নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিসির আলি এবং দেবী।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১



গত পরশুদিন জুমার নামাজ পড়ে বাসায় এসে খাওয়ার টেবিলে দারুন একটা আড্ডা হলো। আড্ডার বিষয়বস্তু ছিলো প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারী অনুদান প্রাপ্ত চলচ্চিত্র 'দেবী'। হুমায়ূন আহমেদ তার নিজস্ব গুণাবলীর কারনেই এই দেশে হাজারো মানুষের হৃদয়ে গভীর দাগ কেটেছেন। সেই কারনেই হুমায়ূন আহমেদের নাটক মানেই ভিন্ন কিছু, হুমায়ূন আহমেদের সিনেমা মানেই ভিন্ন কিছুর প্রত্যাশা।

দুই পদের ভর্তা, কুচো চিংড়ি দিয়ে পালং শাক, রুই মাছের ঝোল, জলপাইয়ের চাটনি আর ঘন মুগডাল দিয়ে গলা পর্যন্ত উদরপূর্তি করে করে যখনই বিছানায় গা এলিয়ে দেয়ার প্ল্যান করছি, তখনই চোখ পড়ল পাশের সাইড টেবিলে দুটো টিকিট। কিসের টিকিট পরীক্ষা করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ। এতো সদ্য মুক্তি পাওয়া দেবী ছবির টিকিট। আমার স্ত্রী আমাকে সারপ্রাইজ দিতে এই অসামান্য আয়োজন করেছেন। আনন্দে প্রায় চিৎকার দিয়ে উঠে হলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম।

হল ভর্তি দর্শক দেখে সত্যি দারুন লাগলো। সিনেমা শুরু হবার পর পিছনের এক বাচাল মেয়ের যন্ত্রনায় যখন মহা বিরক্ত, তখন মনে হয় ভদ্রতা ভুলে আমি কিছুটা জোরেই বললাম, দেবী দেখতে এসে দেখি পেত্নীর ক্ষপ্পরে পড়লাম, তাও আবার বাচাল পেত্নী। কি মুসকিল! বলাবাহুল্য, এরপর পুরো সিনেমা জুড়ে তেমন কোন ঝামেলা হয় নি।

দেবী নিয়ে কিছুটা বলার আগে দেবী চলচ্চিত্রের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র মিসির আলি নিয়ে কিছুটা কথা বলা প্রয়োজন। মিসির আলির চরিত্রটি কেমন হবে বা কে অভিনয় করলে মিসির আলি চরিত্রকে সবচেয়ে ফুটিয়ে তুলতে পারবে এই নিয়ে দর্শকদের মধ্যে দারুন মতপার্থক্য রয়েছে। এখন পর্যন্ত যত মানুষের সাথে হুমায়ূন আহমেদের 'মিসির আলি' চরিত্রটি নিয়ে কথা বলেছি তাতে দেখা গেছে অধিকাংশ মানুষই উপন্যাসে বর্ণিত মিসির আলীর সাথে আমাদের দেশীয় কোন অভিনেতার মিল খুঁজে পান না। দর্শকদের সিংহভাগ মনে করেন, এই চরিত্রে সবচেয়ে ভালো করতেন শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি।


প্রথমত তাঁর ব্যক্তিত্ব এবং যে কোন চরিত্রকে ধারন করার দক্ষতা দর্শকদের এই বিশ্বাস যুগিয়েছে। ফলে পর্দায় যখন আমরা হুমায়ুন ফরীদিকে মিসির আলি চরিত্রে দেখি, তখন তাঁকে একজন সফল মনোবিদ হিসেবে দেখি যিনি প্যারা সাইকোলজি বা অতীন্দ্রিয় ব্যাখ্যাতীত বিষয়ে দারুন সব যৌক্তিক বিশ্লেষন করতে পারেন। কিন্তু সমস্যাটা তৈরী হয় তখনই, যখন তাঁকে মিসির আলি হিসেবে কল্পনা করা হয়। আর এই সমস্যা সৃষ্টি করেছেন লেখক হুমায়ূন আহমেদ নিজেই।

হুমায়ুন আহমেদ মিসির আলির যে কাল্পনিক রুপ দিয়েছেন তাতে তাঁকে একজন প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত চোখের একজন সাধাসিধে, রোগা, বয়স্ক মানুষ হিসেবেই দেখা যায়। তাঁর কন্ঠের ব্যাপারে তেমন কিছু জানা যায় না, তবে সেটা যে ভরাট বা আকর্ষনীয় কোন কন্ঠস্বর নয় তা নিশ্চিত বলা যায়। মোদ্দাকথা, মিসির আলির সাথে ভেতরে গ্ল্যামার তেমন একটা যায় না। তাই হুমায়ুন ফরীদি এই চরিত্রে সার্বজনীন হতে পারেন নি।

আমার জানা মতে মিসির আলি চরিত্রটিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ জন অভিনয় করেছেন। এরা হলেন যথাক্রমে, আবুল হায়াত, আবুল খায়ের, আশীষ কুমার লৌহ, হুমায়ুন ফরীদি, শতাব্দী ওয়াদুদ, আশীষ খন্দকার এবং সম্প্রতি চঞ্চল চৌধুরী। ১৯৮৭ সালে হুমায়ুন আহমেদের 'অন্য ভুবনের সে' উপন্যাস নিয়ে যে নাটক বানানো হয়, সেখানে মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করেন আবুল হায়াত।
আবুল হায়াত তাঁর অনবদ্য অভিনয় দিয়ে মিসির আলি চরিত্রটিকে দারুন ভাবে ফুটিয়ে তুললেও উপন্যাস বর্ণিত মিসির আলির সাথে অনেক দুরত্ব থেকে যায়। একই কথা প্রযোজ্য আবুল খায়ের ক্ষেত্রেও।

আশীষ কুমার লৌহ সেই হিসাবে অনেকটাই কাছাকাছি ছিলেন। তবে একজন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতাকে হঠাৎ করে মিসির আলির মত সিরিয়াস চরিত্রে মেনে অনেকেরই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে অবশ্যই মিসির আলি চরিত্রের জন্য একটি দারুন নির্বাচন হতেন।


এরপর বাকি থাকে শতাব্দী ওয়াদুদ, আশীষ খন্দকার এবং বর্তমানের চঞ্চল চৌধুরী। শতাব্দী ওয়াদুদ এই চরিত্রে নিজেকে প্রমান করার চেষ্টা করেছেন, উপন্যাসের বর্ণনা মতে তিনি নিজেকে মিসির আলির কাছাকাছি নেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, তাঁর নিজের সহজাত কন্ঠ বাদ দিয়ে একটা অযাচিত রহস্যময় ফিসফিসে কন্ঠ তাঁর এই প্রচেষ্টাকে ব্যহত করেছে বা বলা যায়, শতাব্দী ওয়াদুদের মত একজন ভরাট গলার অভিনেতা হয়ত মিসির আলির সাথে যায় না। এখানে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে গ্ল্যামারের ব্যাপারটি। মিসির আলির সাথে গ্ল্যামার ব্যাপারটি ঠিক যায় না।

সম্প্রতি চঞ্চল চৌধুরি যে মিসির আলির চরিত্রে কাজ করেছেন, তিনিই যদি মিসির আলি হন, তাহলে বলতে হবে, উপন্যাস বর্ণিত মিসির আলি সম্পূর্ন অন্য এক মানুষ।

একজন অনুসন্ধানী মনোবিজ্ঞানী হিসেবে, প্যারা সাইকোলজিক্যাল বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁকে চমৎকার মানিয়েছে। কিন্তু চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত চরিত্রটিই যে উপন্যাস বর্ণিত মিসির আলি কি না তা নিয়ে কিছুটা প্রশ্ন থেকে যায়। অন্তত, শারীরিক গঠনের দিক দিয়ে মিসির আলীর সাথে একটি পার্থক্য মিসির আলির একজন ভক্ত হিসেবে চোখে পড়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এখানেও কন্ঠ একটা ফ্যাক্ট ছিলো। ফলে চঞ্চল চৌধুরি মাঝে মাঝে গলার স্বরে দুই পিচ ব্যবহার করেছেন।

