নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
ছোট বোন আচমকা পিছন থেকে এসে জিজ্ঞেস করল, ভাইয়া আঁতেল মানে কি?
চমকে উঠে কিছুটা থতমত খেয়ে পাল্টা জিজ্ঞেস করলাম, কি বলতে চাও?
আমার কন্ঠে কিছুটা জলদ গম্ভীরতা আঁচ করে বেচারী সাথে সাথে বলল, তোমাকে তো বলি নাই। এমনিতে জানতে চাইলাম, আঁতেল কারা?
কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললাম, দুনিয়ার আর জানার কিছু পেলে না, শেষ পর্যন্ত আঁতেল শব্দের মানে জানতে হবে। যাও গুগলে সার্চ করে দেখো।
আমার এই জবাবের পরেও দেখলাম, ও পাশে দাঁড়িয়ে আছে। চোখের ইশারায় বুঝালো, এই ধরনের ধরি মাছ না ছুই পানি টাইপের জবাবে ওর পোষাবে না। বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাই।
আমি বললাম, দেখো বাপু আঁতেল সম্পর্কে বলতে গেলে কিঞ্চিত আঁতেলে পরিনত হবার সম্ভবনা থাকে। মহামারীর সময়ে আমি এই দ্বৈত বিপদের সম্ভবনা নিজের উপর নিতে পারি না। আমার রক্ষে করো।
আদরের বোন বলে কথা। তাছাড়া মেয়েদের চোখের মায়ার কাছে যেখানে বড় বড় যোদ্ধাদের পরাজয় হয়েছে, আমি তো সেখানে সামান্য এক ভাই। তাই করোনা ও আঁতেলগিরি থেকে রক্ষা পাবার জন্য দোয়া পড়ে বুকে তিন ফু দিয়ে বললাম, বসো।
আঁতেলদের নিয়ে কেউ এত আগ্রহ দেখাতে পারে আমার জানা ছিলো না। পরিচিত কোন আঁতেল যদি টের পায় তাহলে সর্বনাশের চুড়ান্ত হতে আর বাকি থাকবে না। আঁতেল নিয়ে জানার আগ্রহ যে একটি অপরাধ হতে পারে, সেটা সেই মুহুর্তেই টের পাবেন। সম্ভাব্য প্রশ্ন হতে পারে - আঁতেল নিয়ে এই যে জানার আগ্রহ তা কি আপনি জীবনবোধ থেকে পেয়েছেন নাকি কেউ অভিযোগ করেছে? যদি জীবনবোধ বা দর্শন থেকে পেয়ে থাকেন, তাহলে কোন আমলের দর্শন আপনাকে আঁতেল সম্পর্কে জানতে অনুপ্রানিত করেছে? প্রাক-সক্রেটীয় দর্শন নাকি প্রাচীন দার্শনিক তত্ব? আপনাকে দেখে ধরে নেয়া যায় - আপনি প্রাক-সক্রেটীয় দর্শনে বিশ্বাসী। কিভাবে আমি বুঝলাম? হা হা। আসলে তা বলতে গেলে আপনাকে দার্শনিক থেলিসের চিন্তা ভাবনা সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান রাখতে হবে। তিনিই প্রথমে পানি দর্শন সম্পর্কে আমাদেরকে জানান। আর সেই আলোকে .......।
- ভাইয়া, এই ভাইয়া?? কি হইছে? এইভাবে তব্দা মেরে বসে আসো কেন? কি বিড়বিড় করতেছ?
হঠাৎ সম্বিত ফিরে পেয়ে বললাম, প্প... পানি দর্শন।
- কি?? পানি কি?
কিছুটা সম্বিত ফিরে পেয়ে বললাম, পানি আন! পানি খাবো।
ঠান্ডা পানি খেতে খেতে কপালের ঘাম মুছলাম। কি সর্বনাশ!! দোয়াটা ঠিকভাবে মনে হয় পড়া হয় নি। আঁতলামী ঠিকই উঁকিঝুঁকি মারছে। আবার দোয়া পড়ে ফু তো দিলামই সাবধানতা হিসেবে তিন তালিও দিলাম। তালির শব্দ যতটুকু যাবে, এর মধ্যে আতলামী ঢূকতে পারবে না। কিন্তু পাশ থেকে বোন কিছুটা অবাক বলল, হাত তালি দিলে কেন? তুমি কি হাত তালি দিয়ে আমাকে ডাকার চেষ্টা করছ?
তারপর কন্ঠে কিছুটা রাগ ঢেলে বলল, নিজেকে কি ভাবো? আগের দিনে রাজা? আমি দাসী বান্দী??
কি মুসকিল!! কি মুসকিল!! হতচ্ছাড়া আঁতেল!! কোথায় নিয়ে গেলো আমাকে। সাথে সাথে পাল্টা ধমক দিয়ে বললাম, আরে চুপ থাকো! অপ্রয়োজনীয় কথা! শুনো যা বলছি।
ছোট বোন কিঞ্চিত অভিমানে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকল। এর মানে হচ্ছে, হ্যাঁ বলো।
আমি বললাম, দেখো আঁতেল হচ্ছে এক ধরনের বুদ্ধিজীবি ভাইরাস। যাকে এই ভাইরাসে ধরে সে প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসের সাথে বিভিন্ন স্থান, কাল, পাত্র ভেদে আঁতলামী করে বেড়ায়। উনারা সহজ কোন কথা বলতে পারেন না। প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে কথা পেঁচিয়ে একটি সাধারন বিষয়কে অসাধারন বিষয়ে রুপান্তর করতে পারে। উনাদের নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় আছে। মুল পানীয় চা এবং যন্ত্রনাহীন সকালের জন্য প্রতিরাতে ইসুবগুলের ভুষি।
ছোট বোন চোখ বড় বড় করে বলল, যন্ত্রনাহীন সকালের জন্য ইসুবগুলের ভুষি মানে? এটা কি আবার?
ছোট ধমক দিয়ে বললাম, সব কিছু জেনে কি আঁতেল হবা? যার যার পানীয় সে সে বুঝবে। আমাদের তো সব বিষয়ে জানার দরকার নাই।
ছোট বোন কিছুটা হতাশ হয়ে জিজ্ঞেস করল, আচ্ছা বাদ দাও। তুমি যে বললা, উনারা সহজ করে কথা বলতে পারে না মানে কি?
এর মানে হচ্ছে, সহজ কথা বইলা কি মার্কেট ফাওন যাইব? পাভলিক কি বুঝবো যে তুমি বিদ্যা আর দর্শনের সাহারা মরুভুমি?
ছোট বোন ভ্রুকুটি করে বলল, বিদ্যা আর দর্শনের সাহারা মরুভুমি মানে? এটা কি ধরনের উপমা? সবাই বলে সাগর কিংবা পাহাড় কিন্তু মরুভুমি তো খালি? খালি কি করে পরিপূর্নের উপমা হয়?
আমি রহস্যের একটি হাসি দিয়ে বললাম, এটা একটা অদ্ভুত প্যারাডক্স। তারপর হাত দিয়ে বাতাসে থাবা মেরে কিছু একটা উড়ানোর মত ভঙ্গি করে বোনকে করে বললাম, আরে বোকা!! সাহারা মরুভুমি কত বড় দেখছ? এদের জ্ঞান ও পাঠ অভিজ্ঞতা এই মরুভুমির মতই বিশাল।
ছোটবোন খুবই সন্দেহপূর্নভাবে আমার দিকে তাকালো। আমি তা উপেক্ষা করে কথা চালিয়ে গেলাম। বললাম,
দেখো, অধিকাংশ আঁতেল তার আশেপাশের মানুষকে অন্ধ মনে করে। ফলে তাঁরা যে কোন জিনিস বর্ণনায় কালচারাল থিওরি, কলোনিয়াল চিন্তাভাবনা, বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা, প্রচলিত বিশ্বের উপর প্রশ্ন, আস্থা, অনাস্থা, বিভিন্ন শ্রেনী বৈষম্য, সংঘাত, ও দর্শনের একটি অভুতপূর্ব সংমিশ্রন ঘটিয়ে সেটার ব্যাখ্যা দেয়। ফলে একজন প্রকৃত অন্ধ পিপড়া সম্পর্কে জানতে গিয়ে আঁতেলদের কাছ থেকে বারবার হাতিই দেখেন।
ছোট বোন আমার দিকে বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে আছে। মনে মনে ভাবলাম, দাঁড়াও, আঁতেল সম্পর্কে তোমার জানার শখ আমি মিটিয়ে দিচ্ছি। মুখে বললাম, চলো এবার তোমাকে আঁতেলের আক্ষরিক অর্থ কি সেটা বলি।
বোন আগ্রহ নিয়ে বলল, বলো শুনছি।
আমি বললাম, শুনো, আঁতেল শব্দটি মুলত, ফরাসি তেঁলেক্তুয়াল (intellectual) শব্দটি থেকে আঁতেল শব্দটির উৎপত্তি । আভিধানিক অর্থে, আঁতেল শব্দটির অর্থ পণ্ডিত, বিদ্বান, বুদ্ধিজীবী। ভাষাতত্ত্ববিদ পবিত্র সরকারের মতে, চল্লিশ-পঞ্চাশের দশকে এক বিশেষ শ্রেনীর বাঙালি বুদ্ধিজীবীর আত্ম প্রকাশ ঘটে। এরা নিয়মিত কফি হাউজে বসতেন, পরনে পাঞ্জাবি, আর নিজেদের মনে করতেন, 'আমরাই সেরা'। এই সব বুদ্ধিজীবীকে দেখে অন্যান্যদের বিদ্রুপ এবং প্রতিক্রিয়াতেই ‘আঁতেল’ শব্দটির প্রয়োগ শুরু।
এই চমৎকার জ্ঞানী মানুষটিকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো - আঁতেলদের আপনার কেমন লাগে? আর কেউ যদি আপনাকে আঁতেল বলে তাহলে আপনার প্রতিক্রিয়া কি হবে?
