নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
প্রিয় পাঠক, এই লেখাটি গত বছর (১৭ ই আগস্ট) প্রকাশ করেছিলাম। তখন এই নিকে কিছুটা নতুন ছিলাম বলেই হয়ত লেখাটা অনেকের চোখ এড়িয়ে গিয়েছে। ব্যক্তিগত ভাবে এটা আমার পছন্দের লেখাগুলোর মধ্যে একটি। ঈদ আসলেই দেখেছি মানুষের কেনাকাটা ধুম পড়ে। সবাই সবার সাধ্যমত কেনাকাটা করেন। ঈদের আনন্দ আমাদের সবার, কিন্তু আক্ষরিক ভাবে এই আনন্দ পেতে গিয়ে আমাদের অনেকেই হয়ত অনেক বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ পড়ে সবচেয়ে যাতাকলে।
আমার পরিচিত একজন ব্যক্তি আছে, নাম গনি মিয়া। তিনি ঢাকার একটি গার্মেন্টসে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি মাঝারি মানের পদে কর্মরত। তার সাথে প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। অদ্ভুত কোন এক কারনে এই ভদ্রলোক আমাকে অনেক পছন্দ করেন। আমি অনেক চেষ্টা করেও সঠিক কারনটি বের করতে পারি নি। তার এই পছন্দের কারনে আমি বা আমার প্রতিষ্ঠান নানাভাবে উপকৃত হয়েছে। আমি চেষ্টা করি তাকেও কিছুটা অর্থনৈতিক সুবিধা দিতে। কিন্তু আমি ব্যর্থ। তিনি কখনই তার অতিরিক্ত সেবা বা কাজের বিনিময়ে আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত পয়সা চান নি। আমি দীর্ঘদিন চেষ্টা করেও তার সাথে আমার সম্পর্কটিকে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক রাখতে পারিনি। সময়ের সাথে সাথে তা হয়ে গিয়েছে ব্যক্তিগত।
ভদ্রলোকের পরিবারে সদস্যসংখ্যা সাত জন। স্বামী স্ত্রী, ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধ বাবা মা। খরচ কুলাতে পারেন না দেখে পরিবারকে রেখেছেন এক মফস্বলের এক শহরে। প্রতিবার রোজা আসলেই তিনি শুরু করেন বাড়তি খরচ কাটাকাটি। যেমন তিনি তেমন একটা ইফতার করেন না, সেহেরীও সেভাবে করেন না। শুধু পানি আর একটা খেজুর খেয়ে তারাবী পড়েন। তারপর একেবারে ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েন। সেহেরীর সময়ে তিনি শুধু পানি খেয়ে নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে পড়েন। জিজ্ঞেস করলাম, এতে তার কত টাকা বাঁচে? তিনি কিছু জবাব দেন না মুচকি হাসেন। পারতপক্ষে তিনি রিকশা তো দূরে থাক, এই সময়ে তিনি বাসেই উঠেন না। তার ভাষায় কাছাকাছি দুরত্বের জন্য আবার গাড়ী ভাড়া কিসের। অথচ আমি জানি, তার সেই কাছাকাছি দূরত্ব আমাদের কাছে অনেক দূরের পথ। এই সব নানারকম বাড়তি খরচের টাকা বাঁচিয়ে তার সাথে বোনাসের টাকা যোগ করে তিনি চেষ্টা করেন ঈদের বাজার করতে।
কয়েকদিন আগে তার সাথে মার্কেটে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমাকে অনুরোধ করেছিল, তার পরিবারের জন্য কেনাকাটায় পছন্দের ব্যাপারে তাকে সাহায্য করতে। আমরা মার্কেটে মার্কেটে ঘুরি আর জামাকাপড় দেখি। আমাদের সবই পছন্দ হয়, কিন্তু দামে হয় না। আমার নিজেরই মন খারাপ হয়। আমি যখন হতাশ হয়ে দোকানদারের দিকে তাকাই, তিনি কোন এক অদ্ভুত শক্তির বলে আমার দিকে চেয়ে হাসেন আর বলেন, আহারে ভাই! আপনি তো গরমে ঘেমে গিয়েছেন!! চলেন আপনাকে লাচ্ছি খাওয়াই। তবে আমার তো ঠান্ডা, আমি খেতে পারব না।
আমার এত শক্তি নেই। আমি খুব সাধারন একজন মানুষ। যে লোকটা খেয়ে না খেয়ে টাকা জমায় তার পরিবারের ঈদের আনন্দের জন্য, যেখানে একটা টাকারই মূল্য অনেক, সেখানে এক গ্লাস লাচ্ছির খাওয়ার অনুরোধে কি পরিমান ভালোবাসা লুকিয়ে আছে, তা ভেবে আমার মত একজন অভাজনের চোখে পানি আসাটাই স্বাভাবিক। সৃষ্টিকর্তার সাথে আমার অনেক অভিমান, তিনি পুরুষের চোখের পানি লুকানোর জায়গা দেন নি।
আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি তাকে তার ছেলে মেয়ের জন্য জামাকাপড় উপহার দিতে। তিনি বার বার চরম কাঠিন্য ও বিনয়ের সাথে তা প্রত্যখ্যান করেছেন। মধ্যবিত্ত মানুষের কিছু থাকুক বা না থাকুক, তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকে প্রবল। সেই প্রবল আত্নসম্মান নষ্ট করার সাহস আমার মত দূর্বল মানুষের কোন দিন ছিল না আর হবেও না। আমি বড়জোড় আমার লেখাটি তাদের জন্য উৎসর্গ করতে পারি। তাই আমার এই লেখাটি সকল মধ্যবিত্ত মানুষের জন্যই উৎসর্গ করা। আর গনি মিয়া! আপনার জন্য রইল আমার অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।
মূল পোষ্টঃ মধ্যবিত্তের ঈদ বাজার।
মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা কি আমি আসলে তা জানি না। তবে আমার কাছে মধ্যবিত্তের সংজ্ঞা অনেকটা রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের সংজ্ঞার মত। তিনি বলেছিলেন, যে গল্প শেষ হইয়াও হয় না শেষ, তাহাই ছোট গল্প। তেমনি মধ্যবিত্তের সব ইচ্ছা আহলাদ পূরন হয়েও পূরন হয় না। এটা কিনলে ওটা হয় না। কিছু পেলাম তো কিছু ছাড় দিলাম। সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে মধ্যবিত্তের সংসারে কাউকে না কাউকে অনেক কিছুই ছাড় দিতে হয়। মধ্যবিত্ত জীবন আসলে অনেকটা শাখের করাত। দু'দিকেই কাটে। সব কিছু রক্ষা করে বা নিয়ম মেনে চলার একমাত্র দায়িত্ব শুধু এই মধ্যবিত্তদের। সামাজিক প্রতিবন্ধকতা গুলো হাসিমুখে মেনে নেয়াই হয়ত মধ্যবিত্ত জীবনের সংজ্ঞা।
একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তির মাসিক আয় কত কিংবা মাসিক আয় কত টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে কাউকে মধ্যবিত্তের কাতারে ফেলা যাবে আমি সঠিক জানি না। এই ভাবে বিবেচনা করলে আমার ধারনা মধ্যবিত্তের ব্যপারটা আপেক্ষিক। একজন লোক মনে করুন মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করে। পঞ্চাশ হাজার টাকার কথা শুনে অনেকেই বলবেন এটা তো কম না, অনেক টাকা। কথা সত্যি, পঞ্চাশ হাজার টাকা অনেক টাকা। কিন্তু এমন যদি হয় পরিবারের লোকসংখ্যা ৬ জন, স্বামী স্ত্রী আর দুই সন্তান এবং বাবা মা। এবং যখন এই পঞ্চাশ হাজার টাকার উপরেই পরিবারের সবাই নির্ভরশীল, তখন কি অনেক টাকা বলে মনে হবে? মনে হবার কথা নয়। এই দুমূল্যের বাজারে তখন পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে সংসার পরিচালনা করা কঠিন ব্যাপার। ঢাকা শহরে আপনি যদি মোটামুটি মানের একটি ভাড়া বাসায় থাকেন তাহলে আপনার প্রতিমাসে নূন্যতম বিশ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা শুধু বাড়ি ভাড়ায় যাবে। এরপর থাকে খাওয়া খরচ, যাতায়াত, ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ, চিকিৎসা খরচ, ইত্যদি আরো নানা রকম খরচ। সব খরচ মিটিয়ে কত টাকাই বা থাকে। তাই মাস শেষে একজন অর্ধ লক্ষ টাকা আয়কারী যদি নিজেকে মধ্যবিত্ত ভাবেন তাহলে খুব বেশি কি অবাক হবার আছে? । আমার ধারনা নেই।
মধ্যবিত্তের জীবনে আনন্দের উপলক্ষ্য খুব বেশি একটা আসে না । তাই তো মধ্যবিত্ত জীবনে ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসবগুলোই আনন্দের প্রধান উৎস। যেকোন আনন্দ উৎসবে সাথে নতুন পোষাকের বা কেনাকাটার একটা সর্ম্পক আছে। উৎসবের এই কেনাকাটা মধ্যবিত্তের জন্য অনেকটা বজ্রা আটুনির ফস্কা গেরোর মত হয়ে দাঁড়ায়।
পারিবারিক দায়িত্ববোধ থেকেই হোক কিংবা সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকেই হোক ঈদ আসলে মধ্যবিত্ত মানুষরা মার্কেটে ভীড় জমায়। তাই তো বছরের এই সময়টাতেই মার্কেটে সবচেয়ে বেশী ভীড় থাকে। অন্যান্য সময়ের মার্কেটে ঘুরাঘুরি সেটাও ঈদ কেন্দ্রিক। দোকানের বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র দেখা, নিজেকে নিজে বুঝানো, 'নিশ্চয়ই ঈদে আরো ভালো কালেকশন আসবে, আরো ভালো জিনিস আসবে, তখন এই দোকানে আসব'। হয়ত পছন্দের জিনিসে একটু হাত বোলান, একটু স্পর্শ করা সবই ঈদকে সামনে রেখে কিছু সুন্দর কল্পনা। বাস্তবতার তাগিদে হয়ত অনেকের এই কল্পনাটুকু বাস্তবে রুপ নেয় না। ঘুরে ফিরে কিছুটা আহাজারি এবং সেই পুরানো স্বপ্নে ফিরে যাওয়া, 'এই বার হয়নি, আগামি বার হবে' সন্তানের কান্না ভেজা চোখ, স্ত্রীর অভিমানী হাসি, একজন বাবার পরাজিত চেহারা, একজন স্বামীর হতাশার দৃষ্টি ইত্যাদিই হয়ত মধ্যবিত্তের ঈদ আনন্দ, মধ্যবিত্তের ঈদ বাজার।
বর্তমান বাজারে আপনি সীমিত টাকায় পরিবারের সবার জন্য হয়ত কিনতে পারবেন না। যারা ভবিষ্যতের কথা ভেবে কিছু কিছু টাকা জমিয়েছেন, তারা চেষ্টা করেন বোনাসের টাকার সাথে মিলেয়ে সবার জন্য কিছু কেনার। মোটামুটি আয় যারা করেন, তাদের অনেকের ইচ্ছে থাকে কোন ভালো শপিং মল থেকে কিছু কেনার। কিন্তু যারা সারা বছরের ব্যবসা একমাসেই করতে চায় তাদের কি কোন দায় আছে এই মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের মধ্যে কোন কিছু বিক্রি করার? না, তাদের কোন দায় নেই। একজন মধ্যবিত্তের ঈদ বাজেট কত? পনের থেকে বিশ হাজার টাকা? যে মার্কেটেই যাওয়া হোক না কেন, পাঁচ হাজারের নিচে তেমন ভালো শাড়ি পাওয়া যায় না। সাথে স্যান্ডেল যদি কেউ কিনে সেখানেও নূন্যতম দেড় থেকে দুই হাজার টাকা নিচে সারা বছর পড়ার উপযোগী স্যান্ডেল পাওয়া যাবে না। ছেলে মেয়ের জন্য কেনাকাটা, সেটাও পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকার নিচে সম্ভব নয়। বাবা মা এর জন্য কেনাকাটা করবেন, সেটাও নূন্যতম ছয় বা সাত হাজারের নিচে সম্ভব নয়। তারপর থাকে হয়ত নিজের জন্য কিছু কেনা পালা।
অনেকের হয়ত আরো সীমিত বাজেট থাকে। তখন হয়ত শুধু ছেলে মেয়ে আর বাবা মা এর জন্যই কেনা হয়। কাকে বাদ দিয়ে কার জন্য কেনা হবে এটা নিয়ে হয়ত স্ত্রীর সাথে কিছুটা মনোমালিন্যও দেখা দেয়। তাই তো দেখা যায় শুধু হয়ত বাবা মা বা সন্তানদের জন্যই কিছু কিনে বাড়ি ফেরা। বাড়ি ফিরে বলা, 'আমার আগের ঈদের পাঞ্জাবিটা তো নতুনই, পড়াই হয়নি তাই আমি কিছু কিনব না, শুধু শুধু টাকা নষ্ট।' কিংবা স্ত্রীও হয়ত কোন কম ব্যবহার করা শাড়ী বের করে ইস্ত্রী করে রাখেন ঈদের দিন পড়ার জন্য। পাশের বাসার কোন ভাবি যখন প্রশ্ন করেন, 'ভাবি ঈদে নতুন কি নিলেন? তখন গুছিয়ে সুন্দর করে একটা মিথ্যে বলা, ভাবি, গত ঈদে আমার এই শাড়ীটা একে বারেই পড়া হয় নি। আমি এইটা এইবার ঈদে পড়ব, ও তো ভীষন রাগ করেছে। পাগলকে যদি বুঝাতে না পারি তাহলে হয় গিয়ে কিছু একটা কিনব।' সকল ধর্মেই বলা আছে, মিথ্যে বলা মহা পাপ। আমার ভীষন জানতে ইচ্ছে করে, পরম করুনাময় আল্লাহপাক মধ্যবিত্তের লজ্জা নিবারনের এই মিথ্যের শাস্তি কি দিবেন।
