নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের তথাকথিত আলেম সমাজ এবং মাদ্রাসায় লুকিয়ে থাকা শিশু নির্যাতনকারী দানব

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:১২

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আপনি কেউকে জিজ্ঞেস করেন, আলেম কাকে বলে?
শতকরা ৯৯ জন উত্তর দিবেন, আলেম মানে তো হুজুর! যারা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে তারাই আলেম।

বলা বাহুল্য উত্তরটি নিঃসন্দেহে ভুল। মাদ্রাসায় পড়লেন, দাঁড়ি টুপি পড়লেই কেউ আলেম হয়ে যান না। আলেম মানে হচ্ছে জ্ঞানী। যিনি কোন বিষয়ে সঠিক ও সুক্ষ জ্ঞান ধারন করেন তিনিই আলেম। তবে শব্দিক অর্থ দিয়ে আলেমের পরিচয় সম্ভব নহে, পারিভাষিক অর্থ দ্বারা আলেমের পরিচয় পাওয়া যায়। আলেম হবার জন্য কারো মাদ্রাসায় পড়া জরুরী নয়। ধার্মিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ইসলামি প্রেক্ষাপটে যে ব্যক্তি কোরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াস ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং যিনি পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে প্রচলিত দ্বীনের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর ব্যাপারে নিজ অবস্থানকে যৌক্তিকভাবে প্রমান করতে পারবেন, তিনিই একজন ধর্মীয় আলেম। আমাদের দেশে প্রকৃত কোন ধর্মীয় আলেম আছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্য ধর্মের কথা জানি না, তবে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক আলেমদের সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকহারে কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে যে সকল তথাকথিত আলেম বিখ্যাত হয়েছেন বা শ্রোতা প্রিয়তা পেয়েছেন দুই একজন বাদ দিয়ে অধিকাংশ বিভিন্ন দল, আকীদা বা মতে বিভক্ত। সেই সাথে আছে আত্ম অহংকার, ক্ষমতার দাপট, একে অন্যের সাথে রেষারেষি ও গীবত। অথচ একজন প্রকৃত আলেম কখনই অহংকারী হবেন না। তিনি কখনই নিজের ক্ষমতার কথা, নিজের প্রভাবের কথা মানুষকে জোর গলায় জানাবেন না। কিন্তু আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে দেখেছি আমাদের বিখ্যাত সব আলেমরা কি পরিমান অহংকারী, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায়, নিজ সুবিধার কারনে কোরান হাদীস ব্যবহার করে। আমাদের দেশের মানুষ এই সব জেনে বুঝেও এদেরকে অনুসরন করে। কারন অলস বাংলাদেশী মুসলমানরা নিজে কোরান হাদীস পড়বে না, বুঝবে না। তারা শটকার্ট প্রিয়। অন্যের লেজ না ধরলে আমরা সাহস পাই না। অবশ্য তাদেরকে ধন্যবাদ কারন এত লেজ ধরে টানাটানির কারনে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে।

আমি খুব অবাক হই যে, একটি অত্যন্ত ঘৃন্য বিষয়ে আমাদের এই সব তথাকথিত আলেমরা একজোট। তাঁরা তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে, ওয়াজে ইনিয়ে বিনিয়ে যে সকল ব্যক্তিদের ইসলামী শহীদ হিসেবে আখ্যা দেন, তারা সকলের জামাতে ইসলামির চিহ্নিত যুদ্ধপরাধী। কি দুর্ভাগ্য ! আমাদের হুজুররা, ধর্মীয় আলেমরা দেশের সাথে বেঈমানী করা মানুষগুলোর পক্ষে কথা বলেন। তাঁরা এই বলে যুক্তি দেন - উনারা কতখানি অপরাধী আমরা জানি না, আমরা দেখি নাই। যদি তারা অপরাধ করেন, তার শাস্তি তারা পেয়ে গেছেন। এই যুক্তিতে তাদেরকে অপবাদ দেয়া যাবে না গালি দেয়া যাবে না। অথচ আমাদের হুজুরদের ৯৯% প্রতিনিয়ত অভিজিৎ, হুমায়ূন আজাদ সহ মৃত বা অন্যায়ভাবে হত্যাকৃত আরো অনেক ধর্ম অবিশ্বাসীদের গালাগালি করেন। এই ক্ষেত্রে কোন যুক্তি নেই, হাদীস নেই, কোরান নেই। সবচেয়ে বড় কথা- যে হুজুররা না দেখা কোন কিছুতে সহজে বিশ্বাস করতে চান না, সেই হুজুররা অদেখা সৃষ্টিকর্তাকে বিনাবাক্যে বিশ্বাস করেন। ঈমান আনেন। শুধু ধর্মীয় কারনে, মুসলিম ভাতৃত্ববোধের নামে যারা অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যাকে জায়েজ ভাবে, অনুতপ্ত না হয়ে সামগ্রিক কর্মকান্ডকে একটি যুদ্ধকালীন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে এবং এই সংক্রান্ত কাজের পিছে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে 'শহীদ' এবং তাদের উপর আরোপিত শাস্তিকে অস্বীকার করে 'অন্যায়- অবিচারের' তকমা দেন - তাদেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে আলেম বলে বিশ্বাস ও স্বীকার করি না। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব - কারন মানুষের বিবেক আছে। আমি এই বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ।

শীতকালে বাংলাদেশে ওয়াজ মাহফিল হয়। মানুষ ধর্মীয় নানা বিষয়ে জানতে পারেন, আলোচনা সভা হয়। এই ওয়াজ হচ্ছে গ্রামীন অঞ্চলে অন্যতম বিনোদন। আমাদের দেশে বর্তমানে ওয়াজের হট টপিক হচ্ছে - কোন হুজুর কে কি বলেছে, সেটার পক্ষে বিপক্ষে কথা বলা, অন্যের গীবত করা। দুই, আত্ম অহংকার করা, নিজের প্রচারনা করা, নিজের ক্ষমতা জাহির করা, কে কত ওয়াজ করেছেন, কিভাবে গিয়েছেন ইত্যাদি। তিন, মহিলাদের পর্দা!।

যে কয়টা ওয়াজে আমি গিয়েছে বা দেখেছি বা শুনেছি প্রায় সব ওয়াজের বক্তাদের কথা শুনলে মনে হয়- দেশে আন্তর্জাতিক চিৎকার প্রতিযোগিতা চলছে কিংবা তাদেরকে বলা হইছে ওয়ার ক্রাই বা প্রতিপক্ষের মনে ভয় ধরার জন্য যুদ্ধকালীন চিৎকার দেয়ার জন্য। ইয়া আল্লাহ! উনাদের কে বুঝাবে - ইসলাম শান্তির ধর্ম।

