নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ কেমন ধরনের শিক্ষক, এ কেমন শিক্ষা ব্যবস্থা? আর কত অরিত্রীকে এইভাবে খুনের শিকার হতে হবে?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

আজকে সংবাদপত্রে জানতে পারলাম, রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্কুলে নকলের অভিযোগে অপমানের জের ধরে সে আত্মহত্যা করেছে। ছাত্রীর নাম অরিত্রী। আসুন কিছু বিষয়ে জানি।

'নকল' এর অভিযোগঃ
রোববার পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষক অরিত্রির কাছে মোবাইল ফোন পায়। মোবাইলে নকল করছে—এমন অভিযোগে অরিত্রিকে তার বাবা-মাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিষেধ। তাই অরিত্রীর ব্যাগে যখন মোবাইল ফোন পাওয়া যায়, তখনই তাঁর বিরুদ্ধে নকলের অভিযোগ আনা হয় এবং সুত্র মতে অভিযোগটি প্রমানিত হয়নি। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন থাকার অপরাধে নকল করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

বাবা মা কে অপমানঃ
অরিত্রী যখন তাঁর বাবা মাকে নিয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে আসে, তখন তাঁর বাবা মাকেও অপমান করা হয়। এক পর্যায়ে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। অরিত্রী তার শাস্তিস্বরূপ ‘ট্রান্সফার’ আদেশ বদলাতে বাবার সামনে প্রিন্সিপালের কাছে অনুনয়-বিনয় করে ক্ষমা চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর কথা কেউ শুনেছি। প্রিন্সিপালের কাছে গিয়েও অরিত্রী এবং তাঁর বাবাকে একই অপমানের মুখোমুখি হতে হয়।

আত্মহত্যাঃ
অরিত্রীর বয়স মাত্র ১৫ বছর। মাত্র ১৫ বছরের একটা মানুষ কতখানি অপমানিত হলে আত্মহত্যার মত একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে? আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কি স্বাভাবিক মানসিকতায় নেয়া যায়? একজন শিশুকে কতখানি নিপিড়ণ করলে সে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে?

আমাদের প্রতিবাদের জায়গাঃ

এখনও বাবা মা হতে পারি নি তবে মাঝে মাঝে কেমন যেন একটা অদ্ভুত অনুভুতি জন্মায়, কাজ করে। ১৫ বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে যখন চোখের সামনে এইভাবে মারা যায় - এই ব্যাথা একজন পিতা কিভাবে সহ্য করবে? কিভাবে তাঁর মা বেঁচে থাকবে?

বিদ্যালয়ের কাজ শিশুদের জীবনবাদী করে তোলা, ভুলগুলো শুধরে দেওয়া; নিশ্চয়ই মৃত্যুতে প্ররোচিত করা নয়। শাস্তি দিয়ে আশ্রয়চ্যুত করা নয়। অপমানিত করাও নয়। বিদ্যালয় নিশ্চয়ই কারাগার নয়, কোনো শৃঙ্খলা বাহিনীও নয়। প্রচন্ড ঘৃণা হচ্ছে আমার।

বলা হচ্ছে, নবম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর কাছে পরীক্ষার হলে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল। নবম শ্রেণির পরীক্ষা মানেই অভ্যন্তরীণ মেধা যাচাইয়ের উদ্যোগ। এটা জাতীয় পর্যায়ের কোনো ‘পাবলিক পরীক্ষা’ নয়। অভ্যন্তরীণ পরীক্ষাগুলো নেওয়াই হয় অধিকতর মানোন্নয়নের লক্ষ্যে। শিক্ষার্থীদের ভুল-শুদ্ধ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, খুদে এই শিক্ষার্থী ‘অসদুপায়’ অবলম্বন করেছিল, কিন্তু সেটা কি সংশোধনের অযোগ্য ছিল? আমাদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় এটা কি এমন বিরল ঘটনা, যার জন্য শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয় ত্যাগের দণ্ড দেওয়া হয়?

আলতাফ পারভেজ নামের একজন কলামিষ্ট প্রথম আলোয় লিখেছেন, ভাবতে অবাক লাগছে, কীভাবে এই বিদ্যালয় ‘নামী প্রতিষ্ঠান’ হয়ে উঠল, যেখানে একজন ছাত্রীর কাছে একটা মোবাইল ফোন পেলে তাকে স্কুল ছাড়ার শাস্তি পেতে হয়? এবং যেখানে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীকে ক্ষমা চেয়েও রেহাই মেলে না। প্রচারমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, অরিত্রী তার শাস্তিস্বরূপ ‘ট্রান্সফার’ আদেশ বদলাতে বাবার সামনে প্রিন্সিপালের কাছে অনুনয়-বিনয় করে ক্ষমা চেয়েছিল। সেখানে ব্যর্থ হয়ে বাসায় গিয়ে আত্মহত্যা করে। পূর্বাপর ঘটনাবলি কতটা সত্য, সেটা তদন্তসাপেক্ষ। সব অভিভাবকই এর সত্যাসত্য জানতে আগ্রহী। তবে যদি সত্য হয়, তাহলে বিদ্যালয়ের সঙ্গে শ্রমশিবিরের পার্থক্য রইল কোথায়? শিশুরা ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাবে না?বিদ্যালয়গুলোর জন্য এমন নির্মম আচরণবিধি কবে, কাদের অভিভাবকত্বে তৈরি হলো? এমন আচরণবিধি কতটা শিশুমনস্তত্ত্বসম্মত? এ কি আমাদের সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়া সর্বগ্রাসী সামগ্রিক একনায়কতান্ত্রিক সংস্কৃতির কোনো খুদে প্রকাশ?


শাস্তি চাইঃ
আমি এই বর্বর, নিষ্ঠুর ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

অরিত্রী তুমি আমাদেরকে মাফ করে দিও বোন! আমরা এখনও মানুষের সমাজ তৈরী করতে পারি নাই।

তথ্য সুত্রঃ
প্রথম আলো, কালের কন্ঠ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ব্যক্তিগত যোগাযোগ।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যন্ত্রনাদায়ক। অস্তস্তিকর। দারুন কষ্টের ঘটনা। এধরণের ব্যাপার যেন আর না ঘটে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেলিম ভাই, আপনি তো বাবা হয়েছেন, একজন বাবার অবস্থান থেকে বলুন তো কেমন লাগছে ঐ ভদ্রলোকের? কি অমানবিক একটি ঘটনার মধ্যে আমরা আছি? আমি প্রকাশ্যে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই

২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কঠোর, প্রকাশ্যে এই বর্বরতার শাস্তি চাই!

৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭

নতুন বলেছেন: অহংকার এই রকমের কাজ করার পেছনে বড় কারন...

অবশ্য বাবা মা ও হয়তো তাকে বকুনি দিয়েছে ... স্কুলে অপমান, বাবা মায়ের অপমান, বকুনি... সব মিলীয়ে এতো কিছুর মাঝে অরিত্রী এই রকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আমি একবার বাবার বকুনির কারনে রাস্তায় ট্রাকের সামনে ঝাপ দেবার চিন্তা করাছিলাম... মা কস্ট পবে ভেবে আর দেওয়া হয়নি..।

শাস্তি চাইঃআমি এই বর্বর, নিষ্ঠুর ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাই, যত যাই বলেন না কেন, এই শিক্ষকরা মানুষ না অমানুষ!! এরা ভালোবেসে শিক্ষক হতে আসে নাই। শুধু পেশা হিসেবে নিসে।

৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমি মর্মাহত। আমাদের সন্তানেরা যেন থাকে দুধে ভাতে। ঘটনার উপযুক্ত তদন্ত করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করছি। আমাদের রক্ত ঘাম শ্রম আমাদের সন্তানের মঙ্গল কামনায়। যা ঘটেছে তা অসহনীয়!!! X((

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই। আমি একদমই শান্তি পাচ্ছি না।

৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অম‌ানুষ‌দের‌কে কেন শিক্ষকতার পেশায় নেয়া হয়?
ক‌ঠিন শা‌স্তি দা‌বি কর‌ছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি দাবি করছি।

৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

সনেট কবি বলেছেন: কষ্ট পেলাম। সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: তাও টনক নড়বে না। শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে প্রতিবাদ হিসেবেই থেকে যাবে।

৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এদের উচিত শিক্ষা হতো, যদি সব বাবামায়েরা তাদের সন্তানদের এই তথাকথিত নামী স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করতেন। দেশের মানুষদেরও সচেতনতার যা অবস্থা তাতে এ আশা করা বাতুলতা মাত্র।
কিছুদিন আগে শুনেছিলাম, টিভি রিপোর্টিংও নাকি হয়েছিল, প্রান কোম্পানির ভেজাল নিয়ে। আর পরদিনই টিভিতে দেখিয়েছিল কিভাবে লোকজন সেই কোম্পানির বিভ্ন্নি প্রোডাক্ট কিনছে! :(

বয়কটই এর সমাধান.....অন্ততঃ এটাই আমার ধারনা। এইসব তদন্ত কমিটি টমিটি দিয়ে কিছু হবে না।
আর ভাইস প্রিন্সিপাল আর প্রিন্সিপালকে জনসমক্ষে জুতা মারা উচিত। শিক্ষক নামের কলংক এই ইতরগুলো!! X(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এইসব তদন্ত কমিটি টমিটি দিয়ে কিছু হবে না।
আর ভাইস প্রিন্সিপাল আর প্রিন্সিপালকে জনসমক্ষে জুতা মারা উচিত। শিক্ষক নামের কলংক এই ইতরগুলো!!

৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: নবম শ্রেনী পড়ুয়া ১৫ বছরের একটা মেয়ে অবশ্যই বুঝে কোনটা অপরাধ,কোনটা ভুল। পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেটাও বোঝে। তাহলে কেন মোবাইল নিতে হবে? প্রথমে শাস্তি হওয়া দরকার মেয়েটার বাবা মার। যারা ঠিক ভাবে মেয়েকে শিক্ষা দিতে অপারগ।

,,,,,, বর্তমানে প্রত্যেকটা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পাওয়া যায় কিছু টাকার বিনিময়ে। এবং এই কুকর্মে কারা জড়িত মানুষ সেটা বুঝে,,কথা হল এগুলো অপরাধ না।অপরাধ সামান্য ভুলের জন্য। এখনো শুনিনি কোন প্রশ্নফাসের গোড়ার রাঘব বোয়ালদের ধরে কোন শাস্তি দিছে,বা চুনোপুঁটিদের।
এটাই সমাজের নীতি?
এই কিশোরীর মৃত্যুর পিছনে, আমাদের সমাজ,শাষন ব্যবস্হা,পিতামাতা,শিক্ষক সবাই কমবেশী দায়ী।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার সাথে একমত নই। এই ধরনের মতামত সমাজে অসুস্থ মানসিকতাকে বৈধ করবে এবং ক্ষেত্র বিশেষে এই গুলো যে কোন
কমিউনিটির জন্য বিপদজনক এবং ক্ষতিকারক হয়ে উঠতে পারে। ১৫ বছরের একটা মেয়ে শতভাগ বুঝে না কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। এই বয়সটা খুব বিপদজনক বয়স। হরমন চেঞ্জ হয়, মানসিক পরিবর্তন হয়। এই সময়টায় বাচ্চাদেরকে খুব সর্তকতার সাথে পালন করা উচিত- এইটা হয়ত আপনার জানা নেই।

প্রথমত, মোবাইল পাওয়া গেছে ব্যাগে। মোবাইল দিয়ে নকল করার সময় হাতে নাতে ধরা খায় নি। দ্বিতীয়ত, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম, ঐ বাচ্চা মেয়েটা নকল করেছে। এটা কোন পাবলিক পরীক্ষা নয়, এটা ঐ প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীন একটি পরীক্ষা। একজন শিশু ক্ষমা চাইছে, তার বাবা মা সহ ক্ষমা চাইছে। শিশুরা ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা পাবে না - এই ধরনের নির্মম আচরন বিধি কবে থেকে শুরু হলো?

৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: কিছু কিছু শিক্ষকরা এতো বেজন্মা তাদের যদি নির্মল প্রশংশাও করি মনে হবে অশ্লীল গালাগাল করা হচ্ছে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের বাচ্চাদের এমন জারজদের কাছে পাঠাতে হয়। আর ভিকারুননিসা স্কুলে একটার পর একটা এমন ঘটনা ঘটেই চলছে।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত। প্রচন্ড মর্মাহত এই সামগ্রিক ঘটনায়!

