নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

গল্পঃ বাদামী রং এর ডায়রী

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৪

অনেক কষ্টে একটা বাসা ভাড়া করলাম। ঢাকা শহরে একদিনের মধ্যে নতুন বাসা ভাড়া করা খুবই কঠিন একটি ব্যাপার আর আমার মত একজন সদ্যপাস করা বেকারের জন্য তা এক ধরনের অগ্নিপরিক্ষাই বটে। বাড়িওয়ালাকে এক মাসের অগ্রিম ভাড়া দিয়ে যখন চাবি বুঝে নিচ্ছিলাম, তখন নিজেকে অনেক আত্মবিশ্বাসী লাগছিল।



চাবি হাতে নিয়ে নতুন বাসায় ঢুকলাম। সাথে ঢুকলেন বাড়িওয়ালাও। পা টেনে টেনে হাঁটছেন আর বিভিন্ন নিয়ম কানুন সম্পর্কে বলছেন। ভদ্রলোক লুঙ্গিটি খুবই বিপদজনকভাবে পড়েছেন। যে কোন মূহুর্তে কোন একটা দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। হাতাকাটা যে স্যান্ডো গেঞ্জিটা পড়েছেন, তার প্রতিটা সুতা টান টান হয়ে আছে প্রকান্ড ভূড়ির চাপে। আমার দেখে খানিকটা হাসি পেল, আমি তাড়াতাড়ি মুখ ফিরিয়ে নিলাম, বাসার দিকে মনোযোগ দিলাম। টিনসেড মেঝে আর দেয়াল পাকা করা। দুই সারিতে মোট দশটা রুম নিয়ে একটা বাসা, মাঝখানে একটা প্যাসেজের মত জায়গা। লম্বা প্যাসেজের এখানে সেখানে স্ল্যাব ভেঙ্গে গিয়ে নর্দমা দেখা যাচ্ছে। প্যাসেজের শেষ মাথায় রান্নাঘর। সময় ধরে এখানেই নাকি সবাইকে রান্না করতে হবে। রান্নাঘরের পিছনেরই টয়লেট। সবাইকে এই টয়লেটই ব্যবহার করতে হবে। টয়লেট আর রান্নাঘরের সামনে জায়গাটা একটু স্যাতস্যতে।



আমি যে রুমটা ভাড়া নিয়েছি, তা প্রায় প্যাসেজের মাঝামাঝি। আমি রুমের সামনে এলাম। চাবি দিয়ে রুম খুললাম। দিনের বেলাতেও ভেতরে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে না, বেশ অন্ধকার। কিছুক্ষনের মধ্যে চোখে আলো সয়ে এল দেখলাম, মাঝারি সাইজের একটা রুম। বড় জোড় দশ ফিট বাই দশ ফিট হবে। ছোট একটা জানালাও দেখা যাচ্ছে। আসলে এটাকে কি বাসা বলব, মেস বলব নাকি রুম বলব ঠিক বুঝতে পারছি না। শহরের এই প্রান্তে নিম্নবিত্ত লোকদের বসবাস। এখানে অধিকাংশই সব গার্মেন্টসকর্মী আর নিম্ন আয়ের মানুষজন থাকে। এর থেকে বেশি এখানে অবশ্য আশাও করা যায় না। তবে যাই হোক না কেন, আমার জীবনের একটা গুরত্বপূর্ন অধ্যায়ের শুরু এখান থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। আমার আর রেশমির এই শহরে একটা মাথা গোঁজার ঠাই হতে যাচ্ছে, নিজেদের একটা বাসা-এটা ভাবতেই আনন্দ লাগছে।



রুমে তালা দিয়ে আবার বের হয়ে এলাম। পড়ন্ত বিকেলেও রোদের প্রচন্ড তাপ। এইবার নাকি গরমের রেকর্ড হয়েছে। গত ছাব্বিশ বছরে নাকি এত গরম আর পড়েনি। ছাব্বিশ বছর কথাটি মাথায় আসতেই নিজের বয়সের কথা মনে হল। হ্যাঁ আমার বয়সও ছাব্বিশ। মাকে জিজ্ঞেস করতে পারলে ভালো হত, আমার জন্মের সময় আসলেও কি এমন গরম পড়েছিল কিনা। অবশ্য আমার চুলার ধারে সারাজীবন কাটানো মায়ের কাছে প্রতিটি দিনই প্রচন্ড গরম।



ফুটপাত ধরে হাঁটছি। সামনে একটা চায়ের দোকানে রেশমীকে বসিয়ে এসেছি। সেই সকাল থেকে এখানে সেখানে বাসা খুঁজতে খুঁজতে গিয়ে বেচারী বড্ড ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন বাসায় যাই, আর হতাশ হয়ে ফিরে আসি। আমাদের বাজেটের মধ্যে কোন বাসাই পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরের মধ্যে আমি মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেলাম, আজকে হয়ত রাতটা আমাদেরকে বাইরে কোথাও কাটাতে হবে। আজকে হয়ত আর বাসা খুঁজে পাব না। দুপুরে একটা টং দোকানে কলা রুটি আর কাপ চা খেয়েছি লাঞ্চ হিসেবে। দোকানের পাশেই পিলারে একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ল, বাসা ভাড়া দেয়া হবে-ব্যাচেলর বা স্বামী স্ত্রী।



কিছুটা ঘিঞ্জি এলাকা দেখে রেশমিকে বসিয়ে রেখে বাসাটা দেখতে গিয়েছিলাম। দূর থেকে রেশমীর চিন্তিত চেহারা চোখে পড়ল। বার বার ঘড়ি দেখছে। লাল রঙের একটা সেলোয়ার কামিজ পড়ে আছে রেশমী। পড়ন্ত বিকেলের আলোয় একে বারে যেন টগবগ করে ফুটছে। অবিন্যস্ত চুল খোপা বাধা। একগুচ্ছ চুল কানের পাশ দিয়ে মুখে এসে পড়ছে। আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর হাত দিয়ে চুল কানের পিছনে সরিয়ে দিচ্ছে। আমাকে দেখতে পেয়েই ছুটে এলো।

-এই নাও, তোমার সংসারের চাবি। আমি হাসতে হাসতে রেশমার হাতে চাবি তুলে দিলাম।

-মানে? বাসা পেয়েছ? সত্যি বলছ? ভাড়া কত? রেশমির কন্ঠে অবিশ্বাস আর আনন্দের সুর।

-আরে হ্যাঁ রে বাবা। এই যে দেখছ না বাসার চাবি? ভাড়া ১৫০০ টাকা। একমাসের এ্যাডভান্স দিয়ে বাসা পাকা করে এলাম। আজকেই উঠতে পারব আমরা।

রেশমির মাথার চুল হাত দিয়ে এলোমেলো করে দিলাম আমি। কাঁপা কাঁপা হাতে রেশমি আমার কাছ থেকে চাবিটা নিল। পরম যত্নে ওড়নার খুটির সাথে বেঁধে রাখল চাবিটাকে। আকাশে দিকে চেয়ে চোখ বন্ধ করে একটা বড় নিশ্বাস ফেলল। মনে হল যেন সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।

-আচ্ছা চলো, এখন আমাদের নতুন বাসার জন্য কিছু কিনে ফেলা যাক। আচ্ছা তুমি কি খাট ছাড়া কিছুদিন ঘুমাতে পারবে? আমি কিছুটা চিন্তিত হয়ে রেশমিকে জিজ্ঞেস করলাম।

-খাট লাগবে না, তুমি আছো না? তুমি থাকলে আমার আর ঘুমাতে কিছুই লাগবে না। এই বলে রেশমী আমার হাত টেনে ধরল।



আমি হাসতে লাগলাম। হাসতে হাসতে রেশমীর হাত ধরে হাটতে লাগলাম। আমাদের প্রথম সংসার। কত কিছু কেনাকাটা বাকি। সকাল থেকে অনিশ্চিত জীবনটা হঠাৎ করে খুব সুখী লাগছে।



আমি আর রেশমী দুইদিন আগে পালিয়ে বিয়ে করেছি। হঠাৎ করে রেশমীর বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমি মাত্র পাস করেছি, সামান্য একটা পার্টটাইম চাকরী করি, এখনও তেমন কোন কাজ পাইনি। ফলে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না। আমাদের বিয়ে কোন পরিবারই মেনে নেয় নি। নূন্যতম সৌজন্যটুকুও কেউ দেখায়নি আমাদের সাথে। চূড়ান্ত অপমান করে বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়েছে আমাদের। আমার বন্ধুরা প্রায় সকলেই মেসে থাকে। বউ নিয়ে তো বন্ধুদের মেসে থাকা যায় না। তাও একদিন ছিলাম। তাই তাই হন্য হয়ে আজকে বাসা খুঁজছি......