তিনি বলেছিলেন, “আমি তো গ্রামের ছেলে। কলেজে পড়াকালীন এই আঁতেলদের ভয়ই পেতাম, এখনও ভয় পাই।”
“কেউ আমাকে আঁতেল বললে কষ্ট পাব। কারণ আমার বিশ্বাস, আমি কখনও কিছু জাহির করতে চাই না। এখন যেমন পড়ুয়াদের অনেক সময় দেখি কথায় কথায় ‘কালচারাল থিয়োরি’, তৃতীয় বিশ্বের সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করছে। ঠিক বুঝতে পারি না কতটা বুঝে বা না বুঝে বলছে।”
কথা শেষ করে, গ্লাসের পানিটা একটা লম্বা চুমুকে শেষ করলাম। কিছুটা দম ফেলে ছোট বোনের দিকে তাকিয়ে যখন বলতে যাবো, 'এই তো আর কি জানতে চাও?' ঠিক তখনই দেখলাম, প্রচন্ড বিরক্তিতে আমার বোনের ভ্রু দুটো কুঁচকে আকাশে উঠেছে। শেষমেষ জিজ্ঞেস করলাম, কি? কি হইছে??
ও রেগে গিয়ে বলল, তারমানে সহজ কথায়, আঁতেল মানে যিনি নিজের অর্জিত জ্ঞান আজাইরা ফলাইতে চায় সেই তো??
আমি মৃদ্যু হেসে বললাম, হ্যাঁ রে!!
সাথে সাথে কর্কষ শব্দবানে জর্জরিত হয়ে আমি শুনলাম, তাহলে হুদাই এত প্যাচাল কেন পাড়লা? প্রথমেই এই কথা সহজ ভাবে বলতে পারলা না? তুমিও দেখি আঁতেল!!
সাথে সাথে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। কানে বাজতে লাগল, তুমিও তো আঁতেল। তুমিও আঁতেল, আঁতেল তেল তেলললললল।
মনে হলো চিৎকার দিয়ে বলি !! নাআআআআআআআআআ। ( যেভাবে বাংলা ছবিতে শাবানার 'না' প্রতিধ্বনিত হয়)। আমি আঁতেল নই। কেউ বিশ্বাস করো!! করো না!!
হাতে তালি, বুকে ফু কিছুতেই কিছু হলো না। বুঝলাম- আঁতেল দিয়ে নিয়ে বলতে গিয়ে আমি নিজেই আঁতলামীর শিকার হলাম। আবারও প্রমানিত হইলো, করোনার চেয়েও একটি ভয়াবহ ছোঁয়াচে ব্যাধি।
বিঃদ্রঃ ইহা একটি কাল্পনিক গল্প। জীবিত বা মৃত কারো সাথে মিল খুঁজে পাওয়া নিতান্তই কাকতালীয়।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি ঠিক আছেন। যারা অতিরিক্ত সহজ সরল কিংবা তালভোদাই শ্রেনী, তাদের এই ভাইরাস ধরবে না। আমার হিসেবে আপনি বেশ সহজ সরল মানুষ। আপনার প্লাজমা প্রস্তুত রাখবেন। আমরা এটা রপ্তানি করব। ঠিক আছে?
২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৭
সত্যপীরবাবা বলেছেন: ভাইরাসটা কিছুটা পরিবর্তিত এখন . নতুন নাম ..sapiosexual
বাঙালী নাকি এখন চেহারা দেখে প্রেমে পরে না ... বুদ্ধির প্রেমে পরে
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ওরে! বাবা! বহুত খুব! এই সব জিনিস আগে জানলে কিছু করে খাওয়া যেত!! আফসোস, এখন তিন কবুল বলে আজীবনের জন্য যাবজ্জীবন ভালোবেসেছি।
৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এই পোস্ট লেখার জন্য কিছু সময়ের জন্য আপনিও আতেল হয়েছেন।৷
আমি রাজনীতি আর সমরনীতি নিয়ে কিছুটা আঁতেল আছি।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আঁতেল খুব ছোঁয়াচে রোগ। দূরে থাকতে হবে আঁতেলদের থেকে।
এই সময়ে আপনার এই দুটো বিষয় তো খুব চলছে। সামনে কি কোন পোষ্ট পাবো নাকি?
৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: প্লাজমা !!!
আমাকে মাফ করেন।
আমি নির্বাসনে চলে যাবো তবু ''প্লাজমা'' জনিত কো্নো কিছুর আগে পড়ে থাকতে চাই না।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! রাজীব ভাই! ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকুন প্লীজ!
৫| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১১
সত্যপীরবাবা বলেছেন: তালভোদাই --- এই শব্দটা ভুলেই গেসিলাম
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা হা। আমাদের সময়ে জনপ্রিয় একটি শব্দ!!
৬| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কাভা সাহেব, ভাই, আপনি তো খানিক দুষ্টু আছেন। রাজীব সাহেব আসলে আঁতেল শ্রেণীর, কিন্তু তাকে আপনি ফেলে দিলেন তাল... শ্রেণীতে, অন্তত যদি তাঁকে জাতে ...তাল শ্রেণীতে ফেলতেন, তাহলে বিষয়টিতে এতটা তালগোল পাকত না।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আপনিও তো মশাই সুবিধার নন। আমার নির্দোষ একটি ব্যাখ্যাকে টেনে কই নামাচ্ছেন মাইরি!।
যাক, আপাতত তাল নিয়ে দ্বিধা কেটে যাক। তাল মিছরি আমার খুব পছন্দ! আশা করি আপনারও পছন্দ। হা হা হা।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২১
ডার্ক ম্যান বলেছেন: না। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসন্ন। বিপ্লবের নামে প্রতিবিপ্লবীরা দেশকে রক্তের স্রোতেে ভাসিয়ে দিতে পারে।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সত্যি কি বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসবে? আমরা একটা গুনগত পরিবর্তন চাই। আমরা চাই মাথা উচু করে দাঁড়াতে। আমি ১০০ টাকার মধ্যের ১০০ টাকাই চুরি বন্ধ চাই না। আমি চাই ১০০ টাকার মধ্যে ২০ টাকা প্রয়োজনে আপনি খান। কিন্তু বাকি ৮০ টাকার কাজ করেন প্লীজ!!
৮| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩৭
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: যারা বুদ্ধি বিক্রি করে খায় তাঁরাই কি বুদ্ধিজীবী?যেমন কৃষিজীবী,মৎসজীবী বা শ্রমজীবী।চোট বোন যেমন বুঝতে পেরেছে,আমরাও তেমন বুঝতে পেরেছি ।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইজান! কঠিন প্রশ্ন করলেন। আমার ধারনা যিনি বুদ্ধি ব্যবহার করে জ্ঞান বিতরনের ঠিকাদারী নিয়েছেন তাকেই বুদ্ধিজীবি বলে!
আমি ক্রমাগত হাতে তালি দিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু ভাইরাস দুর হচ্ছে না। হাহাহা!
