আপনার মন্তব্য ও আচরণ সমুহ অনেক মিলে গেছে। এই জন্য অশেষ ধন্যবাদ।

২৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৮

নেক্সাস বলেছেন: যাক এখন ঘুমাতে যাব।আমার কোন কমেন্ট উত্তর দেননি।দিবেন কিভাবে ? উত্তর দেওয়ার মত কোন সৎ যুক্তি আপনার ভান্ডারে নাই।


শুনুন অযৌক্তিক আচরণ পরিহার করুন।আপনি আওয়ামিলীগ করেন তাতে দোষে কিছু নাই।মিথ্যা প্রলাপ যখন বকেন তখন সেটা হয়ে যায় দোষের।

আপনার নেত্রী কে বলুন দেশ নিয়ে যে সর্বনাশা খেলায় তিনি মেতেছেন তার শেষ একদিন হবে।এবং তার জন্য চরম মূল্যও কিন্তু দিতে হবে।
সেদিন শত সুশিলীয় বাণী কাজে আসবেনা।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১৭

মৌ-মাছি বলেছেন: এত তাড়াতাড়ি সৎ সাহসের শেষটা দেখে ফেললেন। হাসি ছাড়া কিই বা বলার আছে আমার। :)

আমি বা আপনি কেউ কাউকে ব্যক্তিগতভাবে নসিহত করার জন্য এই পোস্ট নয়। পোস্টের বিষয় বস্তু আওয়ামী লীগ, বিএনপি তুলনা নয়।

যাক, শেষের প্যারায় যা বলেছেন সেই কথাটিই এই পোস্টের বিষয় বস্তু। আমরা বিএনপি সমর্থকরা প্রতিশোধ স্পৃহায় গুমরে মরছি। মেরে সব নির্বংশ করে দিব।

২৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:৩৭

ক্রিস্টিয়ান বলেছেন: একদম খাঁটি কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সাথেও এব্যাপারে কথা বলেছি। তারা বলে, গতবার যখন বি.এন.পি আসল, তখন ব্ল্যাক লিস্ট করে বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। সামনেও যে করবে, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই, আওয়ামী লীগ চেষ্টা করছে যতটুকু পারাযায় সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করতে। খারাপ যে ঘটনাগুলো ঘটে, এটা আগেও ছিল, যেমন, শিক্ষাংগনে সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, ইভটিজিং, লোড সেডিং, ইত্যাদি।
আওয়ামী লীগের অর্জনও কিন্তু কম নয়,
১।. খাদ্যে সয়ংসম্পুর্ন হওয়ার চেষ্টা,
২।. প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি,
৩।. জঙ্গীবাদকে ব্যাপক হারে কমান,
৪।. বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার
৫।. প্রবৃদ্ধির হার ৬-এর উপরে রাখা
৬।. ট্রানজিট বাস্তবায়নে পদক্ষেপ
৭।. গত দুই বছরে কোন দুর্ঘটনা ছাড়া হজ্ব পালন।
৮।. বিসিএস বা এমবিবিএস-এর ভর্তি পরিক্ষায় প্রশ্ন পত্র ফাঁসের রীতি থেকে বেরিয়ে আসা।
৯।. বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ।
১০।. খুলনা ও চট্টগ্রাম বন্দর উন্নয়ন, পদ্মাসেতু, পাটকল পুনরুদ্ধার প্রকল্প, দুর্ণীতির হার কমানোর চেষ্টা, ইত্যাদি।

বি.এন.পি ক্ষমতায় এসেও যদি এগুলো অব্যহত রাখে, তাহলে আমার বি.এন.পি কে ভোট দিতে সমস্যা কি?