এরপর বাকি থাকে, আশীষ খন্দকার। দ্বিমত থাকতে পারে, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বর্তমানে কোন ব্যক্তি যদি মিসির আলিকে সবচেয়ে কাছাকাছি বর্ণনা করতে পারেন, তিনি হচ্ছেন এই আশীষ খন্দকার।


তিনি পরিচালক অনিমেষ আইচের আবিষ্কার। তাঁর অভিনীত, নিষাদ নাটকটি দেখার পর খোদ হুমায়ূণ আহমেদ অনিমেষকে ফোন দিয়ে আশীষ খন্দকারের প্রশংসা করেছেন। প্রায় ১১ মিনিট ব্যাপী সেই আলাপে বার বার আশীষের কথাই ঘুরে ফিরে এসেছে। যার এখনও দেখেন নি, তারা কষ্ট করে অনিমেষ আইচ পরিচালিত নিষাদ নাটকটি দেখে ফেলুন। যদি ব্যক্তিগত ফ্যানবেজ ধারনা থেকে মুক্ত হয়ে চিন্তা করার সুযোগ থাকে, তাহলে আশীষ খন্দকারের চেয়ে ভালো মিসির আলি এই মুহুর্তে হয়ত আমাদের কাছে নেই। আপনি যদি প্রশ্ন করেন, তাহলে মিসির আলির চরিত্রে কেন আশীষ খন্দকারকে নেয়া হলো না, যেখানে দেবীতে অনিমেষ আইচ কাজ করছেন? সরাসরি কোন উত্তর দিতে চাইছি না, তবে মনে রাখবেন জনপ্রিয়তা বানিজ্যিক চলচ্চিত্রে একটি বড় ব্যাপার।

যাইহোক, জয়া আহসান প্রযোজনায় দেবী চলচ্চিত্রটি দেখলাম। ভালো মন্দ যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, তাই আপনি একজন দর্শক হিসেবে তা নির্ধারন করবে। আমি ইতিবাচকভাবেই ছবিটিকে দেখছি। বিশেষ করে ছবির শুরুটা দারুন। শুরুর এই ঘটনাটা উপন্যাসের প্রায় শেষ দিকে খুব আবছাভাবে বর্ণিত হয়েছে। সেই সামান্য বর্ণনাকে শুরুর দৃশ্যে আনাটা ছিলো দারুন একটা ব্যাপার। রানু চরিত্রটি বোধ করি জয়া আহসানের কথা ভেবেই লেখা হয়েছে। আবহসংগীত - জয়া ছাড়া ভালো লাগবে না, ভয়ের দৃশ্য জয়া ছাড়া ভালো লাগবে না, আধিভৌতিক পরিবেশ, চিৎকার- জয়া ছাড়া অর্থহীন। বলা যায়, এই চলচ্চিত্রটি একটি 'জয়া' ময় চলচ্চিত্র। তবে অনুগ্রহ করে এই চলচ্চিত্রে মিসির আলিকে পুঁজি করে দেখতে যাবেন না। এমন নয় যে, চঞ্চল চৌধুরী ভালো করেন নি, সমস্যা হচ্ছে রানু চরিত্রে জয়া আহসান এতই শক্তিশালী এবং ফোকাসে ছিলেন যে মিসির আলি কিছুটা হলেও আউট অব ফোকাসে পড়ে গেছেন।

সুযোগ থাকলে এই চলচ্চিত্রটি দেখে ফেলুন। অন্তত পরিচালকদের পয়সা কিছুটা উঠে গেলে তারা ভবিষ্যতে আরো সাহসী হবেন, এগিয়ে আসবেন এই ধরনের চলচ্চিত্র নির্মানে। প্রথম বাংলাদেশী প্যারা সাইকোলজিক্যাল হরর ফ্লিম দেখার সুযোগ থেকে নিশ্চয় বঞ্চিত হতে চান না।

মন্তব্য ১১৪ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (১১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুব তথ্যবহুল পোস্ট।

অফিসে ককাজের চাপ ;)! বাসায় গিয়ে পড়বো ইনশাআল্লাহ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কিছুটা তথ্যবহুল তো বটেই, তবে খুব একটা কাজের তথ্য না। শুধুমাত্র সিনেমা প্রেমী বা এই বিষয়ে আগ্রহ আছে তাদের কাজে আসবে।

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

নূর ইমাম শেখ বাবু বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে। ধন্যবাদ জানালাম।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। সম্ভব হলে দেখে ফেলুন।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

বিজন রয় বলেছেন: দেখি নাই এখনো।
সময় পাচ্ছি না।

দেখি আপনার পোস্ট পড়ে ধারনা নিই আগে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি মনে করি, ছবিটা দেখে ফেলা যায়। ছবিটা দেখার সময় দেবী উপন্যাস নিয়ে না ভেবে সাধারন সিনেমা হিসেবে ভাবলেই ভালো হবে। প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে আমি বেশ ইতিবাচক এবং আশাবাদী। ছবির সিনেমাটোগ্রাফী এককথায় দুর্দান্ত।

৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

তারেক ফাহিম বলেছেন: প্রেক্ষাগৃহে যাওয়াটা এখন খুব একটা হয় না।

আসলে ইউটিউভ মামু সব চাহিদা পুরণ করেছে B-)

পেত্নির ক্ষপরে পড়লেন ;)
পেত্নি তাড়ানোর ব্যাপারটা বেশ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমারও যাওয়া হয় না। তবে ভালো সিনেমা হলে, আমি চেষ্টা করি যাওয়ার জন্য। ইউটিউবেও দেখি। আসলে আমাদের সামান্য দুই একশ টাকায় যদি কেউ আরো এগিয়ে আসেন ভালো সিনেমা বানানোর জন্য, উৎসাহ পায় তাহলে হয়ত সিনেমা শিল্পের দিন বদলাবে।

আর ঐ পেত্নীরে পারলে আমি থাবরাইয়া হল থেকে বের করতাম। উচ্চস্বরে চিল্লাচিল্লি। কোন দৃশ্যের পর কি দৃশ্য হবে ইত্যাদি নিয়া বয়ফ্রেন্ডের সাথে ম্যাওপ্যাও। মানে সে এক মহা যন্ত্রনা।

৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

নজসু বলেছেন: বিশ্লেষনধর্মী পোষ্ট।
আশীষ কুমার লৌহ সম্পর্কে এই তথ্যটা আমার জানা ছিলনা।

পোষ্টটা একটু এডিট করতে পারেন ভাই।

আপনি মনে হয় মনের অজান্তে দেবী চলচ্চিত্রের পরিচালকের নামের স্থলে জয়া আহসানের নাম লিখেছেন।
উনি প্রযোজক।
পরিচালক সম্ভবত অনম বিশ্বাস।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ধন্যবাদ আপনাকে। আমি ভুলটা সংশোধন করে নিয়েছি। আমার কাছে মনে হয়, লৌহ এই চরিত্রে দারুন একটা সিলেকশন ছিলেন। কিন্তু কি আর করা।

৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

সাইন বোর্ড বলেছেন: ছবির পোস্টারে মিসির অালীর স্থির ছবি দেখেও অামি উপন্যাসের মিসির অালীর সাথে মেলাতে পারিনি, অাজ সকালে দেবী সিনেমাকে নিয়ে লেখা একটির পোস্টের মন্তব্যেও সেটা বলেছি অামি । তবে সুযোগ পেলে ছবিটি অবশ্যই দেখব । পোস্টে বিস্তারিত জানানোর জন্য ধন্যবাদ ।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবশ্যই দেখুন। এই জেনারের ছবি বাংলাদেশে প্রথম। :)

৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: দেখতে হবে, তবে একটা ব্যাপার সিনেমা কে পুরা বইয়ের সাথে না মেলালেও হয়।
লেখার কল্পনা শক্তি, বইয়ের ভাষা আর সিনেমায় অভিনয় কিছুটা পার্থক্য তৈরি করবেই।
হ্যা বানিজ্যিক একটা ব্যাপার ও বিবেচনায় রাখা লাগে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার সাথে আমি সহমত। এই বানিজ্যিক বিবেচনায় পর্দায় এই কলাকুশলী নির্বাচন। হ্যাঁ, সত্য বলেছেন। কোন উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রকে অবশ্যই মুল বইয়ের সাথে মেলানো যায় না। কারন বইটি যখন পড়া হয়, তখন পাঠক যে কল্পনা করে, সেই কল্পনাকে ছাড়িয়ে যাওয়া যে কোন পরিচালকের জন্য কঠিন একটি ব্যাপার।