৯| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৪০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: আঁতেল নিয়া আমার একটা পর্যবেক্ষন আছে। দেখি পর্যবেক্ষণটা কেউ সমর্থন করে কিনা।
জায়গা বুঝে কথা বলতে না পারাটাই আতেলামি. যেমন মনে করেন আপনার কবিটা জ্ঞান ব্যাল্যশিক্ষার তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে পর্যন্ত, এখন আমি যদি আপনার সাথে এলেন পোর টু হেলেনের সাথে জীবুদার বনলতা সেনের তুলনামূলক আলোচনা করতে চেষ্টা করি অথবা আপনার উপন্যাসের দৌড় মাসুদ রানা কুয়াশা আর হুমায়ুন আহমেদ পর্যন্ত এখন আমি যদি আপনের সাথে তলস্তয় আনা কারেনিনারে মাইরা কাজটা কি ঠিক বা বেঠিক করলো এই আলোচনা করতে যায় তাইলেই সেইটা আতেলামি।
পড়াশুনা জানা ভালো, গল্প জানা ভালো, কবিটা জানা ভালো, সাহিত্য জানা ভালো, ইতিহাস জানা ভালো সব ভালো। বিশেষ কোন বিষয়ে বিশেষ জ্ঞান আরও ভালো। কিন্তু এসব শিখতে শিখতে কার সাথে কতটুকু মেপে কথা বলতে হবে এই কমনসেন্স হারানোটাই আতলামালি.
অনটপিক - বুঝাইতে পারলাম নাকি এইখানেই আতলামি হইলো আমি শিউর না।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কুনো!!!!!!!!!!!!!!!! কত দিন পর!! মনে হচ্ছে সেই আগের দিনে আছি!! মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের মিস করি!!
আপনি যথার্থ বলেছেন। আপনার সাথে একটু বাড়তি যুক্ত করতে চাই - জায়গা বুঝে কথা বলতে না পারা যেমন আতলামি তেমনি অল্প কথায় যা বুঝানো যায়, সেটাকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে টেনে লম্বা করাও এক ধরনের আতলামী!
হা হা হা! আপনি চমৎকার বুঝাইছেন!! মিয়া আপনার এই সব দুস্টামি করার অভ্যাস এখনও গেলো না।
১০| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:০০
সত্যপীরবাবা বলেছেন: @*কুনোব্যাঙ*
জায়গা বুঝে কথা বলতে না পারাটাই আতেলামি
এই পর্যন্ত ঠিকই আছে, কিন্তু উদাহরন দিতে যেয়ে উল্টায় ফালায়সেন -- আমি যখন আমার "তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে" জ্ঞান নিয়ে আপনার সাথে এলেন পোর টু হেলেনের সাথে জীবুদার বনলতা সেনের তুলনামূলক আলোচনা করতে চেষ্টা করি তখন আমি আ্ঁতেল, আর আপনি তখন স্পীকার হইয়া যাবেন আমার আ্ঁতলামীর দৌড় দেইখা।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:১২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যেহেতু চান্স পেলাম তাই আপনার সাথে কুনোর কাছে একটা আতেলীয় প্রশ্ন করি-
কার জ্ঞান কতটুকু এটা কিভাবে নির্ধারন করা যায়? ধরুন কেউ জ্ঞান প্রকাশ করে আবার কেউ জ্ঞান প্রকাশ করে না। এই ক্ষেত্রে একজন আঁতেল কিভাবে তার আলাপ শুরু করতে পারে??
১১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:১৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আতেঁলের সাথে মনে হয় তেলের কোন যোগ আছে।
যে যত তেল মারতে পারে সে তত বড় আতেঁল।
আতেঁলদের পুথিগত বিদ্যা অনেক তবে বাস্তব
বুদ্ধি বা কান্ডজ্ঞান পারদের নিম্ন পর্যায়ে মানে
তলানীতে। এ্মন এক আতেঁল একবার তার
বিদ্যা জাহির করার জন্য পৃথিবীর নানা যায়গার
বর্ণনা দিয়ে যাচ্ছেন আর শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনছেন।
এরি মাঝে এক মুগ্ধ শ্রোতা তাকে খুশী করার জন্য
বললেন জিওয়গ্রাফী সম্পর্কে আপনার বেশ ধারনা
আছে। আতেঁল বললেন ওখানেও আমি এক সপ্তাহ
ছিলাম। খুব চমৎকার যায়গা !!
২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নুরু ভাই!!
১২| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২৬
কল্পদ্রুম বলেছেন: আঁতেলেকচুয়াল সংক্ষেপে আঁতেল বন্ধু মহলে বহুল ব্যবহারিত শব্দগুলোর ভিতর একটি।'আঁতলামী' এবং সুশীলগিরী' আমাদের এই জেনারেশনের কাছে অনেকটা ভদ্র গালিতে পরিণত হয়েছে।আঁতলামী বিষয়ল কুনোব্যাঙের বক্তব্য আমার ধারণার সাথে মেলে।তবে অল্প জ্ঞান নিয়ে তর্ক করতে আসাটা আঁতলামী পর্যায়ে পড়ে বলে মনে করি না।তর্ক কিংবা সাধারণ আড্ডার দেওয়ার সময়ও অপ্রাসঙ্গিক উলটাপালটা কথা বলে নিজের জ্ঞানকে জাহির করার চেষ্টা করাটাকে আমার কাছে আঁতলামী মনে হয়।আঁতেলদের আর একটা কার্ডিনাল বৈশিষ্ট্য হলো তাদের রসিকতা বোধ কম থাকে।অনেক মানুষ আড্ডা দেওয়ার সময় জ্ঞান দেন ঠিকই।কিন্তু তাদের কথা শুনতে মজাই লাগে।আঁতেলদের ভালো কথা শুনতেও বিরক্তিকর লাগে।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। অনেক সময় উপযুক্ত রসিকতাই আঁতেল আর সুবক্তার মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। যেমন ধরুন
চন্দ্রনিল ভট্টাচার্য। সে অনেক জানে। আমার দেখা অনুকরনীয় আঁতেল। তবে তার কথা বার্তার মধ্যে একটা রসবোধ আছে। রসবোধটা কিন্তু একেবারে যাচ্ছেতাই নয়। তবে বাস্তব হচ্ছে উনার কথাও টানা ১০ মিনিট শুনলে - মাথা ব্যাথা করবে।
১৩| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:২৮
সত্যপীরবাবা বলেছেন: @লেখক এবং @*কুনোব্যাঙ*
এই ক্ষেত্রে একজন আঁতেল কিভাবে তার আলাপ শুরু করতে পারে??
১) নৌম চমস্কি তাঁর নতুন বই/প্রবন্ধে বলেছেন .......................
২) পাশ্চাত্যের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে ......................
৩) মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ......................
(নৌম চমস্কি অথবা ফুকো এর নাম উল্লেখ করলেই হইল)
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাথে উদহারন হিসেবে কোন পৌরানিক চরিত্র বা কিংবা দেবদেবী যুক্ত হলে একেবারে খাসা হবে।
১৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৩৭
সত্যপীরবাবা বলেছেন: কয়েকটা মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আমি খুব সম্ভবত: আঁতেলের সংজ্ঞাটি ভুল জানি।
আমার ধারনা ছিল আঁতেল হল যার জ্ঞানীর "ভাব" আছে বহুলাংশে এবং যত্রতত্র সেই ভাব প্রকাশে উৎসাহী --- যদিও প্রকৃত জ্ঞানের অভাব ।
আমার ধারনাটা মনে হচ্ছে ভুল।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জাফরুল ভাই এই ব্যাপারে যা বলেছিলেন, সেটাতেও আমি সহমত জানিয়েছি। তবে আপনার বক্তব্যে ডাবল সহমত। ভুল হলেও, এটাই আমার কাছে সঠিক লেগেছে।
১৫| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ২:৫২
কাছের-মানুষ বলেছেন: আঁতেল নিয়ে ভাল রসযুক্ত লেখা হয়েছে।
কিছু কিছু প্রচলিত শব্দ আমাদের সমাজে মিস ইউজের ফলে নেগেটিভ হয়ে গেছে। আঁতেল, সুশীল, এই শব্দগুলো আসলে ইতিবাচক অভিধানে, কিন্তু এখন এই শব্দগুলো নেগেটিভ অর্থে ব্যাবহার হয়।
আতলামি নিয়ে বিশিষ্ট ব্লগার কুনোব্যাঙ এর পর্যবেক্ষণ আমার ভাল লাগল।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৬| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:১২
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @কাভা ভাই, যে জ্ঞান প্রকাশ করে না বা করতে চায় না তার সাথে জ্ঞান নিয়ে আলোচনা কড়তে যাওয়াই তো আতলামি। যা বুঝিনা তা নিয়ে বেশি কথা বলতে যাওয়াটাও একই পর্যায়ে।
ব্লগে অবশ্য কিছু সুবিধা আছে। ব্লগে কোন ফিজিক্যাল এপিয়ারেন্স নাই, বডি ল্যাংগুয়েজ নাই কিছু নাই, আছে শুধু কিছু শব্দমালা আর বাক্যাবলী। যারা এগুলো গঠন করেন তারা করেন তাদের চিন্তা ও অভিজ্ঞতা থেকে। মানুষের জ্ঞান অভিজ্ঞতা এসব শব্দ বা বাক্য গঠনকে প্রভাবিত করে। অন্ধের যেমন ঘ্রাণশক্তি প্রখর হয় ব্লগেও তেমন মানুষের চিন্তার প্রকাশ প্রখর হয়। কারণ এখানে ইন্দ্রিয় মোটে একটা, সাদাকালো অক্ষর। অনেককিছু কেউ না চাইলেও প্রকাশ হয়ে যায়, কারণ এখানে তার সেকেন্ড কোন অপশন নেই ফিজিক্যাল ওয়ার্ল্ডের মতো. বোঝা যায়, না চাইলেও বুঝতে হয়। ঐযে ঐযে মোটে একটিমাত্র ইন্দ্রিয়, পালানোর সুযোগ কম!