আমাদের সমাজে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা আরও কম টাকা আয় করে সংসার চালাচ্ছেন, বাবা, মা ,স্ত্রী , পুত্র সবাইকে নিয়ে এই ব্যস্ত শহরে দিন কাটাচ্ছেন। যে যার সামর্থ অনুযায়ী ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। কোন মধ্যবিত্ত ব্যক্তিকে যদি জিজ্ঞেস করেন, 'ভাই কেমন আছেন?' তিনি হেসে জবাব দেন, 'আলহামদুল্লিলাহ ভাই, ভালোই আছি'। সত্যি হোক মিথ্যে হোক ভালো থাকতেই হবে। কারন ভালো থাকাই নিয়ম। শহরের জীবন হচ্ছে অনেক গতিময়। এইখানে পিছিয়ে পড়াদের কিংবা খারাপ থাকাদের কোন স্থান নেই।
ঈদ আসে ঈদ চলে যায়। মধ্যবিত্তের সুখ, দুঃখের খবর কেউ রাখে না।আমরা অনেকেই হয়ত ঈদে অনেকগুলো পোষাক কিনি। যা হয়ত আমাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত। আমাদের আশে পাশে অনেক পরিবার আছে, যাদের কথা হয়ত আমারা স্মরন করি না। ঈদ একটি সার্বজনীন উৎসব। আমাদের একটু খেয়াল, আমাদের একটু অপচয় রোধ দিয়ে আমরা আরো একটি পরিবারের ঈদের আনন্দ কি কিছুটা বাড়িতে তুলতে পারি না? হয়ত পারি। চেষ্টা করতে ক্ষতি নেই। কারন কথায় বলে, আনন্দ ভাগ করলে তা বাড়ে, আর কষ্ট ভাগ করলে তা কমে।
সবাই ভালো থাকুক, ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা সবাইকে।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, সঠিক বলেছেন। আমাদের আনন্দই হয়ত সবচেয়ে খাঁটি।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫
মামুন রশিদ বলেছেন: মধ্যবিত্ত মানুষের কিছু থাকুক বা না থাকুক, তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকে প্রবল।
গনি মিয়ার জন্য অনেক শ্রদ্ধা । মধ্যবিত্তের জীবন সত্যি খুব কষ্টের । আমরা যারা মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি থেকে আসছি, এবং বাবা-চাচাদের তুলনায় অনেক বেশি ইনকাম করেও মধ্যবিত্তের দুষ্টচক্র ভেদ করছে পারছিনা, এই অবস্থাটা ভালই বুঝি ।
চমৎকার পোস্ট, ভাবার মত অনেক কিছু আছে ।
+++
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। জী, আমাদের অবস্থা আসলে শাখের করাতের মত। দুই দিকেই কাটে!!!
৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৫
নৈঋত বলেছেন: ভালো লাগলো। আজকে আমার লেখায়ও এই ব্যাপারটা খানিকটা হলেও এসেছে।পোস্টে প্লাস + + +
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নৈঋত। সামুর সার্ভারের সমস্যার মধ্যেও যে আপনি পড়েছেন মন্তব্য করেছেন তার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।
৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫৭
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ঈদ হোক সম্মিলিত আনন্দের।
আনন্দ শেয়ার হোক মানুষে মানুষে।
প্রতিষ্ঠিত হোক মানুষের জন্য মানুষ।
ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দূর্জয় ভাই। গত বছর আপনি এই পোষ্টেও মন্তব্য করেছিলেন। আবার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০১
শিপন মোল্লা বলেছেন: এরকম গনি মিয়া অনেকই আছে কিন্ত সেই সব গনি মিয়াদের পাশে এরকম কাল্পনিক ভালোবাসা থাকেনা। শব্দ আর বর্ণ দিয়ে সুন্দর কথা মালা দিয়ে তাদের দুঃখ কষ্টকে ছুয়ে দিবে।
কিছু গনি মিয়ারা তাদের জীবন যৌবন প্রবাসেই কাটিয়ে দেয়, জ্বর হলে একলা রুমেই পরে থাকে মাধায় হাত দিয়ে দেখার কিউ থাকেনা পানি তো দিবে দূরের কথা। সেই সব গনি মিয়ারা কোন ঈদে নিজের জন্য নতুন কাপর ভাল খাবার নেয় কিনা আমি জানি না। আমি জানি সেই সব গনি মিয়াদের প্রয়োজন কখনোই মিটেনা তবে পরিবারের অন্য সকলের প্রয়োজন একটুও বাদ রাখে না।
আপনার পরিচিত গনি মিয়ার জন্য রইলো শুভ কামনা। পোস্ট বরাবরই চমৎকার।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার কমেন্ট পড়ে মনটা বেশি খারাপ হয়ে গেল। গত বছর পোষ্টেও আপনার একই মনোভাব জানিয়েছিলেন। প্রিয়জনকে দুরে রেখে সবার সুখের জন্য নিজের সবার থেকে দূরে আছেন। এটার কষ্ট হয়ত ঠিক প্রকাশ করা যাবে না।
আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা রইল।
৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:০৫
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
পোষ্টের সুন্দর উপস্থাপনায় মুগ্ধ হলাম ।
++++
মধ্যবিত্তের মানুষদের সংজ্ঞা যে অনেকটা রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের সংজ্ঞার মত তাতে আমিও একমত।
৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ স্নিগ্ধ শোভন!
৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সার্ভারের সমস্যার কারনে জবাব দিতে দেরী হচ্ছে বিধায়, আমি দুঃখিত।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সমস্যা মনে হয় কিছুটা হলেও ঠিক হয়েছে!!!
৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৪২
সাসুম বলেছেন: শুধু একটা কথাই বলব : অসাধারণ । ছোট বেলায় নিজেকে গণি মিয়ার সন্তান ভাবতাম আর বড় হয়ে নিজেকে গণি মিয়া ছাড়া এখনো কিছুই ভাবতে পারি না ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, আসলে গনি মিয়াদের জীবন একটা চক্র!! এই চক্র থেকে বের হওয়া বেশ মুসকিলের ব্যাপার।
৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: গনি মিয়া !
আপনার প্রতি অনেক অনেক শ্রদ্ধা রইল ।
যদিও এতে আপনার কোন উপকার হবে না ।
কা ভা ভাই , আমাদের গল্প গুলো এমনই ।
গল্পগূলো হয়ত এমনই থাকবে , হয়ত আরো অনেক কঠিন হবে ।
তবু কামনা করি সবাই সুখে থাক ।
প্রিয় ভাইইয়ের প্রতি রইল অনেক অগ্রিম ঈদ মোবারক ।
ভাল থাকবেন ।
শুভকামনা ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আমাদের সবার গল্পগুলো হয়ত এমনই। একটা দিনের আনন্দের জন্য আমাদের কত শত প্রচেষ্টা! কত ত্যাগ। এত ত্যাগের বিনিময়ে একটা দিন অন্তত সবাই অনেক ভালো আছি, আনন্দে আছি এটাই বা কম কিসের।
আপনাকেও ঈদের অনেক অগ্রীম শুভেচ্ছা।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৩
খেয়া ঘাট বলেছেন: গনি মিয়ার জন্য অনেক শ্রদ্ধা ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানবেন।
১১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ৮:০২
ভিটামিন সি বলেছেন: আবুশিথি ভাইয়ের সংজ্ঞায় আমিও একজন গনি মিয়া। বাকি যা তিনি বলেছেন সবই ঠিকাছে। প্রবাসে ৮টা ঈদ কাটালাম, সামনে আসছে আরো একটা। কোন ঈদেই নতুন জামা কিনতে পারি নি। একবার একটা টুপি কিনেছিলাম মেইড ইন বাংলাদেশ দেখে ৩.৯০ ডলার দিয়ে। ভাবছেন বেতন কম পাই, তা না। আমার যোগ্যতার চেয়ে অনেক বেশী বেতন পাই। লাখের কাছাকাছি। কিন্তু সমস্যা হলো মধ্যবিত্তের মন নরম। বাবার টাকার প্রয়োজন মিটে তো বড় বোনের প্রয়োজন, ভাইগ্নাকে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনে দিতে হবে। আরেকজনকে হাইড্রোলিক ব্রেকওয়ালা সাইকেল কিনে দিতে হবে, আরেকজনকে এন্ডয়িড মোবাইল দিতে হবে। তারপর ছোটবোনের প্রয়োজন, তারপর আবার ভাইয়ের প্রয়োজন, তারপর মামা সমস্যায় আছে না দিলে মায়ের মন খারাপ, বউ গাল ফুলিয়ে বসে আছে তার ভাই ব্যবসা করবে টাকা দরকার। এদিকে বাবা নতুন একটা জমি কেনার কথা বলছেন। পাগল হইয়া যামু।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাদের কথা ভেবে অনেক খারাপ লাগে। বিদেশে আছে, পুরো পরিবারের ভরশার কেন্দ্রস্থল! একটু তো চাপ থাকবেন। বুঝিয়ে বলবেন, ইনশাল্লাহ সবাই বুঝবে।
পরিবারের সকলে প্রতি রইল অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
১২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: মধ্যবিত্তকে মধ্যবিত্ত না থাকার ষড়যন্ত্র চলে বছরের কয়েকটা সময়ে। আসলে বর্তমানে মধ্যবিত্ত আর দরিদ্রের ভেতর সীমারেখাটা অস্পষ্ট হয়ে আসছে ক্রমশ। একদিন দেখা যাবে কেবল দুটো শ্রেণী আছে। ধনী আর গরীব। মধ্যবিত্ত হবে এক বিরল প্রজাতি!
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মধ্যবিত্ত হবে এক বিরল প্রজাতি
সহমত হাসান ভাই!!! ঈদ আসলে আমার প্রতিবারই তা মনে হয়।
১৩| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৯
একজন আরমান বলেছেন:
ভাইয়া আপনার লেখার প্রথম অংশটুক পড়েই আমার চোখে পানি চলে এসেছিল। আসলেই মধ্যবিত্ত পরিবারের অবস্থা খুব করুন থাকে সব সময়। গরীব হলে হাত পাতা যায়, ধনী হলে তো কথাই নেই। কিন্তু মধ্যবিত্ত হলে না পারা যায় কারো কাছে চাইতে না পারা যায় প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু কিনতে।
আর আসলেই মধ্যবিত্ত এর সংজ্ঞাটা আপেক্ষিক।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সমাজের বাস্তব চিত্রটা এমনই রে আরমান!! কষ্ট, দুঃখ, আবেগ, ত্যাগ ইত্যাদি আমাদের এই মধ্যবিত্ত অংশের জন্যই।
১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
এরিস বলেছেন: দোকানের বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র দেখা, নিজেকে নিজে বুঝানো, 'নিশ্চয়ই ঈদে আরো ভালো কালেকশন আসবে, আরো ভালো জিনিস আসবে, তখন এই দোকানে আসব'। হয়ত পছন্দের জিনিসে একটু হাত বোলান, একটু স্পর্শ করা সবই ঈদকে সামনে রেখে কিছু সুন্দর কল্পনা। বাস্তবতার তাগিদে হয়ত অনেকের এই কল্পনাটুকু বাস্তবে রুপ নেয় না। ঘুরে ফিরে কিছুটা আহাজারি এবং সেই পুরানো স্বপ্নে ফিরে যাওয়া, 'এই বার হয়নি, আগামি বার হবে' সন্তানের কান্না ভেজা চোখ, স্ত্রীর অভিমানী হাসি, একজন বাবার পরাজিত চেহারা, একজন স্বামীর হতাশার দৃষ্টি ইত্যাদিই হয়ত মধ্যবিত্তের ঈদ আনন্দ, মধ্যবিত্তের ঈদ বাজার।