এই পর্যন্ত পড়ে আমি ডায়রীটা বন্ধ করলাম। অফিসের কাজে চট্রগ্রাম গিয়েছিলাম। রাতের ট্রেনে ঢাকা ফিরছি। আমার অফিস থেকে আমার জন্য একটা স্লিপিং বার্থ ফুল রিজার্ভ করা হয়েছে। লাগেজটা উপরের সিটে রাখতে গিয়ে দেখলাম, কোনায় একটা ডায়রী পড়ে আছে। প্রথমে ভেবেছিলাম, অন্য কেউ হয়ত এই বার্থে আছেন। কিন্তু ট্রেন ছেড়ে দেয়ার পরেও যখন কেউ এলেন না, তখন নিশ্চিন্ত হলাম, নিশ্চয়ই ভুলে কেউ এই ডায়রীটা ফেলে গিয়েছেন। এক কাপ চা আর একটা সিগারেট খেয়ে লাইট নিভিয়ে শুয়ে পড়লাম। কিন্তু বেশ কিছুক্ষন এপাশও পাশ করেও ঘুম আসল না। হঠাৎ খেয়াল হলো ডায়রীটার কথা। ভাবলাম ডায়রীটা পড়ি। কিন্তু অন্যের ডায়রী পড়ব, কেমন যেন একটা অপরাধবোধ হচ্ছে। পরক্ষনে ভাবলাম, ডায়রিটা তার মালিকের কাছে পৌছে দিতে হলে তো আমাকে অন্তত দেখতে হবে, কোথায় নাম ঠিকানা কিছু পাওয়া যায় কিনা।



বাদামী রঙের চামড়ার সাদামাটা একটা ডায়রী। বেশ পুরানো। কিছু জায়গায় পাতা খানিকটা নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। কিছুটা ইতস্তত করে ডায়রীটা হাতে নিয়ে পড়া শুরু করলাম। ডায়রীর প্রতিটি পাতায় পাতায় রয়েছে এক আশ্চর্য প্রেমের গল্প। দুই জন মানুষের ভালোবাসার লড়াই এর গল্প। অনেক ভালোবাসার গল্প শুনেছি, দেখেছি কিন্তু এতো প্রায় সিনেমাকেও হার মানায়। এখনকার যুগে এই ধরনের ভালোবাসা প্রায় অবাস্তব একটি ব্যাপার। আমি পড়ছি আর শিহরিত হচ্ছি, অদ্ভুত এক ভালো লাগায় আচ্ছন্ন হয়ে যাচ্ছে মন।



ভদ্রলোকের নাম মেহদী হাসান , তার স্ত্রীর নাম রেশমী। বুঝাই যাচ্ছে ডায়রীটা ভদ্রলোক নিজেই লিখেছেন। একে অপরের প্রতি প্রগাঢ় ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে ডায়রীর প্রতি পাতায় পাতায়। আছে কবিতা, আছে গান, আছে হাতে আঁকা স্কেচ। কিছু কিছু লেখা পড়ে আমার মত একজন কঠিন হৃদয়ের একজন মানুষের গলার কাছটায় কেমন যেন ধরে ধরে আসছে। মেহদী সাহেব তার ডায়রীতে লিখেছেন -



আমাদের প্রথম সংসারের দিনগুলো অনেক ভালো কেটেছে। আমি সর্বসাকুল্যে মাত্র ৫,০০০ টাকা বেতন পেতাম। সকালে আমরা ইচ্ছে করেই রান্না করতাম না। সকাল বেলা কর্মজীবী মানুষগুলোর রান্নার জন্য ছেড়ে দিতাম। আমি রাতে ফিরে এসে, দুজন মিলে এক সাথে দুই বেলার রান্না করতাম। সবাই আমাদের দেখে হাসত। প্রতি শুক্রবার আমরা ঘুরতে যেতাম। রেশমী চায়নীজ খেতে খুব পছন্দ করত। কিন্তু এখন আমাদের চায়নিজ খাওয়ার অবস্থা নেই। রাস্তার পাশে যে স্যুপের দোকান ছিল, সেখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা খুব আরাম করে স্যুপ খেতাম। সেটাই ছিল আমাদের চায়নিজ স্যুপ।



প্রথম একমাস আমরা ফ্যান ছাড়া ঘুমিয়েছি। রাতে প্রচন্ড গরমে রেশমী প্রায় ভিজে যেত। আমারও অবস্থা খারাপ। আমরা তখন তোষক গুটিয়ে মাটিতে ঘুমাতাম। জানালা দিয়ে মাঝে মাঝে বাতাস আসত। আমরা কিছুক্ষনের জন্য সতেজ হতাম। প্রথম যখন আমরা ফ্যান কিনি, ফ্যান চলার পর রেশমি বাচ্চাদের মত হাত তালি দিয়ে উঠে। ফ্যানের প্রবল বাতাসে যখন রুমের চারপাশ আলোড়িত, রেশমি আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমায়। আমি হয়ে যাই পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ.......................



এমন হাজারটা দারুন খন্ড খন্ড দৃশ্যে ভরা আমার হাতে ধরা এই ডায়রী। আমার প্রবল চায়ের তৃষ্ণা জাগে। ভালোবাসাময় এই ডায়রীটি আমি নিজের অজান্তেই খুব সাবধানে বন্ধ করি। বার্থ থেকে বের হয়ে চায়ের খোঁজ করি। গভীর রাতে ছুটে চলেছে ট্রেন। সবাই ঘুম। আমি প্রবল ভালোবাসাচ্ছান্ন হয়ে ট্রেনের দরজার কাছে এসে দাঁড়াই। জানালার ফাক দিয়ে আসছে প্রবল বাতাস। একটা সিগারেট ধরাই আমি। আধো আলো ছায়াতে পড়তে থাকি ভালোবাসার সেই মহাকাব্য। এই ডায়রী প্রায় বছর পাঁচেক পুরানো। আমি ডায়রীর প্রায় শেষের দিকে। তাদের বিয়ের প্রায় ২ বছর পরের ঘটনা। ভদ্রলোকের স্ত্রী তখন গর্ভবতী। তিনি লিখে চলেছেন-



গত একমাস হলো আমি প্রচন্ড ব্যস্ত। আল্লাহ রহমতে আমি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ভালো চাকরী পেয়েছি। প্রত্যাশার চাইতে ভালো বেতন। আগের দুই রুমের ছোট্ট ফ্ল্যাট ছেড়ে দিয়ে নতুন বড় ফ্ল্যাটে উঠেছি।নতুন ফার্নিচার কিনেছি, সব কিছুই প্রায় নতুন করে কিনেছি। কিন্তু সবই একা করতে হচ্ছে। রেশমি অসুস্থ। ডাক্তার বলেছে, আমরা বাবা-মা হতে চলেছি।