গত বছর থেকে লক্ষ্য করে আসছি, আমাদের মাদ্রাসাগুলোতে শিশু নির্যাতন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ছেলে-মেয়ে কারো রক্ষা নাই। কয়েকদিন আগে এক শিশু বালককে যৌন নির্যাতনের কারনে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিলো। আজকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের থাকার কক্ষের ওয়ারড্রোব থেকে চার বছরের এক ছেলে শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আমরা কি কিউ বলতে পারি, শুধুমাত্র মাদ্রাসায় কেন শিশুকামী এই সব জানোয়ারদের দেখা যায়? কেন এই চুড়ান্ত ভয়াবহতা, বিকৃতি? এর জবাব অনেকেরই ভালো লাগবে না। দেশের অনেক মাদ্রাসা আছে যেখানে নুন্যতম মানবিক সুযোগ সুবিধা নাই। দরিদ্র এতিম বাচ্চাদের নিয়ে চলছে অমানবিকতার চুড়ান্ত। পড়া শিখানোর নামে, মুখস্ত করার নামে চলে ভয়াবহ শারিরীক নির্যাতন। এই সব নির্যাতনের কোন কোন পর্যায়ে তা রূপ নেয় পাশবিক যৌন নির্যাতনেও। যে প্রচন্ড মানসিক চাপে এই ছোট বাচ্চাগুলোর শৈশব কাটে তাতে বড় হয়ে তাদের মানসিক বিকৃতি ঘটা অস্বাভাবিক কিছু না। বরং সেটাই যৌক্তিক সম্ভবনা।

আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন। আজকে আপনি অনুগ্রহ করে ইউটিউবে একটু সার্চ দিয়ে দেখবেন দেশের মাদ্রাসায় এই ধরনের ঘটনার ব্যাপারে কয়টি ওয়াজ পান, প্রকাশ্যে কে কি বলেছেন। আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান ( এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন) তাই হুজুরদের ভালো কথা খুঁজে পাই নি, খুঁজে পেয়েছি মাদ্রাসার সাথে বাংলা ও ইংলিশ মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে অসুস্থ তুলনা। আমাদের আলেমরা, আমাদের হুজুররা বাংলা বা ইংরেজি মাধ্যমের খারাপ দিক দিয়ে মাদ্রাসায় সংঘটিত ভয়াবহ অন্যায়ের তুলনা করে ভালো মন্দের বিচার করেন। অথচ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না। এটাই প্রকৃত আলেম আর তথাকথিত আলেমদের মধ্যে পার্থক্য। আমি খুব আশাবাদী মানুষ, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় আমাদের কোন না কোন আলেম, এই বিষয়ে ওয়াজ করেছেন, কথা বলেছেন, কালোকে কালো আর সাদাকে সাদা বলতে তিনি কোন ভয় করেন নি, দ্বিধা করেন নি।

আরেকটি বিষয় - বাংলাদশে ধর্ম চর্চা এখনও খুব প্রাগৈতিহাসিক পর্যায়ে আছে। একটা প্রচন্ড কামুম, বর্বর, হিংসুট এবং জেলি ফিস মস্তিস্কের জাতিকে ধর্ম দিয়ে জোর করে অবদমিত করে রাখা হয়েছে। ফলে হাজার হাজার চটি পেইজ, পর্ণগ্রাফিক পেইজে দেখবেন সব কিছু দেখে শুনে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়, লাইক দিয়ে কাউন্ট করা হয় কে আল্লাহকে ভালোবাসে, কে নবীকে ভালোবাসে। ধার্মিকতার নামে কি প্রচন্ড বিকৃতি! পার্ভাসন কোথায় গেছে যে- চটি পেইজে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে ভালোবেসে লাইক দিয়ে আসতে হবে।

যাইহোক, যদি আপনি ধার্মিক হন, তাহলে মনে রাখবেন - যে জাতির আলেমমা মিথ্যে নিয়ে পড়ে আছে, গীবত নিয়ে পড়ে আছে, অহংকার করে, মিথ্যে অপব্যাখ্যা করে কোরান ও সুন্নাহের সেই জাতীর অবস্থা ভয়াবহ হতে যাচ্ছে। আর যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!

মন্তব্য ৪৭ টি রেটিং +২১/-০

মন্তব্য (৪৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

বিজন রয় বলেছেন: আবার?

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ ভাইয়া! আবারো!

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অসাধারন!

ছাকনি দীয়ে যেন সমস্যার নির্যাসগুলো তুলে এনেছেন!
চলমান সমাজ, সামাজিকতা, তাদের পিছিয়ে থাকা, ধর্মের সুবিধাবাদী ব্যবহার
সহ বহুবিধ বিষয়কে এক সূতোয় গেথে কংক্রিট উপস্থাপনা।

সত্যি বলতে কি- তাদের নিয়ে কাজ করার কেউ নেই। অনেকটা ফুটপাতে বড় হওয়া অসহায় পথ শিশুর মতোা
আলগোছে বেড়ে উঠে। লেবাসের কারণে একসময় হঠাৎ করে পেয়ে যায় সম্মানের স্থান! জ্ঞান, বিজ্ঞান, ধ্যান সব চুলোয়!
নীতি নৈতিকতা! ভাল-মন্দ, বাছ বিচার ব্যবধান কমই করতে পারে। কারণ মসজিদ বা মাদ্রাসা কমিটির বিরুদ্ধে সত্য বললেও যে সুবিধা বঞ্চিত হতে হবে।
ঈমান কি বলে বা কোরআন কি বলে তারচেয়ে ভবের সুবিধা, চাকুরী বা অনুদান তুলে প্রমোশন লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে।
ফলে ঘুষখোর, দূর্নীতিবাজ সকলরে টাকা হালালের ফতোয়া চলে! সেই অর্থে মসজিদ মক্তব গড়ে উঠে!
আর কে না জানে বিষ বীজে বীষ ফলই ফলে!

তাই তাদের নিয়ে ব্যাপক ভাবে কাজ করার সময় এসেছে। জাতিগত ভাবেই নিজেদের সমৃদ্ধ করতে । কারণ একটা বৃহৎ অংশকে অবহেলা করে বা ইগনোর করে জাতি হিসেবে কখনোই পূর্ণ হতে পারবো না।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সঠিক বলেছেন। সমাজের এই অংশকে নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে। ধর্মীয় আলোকেই এই ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রয়োজন।
চমৎকার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো আলেম আমাদের নেই। হয়তো আছে। চিনি না। জানি না।
আলেমদের বিবেক আছে। ধর্মীয় বিবেক। সব আলেমগন মানবতাকে বড় ধর্ম মনে করেন না।
সবারই বছরে একবার ভালো ব্যবসা হয়। মার্কেটেওয়ালাদের ব্যবসা বেশি হয় ঈদের সময়। ওয়াজওয়ালাদের ব্যবসা হয় শীতের সময়। তাদেরকে হেলিকাপ্টারে করে নিয়ে আসে। একজন ওয়াজ করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত পান।
দিন সময় বদলেছে ওয়াজ এর স্টাইলও বদলেছে। বেশ আধুনিক হয়েছে।
আমি ইউটিউবে ওয়াজ শুনি। চমৎকার বিনোদন।
মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থা আমার পছন্দ নয়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি চাই ধর্মীয় বিধি বিধানকে মাথায় রেখে, বিশ্বের বড় বড় ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনা করেছেন এমন অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন হোক। একই সাথে প্রতিটি মাদ্রাসায় আধুনিক লাইব্রেরী, শিক্ষা উপকরন এবং কর্মমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা থাক।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি কওমি মাদ্রাসায় দুই বছর আর আলিয়া মাদ্রাসায় পাচঁ বছর পড়েছি।
কওমি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি কোন কওমি মাদ্রাসায় পড়েছেন? আর কেনই বা বন্ধ করে বলছেন? বন্ধ করে দিলে এত হাজার হাজার ছেলে মেয়ের কি হবে? দেশে কি এত পর্যাপ্ত স্কুল কলেজ আছে? আর কেউ যদি সত্যিকারভাবে ধর্ম নিয়ে পড়তে চায় তাহলে তাঁরা কোথায় যাবে?

৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এগুলো দারিদ্রতা, অশিক্ষা, আর্থ সামাজিক শ্রেণিভেদের কু- প্রভাব। তবে আপনি একপাক্ষিক দোষ দিয়ে গেছেন। উত্তরণের কোন পথ আপনি দেখাতে পারেন নাই।

ইয়াতিম শিশুদের দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমাদের রাষ্ট্র মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে পারছেনা বলেই এই সমস্যা।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটা বাস্তব ঠিক সেটাই বলছি। উত্তরনের পথ সম্পর্কে পোষ্ট বলা হয় নি, কারন এখানে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করেছি। সমাধানের পথ নিয়ে মন্তব্যের ঘরে আলোচনা হচ্ছে এবং পরবর্তীতে এর ভিত্তিতে হয়ত উত্তরনের পথ সম্পর্কে আলোচনা করা যেতে পারে।

শিশু কামের বিরুদ্ধে আগে কথা বলুন উত্তরনের পথ যৌক্তিকভাবেই চলে আসবে।

৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: এই বিষয়ে লেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
মাদ্রাসার হুজুররা বর্তমানে ভয়ংকর দুনিয়োলোভী।
এই কারণে এদের কথা ও কাজে কোনো মিল নাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো মন্দ সব খানেই আছে। আমি শুধু মাত্র খারাপ অংশের কথা বলেছি।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কাভা ভাই সাম্প্রতিক সমেযের একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোকপাত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

তবে ঢালাও ভাবে দায়ী করা যাবেনা। আপনার লেখার শিরোণামের যথার্থতা স্বীকার করে বিনীত ভাবে যানা্চ্ছিযে,
আলেম-উলামারাও মানুষ, তারা ফেরেশতা নন। সুতরাং তাদের দ্বারা অন্যায় হতে পারে না, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। সুতরাং আলেমদের থেকে কোনো অপরাধ প্রকাশ পেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এমতাবস্থায় অপরাধীকে আড়াল না করে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো দরকার। এ কথা অনস্বীকার্য যে, আলেম সমাজ আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এদেশে ইসলাম আবির্ভাবের সময় থেকেই আলেম সমাজের আবির্ভাব। এদেশে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই আলেম সমাজ সামাজিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
ব্রিটিশ আমলে প্রথম একশ বছর আলেম সমাজই ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে
শাহ ওয়ালিউল্লাহ (রহ.)-এর প্রবর্তিত আন্দোলন, সৈয়দ আহমদ বেরেলভী (রহ.) ও শাহ ইসমাঈল (রহ.)-এর আন্দোলন, বাংলায় তিতুমীর (রহ.) ও হাজী শরিয়তুল্লাহ (রহ.) আন্দোলন ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ধর্মীয়-সামাজিক ক্ষেত্রেও এসব আন্দোলন আলোড়ন সৃষ্টি করে। তবে ফেনীর সোনাগাজীতে একটি মাদ্রাসায় আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার ঘটনাপ্রবাহ চারটি বিষয় সামনে এনেছে: এক নারীর যৌন নিপীড়ন, মাদ্রাসার ভেতরে অধ্যক্ষের দ্বারা ছাত্রীর যৌন নিপীড়ন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের দায়িত্বহীন ভূমিকা এবং স্থানীয় রাজনীতির কলুষিত বৃত্তচক্র। এর প্রতিটি বিষয় আলাদাভাবে আমাদের মনোযোগ দাবি করে। সম্প্রতি দু’জন মাদরাসার শিক্ষককে একাধিক শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জয়পুরহাট শহরের আরাম নগর হাফেজিয়া মাদ্রসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষক তার অপকর্মের খবর জানাজানি হওয়ার পর মাদ্রাসা বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। এগুলো নিয়ে বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে সংগত কারণেই উদ্বেগ ও আশঙ্কা আছে। যেমনটি আপনার লেখায় তুলে ধরেছেন। সমাজের বড় একটি অংশের মধ্যে যদি মনুষত্বের চেয়ে পশুত্বের পরিমাণ বেশি দেখা যায়, তাহলে ওই সমাজের নাগরিকদের উদ্বেগ উৎকণ্ঠা এমনিতেই বেড়ে যায়।

দেশের আলেম-উলামা, মাদরাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম ও খানকার পীরদের প্রতি সাধারণ মানুষের অপরিসীম শ্রদ্ধা রয়েছে। আমিও তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রাখি। তারপরও কিছু লেবাসধারীদের শিশু নির্যাতন, স্ত্রী নির্যাতন ও যৌন হয়রানিসহ নানা অপরাধের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হন গোটা আলেম সমাজ। বলতেও লজ্জা লাগে, ভাবলেও ঘৃণা হয়। মাদরাসায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিষয়টি মোটেও নতুন নয়। যখন শুধু ছেলে মাদরাসা ছিল তখন অনেক ছেলে নির্যাতনের শিকার হতো আর এখন মেয়েরা দানবরূপী শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হচ্ছে। বিষয়টি খুবই লজ্জার ও ঘৃণার। যেহেতু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ জাতীয় কেলেঙ্কারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে, এটা থেকে পরিত্রাণের জন্য নেতৃস্থানীয় আলেমদের ভাবতে হবে। নিতে হবে কার্যকর পদক্ষেপ। এখনই এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ মানুষের আস্থা হারিয়ে যাবে, ভরসার জায়গাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
মসজিদের ইমাম, মাদরাসার শিক্ষক হয়ে যদি ঈমান-আমল ও আখলাক-চরিত্র ঠিক রাখতে না পারেন তাহলে ছেড়ে দিন ওই জায়গা। তবুও অন্যদের জন্য গ্লানির কারণ হবেন না। আপনার জন্য, আলেম সমাজকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবেন না।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দিন যাতে করে পীর আওলিয়ার দেশ, লক্ষ শহীদের রক্তপাত এ পুণ্যভূমি ও আলেম-ওলামার পদচারণায় মুখরিত হয়।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুব চমৎকার বলেছেন। আমি আসলে এক তরফা ভাবে বলি নি, আমি বর্তমান যুগে যারা আলেম হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে, তাদের ভন্ডামীর কথা তুলে ধরলাম। দোষ ত্রুটি তো মানুষের থাকে। কিন্তু বাংলাদেশীরা যাকে ভালোবাসে, তাঁকে ফেরেশতার পর্যায়ে নিয়ে যায়, এটাই সমস্যা।

আমি পোষ্টে বলেছি, আমি বিশ্বাস করি, নিশ্চয় কোন না কোন আলেম এর বিরুদ্ধে কথা বলেন, সঠিক শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা হেরে যান অন্য ভন্ডদের গলাবাজির কারনে।

৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


অতীতের মাদ্রাসা সিষ্টেম সময়ের তুলনায় নীচু মানের নাগরিক প্রস্তুত করে আসছিলো সব সময়; মাদ্রাসাকে স্কুল বানিয়ে ফেলার দরকার; যারা ধর্ম পড়তে চায়, তাদেরকে ৯ম শ্রেণী থেকে শুরু করে ৪/৫ বছর অন্য পড়ালেখার (কোন একটা প্রফেশান) সাথে ধর্মীয় শিক্ষা দেয়ার দরকার।

আপনি এই ব্যাপারে লেখাতে ভালো হলো।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি মনে করি, যে প্রতিষ্ঠান ধর্ম নিয়ে পড়াবে সেই প্রতিষ্ঠানের মান সর্বোচ্চ না হলে ভয়াবহ বিপদের মুখোমুখি হবে মানুষ। দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের দেশে যে সব তথাকথিত মাদ্রাস আছে তার অধিকাংশগুলোর কোন মান নেই।

এতিম ছেলেপেলেদের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "এতিম ছেলেপেলেদের ভাগ্য নিয়ে যেন কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। রাষ্ট্রকে এই বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। "

-১৯৭২ সালের এতিমরা ছিলো "মুক্তিযুদ্ধের এতিম", এই বাচ্চাগুলো জন্য তাজু্দ্দিন সাহবে ও শেখ সাহেব কিছুই করেননি; ফলে, শেখ হাসিনা কিছু করবে না; শেখেরা এই ব্যাপারে মগজহীন। এই দেশের প্রশাসনে চাকুরী পেলে মানুষ ইডিয়টে পরিণত হয়।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। :(

১০| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,




একটি গুরুত্বপূর্ণ বাস্তব বিষয় নিয়ে উপলব্ধিময় পোস্ট।
৮ নং প্যারাটি সম্পূর্ণ বাস্তব ( কোট করা গেলনা ব্লগীয় টেকনিক্যাল কারনে ) এবং সে কারনেই দিন দিন মাদ্রাসা গুলোতে বিকৃতি বাড়ছেই এবং আরও বাড়বে।
খুব দুঃখ হয় মাদ্রাসা নামের "শিশুখোয়াড়" এর লক্ষ লক্ষ এতিম শিশুগুলোর জন্যে। দেখে থাকবেন হয়তো, কি সুন্দর ফুটফুটে এক একটি শিশু। তাদের দেখি আর দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়ি এটা ভেবে যে, এরাই একদিন মূর্খ আর পাষন্ড হয়ে উঠবে। কারনগুলো আপনিই বলে দিয়েছেন ৮ নং প্যারাটিতে। ।
অথচ এই মাদ্রাসা ছাড়া এই রাষ্ট্রের চলবেও না। দেশের এই লক্ষ লক্ষ অসহায় এতিম শিশুগুলোর খাওয়া-পড়া তো এই মাদ্রাসাগুলোই করছে। এদের খাওয়া পড়ার বিনিময়ে আমরা তৈরী হতে দিচ্ছি আপনি যে বিকৃত রূচির ক্রোধান্ধ তথাকথিত হাফেজ-আলেমদের কথা বললেন তেমন পাষন্ডদের। এ লজ্জা আমাদেরই। এ দায় রাষ্ট্রের।
মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাব্যবস্থার খানিক পরিবর্তনের আগে আধুনিক এবং শিক্ষিত পরিচালন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে একটি ভয়ঙ্কর প্রজাতি গড়ে ওঠা ঠেকাতে।

১১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২

নতুন বলেছেন: সমাজে এইগুলো সমস্যা গুলি রোগের লক্ষণ। রোগটি হচ্ছে ভন্ডামি । সমাজে বেশিরভাগ ধনী, ক্ষমতাধর মানুষই ভন্ড

আলেম বা জ্ঞানী হলে এরা গীবত করতো না, জ্ঞানার্জনের কথা বলতো।বিজ্ঞান র্চচা করতো।

সমাজে দূনিতিবাজরা টাকার জোরে মসজিদ, মাদ্রাসার কমিটিতে থাকে । মাজার আরেক ভন্ডামির স্থান।

ভন্ডামীর টীকা দিতে হবে।

বিজ্ঞান, সাহিত্য ,র্দশনের শিক্ষাই সমাজকাঠামোয় পরিবর্তন াআনতে পারবে ।




১২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০২

আমি তিতুমীর বলছি বলেছেন:


খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সামনে নিয়ে এসেছেন, খুব দ্রুত এই দিকে নজর দিতে হবে না হলে বাংলাদেশে বড় ধরণের সামাজিক বিভেদে ভাগ হয়ে মারাত্নক সমস্যা সৃষ্টি করবে। এখনই নজর না দিলে কি সমস্যা আমাদের সামনে আসছে, তা দৃষ্টিতে আমি এখানে বলার চেষ্টা করছি।

১) আমাদের দেশের মানুষ অত্যাধিক ধর্ম প্রিয়, তারা তাদের অনুসারী হুজুরদের খুব বেশি বিশ্বাস করে ফলে হুজুর যা বলে তা বিনা শব্দে বিশ্বাস করে।
২) দেশে পীর ব্যবসা বেড়ে গেছে কোনভাবে খানকা একটি বানাতে পারলেই লক্ষ লক্ষ মুরিদ, কোটি টাকা ইনকাম।

উপরের দুইটি বিষয় আপনি ভাল করে খেয়াল করে দেখলে দেখবেন এখানে সম্পূর্ণভাবে আওলা অবস্থা!! দেশের ধর্মভীরু মানুষগুলো হুজুরদের বিশ্বাস করছে অন্ধভাবে আর তারা সেই বিশ্বাসকে নিজের ইনকাম সোর্স তৈরি করছে, এখনই এই ব্যবসা থামাতে না পারলে ভবিষ্যতে হানা-হানি দেখা দিবে আর যেহেতু মুরিদ গ্রুপ অন্ধভক্ত তারা হুজুরের কথায় অস্ত্র হাতে নিতে এক মিনিট ভাববে না, এখনকার উগ্রপন্থী গ্রুপগুলো কিন্তু এইভাবে এসেছে।

কোন ব্যক্তি মাওলানা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবে না, আমলদার কোন মাওলানার বড়জোর কিছু নসিওয়াত করতে পারবে, খাও খাও এই সময়ে এই নসিওয়াত কোন কাজে আসবে না তাই সরকারকেই নিজে উদ্যেগে মাদ্রাসাগুলো আধুনিক করতে হবে।


১৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:০৪

মাহিরাহি বলেছেন: মাদ্রাসার সংখ্যা ৫০ হাজারের বেশি, ছাত্রের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের সংখ্যা কতজন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্তৃক যৌন নির্যাতনের ঘটনা কি খুবই বিরল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হানাহানির কারণে খবরের শিরোনামে আসে কয়দিন পরপর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অধিকাংশ শিক্ষার্থী আসে মাদ্রাসা থেকে। পড়াশোনায় মাদ্রাসার ছেলেপেলার অনেক ভাল করছে। সাধারন স্কুলের শিক্ষার্থীদের চাইতেও ভাল করছে।



