নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস ও রাজনীতিতে নিম্নবর্গ হিসেবে নারীর উপস্থাপন (পর্ব-২)।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৯

আজকের পর্বে বাংলায় বিভিন্ন শাসনামল নিয়ে লিখব। প্রথমেই বাংলায় মৌর্য ও শক শাসনামল সম্পর্কে তুলে ধরব।

মৌর্যাধিকার ও শকাধিকার:
আর্যদের আগমনের পূর্বে ভারতবর্ষে দ্রাবিড়, কোল, মুন্ডা প্রভৃতি জাতির অস্তিত্ব ছিল। এদেরমধ্যে দ্রাবিড়রা ভারতবর্ষের বাইরে ব্যাবিলনের বিভিন্ন অংশে তাদের রাজত্ব বিস্তার করেছিল। কিন্তু এরা আর্যদের কাছে পরাজিত হয়। তারা আর্যদের অনেক রীতিনীতি গ্রহণ করলেও ভাষা গ্রহণ করেনি। বঙ্গ ও মগধ খুব বেশিদিন আর্যদের অধীনে থাকেনি। তিন চারশত বছর পর সমগ্র আর্যবর্ত শূদ্র রাজাদের অধীন হয়। ভাষাতত্ত্ববিদগণের মতে, প্রাচীন ভারতের শূদ্রগণ অনার্য বংশোদ্ভূত। এসময় আর্যধর্মের বিপরীতে জৈন ও বৌদ্ধধর্মের আবির্ভাব ঘটে। বর্ধমানে মহাবীরের নির্বাণপ্রাপ্তির অল্পকাল পরে শিশুনাগ বংশীয় মহানন্দের শূদ্রা পত্নীর গর্ভজাত পুত্র ভারতের সম্রাট হয়েছিলেন। এসময় বঙ্গ ও রাঢ় তাদের শাসনাধীন হয়।
শকগণ ক্রমশ মধ্য এশিয়া হতে অগ্রসর হয়ে কপিশা, গান্ধার ও পঞ্চনদের (বর্তমান আফগানিস্তান ও পাঞ্জাব) উপর নিজেদের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। এরা স্বাধীন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু পরবর্তীতে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন
গুপ্ত যুগ :
গুপ্ত রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন চন্দ্রগুপ্ত। তিনি একটি ছোট্ট রাজ্য প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এর সূত্রপাত করেন। পরবর্তীতে তার ছেলে সমুদ্রগুপ্তের সময়ে এরাজ্য সমগ্র উত্তরাপথব্যাপী পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। এরপর তিনি দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করেন। রাজধানী পাটালীপুত্র হতে যাত্রা শুরু করে মগধ ও উড়িষ্যার মধ্যবর্তী বনাঞ্চলের দুইজন রাজাকে পরাজিত করেন এবং ক্রমে কলিঙ্গদেশের পুরানো রাজধানী পিষ্টপুর, মহেন্দ্রগিরি, কোট্টুর, দেবরাষ্ট্র প্রভৃতি রাজ্য তার অধীনস্থ হয়। এছাড়া সমতট (দক্ষিণ বা পূর্ববঙ্গ), ডবাক বা ঢাকা, কামরুপ, নেপাল, কত্রীৃপুর (অভ্র বলে বানান ঠিকমত লিখতে পারলাম না বলে দুঃখিত) প্রভৃতি সীমান্তরাজ্যের নরপতিগণ এবং মালব, যৌধেয়, মদ্রক প্রভৃতি জাতি তাকে কর দিত। পরবর্তীতে তার ছেলে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বা বিক্রমাদিত্য রাজ্যলাভ করেন। তার সময় থেকে গৌপ্তাব্দ গণনা শুরু হয়। ধরা হয় তার রাজ্যাভিষেকের সময়েে এর সূচনা হয়। তিনি তার নামাঙ্কিত রৌপ্যমুদ্রার প্রচলন করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে তার সময়কার রৌপ্যমুদ্রা ও তাম্রলিপি উদ্ধার করা হয়। গুপ্ত যুগে উত্তরাপথের শিল্প উন্নতির চরম সীমায় উত্তীর্ণ হয়। বঙ্গ ও মগধে আবিষ্কৃত নিদর্শনসমূহের সংখ্যা কম হলেও মূর্তিগুলোর শিল্পগুণ অত্যন্ত বিস্ময়কর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.