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:১৯

মৌ-মাছি বলেছেন: উপরের গুলি আওয়ামী লীগের জন্য অর্জন নাকি সেটা আমার বিবেচ্য বিষয় নয় আপাতত।

বি.এন.পি ক্ষমতায় এসেও যদি এগুলো অব্যহত রাখে, তাহলে আমার বি.এন.পি কে ভোট দিতে সমস্যা কি? এইটি হচ্ছে মুল বিষয়। বিএনপির আচরনে প্রমানিত হতে হবে যে তারা দায়িত্বশীলতা অনুভব করছে, প্রতিশোধ পরায়ণতা নয়। প্রতিশোধ পরায়নতার অর্থ হল দেশের চেয়ে দল আগে, দলের চেয়ে ব্যক্তি আগে।

২৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:২৬

লালু কসাই বলেছেন: কি খবর ভাহে? বিমপিতে কবে জয়েন কৈরলেন? হামবাগিরি কি ছাড়বেন না!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩১

মৌ-মাছি বলেছেন: মওদুদ আমার নেতা। বিএনপিতে থাকা অসংখ্য নেতাদের মতো যে দল ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় আমি সেই দলে যোগ দিই। পরের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, আমি তাই এখন বিএনপি তে নাম লিখিয়েছি। আপনিও চলে আসুন আওয়ামী লীগ ছেড়ে। :):):)

২৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩০

রাফা বলেছেন: বিরোধী দলীয় নেত্রীকে অবশ্যই ক্যানটনমেন্টের বাড়ি থেকে বের হয়ে আসা উচিত।কারন উনি ওখানে থেকে রাজনিতী করার অর্থ হচ্ছে সেনাবাহিনীকে একটি পক্ষ হিসাবে দাড় করানো ;যা কোন ভাবেই কাম্য নয়।জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই উনার উচিত স্বেচ্ছায় ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে রাজনিতী করা ,আমরা চাই না সেনাবাহিনী বার বার বিতর্কিত হোক।

নেক্সাস ও ডার্ক জাস্টিস সেনাবাহিনীর জন্য এত দরদ কেনো ?মনে রাখবেন সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের জন্যই আমাদের আজকের এই অবস্থা।দুই দুইবার ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেছে এই বাহিনীর কিছু ক্ষমতালোভী জেনারেলরা।তারা যদি দেশের মঙ্গল চাইতো তাহোলে আমরাই পৃথিবীতে উন্নত দেশ হোতাম।কারন স্বাধীনতার পর অধিকাংশ সময় সেনা শাসনই বলবৎ ছিল আমাদের দেশে।ধন্যবাদ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৫:৩৪

মৌ-মাছি বলেছেন: সেনাবাহিনী এই রূপগঞ্জে কি করল। জনগনের জায়গা নিয়ে এই ভাবে সেনাবেগমদের চিরকালীন বরাদ্দ দেয়া কোন ভাবেই দেশের জন্য কল্যানকর হতে পারে না।

২৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৫৫

ধীবর বলেছেন: রাফা... মাথা ঠান্ডা করে এর পর আলোচনা করতে আসুন। সেনাবাহিনীর কারনেই স্টালিনবাদের কুশাসন আমাদের দেখতে হয়নি। আর ভারতীয় মাড়োয়ারিদের চটির তলে মাথা দিয়ে মেরা ভারত মহান বলেই বাংলাদেশ সিকিমের পরিণতি বরণ করেনি।

আমি খুশি আওয়ামি লিগ তার ৭৫ পুর্ববর্তি আচরনে ফিরে গেছে বলে। কেননা তাতে আওয়ামি প্রোপাগান্ডায় বিশ্বাস করে তালে নাচা কিছু অল্প বয়স্কদের সম্বিত ফিরে আসবে। তারা বুঝতে পারবে, আসলেই আঃ লিগ কি চিজ!