১০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই, যত যাই বলেন না কেন, এই শিক্ষকরা মানুষ না অমানুষ!! এরা ভালোবেসে শিক্ষক হতে আসে নাই। শুধু পেশা হিসেবে নিসে।

হুম পেটের দায়ে শিক্ষকের সংখ্যা এখন অনেক বেশি....

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই ভাই। মনটা সত্যি খারাপ লাগছে। আবার দেখেন উপরে আমাদের একজন ব্লগার উল্টো এই মেয়েরই দোষ দেখছেন, বাবা মায়ের দোষ দেখছেন। অদ্ভুত একটা সমাজে বাস করছি ভাই! সত্যি অদ্ভুত!

১১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৭

আল ইফরান বলেছেন: শিক্ষকতায় থাকার সুবাদে আমাকে এর চাইতে বেশ বড় বয়সের ছেলে-মেয়েদের সাথে মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ ঘটে।
নিজে এখনো সন্তানের পিতা হই নি, কিন্তু একটা বিষয় আমি খুব ভালো করে বুঝি যে এই ছেলেমেয়েরা আমাদের কাছে আমানত স্বরুপ।
আমাদের কোন আচরনে যাতে তারা মর্মাহত না হয় সেইদিকে খুব খেয়াল রাখতে হয়। তার চাইতে বড় যেই বিষয় আমার কাছে মনে হয়- যে আচরন আমি আমার সন্তানের সাথে করতে পারবো না/ করবো না, তা আমি কখনোই আমার ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে করার চেস্টা করবো না।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আপনাদের মত শিক্ষক আছে বলেই এখনও আমরা ভরসা পাই। শিক্ষার অভাব আমাদের সমাজে এখনও স্পষ্ট। এমনকি অনেক ব্লগারও প্রকৃত শিক্ষার অভাবে অনেক বিকৃত মন্তব্য করেন, আশেপাশেই এর উদহারন আছে।

আমি মনে করি, উপমহাদেশের এই ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদের শিশুদের মানসিকভাবে বিকলাঙ্গ করে দিচ্ছে। শিক্ষা ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন প্রয়োজন।

১২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে ১ম দোষী কিন্তু মেয়ে ও তার পরিবার! এরপর শিক্ষক ও স্কুল কতৃপক্ষ! আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না! আবার স্কুলে/ কলেজে টিসি দেয়ার কিছু নিয়ম আছে, সেটা উঠিয়েও দেয়া যায় না! তখন কিন্তু আবার সবাই বলবে- স্কুলে কোন নিয়ম কানুন-ই নাই! হ্যাঁ চাইলে স্কুল কতৃপক্ষ একটা সুযোগ তাকে দিতে পারতো, তার শস্তি অন্যভাবে দিয়ে ! কিন্তু এখনকার এই পিচ্চি পিচ্চি ছেলে/ মেয়েরা কেন এমন হচ্ছে সেটা ভেবেছেন কি? কেন একটুতেই তারা আত্মহত্যার মত পথ বেছে নিচ্ছে? ভেবে দেখুন আপনার / আমার সময়ের সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা শিক্ষক/ ছাত্র এমন ছিলো না, এতটা ইমোশনাল কেউ ছিলো না--!
আমরা কেউ চাই না- এভাবে কেউ চলে যাক!! বেশি কিছু লিখছিনা, এই নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, সময় পেলে মতামত জানাবেন!

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি আপনার সাথে কোনভাবেই একমত নই। মাফ করবেন। 'মেয়েটার দোষ'- এই ধরনের ভাবনা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

দেখুন আপু, আমি নকল করাকে সমর্থন করছি না বা বলছি না এই ঘটনায় কোন শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা ঠিক নয়। কিন্তু একটা বাচ্চা মেয়ে ভুল করে ফেলেছে, এই বয়সটাও তো মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। বাবা মায়ের কি দোষ? কেন সন্তানের সামনে বাবা মাকে এই ধরনের হেনস্তা করা হবে? এই কোন ধরনের শিক্ষা? এই শিক্ষায় জাতি কি শিখবে? শিশুরা ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাবে না? বিদ্যালয়গুলোর জন্য এমন নির্মম আচরণবিধি কবে, কাদের অভিভাবকত্বে তৈরি হলো? এমন আচরণবিধি কতটা শিশু মনস্তত্ত্বসম্মত?

এই সব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বিদ্যালয়গুলোতে অসুস্থ শিক্ষা ব্যবস্থা থাকার কারনে। বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম করে শিশুদের সাথে যাচ্ছে তাই ব্যবহার করা, তাদের অভিভাবকদের সাথে ইচ্ছে মত অসৌজন্যমূলক আচরন করা কোন শিক্ষার অংশ?

আপনার আমার সময়ে আমাদের শিক্ষকরা এমন ছিলেন না। তারা ভালোবেসেই শিক্ষকতা পেশায় আসতেন। দুই একজন হয়ত অনেক মারতেন, কিন্তু সেটারও একটা লিমিট ছিলো। এই ধরনের অন্যায় আমাদের বাবা মায়ের সাথে কখনও হয় নি।

১৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




এই নির্মম ও ক্ষমার অযোগ্য ঘটনাটি আবারও প্রমান করলো যে, আমাদের শিক্ষাদানে নিয়োজিত শিক্ষক শিক্ষিকারা কেউই শিক্ষাদানকে একটি সুস্থ্য ধারায় মানুষ গড়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে না নিয়ে , কেরানীর চাকুরীর মতো আর দশটা চাকুরী পেশা হিসেবেই দেখেন এবং নিয়েছেন। যেন আলু-পটল বিক্রি শেষে পকেটে কিছু পয়সা নিয়ে ঘরে ফেরা!

আমি জানতে চাই, এই সব আবাল শিক্ষক শিক্ষিকারা কোনও দিন "চাইল্ড সাইকোলোজী" বিষয়ে পড়েছেন কিনা কিম্বা আদৌ তারা এমন বিষয়টি জানেন কিনা ! " টিচার'স বিহেভ্যিয়র' ব্যাপারটিও তারা কোনওদিন শুনেছেন কিনা!

