নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ

না বলা কথা

সায়মা বিনতে সামাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা ভাষা, সাহিত্য, ইতিহাস ও রাজনীতিতে নিম্নবর্গ হিসেবে নারীর উপস্থাপন (পর্ব-৩)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৭


বাংলা ভাষা ও সাহিত্যঃ

বাংলা সাহিত্যের যুগকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়। যথা- প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ ও আধুনিক যুগ।প্রাচীন যুগ শুরু হয় ৯৫০ সাল থেকে। বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন হলো চর্যাপদ। যা মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে সংগ্রহ করনে।পরে বঙ্গীয় পরিষদের ১৯১৬ সালে হাজার বছরের পুরাণ বাঙালা ভাষায় বৗেদ্ধ গান ও দোহা নামে প্রকাশিত হয়।এতে চারটি পুঁথি ছিল । আর্শ্চযর্চযাচয় টীকাসমেত চর্যাচর্যসবৃত্ত,সহপাদের দোঁহাকোষ, কাহ্নপাদের দোঁহাকোষ ও ডার্কাণব।হরপ্রসাদশাস্ত্রী এর নামকরণ করনে র্চযার্চযবিনিশ্চয়।টীকাকার মুনদিত্তরে মতে, এটি প্রাকৃত ভাষায় রচিত এবং এর ভাষা সান্ধ্যভাষা।

এ চর্যাগীতিগুলো মন্ত্র হিসেবে গ্রাহ্য হয়েছিল। আনুমানিক ৮ম শতক থেকে চর্যার বিচরণ শুরু। সেসময় থেকে বৌদ্ধধর্মে তন্ত্রযানের সূত্রপাত হয়। এর আগে হীনযান ও মহাযান মতপার্থক্য হয়ে বৌদ্ধধর্মে তন্ত্রযানের শুরু হয়। যেকোন ধর্মের মূল মতের গভীরে পরবর্তীকালে গূঢ় চেতনার অভ্যুদয় ঘটে, যেমন- ইসলাম ধর্মের সুফীবাদ, হিন্দু ধর্মের তান্ত্রিক মত। বৌদ্ধ ধর্মের তান্ত্রিক মতগুলোর মধ্যে রয়েছে- কালচক্রযান, বজ্রযান এবং সহজযান। চর্যাপদ রচয়িতারা হলেন বজ্রযানি। বজ্রযানি মতে বোধিচিত্ত বজ্রভাব সম্পন্ন হলে সাধনার ক্ষেত্রে বোধিজ্ঞান লাভ হয়। বোধিচিত্ত বা পরিশুদ্ধ বোধিচিত্ত হলো বুদ্ধের গুণসম্পন্ন বা বুদ্ধত্ব অবলম্বন করার শামিল, তা করুণাসম্পন্ন,
পরমার্থিক অর্থে চিত্তের বুদ্ধত্ব লাভ। তাই বজ্রের মতো কঠিন, কঠোর স্থির সাধনা দ্বারা তা সম্ভবপর হয়। এ কারণে সহজ কথায় এর ধারণা দেওয়া যায় না, ইঙ্গিত বা গুহ্যভাব পদ্ধতির পরিভাষা তৈরী করার জন্য চর্যাপদ রচনা করা হয়েছে।

চর্যাগীতি আবিষ্কারের ফলে উত্তর পূর্ব ভারতের নব্য আর্যভাষা যাকে পূর্ব প্রাকৃত ভাষা বলা হয়েছে তার মূল সম্পর্কে জানা যায়। মূল হলো প্রাচীন বঙ্গভাষা। এর মাধ্যমে শুধু বাংলা নয় বরং প্রাকৃত ভাষার অন্যান্য রুপ বিবর্তনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা যায়। চর্যাপদের বিভিন্ন পদে গ্রাম্য জীবনের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে নিম্ন ও উচ্চবর্গের উপস্থিতি রয়েছে। যেখানে উচ্চবর্ণের লোকেরা গ্রামের কেন্দ্রে বাস করত এবং নিম্নবর্ণের ডোম, চন্ডাল, শবর প্রভৃতিরা গ্রামের প্রান্তে বাস করত। নারীদের মধ্যে যারা অন্ত্যজ তারা নাচ, গান ও মদ তৈরী করত।