০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাফ করবেন, অন্য কেউ হলে বলতাম, এই ধরনের ছাগলামি মন্তব্য আমার পোষ্টে দ্বিতীয়বার করলে খবর আছে। সব জায়গায় ছাগলামি চলে না।

কিন্তু, কিন্তু আপনি অনেক পুরানো ব্লগার, আপনাকে তো এই সব বলা যায় না। ধার্মিক অর্থ এই না যে হুজুরদের অন্যায়কে অন্যায় বলা যাবে না। আমাকে নাস্তিক ভাবার কোন কারন নাই।

যাইহোক, পোষ্টটা যদি পড়তেন তাহলে দেখতেন সেখানে স্পষ্ট করে লিখেছি - একটি অন্যায় দিয়ে আরো একটি অন্যায় জাস্টিফাই করাটা ভুল। মাদ্রাসায় ছেলেদেরকে কেন বিকৃত যৌন নির্যাতন করা হয় সেটা পোষ্টে উল্লেখ্য আছে, পড়লে বুঝতেন। বাংলা মিডিয়াম বা ইংরেজী মাধ্যমের সাথে এখানে মাদ্রাসাকে তুলনা করা হচ্ছে না, হেয় করা হচ্ছে না। এখানে অভিযোগ তোলা হয়েছে যারা ধর্মের নামে অধর্ম করে বেড়াচ্ছে তাদের ব্যাপারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর মাদ্রাসার মধ্যে পার্থক্য আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাদিন ধর্মীয় প্রটোকল মেনে পড়াশোনা করানো হয় না, সারাদিন কোরান শরীফ আর হাদিস শরীফ নিয়ে পড়ানো হয় না।

মাদ্রাসা মানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলেও, এখানে মানুষ ধর্ম নিয়েই মুল পড়াশোনা করে। ইসলাম ধর্মে বর্ণিত আছে - সমকামীতা সবচেয়ে ঘৃন্য কাজ। হযরত লুত (আঃ) সময় এই ধরনের অশ্লীল ব্যাভিচার বেড়ে গিয়েছিলো। এখন যে সকল হুজুর মাদ্রাসায় জীবন কাটিয়ে ছেলেদের উপর যৌন নির্যাতন করে - তাতে প্রমানিত হয় - ধর্ম কর্ম বইলা কিছু নাই। যে হুজুর মাদ্রাসায় ধর্ম নিয়া পইড়া এই সব ঘৃন্য কাজ করে তার মনে অন্তত খোদা ভীতি থাকার কথা না। নুন্যতম খোদা ভীতি থাকলে মাদ্রাসার মত একটা পবিত্র জায়গায় এই জাতীয় বিকৃত কাজ সে করতে পারে না।

অথবা অনেকের ভাষায় সে শয়তানের খপ্পরে পড়ে এমনটা করছে তাই না? কোন দোষ নাই?

অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে, একটা অন্যায়কে আরেকটা অন্যায় দিয়ে জাস্টিফাই করা যায় না। মাদ্রাসার শিক্ষার কোন মানদন্ড নাই। কেউ এতিম, দরিদ্র, তারে দাও মাদ্রাসায়। যোগ্যতা বলতে এটাই। ধর্ম নিয়া পড়বে, আলেম হবে এই উদ্দেশ্যে শতকরা ১০ ভাগ যায় মাদ্রাসায়। বাকিদেরকে বাপ মা জোর কইরা পাঠায় জান্নাতের লোভে। ছেলে হাফেজ হইলে বেহেশত নিশ্চিত। দিন শেষে আলেম হইতে গিয়া অনেক পোলাপাইন জালেম হইয়া ফিরে আসে।

আর মাদ্রাসার এই লক্ষ লক্ষ ছাত্রের মধ্যে যারা প্রথার বিরুদ্ধে সফল হয়েছেন তাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে, তাঁরা ভালো শিক্ষক পেয়েছেন, তাঁরা পরিবারের সাহায্য পেয়েছেন। সর্বপরি তাদের আশেপাশে কিছু শিক্ষিত মানুষ ছিলো। আল্লাহ তাদেরকে সফল করেছেন।

এখানে মাদ্রাসার বিরুদ্ধে কিছু বলি নাই। এখানে বলছি বিকৃতকামীদের বিরুদ্ধে।

১৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:১৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: এখনকার ওয়াজ মানুষ বিনোদন হিসাবে নেয়।
ইউটিউবে শিরোনাম দেখা যায় - 'এই ওয়াজ দেখলে হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যাবে', দিলদারকে হার মানিয়েছে যে বক্তা, হাসির ওয়াজ ইত্যাদি। =p~

১৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২২

শের শায়রী বলেছেন: আমারো মনে ইদানিং এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, মাদ্রাসার হুজুরদের মাঝে কি ছাত্রদের ওপর যৌন নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে? কেন? প্রায়ই বিভিন্ন পত্রিকায় দেখি মাদ্রাসার শিক্ষকরা ছাত্রদের বলাৎকার করছে। প্রচন্ড খারাপ লাগে এটা কেন হচ্ছে? এ রকম একজন মাদ্রাসা হুজুর থাকা মানে পুরা মাদ্রাসার ছাত্রদের মানসিক রোগীতে পরিনত করা (কারন ওই একজন বিকৃত স্বভাবের জন্য পুরা ছাত্রদের যে কেউ নির্যাতিত হতে পারে)। অথচ এরাই আমাদের ধর্ম শিক্ষা দিচ্ছে। আমি লাগাতার অভিযোগ দিচ্ছি না। কিন্তু যারা এগুলো করছে তাদের বিরুদ্ধে আলেম সমাজ বা অন্য মাদ্রাসা হুজুরদের প্রতিবাদ আসছে না কেন?

বা যখন এই সব অভিযোগ আসছে তখন এর বিরুদ্ধে সরকারী কি কি অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে? যে শিশুটাকে আজকে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বড় হলে সে একজন নিপীড়ক হিসাবে দেখা দিতে পারে।

১৬| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের সুন্দর উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩১

বিষাদ সময় বলেছেন: শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা উপহার দেয়ায় আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার লেখা প্রায় বেশিরভাগ বক্তব্যের সাথেই একমত। তবে আপনার প্রদত্ত আলেমের সংজ্ঞার সাথে শুধু আমাদের দেশের সাধারন মানুষ না ইসলামী চিন্তবিদরাও সম্ভবতঃ একমত নন, আর সে কারণেই জাকির নায়েককে ইসলামী চিন্তবিদরা আলেম বলতে আগ্রহী নন।
আপনার প্রদত্ত ওয়াজের বৈশিষ্ট এর সাথে প্রকৃত ওয়াজের বর্ননা প্রায় হুবুহু মিলে যায়। তবে আপনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এর ব্যাতিক্রম আছে বলে। আমার একজনের ওয়াজ শুনে সেরকম ব্যতিক্রম (কিছুটা) মনে হয়েছে .....তার নাম Khandaker Abdullah Jahangir . যদিও তিনি ইন্তেকাল করেছেন তবে তার অনেক বক্তব্য ইউ টিউবে পাওয়া যায় অবসরে দেখে নিতে পারেন।