সিনেমা হলে গিয়ে দেখে আসুন। ভালো লাগবে।

৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

কে ত ন বলেছেন: চরিত্র নির্বাচন নিয়ে আমারও অনেক খটকা আছে। উপন্যাসের রানু সহজ সরল অল্প বয়েসী তরুণী একটি মেয়ে - ভাজা মাছ উলটে খেতে জানেনা - এই টাইপ। কিন্তু সিনেমার রানু একেবারে মধ্যবয়েসী এক গৃহিণী - তার প্রতিটি চাহনিতে মনে হয় পেট ভর্তি শয়তানি। আনিস চরিত্রে ২৪/২৫ বছরের কোন যুবককে খুব মানাত। যে অভিনয় করেছে, তার বয়েস আমার ধারণা ৫০ এর কম নয়। মিসির আলি চরিত্রটিও মানায় নি - আপনার কথাই ঠিক।

কেবল ইরেশ জাকেরের চরিত্রটি পারফেক্ট ছিল।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চরিত্র নির্বাচন নিয়ে আমারও কিছুটা দ্বিধা আছে। তবে আপনি যে পয়েন্টগুলো তুলেছেন, সেই পয়েন্টগুলোর সাথে সম্পূর্ন সহমত নই। জয়া আহসান রানু চরিত্রে 'অভিনয়' করেছেন। এই চরিত্রটিতে আমি মনে করি, তিনি যদি আরো কিছুটা সহজসরল ভাবে আত্মস্থ করতে পারতেন, তাহলে ভালো হতো। তবে জয়ার একটি বাড়তি সুবিধা হচ্ছে, তাঁর মুখাবয় এবং চোখ। যা রানুর সাথে কিছুটা হলেও মানিয়েছে। তবে কিছু কিছু ডায়লগের ক্ষেত্রে তাঁর বাড়তি অভিনয় বিষয়টা চোখে পড়েছে। তথাপি রানু চরিত্রের জন্য আমি মনে করি, এখন পর্যন্ত তিনিই সেরা।

দ্বিতীয়ত, রানু স্বামী হিসেবে যাকে নেয়া হয়েছে, তিনি হচ্ছেন অনিমেষ আইচ। আমার কলেজের বড় ভাই। আমার জানা মতে তাঁর বয়স আপনার উল্লেখিত বয়সের কাছাকাছিও নয়। যদি বইয়ের ধারা অনুসরন করা হতো, তাহলে এই চরিত্রে আরো বয়স্ক কাউকে প্রয়োজন ছিলো। যেহেতু বইয়ের সব কিছু পরিপুর্নভাবে অনুসরন করা হয় নি, সেই হিসেবে আসলে আমাদের আর কিছুই বলার নেই।

ইরেশ জাকের, চরিত্রটিকে খুব অল্প সময় পর্দায় আনা হয়েছে। এই চরিত্রটি নিয়ে আরো কিছুটা কাজ করার সুযোগ ছিলো।

তবে ভালো মন্দ মিলিয়ে আমি এই চলচ্চিত্রটি এখনও ইতিবাচক প্রেক্ষাপট থেকেই দেখব। আমি মনে করি, সকলের উচিত হবে এই ধরনের প্রয়াসকে উৎসাহ দেয়া।

৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আমার খুবই পছন্দের একজন লেখক। তার দেবী উপন্যাস অনেকটা ক্লাসিক পর্যায়ের লেখা। এটাকে ছিনেমায় কতটুকু ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে সেটা আসলেই দেখে আসা দরকার। ছবি টা দেখে বাকি মন্তব্য করবো। ভালো একটা টপিকের উপর লেখা দিয়েছেন.......
শুভ কামনা রইল।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি অনুরোধ করব, দেবী উপন্যাস মাথা থেকে বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখতে যান। একটা চলচ্চিত্র দুই/তিন নির্মিত হতে পারে, এক কোন উপন্যাস অবলম্বনে, দুই ছায়া অবলম্বনে এবং তিন কোন উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন। সেই ক্ষেত্রে দেবী হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র।

চলচ্চিত্র নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। ভালো মন্দ দুটো দিক এতে অবশ্যই আছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমি ইতিবাচক ব্যাপারটাই দেখছি।

১০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
"যাক বাবা বেঁচে গেলাম" এমনটা বলতে না চাইলেও বেড়িয়ে আসলো =p~

আসলে আমি সিনেমা প্রেমিদের হতে না পারার দুর্ভাগ্য নিয়ে আছি! অফিস আর ফ্যামিলি! এসবেই আমার সময় কেটে যায় কেমনে বুঝি না! পাশাপাশি সামুর থেকে কিছু জ্ঞান নিতে আসি!

প্রতিমন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বেঁচে যাওয়ার মত এতটা খারাপ হয় নি বলেই আমার ধারনা। তাছাড়া টিকিটের যে দাম আর রাস্তায় জ্যামের কারনে দৈনন্দিন যে সময় নষ্ট হয়, সেই হিসাবে এটা কোন ব্যাপারই না। হা হা হা।

অফিসের যন্ত্রনায় আমারও সুযোগ হয় না, সিনেমা হলে যাওয়ার। তবে স্কুল কলেজ জীবন থেকে সিনেমা নিয়ে কিছুটা আগ্রহ থাকায় সময় পেলেই আমি সিনেমা দেখার চেষ্টা করি।

১১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাভা ভাই
অনেক দিন পরে আপনার
সাজানো গোছানো পোস্ট দে্খে
ভালো লাগলো। সিনেমা প্রেমী ও
সিনে গবেষকদের কাজে লাগবে।
শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে নুরু ভাই।

১২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

সেডরিক বলেছেন: এখনো দেখা হয়নি। মনে হচ্ছে উপন্যাসের সাথে মিলাতে গেলে নিরাশ হবো। আর দশটা সিনেমার মত ভেবে দেখতে হবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: উপরের একটা মন্তব্যে আবার করলাম,
আমি অনুরোধ করব, দেবী উপন্যাস মাথা থেকে বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখতে যান। একটা চলচ্চিত্র দুই/তিন নির্মিত হতে পারে, এক কোন উপন্যাস অবলম্বনে, দুই ছায়া অবলম্বনে এবং তিন কোন উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ন। সেই ক্ষেত্রে দেবী হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদের দেবী উপন্যাস অবলম্বনে একটি চলচ্চিত্র।

চলচ্চিত্র নিয়ে তেমন কিছু বলার নেই। ভালো মন্দ দুটো দিক এতে অবশ্যই আছে। তবে প্রাথমিকভাবে আমি ইতিবাচক ব্যাপারটাই দেখছি।

১৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: মিসির আলি কিছুটা হলেও আউট অব ফোকাসে পড়ে গেছেন
আসল কথা

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, এটা রানুময় চলচ্চিত্র।

১৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভালো লিখেছেন, অনেক কিছু জানলাম

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

১৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৬

রাকু হাসান বলেছেন:

একমত মিসির আলী চরিত্রে প্রয়াত লিজেন্ড হুমায়ূন ফরিদী স্যার সবচেয়ে বড় অভিনেতা ছিল । আসাদুজ্জামান নূর তিনিও ভালো করতেন । জয়া খুব ভালো করেছে । তবে চঞ্চল তাঁর বেস্ট চেষ্টা করেছে । প্রসংশাও পাচ্ছে ।ভীষণ ভালোলাগা ময় পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । :)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত ভোট হচ্ছে আশীষ খন্দকারের পক্ষে। যদি উপন্যাসের পক্ষ অবলম্বন করি, তাহলে আশীষই হচ্ছেন এই চরিত্রের জন্য অন্যতম সেরা!

১৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

দি রিফর্মার বলেছেন: বহু বছর সিনেমা হলে যাওয়া হয় না। আশাকরি 'দেবী' ছবিটি দেখতে যাব। আমার মনে হয় পরিচালক আয়নাবাজি ছবির কারণে চঞ্চল চৌধুরীকে এই চরিত্রে নির্বাচন করেছেন। কিন্তু তিনি হয়ত ভুলে গেছেন যে, মিসির আলী ঠিক সেরকম নন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আশাকরি মিসির আলী ভক্তদের এই পোষ্টটি মনঃপূত হবে।
শুভ কামনা রইল।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আমি অনুরোধ করব, হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি মাথা থেকে কিছুটা বাদ দিয়ে একটা স্বাভাবিক চলচ্চিত্র হিসেবে দেখার জন্য। বাংলাদেশের প্রথম প্যারা সাইকোলজিক্যাল মুভি হিসেবে মোটামুটি পাস মার্ক পেয়ে উৎরে গেছে। মিসির আলি এই চলচ্চিত্রে তেমন ফোকাসড হন নি বলেই আমার ব্যক্তিগত মত।

১৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৮

আরইউ বলেছেন: জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় কি মিসির আলী চরিত্রটি করেছিলেন?

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, আমার জানা মতে তিনি এই চরিত্রে অভিনয় করেন নি। তাঁর চমৎকার ভরাট কন্ঠ হয়ত এই ক্ষেত্রে কিছুটা বাঁধা।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটা (দেবী) মুলত: "হরর ফিল্ম"? আমি কোন হরর মুভি দেখতে পারি না, সমস্যা!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা। ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই! এটা মুলত বাংলাদেশের প্রথম প্যারা সাইকোলজিক্যাল বা অতিপ্রাকৃত একটি চলচ্চিত্র। এতে ভয়ের এলিমেন্ট আছে, তবে বুজরুকি টাইপের ভয় নেই।

১৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৯

ফেনা বলেছেন: আপনার রিভিউটা অনেক ভাল হয়ছে। এই পোষ্ট পড়েই মুভিটা দেখতে মন চাচ্ছে।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ, আসলে এটাকে মুভি রিভিউ বললে অন্যায় হবে। আমি শুধুমাত্র আমার কিছু পর্যবেক্ষন তুলে ধরেছি মাত্র। মুভিটি দেখে ফেলতে পারেন। সাথে যদি প্রিয়জন কেউ থাকে তাঁকে নিয়ে যান। ভয়ের মুহুর্তে যখন আঁতকে উঠে আপনার হাত খামচে ধরবে, তখনই মুভির সফলতা টের পাওয়া যাবে। হা হা হা।

২০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৫

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল একটি ধারনা পাওয়া গেল। আমি শুধু আবুল হায়াতকে দেখেছি মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করতে। আমার কাছে আবুল হায়াতকে বেশ মানানসই মনে হয়েছিল মিসির আলী চরিত্রে। এতজন অভিনেতা মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করেছেন সেটা জানা ছিল না।

হলে গিয়ে হয়তো সিনেমা দেখা হবে না,ইউটিউবে আসার জন্য অপেক্ষা করবো।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, যে কোন চলচ্চিত্র ইউটিউবে দেখে শান্তি নাই। একটা ভালো চলচ্চিত্র, ভালো কোন থিয়েটার বা হলে গিয়ে দেখাই ভালো। সামান্য পয়সা, চলচ্চিত্র ভালো না হলেও এসির পয়সা আর আরাম দায়ক চেয়ারে অন্তত উসুল হয়ে যাবার কথা। :)

২১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

কিরমানী লিটন বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ আমার খুবই পছন্দের একজন লেখক। আমি শুধু আবুল হায়াতকে দেখেছি মিসির আলী চরিত্রে অভিনয় করতে। মোটামুটি মানানসই ছিল। তবে চঞ্চল চৌধুরীকে পারফেক্ট মনে হয় নি আমার। বয়সের কারনে জয়াতেও খটকা লেগেছে- রানু চরিত্রে। তবে বাংলা চলচিত্রের এই দুর্যোগ দিনে- দেবী অবশ্যই একটা ভালো প্রচেষ্টা ।

আপনার মিসির আলীর চরিত্রে অভিনীত চরিত্রকারদের তুলনামুলক বিশ্লেষণ- ভালো লেগেছে। অনেক তথ্য জানলাম সেগুলি সম্পর্কে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। অনেক সাধুবাদ জানাই- এমন চমৎকার একটি পোষ্টের জন্য। ভালোবাসা জানবেন, নিরন্তর শুভকামনা- সপরিবার।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই। আপনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।

২২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: দেবী দেখতে এসে দেখি পেত্নীর ক্ষপ্পরে পড়লাম,
ঐ পেত্নী হয়তবা কারো নিকট সত্যি দেবী
যাক ছবিটা দেখার ইচ্ছা থাকলেও পারছিনা, ঢাকার বাহিরে আছি,
কতদিন সিনেমা হলে চলবে জানা নাই।
রিভিউটা পরলাম মুভিটা দেখার চিন্তায় থাকল।
...................................................................................

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
'ঐ পেত্নী হয়তবা কারো নিকট সত্যি দেবী' হতে পারে। তবে যার ব্যক্তিগত তিনি, আমি নিশ্চিত ভদ্রলোক কানে কম শুনেন এবং উনার ধৈর্য পৃথিবী থেকে অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি পর্যন্ত। সেই তুলনায় আমার ধৈর্য খুবই কম। এই ধরুন বনানী থেকে বড়জোর ধানমন্ডি পর্যন্ত। সেই হিসাবে আমি মহা বিরক্ত হয়েছি।

সুযোগ পেলে অবশ্যই দেখে ফেলুন। আশা করি মন্দ লাগবে না।

২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: দেখার ইচ্ছে আছে । আপনার লেখা পড়ে ইচ্ছেটা তীব্র হল ।

কিন্তু আমি সিনেমা দেখে ভয় পাইনা B-)

২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখে ফেলুন কোন সমস্যা নেই। আশা করি ভয় পাবেন না।

অফটিপিকঃ আমার শ্যালিকা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলো, দুলাভাই, মুভিটা কি সত্যি বেশি ভয়ের? আমি মিষ্টি হেসে বলেছি, ধুর পাগল। বেশি ভয় পেলে সাথে আয়না নিয়ে যেও।

২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: মিসির আলী চরিত্রে আমিও শুধু আবুল হায়াতকে দেখেছি। সত্যি বলতে কি গল্পের সাথে মেলাতে পারিনি।খুব সাদামাটা চেহারা, মধ্যবয়সী কিন্তু অসম্ভব বুদ্ধিদীপ্ত চেহারার এই চরিত্রে হুমায়ুন আহমেদের চেয়ে ভাল অভিনয় আর কারো হতে পারে না।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই সুন্দর লিকেহছেন।
খুব গুছানো লেখা। পড়ে আরাম পেয়েছি।
মুভিটা অবশ্যই দেখব।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখে আসুন। আশা করি খুব একটা খারাপ লাগবে না।

২৬| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

আমি তুমি আমরা বলেছেন: দেখেছি, মোটামুটি লেগেছে।তবে ক্লাইম্যক্সে বেশ হতাশ হয়েছি। আরও ভাল হতে পারত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমিও। বিরতীর পর তুলনামুলক বেশি তাড়াহুড়া করা হয়েছে।

২৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

কলাবাগান১ বলেছেন: নিষাদ নাটক টা খুজছি ইউটিওবে পাচ্ছি না....অনেক দিন ধরে এই অভিনেতা কে খুজছিলাম নাম জানতাম না ৫ মিনিট একটা নাটকের অংশ দেখেছিলাম মনে গেতে গিয়েছিল

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এই যে লিংকঃ নিষাদ - হুমায়ূন আহমেদ

২৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৩

জুন বলেছেন: আমি যখন আজ বিকেলে মার্ভেল কমিকস অবলম্বনে নির্মিত অসাধারন একশন প্যাকড সাইফাই ম্যুভি "ভেনম" দেখার জন্য টিকিট কাটছিলাম। তখন দেখি দেবী সিনেমার বিপুল দর্শক হলে ঢুকছে । এই বিপুল দর্শক আর তোমার লেখা পড়ে আগামীতে সিনেমাটি দেখার সিদ্ধান্ত নিলাম কাল্পনিক ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জুন আপা কেমন আছেন? মাঝে শুনেছিলাম আপনি নাকি অসুস্থ! আশা করি আপনি সুস্থ আছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনি সময় করে আমার পোষ্টে মন্তব্য করেছেন। সময় পেলে ছবিটা দেখে ফেলবেন, মোটা দাগে খুব একটা মন্দ লাগবে না।

২৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: কি মুসিবতে ফেলে দিলেন..... এখন কই দেখতে যাবো!!!! ইউটিউবে বা সিডি এখন যাওয়া যাবে না। অপেক্ষায় থাকতে হবে যদি এখানে মুক্তি দেয়।

যাহোক, মুভি রিভিউ নয় চরিত্র রিভিউ ভালো লেগেছে। কারন সত্যিই আমরা মিসির আলী বা হিমু পড়ে পড়ে নিজের কল্পনার সাথে একটি চরিত্র তৈরী করেছি। তাই যখনই এমন চরিত্র সামনে আসে তার সাথে নিজের কল্পনাকে মিলাতে চেস্টা করি। সেদিক থেকে চিন্তা না করে সম্পূর্ণ নতুন একটা প্যারা সাইকোলজিকেল মুভি দেখবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যদি সুযোগ পাই। কারন চঞ্চলের অভিনয় বরাবরেই ভালো লাগে।

ভালোলাগলো কাভা ভাই মিসির আলী চরিত্র রিভিউ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার জানা মতে আপু আপনি তো কানাডায় থাকেন। আর যতখানি শুনতে পাচ্ছি, কানাডায়ও নাকি মুক্তি দেয়া হবে। ততদিন অপেক্ষা করা ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই। তবে আশা করছি, দ্রুত এর অনলাইন ভার্সন চলে আসবে।

আপনি যথাযথ বলেছেন, এটা আসলে চরিত্র রিভিউ, মুভি রিভিউ নয়। মিসির আলি সম্পর্কে আমার কিছুটা দুর্বলতা আছে বিধায় এই চরিত্রটি নিয়ে এতটা চুলচেরা বিশ্লেষন করলাম। এটাও সঠিক বলেছেন, এটাকে কোন উপন্যাস হিসেবে না, শুধুমাত্র প্যারা সাইকোলজিকেল মুভি হিসেবে দেখাই শ্রেয়।

আপনাকে ধন্যবাদ, ব্যস্ত সময়ের মাঝেও মন্তব্য করার জন্য।

৩০| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

নতুন বলেছেন: সবার লেখা পইড়া দেখার জন্য তর সইছেনা... :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আসতেছেন কবে?

৩১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব সুন্দর ঋভু করেছেন। আমাদের মত যাদের মুভিটি দেখার সুযোগ নেই, তাদের পক্ষে রিভিউটি অত্যন্ত কার্যকরী। বিষয়টা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর সামান। পাশাপাশি আপনার দুপুরে মেনুটি খুব ভাল ছিল। ভাবি জি কে ধন্যবাদ এমন সারপ্রাইজ যে আমরাও কিছু স্বাদ পেলাম।আগামী দিনেও এমন সারপ্রাইজ এর আমরা অপেক্ষায় থাকবো ।

পাশাপাশি একটি জিনিস লক্ষ্য করেছি, আমরা একটি হরর মুভিতে ও দর্শক আসন সম্পন্ন হওয়ায় , আগামী দিনের সিনেমা আবার অন্যতম বিনোদন পরিণত হবে ।

শুভকামনা ও ভালবাসা আপনাকে ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আসলে এটা ঠিক মুভি রিভিউ নয়, বলা যায় মুভি রিভিউর আড়ালে চরিত্র রিভিউ। যদিও বড় পর্দায় ছবিটি দেখার মজা আলাদা, যেহেতু সুযোগ নেই, আশা করি ছোট পর্দায়ও খুব একটা মন্দ লাগার কথা নয়।

শুক্রবার এলে আমি দুপুরে এই জাতীয় টুকটাক কিছু আয়োজন করার চেষ্টা করি। আমি ভাই ভাতে মাছে বাঙালি টাইপের মানুষ।

৩২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৪:৪৬

পাকাচুল বলেছেন: নেটফ্লিক্স কিংবা আমাজনে রিলিজ দিলে ভালো হতো। দেখার সুযোগ পেতাম।

রিভিউ পছন্দ হয়েছে। বিশেষ করে এই পর্যন্ত যারা অভিনয় করেছেন, সবার নাম তুলে এনেছেন। হুমায়ূন ফরিদীই বেস্ট।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পাকাচুল ভাই, আমিও তাই মনে করি যে, আরো দুই এক সাপ্তাহ পরে নেটফ্লিক্স বা আমাজনে রিলিজ দিলে ভালো। কারন পয়সা না উঠলে ঝামেলায় পড়ে যাবে প্রয়োজক। যদিও আমার ধারনা ইতিমধ্যে পয়সা উঠে গেছে।

আসলে মিসির আলি নিয়ে আমাদের দর্শকদের মধ্যে দারুন দ্বিধা আছে। আমি এই দ্বিধাকে খুব উপভোগ করি। হুমায়ূন আহমেদের সাথে অল্প বিস্তর পরিচয় ছিলো, সেই হিসাবে বলতে পারি, দুর্দান্ত অভিনেতা হিসেবে হুমায়ূন ফরিদী উনার পছন্দ হলেও, মিসির আলি হিসেবে তেমন পছন্দের ছিলো না। তবে আমার মনে হয় উনাকে ঠিকভাবে প্রস্তুত করা হলে, প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিলে তিনিও চমৎকার করতে পারতেন। তবে আমি মনে করি, এই মুহুর্তে আশীষ খন্দকারই মিসির আলি হবার জন্য সেরা, অন্তত লেখক কর্তৃক স্বীকৃত। আপনি উনার নিষাদ নাটকটা পারলে দেইখেন।

আপনার মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগছে। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:০৬

জসীম অসীম বলেছেন: দারুণ পোস্ট। ছবি দেখতে চাই আগে। না দেখে তো বেশি কিছু বলা ঠিকও হবে না। তবে ‘‘জয়া’ময়’’ এ ছবির শিল্পমান অবশ্যই উত্তীর্ণ। তা না হলে আপনার এমন নিরংকুশ ভোট পেতো না এ চলচ্চিত্রটি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, জসীম ভাই, আপনি দেখে ফেলতে পারেন। আমি ভোট দিচ্ছি দুটো কারনে কারন প্রথমত হুমায়ূন আহমেদের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মান আর দ্বিতীয়ত বাংলাদেশের প্রথম প্যারা সাইকোলজিক্যাল চলচ্চিত্র। আমি সত্যি বলতে সিনেমা দেখার সময় উপন্যাসের কথা মাথা থেকে বাদ দিসি। তাই আমার কাছে ভালো লেগেছে।

৩৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৩

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: হলে গিয়ে ছবি দেখিনা অনেক অনেক দিন। আপনার পোষ্ট পড়ে সত্যিই উদ্বুদ্ধ হয়েছি। আপনার শেষ দু'লাইন স্ট্রাইক করেছে। যদিও আমার শারীরিক কন্ডিশনে পুরো মুভি হলে বসে দেখা হয়তো সম্ভব হবেনা তবুও দায়িত্ববোধ থেকেই যতক্ষন পারি অবশি্য যাবো। আরো একটা কারণ আমার হরিহর আত্মা রানা (অনিমেষ আইচ)। আমরা আশৈশবের মানিকজোর। জানলাম আপনি ইউল্যাবের ছাত্র ছিলেন। কে ত ন এর মন্তব্যে আমি হেসে কুটি। রানাকে আলবাৎ দেখাবো তা।
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু জানলাম। বিশেষ করে আশীষ কুমার লোহ অভিনীত নাটকটি দেখতে আগ্রহ বোধ করছি। নাটকের নামটা কি জানা আছে?