কি যে প্রচন্ড আনন্দ লাগছে বলে বুঝাতে পারব না। বাবা হবার অনুভূতিটা আসলেই অন্য রকম। আমার জন্মের সময় আমার বাবার এমন কোন অনুভূতি হয়েছিল কিনা আমার জানা নেই। এই কয় বছরে আমাদের পরিবারের কেউ আমাদের কোন খোঁজ নেয় নি। এত বড় একটা পৃথিবীতে আমাদের দুজনের দুজন ছাড়া আর কেউ নেই। আমরা দুজনই আমাদের পৃথিবী। আমাদের পৃথিবীতে নতুন একজন অতিথি আসছে। এত বছর পরে হয়ত আমি কাউকে বাবা বা মা বলে ডাকতে পারব। কিন্তু এই সময়ে কাউকে পাশে পেলে ভালো হত। আমি অফিসে থাকি, রেশমীর দেখাশোনার কেউ নেই, তাছাড়া অনেক মেয়েলী ব্যাপারও আছে, আমি তার কিছুই জানি না। নিজের জন্য না হলেও রেশমির জন্য আমার অনেক খারাপ লাগছে। রেশমি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, আমি থাকতে তোমার কোন চিন্তা নেই। আমি সব সামলে নিব ..............



আমার হাতের সিগারেট শেষ। বার্থে ফিরে গেলাম। একটু ঘুম ঘুম পাচ্ছে। নিজের অজান্তেই কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুম ভেঙ্গে দেখি কমলাপুর চলে এসেছি। চারিদিকে মানুষের হাকডাক। আমি ডায়রীটা সযত্নে আমার ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখি। তারপর ফিরে যাই নিজের জগতের ব্যস্ততায়।



ঢাকায় ফিরে আমি প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে পড়ি। অফিসের নতুন একটা প্রজেক্ট নিয়ে নানা রকম ব্যস্ততায় আমার দিন রাত এক। এর মধ্যে বস আমাকে দায়িত্ব দিলেন নতুন বছরের জন্য ক্যালেন্ডার আর ডায়রী বানাতে। হঠাৎ মনে পড়ল, আমার সেই ডায়রীর কথা। দ্রুতই বাসায় ফিরে এলাম। ড্রয়ার থেকে ডায়রীটা বের করি। কোন একটা ঠিকানার জন্য ভালো করে পৃষ্ঠা উল্টাতে থাকি। হঠাৎ দেখি শেষের দিকে একটা পাতায় ভদ্রলোক তার অফিসের নাম লিখেছেন। ভদ্রলোক একটা ব্যাংকে চাকরী করেন। তারপর দিন অফিসে লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিলাম। মেহদী নামের একজনকে খুজেও পেলাম। সব কিছু ঠিক ঠিক মিলে গেল।



দুই দিন পর। শুক্রবার আমি দাঁড়িয়ে আছি, মিরপুরের একটি বাসার সামনে। আমার হাতের ঠিকানা এই বাড়িকেই নির্দেশ করছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এই বাড়ির চার তলায় সেই ভদ্রলোকের থাকার কথা। আমি আস্তে আস্তে চারতলায় উঠলাম। বেল টিপ দিলাম। ভেতরে ছোট বাচ্চাদের খেলার আওয়াজ। দুর থেকেএকটা মহিলা কন্ঠ শুনতে পেলাম-

-এ্যাই মেহদী , দেখতো কে এসেছে? উফ তোমরা রুমটাকে কি বানিয়ছ?



গেট খুলার আওয়াজ। আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে জনাব মেহদী । কোলে একটা ছোট বাচ্চা। বাচ্চাটা অবাক হয়ে আমাকে দেখছে। মেহদী সাহেব আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কে আপনি?

-এই প্যাকেটটা আপনার জন্য। আমি ডেলিভারি দিতে এসেছি।

-কি এখানে? ভদ্রলোকের কন্ঠে কিছুটা দ্বিধা।

আমি তার কথার জবাব দিলাম না। আস্তে আস্তে প্যাকেট খুলে তাকে ডায়রীটা দেখালাম।



ভদ্রলোক খানিকটা কাঁপতে কাঁপতে ডায়রীটা হাতে নিলেন। আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলেন। আমি কিছুক্ষন বোকার মত দাঁড়িয়ে রইলাম। তারপর কিছুটা মন খারাপ করে সিঁড়ি দিয়ে নামতে শুরু করলাম। হঠাৎ দেখি দরজাটা খুলে গেল। ভদ্রলোক পাগলের মত সিঁড়ি দিয়ে নেমে এসে আমাকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করলেন। দরজার পাশ থেকে একজন ভদ্রমহিলা উকি দিলেন। তার কোলে ছোট বাচ্চাটা অবাক হয়ে বড় বড় চোখে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।



আমি ভদ্রলোককে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করছি। তিনি কেঁদেই যাচ্ছেন। আমি তাকে শক্ত করে ধরে রেখেছি। নিজের অজান্তেই আমার চোখটা কেন যেন ভিজে যাচ্ছে।

মন্তব্য ১৪২ টি রেটিং +৩১/-০

মন্তব্য (১৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩০

স্বপনবাজ বলেছেন: গল্প সিরাম হইছে ! তবে নারী চরিত্রের নাম রেশমী কেনু ???? X(( X(( X(( X(( X((
আমার গুরু স্যার কাণ্ডারী অথর্ব মাইন্ড করতে পারে ! B-))

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তুমি যে তোমার কান্ডারী গুরুকে কিছুই চিন না, তোমার এই মন্তব্যে আবার প্রমানিত হইল। তারে জিগাইও :)

২| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

অনীনদিতা বলেছেন: আপনার এই লেখাটা পড়ে কেন যেন.. এক অন্যরকম ভালোলাগায় মন টা বিষন্ন হয়ে গেলো। এখন এই বিষন্ন ভাব টা দূর করা যায় কিভাবে বলুনতো।

সত্যি বলছি অনেক টাচি একটা গল্প।

ভালো থাকুন।আর এরকম ভালো ভালো লিখুন। :)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। এই গল্পটি বাস্তবের একজন মানুষের জীবনের বাস্তব ঘটনা থেকে ধার করা। গল্পের প্রয়োজনে কিছুটা চরিত্রায়ন করেছি।

আমি মনে করি, এটা আসলে ঠিক বিষন্নতার গল্প না, এটা সাহসের গল্প, লড়াই এর গল্প। :) আমি বড় বড় লেখকদের গল্প পড়ি আর অবাক হই, তাদের গল্পগুলো হয়ত যেন ঠিক জীবন থেকেই নেয়া। :)

৩| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: :(
কষ্টের গল্পে মাইনাচ
গল্প ভালো হইলেও

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: :( :( কষ্ট পাইলাম।

৪| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

একজনা বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর প্রেমের গল্প। ভালো লাগল।

হিন্দি সিনেমা 'সাথিয়া' দেখার পর প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার ভুত মাথায় চেপেছিল কোন এককালে। আবার সেই কথা মনে পড়ে গেল :) :D

যাইহোক, গল্প আর চরিত্র কান্ডারী ভাইয়ের সাথে কিছুটা মিলে যায় ;)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :) আসলে এই ধরনের ডেডিকেশন থাকা একটা বিশাল সাহসের ব্যাপার। তাদের জন্য আমার শ্রদ্ধা।

৫| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫২

আিম এক যাযাবর বলেছেন: ভালো লাগলো গল্পটা।

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৬| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