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগের তো আমরা কম বেশি সবাই আঁতেল। ফলে ব্লগের আঁতেলদের নিয়ে আর কি বলবেন। উনারা সিলেবাসের বাইরে। ব্লগের ক্ষেত্রে আমি মনে করি - পাগলের সুখ মনে মনে। যে যার প্রেক্ষাপট থেকে রাজা উজির নির্দ্বিধায় মেরে আনন্দ পায়।
১৭| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:২৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ট্রাকের পেছনে যেমন লেখা থাকে ১০০ হাত দুরে থাকুন। ঠিক তেমনি আঁতেলদের পিঠেও ১০০ হাত দুরে থাকুন লেখা থাকলে ভালো হতো। আমার ধারণা সম্ভবত ভারতে আঁতেলদের “ঢাক্কান অথবা পাঁকাও” বলে থাকে। কাল্পনিক ভালোবাসা ভাই, হিন্দি মুভি “ভেঁজা ফ্রাই” দেখে থাকলে বুঝতে পারবেন ঢাক্কান বা পাঁকাও কাকে বলে। আমাদের দেশে ঢাক্কান/পাঁকাও/আতেল প্রচুর আছে। আঁতেলদের নিয়ে উন্মাদ কার্টুন ম্যাগাজিন প্রচ্ছদ করে বেশ কিছু সংখ্যা প্রকাশ করেছিলো এছাড়া আঁতেলদের নিয়ে একটি তিন লাইনের ছন্দ প্রকাশিত হয়েছিলো -
কবি কবি ভাব কবিতার অভাব
নায়ক নায়ক ভাব নায়িকার অভাব
নেতা নেতা ভাব নেত্রীর অভাব
- আহসান হাবীব
কার্টুনিষ্ট (উন্মাদ)
আঁতেল/ঢাক্কান/পাঁকাও এর খপ্পরে পরেছেন তো আপনাকে প্রশ্ন করে করে জর্জরিত করে দিবে। - এদের মাথাটাই আস্ত একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?) অতএব সাবধান।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! আমার আসলে মায়া হয়! অন্য কিছু না! আপনাকে ধন্যবাদ প্রিয় ঠাকুর ভাই!! শুভেচ্ছা জানবেন।
১৮| ২২ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৪২
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের দেশে আপেল গাছ নাই । তাই নিউটনও নাই। কিন্তু প্রচুর সরিষা গাছ আছে তাই তেলবাজ আছে। আতেঁলও আছে তেমনি বুদ্ধিজীবীও আছে প্রচুর ।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই। আমাদের কিছু রপ্তানি পন্য বাড়ানো দরকার।
১৯| ২২ শে জুন, ২০২০ ভোর ৫:০২
জেন রসি বলেছেন: ভাইসাব। একটা বিপদে পরছি। একটু উদ্ধার করবেন?
কি বিপদ। আমি নিজেই নিজেরে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারিনা তোরে কি পরামর্শ দিমু!
তাইলে ভাই এমন একজনের কাছে আমারে পাঠান যে আমারে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারবে। ভাই, জীবনটাই পুরাই অর্ধেক খেয়ে ফেলে রাখা সিঙ্গারার মত হয়ে গেছে।
কি সব ভুলভাল বকা আরম্ভ করলি। সমস্যা টা কি বলবিত আগে।
ভাই, আমি যেখানেই যা কিছু নিয়া কিছু কইবার যাই পুরাই মদনা হয়ে যাই। আমি একটা সহজ সরল মানুষ। এইটা কেউ বুঝেনা। কিছু কইতে গেলেই এই কথা সেই কথা বলে পুরাই আমারে মাননীয় স্পিকার বানাইয়া ছাইড়া দেয়। আমি না পারি সংসদে থাকতে না পারি জিয়া উদ্যানে! ভাই কিছু একটা করেন!
আইচ্ছা। মানে তোরে সবাই দিনশেষে গবেট বানাইয়া মজা লুটে। খুব দুঃখের কথা। তয় এত ভাবিছ না। উপায় একটা আছে। আগে দুই প্যাকেট বেনসন কিন।
লন ভাই আপনার বেনসন।
এক প্যাকেট আমারে দে। আরেক প্যাকেট নিয়া একজনের লগে দেখা করতে যাবি। ভদ্রলোকের নাম কাল্পনিক ভালোবাসা। এই লোক মোটামুটি আঁতেল বিষয়ে একজন হাফেজ। আবার তার ভক্তরা তারে আদর কইরা আঁতেল হান্টার নামেও ডাকে। শুনেছি বহু আঁতেলরে সে ডাইরেক্ট ফ্রান্স ইতালির অলি গলি থেকে এক ধাক্কায় কারওয়ান বাজারে ফালাইয়া দিছে। তারপর তাদেরকে দিয়া শুটকিও বেঁচাইছে। তুই এই ভালোবাসার কাছেই যা। তার কাছাকাছি থাকবি। পারলে পুরা খাদেম হইয়া যাবি আরকি! আর তারে দেইখা দেইখা আঁতেল হান্টিং শিখবি!
ভাই।
কি আবার? কইলামত সব।
ভাই, এই ভালোবাসা ভাইও যদি গবেট বইলা আমারে মাননীয় স্পিকার বানাইয়া দেয়!
আরে গবেট তোরে এতক্ষন কি বুঝাইলাম! সে গবেটদেরই পছন্দ করে। তার স্লোগান হচ্ছে "দুনিয়ার গবেট এক হও, লড়াই কর। আঁতেল দেখবি যেখানে লড়াই করবি সেখানে। বুঝছি। তুই বরং এক কাজ কর। তার আঁতেল বিষয়ক একটা লেখা আছে।লেখাটা পইড়া তারপর ফিল্ডে নাম। লেখাটার নাম হইতেছে "আঁতেল- একটি ভয়াবহ ছোঁয়াচে বুদ্ধিজীবি ভাইরাস।" এইটারে আপাতত বাইবেলের মত পড়তে থাক। তারপর ভালোবাসা ভাই যদি ভালোবেসে তোরে বুকে টাইনা নেয় আরকি!
রম্য ভালো লাগছে কাভা ভাই।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রম্য ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম একই সাথে ভাইরাসটার ভয়াবহতা টের পেলাম।
২০| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫২
জাফরুল মবীন বলেছেন: যার জ্ঞানের প্রকাশ আকর্ষণীয় এবং জানানোর চেয়ে জানার আগ্রহ প্রবল তিনি হলেন জ্ঞানী।আর যার জ্ঞানের প্রকাশ বিরক্তিকর এবং জানার চাইতে জানানোর আগ্রহ প্রবল তিনি আঁতেল।এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত অভিমত।
সর্বনাশ!এক কমেন্ট করেই নিজেকে কেমন জানি আঁতেল আঁতেল মনে হচ্ছে । আঁতেল বিষয়ক কিছু বলতে গেলেই এ রোগ প্রবেশ করে।আসলেই “আঁতেল- একটি ভয়াবহ ছোঁয়াচে বুদ্ধিজীবি ভাইরাস”।উপদেশে বলতে হয়- আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে।আঁতেলদের আইসোলেসনে রাখুন, আঁতলামী ভালো না হওয়া পর্যন্ত তার সংস্পর্শে যাবেন না, নিজে ভাব প্রকাশে সর্বদা ফিল্টার ব্যবহার করুন, বলার আগে ২০সেকেন্ড ধরে ভালভাবে ভাবুন।ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। দারুন বলেছেন ভাইয়া!!!
তবে বাঙালি আঁতেল বলে কথা - ঠিকই দেখবেন আইসোলেশন থেকে পালিয়ে গেছে। করোনাকে সাত ঘাটের জল খাওয়ালো!!