শুধু এই অংশটুকু থাকলেই পরিপূর্ণ একটা জীবনের গল্প হয়ে যেত। কথাগুলোর ক্ষমতা অনেক।
মধ্যবিত্তের জীবন নিয়ে কিছু বলার নেই। অভিশাপ, পিছু ছাড়বে না।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই গুলো কথা নয়! বাস্তবতাও বটে। এমন কিছু হয়ত আমি দেখেছি, হয়ত গিয়েছিও। তবে মধ্যবিত্তবোধ অনেক বড় ব্যাপার।
১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
এরিস বলেছেন: দোকানের বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে জিনিসপত্র দেখা, নিজেকে নিজে বুঝানো, 'নিশ্চয়ই ঈদে আরো ভালো কালেকশন আসবে, আরো ভালো জিনিস আসবে, তখন এই দোকানে আসব'। হয়ত পছন্দের জিনিসে একটু হাত বোলান, একটু স্পর্শ করা সবই ঈদকে সামনে রেখে কিছু সুন্দর কল্পনা। বাস্তবতার তাগিদে হয়ত অনেকের এই কল্পনাটুকু বাস্তবে রুপ নেয় না। ঘুরে ফিরে কিছুটা আহাজারি এবং সেই পুরানো স্বপ্নে ফিরে যাওয়া, 'এই বার হয়নি, আগামি বার হবে' সন্তানের কান্না ভেজা চোখ, স্ত্রীর অভিমানী হাসি, একজন বাবার পরাজিত চেহারা, একজন স্বামীর হতাশার দৃষ্টি ইত্যাদিই হয়ত মধ্যবিত্তের ঈদ আনন্দ, মধ্যবিত্তের ঈদ বাজার।
শুধু এই অংশটুকু থাকলেই পরিপূর্ণ একটা জীবনের গল্প হয়ে যেত। কথাগুলোর ক্ষমতা অনেক।
মধ্যবিত্তের জীবন নিয়ে কিছু বলার নেই। অভিশাপ, পিছু ছাড়বে না।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম।
১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৬
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: আমাদের আশে পাশে অনেক পরিবার আছে, যাদের কথা হয়ত আমারা স্মরন করি না। ঈদ একটি সার্বজনীন উৎসব। আমাদের একটু খেয়াল, আমাদের একটু অপচয় রোধ দিয়ে আমরা আরো একটি পরিবারের ঈদের আনন্দ কি কিছুটা বাড়িতে তুলতে পারি না?
হুম হয়ত পারি । কিন্তু এখানেও যে সেই মধবিত্তের সেই আত্মসম্মান বাধা হয়ে দাঁড়ায় । সামান্য সাহায্যকে অনেকে করুণা মনে করে , দূরে সরে যায় আবার কেউ কেউ অধীকার ভেবে পাহাড় সমান প্রত্যাশা করে বসে । তাই চাইলেও তাদের জন্য আসলে কিছু করার থাকে না । নিজের সামান্য অপচয় রোধ করেই তাল মিলাতে হয় ।
গত বছরের লেখাটা পড়েছিলাম আগেই তবে কমেন্ট করা হয় নি । এই পোষ্টে দুটোর জন্যই ভাল লাগা থাকলো । সেই সাথে ঈদের শুভেচ্ছা থাকলো ।
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:১৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ গৃহবন্দিনী। আপনাকে দুটো পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ঠিক বলেছেন এটাকেই হয়ত বলে টিপিক্যাল মধ্যবিত্ত অনুভূতি। সেই কারনে মাঝে মাঝে ব্যাপারগুলো অনেক কঠিন হয়ে যায়।
১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:১২
গৃহ বন্দিনী বলেছেন: আমাদের আশে পাশে অনেক পরিবার আছে, যাদের কথা হয়ত আমারা স্মরন করি না। ঈদ একটি সার্বজনীন উৎসব। আমাদের একটু খেয়াল, আমাদের একটু অপচয় রোধ দিয়ে আমরা আরো একটি পরিবারের ঈদের আনন্দ কি কিছুটা বাড়িতে তুলতে পারি না?
হুম হয়ত পারি । কিন্তু এখানেও যে সেই মধবিত্তের সেই আত্মসম্মান বাধা হয়ে দাঁড়ায় । সামান্য সাহায্যকে অনেকে করুণা মনে করে , দূরে সরে যায় আবার কেউ কেউ অধীকার ভেবে পাহাড় সমান প্রত্যাশা করে বসে । তাই চাইলেও তাদের জন্য আসলে কিছু করার থাকে না । নিজের সামান্য অপচয় রোধ করেই তাল মিলাতে হয় ।
গত বছরের লেখাটা পড়েছিলাম আগেই তবে কমেন্ট করা হয় নি । এই পোষ্টে দুটোর জন্যই ভাল লাগা থাকলো । সেই সাথে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা ।
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝছি তো সামুর সমস্যা!!!
১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: মধ্যবিত্তের আনন্দটাই আসল। এটাই খাটি। আনন্দ ভাগ করলে তা বাড়ে, আর কষ্ট ভাগ করলে তা কমে। কিন্তু কষ্টের ভাগ আমরা নিতে চাইনা ভাই। মেন্টালিটি না বদলালে কিচ্ছু হবে না।
পোস্টটা খুব ভাল হয়েছে। আমার নিজেরও বেশ কিছু ভাল পোস্ট ছিল যখন নতুন ছিলাম অনেকে দুই চার জনের বেশি পড়েনি। পোস্ট গুলা দেখলে এখন খারাপ লাগে। কত খাটনি করে দেওয়া পোস্ট!
৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:২১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, আসলে ব্লগারদের ব্লগে না গেলে, অন্যদের পোষ্ট না পড়লে যে নিজের পোষ্টেও অন্যদের মতামত পাওয়া যায় না, সেটা কিছুদিন পরে বুঝেছিলাম। তাও আমি অনেক কৃতজ্ঞ, অনেকে আমার আগের অনেক পোষ্ট সেই প্রথম থেকেই পড়ে আসছেন।
মধ্যবিত্ত জীবনে আসলেই হয়ত বাস্তব জীবনের কঠিন প্রতিচ্ছবি। সংগ্রামের মত আনন্দ তো আসবেই।
১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৪
আমিভূত বলেছেন: অনেক কথা লিখে ফেলেছিলাম পরে দেখি কিছুই নেই !
