![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজবিন্যাসের ইতিহাস আলোচনা করতে গেলে সর্বপ্রথম আসে নরতত্ত্ব ও জনতত্ত্বের কথা এবং এগুলোর সাথে জড়িত ভাষাতত্ত্বের কথা।সেজন্য বাঙালীর ইতিহাসের গোড়ার দিকের কথা, বাঙালীর নরতত্ত্বের কথা, বিভিন্ন নরগোষ্ঠীর ভাষার কথা, বাঙালীর জন্ম, ভাষা, সভ্যতা, সংস্কৃতির অস্পষ্ট ঊষাকালের কথা প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ। আমি এখানে আর্যদের ইতিহাস, বাংলায় বিভিন্ন শাসনামল, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য যেখানে চর্যাপদ, লোকসাহিত্য, খনার বচন, ছড়া প্রভৃতি সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করব। এগুলোর সাথে নিম্নবর্গকে যুক্ত করা হয়েছে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাঙালি ও বাঙলাদেশ, বাঙালি নারী ও বাঙালি সংস্কৃতি, বাঙালি সংস্কৃতির প্রেক্ষিতে বাঙালি নারীর অবস্থানকে তুলে ধরতে চেষ্টা করব। সবশেষে ভাষা অান্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে নারীর সম্পৃক্ততা তুলে ধরার মাধ্যমে আমার আলোচনা শেষ করব।
আর্যদের পরিচিতি :
খ্রীস্টের জন্মের ১৫০০-২০০০ বছর পূর্বে প্রাচীন আর্যজাতিে এশিয়ার মধ্যভাগে অবস্থিত, মরুময়, পুরাতন আবাসভূমি ত্যাগ করে দক্ষিণদিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। আর্যদের আক্রমণে খ্রীস্টের জন্মের ১৫০০ বছর আগে মিশর ও ব্যাবিলনের প্রাচীন সাম্রাজ্যগুলি ধ্বংস হয়ে যায়। খ্রীস্টপূর্ব ১৬ শতকে আর্যবংশীয় কাশীয় জাতি ব্যাবিলন অধিকার করে নতুন রাজ্য স্থাপন করে। এদের প্রধান দেবতার নাম সূর্য এবং তাদের ভাষা আর্য জাতির অনুরুপ। কাশীয়গণের পবন দেবতার নাম মরুত্তস বা সংস্কৃত মরুৎ। আর্যদের মিশর অধিকারের পর থেকে মিশর, ব্যাবিলন প্রভৃতি প্রাচীন দেশসমূহে লোহার ব্যবহার দেখা যায়। অ্যাসিরিয়াতে ১২ শতকের পূর্বে লোহার ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায় না। চীনে খ্রীস্টপূর্ব উনিশ শতকে লোহার ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়না। ধারণা ব্যবহার করা হয়, প্রাচীন আর্যজাতি লোহার তৈরী অস্ত্রের সাহায্যে প্রাচীন ব্যাবিলন ও অ্যারিসরিয়া রাজ্য জয় করেছিল।
ভারতে আর্যদের আগমন :
আজ অবধি মিশর ও অ্যাসিরিয়াতে যত খোদিত লিপি আবিস্কৃত হয়েছে তা থেকে ঐতিহাসিকরা আর্যবংশীয় মিতান্নিরাজদের একটি বংশতালিকা তৈরী করেন। সেখানে দেখা যায়, দশরত্ত বা দশরথের সময় থেকে আর্যদের অবনতি দেখা যায়। খ্রীস্টপূর্ব ১৩ শতকের মধ্যভাগে আর্যদের অধিকার লু্প্ত হয়। শেষ আর্য রাজা কাষ্টিলিয়াসু আসুররাজ তুকলতিনিনিব কর্তৃক সিংহাসনচ্যুত হন। এশিয়ার দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে আর্যদের অধিকার বিলুপ্ত হলেও পারস্যে তাদের উপনিবেশ স্থাপিত হয়েছিল। পরবর্তীতে, এদের একটি শাখা ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তের পর্বতশ্রেণী অতিক্রম করে পঞ্চনদ প্রদেশে উপনিবেশ স্থাপন করে। ক্রমশ দুই শতাব্দীর মধ্যে উত্তরাপথের অধিকাংশ অধিকার করেন। বৈদিক সাহিত্যে বঙ্গ, পুন্ড্রবর্ধন, মগধ প্রভৃতির উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু এসকল অঞ্চল তাদের অধিকারে ছিলনা।
আজ এ পর্যন্তই। সামনে পরবর্তী অংশ তুলে ধরব।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮
সায়মা বিনতে সামাদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। চেষ্টা করব নিয়মিত লেখার।
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৫
রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: শুভ ব্লগিং
৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৩
সায়মা বিনতে সামাদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:২২
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
good writing, continue korte thaken।
weLcome to the bLog.