![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
প্রিয় পাঠক, কিছু কিছু গল্প থাকে যে গল্পে মূল গল্পের চেয়ে গল্পের ভূমিকাটাই বড় হয়। আর কোন কারনে গল্পটি যদি হয় ব্যক্তিগত কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতার গল্প তাহলে সেখানে ভুমিকার অবস্থা হয় অনেকটা 'বার হাত কাঁকুরের তের হাত বিচির' মত অবস্থা। এই গল্পেও অনেকটা সেই রকম হয়েছে। তাই পাঠকদের একটু ধৈর্য সহকারে পড়ার অনুরোধ করছি। তবে কেউ চাইলে এই ভূমিকাটুকু বাদ দিয়ে মূল গল্পে যেতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে একটু নিচের দিকে এখনই চলে যেতে হবে।
আমার নানার বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া ছিলেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার। তার চাকরী জীবনের একটা দীর্ঘ সময় তিনি চট্রগ্রামে কাটিয়েছিলেন। একবার এক কুখ্যাত ডাকাতকে ধরার কারনে তৎকালীন ইংরেজ সরকার তাকে কিছু নগদ অর্থ প্রদান করে। এই টাকা দিয়ে তিনি একটি জমি কিনেন। আমার নানা চট্রগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হবার পর নানার বাবা সেখানে একটি বাড়ি বানান।
ডাক্তারী পাশ করার পর আমার নানা সরকারী ডাক্তার হিসেবে কুমিল্লাতে যোগদান করেন। নানার বাবা তার পৈত্রিক ভিটা ফেলে চট্রগ্রামে থাকার ব্যাপারে রাজি ছিলেন না। তাই বাড়িটি এক হিন্দু ব্যবসায়ীর কাছে ভাড়া দিয়ে দেয়া হয়।
এইভাবেই চলছিল। নয় মাস যুদ্ধের পর বাংলাদেশ তখন মাত্র স্বাধীন হয়েছে। যুদ্ধ শেষে অনেকের অনেক সম্পত্তি বেদখল হয়ে যাচ্ছিল। যুদ্ধের এই কয় মাস চট্রগ্রামের বাড়ির কোন খবর নানারা নিতে পারেন নি। তাই নানার বাবা নানাকে চট্রগ্রামে পাঠালেন, বাড়ির অবস্থা দেখার জন্য। এসে দেখলেন, পুরো বাড়ি ঘাস লতাপাতায় ছেয়ে গিয়েছে। ম্যাসাকার অবস্থা। বাড়ি তালাবদ্ধ। আশে পাশে খোঁজ নিয়ে নানা জানলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে সেই হিন্দু ব্যবসায়ী ভারতে পালিয়ে যান। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বাড়িটি খালীই পড়েছিল।
এরপর নানা লোকজন ডেকে বাড়িঘর পরিষ্কার করার কাজে হাত দেন। বাড়ির ভিতরটা পরিষ্কার করার সময় শ্রমিকরা নানা রকম অদ্ভুত জিনিস পায়। যেমন, নানারকম কাপড়ের মূর্তি, ছোট কিছু মাথার খুলি, লালচে রং এর কিছু কাপড়, নানারকম সুগন্ধী আর একটা রুমের মেঝেতে কিছু নকশা করা আলপনা। ব্যাপারতা ঠিক স্বাভাবিক মনে না হওয়ায় নানা একটু খোঁজ খবর লাগালেন। কিন্তু তেমন কোন খবর পেলেন না। নানার এক খালাত ভাই ছিল জামাল নানা, যিনি চট্রগ্রামেই থাকতেন। তিনি সব কিছু দেখে বললেন, এই বাড়িতে তন্ত্রমন্ত্র বা ডাকিনী বিদ্যা চর্চা হতো। সব শুনে আমার নানা কিছুটা ঘাবড়ে গেলেন। বাড়ি পরিষ্কার করার জন্য যে সব শ্রমিকদের আনা হয়েছিল, কোন শ্রমিক এই সব জিনিস ধরতে রাজি ছিল না। শেষ মেষ বাধ্য হয়ে আমার নানা আর তার সেই ভাই মিলে সব অদ্ভুত জিনিসগুলো দূরে নিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দেন। তারপর আরো লোকজন ডেকে পুরো বাড়ি রংটং করে একে বারে ঝকঝকে করে ফেলেন। একজন কেয়ারটেকার আর জামাল নানাকে বাড়ি পাহারা দেয়ার দায়িত্ব দিয়ে তিনি নোয়াখালী ফিরে আসেন।
আমার নানি তখন গর্ভবতী। আমার মেজখালা তখন আমার নানীর পেটে। নানীর শরীর বেশি ভালো ছিল না, আমার নানা চেয়েছিলেন নানিকে চট্রগ্রামে কিছুদিন এনে রাখবেন। তাই দুই দিনের মাথায় আমার নানা, নানি, আমার মা, বড় মামা ও নানির এক বোনকে নিয়ে চট্রগ্রামে চলে এলেন। এসে দেখলেন বাড়িতে কেউ নেই। কিছুক্ষন ডাকাডাকি এবং খোঁজাখুঁজির পর পাশের বাড়ি থেকে জামাল নানাকে পাওয়া গেল। তার চোখের নিচে কালি, মাথার চুল উস্কুখুস্ক হয়ে আছে। ঘটনা কি জানতে চাইলে, জামাল নানা যা বললেন তা অনেকটা এই রকম ছিল যে, রাতে তারা ঘুমাচ্ছিল, হঠাৎ কেন যেন তার ঘুমটা ভেঙ্গে যায়। চোখ মেলতেই তিনি কেমন যেন একটা বোটকা গন্ধ পান। মাথা ঘুরিয়ে দরজার দিকে তাকাতেই হারিকেনের মিটিমিটি আলোয় তিনি দেখলেন দরজার সামনে মানুষের মত্ দেখতে কালো রোমশ, বিভৎস মুখমন্ডলের একটা বিচিত্র প্রানী দাঁড়িয়ে আছে। এ দেখে তিনি ভয়ে সাথে সাথে চিৎকার দেন। চিৎকার শুনে মাটিতে শুয়ে থাকা কেয়ারটেকার লাফ দিয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়ে। কেয়ারটেকারকে ব্যাপারটা খুলে বলেন। কেয়ারটেকার ছিল মোটামুটি সাহসী। সে বাইরে হারিকেন নিয়ে কিছুক্ষন হাকাহাকি করলো। তারপর ফিরে এসে ব্যাপারটাকে স্বপ্ন বলে ব্যাখ্যা দিয়ে জামাল নানাকে ঘুমিয়ে পড়তে বলে সে ঘুমিয়ে পড়ল।
সকাল বেলা ঘুম কেয়ারটেকারের হৈচৈ এ জামাল নানার ঘুম ভাঙ্গে। তিনি ঘটনা কি জানতে চাইলে কেয়ারটেকার বলে কে যেন বাড়ির পিছনে একটা মরা কুকুরের লাশ ফেলে গিয়েছে। জামাল চাচা কুকুরের লাশটা দেখলেন প্রায় অনেকটা পচে গন্ধ বের হচ্ছে। রাতের ঘটনার কথা মনে করে তারা দুইজনেই কিছুটা ভয় পেলেন। কিন্তু তারা কেউই মুখে কিছু বললেন না। শেষে কেয়ারটেকার আর তিনি মিলে কুকুরের অর্ধপচা লাশটিকে বাড়ির পেছনে মাটি চাপা দেন।