এই লেখার অস্তিত্ত চাই না, এমন লেখা বাস্তবে না উপকথা অথবা রুপকথায় দেখতে চাই । বাস্তবে মধ্যবিত্তের জীবন বড়ই আনন্দের গরীবি জীবনের অবসান হয়ে মধ্যবিত্তের সংখ্যা বাড়ুক ধনীর ধনের সামঞ্জস্য আসুক ।
প্রভু আমাদের উত্তম ভাবে গরিবের হক আদায়ের তৌফিক দিন ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমিও চাই না এমন কিছু থাকুক। কিন্তু বাস্তবতা কিভাবে এড়াই বলুন!!! ঘুরে ফিরে এ যে আপনার আমার কারো না কারো জীবনেরই গল্প।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
২০| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এই যে নানাবিধ পিছুটান তার ভিতরেও ঈদের নিখাদ আনন্দ টা মধ্যবিত্তরাই সবচেয়ে বেশী লাভ করে !
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। শেষ মেষ আপনি যে নিজের একটা মন্তব্য করলেন তাতে আমি খুশি। অন্তত এই বার আর অন্যের মন্তব্য কপি করে বলেন নি, উমুক বলেছেন, "........"
২১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১:২১
সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
এই দেশটা মূলত মধ্যবিত্তদেরই। যেকারণে এদেশে সুখী মানুর সংখ্যা বেশি। আর যখর উচ্চবিত্তরা সংখ্যায় বাড়বে মনে রাখবেন সুখী মানুষের সংখ্যা কমে যাবে গণহারে...
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত!!!
২২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৫:১৪
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: মধ্যবিত্ত সৃষ্টি ঈশ্বরের পরিহাস।
যে বিত্তে আবার তিনটি উপ বিত্তের মানুষেরা আছে।
উচ্চ মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্ত অন্য দুটির সঙ্গে ইচ্ছে করলে মিশে যেতে পারে। প্রকৃত মধ্যবিত্ত আসলে সমাজের কাঁটা। এমনকি নিজেই নিজের জন্য অস্বস্তিকর।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার বলেছেন জুলিয়ান ভাই। মধ্যবিত্ত সৃষ্টি হয়ত ঈশ্বরের পরিহাস আর প্রকৃত মধ্যবিত্ত আসলে সমাজের কাঁটা। এমনকি নিজেই নিজের জন্য অস্বস্তিকর। তারা হাজার চেষ্টা করেও পারে না মধ্যবিত্ত মেন্টালিটি থেকে বের হয়ে আসতে। ব্যাপারটা আসলেই অস্বস্থিকর!
২৩| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:০১
আম্মানসুরা বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মধ্যবিত্তদের কষ্ট সবচে বেশি। হয়তো এজন্যেই আমাদের আনন্দ সবচে খাঁটি, তাই না?
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম, তাই। মধ্যবিত্তদেরই আনন্দ হয়ত বেশি। এত কষ্ট এবং ত্যাগের ফল নিরানন্দ হতে পারে না।
২৪| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: ঈদ আসলে সত্যিই খুব কষ্ট হয় এই মধ্যবিত্তের জন্য। ভদ্রতা চক্ষুলজ্জায় অনেক উপহারও দিতে হয় অন্যকে। কারণ কারো কাছ থেকে উপহার পেলে সেটাও মনের মাঝে কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে সেটা যতক্ষণ না পর্যন্ত অপরপক্ষকে দেয়া হয়। মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্ট অনেক তীব্র হয় কখনো সখনো।
এখন পর্যন্ত বেতন বোনাস পাই নাই । তবুও মধ্যবিত্তের সেন্টিমেন্টে কেনাকাটা বন্ধ নাই। টিপ টিপ করে করতেই হচ্ছে ! ঈদ মানে খুশী , আনন্দ । ঈদ মানেই আমার কাছে পেরেশানি , দীর্ঘশ্বাস !
ভালো থাকো ভাইয়া ।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম। সব ক্ষেত্রেই একই চিত্র আপু। মধ্যবিত্ত জীবন আসলে শাখের করাত! দুই দিকেই কাটে। ঈদ মানে খুশী , আনন্দ । ঈদ মানেই আমার কাছে পেরেশানি , দীর্ঘশ্বাস !
আপনিও অনেক ভালো থাকবেন আপু।
২৫| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই লেখাটা অনেক আগেই পড়েছিলাম। আপনার এই লেখাটি আপনার খুব প্রিয় একটি লেখা বোঝা যায়।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
২৬| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
বোকামন বলেছেন:
আনন্দ ভাগ করলে তা বাড়ে, আর কষ্ট ভাগ করলে তা কমে।
খুব ভালো লাগলো আপনার এই লেখাটি। মধ্যবিত্তের পাশাপাশি-কাছাকাছি অনেক কিছু্ই আর মধ্যবিত্ত নেই।
দিনশেষে গনি মিয়াদের মুখের হাসি, জগতের অমূল্য সম্পদ।।
ভালো থাকুন প্রিয় ভাই, আনন্দ ভাগাভাগি করে বাঁচুন।
[আপনার পছন্দের লেখাটি আমারও পছন্দের হয়ে গেল]
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার। ভালো থাকুন। আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগল। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
২৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫
মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: এর সাথে আমি এটুকু যোগ করতে চাই যে আমাদেরই দায়িত্ব পড়ে যেন আমরা আমাদের সন্তানদের সংসারের আসল চিত্রটির সংগে পরিচয় করিয়ে দি।অনেক বাবা-মারাই আছেন সন্তানদের কোনো আবদারই ফেলতে চান না। এতে সবকিছুই সহজলভ্য হয়ে যাওয়াতে আমাদের পরবর্তি প্রজন্ম খুবই materialistic হয়ে যাচ্ছে।নিজেদের চাহিদা পুরনটাই প্রধান, সেটা যে কোনো মূল্যে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার একটি কথা বলেছেন। সহমত জানাই।
প্রতিটি বাবামার এর উচিত তার সন্তানদেরকে বাস্তবতার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া। এতে ছেলেপেলেদের সহনশীলতা বাড়ে।
২৮| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: গনি মিয়ার জন্য খারাপ লাগলো -
অন্যের ঈদের আনন্দ বাড়ানোর মাঝেই ঈদের আসল আনন্দ!
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম সঠিক বলেছেন! অন্যের ঈদের আনন্দ বাড়ানোর মাঝেই ঈদের আসল আনন্দ!