১৮| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৫৩

মাহিরাহি বলেছেন: ঢাকা বায়ু দূষণে শীর্ষে অবস্থান করেছে বেশ কয়েকবার। এই দুষিত বায়ু গ্রহন করতে হচ্ছে সকল ঢাকাবাসীকে। যাদের ইমিউন সিস্টেম ভাল তারা এর কুফল কিছুটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই ভিকটিম হচ্ছে। শুনলে অবাক হবেন বায়ু দূষনের কারণে বাংলাদেশে মারা পড়ছে দু লক্ষের বেশি মানুষ। এর জন্য কায়ে দায়ী করবেন।
ঠিক সমাজের দূষনে আক্রান্ত হচ্ছে প্রতিটা ক্ষেত্র, বাদ পড়ছে না বিশ্ব বিদ্যালয় মাদ্রাসাও। নেশা, বিকৃত যৌনাচার, অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন, খুন ধর্ষণ কোন কিছুরই ঘাটতি নেই সমাজে। সমাজের এই দূষনের জন্য কাকে দুষবেন বেশি।
তাই বিচ্ছিন কিছু ঘটনা তুলে ধরে শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রকেই হাইলাইট করাতে কিছু ইসলাম বিরোধী ব্লগার তৃপ্তির ঢেকুর তুলবেন এবং ঐ জায়গাটিতেই আমার আপত্তি।


১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যখন কোন দেশের জনসংখ্যা কয়েক কোটি হয়, তখন প্রতি কোটি বা কয়েক লাখে যখন কোন ঘটনা ঘটে, তখন সেটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলা যায়। মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতন বহু আগে থেকে হয়ে আসছে। এবং প্রতি হাজারে আপনি এমন দুই একটা কেস পাবেন। কিছু কিছু জায়গায় প্রতি শতকে।

এখন কোন অপরাধকে হাইলাইট করা মানে কি ইসলাম অবমাননা? কে ঢেকুর তুলবে আর কে তুলবে না, সেটা নিয়ে তো আর সঠিক বিচার হতে পারে না। সঠিক বিচার হবে অপরাধের উপর মানদন্ডের উপর ভিত্তি করে।

আপনি যেহেতু লেখা পড়া জানেন, ধর্ম পালন করছেন। আল্লাহপাক যেন আপনাকে সকল প্রকার ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তি দেয়, এই প্রার্থনা করছি।

১৯| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১১:১৭

করুণাধারা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লিখেছেন, শিরোনামটিও চমৎকার! তথাকথিত আলেম..., ঠিকই বলেছেন এরা আলেম নয়। আমার মাঝে মাঝে মনে হয়, নিজেকে সবার সন্দেহের বাইরে রেখে বিকৃত কামনা চরিতার্থ করার জন্যই এরা আলেমের ভেক ধরে। কালীগঞ্জের এই শিশু হত্যার ঘটনাটি জেনে অবাক হলাম, কিন্তু মনে পড়লো কিছুদিন আগেও এভাবে এক শিশুর লাশ ইমামের কক্ষ থেকে বের হয়েছে। আবার এর আগে আরেক মাদ্রাসায় তিন শিশুর লাশ পাওয়া গিয়েছিল। এইসব হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার হয়নি।

ওয়াজ মাহফিল সম্পর্কে যে কথা বললেন একেবারে ঠিক। ওয়াজ মাহফিলে অধিকাংশ বক্তাই শুধু মহিলাদের পর্দা নিয়ে কথা বলেন যে পর্দা না করার কারণেই যাবতীয় অনাচার ঘটে থাকে। এই যে শিশুগুলোর সাথে অনাচার হয়, সেগুলোর জন্যও তারা মহিলাদের দায়ী করবেন!! এক ওয়াজ মাহফিলে হুজুর বলছিলেন, " রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম তিনতলার বারান্দায় চুল মেলে দিয়ে এক মহিলা রাস্তার মানুষ দেখছে। এই মহিলা তার পুরো পরিবার নিয়ে জাহান্নামে যাবে।"

তা না হয় গেল। কিন্তু হুজুর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তিন তালায় নজর দেন কেন? আল্লাহর আদেশ অনুসারে তার নজর মাটির দিকে থাকার কথা, তিনি হয়তো এই কথা জানেন না কিংবা জানলেও মানেন না।

তথাকথিত আলেম এরাই। আপনার- আমার অভিযোগ এদের বিরুদ্ধে, সত্যিকারের আলেমদের বিরুদ্ধে নয়।

২০| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:২৭

মাআইপা বলেছেন: চলমান সময়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখাটা খুব ভাল হয়েছে। এ ধরণের কালচার অবশ্যই একদিনের বা এক বছরের নয়। আগে যে শিকার হয়েছিল সে এখন শিকারী। সরকারের পক্ষ থেকে মনিটরিং প্রয়োজন।

২১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৪৬

সুপারডুপার বলেছেন:



কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই,

আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে তথাকথিত আলেম সমাজের চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার অনেক কথায় উদ্ধৃতি (Quotes) করার মত। আমার মনে ধরা, আপনার কিছু কথা :

==============================================
§ আমাদের বিখ্যাত সব আলেমরা কি পরিমান অহংকারী, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায়, নিজ সুবিধার কারনে কোরান হাদীস ব্যবহার করে।

§ কি দুর্ভাগ্য ! আমাদের হুজুররা, ধর্মীয় আলেমরা দেশের সাথে বেঈমানী করা মানুষগুলোর পক্ষে কথা বলেন।

§ সবচেয়ে বড় কথা- যে হুজুররা না দেখা কোন কিছুতে সহজে বিশ্বাস করতে চান না, সেই হুজুররা অদেখা সৃষ্টিকর্তাকে বিনাবাক্যে বিশ্বাস করেন।

§ সব ওয়াজের বক্তাদের কথা শুনলে মনে হয়- দেশে আন্তর্জাতিক চিৎকার প্রতিযোগিতা চলছে।

§ আমরা কি কিউ বলতে পারি, শুধুমাত্র মাদ্রাসায় কেন শিশুকামী এই সব জানোয়ারদের দেখা যায়?

§ আফসোসের বিষয়, এই বিকৃত অনাচার নিয়ে আমাদের হুজুররা বা আলেমরা তেমন সোচ্চার নন।

§ আমি হয়ত খারাপ মানুষ, শয়তান (এই লেখা পড়লে প্রিয় হুজুররা আমাকে হয়ত এই নামেই ডাকবেন)

§ একটা খারাপ বা অন্যায় দিয়ে আরেকটি খারাপ বা অন্যায় জাস্টিফাইড হয় না।

§ যদি অধার্মিক হন তাহলে মনে রাখবেন প্রকৃতির বিচার বলে একটা ব্যাপার আছে। এই বিচার খুবই সুক্ষ এবং ভয়াবহ!

§ মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব - কারন মানুষের বিবেক আছে। আমি এই বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ।
==============================================

বাংলাদেশে সবধরণের ধর্ম ব্যবসায়ী ও অমানবিক ব্যক্তি (সে বিশ্বাসী বা অবিশ্বাসী যেই হোক) মুক্ত সুন্দর সমাজ দেখতে চাই।আশাকরি সমাজে লুকিয়ে থাকা দানবগুলোর বিরুদ্ধে আপনি সৎ সাহসী হাতে কলম ধরবেন !!!