পেত্নি বফের সাথে ছিলো? একটু হার্শ হয়ে গেলোনা? :P

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রথমেই প্রার্থনা করি, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। আমি বাংলাদেশী সকল পরিচালক বা প্রযোজক যারা সাহস করে কাজ করছে, আমি তাদের সাপোর্ট দিতে চাই। বর্তমানে রানা ভাই, মানে অনিমেষ দা, অনেক ভালো ভালো কাজ করছেন। এই চরিত্রে তিনি অভিনেতা হিসেবে বেশ ভালোই করেছেন। কেতন ভাই কিভাবে উনাকে ৫০ এর কাছাকাছি বললেন, সেটা আমার মাথায় ঢুকছে না।

যাইহোক, আশীষ কুমার লোহ অভিনীত নাটকটির নাম এই মুহুর্তে মনে পড়ছে না। আমি খোঁজ পেলে অবশ্যই জানাবো।

প্রথমত পেত্নী নাম করন করেছি, উনার উচ্চনাকি স্বরে কিচ কিচ করে হাসাহাসি আর কথা বলার জন্য। পেত্নী বফের সাথে ছিলো না, পেত্নি ছিলেন উনার বোনের বফের সাথে। আমি আসলে দেবীর সাথে মিলিয়ে পেত্নী বলেছি। ;) এখন মনে হচ্ছে, শাকচুন্নীও কথাটা খারাপ ছিলো না।

৩৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দিলেনতো ঝামেলায় ফেলে!
আটপৌড়ে ছাপোষা মানুষ! অমন আগ্রহ তৈরী করে দিলেন- না পারি গিলতে না পারি উগরাতে ;)

দারুন রিভিউ বা সোহানীপুর চরিত্র রিভিউ!
দারুন দারুন সব মন্তব্য প্রতিমন্তব্যে অনেক কিছু জানা হল।
ওয়াও কি করি ভায়ার দোস্তের ফিল্ম! জেনে প্রীত হলাম কি করি ভায়া :)

++++++++

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দাদা! আমি কোন ঝামেলায়ই ফেলি নাই। বরং বাস্তবতা হচ্ছে যে, আগে সিনেমা ছিলো আমাদের আটপৌড়ে ছাপোষা মানুষের জন্য একমাত্র বিনোদন। এখনও বোধকরি তাই আছে। তাই সুন্দর করে, ভাবীকে বগলদাবা করে সিনেমা দেখে আসুন। ফিরে আসার পথে না হয় দু প্লেট চটপটি ফুচকা খেতে খেতে ভালো মন্দ নিয়ে ভাবীর সাথে খুন শুটির আড়ালে আমার গুষ্টি উদ্ধার করলেন!!

একটি আদর্শ সিনেমার স্বার্থকতা তো এখানেই!! হা হা হা।

শুভেচ্ছা জানবেন!!

৩৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আসলে হবহু উপন্যাস নিয়ে চলচিত্র বানালে সেটা খুব একটা ভাল হয়না। তাই কিছুটা পরিবর্তন, পরিমার্জন করা হয়।
তবে জয়ার অভিনয় নিয়ে কারো দ্বিমত থাকার কথা নয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তা তো বটেই। এটা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। পাশাপাশি, জয়ার অভিনয় নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। যদি সমালোচকের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিশ্লেষন করা হয়, তাহলে কিছু কিছু দৃশ্যে হয়ত অতি অভিনয়ের ব্যাপারটা বড়জোড় আলোচনায় আসতে পারে। এর বেশি কিছু না।

৩৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ছবিটি প্রথম থেকেই দেখার ইচ্ছে ছিল।কিন্তু আমি যেখানে থাকি সেটা একটা জেলা শহর হলেও সত্যি যে এখানে দেবী ছবি চলছে না।এখানকার হলে আয়নাবাজির মত ছবিও চালায় নি।তাহলে দেবী ছবিও যে চলবে না এটা অনায়সে বলা যায়।তাই ইচ্ছে থাকলেও ছবিটি দেখা হবে না।
আমরা উপন্যাস পড়ে একটা চরিত্রকে মনে মনে যে ভাবে কল্পনা করি সেটা পর্দায় ঠিক সে ভাবে না দেখলে হয়তো হতাশ হই।
তবে এটা আমাদের মনে রাখতে হবে উপন্যাস আর চলচিত্র এক নয়।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্যাপারটা জেনে দুঃখিত হলাম। তাছাড়া বর্তমান ছবিতে যে সব শব্দ যোগ করা হয়, তা যদি আধুনিক সিনেমা হলে না দেখা হয়, তাহলে সব মিলিয়ে উপভোগের পরিমান কিছুটা কমে যেতে পারে।

দ্বিতীয় অংশে আপনি যা বলেছেন, তা নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য এবং সমস্যা মুলত এই কারনেই সৃষ্টি হয়।

৩৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই বলি, খুব সুন্দর লিখেছেন, আদ্যোপান্ত ভাল লেগেছে ++।

আপনার লাঞ্চের মেন্যু দেখে জিভে জল এল। এর মধ্যে কয়টা আপনার তৈরী ছিল?

গতকাল সকালে গিন্নী অনেকটা আব্দার করেই বললেন, আজ বিকেলে আমরা কিন্তু “দেবী” দেখতে যাব, তুমি না করবে না। এর আগেও তিনি একবার আমার সাথে একসাথে ‘বেলাশেষে” দেখতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত নানা কারণে সময় দিতে পারিনি বলে আমার ভেতরে এমনিতেই একটা গাফিলতিবোধ কাজ করছিল। তাই এবারে এক কথায় রাজী হয়ে গেলাম। এছাড়া এ ছবির চিত্র পরিচালককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। সম্প্রতি শুনছিলাম, এ ছবি নিয়ে ওনার বেশ নাম ডাক হয়েছে। তাই একবার ভাবলাম, যাই দেখে আসি, উনি কেমন কাজ করেছেন।

তবে “দেবী” একে তো সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি, তার উপর হুমায়ুন আহমেদ এর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত, জয়া আহসান, চঞ্চল চৌধুরীর মত ডাকসাইটে তারকা এতে অভিনয় করেছেন, এসব কারণে মুক্তির আগেই এ ছবি নিয়ে বেশ বড় একটা hype বাজারে তৈরী হয়েছিল। তাই এ ছবির টিকেট প্রাপ্তি নিয়ে একটা সংশয় এবং তজ্জনিত চাপ অনুভব করছিলাম। তাই ছেলের শরণাপন্ন হ’লাম, ওকে ফোন করে অনুরোধ করলাম একটু ইন্টারনেট ঘেঁটে দেখতে, “দেবী” ছবির দুটো টিকেট অনলাইনে কাটা যায় কিনা। ওর সাথে কথা বলে বুঝলাম, ওকে ওর মা এর আগেই এ ব্যাপারে বলে রেখেছিল, কিন্তু ও সেটা বিশ্বাস করেনি কারণ ও কদাচিৎ কখনো আমাদেরকে হলে গিয়ে মুভি দেখতে দেখেছে। যাই হোক, ও বেশ উৎসাহ নিয়ে অনলাইনে দুটো টিকেট কিনে টিকেট কনফার্মেশন এর একটা কপি আমাকে এসএমএস করে পাঠিয়ে লিখলো যে হলে ঢোকার সময় এই এসএমএসটা দেখাতে হবে। তবে কোন ক্যাচাল এড়ানোর জন্য ও সেটার একটি প্রিন্ট কপি সাথে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিল। আমার ঝামেলা ব্যস ঐটুকুই। নিকটস্থ একটা শপিং মলে গিয়ে একটা প্রিন্ট কপি নিয়ে এলাম। ছবি শুরু হবার দশ মিনিট আগে আমরা ব্লকবাস্টার সিনেমায় গিয়ে পৌঁছলাম। একটা নাতিদীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুটো মাসালা পপকর্ণ এর চোঙ্গা প্যাকেট হাতে করে আসন গ্রহণ করার সাথে সাথেই জাতীয় সঙ্গীত বেজে উঠলো।