২৯| ৩১ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ১০:৫৮
মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: মধ্যবিত্তের ব্যাপারগুলো - শুধু ঈদ নয়, প্রায় সব ব্যাপারগুলোই অসম্ভব গোলমেলে, অন্তত আমার তাই মনে হয়। সবকিছুর সাথে মিশে থাকে টানাপোড়েন, একটা জটিলতা। তাদের ভালোলাগা আলাদা, তাদের মন্দলাগাও আলাদা।
খুব বৈচিত্র্যময় একটা বিষয় তুলে এনেছেন। ভালোলাগা জানবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ইসহাক ভাই।
৩০| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৫
দি সুফি বলেছেন: মধ্যবিত্ত মানুষের কিছু থাকুক বা না থাকুক, তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকে প্রবল। সহমত।
পুরো লেখাটাই সমাজের বড় একটা অংশের প্রতিচ্ছবি। এভাবেই মাস যায়, বছর ঘুরে আসে। আর বেড়ে চলে মধ্যবিত্তের সুখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলো। তবে আমাদের আনন্দগুলোর মাঝে কোন কৃত্রিমতা নেই। আমাদের যা আছে, তাই নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি। এটাতো আর আমরা ছাড়া কেউ পারে না! দিন শেষে এই গণি মিয়ারাই প্রকৃত সুখি।
বর্তমান বাজারে খরচ কুলিয়ে ওঠাই কষ্টকর। নতুন বছর ঘুরে এলেই ভয় শুরু হয়, এই মনে হয় বাস ভাড়া বেড়ে গেল। তেলের দাম ২ টাকা বাড়লে ৫টাকা বাস ভাড়া বেড়ে যাওয়ার ভয় হয়! খাদ্য-দ্রব্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জনিসতো আছেই। কি করে মধ্যবিত্ত টিকে থাকবে? ১০-১৫ হাজার টাকা আয় করা একজন কি করে টিকে থাকবে এই শহরে যেখানে ৫০ হাজার টাকা আয় করা লোকও হীমসিম খায়! অনেক নিষ্ঠুর এই পৃথীবি।
ঈদের কেনাকাটা করার কথা চিন্তা করতেও ভয় লাগে! জামা-কাপড়ের দাম দিয়ে যে পুরো একটি মাসের খরচই চালিয়ে দেয়া সম্ভব!
আমি গত ২-৩ বছর ধরে ঈদের শপিংটা ঈদের পরে করি। বেশ সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার একটি মন্তব্য করেছেন সুফি ভাই। মধ্যবিত্তের আসল চিত্রই তুলে ধরেছেন। তাও সত্যি বলতে মধ্যবিত্তরাই সুখী!!!! আমি অনেক কষ্টে থাকা মানুষকে দেখেছি বলছে, ভাই ভালো আছি। এটা মনে হয় আমাদের দেশ ছাড়া আর কোথাও দেখা যায় না। এই শ্রেনীর অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৩১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩২
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: গল্পে আপনি শুধু গনি মিয়ার ঈদ ভাবনাই তুলে ধরেন নি , একইভাবে উঠে এসেছে মধ্যবিত্ত বাঙ্গালীর ব্যাক্তি সচেতনতার নানা মাত্রা , সততার রোল মডেল ! মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় টা পৃথিবীতে আছে একটা মাত্র কারনে জীবন এবং জীবনের অর্থ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য ! তাদের স্বপ্নগুলো অপুর্ণ থেকে যায় মাঝে মাঝে কিন্তু একই সাথে স্বপ্ন পূরণের সেরা আনন্দ টাও তাদের ভাগেই যায় ! নিখাদ ভালোবাসা থাকে কষ্টের মাঝে !
ছোটগল্পের সংজ্ঞার মত মধ্যবিত্তের ও একটা সংজ্ঞা আছে সেটা এই রকম >>
মাসের ১০-১৫ তারিখ হেটে মাঝে মাঝে রিকশায় অফিস যাওয়া , ১৫-২০ বাসে , ৩০ তারিখের আগ পর্যন্ত কখনো হেটে কখনো বাসে ! আর ১-১০ তারিখে চাইনিজ খাবার স্বাদ নেয়া , পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটানোর চেষ্টা !
প্রকৃত আনন্দ টা মধ্যবিত্তরাই লাভ করে ,যেটা নিম্মবিত্তের কপালে নেই আর উচ্চবিত্তের রুচিতে নেই ! শুভকামনা কা_ভা !
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাহ! সুন্দর একটা বিশ্লেষন করেছেন!!! দ্বিতীয়বার আপনাকে পেয়ে ভালো লাগল। সুন্দর কমেন্টে পোষ্টের সারমর্ম উঠে এসেছে!! কমেন্টে প্লাস!!!
৩২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৪
পাকাচুল বলেছেন: সারা বছরের সঞ্চয় সব রোজার ঈদে বের হয়ে যায়।
নানা জনকে কাপড়, এটা সেটা দেওয়া লাগে। ঈদে সবাইকে নিয়ে গ্রামে যাওয়া লাগে।
জাকাত দেওয়া লাগে।
একেবারে শুন্যের কোটায়।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা ভাই অবস্থা অনেকটা একই রকম। ঈদের পর পকেট পুরাই খালি থাকে!!!!!! কি করব বলেন, তাও আমাদের ঈদে আনন্দ করতে হয়। এটাই নিয়ম। ত্যাগের মাধ্যমেই কেবল আমরা আনন্দ পেতে পারি। মধ্যবিত্ত শ্রেনীর জন্য এমনি এমনি কোন আনন্দ আসে না।
৩৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৪৮
অনাহূত বলেছেন: ভালো লিখেছেন। ভেতরে কোথাও যেন নড়ে উঠলো। গল্প ছুঁয়ে গ্যাছে অনেক গভীরে। ভালো থাকুন।
অগ্রিম ঈদ শুভেচ্ছা।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ। ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা রইল।
৩৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৯
দি সুফি বলেছেন: লেখক বলেছেন: এই শ্রেনীর অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত।
আমিও আনন্দিত
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসেন কোলাকুলি করে ফেলি!!!!!!!!!!
৩৫| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
এহসান সাবির বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপন। গনি মিয়ার জন্য শ্রদ্ধা। আপনাকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা।
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জানাই।
৩৬| ০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
নিরপেক্ষ মানুষ বলেছেন: ++++++++
০১ লা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৩৭| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৫৫
তুষার কাব্য বলেছেন: এমনই বাস্তবতা
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম! নির্মম বাস্তবতা!