একজনা বলেছেন: আপনার গল্পটাও একজনের শ্রদ্ধা জাগানিয়া প্রেম কাহিনীর প্রতি ডেডিকেশন করেই লেখা হয়েছে। ;) ;) সেটাও কিন্তু চমৎকার একটা ব্যাপার হল। :) :)

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনি বুঝেছেন ব্যাপারটা। আসলে আমি যখন প্রথম শুনি, তখন প্রচন্ড অবাক হই। সেই প্লট থেকেই লেখা আর কি। :)

৭| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

স্বপনবাজ বলেছেন: কন কি ! |-) |-) |-) |-)

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: :)

৮| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৩

মিলন মো রাকিব বলেছেন: [[f9.good]]

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৯| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১১

বাংলার হাসান বলেছেন: চমৎকার হইছে। তয় কান্ডারী ভাইরে গল্পটা উৎসর্গ করলে আরো ভালা হইতো।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! :) ধন্যবাদ।

১০| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৮

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: গল্পটা অনেক সুন্দর।পড়ে ভালো লাগলো।তবে এটা যে কান্ডারী ভাইয়ার জীবনের গল্প সেটা জানা ছিলো না.........
কান্ডারী ভাইয়া কই আপ্নি?????? :) :)

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিভাবে সবাই বুঝছে এটা কান্ডারী ভাইএর !! :) :)

১১| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২১

বোকামন বলেছেন:





কান্ডরী অথর্ব ভাইসাহেবের লেখাটি পড়ার সেীভাগ্য আমার হয়েছে। আপনিও বেশ সিনেমাটিক প্লটে লিখেছেন (প্রশংসা করলাম) আসলে সিনেমা, গল্প, উপন্যাস
সাধারণ মানুষদের যাপিত জীবন হয়তো অসাধারণ ভাবে তুলে ধরতে পারে। কিন্তু বাস্তব জীবনের নায়কদের সবটুকু তো প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। আর সমাজের স্তরে স্তরে এই নায়কদের বাস্তব অভিনয় শেষ পর্যন্ত সুন্দর পৃথিবী নামে একটি সিনেমা উপস্থাপিত হয়।

সততা-মেধা-ভালোবাসা-শ্রদ্ধা এবং সর্বোপরি বিশ্বাস এই অসাধারণ মাপের সাধারণ মানুষদের চলার পথের পাথেয়।

আমি মনে বেশী লিখে ফেলছি....

সম্মানিত কাল্পনিক_ভালোবাসা,
ভালোবাসা কাল্পনিক থাকে না, আমাদের চোখে দৃশ্যত হয় এদের কারণেই.।

আমার সালাম নিবেন।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন। সিনেমা, গল্প, উপন্যাস, সাধারণ মানুষদের যাপিত জীবন হয়তো অসাধারণ ভাবে তুলে ধরতে পারে।

আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা। ধন্যবাদ। :)

১২| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫২

মাক্স বলেছেন: টাচি!

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স! :)

১৩| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:

আমি এই গল্পে কমেন্টস করবো বলেই ইন্টারনেট করলাম। আগেই জানতাম কাহিনীটা কিন্তু তোমার লিখায় মনে হয় আবেগ আর ভালোবাসা আরো বেশী করে প্রকাশ পেয়েছে।

আমার বয়সে ছোট তাও শ্রদ্ধায় মাথা অবনত তার ভালোবাসার কাছে । ভান্ডারী থুক্কু কান্ডারী ও রেশমি ভাবীর ভালোবাসা যেন এমনই থাকে সারাজীবন। তোমার পোষ্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়ে গেলাম।

কেউ একজন আমাকে মজা করে কান্ডারীকে আমার বয়ফেন্ড্র বলে। আমি খুশিই হতাম যদি কান্ডারী একজন ছেলে না হয়ে অথবা আমি ছেলে না হয়ে মেয়ে হতাম।


অফ.টপিক. উপরে কমেন্টধারী একজন ব্লগার একজনা'র আজকে জন্মদিন, যেহেতু উনার পোষ্ট ড্রাফট তাই এখানেই উনাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে গেলাম।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহ! ওয়াস্তাগফিরুল্লা! এই সব কি বলেন!!!!!

যাই হোক, অনেক ধন্যবাদ ভাই পড়ার জন্য। :) এই ধরনের মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা এমনিতেই আসে। :)

অটঃ তা কার আবার জন্মদিন!!!!!!!!

১৪| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩৮

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এখন আবার এইটা বইল্যেন না যে, এইটা কাণ্ডারি ভাইয়েরই জীবন কাহিনী ;) ;)

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কসকি মুমিন!!!!!!!!!!!!!! ;) ;)

১৫| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৪১

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: গল্পে অনেক অনেক ভালো লাগা :)

কান্ডারী ভাইয়ের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

ভালোবাসা তো এমনই !

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :) :)
পাঠে কৃতজ্ঞতা।

১৬| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
দারুন।
এক রাশ মুগ্ধতা।।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয় ভাই। :)

১৭| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪১

গ্রীনলাভার বলেছেন: ওয়াও। অসাধারন।

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। :)

১৮| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:

আমার জীবন কাহিনী মনে হল পড়ে। ভাই এইরকমও হয় মানুষের জীবন। সত্যি যাকে নিয়ে লিখেছেন তার চোখের পানি আবার নতুন করে নিজের অজান্তেই ঝরে এলো। আমি এত সুন্দর করে লিখতে পারিনি আমার নিজের কাহিনী। হয়ত আবেগ তাড়িত বেশী হয়ে পরেছিলাম বোলে লেখার ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আপনার কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকব আমার নিজেকে এভাবে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য পুনরায়। যতদিন আমি থাকব আর থাকবে সামু ততদিন এই কাহিনী আমার প্রিয়তে থাকবে।

@আমিনুর ভাই এভাবে বোলে কেন কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছেন।


যারা এই অসাধারন গল্প টি পড়ে আমাকে দোয়া করছেন তাদের সকলের প্রতি দোয়া রইল যেন আর কাউকে আমার মত এমন কষ্ট না করেই আল্লাহ সুখ দান করেন আমিন।


আর কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই দোয়া করি আপনার জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া আল্লাহ পূরণ করে দেন যেন আমিন

ভাই আপনাকে সত্যি খুব বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। তবে আমার নাম কিন্তু মেহেদী না আমি কাণ্ডারী অথর্ব আর অথর্ব হিসেবেই আপনাদের ভালোবাসার মাঝে বেঁচে থাকতে চাই নিজের ভালোবাসা আপনাদের বিলিয়ে দিয়ে

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পড়ে ভালো লেগেছে, এটাই আমার জন্য আনন্দের। দুইজন মানুষ তাদের জীবনের প্রেম ভালোবাসা বা পছন্দের মানুষের জন্য যে এই ধরনের ত্যাগ বা কষ্ট করতে পারেন, তার নিঃসন্দেহে সাধারন মানুষদের তালিকায় পড়েন না। আপনাদের জন্য অনেক শুভেচ্ছা :)

১৯| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:০৬

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: টাচি গপ - ভালা লাগছে

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাসুম ভাই। :)

২০| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:০৩

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: ঘটনাটি সইত্য মনে হইতাছে !!!