ছবি এবং মিসির আলী চরিত্রের জন্য উপযুক্ত অভিনেতা নিয়ে আপনি যথেষ্ট লিখেছেন। সুতরাং সে ব্যাপারে আমি আর যাচ্ছিনা, শুধু আপনার মত আমিও “ইতিবাচকভাবেই ছবিটিকে দেখছি”। জয়া আহসান এর অভিনয় অনবদ্য হয়েছে , তবে মিসির আলি হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীরটা ততটা নয়। আরও ইতিবাচক/নেতিবাচক অনেক কিছুই বলা যায়, তবে আমি তা করছিনা। ছোটবেলায় স্কুলে দেখতাম, কোন কোন শিক্ষক, বিশেষ করে আরবী শিক্ষক মোট ৯৫ নম্বরের প্রশ্নপত্র তৈরী করে বাকী ৫ নম্বর হাতে রাখতেন। কোন ফেল করা ছাত্রকে পাশ করাতে হলে, কিংবা লেটার মার্ক মিস করা ছাত্রকে লেটার মার্ক দিতে হলে তিনি ঐ ৫ নম্বরের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতেন। আমিও আপনার এই রিভিউটিকে লেটার মার্ক দিচ্ছি, রিভিউ এর জন্য ৭৫ আর সেই “মুখরা পেত্নী”কে থামানোর লক্ষ্যে আপনার প্রোএ্যাক্টিভ ভূমিকার জন্য ৫, এই নিয়ে ৮০!

ছবিশেষে দু’জনে KFC তে বসে আর্লী ডিনার করে ঘরে ফিরলাম। রীচ ফুড আমাদের উভয়ের জন্য পরিত্যাজ্য, কিন্তু আমরা নিয়মের একটু ব্যতিক্রম করতে সম্মত হ’লাম। ফেরার পথে গাড়ীতে বসে মনে হলো, KFC এর ছোট গ্লাসের পেপসিতে যেন তৃষ্ণা মেটেনি। তাই পথে গাড়ী থামিয়ে একটা ঠান্ডা পেপসি’র বোতল কিনে একে অপরকে প্রশ্রয় দিতে দিতে বাড়ী ফিরলাম।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় খায়রুল ভাই, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এত চমৎকার উপভোগ্য একটি মন্তব্য করার জন্য। আরো ধন্যবাদ, আমাকে সব মিলিয়ে লেটার মার্ক দেয়ার জন্য। যদিও মেট্রিকে আমাকে এক মার্কের জন্য লেটার দেন নি যিনি খাতা দেখেছিলেন সেই ভদ্রলোক।

প্রতি ছুটির দিনে আমার বাসায় এই ধরনের ছোট খাটো খাবার আয়োজন হয়। আমরা যৌথ পরিবারে মানুষ। বর্তমানে পরিবারের সদস্যা সংখ্যাবৃদ্ধির কারনে এখন এক বাসায় তো বটেই, এক বিল্ডিং ই জায়গা হয় না। সবাই আমরা একই এলাকায় পাশাপাশি ভবনেই থাকি। সবার প্রতি সবার ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ আর যৌথ পরিবারে থাকার মানসিকতা থেকে প্রতি শুক্রবার আমরা সকলে এক সাথেই খাওয়া দাওয়া করি। আমার সত্যিকারের পছন্দের খাবার নিয়ে মাঝে মাঝে কাজিনদের সাথে আমার 'ক্যাচাল' সৃষ্টি হয়। আমার প্রিয় খাবারের তালিকায় আছে ভর্তা, ভাজি, শাক, ছোট মাছ আর বড় জোর গরুর মাংস। কিন্তু আমার স্ত্রী সহ বাকি সকলদের ইচ্ছা, পলাউ, বিরিয়ানী, মুরগী, গরু, খাসি বা এই জাতীয় খাবার। এমন না যে, তারা ভর্তা টর্টা খেতে চায় না, তারা খায়, আনন্দ নিয়েই খায়। কিন্তু তাদের অন্তরে লালিত থাকে এই সব মেন্যূ। হা হা হা। যেহেতু বাসায় এত লোক খাবে, আম্মার শরীর ভালো, সাথে আমার স্ত্রীও আছে, তাই কোনভাবেই আমাকে রান্নাঘরে ঘেষতে দেয়া হয় নি।

ছবি নিয়ে আপনার আমার মতামত এক হওয়াতে আনন্দিত এবং পরিপূর্ণ মনে করছি। প্রথম প্রচেষ্টা হিসেবে ইতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত। চঞ্চল চৌধুরী অবশ্যই একজন শক্তিমান অভিনেতা, তবে সমস্যা হচ্ছে মিসির আলি একটি ভয়াবহ শক্তিশালী চরিত্র। একে ফুটিয়ে তোলার জন্য আরো পরিশ্রম এবং আন্তরিকতার প্রয়োজন ছিলো।

কি বলব আর দুঃখের কথা! বাইরের খাবার আমার জন্যও নিষিদ্ধ। কিন্তু সিনেমা দেখার সাথে খাওয়া দাওয়ার একটা ব্যাপার আছে। তা না হলে বিষয়টা পরিপূর্ন হয়না। তাই আমরাও একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে নিলাম। আমার আবার কফির অদ্ভুত নেশা আছে। খাওয়া শেষ করে, আয়েশ করে একটা কফি শেষ করে বাসায় রওনা দিলাম।

৩৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: যে কোন রিভিউয়ের শুরুতে একটু ব্যক্তিগত অনুভূতির ছোঁয়া থাকলে ভালো লাগে।

এমন একটি নিরপেক্ষ চুলচেরা রিভিউ পড়ে মনটা ভরে গেল।

ছবি দেখার আগ্রহটাও বেড়ে গেল।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে :)

৪০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২০

সামিয়া বলেছেন: সুন্দর রিভিউ, প্রিয়তে নিলাম।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া। আশা করি আপনি সুস্থ আছেন।

৪১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

পলাশবাবা বলেছেন: চঞ্চল চৌধুরী কে মিসির আলি চরিত্রে কেমন মানিয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।
তবে মুভি টা দেখব আশা করি।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই, সুযোগ ফেলে দেখে ফেলুন!

৪২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

শিখা রহমান বলেছেন: মুভিটা দেখার জন্য দেশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে মুভিটার বিষয়ে এতো ইতিবাচক কথা শুনেছি যে অপেক্ষা করতেও ভালো লাগছে। সুন্দর কিছুর জন্য অপেক্ষা করতে ভালোই লাগে।

চঞ্চল আর আশীষ খন্দকার ছাড়া বাকী সবারই 'মিসির আলী' চরিত্রে অভনয় দেখেছি। আপনার সাথে একমত যে বাকী কারো সাথেই অন্তত আমার কল্পনার মিসির আলীকে খুঁজে পাইনি। "দেবী' আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। পুরো উপন্যাসে একটা গা ছমছম ব্যাপার আছে যা দুর্দান্ত ভালোলাগার।

রিভিউ ভালো লেগেছে। সুখপাঠ্য ও তথ্যবহুল লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার ব্লগে আপনাকে স্বাগতম! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৪৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

টিয়া রহমান বলেছেন: ছবি দেখার আগ্রহটা আর ও বেড়ে গেল। এরকম একটা তথ্যবহুল রিভিউ এর জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন।

৪৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

অবেলার পানকৌড়ি বলেছেন: আশীষ খন্দকার স্যার মিসির আলির চরিত্রে অনেক ভাল অভিনয় করেছিলেন তবে চঞ্চল চৌধুরীর গেট আপ মিসির আলির মত হয়নি।
আব্দুল আজিজ স্যারকে গরীবের ক্রিস্টোফার নোলান বলা যেতে পারে যিনি ডার্ক নাইটে জোকার নামটি কমিক বই থেকে সংগ্রহ করলেও ক্যারেক্টার কমিক বই থেকে অনেক দূরেই ছিল ;)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা । আপনি যা মন্তব্য করলেন! তাতে আমার আর কিছু বলার নেই!! হাহা।

৪৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

মোশফেক জামান সফল বলেছেন:
এমন হলে ভালই হতো! ;)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা কে ভাই? আপনি নাকি?