মেয়েদের সতীত্বকে গুরুত্বের সাথে দেখা হতো। চর্যাপদ বাঙালী জীবনকে বিধৃত করা হলেও ঐতিহাসিকভাবে নির্ণীত হয়নি যে চর্যাপদে সর্বদা বাঙালী জনজীবন ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। চর্যাপদের যুগে বাঙালী সমাজে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটেছিল শ্রেণীবৈষম্য ও বর্ণাশ্রম বিধানকে কঠোর থেকে কঠোরতর করা হয়েছিল তার আভাষ পাওয়া যায়। তখন সমাজে ধনীদের সংখ্যা কম ছিল। যারা ছিল তারা সহজেই গরীবদের পদদলিত করতে পারত। এ নির্যাতন অস্পৃশ্য ধারণা বা ছুৎ মার্গতা থেকে হয়েছিল। লোকালয়ের বিভিন্ন ছবি এতে দেখা যায়। যেখানে নিতান্ত অবজ্ঞাত, অবহেলিত ও আর্থিক দিক থেকে অস্বচ্ছল লোকেরা সাধারণ জীবনযাপনে ন্যূনতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিল।

নগর বাইরি রে ডোম্বী তোহোরি কুড়িআ
ছোই ছোই জাই সি ব্রাক্ষণ নাড়িআ 


 নগর বাইরে ডোম্বীর কুড়ে, ব্রাক্ষণনেড়েকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।

এখানে দুটি বিপরীত চিত্র রয়েছে। ডোম্বীকে লোকালয়ের বাইরে বাস করতে হয়। কিন্তু কারণবশত বা বাধ্য হয়ে সে ব্রাক্ষণ নেড়েকে ছুঁয়ে দেয়। এর অর্থ হচ্ছে ডোম্বীকে বাধ্য হয়ে বিভিন্ন কারণে লোকালয়ে আসতে হয় আর যে পথে ব্রাক্ষণ হেঁটে যায় বা তার দৃষ্টি পড়ে সে পথে ডোম্বী হাঁটে। অন্য একটি চর্যায়-

টালত মোর ঘর নাহি পড়বেষী
হাড়ীত ভাত নাহি ণিতি আবেশী

 টিলার উপর আমার ঘর কোনও প্রতিবেশী নেই, হাড়িতে ভাত নেই নিত্য উপোস দিতে হচ্ছে।

শুধুমাত্র অস্পৃশ্যতার জন্য দুর্ভোগ্য জীবন, এখানে লোকালয়ের বাইরেও স্থান হয়নি, ব্রাক্ষণ চলিত পথ মাড়ানোও নয়, একেবারে টিলার উপরে ঘর, এখানে কেউ যেতে পারেনা, আশেপাশেও কেউ নেই। তাই তেল নুন সংগ্রহ করা যায় না। টিলার উপর পানি সংগ্রহ করা কষ্টকর। অস্পৃশ্যতা ও দারিদ্র একসঙ্গে দেখা যায়।

উপরোক্ত শ্লোক দুটি থেকে বোঝা যায় যারা অস্পৃশ্য তারা দরিদ্রও। তাদের বাস করতে হয় লোকালয় ছেড়ে দূরে সকলের ছোঁয়া বাঁচিয়ে। তাদের এ জীবনের বর্ণনা চর্যাকাররা তাদের রচিত পদাবলীর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। সামাজিক জীবনে পুরুষের একচ্ছত্র অধিকার ছিল না। অন্তত নিম্নশ্রেণীর নারীরা স্বেরীণী ছিল। তবে সাধারণ নারীরা উপেক্ষিত ছিল। নারীকে ভোগের সামগ্রী মনে করা হলেও বিদূষী নারীর ভূমিকাকে অস্বীকার করা হয়না। ধর্মীয় কারণেও তারা উপেক্ষিত ছিল। বে․দ্ধ ধর্মে নারীকে অবহেলা করা হয়েছে, বলা হয় নারী সকল অনিষ্টের মূল২ (চর্যাপদঃ তাত্তি¡ক সমীক্ষা- সাঈদ শামসুল, আলম)।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম নিদর্শন হলো খনার বচন, ডাকের বচন, রুপকথা, ছড়া, প্রবাদ প্রবচন ইত্যাদি। এসবের মূল বিষয়বস্তু হয়তো খুব প্রাচীন। কিন্তু এসব বাংলার লোক সাহিত্যের অন্তর্ভূক্ত। কিছু কিছু সাহিত্যজ্ঞানযুক্ত। লোকের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে। এদের এত অদল-বদল হয়েছে যে তার বর্তমান রুপ ও প্রাচীন রুপের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি হয়েছে। ধরা হয়ে থাকে মোটামুটি প্রায় হাজার খানেক বছর পূর্বে বাংলা ভাষা জন্মগ্রহণ করে। বাংলা সংস্কৃতি বলতে কি বোঝানো হবে সেটা নিয়েও নিম্নবর্গীয় ধারণা যুক্ত। বাঙালী সংস্কৃতি বলতে সাধারণত ইংরেজ আমলের শিক্ষিত বাঙালী সমাজের জীবনযাত্রা ও তার বাস্তব ও মানসিক সৃষ্টিসমূহকেই বোঝানো হয়। কিন্তু এদের বাইরেও বাঙালী জনসমষ্টি রয়েছে। কিন্তু তাদের সেই লোক সংস্কৃতির ধারাকে গ্রহণ করা হয়না। এর মাধ্যমে বাঙালী সংস্কৃতির মধ্যেও উচ্চ ও নিম্ন দুই শ্রেণীর বিভাজন ক্সতরী হয়৩ [বাঙালী সংস্কৃতির রুপ (১৯৪৪-১৯৪৬ইং) -হালদার, গোপাল]।