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সকল গল্পই কারো না কারো জন্য বাস্তব পাইলট ভাই। :)

২১| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:১২

মামুন রশিদ বলেছেন: এটাতো রীতিমত অনুপ্রেরনার গল্প । ;) :)


গল্পে প্রেম আছে, প্রেমিকাকে জোড় করে বিয়ে দেয়ার সংকট আছে, পালিয়ে বিয়ে করার মতো থ্রীল আছে, ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্যাক্রিফাইস আছে, আছে দুজনের এগিয়ে যাওয়ার জীবন সংগ্রাম । সবচেয়ে বড় কথা এখানে আছে রেসপেক্ট । প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেদের প্রতি, ভদ্রলোকের ডায়েরী ফেরত পাওয়ার পর লেখকের প্রতি- আর সবচেয়ে বড় কথা ডায়েরীটা পাওয়ার পর লেখকের ডায়েরীর মালিকের প্রতি ।

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই, আপনি সঠিক ধরেছেন, এটা আসলে অনুপ্রেরনারই গল্প। :) জীবনটা এই ধরনের ভালোবাসায় পূর্ন হলে মন্দ হতো না। :)

২২| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:১৬

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো পড়ে :) :) ধন্যবাদ

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিঙ্কনহুসাইন ভাই।! আশা করি ভালো আছেন। :)

২৩| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৮

নিয়নের আলো বলেছেন: গল্পটা চোখে পড়ার পর পড়ে ফেললাম,ভাল লাগল।

তবে কিছু মনে না করলে একটা জিনিস জিজ্ঞেস করতে চাই-আমার কেন জানি মনে হল আপনার নিজের একটা ডায়েরি আছে সেটি অবশ্য বাদামি রঙের নাও হতে পারে,কিন্তু এখানে আপনার জীবনের অনেক টুকরো স্মৃতি লিখা আছে,আপনার কাছে প্রায়ই মনে হয় এই ডায়েরিটা কখনো হারিয়ে গেলে এই স্মৃতি গুলোও হারিয়ে যাবে,আপনি কোনভাবেই তা চাননা,ডায়েরিটার প্রতি আপনার অদ্ভুত মায়া কাজ করে-সেইরকম একটা জায়গা থেকেই কি এই লিখাটা লেখা?

গল্পটা পড়তে পড়তে গল্পকারের কথা ভাবতে গিয়েই এইরকমটা মনে হল,তাই বললাম।ভাল থাকবেন। 8-|

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! আসলে সত্যি বলতে আমার ডায়রী ছিল। সেখানে কিছু লেখাও হয়ত ছিল। আমি ডায়রীকে বলতাম, ইচ্ছে খাতা। :) ব্লগে একটা লেখাও আছে আমার এই শিরোনামে। সময় পেলে পড়ে দেখবেন।

এই গল্পটি একজনের জীবনের বাস্তব কাহিনী থেকে অনুসৃত। প্লটের প্রয়োজনে ডায়রী এবং আমি রুপী উত্তম পুরুষের ব্যবহার করেছি। :)

আপনিও ভালো থাকবেন। :)

২৪| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৯

নিয়নের আলো বলেছেন: কমেন্ট গুলো পড়া হয়নি,নাহলে নাহলে আমার চিন্তার ডালপালা না মেলে কাণ্ডারি অথর্ব ভাইয়ের ব্যাপারটা আগেই ধরতে পারতাম।

:(

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কোন সমস্যাই নেই। আপনার উপরের কমেন্টটি একেবারে মিথ্যে নয় বা ভুল নয়। সেই কারনেই দুটো কমেন্টেই আলাদা উত্তর দিয়েছি। :)

২৫| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:০০

মৌরি৯৯ বলেছেন: সত্যি খুব ভালো লাগলো

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

২৬| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

s r jony বলেছেন:
চরম হইছে +++++++++++

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

২৭| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: কি ভাবতেছিলাম আর শেষে কি ঘটল! তবে হ্যাপি এন্ডিং দেওয়ায় আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

গল্পের এন্ডিংয়ে পাত্র পাত্রিরা কাঁদছে অথচ এটা একটা হ্যাপি এন্ডিং! এই ধরনের লেখা ভালবেসে ফেলাটা খুব স্বাভাবিক। নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন গল্পটাকে ভালবেসে ফেলেছি!

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নাজিম ভাই। আপনি দূর্দান্ত লিখেন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে, সত্যি অনেক ভালো লাগছে। :)

২৮| ২১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

মধুমিতা বলেছেন: অনেক ভালো লাগল। নিজের ভালোবাসার কথা মনে পড়ে গেল। এমনইতো দূর্দান্ত ছিল।

+++++++++++++++

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে মধুমিতা ভাই!!! এই প্রথম আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম। :) :)

আপনারটা নিয়েও তাহলে এমন কিছু লিখে ফেলুন। !! আমি নিশ্চিত সেটাও দারুন একটা পর্ব হবে। :) :)

২৯| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

গ্য।গটেম্প বলেছেন: valo

২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৩০| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন:


জানতাম না কাণ্ডারি ভাইয়ের গল্প ...
কাল রাতে পড়ছিলাম আর তখন কমেন্ট পড়ে বুঝলাম !

ভাই ভাবির জন্য অনেক দোয়া ...


লিখেছেন এত চমৎকার করে ! মুগ্ধ বরাবরের মতো ...


:)





২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। মূল আমাদের কান্ডারী ভাই এর গল্পই। তবে গল্পের প্লটের জন্য কিছু বাড়তি জিনিসের আবির্ভাব হয়েছে। যেমন উত্তমপুরুষে আমি ও ডায়রী। :) :)

৩১| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পের নামটা সুন্দর। কালকে নেট এর সমস্যার জন্য আর পড়তে পারিনি রাতে।

গল্প লিখল কাল্পনিক ভালোবাসা আর সবাই শুভেচ্ছা জানায় কাণ্ডারি ভাইয়াকে। বুঝলাম না ব্যাপারটা।
এটাই কি কাণ্ডারি ভাইয়ার জীবন কাহিনী ? যদি তাই হয়ে থাকে তাদের সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য শুভকামনা উইথ পিচ্চি-পাচ্চি :)

গল্পের জন্য গল্পকারকেও শুভেচ্ছা।

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! ভালো বলেছেন, গল্প লিখেছি আমি আর শুভেচ্ছা জানাচ্ছে সবাই কান্ডারী ভাইকে।

আসলে কিছুদিন আগে আমি কান্ডারী ভাই এর মুখে তাদের প্রথম জীবনের কথা শুনি। ব্যাপারটি এত বেশি আবেগময়, আসলে সেটা ঠিক প্রকাশ করে বুঝানো যাবে না। সদ্য পাস করা একজন গ্রাজুয়েট, সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী, পরিবার থেকে বিচ্যূত, একেবারে শুন্য থেকে শুরু করা - নিঃসন্দেহে আমার জন্য লেখার একটি প্লট এনে দেয়।

সেই হিসেবেই লেখা। সবার ভালো লাগছে দেখে আমারও অনেক আনন্দ হচ্ছে। প্রিয় মানুষগুলো ভালো থাকুক, এটাই হোক আমাদের কামনা।

আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য। :)

৩২| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

রায়হান চৌঃ বলেছেন: জাদিদ ভাই....
সত্যি খুব ভালো হয়েছে.........
আনেক দিন পর মন টা খুব ভালো হয়ে গেল.....
খুব বড় ধরনের একটা ভারি কিছু নিজের উপর থেকে সরিয়ে দুরে কোথও ফেলে দিলে যেমনা মনে হয়..... :)
অনেক শুভেচ্ছা রইল...

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে ভাই, কেমন আছেন? অনেকদিনপর আপনাকে দেখলাম।!
এক সাথে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছি আমরা।

গল্প পড়ে ভালো লাগছে! আমি আনন্দিত। :)

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৩৩| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কি ব্যাপার!! বাস্তব কাহিনি এটা!!! তবে ট্রুথ ইজ স্ট্রেঞ্জার দ্যান ফিকশন - হওয়া অসম্ভব কি?