সেই রাতে তারা রাতের খাবার খেয়ে রুমে আর রুমের বারান্দায় হারিকেন জ্বালিয়ে শোয়ার ব্যবস্থা করেছিল। সারাদিন কাজ করে তারা দুইজনের মোটামুটি ক্লান্ত ছিল। তাই বিছানায় যাওয়া মাত্রই তারা ঘুমিয়ে পড়েন। প্রায় আনুমানিক প্রায় শেষ রাতের দিকে আবারো কোন কারনে জামাল নানার ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘুম ভেঙ্গে দেখেন কেয়ারটেকার সাহেবও জেগে গিয়েছেন। ঘর ভর্তি কেমন যেন একটা প্রচন্ড বোটকা গন্ধ। তারা দুইজন ঘরের দরজা খুলে বারান্দায় এসে একটা ভয়াবহ জিনিস দেখলন। সারা বারিন্দা জুড়ে কিসের যেন নাড়ি ভূড়ি ছড়ান। এই দেখে তিনি সেখানে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান। ঘুম ভেঙে তিনি নিজেকে পাশের বাড়িতে আবিষ্কার করেন।
এই সব কথা শুনে আমার নানা কিছুটা বিরক্ত হলেন। হাজার হোক ডাক্তার মানুষ, ভূতপ্রেত জাতীয় জিনিসে বিশ্বাস করতে কেমন যেন তার গায়ে লাগে। তিনি ব্যাপাটা মোটেই পাত্তা দিতে চাইলেন না। তিনি জামাল চাচাকে বললেন, এতদিন এই বাড়িতে কেউ ছিল না, একা একা থাকার ফলে হ্যালুসিনেশন হয়েছে। জামাল চাচা কোন ভাবেই তার কথা মানতে চাইলেন না। পরে বাধ্য হয়ে নানা হুজুর ডাকলেন। হুজুরকে দিয়ে বাড়ি বন্ধ করালেন। হুজুর যাওয়ার সময় বলে গেল, এই বাড়িতে খারাপ জ্বীনের আসর আছে। তিনি সাময়িক হয়ত একটা ব্যবস্থা করতে পারবেন। কিন্তু এটার সমাধান করা তার কাজ নয়। তিনি একজনকে চিনেন, যিনি এই কাজ করতে পারবেন।
সব কিছু শুনে আমার নানী এবং অন্যান্যরাও নানাকে অনুরোধ করল সেই বড় হুজুরকে খবর দিতে। সবার চাপে বাধ্য হয়ে নানা সেই বড় হুজুরের জন্য খবর পাঠালেন।
বাড়ি এখন মোটামুটী সরব। অনেক মানুষ আসছে নানার সাথে দেখা করতে। আমার আম্মারা বাড়ির সামনে খালি জায়গায় খেলা ধুলা করছে। মোটামুটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এর মধ্যে সেই হুজুর খবর নিয়ে এল, বড় যেই হুজুরের সন্ধানে তিনি গিয়েছিলেন, তিনি কোন একটি বিশেষ কাজে কুমিল্লা গিয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ফিরবেন। নানীর অনুরোধে নানা হুজুরকে কিছুদিন এই বাড়িতে থাকার অনুরোধ করলেন।
যাই হোক এই ভাবেই চলছিল। এক সময় আমার নানীর ডেলীভারির টাইম হলো। নোয়াখালী থেকে আমার নানার বাবা আর মা চট্রগ্রাম এলেন। আমার মেজ খালা জন্ম নিলেন। নতুন বাচ্চাকে দেখতে বাড়িতে অনেক মানুষ।
একদিন সন্ধ্যায় পরিবারের সবাই মিলে বারান্দায় গল্প করছিল। পাশের রুমেই খাটে মধ্যে আমার আম্মা আর বাচ্চা মেজ খালা ঘুমিয়ে আছে। হঠাৎ আমার আম্মু বারান্দায় এসে বলে, বাবু কই? এই প্রশ্নে সবাই লাফিয়ে উঠে। গিয়ে দেখে খাটের মধ্যে বাবু মানে আমার মেঝখালা নেই। আমার নানী তো কান্না কাটি শুরু করলেন। সবাই মিলে সব রুম বাড়ির আশে পাশে খোঁজা শেষ করল। কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। আতংকে শোকে পুরো পরিবারটি একেবারে নিস্তব্দ হয়ে গেল। এমন সময়, হঠাৎ খাটের নিচ থেকে বাচ্চা মানে আমার মেঝ খালার কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। তাড়াতাড়ি করে খাটের নিচ থেকে মেঝ খালাকে বের করে আনা হলো।
এই ঘটনার পর সবাই মোটামুটি মুষড়ে পড়ল। আরো অনেক উল্টা পালটা ঘটনা ঘটতে লাগল। এমন সময়, সেই বড় হুজুর আমাদের সেই বাড়িতে এলেন। তিনি এসে বাড়ি বন্ধ করার ব্যবস্থা করলেন। বাড়ি পরিষ্কার করার সময় যে সব মূর্তি বাড়ির পেছনে মাটি চাপা দেয়া হয়েছিল সেগুলোকে মাটি থেকে তুলে ভেঙে ফেললেন এবং বাকি আরো কিছু জিনিসপত্রসহ তা আগুনে পুড়িয়ে ফেললেন। তারপর সেগুলো একটা বস্তায় করে কর্নফূলী নদীতে ফেলে দিলেন। এরপর থেকে সেখানে আর তেমন কোন সমস্যা হয়নি।
পরবর্তীতে বাড়িটি চারতলা করা হয়। দ্বিতীয় তলা বাদ দিয়ে বাকি সব গুলো ফ্লোর ভাড়া দেয়া হয়। দ্বিতীয় তলায় আমার বড় মামা আর একজন বাবুর্চী কাম কেয়ারটেকার থাকত। বড় মামা এই বাড়িতে থেকে চট্রগ্রাম ইউনির্ভসিটিতে পড়াশুনা করেছেন। পরর্বতী সময়ে আমাদের পরিবারের যারাই চট্রগ্রামে পড়াশুনা করতে গিয়েছেন তারা সেখানে থেকেছে। এক সময় বাড়িটি হয়ে উঠে আমাদের জন্য এক আনন্দশ্রম। কারন সেখানে শাসন করার জন্য তেমন কেউ ছিল না। আমরা সেখানে গেলে অফুরন্ত স্বাধীনতা উপভোগ করতাম।