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন ছড়ায় আমরা অতীত সমাজের খন্ডচিত্র দেখতে পাই। যা থেকে বহু বিস্মৃত ইতিহাস খুঁজে পাই। সে ইতিহাস যেমন প্রীতি-প্রেমের তেমনি নানা সামাজিক প্রথা ও আচার বিচারের নিগড়ে আবদ্ধ। যা এক অলিখিত ইতিহাস।বাংলার লোকসাহিত্যে নারীকে বিভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আট বছরের গে․ড়ী নয়ে নাই সে পড়ে। এমন সোনার গে․ড়ীরে কেমনে রাখি ঘরে। এভাবে বিভিন্ন ছড়ায় বাল্যবিবাহকে তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দু ধর্মের গে․রীদান প্রথা সম্পর্কেও ধারণা পাই ৪(বাংলার মুখ-ডঃ সিদ্দিকী, আশরাফ)।

বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগ শুরু হয় ১২০০-১৮০০ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত। এসময়ে সাহিত্য মূলত ধর্মনির্ভর ছিল। প্রথমদিকে পদ্যমূলক হলেও পরবর্তীতে গদ্যধারার প্রচলন হয়। এসময় রচিত হয় শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী, মঙ্গলকাব্য, রোমান্টিক কাব্য, পুঁথি সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, লোক সাহিত্য, মর্সিয়া সাহিত্য। এসময় মুসলিম কবিরা রোমান্টিক কাব্য ও হিন্দুধর্মাবলম্বীরা দেবদেবীনির্ভর ধর্মীয় সাহিত্য রচনা করেন। প্রাচীন যুগে সাহিত্যের কি বৈশিষ্ট্য ছিল ব্যক্তি, মধ্যযুগে ধর্ম আর আধুনিকযুগে মানবতা। আধুনিক যুগের কবি হলেন ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত, ররীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমূখ।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জন্মলগ্ন থেকে উচ্চশ্রেণীর অত্যাচার অবহেলার শিকার। দশম শতকে যখন বাংলা ভাষার জন্ম হয় তখন উচ্চশ্রেণীর ভাষা ছিল সংস্কৃত। তখন সাধারণ মানুষের মাধ্যমে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ঘটে ও চর্চিত হয়। পরবর্তীতে ইংরেজ আমলে মুসলিম সমাজ সংস্কৃতির বদলে ফারসি ও ইংরেজী ভাষাকে গ্রহণ করেছে। সাধারণ মানুষ তাদের সংগ্রামে একে ব্যবহার করেছে। তারাই একে ভালবেসেছে ও চর্চা করেছে। বাংলা সাহিত্যের বয়স এক হাজার বছরের বেশি। বর্তমানে বাংলা সাহিত্যের দুটি ভাগ দেখা যায়। একটি অংশ কবিতা ও অন্যটি গদ্য। যে গদ্যে লেখা হয় গল্প, উপন্যাস, নাটক প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্যে কবিতা উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করে আছে। ১৮০০ সালের পূর্বে গদ্য প্রায় ছিলই না। কবিরা ছন্দের মাধ্যমে বিভিন্ন্ চিত্র তুলে ধরেছেন ৫ (উইকিপিডিয়া)।