লেখক আগে থেকে আওয়াজ দিয়ে কাদের বাচাতে চাইছেন? বাংলাদেশ কারো গোলামি করার জন্য স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্বকে লুপ্ত করার পেছনে যারাই জড়িত তাদেরকে তো বটেই, সাথে তথাকথিত সুশিলতার দোহাই দিয়ে যারা এই বিশ্বাসঘাতকদের বাচানোর চেস্টা করবে, তাদের কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবার বিপক্ষ্যে আমি।

আরেকটা কথা লেখক সাহেব... যখন তর্কে নামবেন, তখন যদি সাধারণ বুদ্ধিমত্তা লোপের আশংকা থাকে, তাহলে সেই পথে না যাওয়াই ভালো। এ পর্যন্ত আপনার বিপক্ষ্যে যে কয়টা মন্তব্য এসেছে, সব কয়টির উত্তর দেবার পরিবর্তে কাতলা মাছের মত পিছলে গিয়েছেন। এ ধরনের মেধা নিয়ে ব্লগ লেখা বোকামি বৈত নয়।

দেশকে ভালো পথে চালাতে চাইলে, দেশদ্রোহি এবং বিদেশের তল্পিবাহক সব রাজনীতিবিদদের প্রয়ান আবশ্যক।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ৭:০৮

মৌ-মাছি বলেছেন: এই ব্যক্তিগত নসিহতে বিষয় গুলো আমরা উপেক্ষা করতে পারি।

কেউ কারো মনের মতো করে না কথা বললেই বুদ্ধিমত্তা লোপ ইত্যাদি বলা কোন ভাল কাজ নয়, তাতে নিজের সম্পর্কেও অন্যের কাছে আমাদের মান প্রকাশ পায়।

পোস্টে আওয়ামীলীগ বিএনপি শব্দ গুলো আনলেই ঐ দলগুলোর আদ্যপান্ত নিয়ে আসা পোস্টের বিষয় বস্তু নয়। পোস্টের বিষয় বস্তু হল বিএনপি সরকারে আসতে যাচ্ছে এ বিষয়ে বিএনপি সমর্থকদের প্রস্তুতি কি ধরনের -- দেখা যাচ্ছে সেটা প্রতিশোধ পরায়ণতা কেন্দ্রিক, দায়িত্ববোধ কেন্দ্রিক নয়। বিএনপি সমর্থকরা ব্যস্তি ব্যস্ত কে কাকে কি ভাবে কতল করবে এই হিসাব নিকাশে। একটা দায়িত্বশীল দলের সমর্থকরা দায়িত্বশীল হবে সেটাই বলা হয়েছে। এখানে কোথাও বলা হয় নাই যে আওয়ামী লীগ পুরোপুরি দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করছে -- এটুকু আমাদের উগ্র বিএনপি সমর্থকদের হলুদ চোখের ভ্রম। পোস্টের লেখক তাই আলোচনা কে সেইদিকে ধাবিত হতে দিতে ইচ্ছুক নয়।

পোস্টের শেষে বলা হয়েছে, দেশের জন্য যে সব ভাল তা কোন দলের জন্য ভাল না হলেও সেগুলো বাস্তবায়িত হোক। তাতে শাসক দল সমুহ পরের নির্বাচনে জিতুক বা না জিতুক কিছু আসে যায় না। দেশ আগে দল পরে। আর সেই বিচারে বিএনপি দায়িত্বশীলতার প্রস্তুতি নিতে থাক, সেই শুভ কামনা রয়েছে।

প্রয়ান বিষয় মন্তব্যটি আমার পছন্দ হয়েছে, যদিও এরকম টি চাওয়া অনুচিৎ। বস্তা পচা নেতাদের সরাতে পারছি না, তাদের হত্যা করতেও পারি না, চাই তাদের স্বাভাবিক মৃত্যু। যেমন সামাদ আজাদ মরেছে, সাইফুর মরেছে। এই ভাবে আরো কিছু নেতা মরে যাক, দেশের রাজনীতি এগিয়ে যাক।

৩০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:০৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আচ্ছা এরা খালি আর্মি-আর্মি করে গলা সুখাই ফেলতেছে কেন বুঝিনা, আর্মির হাতে এতোবার থাপ্পর খাইয়াও শিক্ষা হয় নাই ?