লেখক ও কাণ্ডারি অথর্বকে শুভেচ্ছা।

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! আজকে আমার খুব ভালো লাগছে, আমার প্রিয় সব ব্লগারগুলো একই পোষ্টে এসে হাজির :)

জী, এটা প্রায় বাস্তব একটি কাহিনী। গল্প বলার সুবিধার্থে উত্তম পুরুষ ও ডায়রীর ব্যবহার হইয়েছে। আপনাদের ভালো লাগছে দেখে আমারও বেশ ভালো লাগছে। :)

৩৪| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৫

রায়ান ঋদ্ধ বলেছেন: "এটা আসলে ঠিক বিষন্নতার গল্প না, এটা সাহসের গল্প, লড়াই এর গল্প।"..... কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাইয়া, হ্যাটস অফ্‌.!!।!!!

কান্ডারি ভাইয়া এবং ভাবির জন্য অনেক শুভেচ্ছা। একটা নতুন শক্তি পেলাম। যদিও সবার জীবন বা প্রেম একই রকম হয় না, তাই যুদ্ধটাও আলাদা। কিন্তু এই যুদ্ধে এমন অনুপ্রেরনা আরও অনেক এগিয়ে দেয়.... দোয়া করবেন সব আগুনে পুড়ে খাটি হওয়া ভালোবাসার পথ যাত্রীদের জন্য।

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনার জন্যও অনেক শুভেচ্ছা।
আপনি সঠিক ধরেছেন, এটা আসলে ঠিক বিষন্নতার গল্প না, এটা সাহসের গল্প, লড়াই এর গল্প। :)

৩৫| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ক্ষমতা বলেছেন: আপনি কি নিশ্চিত এই পোস্টটি আপনার প্রিয় তালিকায় যুক্ত করবেন?
ইয়েস!!!



++++++++++++++++

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহ! অনেক ধন্যবাদ :)

৩৬| ২১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর... কিছুটা মন খারাপ হলেও,এক কথায় ভালো লেগেছে... :)

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৩৭| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

লাবনী আক্তার বলেছেন: বেশ ভাল লাগল লেখাটা। আর পড়া শেষে আবিস্কার করলাম চোখ দুটি জলে ছল ছল করছে।


লেখার প্রথমটুকু পড়ে মনে হচ্ছিল কাণ্ডারি ভাইয়ের জীবন কাহিনী। :P :P

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। :) আশা করি ভালো আছেন।

৩৮| ২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪

শীলা শিপা বলেছেন: ভালো লাগল গল্পটা। ডাইরিটা পড়তে ইচ্ছা করছে।

২১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। অন্যের ডায়রী পড়া ভালো না। ;)

৩৯| ২১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

গৃহ বন্দিনী বলেছেন: শেষ দুই প্যারা পড়ে তো আমি অন্য রকম কিছু একটা মনে করছিলাম ।কমেন্ট পড়ে স্বস্থি পেলাম যে এটা হ্যাপি এন্ডিং । :)

আমার কাছে কেন যেন মনে হয় সফল প্রণয়ের পেছনে আপনাদের মত প্রেমিকদেরই অবদান বেশি থাকে @কান্ডারী ভাই

গল্পে একটা প্লাস আর গল্পের নায়কে বাকি সবগুলো ।

২১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কমেন্ট পড়ে বুঝলেন এটা হ্যাপি এন্ডিং!!!! B:-)
বেশ বেশ!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :)

৪০| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১১

না পারভীন বলেছেন: কান্ডারীর কাহিনী পড়েও চোখ মুছেছিলাম
আজো শেষের টুকু পড়ে চোখে পানি চলে এল ।


কান্ডারী আর রেশমির প্রেম মরণের পরেও অক্ষুণ্ণ থাকুক এটাই প্রার্থনা ।

এটা শুধু কাল্পনিক ভালবাসা নয় , সত্যিকারের ভালবাসা । অনেক ধন্যবাদ । অনেক সুন্দর লিখেছেন ।

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনাকে আমার ব্লগে স্বাগতম।

সকল মানুষের ভালোবাসাময় জীবন এইভাবেই পূর্নতা পাক, সেটাই প্রার্থনা করি।

ভালো থাকবেন, শুভেচ্ছা রইল। :)

৪১| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:১৮

আমিভূত বলেছেন: বরাবরের মতই আপনার লেখা দেখলাম সকালেই অপেক্ষা না করে পড়ে ফেললাম এক নিঃশ্বাসে ,কিন্তু তখনকার অনুভূতি এখন আর আসছে না মন্তব্য করার জন্য !

তবে একটা কথা না বললেই না আপনার লেখার হাত আসলেই সুন্দর ,কোমল । সহজ-সরল ভাষায় মনের ভাষা , গল্প ফুটিয়ে তুলতে পারেন যা সবাই পারেনা :)



শুভ কামনা :)

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আসলে ভালো লিখি বা খারাপ লিখি সেটা জানি না, তবে আপনাদের মত অনেকের কমেন্টের লোভেই লিখি । আপনাদের ভালো লাগলে তখন অনেক আনন্দ পাই। :)

পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। :)

৪২| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কান্ডারী অথর্ব ভাই এবং ভাবীর জন্য অজস্র শুভকামনা থাকলো !
আপনার লেখনী আমাকে মুগ্ধ করেছে !

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সহনিক খ্যাতিমান হোক।

৪৩| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: স্বপনবাজের মিলাদ অনুষ্টানে আপনার সপরিবারে দাওয়াত থাকলো ! মিলাদ অনুষ্টান ২৬ দিন পর !

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্য ফ্লাডিং করলে আপনার এই নিকটি ব্যান করার জন্য রিপোর্ট করা হবে। সো সাবধান। ;) :P

৪৪| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: :| :| :| :| :(( :(( :(( :( :( :( :( ;)

২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমমমম।

৪৫| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: আমি সাধারনত কোন পোস্ট পড়ার সাথে সাথে কমেন্ট বক্সে চলে যাই, পোস্ট সম্পর্কে আমার ভাবনাগুলো অবিকৃতভাবে প্রকাশের আশায় । কারন কমেন্ট করার আগে অন্যের মন্তব্য পাঠে আমি বিভ্রান্ত হয়ে যাই । আর এ জন্যই উপরের ২১নং কমেন্ট করার সময় আমি ঘূনাক্ষরেও বুঝতে পারিনি এটা আমার একজন প্রিয় ব্লগার এবং প্রিয় মানুষের জীবন কাহিনী । এখন আমি আমার ঐ কমেন্ট আবারও করতে চাই,

এটাতো রীতিমত অনুপ্রেরনার গল্প । ;) :)


গল্পে প্রেম আছে, প্রেমিকাকে জোড় করে বিয়ে দেয়ার সংকট আছে, পালিয়ে বিয়ে করার মতো থ্রীল আছে, ভালোবাসাকে টিকিয়ে রাখার জন্য স্যাক্রিফাইস আছে, আছে দুজনের এগিয়ে যাওয়ার জীবন সংগ্রাম । সবচেয়ে বড় কথা এখানে আছে রেসপেক্ট । প্রেমিক-প্রেমিকা নিজেদের প্রতি, ভদ্রলোকের ডায়েরী ফেরত পাওয়ার পর লেখকের প্রতি- আর সবচেয়ে বড় কথা ডায়েরীটা পাওয়ার পর লেখকের ডায়েরীর মালিকের প্রতি ।



এই অনন্য জীবন সংগ্রাম,
এই অপরুপ ভালোবাসার কাহিনী,
আমার ভাইয়ের ।
আমার প্রিয় ব্লগারের ।
কান্ডারী ভাই, তোমায় সালাম ।।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মামুন ভাই, আপনাকে আবার পেয়ে আমার অনেক ভালো লাগল।
এই ধরনের মানুষগুলোকে শ্রদ্ধা না করে কোন উপায় নেই। :) :) উনাকে দেখে কি বুঝা যায়, এত প্রেম আছে ?? হাহাহ!!