৪৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মিসির আলি চরিত্রে হাল আমলের অভিনয় জানা কাউকে সিলেক্ট করতে চাইলে, হয়তো পরিচালকের কাছে চঞ্চল ছাড়া অপশন ছিলনা। এখন চঞ্চল মিসির আলির ভার বইতে পেরেছেন কিনা সেটা দর্শক বিবেচনা করবে।তবে পোস্টার দেখে কল্পনার মিসির আলির সাথে চঞ্চলকে মিলাতে পারছিনা।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লিটন ভাই, আমি পোষ্ট উল্লেখ্য করেছি যে, ব্যক্তিগত ফ্যান বেইসড চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে এসে যদি নিরপক্ষে চিন্তা করা যেতো, তাহলে মিসির আলির চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় করার কথা না। চঞ্চল ছাড়াও অপশন ছিলো, কিন্তু প্রয়োজন শুধুমাত্র জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়েছেন, অন্য কিছুকে না।

৪৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয়ের জুরি নেই তবে তার লুকটি আমার কাছে ভাল লাগেনি।

আপনার খাদ্যের কথা শুনে লোভ হল! খাদ্যের ব্যাপারে আপনি বরাবরই হুশিয়ার, আপনার কাবাব নিয়েও পোষ্ট তার প্রমান।

প্রোসথেটিক মেকাপ করে মুভিতে গল্পের প্রয়োজনে চরিত্রের আকৃতি দেয়া হয় বিদেশে। সেই ক্ষেত্রে নাদুসনুদুস মানুষকেও
কঙ্কাল বডি বানিয়ে দেয়া সম্ভব, চঞ্চল চৌধুরীকে এক্সপার্ট বা এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দিয়ে মেকাপ করালে আমার বিশ্বাস যোগ্যভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারত চরিত্রটি।

আরেকটি বিষয় হুমায়ুন আহম্মেদ মিসির আলী চরিত্রটি বর্ননা যেভাবে করেছেন তাতে
সেই রকম ব্যাক্তি নির্বাচনও কঠিন, একজন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পূর্ন্য মানুষ দেখতে কাঠ বডি এবং ম্যাড়ম্যাড় গলার স্বর কল্পনা করা সহজ তবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা কঠিন, অভিনয়ে উনিশ বিশ হলে পাগল পাগল মনে অতে পারে!!

আমি আবুল হায়াতের মিসির আলী চরিত্রটি দেখেছি ইউটিউবে, সত্যি বলতে আমার একটুও ভাল লাগেনি বরং তার অভিনিত মিসির আলীকে পাগল মনে হয়েছে পর্দায়!

চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় এবং কথা বলা ঠিক লেগেছে আমার কাছে, বাকিটুকু ভাল মেকাপ করতে পারলে উতরে যেত হয়তোবা! (শুধু ট্রেলার দেখে মন্তব্য করলাম!)

নিষাদ দেখিনি, দেখব।

চমৎকার রিভিউ এর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে আমি সহমত, আরো ভালো মেকাপের প্রয়োজন ছিলো।

আর দাওয়াত রইল। কখন সম্ভব হলে চলে আসবেন। শতভাগ বাঙালি আতিথিয়েতায় আপ্যায়িত করা হবে। :) :)

৪৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেবী বইটি পড়েছি B:-/
সিনেমাটাও দেখার ইচ্ছা আছে :)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা জানবেন। :)

৪৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:১৬

কাতিআশা বলেছেন: রিভিউ খুব ভাল লাগল! অপেক্ষা কছি মুভিটা দেখার!

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ :)

৫০| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৫:৪৯

মোশফেক জামান সফল বলেছেন: হা হা! ২০১৬ সালের ছবি। এখানে পোস্ট করার জন্য অনেক্ষণ খোঁজার পর পেয়েছি। ;)

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাগ্যিস মিসির আলিকে খোঁজার সময় আপনি এই ছবি প্রকাশিত করেন নি!!!!

৫১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

বিজন রয় বলেছেন: অটো: আপনাকে ইমেইল করেছি।

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আমি পেয়েছি। আপনার সাথে সেখানে যোগাযোগ হবে। তাছাড়া আপনি তো আমার ম্যাসেঞ্জারেও আছেন।

৫২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:২৮

সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাইয়ের লেখার সূত্র ধরে আপনার লিখার সবার মন্তব্য পড়লাম। আসলেই অনেকেই আমার আপনার মতো মিসির আলী ভক্ত হয়ে গেছে তাই হয়েছে যত জ্বালা। যাইহোক, সবাই দেখি অনিমেষের আশেপাশের মানুষ!!! যাহোক স্বামীর সূত্রে আমরাও অনিমেষ, জয়া ও ইরেশের পরিচিত মানুষ। আমার ছেলে অনিমেষ দা এর অনুরোধে দুটো নাটকে জয়া ও ইরেশের সাথে অভিনয় করেছিল। শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারলাম না.........

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে বাহ! দারুন তো! প্লীজ আপা লিংক শেয়ার করুন। আমরাও দেখি আমাদের ভাগ্নের নাটক!!

৫৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ ভোর ৬:৫৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @সোহানীঃ
আরি বাহ,
লিন্কও দিন না আপু............

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একই দাবি আমারও।

৫৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আশিষ খন্দকারকে আমার কাছে পারফেক্ট মনে হইছে মিসির আলী হিসেবে।

মিসির আলী বিশ্লেষণ থেকে আপনার লোভনীয় খাবারে বর্ণনা বেশিই উপাদেয় লাগছে। :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। :)

৫৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:০৫

আরজু পনি বলেছেন: কে কোন দৃষ্টিকোন থেকে ‘দেবী’ দেখেছে তা বুঝতেই এই পোস্টে আসা।
পজিটিভ দর্শক। :)

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি দেখেছেন আপা?

৫৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

রানা আমান বলেছেন: আপনার রিভিওটি পড়ে দেবী ছবিটি দেখার আগ্রহ হয়ে গেল । ২রা নভেম্বার স্টার সিনেপ্লেক্সে এসে দেখলুম ও । মোটামুটিই মনে হয়েছে । কাহিনীর শুরুতেই ঘটনাকাল দেখিয়ে দিয়েছে ২০১৮ ঢাকা । মিসির আলি রুপী চঞ্চল চৌধুরীকে দেখা গেল একদৃশ্যে
ঢা বির কলাভবনের পেছনের দিকের গেট দিয়ে (বানিজ্য অনুষদ বরাবর কলাভবনের যে গেট ) ঢুকছেন , ক্লাস নিচ্ছেন , আরেক দৃশ্যেও দেখলুম কলাভবনের করিডোরে মিসির আলি রুপী চঞ্চল চৌধুরী হাঁটাহাঁটি করছেন , এখন কথা হচ্ছে মিসির আলি তো সাইকোলজীর অধ্যাপক , উনার ক্লাস নিতে যাওয়ার কথা এনেক্স ভবনে , কলাভবনে ঘোরাফেরার বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি আমার কাছে । আরও একটি বিষয়ে খটকা লাগলো , ছবির প্রথম দিকেই নীলু আর তার ছোট বোনের কথোপকথনে জানলুম রানুরা থাকে ঐ বাড়ির দোতলায় কিন্তু পরে একটি দৃশ্যে রানুকে একতলার বারান্দায় দেখা গেছে , অন্তত যে বারান্দায় ঐ দৃশ্যটি ধারন করা হয়েছে সেটি একতলার বারান্দা ছিল কিন্তু ছবিতে বোঝাতে চেষ্টা করা হয়েছে সেটি রানুর বাসারই বারান্দা । এনিওয়ে ছবিটির জনপ্রিয়তাই কামনা করছি ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। আমিও আশা করি, ছবিটি সফল হোক এবং এই ছবির অনুপ্রেরণায় আরো ভালো ভালো ছবি তৈরী হোক।

৫৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:
ভাই একটু অফ টপিকে কথা বলব

আপনার হেল্প লাগবে । আর সেটা হলো আমি আমার যেই মেইল থেকে ব্লগ রেজিস্ট্রেশন করেছি সেটা পরিবর্তন করা যাবে নাকি ?

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যা, অবশ্যই পরিবর্তন করা যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.