স্কুল, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রশিক্ষন দেয়ার মতো কোনও প্রতিষ্ঠান নয় যে সামান্য ভুলের জন্যে একজন ছাত্রছাত্রীকে ব্যাকপ্যাক সহ রাইফেল কাঁধে নিয়ে মাঠে রোদ্দুরের ভেতরে দশ চক্কর মারার মতো শাস্তি দিতে হবে। শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্রছাত্রীদের শেখাবে আদরে ভালোবাসায়, তাদের ত্রুটিগুনো শুধরে দিতে চেষ্টা করবেন মোলায়েম ভাষায় ও ব্যবহারে।
এই যদি হয় স্বনামখ্যাত (?) একটি স্কুলের শিক্ষিকাদের চরিত্র এবং বোধবুদ্ধি - বিবেচনা, যারা শিশুকিশোরদের নিয়ে কাজ করলেও তাদের কে ভর্ৎসনা আর শাস্তি ছাড়া আর কিছু দিতে জানেন না, যা একজন ছাত্রীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেয় তবে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উঠিয়ে দেয়া ভালো। বাকী শহর আর গ্রামগঞ্জের শিক্ষক শিক্ষিকাদের মানসিকতার কথা না হয় না-ই বললাম।
এই অনাকাঙ্খিত আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানকারী সবার কঠিন শাস্তি চাই। পাশাপাশি সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়োগের পূর্বে "চাইল্ড সাইকোলোজী" এবং " টিচার'স বিহেভ্যিয়র" ( সংশ্লিষ্ট আরও অনেক বিষয় আছে ) উপর পরীক্ষা নিয়ে ১০০তে ১০০ পাওয়া নিশ্চিত না হলে যেন কোনও অখ্যাত প্রাইমারী স্কুলেও নিয়োগ দেয়া না হয় তেমন নির্দেশনা জারী করারও জোর দাবী জানাই।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি যদি পোষ্ট আকারে প্রকাশ করতেন, আমি এই লেখাটা জনে জনে ছড়িয়ে দিতাম। আমার মনটা খুব খারাপ হলো জী এস ভাই, আমি দেখলাম কেউ কেই এই ঘটনায় মেয়েটির দোষ দেখছেন। আমি এত নির্মমতা মেনে নিতে পারছি না। আপনার মন্তব্যের জন্য ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা।

আপনাদের মত মানুষ আছে বলেই, এই সমাজ এখনও টিকে আছে ভাই। সামনে আমাদের ভবিষ্যত খুবই অন্ধকার।

১৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

র ম পারভেজ বলেছেন: ১। প্রতিষ্ঠান কে কেন্দ্র করে আমরা যে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি প্রতিষ্ঠা করতে দিয়েছি তার কুফল হচ্ছে এইরকম অঘটন। শুধু ভিকারুননেসাই নয়, প্রতিষ্ঠা পাওয়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই এরূপ আচরণ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা চলছে মিলিটারি আর মিশনারি ব্যাকড প্রতিষ্ঠানগুলোতে। স্কুল, কলেজগুলোতে এমন ঘটনার জবাবদিহি করার কিছু সুযোগ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাশ টানার কিছুই দেখা যায় না।

২। যদি নকলের অভিযোগ আসলেই সত্য হয়ে থাকে, তবে তার জন্য প্রতিষ্ঠানই দায়ী। প্রতিষ্ঠান তাকে পড়ানোর দায়িত্ব ঠিকমতো পালনে ব্যর্থ। প্রতিষ্ঠান জানে প্রতিষ্ঠান এখন নামেই চলে, বাচ্চাদের আর পড়ানো লাগবে না। পড়ালে বরং প্রতিষ্ঠানের নাম বেচে যে প্রাইভেট টিউশন ব্যবসা তা লাটে উঠবে।

৩। অরিত্রির মা বলছে, ''ভর্তি পরীক্ষার সময় আমি ওকে ডাইনিং টেবিলে বসায় পড়াতাম। পড়তে পড়তে ও বলতো, মা পিঠ ব্যাথা হয়ে গেছে।'' আমাদের অভিভাবকদের এরূপ অভিজাত প্রতিষ্ঠানপ্রীতি শরীর আর মন আক্রমন করে বলেই অরিত্রি চলে গেলো।

৪। অন্য বিষয়ে একটু বলি, ইকবাল রোডের নাম পরিবর্তন হয়ে আসাদ রোড হতে পারলে ভিকারুননেসা নামটাও পরিবর্তন হওয়া উচিত। পাকি ফিরোজ খাঁনকে খুশি করতে তার কথিত বহুগামী স্ত্রী ভিকারুননেসার নামে স্কুলটির নামকরণ করা হয়। ভিকারুননেসা নামটা তাই পাকিস্তানের প্রতীক, অত্যাচারের প্রতীক, নোংরামির প্রতীক, অভিজাত এর প্রতীক।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার সাথে আমি তীব্রভাবে সহমত জানাই।

১৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ঘটনাটি পত্রিকায় পড়ে খুব খারাপ লেগেছিল।পরে এই নিয়ে আরও অনেক লেখা পড়েছি বিভিন্ন মাধ্যমে।
ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের সর্বচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। সহমত জানাই।

১৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

অন্তরন্তর বলেছেন: কাভা ভাই এমন ঘৃণ্য অপরাধ( আমি এটাকে অপরাধ বলব ) করার জন্য ভিকারুন্নেসার ঐ শিক্ষয়িত্রীকে কঠিন শাস্তি দেয়া হউক। আহমেদ জীএস ভাই সুন্দর করে বলেছেন যে শিক্ষকদের ভূমিকা কি হওয়া উচিত। খবরটা পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিশ্বাস করুন ভাইয়া, আমি খুবই হতাশ এবং মানসিকভাবে আহত হয়েছি সামগ্রিক ঘটনায়। আহমেদ জী এস ভাই আমাদের সকলের মনের কথা বলেছেন। ধিক্কার জানাই, এই শিক্ষা ব্যবস্থার।

১৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কৈতিপক্ষের কাছে খুব দ্রুত এবিষয়টির বিচারের দাবি থাকল।পাশাপাশি প্রতিটি স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠানগুতে নজরদারি করার জন্যও
অনুরোধ থাকলো। :(

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

সামিয়া বলেছেন: ভালো বলেছেন ভাইয়া , মেইন পয়েন্ট গুলো বেশ গুছিয়ে তুলে ধরেছেন, সকলের সচেতনতার জন্য বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া!!

১৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনক হৃদয়বিদারক ঘটনা। এভাবে আর কত অরিত্রী অকালে ঝরে পড়বে !!

অরিত্রীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক - কামনা করি।।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক - কামনা করি।।

২০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

নতুন বলেছেন: আবু তালেব শেখ বলেছেন: নবম শ্রেনী পড়ুয়া ১৫ বছরের একটা মেয়ে অবশ্যই বুঝে কোনটা অপরাধ,কোনটা ভুল। পরীক্ষার হলে মোবাইল নেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ সেটাও বোঝে। তাহলে কেন মোবাইল নিতে হবে? প্রথমে শাস্তি হওয়া দরকার মেয়েটার বাবা মার। যারা ঠিক ভাবে মেয়েকে শিক্ষা দিতে অপারগ।

,,,,,, বর্তমানে প্রত্যেকটা পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগে থেকেই পাওয়া যায় কিছু টাকার বিনিময়ে। এবং এই কুকর্মে কারা জড়িত মানুষ সেটা বুঝে,,কথা হল এগুলো অপরাধ না।অপরাধ সামান্য ভুলের জন্য। এখনো শুনিনি কোন প্রশ্নফাসের গোড়ার রাঘব বোয়ালদের ধরে কোন শাস্তি দিছে,বা চুনোপুঁটিদের।
এটাই সমাজের নীতি?
এই কিশোরীর মৃত্যুর পিছনে, আমাদের সমাজ,শাষন ব্যবস্হা,পিতামাতা,শিক্ষক সবাই কমবেশী দায়ী।


ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: আমার দৃষ্টিকোণ থেকে এখানে ১ম দোষী কিন্তু মেয়ে ও তার পরিবার! এরপর শিক্ষক ও স্কুল কতৃপক্ষ! আত্মহত্যা কোন সমস্যার সমাধান হতে পারে না! আবার স্কুলে/ কলেজে টিসি দেয়ার কিছু নিয়ম আছে, সেটা উঠিয়েও দেয়া যায় না! তখন কিন্তু আবার সবাই বলবে- স্কুলে কোন নিয়ম কানুন-ই নাই! হ্যাঁ চাইলে স্কুল কতৃপক্ষ একটা সুযোগ তাকে দিতে পারতো, তার শস্তি অন্যভাবে দিয়ে ! কিন্তু এখনকার এই পিচ্চি পিচ্চি ছেলে/ মেয়েরা কেন এমন হচ্ছে সেটা ভেবেছেন কি? কেন একটুতেই তারা আত্মহত্যার মত পথ বেছে নিচ্ছে? ভেবে দেখুন আপনার / আমার সময়ের সময়ের শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা শিক্ষক/ ছাত্র এমন ছিলো না, এতটা ইমোশনাল কেউ ছিলো না--!
আমরা কেউ চাই না- এভাবে কেউ চলে যাক!! বেশি কিছু লিখছিনা, এই নিয়ে পোস্ট দিয়েছি, সময় পেলে মতামত জানাবেন!


দোষ তো অবশ্যই মেয়েটি করেছিলো। কিন্তু তার জন্য তাকে যতটুকু বলার দরকার ছিলো...বা সে যতটুকু অপমান সইতে পারতো তার থেকে বেশি করেছে শিক্ষকরা।

আর আমাদের দেশের শিক্ষকরা "" "চাইল্ড সাইকোলোজী" এবং " টিচার'স বিহেভ্যিয়র" কি জিনিস সেটা যানেন না। তাই এই রকমের সমস্যা প্রতি বছরই কিছু না কিছু দেখা যায়...

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখুন আমি যতটুকু খোঁজ পেয়েছি, মেয়েটি মোবাইল রেখেছিলো। কিন্তু নকল করার সময় হাতে নাতে ধরা খেয়েছে বলে শোনা যায় নি। যদি এই কথাটি সত্য হয়, তাহলে একটি অভিযোগ প্রমাণিত হবার আগেই একজনকে চুড়ান্ত শাস্তি দেয়া হলো।

ধরে নিচ্ছি মেয়েটির দোষ আছে। কিন্তু তাই বলে বাবা মায়ের সামনে, বাবা মা সহ অপমান কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যারা বলছেন মেয়েটি বা মেয়েটির পরিবার দোষী - এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

২১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬

ঈপ্সিতা চৌধুরী বলেছেন: ভুল বুঝেছেন ভাইয়া! মেয়েটার দোষ বলতে- আমি মোবাইল নিয়ে স্কুলে যে কারো যাওয়াকে কিংবা নকল করাকে বুঝিয়েছি! প্রথমত- আমার বাচ্চা যে স্কুলে পড়বে সেই স্কুলের নিয়ম আমাকে মানতে হবে! তাই নয় কি? এখন অপরাধ করার পর, ক্ষমা চেয়ে ক্ষমা না পাওয়া কিছুটা ভাগ্যের উপর নির্ভর করে! যেভাবে মেয়েটা পায়নি! অথচ আমি কিন্তু বলেছি- চাইলে স্কুল কতৃপক্ষ এই শাস্তি কমিয়ে অন্য শাস্তি দিতে পারতো!
আমরা কিন্তু মেয়েটার জন্য বিচার চেয়ে- মেয়েটার অন্যায়কে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি! এতে কি হবে জানেন? ভবিষ্যতে স্কুলে নকল বা মোবাইল নেয়ার জন্য টিসির সিস্টেম উঠে গেলে আমাদের বাচ্চারাই বিপদে পড়বে- বখে যাবে! এখন বলতে পারেন- শিক্ষকদের আচরণ--- সেও আমি বলেছি-- যে তারা কি করছে ( আপনার + আমার পোস্টের মিল রেখে উত্তর দিলাম )

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বুঝতে পারছি আপু। আপনাকে আমি ভুল বুঝি নি। কিংবা উপরে আরো একজন শেখ তালেব ভাই লিখেছেন, আমি কাউকেই ভুল বুঝছি না। আমি শুধু সামগ্রিক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি আর বলতে চাই শুধু এই মেয়েটাকে দোষ দিয়ে লাভ নাই। ভালো স্কুলগুলো দিন দিন মাফিয়া মনোভাব অর্জন করছে। এর পিছনে গার্জিয়ানদেরও ভুমিকা আছে প্লাস আমাদের দেশের আইনের শাসনেরও অভাব আছে।

২২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৯

নতুন বলেছেন: আরেকটা বিষয় থাকতে পারে এবং আমি মনে করি আছে....