৪৬| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:১২

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
চমৎকার উপস্থাপনা।

"এটা আসলে ঠিক বিষন্নতার গল্প না, এটা সাহসের গল্প, লড়াই এর গল্প। "

সহমত
কন্ডারী ভায়ের লেখা পরেও আমার তাই মনে হয়ে ছিল।

পরিবেশটা দারুণ লাগলো। লেখক, নায়ক, পাঠকের মিলন মেলা।আর কোথায় পাওয়া যায় বলুন তো???

ভালো থাকবেন।
+++++++++

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। :) পাঠে কৃতজ্ঞতা। :)

৪৭| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমৎকার!!!!! আবেগ, ভালোবাসা, থ্রিলিং সবই আছে।

আবার মহা প্যাঁচও আছে। বুঝলাম না সবাই কান্ডারী ভাইকে মিন করছে কেনো???

হুম কান্ডারী ভাইয়ের রেশমি সিরিজ আমিও পড়েছি। কিন্তু গলদটা লাগে মামুন ভাইয়ের কমেন্ট দুটোতে।

সে যাই হোক লেখায়++++++
সাথে কান্ডারী ভাইকেও +++++++++ ;) ;) B-) B-) B-)

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহা দেশী! আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে অনেক সময় বাস্তব গল্প যখন আপনি বললেন, তখন সেখানে গল্প বলার খাতিরে আপনাকে কিছু চরিত্র আনতে হয়, আমি নিজেই এখানে উত্তম পুরুষ হিসেবে অংশগ্রহন করেছি। শুধু মাত্র বিশ্বাসযোগ্যতা এবং উপস্থাপনের জন্য।

বাকি সব ধারনাই ঠিক আছে। :)

৪৮| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫০

নোমান নমি বলেছেন: জীবনের গল্প!

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহ! নোমান ভাই রে পাইয়া আমার জীবন স্বার্থক হইল!!!! :D :D :P

অনেক ধন্যবাদ ভাইজান!!!!

৪৯| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৫৮

শিপু ভাই বলেছেন:
জাস্ট সুপার্ব!!! আমি মুগ্ধ!!!
কাঠামো চমৎকার!!! বর্ণনা মেদহীন ঝরঝরে!!!

++++++++++++++++++++++
পোস্ট পড়াকালীন আমার মনে উদয় হওয়া কিছু কথাঃ
*রেশমী তো কান্ডারী ভাবির নাম। গল্পটাও পরিচিত মনে হইতাছে!!! #:-S

*খাওয়া বসা ঘুম এক ই জায়গায়- ছেলে মেয়ে দেখে আধো তন্দ্রায়-
বয়স্ক দুই দেহ মিলে যায় আধার ঘনালে ঘুট ঘুট!!!
দরজায় আছে নম্বর লিখা- তাই দেখে দেখে ঠিকানাটা শেখা-
যদিও বাসার আসল ঠিকানা-দশফুট বাই দশফুট!!! :(

*আমাকে একটা মেয়ে প্রেমপত্র দিয়েছিল। তাতে একটা ছন্দও লেখা ছিল-
"ঘরের পিছে কলা গাছ- কলা ধরে না।
বন্ধুর সাথে শুইতে গেলে বালিশ লাগে না!!!" :P




প্রিয় কান্ডারী ভাই ও তার পরিবারের জন্য আমার ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল!!!

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহ!!!! সেই কবিতা!!!!! ম্যান!!!
কেডা দিসিল আপ্নেরে এই প্রেমপত্র!!! কি ভাষা!!!

ঘরের পিছে কলা গাছ- কলা ধরে না।
বন্ধুর সাথে শুইতে গেলে বালিশ লাগে না!!

হাহাহাহাহাহ।
ভাই আপনারে ধন্যবাদ এই রকম একটা দূর্দান্ত মন্তব্য করার জন্য। ++

৫০| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১২

শিপু ভাই বলেছেন:
একজন গ্রাম্য বালিকা (ব্লগার গ্রাম্য বালিকা না) এই পত্রখানা দিয়াছিল আমার কৈশোরে। বালিকা অষ্টম শ্রেনীতে অধ্যায়ন করতো আর আমি একাদশ শ্রেনীতে।

আপনি জানেন কিনা জানিনা- গতানুগতিক প্রেম পত্রে ২/১টা "ছন্দ" থাকা আবশ্যক!!!


এখন আর প্রেম পত্রের যুগ নাই। :(

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছে!! অষ্টম শ্রেনীর বালিকা যে ভাষা ব্যবহার করিয়াছে, আমি টেনশনে আছি তিনি আরো উপরের ক্লাসে উঠলে কি ধরনের ছন্দ সৃষ্টি করিতেন। ;) হাহা

আফসোস, এখন আর প্রেম পত্রের যুগ নাই। :(

৫১| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৫৯

শিপু ভাই বলেছেন:
হাহাহাহ নবম শ্রেনীতে ওঠার পরই তাহার বিবাহ হইয়া যায়!!!

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আল্লাহ বাচাইছেন!!!!

৫২| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ টাচি একটা গল্প। ভালো লেগেছে আমার।

২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হামা ভাই। কারো ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গল্প লেখাটা আমার মনে হয় কিছুটা কঠিন। সেই ক্ষেত্রে এই কিছু প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছি। আশা করি, আপনার সেটাও ভালো লেগেছে। :)

আপনার মন্তব্য পড়লে আমার মনে হয়, হ্যাঁ, ব্যাপারটা ভালো কিছু হয়েছে। :)

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল। :)

৫৩| ২২ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

এরিস বলেছেন: অবশ্য আমার চুলার ধারে সারাজীবন কাটানো মায়ের কাছে প্রতিটি দিনই প্রচন্ড গরম। লাইনটি খুব ভালো লেগেছে। রেশমির 'এ্যাই মেহদী' উচ্চারণটা খুব সুন্দর। আচ্ছা ভাই, লাল রঙ খুব বেশি টানে আপনাকে?? লাল রঙটা আপনার লেখায় ঘুরেফিরে আসে। :) ভদ্রলোক নাহয় কাঁদলেন। আমার কান্না কান্না পাচ্ছিল কেন?? :P এখন অবশ্য লজ্জা লাগছে সেজন্যে। প্লাস পাওনা রইল। সামুর মাথা ঠাণ্ডা হলে দিয়ে যাবো। :)

২২ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই লাইনটা আমারাও অনেক প্রিয়। আমি চেষ্টা করি, কোন না কোন ভাবে মা এর কথা আমার গল্পে আনার জন্য। সব সময় পারি না। যখন পারি, তখন আমার ভালো লাগে।

হ্যাঁ, লাল রং আমার অনেক পছন্দ। লাল আমার কাছে ক্ষমতা আর শক্তির প্রতীক। :)

গল্পটি লেখার সময় এই জীবনে প্রথম, আমিও কিছুটা আবেগে আপ্লত হয়েছিলাম। প্লাস বাকী রইল। ;) ;) আগামীবার থেকে বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ;)

৫৪| ২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৮

মধুমিতা বলেছেন: ব্লগের লেখাগুলি অফলাইনেই বেশী পড়া হয়। আমি আলসে বলে মন্তব্য তেমন একটা করা হয় না। আপনার লেখ কিন্তু আমি নিয়মিতই পড়ে থাকি। এই লেখাটা এতই টাচ করল যে, মন্তব্য না করে পারলাম না।

ভালো থাকবেন।

২২ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মধুমিতা ভাই। আপনার পোষ্টগুলো পড়া আমার জন্য একটা আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা :) আপনি আসলেই আমি খুশি। :)

ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল।

৫৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৭

একজন আরমান বলেছেন:
দুর্দান্ত বললেও ভুল হবে।
আমি এই প্লটে ভেবে রেখেছিলাম লিখবো। কিন্তু আপনার মতো এতো সুন্দর টার্ন আমি কখনোই আনতে পারতাম না।

গল্পের মেহেদী সাহেবের জন্য আমার অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে শুভকামনা।

২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫৬| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৫

কালোপরী বলেছেন: :)



কেন যেন কাণ্ডারি অথর্বের রেশমি উপাখ্যানের সাথে মিল পেলাম

২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ মিল অবশ্যই আছে। :)

৫৭| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: গল্পটা কযেকবার পড়লাম! টাচ করলো খুব! বেশ ভাল লাগসে!! +++++++++++++ এর বন্যা হবে!