_____________________________________________
এবার আসা যাক মূল গল্পে। প্রায় সাত বা আট বছর আগে, একবার চট্রগামের বাড়িতে যাচ্ছি। প্রধান উদ্দেশ্য বান্দরবনের তাজিংডং এ যাওয়া। আমার বড় এক খালাত ভাই তখন চট্রগ্রাম মেডিকেলে পড়ত। তার নাম ছিল রাশেদ। তিনি আর তার কিছু বন্ধুরা সেই বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করত। পড়াশুনার পাশাপাশি তারা দুষ্টামীকে একটি শিল্পে পরিনত করেছিলেন। তাই তারা ছিল আমার আদর্শ। সেখানে আমার সমবয়সী কাজিন, সিনিয়র কাজিন এবং সবার বন্ধু বান্ধব মিলে ১৫ জনের একটা বিশাল দল ছিল। আমাদের এক কাজিন ছিল আইমান সে আবার ভূতপ্রেত ইত্যাদিকে ব্যাপক ভাবে বিশ্বাস করত। এক আড্ডায় সে প্ল্যানচ্যাটের ব্যাপারে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু তথ্য দেয়। তার স্কুলের বন্ধুরা মিলে নাকি একবার প্ল্যানচ্যাট করে আত্মা ডেকেছিল। তার আত্মবিশ্বাসী বক্তব্যের কারনেই হোক আর নিষিদ্ধ কিছু করার উত্তেজনায় হোক আমরা রাজি হয়ে গেলাম এই প্ল্যানচ্যাট করার জন্য। এই উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আমি আবার এই বাড়ির পূর্ব ইতিহাসের কথা না বলার লোভ সামলাতে পারলাম না। আমার এই গল্প উত্তেজনার মাপকাঠি একধাপ বাড়িয়ে দিল।
সেদিন রাতে আমরা প্ল্যানচ্যাট করব, সেদিন সকালে সবাইকে আইমান বললো কোন প্রকার মাছ মাংস সারাদিনে খাওয়া যাবে না। এইগুলো খেলে নাকি প্ল্যানচ্যাটের সেশন ঠিকভাবে হয় না। তাই সবাই সব্জি আর ডিম যেন খায়। কি আর করা। আমরাও উত্তেজনার কারনে সবই করতে রাজি ছিলাম। বেশি উত্তেজিত ছিল আমার কাজিন এবং তাদের বন্ধুরা।
সারাদিন যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আমি আর আমার এক কাজিন তুহিন দুজন মিলে একটু ঘুরতে গেলাম। যাওয়ার সময় বাবুর্চীকে বলে দিলাম রাতে যেন সবজী খিচুড়ী করে আর সাথে ডিম।
একএক করে সবাই আমাদের ফ্লোরে চলে এলো। আইমান বারান্দার সাথে লাগোয়া একটা রুমে মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে মাঝখানে একটা সার্কেল আঁকলো। সবাইকে খাওয়া দাওয়ার করার পর পরিষ্কার কাপড় পড়ে এই সার্কেলে এসে বসতে বলল। আমরা তাড়াতাড়ি খেয়ে এসে সেই সার্কেলে বসলাম। মাঝখানে রাখা হলো বেশ কয়েকটি মোমবাতি।
ঠিক রাত ১২:৩০ মিনিটে আমাদের প্ল্যানচ্যাট শুরু হলো। সবাই একে অন্যের হাত ধরে সামনের দিকে এক পা বাড়াচ্ছি আবার পিছিয়ে যাচ্ছি। অনেকটা নাচের ষ্টাইলে। আর মুখে ডাকছি, আয় আয় আয়। এই ভাবে প্রায় বেশ কিছুক্ষন হলো। একসাথে আয় আয় আয় বলার কারনেই হোক আর যেই কারনেই হোক রুমের পরিবেশটা বেশ ভারী হয়ে উঠল। কেমন যেন একটা অনুভুতি। হঠাৎ দেখলাম, তুহিন যেন কেমন মাথা ঝুকিয়ে গোংগাচ্ছে। সবাই স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে তুহিনকে ডাকতে লাগলাম। কিন্তু তুহিন তখনও গোংগাচ্ছে আর কি যেন বলছে। কথা কিছুই বুঝতে পারছি না। সবাই আমরা সার্কেলেই বসে আছি। আইমানের চোখমুখ দেখলাম শুকিয়ে গিয়েছে। হঠাৎ তুহিনের মুখ দিনে ঘন সবুজ রং এর কিছু তরল বের হয়ে আসল। এবং সে কিছুটা উদ্ভ্রান্তের মত আচরন করতে শুরু করল। আইমান বললো, তুহিনের উপর নাকি আত্মা ভর করেছে। কিন্তু তুহিন এর হঠাৎ করে খিচুনীর মত শুরু হয়ার কারনে বড় ভাইয়া মানে রাশেদ ভাইয়া তাড়াতাড়ি উঠে লাইট জ্বালালেন। লাইট জ্বালানো মাত্র তুহিনের শুরু হলো পাগলামী। মনে হল সবাইকে সহ্য করতে পারছে না। আইমানের দিকে একবার লাফও দিয়েছিল। আইমান তো ভয়ে প্রায় কেঁদেই ফেললো। ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল, আমার ভূল হয়েছে, আমাকে মাফ করে দিন। আমার উচিত হয়নি আপনাকে ডেকে আনা। এই কথা শুনে তুহিন এর গোংগানী আরো বেড়ে যায়। আইমানকে উদ্দেশ্য করে হুমকি, গালাগালি শুরু করে। আমি সবাইকে বললাম, আসেন সবাই দোয়া দুরুদ পড়ি। দোয়াদুরুদ পড়লে এই সব জিনিস চলে যাবে। সবাই মিলে যে যা পারে তা পড়া শুরু করল। তারপর হঠাৎ দেখি তুহিন শান্ত হয়ে বুকের উপর মাথা ঝুলিয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ল। সবাই মিলে ওর চোখে পানি টানি দিয়ে এর জ্ঞান ফিরিয়ে আনল। ও চোখ মিটিমিটি করে বলল, কি হইসে। সবাই ওর দিকে চেয়ে আছে কেন ইত্যাদি ইত্যাদি।
ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে আমাদের সবার অবস্থা ততক্ষনে কাহিল। সবাই যে যার মত গোল হয়ে সদ্য ঘটে যাওয়া ঘটনাটি বিশ্লেষন করছে। এক গ্রুপ গেল ছাদে সিগারেট টানতে। আর এক গ্রুপ অন্য রুমে গিয়ে টিভি ছাড়ল। আমিও টিভি রুমে গিয়ে বসলাম। তুহিন বাথরুমে গেল। আইমান বেশ সাফল্যের একটা হাসি নিয়ে বারান্দায় সিগারেট খেতে গেল। আমি রাশেদ ভাই, রিপন ভাই বসে টিভি দেখছি। আইমান বারান্দায় সিগারেট খাচ্ছে আর তার বন্ধুদের সাথে ফোনে ঘটনার বর্ননা দিচ্ছে। হঠাৎ ঠাস করে একটা গ্লাস ভাংগার আওয়াজ আর আইমানের চিৎকার। আমরা দৌড় দিয়ে বারান্দায় গেলাম। গিয়ে দেখি আইমানের সামনে একটা ভাংগা ইলেক্ট্রিক বাল্ব। কি হইসে জিজ্ঞেস করাতে শুধু ও কোন ভাবে বলল, তু-তু-তুহিন। আমরা তুহিনের খোঁজে পিছে তাকালাম। কিন্তু অন্ধকারে কিছুই দেখা গেল না। সিঁড়ি ঘরে দিকে যেতেই দেখি, তুহিন চোখ লাল করে খালি গায়ে দাঁড়িয়ে আছে। হাতে বাল্বব। রাশেদ ভাই তুহিন বলে ডাক দিতেই আবারো পায়ের কাছে বাল্ব এসে পড়ল। তারপর হঠাৎ দেখি পিছন দিয়েও বাল্বব পড়া শুরু হলো। নিচে হৈচৈ শুনে যারা ছাদে গিয়েছিল তারা নিচে নেমে আসল। আসার সময় সিঁড়ি ঘরে তুহিনের সাথে দেখা। ওদের দেখা মাত্রই তুহিন ওদের দিকে বাল্ব ছুড়ে মারল। সাথে বিচিত্র মুখভংগী। আমি সবার মুখের দিকে চেয়ে দেখি মোটামুটি সবাই আতংকিত অবস্থায় আছে।