২১| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:০৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই শব্দটি এখন কেবলমাত্র বাংলাদেশেই চালু আছে । ইংরেজি Intellectual শব্দটি মূলত ফরাসি শব্দ intellectuel থেকে এসেছিল। এর ফরাসি উচ্চারণ হচ্ছে আঁতেলেকচুয়াল। শব্দটি মোটেও খারাপ নয় । কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ খারাপ । তাই খারাপ হচ্ছে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আমি এখন ফরাসি ভাষা শেখার চেষ্টা করছি। তাই শব্দটির অর্থ আমার জানা ।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
'আজকে মালেয়শিয়াতে আঁতেল আপডেট' - এই ভাবে পোস্ট শুরু না করলে আপনাকে অপরিচিত লাগে। নিজের লোক বলে মনে হয় না। আঁতেল মানে যাই হোক, আগে আপনি আমাদের কাছে আপন হয়ে ফিরে আসুন।
২২| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৮:১১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাত সকালে ভালো একটা লেখা পড়লাম। আদ্যপান্ত আঁতলামিতে ভরপুর। আঁতলামির ব্যুৎপত্তিগত অর্থ ও পবিত্র সরকার মহাশয়ের ব্যবহারিক অর্থের প্রয়োগ জেনে সমৃদ্ধ হলাম। বিষয়টা বঙ্কিমচন্দ্রের বাবু উপন্যাসের বাবুদের মত। বঙ্কিমচন্দ্র নিজেও যেখানে বাবু অভিধা থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন না।
সাথে সাথে আপনার রসবোধেও পুলকিত হলাম।
পোস্টে অষ্টম লাইক।
শুভেচ্ছা নিয়েন।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পদাতিক ভাই!! সকল ভাইরাস থেকে মুক্ত থাকুন - এই প্রার্থনা করি।
২৩| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫২
ডি মুন বলেছেন:
এই পোস্টটা পর্যবেক্ষণে রাখলাম।
আঁতেলগণ এই পোস্টে কি ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখায় সেটা দেখার অপেক্ষা।
করোনাকালীন সময়ে আঁতেলীয় বিনোদন এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আশা করি তোমার পর্যবেক্ষন বৃথা হয় নি বা হবেও না।
অনেক ধন্যবাদ মুন - মন্তব্য করার জন্য।
২৪| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:১৭
নিয়াজ সুমন বলেছেন: লালন ছিলেন নিরক্ষর অথচ জ্ঞানী। তাঁর জীবনতত্ত্ব আমাদের মুগ্ধ করে। পরিচালক গৌতম ঘোষের মতে এঁরাই প্রকৃত আঁতেল। “যদিও এই শব্দটির ব্যবহার আজকাল কাউকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে করা হয়ে থাকে।
আঁতেল, জ্ঞানী বা মুর্খ যায় বলুক না কেন, যে বিশেষণ আসুক না কেন, একমুখ হাসি দিয়ে প্রশংসায় মাতিয়ে রেখে তার মুখ বন্ধ করা সহজ। ওই যে বলে না, ওস্তাদের মার ...
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রকৃত বিদ্যানদের প্রতি রইল সম্মান।
২৫| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: একজন ব্লগারের সংজ্ঞায় অলরেডি আতেলের খাতায় নাম লিখিয়ে ফেলেছি। কি ভয়াবহ।
আগামী কিছুদিন রেস্ট নিবো আর প্রচুর লেবুর শরবত খাবো।
আমার জন্য দোয়া করবেন।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! আবার দেখুন পালিয়ে মার্কেটে যাবেন না। গেলেও অন্যর কান থেকে নিজের মুখকে সামাজিক দূরত্বে রাখুন।
২৬| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৪
নিমো বলেছেন: হা হা হা! ব্লগের আঁতেলদের জন্য ক্রসফায়ার সমতূল্য এমন পোস্ট নিয়মিত ব্লগে আসা উচিত।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সর্বনাশ! আপনি আমাকে আর আঁতেলদের মুখোমুখি করিয়ে দিচ্ছেন। ব্লগই ঠিকভাবে সামলাইতে পারি না এত শক্তি প্রতিপক্ষকে কিভাবে সামলাবো
২৭| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার রসবোধ সুবিদিত!
দারুন লেখায় +++
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ নকিব ভাই!! আশা করি ভালো আছেন।
২৮| ২২ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৩১
নীল আকাশ বলেছেন: লেখাটা পড়ার মন্তব্য পড়তে যেয়ে সবমিলিয়ে একধাক্কায় অনেকগুলি আঁতেল পেয়ে গেলাম।
লেখকের বোন যেন নিয়মিতই এই ধরণের জ্ঞানগর্ভ বিষয়ে প্রশ্ন করে!
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা হা!! ইহা একটি কাল্পনিক গল্প!! জীবিত বা মৃত কাহারো সাথে ইহার কোন মিল পাইলে সেটা নিতান্তই কাকতালীয়।
২৯| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে। ছোটবোনকে অভিনন্দন! ওপরে যে ক'জন ২/৩ লাইনে মন্তব্য শেষ করতে পারেন নি তাদেরকেও অভিনন্দন
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। ধন্যবাদ ভাইয়া। মহামারী যে চলছে, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
৩০| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সবসময় সবখানে দুএকটি আতেল এর দেখা মেলে। এতই পন্ডিত যে কোন কিছু সহজে বলতে ও বুঝাতে পারেনা।
তা আতেলনামা ভালই হয়েছে।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এতই পন্ডিত যে কোন কিছু সহজে বলতে ও বুঝাতে পারেনা। - এটাই আঁতেলদের সমস্যা।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
৩১| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩২
শায়মা বলেছেন: হাহা হা হা হা ভাইয়া হাসতে হাসতে মরলাম। পোস্টের চাইতেও কমেন্ট পড়ে। সবগুলো কমেন্ট এখনও পড়তে পারিনি। রাতে আসবো। হাসছি কারণ তোমাকেও দেখছি এই ছোঁয়াচে রোগে ধরেছে... মানে আতলামী রোগের যা বর্ণনা দিলে সেই মোতাবেক। ধরুক আতলামী নো প্রবলেম। কিন্তু আমার রোগেরও ছোঁয়াচ লেগেছে মনে হলো তাই চিন্তায় পড়লাম......
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫১০
লেখক বলেছেন: কুনো!!!!!!!!!!!!!!!! কত.........
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা .......
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা হা হা হা ধন্যবাদ আপু। কমেন্টগুলো খুব মজার হয়েছে। হ্যাঁ, কি করবো বলুন আতলামী যে একটি ভয়াবহ ভাইরাস!
লেখক বলেছেন: কুনো!!!!!!!!!!!!!!!! কত.........
হাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহাহা
আপু আপনার এই হাসিটা শুনতে প্রেতাত্মার হাসির মত শোনাচ্ছে। একদম প্রাচীন প্রসাদে বন্দী কোন অতৃপ্ত আত্মা কিংবা প্রেতাত্মার সবজান্তা হাসি!!!! (জি হরর শো টাইপ আর কি)
হাহাহা! ( আমি হাসলাম, বাংলা ছিনেমার ডিপজলের মত হাসি। )
৩২| ২২ শে জুন, ২০২০ দুপুর ২:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: আমি সবসময় আঁতেলদের এড়িয়ে চলি, এতেই শান্তি।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রকৃত বুদ্ধিমান ও শান্তি প্রিয় লোকরা এটাই বেছে নিবে।
৩৩| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯
জুন বলেছেন: আমিতো প্রথমে মনে করলাম স্বপ্ন, না পরে দেখি সত্য ঘটনা কাল্পনিক তবে সহ ব্লগার জাফরুল মবীনের মন্তব্যে সহমত সাথে প্লাস।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহা ধন্যবাদ আপু। আমিও সহমত জানিয়েছি। বাই দ্য ওয়ে, একটা দুর্দান্ত ভ্রমন পোস্ট দিন তো!! অনেকদিন থেকে অপেক্ষা করছি।
৩৪| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:০৮
জুন বলেছেন: সেইটা যদি হারায় যায় তুমি তো খুইজা দিবা না কাল্পনিক
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:১৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না আপু, আমি ঐ ব্যাপার সত্যি মেইল করেছি, জানা আপু জানেন। আমি সিসিতে রেখেছি। আমাকে বলেছে জানাবে। আমি জানা মাত্রই আপনাকে বলব। বাই দ্য ওয়ে আপু, আপনি আমাকে একটা মেইল করবেন প্লীজ।
[email protected] এই ঠিকানায়
৩৫| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৫
সত্যপীরবাবা বলেছেন: সর্বনাশ, এই পোস্ট যে আঁতেল ধরার ফাঁদ, এইটা বুঝতেই আমার পুরা দিন লাগসে ... নিজেরই তালভুদাই প্রমান করলাম।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৩১
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: শশশ!!! এই সব কে বলেছে আপনাকে? গুজবে কান দেবেন না। ছি!