এই ধরণের সচেতনতা মূলক লেখনীর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

২২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১২:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই,
খুবই দুঃখ নিয়ে বলছি আমাদের দেশে লাউড স্পিকার করে বিয়ে বাড়ির গান বাজনা সহ জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকি, মৃত্যুদিবস সহ ওয়াজ মাহফিল ও আযানে যে উচ্চগ্রামে শব্দ দূষণ হয় তার জন্য অন্যতম দায়ী কারা? কেনো এতো এতো লাউড স্পিকারে শব্দ করে গান বাজনা আর মাইকে করে ওয়াজ মাহফিল? - ওয়াজ মাহফিলেও গজলের নামে বাংলা সিনেমার গানের সুর নকল করে গান হয়। এর প্রতিবাদ করার সত্যি সত্যি কেউ নেই - না দেশের লোকজন, না প্রশাসন।

ধর্মীয়ভাবে মাইকে যে ধরণের শব্দ দূষণ হচ্ছে তার কথা বলতে গেলে নাস্তিক হতে হবে। আর বিয়ে বাড়ি, বিবাহ বার্ষিকি, জন্মদিনের বাইজি নাচ ডিজে দেখে মনে হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মৃত্যুদিবসেও ডিজে বাইজি নাচ হবে।

বাংলাদেশী আর ভারতীয়রা মিলে ইউটিউবকে নোংরা নর্দমায় পরিনত করেছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: - আপনি পোষ্টে বর্তমান বাংলাদেশের সর্বকালের সর্বসত্য কথা বলেছেন যা ব্লগে আর কেউ লেখার মতো দুঃসাহস করবেন না। আমি তো জীবনেও না। কারণ এই ধরণের পোষ্ট দেওয়ার পর ব্লগে যে ধরণের নোংরা আক্রমণ হবে তার ধকল নেয়া কঠিন। আপনার কাছে এই লেখাগুলো ভবিষ্যতেও আশা করছি।

ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই ধন্যবাদ এই লেখাটি সমাজে দেশে কতোটুকু প্রভাব ফেলবে জানিনা, তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে শান্তি পেয়েছি। আপনাকে আবারো ধন্যবাদ।


২৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:১৭

সোহানী বলেছেন: ভালোলাগলো গুড়ুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনার পথ খুলে দিয়েছেন। যাহোক, খুব ক্ষুদ্র মস্তিস্কে কিছু বলি,

শিশু নারী নির্যাতন দেশের আনাচে কানাচে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা অফিস রাস্তা বাসা সবখানেই সমান তালে চলে। কিন্তু মাদ্রাসায় বেশী চলে কারন যে শ্রেণী সেখানে পড়তে যায় তাদের বড় অংশই দরিদ্র বা অনাথ। যার কারনে অনাচারটা সেখানে বেশী। তাউপর যে মানুষগুলো সেখানের শিক্ষক তারা বলতে গেলে কুশিক্ষায় শিক্ষিত। যার করনে এ ধরনের অত্যাচারকে তারা বৈধ মনে করে।

আর ওয়াজ নিয়ে যা বলেছেন তা নিয়ে কোন দ্বিমত নেই। রাজাকারতো রাজাকার তাদেরকে মানুষ হিসেবেই গণ্য করিনা, তাই তাদের কথাও তেমন পাত্তা দেই না।

সর্বোপরি মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে বরাবরেই আমি আপনার মতো হতাশ। কেউ কি নেই দেশে এ বিষয়গুলোর দিকে একটু নজর বুলাবে?

ভালো থাকুন, হ্যাপি নিউ ইয়ার।

২৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৩৯

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমি আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত, আলেম হওয়ার জন্য মাদ্রাসায় পড়া অত্যাবশ্যক নয় | সারা বিশ্বে এখন ইসলাম সহ সকল ধর্মেরই জ্ঞানী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের ব্যাকগ্রাউন্ড খুঁজলে দেখা যাবে তাদের অধিকাংশই বিজ্ঞান ও আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত | তাদের মনমানসিকতা ও চিন্তা চেতনায়ও এসেছে অনেক বিবর্তন | এদের অনুসরণ না করে বর্তমানের সঙ্গে সম্পর্কহীন শিক্ষায় শিক্ষিত আমাদের দেশের তথাকথিত ধর্মব্যবসায়ীদের অনুসরণ করলে ওই সকল হতভাগ্য মাদ্রাসাছাত্রদের এক সময় সমাজে সম্পূর্ণ অপাংক্তেয় হয়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল |

এতিমদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নিলে অনেক এতিম সন্তানই আধুনিক শিক্ষার সুযোগ পেতো - তাদের এই পাশবিকতার অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে জীবনের সবচাইতে মূল্যবান সময়গুলো পার করতে হতো না | দুর্ভাগ্যক্রমে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটি সৃষ্টির সময় সামাজিক বৈষম্য দূর করার মতো আদর্শের উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও সময়ের সাথে সাথে গোটা জাতিই এর থেকে দূরে সরে গেছে | বর্তমানে দলমত নির্বিশেষে দুর্নীতি, জনগণের সম্পদ লুটই নেতা/আমলা ও ব্যবসায়ীদের চিন্তাচেতনা ও লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে | কয়জন সৎ ও ত্যাগী নেতা ও আমলা খুঁজে পাবেন এই দেশে ? শুধু মাদ্রাসাই নয় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস সহ গোটা বাংলাদেশই এখন নষ্ট ও ভ্রষ্টের কবলে চলে গেছে |

২৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:০০

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
একটি সময়োপযুগী লেখা । প্রকৃত আলেমের সুন্দর সংঙ্ঘা দেয়া হয়েছে । কিছু কিছু আলেম নামদারীদের ওয়াজ নসিহতের স্বরূপ তুলে ধরা সহ তাদের চারিত্রক দিক সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে । আলেম সমাজের প্রতি মানুষের ধারণা এতটাই উচ্চে বিরাজমান যে কতিপয় আলেম নামদারীদের কর্মকান্ড দেশের ব্যপক জনগুষ্ঠির মাঝে আলোচনার ঝড় না তুলে পারেনা । তাই বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময় এখনই । আমরা যত না চাই আলেম তার চাইতে বেশী চাই আলোকিত সমাজ ।
আলো আমার আলো ওগো
আলোয় ভূবন ভরা
আলো নয়ন ধোঁয়া আমার
আলো হৃদয় হরা-
কবিগুরুর রচিত এ চরনগুলো আজ বার বার মনে পড়েছে। কেননা আজ আমরা আলোচনা করবো সেই প্রদীপ্ত আলোকছটা নিয়ে, যার উজ্জ্বলতায় দূরীভূত হয় সকল অন্ধকার। সে আলোর নাম প্রকৃত শিক্ষা। যুগের পরিবর্তনে আজ মানুষ সৃষ্টি করেছে কল্যান রাষ্ট্রের যেখানে প্রকৃত শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর জনগনকে এ অধিকার দেয়ার লক্ষ্যেই প্রয়োজন কল্যানমুখী শিক্ষাব্যবস্থার । এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এক দোদুল্যমাণতায় ভুগছে। আর আজকের ছাত্রসমাজ হবে আগমীর দেশ গড়ার কারিগর বিষয়টি সকলের মাথায় রাখতে হবে।