ব্লগে রাজনৈতিক লেখার চেয়ে সাহিত্যই বেশী ভালো লাগে। :|

২৩ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

রাজনৈতিক লেখার চাইতে সাহিত্য আমারো বেশ ভালো লাগে। তবে, মাঝে মাঝে সচেতনার জন্যও সেই ধরনের পোষ্ট দরকার আছে। :)

৫৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৮

সানফ্লাওয়ার বলেছেন: এই ভালবাসা টিকে থাকুক আজীবন

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একই প্রার্থনা আমারও :)

ধন্যবাদ।

৫৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

আমি ইহতিব বলেছেন: তাইতো কালপরীর মন্তব্য পড়ে মনে হোল রেশমিতো কাণ্ডারি ভাইয়ের নায়িকা আপনি ধার নিলেন নাকি? ;)

গল্পটা দারুন হয়েছে, শেষের কান্নাটা কেন ঠিক বুঝলামনা, আনন্দের কি?

+++

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আনন্দের :)

৬০| ২৪ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১১

আরমিন বলেছেন: দারুন লিখেছো! ২২ তম ভালোলাগা!
তোমার এই পোস্টে কমেন্ট করার জন্য গতকাল থেকে লগিন করে রেখেছি ! :P :)

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! আপু বলেন কি! কৃতজ্ঞতা জানাব না ধন্যবাদ জানাব ঠিক বুঝতে পারছি না। তবে আমি ঠিকই এক অদ্ভুত আনন্দ পাচ্ছি। তার জন্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা দুটোই জানালাম।

অনেক ভালো থাকবেন আপু। :) শুভেচ্ছা রইল। :)

৬১| ২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

ফরহাদ আহমদ নিলয় বলেছেন: মাঝে মাঝে আমারও খুব বিয়ে করতে ইচ্ছে হয় :P

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: করে ফেলেন!! :)

৬২| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০১

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অফলাইনে এই গল্পটা পড়েছিলাম। দারুণ লেগেছে। প্লাস থাকল :)

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে :)

৬৩| ০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগে ভাল কিছু পড়লাম । অসম্ভব ভাল হইছে

০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৬৪| ০৩ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৭

এস এম আর পি জুয়েল বলেছেন: অনেক দিন পরে ব্লগে ভাল কিছু পড়লাম । অসম্ভব ভাল হইছে

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ :)

৬৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:৪০

বটবৃক্ষ~ বলেছেন: রেশমি নামটা দেখেই কান্ডারি ভাইয়ের কথা মনে পড়লো!!

গল্প খুবি সুন্দর.......!!:):):)
আমার রাত্রি জাগরন সার্থক....

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! ধন্যবাদ। সার্থক হয়েছে দেখে ভালো লাগছে :)

৬৬| ০৮ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

নাছির84 বলেছেন: আপনার লেখা মিঠা অক্ষরগুলো পড়তে ভাল লাগে। রসগোল্লা গলাধঃকরন করার পর যেমন মুখে তার রেশ থেকে যা্য়...এই গল্পটাও ঠিক তেমনি। কিন্তু এর চেয়েও ভাল কিছু চাই !!!

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা কমপ্লিমেন্ট দিলেন। অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল। :)

৬৭| ১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬

রেজোওয়ানা বলেছেন: আগে পড়েছ কি না বুঝতে পারছি না!
তবে এখন আবার নতুনই লাগলো!

ভাল লেগেছে আমার....

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপু। নাহ! এটা আগে পড়েন নি :(

ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। :)

৬৮| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:১৭

লেজকাটা বান্দর বলেছেন: পুরো গল্পটা অনেক অনেক সুন্দর। শেষে আরেকটু প্যাঁচ আশা করেছিলাম, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটাই বেশি সুন্দর হয়েছে। খুব ভালো লাগলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে নিজে থেকে তো আর প্যাচ দেয়া সম্ভব না। এই গল্পের মূল হচ্ছে ব্লগার কান্ডারী অর্থব এবং তার প্রেম জীবন নিয়ে। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছি। শুধু গল্প উপস্থাপনের প্রয়োজনে আমি কিছু চিত্রায়ন করেছি। :)

৬৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩

শান্তির দেবদূত বলেছেন: চমৎকার গল্প ফেদেছেন, অর্ধেক এসে যে টার্ন দিলেন! তারপরের ডাইরীর লেখাও সমান গতিতে এগিয়েছে, বেশ লাগল। ভাবছিলাম যেহেতু গল্প তাই শেষে নিশ্চয় বড় ধরনের কোন ট্রাজেডি থাকবে, সেটা পেলাম না, পুরাটাই জীবনের গল্প, পজিটিভ সেন্সে লেখা। এই জিনিসটা ভাল লেগেছে।

আপাত দৃষ্টিতে মনে হবে ভদ্রলোক কাদলেন কেন! তবে যে এমন ঝড়ঝাপ্টা পার হয়ে এসেছে তার কাছে এই ডায়েরীর স্মৃতি ঐ সময়ের মতই মুল্যবান। এই জিনিসটাই সবচেয়ে ভাল লেগেছে। যে ভাবে মেসে ঐ বাসা বর্ননা দিয়েছেন! মনে হচ্ছে চোখের সামনে দেখতে পারছি। গ্রেট।

বেশ কিছুদিন আগে এই পোষ্টটিকে প্রিয়তে নিয়ে রেখেছিলাম সময় করে পড়ব বলে। আজ পড়লাম ও সেই সাথে মুগ্ধ হলাম। শুভেচ্ছা রইল।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেবদূত ভাইয়া। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। :) আসলে এটা ব্লগার কান্ডারী অর্থবের ব্যক্তিগত জীবনের ঘটনার প্রেক্ষিতে লিখেছি। ডায়রীর ব্যাপারটা গল্পের প্রয়োজনে তৈরী করেছি। তার কাছ থেকে শুনে মনে হল, আরে এটা তো দেখি একটা গল্পের প্লটই।


৭০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০০

শান্তির দেবদূত বলেছেন:
এ গল্পটা জীবন থেকে নেওয়া! তাও আমাদের প্রিয় সহব্লগারের জীবনি!! অবাক হলাম, আশে পাশের মানুষগুলোর জীবনে কত গল্প থাক, কত কষ্ট, থাকে কত আনন্দ বেদনার স্মৃতি! অনেক ভাল কাজ করেছে গল্পটা লিখে। জীবন থেকে নিয়ে এমন আরও লিখেন। ভাল লাগবে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ভাইয়া, আমাদের আশে পাশে অনেক মানুষের জীবনই একটা থেকে একটা গল্পের প্লট। এই সব প্লটে নিজের চরিত্র একটা সুযোগ সন্ধানী লেখকের। দেখা যাক কত খানি সফল হতে পারি। হাহাহ :)

৭১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৮

হারিয়ে যাওয়া কোন এক তারা বলেছেন: অসাধারণ উপস্থাপন!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.