কিছুক্ষন পর তুহিনের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আমি দরজা খুলে ওকে খুঁজতে বের হলাম। গিয়ে দেখি তুহিন সিঁড়ি ঘরে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে আছে। সবাই মিলে ধরাধরি করে ওকে ভিতরে নিয়ে আসলাম। কিছুক্ষন পর তুহিনের জ্ঞান ফিরল। সে কিছুই মনে করতে পারল না। তারও বেশ কিছুক্ষন পর আমরা সবাই কিছুটা আতংক নিয়ে ঘুমাতে গেলাম। বলা বাহুল্য তুহিনের সাথে সেদিন রাতে কেউ ঘুমালো না।
এই ছিল আমার প্ল্যানচ্যাটের গল্প। এবার আসুন প্ল্যানচ্যাটের পিছনের গল্প শুনি।
প্রিয় পাঠক এই বার আপনাদের একটা সত্য কথা বলি, প্ল্যানচ্যাটের এই বিষয়টা মুলত আমারই প্ল্যান করা। আইমান আমাদের সবাইকে একটি গাঁজাখুরি প্ল্যানচ্যাটের গল্প বলে। ও পড়ত ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। সে আর তার বন্ধুরা মিলে ইন্টারনেট থেকে নাকি খুঁজে বের করেছে, যার উপর আত্মাভর করে সে নাকি সবুজ রং এর বমি করে। তার বানানো কথাবার্তা শুনে সবাই যেভাবে ভয় পাচ্ছিল তাতে আমার হাতপা নিশপিশ করছিল সবাইকে ভয় দেখানোর জন্য। মাথায় একটা সুন্দর প্ল্যান আসলো। এতে আমার ২ জনকে দরকার। আমি তুহিনকে বেছে নিলাম। কারন তুহিন গ্রামে থাকে। সবাই জানে তুহিনকে নাকি ছোট বেলায় ভুতে ধরেছিল। সেই থেকে তুহিনের নাকি কি সব সমস্যা আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কিছুই দেখিনি। তাকে যখন বললাম, আইমানের পাকনামী আমার সহ্য হচ্ছে না, ওকে একটা শিক্ষা দিতে চাই তখন ও সাগ্রহেই রাজি হল। তারপর গেলাম বাড়ির কেয়ারটেকার মোস্তফা ভাই এর কাছে। কারন তাকেও আমার লাগবে। উনাকে সবখুলে বুঝিয়ে বললাম, সাথে আরো ৫০টাকা দিলাম, চা পান খাওয়ার জন্য। তিনি হেসে রাজি হয়ে গেলেন।
প্ল্যানচ্যাটের দিন বিকেলে আমি আর তুহিন বাইরে ঘুরতে গেলাম। বাইরে গিয়ে ওর সাথে সমস্ত প্ল্যানটা আলোচনা করলাম। কারন এই খানে প্রধান ভুমিকাই তার। ছেলে বুদ্ধিমান, একবারের সব বুঝে নিল। আসার সময় আইমানের সেই তথাকথিত সবুজ বমির ইফেক্ট আনার জন্য কিছু পালংশাক কিনে আনলাম। তারপর এনে সেটা চুপি চুপি মোস্তফা ভাইকে দিয়ে আসলাম। বললাম কুচি কুচি করে কেটে হালকা সিদ্ধ করে যেন ব্লাইন্ডারের ব্লেন্ড করে নেয়। কিন্তু ব্লাইন্ডার না থাকায় তিনি মসলা পিষার পাটায় হাল্কা পিষে নিলেন। তার কাছ থেকে আমরা কিছু পূরানো লাইটও নিলাম। যেন পরর্বতীতে ব্যবহার করতে পারি
সবাই খাওয়া দাওয়া করার পর, তুহিন এক ফাঁকে ফ্রিজ থেকে সেই পেষ্ট করা পালংশাক বের করে মুখে ঢুকিয়ে দেয়। তারপর সবাই যখন আয় আয় আয় করে ডাকছে তখনই সে সবুজ বমি হিসাবে এই পালংশাক বের করে দেয়। বলাবাহুল্য সে জিনিস সবুজ ছিল না। কালচে সবুজ টাইপের ছিল এবং সে যে অভিনয় করল, তাতে আমার ক্ষমতা থাকলে তাকে অস্কার দিতাম। তার অভিনয় গুনে আমার হবু ডাক্তার ভাইরা পর্যন্ত চরম নার্ভাস হয়ে যায়। অনেকে নাকি তার পার্লস খুঁজে পাচ্ছিলেন না। অনেকে আবার ডাক্তারী বাদ দিয়ে বলেছিলেন কোন হুজুর আনার ব্যবস্থা করতে। সব মিলিয়ে তুহিনের অভিনয় গুনে ১৬জন মানুষকে আমি সেই মাপের ভয় দেখাতে সক্ষম হই। এই ব্যাপারটি এতদিন পর্যন্ত লুকানো ছিল। এই ঈদে গ্রামের বাড়িতে এক আড্ডায় তুহিন ব্যাপারটা ফাঁস করে দেয়। তারপর আমার উপর নাজিল হয় গজব। আমার কাজিনরা এবং তাদের সেসব বন্ধুরা বাংলাদেশে ছিলেন তারা সবাই আমাকে ফোন দিয়ে গুষ্টি উদ্ধার করে। বিশেষ করে আইমান আমার সাথে সর্ম্পক ছিন্ন করার ঘোষনা দিয়েছে। তবে আশার কথা হচ্ছে ভাবিরা সবাই আমার এই রকম কাজে বাহাবা দিয়েছে এবং সার্পোট করেছে। তাই এখনো বেঁচে আছি। শুনতে পাচ্ছি সবাই এই মাসের ১৫ তারিখে ঢাকায় আসবে। তারপর আমাকে নাকি সীল মারা হবে। আমি এই কথা শুনে একটু বিরসবদন করলাম। আর মনে মনে ভাবলাম এই রকম আনন্দের জন্য আমি আমি একশটা সীল খেতে রাজি।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। এতবড় একটি লেখা পড়েছেন, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।
আমার আসলে ভৌতিক তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। কারন এই সব ভূত প্রেত আমি তেমন বিশ্বাস করি নাঃ) তারপরও যদি কিছু জানি, তাহলে অবশ্যই শেয়ার করব।
২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৯
আবু সালেহ বলেছেন: হা হা হা.................ভালো খেলা দেখাইছেন....
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ। লেখাটা সত্যি অনেক বড়। এত বড় লেখা পড়েছেন, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।
কেউ যদি নিজে থেকে ভয় পেতে চায়, তাহলে কি আমি না করতে পারি?
৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৫
উলম্ভ বলেছেন: শয়তানের আত্মাটা তাহলে আপনার ওপর ই ভর করে ছিল ? ভয়ঙ্কর সুন্দর অভিজ্ঞতা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ছি ছি এই সব বলে না।
কি করব বলেন, কেউ যদি স্বেচ্ছায় ভয় পেতে চায় তাহলে আমি কি করতে পারি??
৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৭
শার্লক বলেছেন: হা হা হা মজা পেলাম। ২য় ভালো লাগা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। এত বড় লেখা পড়েছেন, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ।
৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৬
এম এস হোসেন চঞ্চল বলেছেন: খুবই সুন্দর লেখা।
খানিকটা বড় হলেও বিষয়বস্তুর সাথে চমৎকার বর্ণনা এটাকে প্রাঞ্জল করেছে।
ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ চঞ্চল ভাই। লেখা বড় হয়ে যাওয়াতে আমি খানিকটা চিন্তিত ছিলাম। ধৈর্য ধরে পড়েছেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১
ছাগুর যম বলেছেন: অসাধারণ বর্ননা, আরেকটু হইলে ডরাইয়া ফিট হয়ে যাইতাম
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভয়ের গল্প পড়ে যদি কেউ ভয় না পায় তাহলে কি ভালো লাগে? লাগে না। তবে ছাগুদের যম এত তাড়াতাড়ি ভয় পেলেদের তো চলবে না। ছাগুরা তো আরো ভয়ংকর আর কুচ্ছিত।
৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৩য় ভালোলাগা ++++++++
বেশ মজা করেছেন তো আপনারা ! :-& :-& :-& :-& :-& :-& :-&
ভালো থাকবেন সবসময়
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, কিঞ্চিত মজা করেছিলাম। কিন্তু আপনার ইমোর মুখে আবার সবুজ সবুজ ঐ গুলো কি ??
আপনাকেও কি ধরেছে নাকি??
৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০৭
জেমস বন্ড বলেছেন:
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভয় পেয়েছেন কিনা বলেন?
১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:০১
একজন আরমান বলেছেন: বাহ ভুতুরে গল্প পড়ে তো আমার ভালোই লাগলো।
প্রথমে আমার ভালোই লাগছিল, যদিও আমি এই সবে বিশ্বাস করি না। কিন্তু শেষে এসে আপনার বুদ্ধি আর তুহিন ভাইয়ের কাণ্ড কারখানা দেখে হাসতে হাসতে শেষ।
আশা করছি সামনে এই রকম গল্প আরও পাবো।
+++
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে এই গল্প তো আমার নিজস্ব দুষ্টামীর নিয়মিত গল্প।
সামনে অবশ্যই এই ধরনের দুষ্টামীর গল্প পাবে।
কিন্তু আসল যেটা দরকার ভয়, সেটাই তো পেলে না।
১১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:২০
শায়মা বলেছেন: হা হা ভাইয়া!!!!!!!!!!!!!!
পড়তে পড়তে আমি সত্যি ভাবছিলাম আজ রাতে লাইট অন করে ঘুমাবো!
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ইস! তাহলে তো ভূল হয়ে গেল। কেন যে আমি দ্বিতীয় অংশটা লিখলাম!!
ভূতের গল্প পড়ে যদি লাইট নিভিয়ে ঘুমাতে না পারতেন তাহলেই আমার গল্পের সার্থকতা হতো। এখন তো খালি মজা আর মজা।
১২| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৫০
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: বিশাআআআআআআআআআআআআল গল্প,অবশ্য পড়তে সমস্যা হয়নি,যতবড়ই হোক,আগ্রহ ধরে রেখেছিলেন লিখাতে।
একটা ঘটনা শেইয়ার করি ভাইয়া।একবার এক ফ্রেন্ডের বাসায় শুনলাম নিজেরা নাকি ছোটখাট প্লানচেট টাইপ খেলা যায়,যদিও প্লানচেট গেইমসের কিছুই ছিলনা।
ফ্রেন্ডের আপু সাদা কাগজে কিছু দূরত্বে তিনটা বৃত্তের মতন আঁকল।একটাতে লিখল 'হ্যাঁ' মাঝেরটাতে কিছু না লিখে একটা কয়েন রাখল আর শেষেরটাতে লিখল 'না' তারপর লাইট নিভিয়ে রুম অন্ধকার করে মোমবাতি জালাল।আর আমাকে বলল যে কয়েনটার উপর তর্জনী দিয়েধরে রেখে চোখ বন্ধ করতে।তারপর কিসব বলল যার শেষে ছিল যদি এখানে কোন মৃত আত্মা থেকে থাকো,হ্যা তে যাও,না থেকে থাকলে না তে যাও" এইটাইপ কিছু।আমি চোখবন্ধ করে কয়েন আঙ্গুল নিয়ে চেপে ধরে বসে আছিতো আছিই,চোখ খুলতে আর বলেনা!এরপর বলল কি জানি সমস্যা আবার খেলি।আবার পুনরাবৃত্তি।সেইবারও একই ,আমার আঙ্গুল নড়েনা!তৃতীয়বারেও একই!আমি বললাম কি হইছে?বলে এর আগে যতজনের সাথেই খেলছে আঙ্গুল নাকি আপনা আপনি হ্যা অথনা না তে যায়,কিন্তু আমার বেলায় যাচ্ছেনা!! আমি বললাম আরে যাবে কেন,আমি নিজেই তো মৃত আত্মা!কথাটা শেষ করতে না করতেই আপু এক লাফে আমার পাশ থেকে উঠে যেয়ে কয়হাত দূরে গিয়ে দাঁড়াল!! আপুর এরকম ভয়পাওয়া দেখে আমিতো পুরাই বেকুব!!এত বলি যে আমি ফান করে বলছি,আসেন আরেকবার খেলি তিনি আর খেলবেনই না!!যে দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়েছিল আমার দিকে!!আমার মনে হল আমাকে হয়ত সত্যি ভূতের মতন দেখাচ্ছে! ওই্দিন রাতে আপু আমার সাথে ঘুমায়ও নাই এত ভয় পাইছিল
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ। এত বড় একটি লেখা পড়েছেন। কিন্তু আপনার হলো কি বলেন তো? লেখা সব ড্রাফটে কেন??
এটা কোন কাজ করলেন??
১৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:১৫
রোমান সৈনিক বলেছেন: হাহাহাহা মজা পেলাম ব্রো
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাই চাইছিলাম আরো ভয় দেখাতে, কিন্তু অবস্থা বেশি খারাপ দেখে বাকি প্ল্যান ইস্তেমাল করি নাই।
১৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৮
তাসিম বলেছেন: মজা পাইলাম। আপনাকে সিল দেয়ার পরে কি হয় জানায়েন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
ঠিক আছে। সিল যদি দিতে পারে তাহলে ঘটনা জানাবো।
১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫১
মাক্স বলেছেন: হা হা হা মজা পাইলাম।+++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স ভাই। প্লাসের জন্য ধন্যবাদ।
১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫১
রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই এই পোষ্টটা পড়তে গিয়া আমার নিজের ঘর তো ভারী হইয়া গেছে।
অন্তত আজকের দিনটা রাতে আলো জালিয়ে ঘুমাতে হতে পারে।
তবে একটা কথা না বললেই না, গল্পে একটা অন্য রকম আকর্ষন ছিল। শেষ লাইন পর্যন্ত আকর্ষনটা ছিল।
সত্যিই সুন্দর উপস্থাপন।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ রাতুল ভাই। আসলে ভূতের গল্প পড়ে কেউ যদি ভয়ই না পায় তাহলে কি এত কষ্ট করে লেখার কোন মানে আছে? আপনি ভয় পাচ্ছেন দেখে ভালো লাগছে।
এত বড় একটি লেখা পড়েছেন, সত্যি আমি অনেক খুশি হয়েছি আবারো অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
১৭| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫৪
রেজোওয়ানা বলেছেন: গল্প এবং গল্পের মুখবন্ধ দু'টই অসাধারণ ভয়ংকর লাগলো এই বৃষ্টির রাতে পড়তে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু। আপনারা ভয় পাচ্ছে দেখে মনে হচ্ছে নাহ, ভূতের গল্প লেখা সার্থক।
কাকতালীয় ভাবে ভূতের গল্প পড়ার জন্য আজকেই সবচেয়ে সুন্দর রাত। বাইরে ভালো বৃষ্টি হচ্ছে। একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব।
১৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০০
পাকাচুল বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:১৭
শহিদুল ইসলাম বলেছেন: হে হে প্ল্যানচেটের এমন একটা ঘটনা আমিও ঘটাইছিলাম , যদিও অভিনয় এর মাঝখানে সে হাইসা দিছিলো !