সেটা হলো পরিবার মেয়েটাকে কতটুকু চাপ দিয়েছিলো এই ব্যপারে....

আত্নহত্যায় সবচেয়ে বেশি কাজ করে অভিমান... কস্ট... যেটা কাছের কেউ দিলে বেশি আঘাত লাগে...

পরিবারের সবাই যদি শিক্ষকদের খারাপ ব্যবহারের পরে বাড়ীতে আরেক দফা মেয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করে থাকে সেটা মেয়েটার জন্য বেশি কস্টের ।

সেই কস্টই আত্নহত্যার পেছনে বড় কারন।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম। দেখা যাক! 'তদন্ত কমিটি' কি বলে। একটা শিক্ষা পেলাম। - ভবিষ্যতে আমার সন্তানকে আমি কখনও এই সব 'শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠে' ভর্তি করাব না। প্রয়োজনে দেশের বাইরে চলে যাবো, কিন্তু এই অসুস্থতা মেনে নেয়া যায় না।

২৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ পোস্ট দেয়ায়।

ভাবতেই আশ্চর্য লাগে, একটি শিশু পায়ে ধরে ক্ষমা চাচ্ছে! শিশুর অভিভাবক জন্মদাতা পিতা মাতা শিশুটির পক্ষে আবেদন নিবেদন করছেন! অথচ, কোনো কিছুতেই তাদের মন গলছে না, এ কেমন নিষ্ঠুর মানুষ?

কোনো দীর্ঘসূত্রিতা নয়, ঘটনার সঠিক তদন্ত পূর্বক দ্রুত বিচার হোক।

২৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

হাবিব বলেছেন: কেমনে সহ্য করবে ওর মা-বাবারা?

২৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



ভিকারুননিসার একজন মেধাবী ছাত্রীর আত্মহত্যার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আশা করবো ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হবে। মেয়ের সামনে বাবাকে অপমান করেছেন স্কুলের শিক্ষকরা, এরা কেমন শিক্ষক? তা সইতে না পেরে বাড়িতে ফিরে গলায় ফাঁস দিয়েছে ভিকারুননিসা স্কুলের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি।

দুঃখিত, অরিত্রি।

একজন স্নেহপ্রবণ শিক্ষক ক্লাসের দুর্বল ছাত্রটির কাছ থেকেও সহজেই পড়া আদায় করতে পারেন। কিংবা দুষ্টু ছাত্রকে বশে আনতে পারেন। মারপিট করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের ওপর কতটা প্রভাব বিস্তার করা যায় সেটা ভেবে দেখতে হবে। ছাত্রদের পেটানো, বেত মারা, শারীরিকভাবে আহত করা এগুলো বর্তমান দুনিয়ায় চিন্তাও করা যায় না।

শাসন করতে হলে সোহাগ করতে হবে আগে। তবে শাসনের সীমারেখা সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে ভর্তি হয় জ্ঞানার্জনের জন্য। তারা যদি সব জানবেই তাহলে তো আর বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হতো না। ছাত্রছাত্রীদের ভুল হতে পারে। হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাদের ভুলত্রুটি শোধরানোর দায়িত্ব তো শিক্ষকদেরই। ভিকারুননিসা স্কুলের এমন বর্বর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাই। পাশাপাশি, দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।

২৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুষ্ট ধনী ইতয়াদিরা মিলে, স্কুলটিকে এলিট শ্রেণীর ট্রেডমার্কে পরিণত করেছে, উহা শিশুদের শিক্ষার চেয়ে, পরিবারের ষ্টেটাসের সুচক; ফলে, এসব ঘটা সম্ভব।

২৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় না। শিক্ষকরা নিজেদের মহা ক্ষমতাধর মনে করে (সবাই নয়)। এই স্কুলের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করে সুইসাইডের প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদালতে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা গেলে এই ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব হতো। কিন্তু সেটা হবে না। সবাই ব্যস্ত আছে ক্ষমতা ও অর্থ কামানোর কাজে। নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই। কাজেই এসব অপরাধ চলছে, চলবে।

২৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

মিথী_মারজান বলেছেন: পরীক্ষা হলে সেলফোন আনা নিষেধ এটা আমরা সবাই জানি। তারপরও যেহেতু সেলফোন এখন প্রায় সকলের হাতেই এভেইলেবল তাহলে পরীক্ষা শুরুর আগে সেগুলো কেন কতৃপক্ষ সিজ করলোনা!
আমরাও পরীক্ষা দেবার সময় সেলফোন হলে নিয়ে যেতাম এবং টিচার ডেস্কে সেগুলো জমা রেখে পরীক্ষা দিতাম।
স্টুডেন্ট যদি এখানে সেলফোন রাখার দায়ে যতটা অভিযুক্ত হয় তাহলে দায়িত্বশীল না হবার কারণে টিচারের ও তো এখানে কিছুটা দায় থেকে যায়।
সেলফোন হলে ব্যবহার করেছে,আমি এটা সমর্থন করছিনা এবং স্কুল কতৃপক্ষ বাবা মাকে এটা জানাতে গার্ডিয়ান কল করেছে এটাও ঠিক আছে। কিন্তু অভিভাবকে এভাবে অপমান করে বের করে দেয়াটা তো মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়।
পনের বছরের একটা বাচ্চার কাছে অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে বাবা মাকে স্কুলে নিয়ে আসাটাই তো অনেক বড় শাস্তির মত। এরপর চোখের সামনে বাবা মাকে অপমান হতে দেখার মত লোড স্বাভাবিকভাবে নেয়াটা আসলেই কি সম্ভব!!!:(

সভা হবে, মিছিল হবে, বিচার হবে নাকি ঝুলবে সেটাও জানিনা, শুধু যখন মনেহয় বাবা মায়ের কোলে অরিত্রি আর কখনোই ফিরবেনা, জাস্ট এটুকুর পরেই আর কিছু ভাবতে পারিনা।:(

২৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হাজারো অরিত্রি নিত্য নির্যাতিত হচ্ছে শিক্ষক নামের এরকম অমানুষদের হাতে।
যা মিডিয়ায় আসছে না।
কখনো পোষাকের নামে, কখনো বই কেনার বাধ্যবাধকতার নামে, কখনো কোচিং না করার অজুহাতে
এই মানসিক নির্যাতনে কেউ কাঁদছে, কেউ মাটি কামড়ে সয়ে যাচ্ছে! অভিভাবদের ও অসহায় হাল দেখেছি।
ভাই বলে কি হবে? উল্টো সামনের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে!! কি আতংকজনক অবস্থা ভাবা যায়!