আমার জানা মতে BNP আর্মির হাতে যত বার লাতত্থি খাইছে আন্নান্যরা এতোবার খাইছে কি না সন্দেহ, দুই পোলারে হাড্ডি ভাইঙ্গা দেশের বাইরে .. বাপেরে তো আগেই শেষ করছে ..

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৩

মৌ-মাছি বলেছেন: কিন্তু ক্ষমতায় আসার পিছনে সেনাবাহিনীর সমর্থন অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর ছিল সব সময়। সেই সমর্থন হারিয়ে জনভিত্তি তৈরী করা সম্ভব কিনা এটা নিয়ে বিএনপি নেতৃত্ব সব সময় সন্দিহান।

কোন কোন সময় কেউ কেউ বলার চেষ্টা করে থাকে জিয়াকে মারা হয়েছিল সে সেনাবাহিনী ছেড়ে গ্রামের দিকে দৌড় দিয়েছিল বলে। আর তারেকের মেরুদন্ড ভাঙা হয়েছে কারন সেও সেনাবাহিনীকে টেক্কা দিয়ে গ্রামে গঞ্জে যুবক বাহিনী (লালু, বুলু, দুলু, পিন্টু, জিন্টু, মিন্টু, আলাল, দুলাল এদের নিয়ে) গড়ে তুলে ছিল বলে। সেনাবাহিনীকে ছাড়তে চাওয়ার এই রকম শাস্তি।

৩১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:৪২

""ফয়সল অভি "" বলেছেন: ১৯৭১ থেকে ৭৫ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর শাসনামল, ৭৪ এর দুর্ভিক্ষ ও বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এবং জিয়ার শাসনামল এর জানা অজানা তথ্য নিয়ে পড়ুন > ইতিহাসের কালো অধ্যায়(সম্পূর্ণ)–-সানাউল্লাহ

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩০

মৌ-মাছি বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৫১

বিবেকহীন বলেছেন: আন্নেরে কে জানি ধুরন্দর আম্বালীগার কইছিলো, ভুলিই গেছি। বাংলাদেশে কট্টর ও চরম প্রতিক্রিয়াশীল কিন্তু প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের লিস্ট বানায়, সেই লিস্টে আম্বালীগ আগামী ২৫ বছরের জন্য ১ নম্বর অবস্থানে থাইকবো। যেই দল ক্ষমতার জন্য এরশাদ থেকে শুরু করে মইন্যা চোরা পর্যন্ত সব গুলা সেনা ক্যুতে সহযোগীতা করি আসছে, বিএনপির দুই টার্মে তিন শতাধিক হরতাল করছে, গান-পাউডার আর লাঠি-বৈঠা দিয়া মানুষ মারছে, খুনি আর ভাংচুরকারীরে বিচারপতি বানাইছে সেই দল যদি প্রগতিশীল হয়, তাইলে প্রগতিশীলগো মুখে গনহারে মল ত্যাগ করা উচিৎ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১০ রাত ৮:২৫

মৌ-মাছি বলেছেন: আপনি এমন আওয়ামী স্বভাব পেলেন কোথায় ভাই। আওয়ামী লীগ কিছু হলে আজকাল সবকিছুতে বিএনপি দেখতে পায়। আর বিএনপি দোষত্রুটি কিছু বিশ্লেষন করলেই আওয়ামীলীগ বানিয়ে দেয়। এ সব করে মুল প্রসংগ থেকে সরে যাওয়া যায় না।

বিএনপির ওয়েব সাইট সহ সর্বত্র রক্ষনশীলতা/প্রতিক্রিয়াশীলতা লেখা আছে। নিজের ঘোষনা দেয়া দলকে কি আমি জোর করে প্রগতিশীল বানিয়ে দিলে আপনার দিল খুশ হইত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.