বাঙালি ও বাঙলাদেশ ঃ

বাঙালির সাধারণ রুপ হচ্ছে তারা ইংরেজদের মতো ধবধবে সাদা নয় আবার নিগ্রোর মতো মিশমিশে কালো নয়। তাদের উচ্চতা ৫-৬ ফুটের মধ্যে। এটা বাঙালিদের সাধারণ রুপ। বাঙালিদের বিবর্তনের ইতিহাস নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। নৃতাত্তি¡কদের মতে, বাঙালিদের পূর্বপুরুষ হলো সিংহলের ভেড্ডারা। এরা অনেক আগে সারা ভারতে ছড়িয়ে ছিল। তবে আমরা বাঙালিরা অনেক রক্তধারার মিশ্রণ। ভেড্ডা রক্তধারার সাথে আরেকটি রক্তধারার মিলন ঘটে মঙ্গোলীয়। এরপর আসে ইন্দো-আর্যরা। এদেরপর শকেরা আসে পারস্য থেকে। এদের পর আরো অনেক রক্তধারার সম্মিলন ঘটে বাঙালীদের মধ্যে। তবে বাঙালি মুসলমানরা প্রকৃতই বাঙালি। এদের পূর্বপুরুষরা ভিন্ন ধর্মের ছিল। যারা নিম্নবর্ণেরহিন্দু, বৌদ্ধ প্রভৃতি। এরা উচ্চবর্ণের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বা বিজয়ী শক্তিরমোহে বা ধর্মীয় মোহে মুসলমান হয়।

ভাষার জন্ম হয়। বাংলা ভাষারও হয়েছে। কিন্তু কালের আবর্তে এটি রুপ পাল্টেছে, বিকশিত হয়েছে। হাজার বছর পূর্বে যখন বাংলা ভাষার উৎপত্তি ঘটে তখন এর রুপ, বর্ণমালা, শব্দগঠন এখনকার মতো ছিলনা। বাংলা ভাষা পুরোনো ভাষার ক্রমবদলের ফল। এর নাম প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা। এ ভাষা মানুষের মুখে মুখে বদলে হয়েছে বাংলা ভাষার রুপ নিয়েছে। ভাষা কিছু নিয়মের মাধ্যমে পাল্টায়। প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষা পরিবর্তিত হয়ে পালি ভাষায় রুপান্তরিত হয়। পালি ভাষায় বে․দ্ধরা তাদের ধর্মগ্রন্থ ও বিভিন্ন বই লিখেছেন। এ ভাষা পাল্টে প্রাকৃত ভাষায় রুপলাভ করে। এতে হাজার বছরেরও বেশি সময় লাগে। এভাষা আবার রুপ পাল্টায় এবং নতুন ভাষা
বাংলার উৎপত্তি হয়।

আজকের বাংলাদেশ পূর্বে বিভিন্ন খন্ডে বিভক্ত ছিল। এর বিভিন্ন নাম ছিল। বঙ্গ, বাঙ্গালা প্রভৃতি নামে পরিচিত ছিল। সম্রাট আকবরের সভারত্ন আবুল ফজল এ প্রসঙ্গে বলেন, বঙ্গ শব্দের সাথে আল শব্দটি যোগ করে হয়েছে বাঙ্গাল বা বাঙ্গালা। আল কাকে বলে? এদেশে আছে খেতের পর খেত; এক খেতের সাথে অন্য খেত যাতে মিশে না যায় তার জন্য থাকে আল। আল বলতে বাঁধ বোঝায়। আল বা বাঁধ ছিল বলেই এ অঞ্চলের নাম বাঙ্গালা। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়। বাংলার একটি বড় অংশ হয়ে ওঠে পাকিস্তানের উপনিবেশ। নতুন নামকরণ হয় পূর্ব পাকিস্তান। কিন্তু বাঙালিরা এ নাম গ্রহণ করতে পারেনি। ১৯৭১ সালে জন্ম নেয় নতুন বাংলাদেশ ৬ (লাল নীল
দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী- ডঃ আজাদ, হুমায়ূন)

আজকের মত বিদায়। শুভ রাত্রি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.