স্কুল কিমিটিতে ক্ষমতাসীনদলের মাফিয়া চক্রের হাত থাকে বলে -শিক্ষকরাও বাকী সব দায় ভুলে কেবলই চাটুকারীতাতেই ব্যাস্ত থাকে। স্কুলের আয় বাড়ানোর ফন্দিতে তারা পারদর্শী যতটা শিক্ষাদানে ততটা নয়!
দিন না ঘুরতেই সেমিষ্টারের নামে ফি আদায়! মেধঅ বিকাশের বদলে তাদের নির্দিষ্ট বইয়ের বাইরে উত্তর হলে ফেল করিয়ে দেয়া হাজারো পথে তারা নিত্য নির্যাতন করছে।
শুধূ উচ্চ শিক্ষায় নয় প্রাইমারিতেও একই হাল। আমার জানা অন্তত গোটা দশেক বাচ্চা আছে জানা স্রেফ শিক্ষকের মারের ভয়ে স্কুলে যায় না। স্কুল ড্রেস পরে বাসা থেকে বের হয়, তারপর পুরা সময় নানা ভঅবে কাটিয়ে বাসায় ফেরে!
তাদেরকে আদরে কাছে বসিয়ে ভেতরের সত্য বের করেছি। দেখেছী তাদের চোখে কি ঘৃনা ঐ কথিত শিক্ষকদের প্রতি।

এই অচলবস্থা চলতে থাকলে পাস করা কিছু কেরানী হয়তো পাবো -মানুষ পাবো খুবই কম।
আপনার পোষ্টের প্রতিটি পয়েন্টে সহমত।
দাবীতেও।

++++++

৩০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন:

৩১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ওই স্কু‌লের আ‌রেক অমানুষ প‌রিম‌লের থবর কী

৩২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: স্টুডেন্ট যদি এখানে সেলফোন রাখার দায়ে যতটা অভিযুক্ত হয় তাহলে দায়িত্বশীল না হবার কারণে টিচারের ও তো এখানে কিছুটা দায় থেকে যায়।

মিথী_মারজানের মন্তব্যের এইটুকুই কোড করে বলতে চাই অপরাধীর বিচার হওয়া চাই। আর একটা

৩৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভিকিতে আমার ছোটবোন পড়তো।
বোনের কাছে মাঝে মাঝে কিছু চরম ব্যত্যয়ের কথা শুনেছি ভিকি'র। কড়াকড়ির নামে কখনো-সখনো বেশ বাড়াবাড়িই হতো। আর ক্যাপ্টেন পদধারি কিছু মেয়ে নাকি ছিলো যাদের কাজ হলো সাধারণ ছাত্রীদের উপড় অযথাই খবরদারি করা। মাঝে মাঝেতো ওরা চেকিংএর নামে বাড়াবাড়ির চূড়ান্ত করতো। একবার বোনকে আমার উপহার দেয়া খুব দামী ঘড়ি আর ক্যালকুলেটর সিজ করেছিলো যেটা বাইলজের কোনো ধারায় পড়েনা। এমনটা তারা প্রায় করতো সবার সঙ্গে। কারো টাকাপয়সা এমনকি টিফিনও নাকি সিজ করতো। টিচারদের আশকারার জন্যে সবাই তাদের ভয় পেতো কিংবা কিচ্ছু বলার সাহস পেতোনা। একবার এক মেয়ের ব্যাগে নাকি ২বোতল ফেন্সিডিল পাওয়া গেছিলো!! মহান শিক্ষক পরিমলের ঘটনাতো ভিকিকেই মহান করেছে। মাঝে কয়েকবার প্রিন্সিপালের পদ নিয়েও ঘটেছে ন্যাক্কারজনক সব ঘটনা। র‌্যাগিং নিয়েও আছে ভয়ংকর সব কাহিনী। টিচারদের জ্ঞাতসারেই এসব ঘটে।
স্কুল ক্যাপ্টেনদের বাড়াবাড়ি এবং র‌্যাগিং নিয়েও ভয়াবহ কিছু অদুর ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ঘটবে......... এই ভবিষ্যতবাণী করলেম। মূল্য না দিলে আমাদের আবার আক্কেল হয়না!!
আর সর্বশেষ ঘটনাটিতো কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। ঐতিহ্যের কিছুই আমরা ধরে রাখতে পারছিনা। আফসোস.......

৩৪| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

সুমন কর বলেছেন: আজ সকাল থেকেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে.......কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সে যদি নকল করে থাকে (ধরে নিলাম) তবে ক্ষমা চাওয়া এবং তার বাবা এসে ক্ষমা চাওয়াই যথেষ্ট। এখানে ক্ষমতার অপব্যবহার করার কোন প্রশ্ন নেই। কথা না বাড়িয়ে, ভবিষ্যতে সে যাতে আর এমন না করে, সেটা বোঝানো উচিত ছিল। অভিভাবকের সাথে খারাপ ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। ছাত্র ছিলাম আজ অভিভাবক হয়েছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।।

৩৫| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

পুলক ঢালী বলেছেন: শিক্ষা বিক্রী করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের স্বরূপ বেরিয়ে আসছে। মাঝখানে যূপকাষ্ঠের বলি হচ্ছে এই সব কোমলমতি শিশুরা। এর শেষ কোথায় ? বিদেশে কোন শিক্ষক যদি ছাত্রের প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করে তাহলে তার শিক্ষকতার বিলুপ্তী সেখানেই ঘটে, পক্ষান্তরে আমরা --?