ভালো লাগল সত্যি কাহিনী এবং প্ল্যানচেটের ঘটনা ।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা, বলেন কি ভাই? তাহলে তো ধরা! আমি যদি সেদিন ধরা খাইতাম, কিযে করত আল্লাহই জানে। কারন এতদিন পরে যখন জানল ব্যাপারটা বানানো, তাদের সে কি রাগ! আমাকে নাকি হাত পা বেঁধে কোন শ্মশান ঘাটে ফেলে দিয়ে আসবে।
পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৩
একজন আরমান বলেছেন: ওখানে থাকলে হয়তো পেতাম। কিন্তু আমি আসলে এই সবে বিশ্বাস করি না। আর যদি কখনও মনে হয় তবে মনে করি যে সেটা হ্যালুসিনেশন ! আর আমার ভয় কেটে যায়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই। আমার অবশ্য আবার গর্ব হয়। আমি মনে মনে বলি, শালার আমরা হইলাম গিয়া আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। কোথায় অন্য জীবরা আমগো দেইখা ডরাইবো, তারা নিজেদের মধ্যে বলবে, এই জানিস আজকে একটা বিশাল মানুষ কে দেখলাম ( মানে যদি আমাকে দেখে আর কি)। আল্লাহ কি ভয় পেয়েছি।
উলটা আমারা দেখি তাদের ভয় পাই। এই কথা মনে হলে আমার মনে আর ভয় থাকে না।
২১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২২
ইনকগনিটো বলেছেন: ভালো লাগলো। প্লাস
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
২২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৭
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: আমার কিছুই হয়নিতো ভাইয়া,এমনিই ড্রাফটে।মাঝে মাঝে অন্যদের কথা না শুনে নিজের মনের কথা শুনতে হয়,আমিও তাই আমার মনের কথা শুনে লিখাগুলো ড্রাফটে নিয়েছি আর হ্যা এটা কোন কাজ করিনি,অ-কাজ করছি একটা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
দাঁড়ান আপনার জন্য জীন চালা দিতে হবে। হা হা হা।
তাড়াতাড়ি ফিরে আসুন এই কামনা করি।
২৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৪৯
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: প্রথম ঘটনা টার ব্যাখ্যা এমন হতে পারে যে কেউ হয়তো আপনাদের পুরনো বাড়িটার দখল নিতে চাইছিলো।তাই রাতের আধারে ভয় দেখিয়ে কেয়ারটেকার এবং আপনাদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিলো।
আপনার মেঝ খালা নিজে গড়িয়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে থাকতে পারেন।তবে একটা জিনিস বুঝলাম না,ছোট খালার কান্নার শব্দ শুনে মেঝ খালা কে কি করে খাটের নিচে পেলেন ?
আর পরের ঘটনা টা আসলেই বিশ্বাস হতে চাইছিলো না।পরে বুঝলাম আপনার কিসিন্জারি বুদ্ধির কাছে সবাই ঘোল খেয়ে গেছে
সব মিলিয়ে খুব ভালো লাগলো লেখার ধরন টা,প্লাস এবং প্রিয়তে।
শুভকামনা।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সঠিক বলেছেন চেয়ারম্যান ভাই। আমি নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে এইসব বিশ্বাস করি না। সমস্যা হচ্ছে আমরা সবাই কম বেশি ভয় পেতে ভালোবাসি। যার কারনে মনে করে ছোট্ট কোন একটা ঘটনাকে হয়ত আধি ভৌতিক ঘটনায় রুপান্তরের চেষ্টা করে। যেহেতু সবাইকে একটু ভূতের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করেছি তাই আর ব্যাক্ষা করি নাই।
ধুর ভাই দিলেন না তো মানুষকে ভয় পাইতে
আর দ্বিতীয় যা বলেছেন, ওটা টাইপিং মিসটেক ছিল। হা হা হা।
আপনি যে অনেক মনযোগ দিয়ে পড়েছেন তা বুঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ। এত বড় পোষ্ট এত মনযোগ দিয়ে পড়েছেন। সত্যি অনেক ভালো লাগছে।
ভাই ভয় দেখানোর আরো ইচ্ছা ছিল। কিছু আলতাও কিনে আনসিলাম, রক্তের ইফেক্ট আনার জন্য । কিন্তু তখন সবাই যে ভয় পাইছিল, বিশেষ করে আমার ঐ পাকনা কাজিন আইমান, সেখানে এই রক্তের ইফেক্ট আনতে গেলে নির্গাত ও হার্টফেল করত। এমনিতেই অনেক ঘোল খাওয়াইসি। সবাই আসল ঘটনা জেনে সেই মাপের গরম হয়ে আছে। হা হা হা।
২৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৭
ফারজুল আরেফিন বলেছেন: ১৩++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
২৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৮
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: লেখক বলেছেন:
দাঁড়ান আপনার জন্য জীন চালা দিতে হবে। হা হা হা। "
কলেজ হোস্টেলে কেউ কেউ নাকি আমাকে জিন টাইপ কিছু ভাবত যেটা আমি জেনেছি কলেজ পার করার কয়েক বছর পরে,আর আপনি আসছেন আমাকে জিনের ভয় দেখাইতে,পরে না কাহিনী আবার উলটে যায়,নিজেই ভয় পেয়ে না যান আবার,হাহাহা
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি?? মৃত আত্মা, জীন সবই মনে করত আপনাকে?
