নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস ও রাজনীতিতে নিম্নবর্গ হিসেবে নারীর উপস্থাপন (পর্ব-২-এর বাকী অংশ)।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮

এখন বাংলায় শাসনামলের বাকী অংশ আলোচনা করব। মুঘল শাসনামল সম্পর্কে
উল্লেখযোগ্য কিছু আমার কাছে নেই। তাই এ সম্পর্কে কোন আলোচনা করব না।

পালযুগ :

তিব্বতদেশীয় লামা তারনাথ তার “বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস”
গ্রন্থে উল্লেখ করেন, তৎকালীন উড়িষ্যায়, বঙ্গে ও পূর্বদেশীয় পাঁচটি প্রদেশে
প্রত্যেক ব্রাক্ষণ, ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য নিজ অধিকারে রাজা হয়ে ওঠে। কিন্তু
সমগ্র দেশের কোন রাজা ছিলনা। এসময় জনসাধারণ তাদের নিজ পছন্দে গোপাল দেবকে
রাজা করেন। গোপালদেবের পূর্বপুরষদের বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। তার বংশধররা প্রায়
৪৫০ বছর রাজত্ব করেন। সন্ধ্যাকরনন্দীর রামচরিত ও ধর্মমঙ্গলে পাল বংশের
বংশতালিকা পাওয়া যায়। পাল বংশের শেষ রাজা আনন্দ পাল।

সেন বংশ :

সেন বংশীয় রাজাদের পূর্বপুরুষ কবে বাংলায় আসেন তা আজও অনির্ণীত রয়ে গেছে।
তাদের শাসনামলের বিভিন্ন তাম্রশাসন ও শিলালিপিতে সর্বপ্রথম সামন্তসেনের নাম
জানা যায়। সকল খোদিতলিপিতে দেখা যায়, তারা চন্দ্রবংশীয় কর্ণাটদেশীয়
ক্ষত্রিয় ছিলেন। চন্দ্রবংশে বীরসেন নামক রাজার বংশে সামন্তসেনের জন্ম। তার
পূর্বপুরুষরা রাঢ় অঞ্চলে বাস করতেন। সামন্তসেন ও তার পুত্র হেমন্তসেনের
সময়কার কোন শিলালিপি বা তাম্রশাসন এখনও আবিস্কৃত হয়নি। রাজশাহী জেলার
দেবপাড়া গ্রাম হতে প্রাপ্ত শিলালিপি ও বল্লালসেনের তাম্রশাসনে বল্লাল সেন ও
বিজয় সেন সম্পর্কে জানা যায়। যা থেকে জানা যায় বিজয় সেনই সেন বংশের প্রথম
স্বাধীন নরপতি। তিনি রাঢ় ও গৌড়েশ্বর ছিলেন।

খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকে বিজয় সেনের ছেলে বল্লাল সেন সিংহাসনে বসেন। বল্লাল সেন “দানসাগর” নামে আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ এবং “অদ্ভূতসাগর” নামক জোতিষশাস্ত্র রচনা করেন। তবে অনেকের মতে, তিনি দানসাগর শেষ করে যেতে পারেননি।তার হয়ে তার গুরুদেব অনিরুদ্ধভট্ট এটি শেষ করেন। এছাড়া তিনি কৌলিন্যপ্রথার প্রচলন করেন।১১১৯ খ্রীস্টাব্দে লক্ষণসেন সিংহাসনে আরোহন করেন।লক্ষণসেনের সময়ে সেন বংশ চরম উৎকর্ষতা লাভ করে।এসময় তার সভা অলঙ্কৃত করেন ধোয়ী, জয়দেব প্রভৃতি কবিগণ। লক্ষণসেন নিজেও সুকবি ছিলেন।তার শাসনামলকে লক্ষণাব্দ বলা হয়।যা মুসলিম বিজয়ের পরও অনেককাল পর্যন্ত মিথিলায় এর প্র্রচলন ছিল যা আজও বিদ্যমান বলে জানা যায়। বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ডঃ কিলহর্ণ গণনা করে জানতে পারেন এ অব্দ ১১১৮-১৯ খ্রীস্টাব্দ থেকে গণনা করা হচ্ছে।


পরবর্তী পর্বে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করব। শুভ অপরাহ্ন। 8-|

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.