৩৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যথাযত সুন্দর উঃ পেলাম কাভা ভাই। কিছু শিখতে হলে ভুল বা অবান্তর প্রশ্ন করতে হয়,সঠিক উত্তরের আশায়।

নতুন আপু আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যটি পুনরায় তুলে ধরার জন্য

৩৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: @আবু তালেব শেখঃ আপনার নতুন আপু মুর্ছা গ্যাছেন নিশ্চিত....... :P

৩৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আসলে আত্মহত্যা না করলে ব্যপারটা এত আলোড়ন সৃষ্টি করত না। এর চেয়ে বড় অপমান আমাদের সময়ও স্কুলে অভিভাবকরা সহ্য করত। যদিও এসব কাম্য নয়। কিন্তু শিক্ষকদেরও অনেক সময় নৈতিকতা ও আত্মসম্মানবোধ এমন ভাবে জেগে বসে যে, অভিভাবকদেরও ছাড় দেন না। একই ভিকারুননেসা-তেই এক ছাত্রী ধর্ষণের পর লজ্জা বা আত্মহত্যা না করে সত্য প্রকাশ করে ঐ শিক্ষককে আইনের আওতায় নিয়েছে। তাহলে অরিত্রির জন্য তো ঐ ছাত্রীও প্রেরণা হতে পারত! আর আমরা শুধু শিক্ষকের দোষ দেখছি। আমরা কী আদৌ জানি বাবা মা-কে স্কুলে ডাকার পর বাবা-মাও অরিত্রিকে কোন বকা ঝকা করেছিল কিনা। বাবা বলেছিলেন কিনা এই মেয়ের জন্য এত লাখ খরচ করেছি, মা বলেছিলেন কিনা পাশের বাসার ভাবীকে কীভাবে মুখ দেখাব...

আনিসুল হকের স্ট্যাটাস আপনার চোখে পড়েছে কিনা জানি না। উনি লিখেছেন,
যে কোনো অপমান গঞ্জনা উত্যক্তকরণ সব কিছুর প্রতিবাদ করতে হবে। এবং তা করতে হবে বেঁচে থেকে। আমাদের গণমাধ্যম এই ধরনের খবরে আত্মহত্যাকারীকে অনেক সময় গ্লোরিফাই করে বসে।

গঞ্জনাকারীকে নিরুৎসাহিত করুন।প্রতিহত করুন।
আত্মহত্যাকেও নিরুৎসাহিত করুন।

৩৯| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি প্রচন্ড মর্মাহত।

৪০| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এই ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি হওয়া খুব জরুরী।

৪১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৬

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: বিচার পাবোনা ধরেই নিয়েছি। তারপরো আশা করতে দোষ কী!

৪২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩৭

বলেছেন:
ভয়ংকর -------------------
আমার মতে, এ পাপ আমার, এ পাপ তোমার। এ পাপ সমগ্র জাতির।


ঘটনাটি সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে 'অপরাধী'দের শাস্তি দাবি করছি।

৪৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন হতে আমরা যতো দূরে ছিটকে পড়ছি ততই এইসব সমস্যা জোড়ালো হচ্ছে। তাই ধর্মীয় শিক্ষার অনুশীলন বাধ্যতামূলক করা উচিত বলে মনে করি।

৪৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

পলক শাহরিয়ার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। পোস্টটা স্টিকি হতে পারে। আপডেট দিতে থাকুন।

৪৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০০

অগ্নি সারথি বলেছেন: এই ঘটনায় রাষ্ট্র তার দায় কোনভাবেই এড়াতে পারেনা। কিছুদিন পূর্বেই এই স্কুলে একটা যৌন নীপিড়নের ঘটনা ঘটবার পরেও সেখানকার কর্মকর্তাদের (আমি শিক্ষক বলতে রাজী নই) এত সাহস আসে কোথথেকে? স্কুলের ক্যাটাগোরাইজেশন এইসকল শিক্ষক নামের অমানুষদের দেবতার স্থানে নিয়ে বসিয়েছে, আর তাই তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে বসে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জ্বীবিত সরকার এই স্কুলের নাম পরিবর্তন করছে না কেনো? ভিকি নুন তো পাকিস্তানী অনেক বড় একজন সামরিক কর্মকর্তার স্ত্রীর নাম পরবর্তীতে যার নামানুসারে এই স্কুলের নাম হয়।

৪৬| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ১৫ বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে যখন চোখের সামনে এইভাবে মারা যায়
- এই ব্যাথা একজন পিতা কিভাবে সহ্য করবে? কিভাবে তাঁর মা বেঁচে থাকবে?

...................................... কােন পিতা মাতার পক্ষে তা সহ্য করার নয়। ঘৃনা জানাই এধরনের আচরনের।
তবে এমন ঘটনা আর কোথাও ঘটবেনা , কে গ্যারান্টি দেবে ?
তাই প্রয়োজন শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষন এর্ং যোগ্যতা, না হলে , উচ্চতর পদে বহাল হতে পারবে না ।

৪৭| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: আমি জানি না কি বলা উচিত। কারন এ বয়সী একটি সন্তান আমারো আছে। আমি দেশের বাইরে থাকার কারনে সাধারনভাবেই দেশ এবং বাইরের শিক্ষা বা তার পরিবেশের পার্থক্য খুব সহজভাবে ধরতে পারি। আমার শুধু একটাই প্রশ্ন ওইসব নামীদামী শিক্ষক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছে..... বয়স:ন্ধী নামক একটা শব্দ আছে বা বলা যায় টিনএজ এর সময় টুকু। এবং এ সময়টুকুতে একটি কিশোর কিশোরী মোটামুটি মানসিক ট্রমার উপর দিয়ে যায়। তাই বিলিয়ন ডলারের বাজেট আছে শুধু এ কোমলমতি বাচ্চাদের এ সময়টুকু যাতে সহজভাবে সামাল দিতে পারে। আমাদের এ মহান নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কি তা জানেন??? আমার সন্তানের সাথে অরিত্রির তুলনা করে নিজেকে ধিক্কার দেই............. কেন পারিনি একটা নিরাপদ পৃথিবী দিতে এ নিস্পাপ কিশোর কিশোরীদের!!!


আমি মর্মাহত, শোকাহত, এ শোকের কোন সান্তনা হতে পারে না। কখনই হতে পারে না।

৪৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৫

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: আর কত দেখবো এর শেষ কোথায় ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.