শুনেন, আমরা হইলাম গিয়া আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। কোথায় অন্য জীবরা আমগো দেইখা ডরাইবো, তারা নিজেদের মধ্যে বলবে, এই জানিস আজকে একটা বিশাল মানুষ কে দেখলাম ( মানে যদি আমাকে দেখে আর কি)। আল্লাহ কি ভয় পেয়েছি। উলটা আমারা দেখি তাদের ভয় পাই। ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা।
ঠিক আছে আপনি তারে পাঠাইয়েন, আমি তারে রঙ তুলি দিয়া রঙিন করে আপনার কাছে পাঠাইয়া দিব।
২৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:২৯
শিপন মোল্লা বলেছেন: সুস্বাগতম, ঈদ বিরতির পর ব্লগে ফিরে আসছেন ভিশন ভাল লাগছে আমার। সত্যি কথা কি আসলে আপনাকে আমি মিস করছি ফেবু ও ব্লগে জাহিদ ভাই। আশা করছি ভালই কাটছে ঢাকার বাহিরে ঈদ।
লিখা আপনার যতো বড়ই হোক একটুও বরং হইনি বরং আগ্রহ নিয়েই আপনার ভূতিক ও প্ল্যানচ্যাট গল্প এক নিমিষেই শেষ করলাম। লিখার দুটি অধ্যায়ই আমার ভাল লাগছে। শেষে তো তুহিন আর আপনি আইমানকে যে ভাবে টুপি পরিয়েছেন তাতে তো সিল আপনাকে পেতেই হবে। আমি আশংকা করছি সিল পুরস্কার হিসাবে আপনার কাজিনরা আপনাকে বিড়াল মারার বেবস্থা করে দেয়।
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই আপনার মুখে ফুলচন্দন!!!! হা হা হা। এমন সিল হলে খারাপ লাগবে না। তাহলে নব উদ্যোমে আমি আবারো তাদেরকে ভয় দেখাতে ঝাঁপিয়ে পড়ব।
কেমন আছেন আপনি? আপনার লেখাটাই পড়লাম। চমৎকার লিখেছেন।
২৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২
নুর ফ্য়জুর রেজা বলেছেন: ভালো লাগলো। ++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।
২৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৭
তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে বলেছেন:
বাহ ভূমিকার পরে মূল পোষ্ট পড়ে মনে হচ্ছিল ---কোন উচ্চ মার্গের ভৌতিক
মুভি রিভিউ পরছি ---শেষের বোল্ড করা উপসংহার না দিলে তো মনে করে
নিচ্ছিলাম সত্যি ঘটনা বলে -----
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা, তাহলে তো আপু মনে হচ্ছে আমি ভূল করে ফেললাম। ভূতের গল্প পড়ে একটু ভয় ভয় অনুভূতি যদি না থাকে তাহলে কি ভালো লাগে?
আশা করি ভাল আছেন।
২৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
মেহেরুন বলেছেন: এক কথায় চমৎকার পোস্ট। দারুন লেগেছে। গল্প তো ভালো ছিলই তবে ভূমিকাটাও কিন্তু কম যায় না
এরকম লেখা আরও চাই কাল্পনিক ভাই
পোস্ট এ প্লাস
প্রথমে তো আপনার প্ল্যানচ্যাট সত্যি ভেবে নিয়েছিলাম, কিন্তু শেষে এসে তো উল্টা হয়ে গেলো
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মেহেরুন আপু।
দেখি যদি অন্য কারো সাথে এমন প্র্যাক্টিক্যাল জোকস করা যায় আবারো, তাহলে সেটার কাহিনী অবশ্যই লিখব।
৩০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫১
অনীনদিতা বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছে প্ল্যানচ্যাট করার।
যদি একবার করতে পারতাম
ভালো লাগলো
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক আছে। আমাকে সাথে নিয়ে করবেন। আমি আপনাকে ১০০% গেরান্টি দিচ্ছি আপনি সফল হবেনই হবেন।
৩১| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: হাহা! দারুণ! এরকম একটা প্র্যাক্টিকাল জোক ব্যাপক ভালা পাই। আমরাও কিছু করসি তবে এই পর্যায়ের না!
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
ধন্যবাদ হামা ভাই। আমি আসলে প্রাক্টিক্যাল জোক করতে মজা পাই।
একে তো আমি এই সব ভূত প্রেত তেমন একটা বিশ্বাস করি না। এই গুলো নিয়ে কেউ যদি বেশ ভাব মারতে আসে তখন তাকে সাইজ করে অনেক আরাম পাই।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৩২| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩০
আমিনুর রহমান বলেছেন: দারুন পোষ্ট। প্রথমে এত বড় লিখা দেখে পড়তে ইচ্ছে করছিলো কিন্তু যখন পড়া শুরু করলাম মগ্ন হয়ে পড়ে গেলাম। পোষ্ট এ ভালো লাগা রইল
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আসলেই লেখাটি অনেক বেশি বড় ছিল। আমার ইচ্ছা থাক স্বত্তেও আমি লেখাটি ছোট করতে পারিনি।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে আরো লাগছে। আবারো অনেক ধন্যবাদ।
৩৩| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১৮
অনীনদিতা বলেছেন: thank u...shotti ami shofol hote chai...
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শুভ কামনা রইল।
৩৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৩৩
আমরা বাংলাদেশি বলেছেন: পেলাচ। চরম
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৮:৪৭
শিপু ভাই বলেছেন:
ভূমিকাটাই বেশি ইন্টারেস্টিং লাগছে।
লেখার স্টাইল পছন্দ হইছে। সাবলীল। মজা পাইছি।
সিল খাওয়ার দিন খবর দিয়েন!!!
++++++++++++++++
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ শিপুভাই। কষ্ট করে এত বড় একটি লেখা পড়েছেন।
আসলে দ্বিতীয় অংশটা তুলনা মূলক অনেক তাড়াহুড়া করে লিখেছি। তাই ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও আরো মজা করে লিখতে পারিনি।
সিল মারতে পারবে না!!!!!!!!!
৩৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৪৭
সালমাহ্যাপী বলেছেন: প্রিয়তে নিয়া রাখলাম।
এই মুহুর্তে পড়া সম্ভব নহে।
তাই বলে ভাইবেন না ভয়ের জন্য পড়ছিনা।
কাল পড়ে জানাবো কেমন হইছে
০৬ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা, ঠিক আছে। প্রার্থনা করছি আপনি যেন ভয় পান।
৩৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৫:১৩
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: অনেক মজা পাইলাম, আর আপ্নার লেখা আগে কিভাবে মিছ করলাম !!!!!! গুছিয়ে লেকার কারনে মনে হইতেছিলো আমি মনে হয় চোখের সামনে দেখতেছি !!!
লেখায় ২১ নং ভালো লাগা।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পাইলট ভাই। এত বড় একটি লেখা পড়েছেন, এটাই বড় বিষয়। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
৩৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:২২
বুনো বলেছেন: আপনি এতো চমৎকারভাবে বর্ণনা করতে পারেন!! পড়তে পড়তে পুরোই চলে গিয়েছিলাম আপনার নানা বাড়ি। আরও এমন লেখা দিয়েন ভাই।
আর সিল মারার ঘটনার রুদ্ধশ্বাস বর্ণনার অপেক্ষায় রইলাম
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:১৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্যটি অনেক ভালো লাগলো।আশা করি পাশেই থাকবেন। আশা করি সিল মারতে পারবে না। যদি মারে তাহলে অবশ্যই পোষ্ট দিবে।
৩৯| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩
শোশমিতা বলেছেন: গল্প পড়ে কিছুটা ভয় পেলেও অনেক মজা পেয়েছি।
এত বড় গল্প, কিন্তু এক টানে পড়ে ফেললাম। ভূমিকা- গল্প দুটাই চমৎকার হয়েছে!
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মিতা'পু। জানি লেখাটি বড় হয়ে গিয়েছে।
ইচ্ছে থাকা স্বত্তেও ছোট করতে পারলাম না।
যাক কিছুটা ভয় পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ভূতের গল্পে ভয় না পেলে কি ভালো লাগে বলুন??