৩৬| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জাদিদ ভাই, আপনি বলেছেন, উনাদের নির্দিষ্ট খাদ্য ও পানীয় আছে। শুধু তাই না; উনাদের পোষাকও নির্দিষ্ট। কথায় আছে, আগে দর্শণদারী, পরে গুনবিচারী! আমরা ভার্সিটিতে পড়ার সময় কিছু চারুকলার ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেখতাম, যারা আতেল-পোষাক পড়তো।
এদের পোষাক হলো, ছেড়া ফাটা জিন্স, খদ্দরের পান্জাবী, কাধে খদ্দরের একটা ঝোলা ব্যাগ। চুল হতো অনেক দিনের না কাটা এবং চিরুনীর সংস্পর্শহীন। ছেলেদের দাড়ি-গোফও তাই হতো। এদের হাটাতেও বিশেষত্ব আছে। হাটবে ছেচড়িয়ে ছেচড়িয়ে। আগে যাচ্ছে নাকি পিছে বোঝা যেত না।
আমাদের সময়ে এক আতেল কাপল ছিল। এরা কথা বলতে বলতে হঠাৎ উদাস হয়ে যেতো। হাতের সিগারেটে টান দিতো না, পুড়তেই থাকতো। চা ঠান্ডা হয়ে যেতো, চুমুক দিতে ভুলে যেতো। আর এরা আপনার দিকে তাকালে আপনার মনে হবে, আপনাকে দেখছে না......দুরের কোন জিনিস দেখছে।
যাই হোক, আতেল এমন একটা শ্রেণী যারা আমাদের সমাজেই বাস করে। আমাদের আশেপাশে। দেখতে মানুষের মতো হলেও এরা আসলে মানুষ না। এদের সাথে অধিক সময় ব্যয় করা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত হানিকারক। আপনার বোন যতো সহজে আতেল চিনে ফেলেছে.......বিষয়টা আসলে অতো সহজ না।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মফিজ ভাই!! এখন দিন বদলাইছে!!! আঁতেলরা এখন অনেক স্মার্ট। আঁতেলের মধ্যে কোন জেন্ডার ভেদাভেদ নাই। আঁতেলদের হাত থেকে সবাই নিরাপদে থাকি, এটাই প্রার্থনা।
৩৭| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮
শায়মা বলেছেন:
হাহাহা! ( আমি হাসলাম, বাংলা ছিনেমার ডিপজলের মত হাসি। )
হাহাহাহাহাহা আমারটার আন্দাজ ঠিক হয়নি তোমার নিজেরটার আন্দাজ একদম ঠিক হয়েছে ভাইয়া।
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে ঐটা তো আমার মনে হয়েছে। তোমার মনে হবে কেন?
আমার আন্দাজে আমি যা ইচ্ছে তাই ভেবে নিতে পারি। সেটা কারো সাথে না মিলতেও পারে আবার মিলতেও পারে। এই যেমন - আমার হাসি ভিলেনের মত - এটা তোমার আমার কাছে মিলে গেছে! হাহাহা (আবার দিলাম)
আচ্ছা যাও, একটু এডিট করলাম। কোন প্রাচীন প্রসাদের অতৃপ্ত বিদেহী রাজকন্যার হাসি!! হা হা হা হা।
এটা মিলছে কিনা জানাইও। নইলে নতুন কিছু আন্দাজ করব। হাহাহা।
৩৮| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
কাভাকে আমি মনে করেছিলাম কিছুটা গম্ভীর রোবোকপ টাইপ ।
এই পোষ্ট ধারনা বদলে দিয়েছে । ইউ আর সুপার ফানি । ভীষণ মজা পেয়েছি
আর পোষ্টের টপিক কি বলবো । মনটা শান্ত হয়েছে আমার । এরকম একটা পোষ্ট দরকার ছিল ।
পারফেক্ট সময় । আঁতেল দেখলে আমার হাত নিশপিশ করে । আই ফিল টু পাঞ্চ দেম ইন দা ফেইস ।
Oops!!! আমি কি কথাটা বলেই ফেললাম
২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আমি খুব চাই মানুষ আমাকে গম্ভীর কিংবা রাগী ভাবুক। কিন্তু কোনভাবেই হয় না এটা
৩৯| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:০৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরিব্বাস
এতো দেখি আতেলের হাট বাজার
তাই দেখে মনে পড়লো লালন গুরুর গান
এসব দেখি কানার হাট বাজার
বেদ বিধির পর শাস্ত্র কানা
আর এক কানা মন আমার।।
পণ্ডিত কানা অহংকারে
মাতবর কানা চোগলখোরে।
সাধু কানা অন বিচারে
আন্দাজে এক খুঁটি গেড়ে,
চেনে না সীমানা কার।।
এক কানা কয় আর এক কানারে
চল এবার ভবপারে।
নিজে কানা পথ চেনে না
পরকে ডাকে বারে বার।।
কানায় কানায় উলামিলা
বোবাতে খায় রসগোল্লা।
লালন তেমনি মদনা কানা
ঘুমের ঘোরে দেয় বাহার।।
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আহা!! কি চমৎকার। লালন একটা মাল ছিলেন!!
৪০| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অতি উৎকৃষ্ট একটা আঁতেরম্য পড়লাম। শব্দের গাঁথুনিতে মুগ্ধ।
প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে কথা পেঁচিয়ে একটা সাধারণ বিষয়কে অসাধারণ বিষয়ে রুপান্তর করতে পারে
একজন প্রকৃত অন্ধ পিঁপড়া সম্পর্কে জানতে গিয়ে আঁতেলদের কাছ থেকে বার বার হাতিকেই দেখেন
আঁতেল বা আঁতলামি আমাদের দেশে নেগেটিভ অর্থেই ব্যবহৃত হয়।
ইহা একটি অব্যর্থ খোঁচা
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই, যে কয়েকজন ব্লগারের কমেন্ট পেলে খুশি হই, তার মধ্যে আপনি অন্যতম।
তাই আপনার প্রশংসা বা ভালো লাগলে শুনলে আমি আনন্দিত হই, আশ্বস্ত হই।
হাহা। অব্যর্থ খোঁচা খেয়ে কেউ পালটা খোঁচা দিলে ভালো লাগবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, মানুষজন সরাসরি ব্যক্তি আক্রমন করে খোঁচা দেয়ার চেষ্টা করে।
৪১| ২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪
শায়মা বলেছেন: তোমার আন্দাজ বড়ই খারাপ! আরও ট্রাই করো ভাইয়ু!!
ফেইলিওর ইজ দ্য পিলার অব সাকসেস!!!
২২ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার আন্দাজ তোমার পছন্দ হচ্ছে না আপু। খুব খারাপ লাগল। । মাই ব্যাড!
ফলে ইহার আন্দাজ আপনা আপনা বলিয়া - আপাতত চলিলাম।
৪২| ২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
হা হা হা ....
কিন্তু কেনো ?
একজন মানুষ এতোটা হিলারিয়াস কিন্তু রোবট মাস্ক পরে থাকবে, এটা কিন্তু ঠিক না
মাঝে মাঝে এরকম ফান পোষ্ট লিখতে হবে , উই ওয়ান্ট টু লাফ লাউড
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাহাহা। ঠিক আছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
৪৩| ২২ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ব্লগাররা তাহলে কি সবাই
২২ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! আরে না!!
৪৪| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: যতীন সরকারের সংস্কৃতি ও বুদ্ধিজীবী সমাচার বইটি পড়তে বলুন
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: উনাদের এই সব মুখস্ত, মানে নিশ্চয়ই!!
৪৫| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: সবার মন্তব্য গুলো পরে ভালো লাগলো।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, প্লাজমা রেডি রাইখেন। অবস্থা সুবিধার দেখতে পাচ্ছি না।
৪৬| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৫
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: হহাহা, মজা পাওয়া গেল জাদিদ ভাই।
ফেসবুক,ব্লগ বা আমাদের সামাজিক জীবনে বিষয়টা নিয়ে আমার কিছু ভাবনা আপনার রসিক হৃদয়ের উপর ভরসা রেখে শেয়ার করছি-
গ্রামসির মতে,প্রত্যেকেই আতেল।ওই হিসেবে আমরা প্রত্যেকেই একেকজন ভয়াবহ ছোঁয়াচে বুদ্ধিজীবি ভাইরাস। সমস্যা হয়,যখন কেউ জানে না সে নিজেই ইহার বাহক ও মহামারীর কারণ।।ফলে চালুনি কয় সুচরে তুই কেন ছ্যাদা টাইপ পরিস্থিতি চলে আসে।
দুনিয়ার সব ফিল্ডেই দেখবেন এই অবস্থা।প্রশ্ন হচ্ছে- এসব কেন হয়?