৩৮| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
আরজু পনি বলেছেন:
মধ্যবিত্ত মানুষের কিছু থাকুক বা না থাকুক, তাদের আত্মসম্মানবোধ থাকে প্রবল।
আর মধ্যবিত্তের ঈদ আসলেই বড্ড ভেজালের ! সবকুল রক্ষা করাও অনেক কঠিন ! তবুও হাসিমুখেই ঈদ পার করে দেয় !
শেষে একটা বোনাস পেলাম.... লাইক বাটনের ওখানে দেয়া বিজ্ঞাপনে দেখাচ্ছে সেরী আর ২৮ মিনিট বাকী আছে... যাই
অনেক ভালো লাগা রেখে গেলাম কাল্পনিক।।
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই আত্মসম্মানবোধের জন্যই এই শ্রেনীর মানুষগুলোর জীবন এতটা কষ্টের। এই মেন্টালিটির মানুষদের জন্য তো একটা বিশেষ টার্ম আছে, "মিডেলক্লাস মেন্টালিটি" সবকুল রক্ষা একমাত্র মধ্যবিত্তরাই করে।
প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
৩৯| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৩
আরজু পনি বলেছেন:
সেহরী হবে ....
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা! ওকে! গট ইট!
৪০| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
ঢাকাবাসী বলেছেন: মধ্যবিত্তরা সবসময়ই একটু বিপদে থাকে, মাথার কাপড় হলে পায়ের কাপড় থাকেনা আর পায়ের..হলে মাথার থাকেনা। ভাল লাগল্।
০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ
৪১| ০২ রা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:৫৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঈদ এর ছুটিতে কয়েকটা লেখ পড়ার জন্য রেখে দিতে যাচ্ছিলাম, তার মধ্যে এইটা হল প্রথম। অথচ আজকে রাতেই পড়ে ফেললাম!
এরকম একটা কিছু লেখার কথা ভাবছিলাম, আপনি অনেক সুন্দর করে লিখে দিয়েছেন। আমাদের চারপাশে যে এরকম কত গনি মিয়া মুখ বুজে, ঠোঁটের কোনে একটা হাসি ঝুলিয়ে জোয়াল টেনে চলেছে দিন আর রাত, সপ্তাহ আর মাস, বছর আর যুগ!
আর মধ্যবিত্তের সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়! তেল জল মিশ খাওয়ার মত বিষয়। তবে এই পাওয়া না পাওয়ার মাঝে কিন্তু দারুন একটা কেমিস্ট্রি আছে, যেটার কথা প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন।
ঈদ এর শুভেচ্ছা রইলো কাল্পনিক ভাই!
পোস্ট অসাধারণ হইসে, এক টেরাবাইট ভালোলাগা রেখে গেলাম!
০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো ও লাগছে। আপনার জন্যও রইল ঈদের অনেক শুভেচ্ছা।
৪২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৭
প্রিয়ভাষিণী বলেছেন: বিত্তই করে আমাদের চিত্ত নষ্ট
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু!!! বিত্তই আমাদের চিত্ত নষ্ট করে।
৪৩| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
ইমরান নিলয় বলেছেন: খুব খুব গোছানো, সুন্দর আর টাচি লেখা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৪৪| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
জুন বলেছেন: কিছু বলার নেই কাল্পনিক শুধু বলি মধ্যবিত্তদের মত হতভাগ্য খুব কমই আছে আমাদের সমাজে। আগের সেই মধ্যবিত্ত এখন বিরল। এখন আছে নিম্ন বিত্ত আর বিত্তবান ।
গনি মিয়াদের জন্য সহানুভূতি দেখানোর স্পর্ধা আমার নেই।
+
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন আপু। মধ্যবিত্তদের মত হতভাগ্য খুব কমই আছে। এটা একটা অসম শ্রেনী বিভাগ। তবে তাদের অতিসম্মানবোধের কারনে তাদেরকে সহানুভূতি দেখানোর কোন স্পর্ধা আমারও নেই।
৪৫| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
ঈদ হোক সম্মিলিত আনন্দের।
আনন্দ শেয়ার হোক মানুষে মানুষে।
প্রতিষ্ঠিত হোক মানুষের জন্য মানুষ।
ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সেলিম ভাই। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
বিয়ে করুন, সুখী হোন।
৪৬| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৬
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
খুব চমৎকার লিখা।
ঈদের অনেক শুভেচ্ছা কাল্পনিক ||
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার প্রতিও রইল ঈদের অনেক শুভেচ্ছা
ভালো থাকবেন।
৪৭| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: খুব রোমান্টিক লেখা
থাকল ঈদ শুভেচ্ছা
০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কি লেখা!!!!!!!!!!!!!!!!!! এইটা রোমান্টিক লেখা!
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহ। ঠিক আছে কভি। তবে তাই হোক।
৪৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৩
শান্তির দেবদূত বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন, একেবারে হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে লেখা।
আমাদের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিমূহুর্তের সংগ্রামের চিত্রটা অত্যন্ত সুচারুভাবে তুলে ধরেছেন। তবে মধ্যবিত্ত হিসাবে আমার যেটা ভাল লাগে তা হল ছোটখাট বিষয়ে যে অকৃত্তিম আনন্দ প্রাপ্তি।
প্রতিদিন টিফিনের টাকা থেকে ১ টাকা ২ টাকা করে মাটির ব্যাংকে জমিয়ে বছর শেষে ঈদের সময় ভাল কোন জামা কাপড় কিনার আনন্দ কি কোন উচ্চবিত্তের সন্তান অনুভব করতে পারবে? অথবা প্রতিদিনের টিউশনি বা স্কুলের রিকশা ভাড়া হেটেহেটে বাচিয়ে গল্পের বই কিনার যে আনন্দ সেটা ?
লাভ ইউ মধ্যবিত্ত ।
০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার বলেছেন, প্রতিদিন টিফিনের টাকা থেকে ১ টাকা ২ টাকা করে মাটির ব্যাংকে জমিয়ে বছর শেষে ঈদের সময় ভাল কোন জামা কাপড় কিনার আনন্দ কি কোন উচ্চবিত্তের সন্তান অনুভব করতে পারবে? - না তাঁরা এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত।
আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক ভালো লাগল ভাইয়া। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ২:৫২
প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: মধ্যবিত্তদের কষ্ট সবচে বেশি। হয়তো এজন্যেই আমাদের আনন্দ সবচে খাঁটি, তাই না?
অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা আপনাকে। ভাল থাকুন।