৪০| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ৯:৩০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হা হা হা! দারুন মজা তো! শেষ এসে খুব হাসলাম।
০৭ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা একটা কথা? ভূতের গল্প পরে হাসাহাসি?? এটা একটা কাজ করলেন?
যাক, তাও ভালো নিদেনপক্ষে ভয় না পেলো হাসাতে তো পেরেছি। সেটাকেই সফলতা হিসেবে ধরে নিচ্ছি।
ভালো থাকবেন।
৪১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১৯
সালমাহ্যাপী বলেছেন: কাল পড়বো বলে দু দিন পর পড়লাম বলে দুঃখিত।পড়াশুনার চাপে ব্লগে আসার সময় পাচ্ছিনা।তাও প্রতিদিনই একটু একটু করে ঢু মেরে যাই আর কি!!!
এইবার গল্প প্রসঙ্গে বলি। শুনেন সকাল বেলাউ পরেছি বলে খুব একটা ভয় লাগেনি।কিন্তু যদি রাতে পড়তাম হয়ত......
থাক হয়ত কি হইতো সেইটা আর নাই বা বললাম (প্লিজ ডোন্ট কল মি ভীতু
)
কিন্তু লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে।এমন ভয়ংকর টাইপের লেখা অনেক দিন পড়িনা।আজ পড়লাম।এখন মনে হচ্ছে ঐ দিন প্রিয়তে নিয়ে ভালোই করেছি
আবারও অনেক অনেক ভালো লাগা
০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে না ঠিক আছে। আমি নিজেও কিছুদিন ধরে কিছুটা ব্যস্ততার মাঝে কাটাচ্ছি।
লেখা ভালো লাগার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে রাতের বেলা পড়ে আরো বেশি ভয় পেলে আমার আরো বেশি আনন্দ হতো। :
অনেক শুভ কামনা রইল। ধন্যবাদ।
৪২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১৪
পোকেমোন০০৭ বলেছেন: একটানাআআআআআআআআআআআআআআ পড়ে গেলাম।খুব ভাল লিখেছেন
০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপুনি। আপনি আমাদের প্রিয় চেয়ারম্যান ভাই এর বোন।
আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম।
৪৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৪
ভদ্র পোলা বলেছেন:
মজা পাইলাম
০৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মজা দিতে পেরে আমি গর্বিত।
৪৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:০৬
নিশ্চুপ শরিফ বলেছেন: আমি গল্পের টুইস্ট আগেই ধরে ফেলছিলাম । তারপর অনেক মজা পাইছি
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: টুইস্ট আগে ধরে ফেললে কিছুটা মজা অবশ্যই নষ্ট হয়েছে।
তারপরও আপনাকে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৪৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:০৪
এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা বলেছেন: ভাল লেখক
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ হে মহান পাঠক। আপনার মন্তব্যে বড়ই অনুপ্রানিত হইলাম।
৪৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:২৩
আদম_ বলেছেন: বেশী বড় হয়ে গিয়েছে। তবে সাবজেক্টটা ভালো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ১:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন। লেখাটা আসলে একটু বড় হয়ে গিয়েছে। আমি তো ঠিক ব্লগের জন্য লেখাটা লিখিনি, তাই এইখানে এনে দেখার পর আমার নিজের কাছেই অনেক বিশাল মনে হচ্ছিল। বাস্তব সত্য কথা, এত বড় পোষ্ট অন্য কেউ দিলে হয়ত আমি নিজেই পড়তাম না। আপনাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ, কষ্ট করে এবং ধৈর্য ধরে লেখাটি পড়েছেন।
শেষমেষ আপনার ভালো লেগেছে জেনে আরো ভালো লাগছে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।
৪৭| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫
গুনগুনিয়া বলেছেন: খুব মজা লাগলো গল্পটা পড়ে। একটানা পড়ে গেলাম।
২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার নিকটা তো বেশ মজার! আপনি কি গুন গুন করে গান করেন নাকি???
৪৮| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৭
গুনগুনিয়া বলেছেন: যদিও অনেকদিন পড়ে পরলাম। সেজন্য দু:খিত
২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে দুঃখিত হবার কিছু নেই। এত বড় একটি লেখা কষ্ট করে পড়েছেন সেটাই বড় কথা।
৪৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫
বর্ণালী পাল বলেছেন: খুব মজা লাগলো গল্পটা পড়ে
২২ শে নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৪:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভয়ের গল্প শুনে মজা পেয়েছেন, আমার তো ডাক ছেড়ে কান্না করতে ইচ্ছা করছে।
৫০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৪৪
বর্ণালী পাল বলেছেন: ভয়ের গল্প সবাই মজা করে লিখতে পারে না । আপনি লিখেছেন । তাই আপনার গল্প টা সত্যি অসাধারণ হয়েছে । তাই ডাক ছেড়ে কান্না করার দরকার নেই ।
এইরকম আরও লিখবেন । লেখার অপেক্ষায়ে রইলাম ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ডাক ছেড়ে কাঁদার কথা মজা করে বলেছিলাম। কারন এত বড় একটি লেখা পড়েছেন, এটা কম বড় কথা নয়।
৫১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১০:৩১
মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন:
৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
৫২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:৫১
দূর দ্বীপবাসীণি বলেছেন: খুব সুন্দর হয়েছে!
৫৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:১৪
রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প।ভালো লাগলো
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ।
৫৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫
ফারজানা শিরিন বলেছেন: যা ভাবছিলাম শেষটা সেরকম দেখে বিমল হাসি চলে এলো । তবে ভুমিকা অনেক ভালো লাগছে । মনে হলো সাথে কয় একটা গল্প ।
৫৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৯
নতুন বলেছেন: সব ভুতের গল্পের পেছনে এই রকমের গল্প আছে... আপনি বললেন তাই সবাই পরিস্কার হলো... কিন্তু যদি তুহিন আর আপনি বিষয়টা না বলতেন... তবে অনেকেই সত্য ভুতের ব্যপার বলে বিশ্বাস করতো...
+++
৫৬| ২১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৬
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হাহাহাহ , ভাই আপনি পারেন ও
আমি আয়মান এর পাশেই আছি আসলেই আপনাকে সিল মারা দরকার
ইয়ে মানে এরকম না ঘটালে ত এরকম রস পাইতাম না
কি ! আপ্নারে সিল মারব কার এত বড় সাহস
আমার পিসি থাইকা আন্দোলনের ডাক দিলাম ।
গুরু ! অনেক মজা পাইলাম ।
শেষে ত হাসতে হাসতে শেষ ।
৫৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৭ সকাল ১০:২০
সামিয়া বলেছেন: ওহে দুরন্ত দুষ্ট বালক!!!
সেই রকম আনলিমিটেড ফান করেছেন!!
আর প্রতিটা জিনিসের এত খুঁটিনাটি বর্ণনা, চমৎকার বিশ্লেষণ , আপনার বুদ্ধিমত্তা। সব মিলিয়ে প্রায় সকল পাঠককূল মুগ্ধ হতে বাধ্য!!
১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। এত পুরানো দিনের একটা বের করে পড়ার জন্য। খুব স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছি। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি মেবি!!
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:১২
আকাশ মাহমুদ০০৭ বলেছেন: ভাই এই ধরনের ঘটনা আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, ভবিষ্যতে এই ধরনের পোস্ট আরো করবেন প্লিজ।