বর্তমানে আমরা পুরো্পুরি আতেলীয় সামাজিক রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বসবাস করছি।জ্ঞান ওক্ষমতার প্রতিযোগীতায় সবাই জিততে চায়। নানা কারণে সবার পক্ষে জেতা সম্ভব না।কিন্তু অবচেতনে দক্ষ আতেলের মুকুট পরার সাধ ত তার যায় না। তখন ট্রল,স্যাটেয়ার,গালি,তেলবাজি,রম্য,প্যারোডি প্রভৃতি হয় অক্ষম অযোগ্যদের অস্ত্র।দক্ষ প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে চলে নাকচ করার চেষ্টা।রুশো ভলটেয়ার যেমন পরস্পরকে নাকচ করার চেষ্টা চালাতেন।মক্কার আবুল হাকামকে মুসলমানরা বলত আবু জেহেল।
বাংলা প্রবাদেই বোধ হয় সবচেয়ে ভালভাবে অক্ষমের আহাজারিকে বেধে ফেলা হয়েছে।
পেচাঁ রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনও ছুতা, জান না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।
এই পবিত্র সরকারকেই দেখুন না,মুখে নিজেকে গ্রামের ছেলে বললেও জীবনটা আতেলকাননে কাটিয়ে দিয়েছেন।মহা আতেল হবার আকাঙ্ক্ষায় মন প্রাণ দেহ সপে দিয়েছেন।কফি হাউস থেকে মানে মানে দূরে থাকলেও আতেল তৈরির কারখানার পরিচালক হতে দ্বিধা করেননি।জাহির করতে চান না বলে এমনই সুনামি চালান,বাতেনি বাবারা আমাজন জংগলেও ঠাই পায় না। এটাও একটা সারভাইভাল স্ট্যাট্রেজী।ইনসিকিওরিটি থেকে এসব আসে।কফিহাউস বা খালাসিটোলায় প্রশ্নসাগরে ডুবে মরার ভয় আছে।তখন ত জাদুঘরেও ঠাই হবে না, হাহাহ। মনে মনে মনকলা খেলেও এই কলা যে সেই কলা না তা সে ভাল মতই জানে।
বিদেশের বিদ্বানরা কিন্তু ঠিকই এসব জায়গায় যেতে ভয় পাননি।বুদ্ধদেব বসু কোন জিনিসকে কেন রক্ষণশীলতার শেষ দুর্গ বলেছিলেন তা ভেবে দেখতে হবে।অবচেতনে আতেলের মত আতেল হবার একান্ত ইচ্ছা ছোটবোনকে আতেল নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে,আর বড় ভাইকে ত...
তাই ভাবি না ভাবি না বলেও ভাইবোনদের আতেল নিয়ে ভাবতে দেখা যায়।পরিপুর্ণ আতেল হতে না পারার ঈর্ষায়,অক্ষমতায় মানুষ নানা ছুতোয় আতেলদের আক্রমণ করে বসে।দূরের কোন সিংহআতেলকে সে প্রাণভরে শ্রদ্ধা জানালেও কাছেপিঠের সিংহ আবাস সে ধ্বংস করে।গরু গাধাদের খামার বানায়।বেড়ালরে বলে বাঘ।সুদভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ইউনুসকে সুদখোর হিসেবে গালি দেয়।জ্ঞানীদের ট্রল গালি দিয়ে ডিল করে।প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অক্ষমদের ছলাকলার স্বীকার হয় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।অথচ এই জনগণই আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেন ইংরেজিতে মাস্টার্স পাস তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে।মানে এখানে তারা স্পেশালিষ্ট আতেল দেখতে চায়।
রেফারেন্স ছাড়া জীবনে এক কদম আগাতে পারে না এমন লোকও রেফারেন্স নিয়ে ঠাট্টা করে।কেননা রেফারেন্স হিসেবে যাদের নাম নেয়া হচ্ছে-সে কেবল তাদের নামই শুনে গেছে,বেশিরভাগে এক পাতা পড়েও দেখেনি,ইচ্ছাও নেই।কেউ হাল্কার উপর ঝাপসা পড়লেও আলোচনায় অংশ নেয়ার মত প্রজ্ঞা অর্জন তার হয় নাই।কিন্তু এদিকে তার মহিমা উচ্চতাও সে মানতে পারতেছে না।তাই ট্রল করে নিজেদের মুর্খতাকে ঢাকার ব্যর্থ প্রয়াস চালায়।পোলাপাইন সলিমুল্লাহরে ট্রল করে।অথচ সলিমুল্লার যে কোন একটা টপিককে কাউন্টার দিবার মত এলেম তাদের নাই।তার প্রসঙ্গে এক লোকরে দেখলাম সলিমুল্লাহ স ঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারে না এইসব নিয়া হাসাহাসি করল। এই হল পাবলিক ডিল।সলিমুল্লাহ নিজে ২৪ বছর বয়সেই প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের একটা ভাষণের পুরোপুরি বিরোধিতা করে একটি চটি পুস্তিকা রচনা করেছিলেন।প্রফেসর রাজ্জাক কিন্তু তাকে আতেল বলে ফেলে দেননি। রাজ্জাক স্যারের যে কোন টেক্সটের মেরিট যাচাই করার যোগ্যতা ওসহনশীলতা ছিল।সলিমুল্লাহর এত বড় হবার পেছনে তারও ভূমিকা আছে।সলিমুল্লাহর স্কলারশিপ পাবার পেছনে উনার অবদান ছিল।
সামগ্রিকভাবে আমাদের এই জায়গাতে সমস্যা।এই জিনিসটা আমাদের ইগোর কারণে হোক, ঈর্ষা, অদক্ষতা অসামর্থ্যতার কারণে হোক এপ্লাই করার সুযোগ রাখিনাই।আমি যা পারি নাই তা যখন আরেকজনকে অনায়াসে করতে দেখি,তা আর সহ্য করতে পারি না।এদিকে ঐ স্কিল অর্জন করার জন্য যে এফোর্ট দেয়া লাগবে তা দিতেও আমরা রাজি না।ফলে-ট্রল।আতেলীয় ছাতার নিচে নিজের অক্ষমতা,ধূর্তামীরে আড়াল করা।সৈয়দ শামসুল হক এক জায়গায় এমন টাইপ আলোচনায় বলেছিলেন-মূর্খতা আমাদের অহংকার,অলংকার।
কেউ যদি নিজেকে এতই কাবিল মনে করে, নিজের সামর্থ্য নিয়ে অহংকার থাকে,তাহলে নিজেই সরাসরি মাঠে নামে না ক্যান?প্রমাণ কইরা দেক আরেকজন ভুল।তা না কইরা গ্যালারিতে পপকর্ণ লইয়া বইয়া তামাশা দেখতেছ ক্যান?পিছনে গুতা মারো ক্যান? এই কথা কইলে দেখবেন মাঠ খালি কেউ নাই।তয় পেছনের ঝোপে কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল কইতে পারব।
কেউ ধরেন হুমায়ুন কাশেম বিন আবু বাকার বা এরকম দুয়েকজন সাহিত্যিকের বই ছাড়া জীবনে আর কারো বই পড়ে নাই।ধরেন তার প্রিয় লেখক হুমায়ূন।এখন সে যদি ৫০ জনরে পড়ছে এমন কারো সাথে হুমায়ূন লইয়া টক্কর দিতে গিয়া উস্টা খায়
সেই দায়ভার তার,তার কম পড়ার।তার বক্তব্যরে সার্বজনীনভাবে খারিজ করতে চাইলে তারে ত পইড়া মাঠে নামা লাগবি।
মুল বইয়ের চাইতে গাইড বই সবসময় বড় মোটা হয়।এইখানেও লোকের ঝামেলা।সে এত কথা শুনতে,পড়তে রাজি না।সে চায় রায়,সে চায় সরাসরি কোন পীরের মুরিদ হতে।তার কাধে হাত রাইখ্যা সে পুলসিরাত পার হইতে চায়।রাসুল (স),সাহাবীদের ব্যাখ্যা না লাগলেও তার লাগে। ইমাম আবু হানিফার মাজহাব না লাগলেও তার লাগে।কোনটা হালাল হারাম জানতে তার হুজুর লাগে। তার খামতির জন্যই এইসব তার লাগতেছে।জানার মত জানলে সে নিজেই ইমাম হইত।এতসব ব্যাখ্যার ত দরকারই হইতাছে তারে উপযুক্ত বানানোর জন্য।বরং রিয়েল আতেলরা কমই বলে।যে কোন টপিকে স্পেশালিষ্ট যদি ১০০ লাইন কয়,আম্নজনতা ১০০০ লাইন বলেও তার কোন কুলকিনারা করতে পারবে না।
যেহেতু জনতার জোর আছে,সেই বলে সে কোন জ্ঞানীরে আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করতেই পারে।যুগে যুগে এইটাও কম হয় নাই।
একই সাথে কিছু আমজনতা আরেক ট্রিক্স ও খেলে।কমতি ঢাকতে আউলফাউল নানাকিছু কয়,সবসময় কনট্যাক্সের বাইরে আলোচনারে নিয়ে যায়।ক্রিকেট বিষয়ক আলোচনায় কোন কোন সঞ্চালকরে মাথা ঘামাইতে দেখা যায় কার চুল লম্বা বাইট্ট্যা কে কাল রাইতে ড্রেসিংরুমে কি ফাইজলামি করছে এসব নিয়া।যে বস জানে সে যে পদে বসে আছে- আসলে he is not fit for the post তার তর্জন গর্জন আতেলীয়পনা বেশি হইবই।