স্বাধীনতার পরপর যে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সংবিধান রচিত হয় তার উপর ভিত্তি করে দুর্ভাগ্যবশত কোন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রনয়ণ ও বাস্তবায়ন হয়নি আজো । ইতিমধ্যে অনেক সময় গড়িয়েছে,পদ্মা ,মেঘনা ,যমুনা , বুড়িগঙ্গা, কর্ণফুলী দিয়ে অনেক পানি বয়ে গেছে, সমস্যায় জর্জরিত দেশেবাসীর পিঠ যেমন দেয়ালে ঠেকেছে, তেমন অনেক বিষয়ে চোখও খুলছে। দেশের কিছু আলেম সমাজ ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা নিয়ে দেশের সকল মানুষের একটি অন্যতম দাবি হয়ে উঠেছে যুগোপযোগী, বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।

একুশ শতকের প্রতিযোগীতা হবে মেধা ও উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগে । এই প্রতিযোগিতা হবে মননের, সৃজনশীলতার কিন্তু বিশেষ কোন আলেম নামধারী সমাজের বাচালতার নয়। এমন প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন সৃষ্টিশীল বিজ্ঞান সম্পন্ন মস্তিস্কের। আর এসব অর্জনের জন্য প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল সংস্কার , যার জন্য প্রয়োজন একটি যুগোপযোগী আধুনিক ও প্রয়োগভিত্তিক শিক্ষা ব্যস্থার। মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় থাকা ধর্মীয় শিক্ষা কারিকুলাম অংশকে যথাযথভাবে রিকনসিলিয়েসন করে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে যথাযথভাবে সমন্বয় করে দেশে একটি একক শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষাদানের জন্য একক প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান পদ্ধতি তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রচলন এখন সময়ের দাবী ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

২৬| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

নীল আকাশ বলেছেন: করুণাধারা বলেছেন: এক ওয়াজ মাহফিলে হুজুর বলছিলেন, " রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম তিনতলার বারান্দায় চুল মেলে দিয়ে এক মহিলা রাস্তার মানুষ দেখছে। এই মহিলা তার পুরো পরিবার নিয়ে জাহান্নামে যাবে।"
তা না হয় গেল। কিন্তু হুজুর রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে তিন তালায় নজর দেন কেন? আল্লাহর আদেশ অনুসারে তার নজর মাটির দিকে থাকার কথা, তিনি হয়তো এই কথা জানেন না কিংবা জানলেও মানেন না।

একজন বিধবা মহিলা কেন ঠোটে লিপ্সটিক দেয় সেটা নিয়ে ওয়াজ করতে করতে কিছু তথাকথিত হুজুর ফাঁসির রশিতে ঝুলে পড়েছে। অথচ উনি কেন এই বিধবা মহিলা কেন ঠোটের দিকে তাকিয়ে ছিলেন এই প্রশ্ন কেউ করে না। মহিলা মায়ের জাতি কিন্তু এদের মুখে মেয়ে দেখলেই লালা আসা দেখে অবাক হতে হয় কোন মা এই সব জারজদের জন্ম দিয়েছে?

ওয়াজের নামে এখন যা চলে সেটা একধরনের জঘন্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কে কত জোরে আর কত গীবত করতে পারে সেটার যেন অবাধ্য প্রতিযোগিতা। মাইকের অত্যাচার রাতে ঘুমানো যায় না। আমি কোথায় থাকি সেটাতো জানে? শীতকাল আসছে শুনলে ভয় ভয় লাগে? ২টা ছোট্ট বাচ্চাকে প্রায় প্রতিরাতে ঘুম পাড়াতে খবর হয়ে যায়।

অবিশ্বাসও হলেও এইসব ওয়াজের সাথে ইসলামে কোন সর্ম্পক নেই। ইসলাম কারও গীবতের পারমিশন দেয় নি। এরা ধর্ম কে কলুষিত করে ফেলেছে, ধর্ম কে ব্যবসার হাতিয়ার বানিয়ে ফেলেছে। এই সব ওয়াজে সবচেয়ে ভয়ংকর যেটা করা হয় সেটা হলো অপব্যাখা। হাদিস কুরআনের অর্থের লাইন ভেঙ্গে এবং বানিয়ে বানিয়ে নিজের মতামতকে চালিয়ে দেয়া।

এটা ইসলাম নয় কখনই হতে পারে না। আমাদের সবাকেই জ্ঞান অর্জন করতে বলা হয়েছে। আমরা অলস জাতী সেটা না করে এদের কাছে যাই ধর্ম শিখতে। এর নিজেরাই ধর্মের কিছু জানে না, শিখাবে কি?

২৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৭

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: বাহ! দারুন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে দেখে ভালো লাগল । আমার মনে হয় এত্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখাটা স্টিকি করলে
আরো ভালো আলোচনা হত । ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:২৭

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: বাস্তবতা আরো ভয়াবহ। অনেক কিছুই থাকে যা থেকে যায় লোকচক্ষুর অন্তরালে....
এর দায় এই সমাজের সকলের...

২৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১:৫৩

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: মাঝে মাঝে চিন্তা করি, বাংলাদেশে মুসলমান বেশি, গজব বেশি। মায়াদয়া কম।
দোয়ায় দরিয়া শুকায় কিন্তু দেশের গজব কমে না। কারণ কী? ভাবলে অবাক হতে হয়।

৩০| ১০ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৩৬

সোনালি কাবিন বলেছেন: আপ্নার এই পোস্টে কারো কারো গাত্রদাহ হচ্ছে দেখা যাচ্ছে

৩১| ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১২:০৮

সোনালি কাবিন বলেছেন: ++

৩২| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এজন্যই তো সর্বপ্রথম জাহান্নামী একজন আলেম।

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা বাংলাদেশের আলেমদের বুঝতে হবে।

৩৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কিছু ভালো আলেম আছেন। মুফতি আমির হামজা নামক একজনের ওয়াজ ভালো লাগে। বিজ্ঞানময় আলোচনা কএন এবং হক কথা বলেন।

অসম্ভব ভালো পোস্ট ++

২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি আসলে সো ফার বাংলাদেশের আলেমদের মধ্যে যাকে ভালো লাগে, যার কথা বার্তা আমার কাছে মনে হয় যুক্তি সংগত তিনি হচ্ছে আবদুল্লাহ হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ!

৩৪| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৮

নতুন বলেছেন: মানুষ সচেতন হচ্ছে আস্তে আস্তে বুঝতে পারবে এবং মূখ ওয়াজবাজদের থেকে দুরে যাবে।

একটা সময় কিন্তু জাদুকরদের অনেক কদর ছিলো। ডেভিড কপারফিল্ড, আমাদের জুয়েল আইস, পিসি সরকার, নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিলো মানুষের

বত`মানে সবাই জাদুর ট্রিক্সগুলির ব্যাক্ষা ইউটিউবে দেখে, তাই এখন জনপ্রিয় হবার জন্য জাদুকর হতে চায় না কেউ।

তেমনি মানুষ ধীরে ধীরে বুঝতে পারবে ওয়াজবাজ চাপাবাজদের জ্ঞানের দৌড় বেশিদুর না। তখন এদের দাপট কমে যাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.