পৃথিবীর শুরু থেকেই দেখবেন দেবতা হার্মিস টাইপের লোকেরা প্রশ্নকে ভয় করে ১০০ হাত দূরে থাকার চেষ্টা করেছে।দার্শনিক,রাজনীতিবিদ,বিজ্ঞানী,কবি,নবী সবাইকেই আতেল সহ আরো নানাবিধ উপাধীতে ভূষিত হতে হয়েছে।হার্মিস জানে
হি ইজ নোবডি। তাই ঠেনে ধরে ঠাকুর নামাও।নিজের লেভেলে নিয়ে আসো।কিন্তু প্রশ্ন সবসময় মানুষের চাইতে শক্তিশালী এমনকি যে বিশ্বাসী হার্মিসরা এসব করে তারা কবরে যাওয়া মাত্রই, আরবিতে প্রশ্নের সম্মুখীন হবে তা কি তাদের মনে মনে থাকে না?ইহকালে যদু মধু রাম সাম হুমকি ধামকি গুগল মামার উপর পার পেয়ে গেলেও ঐখানে কোন ছাড়াছাড়ি নাই।কোন উম্মাদের রেফারেন্স তারে পারবে না বাঁচাতে।
আইন আদালতের ভাষ্য ,উকিলের জেরা ইত্যাদির ভাষা খেয়াল কইরেন।মনে হইতেই পারে,খুললাম খুল্লা কইয়া দিয়েই হয়।কিন্তু পুরা দুনিয়ার নিয়ম নীতির ভাষা এমন ঘোড়েল কেন?কারণ ছাই দিয়া কই ধরা লাগে।কেউ যদি এসব ধরতে না পাইরা আজাইরা হাসাহাসি করে এইটা তার আবুলিয়তের ব্যাপার।নিজেরে উদাম কইরা দিয়া রাজা বনতে কোন আমলেই মানা আছিল না।
খাসলত বজায় রাইখা হাতে তালি বুকে ফুয়ে তাই সাধন হবে না।ভিক্ষুর কাছে যেমন কোন নারীর সন্তান চাওয়া অর্থহীন।
যাই হোক -আতলামি থেকে মুক্ত হবার সরাসরি দাওয়াইও আছে।নিজের সীমাবদ্ধতাকে স্বীকার করে সামর্থ্য বাড়ানো।প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর দেয়ার জ্ঞান যোগ্যতা অর্জন করা।আচল ছাইড়া ঘুরতে শিখা।বাইন মাছের মত পিছলা না খাওয়ার চেষ্টা করা। যোগ্য লোকের ঠাকুর ঘরের কলা আমি একাই খাইব তোমাদের দিবনা বলতে কোন সমস্যা হয় না।ঘুরিয়ে পেচিয়ে আসকারদিঘী দিয়ে লালদীঘি যাওয়ার চেষ্টা করলে লোকেও তারে আসকারদিঘী থেকে নিউমার্কেট ঘুরায়ে লালদিঘীতে আনার চেষ্টা করবে।আইন যে কঠিন।লোকে বাধ্য হইয়া সেই কঠিনেরে ভালবাসিবে।আরবীয়রা বলে-কামা তুদিনু তুদান।মানে যেমন কর্ম তেমন ফল।
আতেলকাননের আঁতেলদের মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে আলোচিত গদ্যটি রম্য ও ভাঁড়ামির ভারসম্য বজায় রাখতে পেরেছে।
হাহাহা।সবাই চমৎকার সব মন্তব্য করেছেন।জাফরুল মবীন ভাই,মাইনুদ্দিন মইনুল ভাই,সত্যপীর ভাই,কুনোব্যাঙ ভাই, ঠাকুর মাহমুদ ভাই, জেন রসির গল্প, বিদ্রোহী ভৃগু্র কমেন্টকৃত কবিতায় বাড়তি ভাল লাগা রইল।এই সংকটকালে সবার জন্য দোয়া ও ভালবাসা রইল।
আপনি সবসময় পোলাও এর সাথে ফিরনি দিয়ে থাকেন।উপভোগ্য বটে।যাত্রাবনীর মত কিছু গল্প লিখেন। চাইলে পারবেন।
মন্তব্যের যে কোনরুপ ত্রুটি নিজগুণে মার্জনা করিবার অনুরোধ রইল।
এই করোনাকালে আল্লাহ সবাইরে ভাল রাখুক।সুস্থ রাখুক।
ভাল থাকেন প্রিয় জাদিদ ভাই।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
দারুন পোষ্ট থুক্কু মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বদ্দা!। অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে। + +
তবে, এতক্ষনে ভাইরাসটির ভয়াবহতা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হইল, এটাই যা দুশ্চিন্তা! B:-) B:-)
যাই প্রার্থনা করে আসি। আশা করি প্রার্থনায় খুব বিলম্ব হয় নাই।
সবাই নিরাপদ ও সুস্থ থাকুক। ব্লগ হোক প্রাণবন্ত আড্ডা, মন্তব্য ও সুষ্ঠ সমালোচনার জায়গা।
৪৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৩
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই কারণেই সক্রেটিস বলেছিলেন- নিজেকে জানো।
জানলে অনেক আগেই ভয়াবহতা ধরতে পারতেন
মধ্যরাত পর্যন্ত টাইম আছে স্বাভাবিকভাবে প্রার্থনার।
মাকরুহ হিসেবে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পড়তে পারবেন।
নামাজ শেষে আল্লাহু শাফী আল্লাহু মাফী ২০ বার পড়লে আমলে বরকত আশা করা যায়।
দোয়ায় রাইখেন
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সেটাই জানি না দেখে তো ধরতে পারলাম না। হাহাহাহ।
অনেকদিন আপনি গল্প লিখেন না ব্লগে, একটা সুন্দর গল্প লিখেন। আপনি একজন লেখক।
আপনার অনেক পাঠক আছে। তারা নিশ্চয় প্রত্যাশা করে।
৪৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৮
জেন রসি বলেছেন: রম্য ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম B:-) একই সাথে ভাইরাসটার ভয়াবহতা টের পেলাম।
একি শুনালেন! ভাইরাস কি পোস্ট থেকে ছড়িয়ে পড়েছে? আপনি সংক্রমিত জেনে খুব ভয় পাচ্ছি! প্লাজমা থেরাপি কি এক্ষেত্রে কাজ করবে? কে আছেন এমন ব্লগার এ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আবার সুস্থ হয়ে গেছেন? বলুন তাকে ধরে নিয়ে আসি।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৫৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রাজিব নূর ভাইকে বলে রেখেছি। উনারটা দিয়েই কাজ চালাবো।
৪৯| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০২
জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজিব নূর ভাইকে বলে রেখেছি। উনারটা দিয়েই কাজ চালাবো
রাজীব নুর বলেছেন: প্লাজমা !!!
আমাকে মাফ করেন।
আমি নির্বাসনে চলে যাবো তবু ''প্লাজমা'' জনিত কো্নো কিছুর আগে পড়ে থাকতে চাই না।
আগে পরে ভরসারা খুন! বিপদ!
সেকি একাই হারাধনের একটি ছেলে?
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অবস্থা তো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখি!!
৫০| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৫
মাহমুদ রহমান (মাহমুদ) বলেছেন: প্রার্থনা(নামাজ) সম্পূর্ণ হয়েছে,জাদিদ ভাই?
নোটিফিকেশনে সংখ্যা দেখাচ্ছে,কিন্তু কোন পোষ্টের মন্তব্যের উত্তর পেলাম তা দেখাচ্ছে না।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:২৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: মাহমুদ ভাই, আমার এক ফ্যামিলি মেম্বার খুবই অসুস্থ। উনার জন্য প্লাজমা খুঁজছি আর অনলাইনে চোখ রাখছি। আসলে এখন প্রার্থনারই সময়।
নোটিফিকেশন এররটা খুবই বিরক্তিকর, আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এখানে আসলে কিছুই করতে পারছি না।
৫১| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৭
জেন রসি বলেছেন: লেখক বলেছেন: অবস্থা তো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখি!!
বলেন কি ভাই? ভাইরাস কি খুব বেশি সক্রিয় হয়ে গেছে?
ভরসা হারাবেন না। এক রাজিব নূর নির্বাসনে, লক্ষ রাজিব নূর ব্লগে ব্লগে।
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
৫২| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩১
উম্মে সায়মা বলেছেন: যাক এতদিন পর আঁতেলের অর্থ জানলাম। আপনার বোন জিজ্ঞেস না করলে তো জানতেই পারতাম না৷ ভাগ্যিস.....
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৩৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমিন না বলে যাবেন না কিন্তু।
৫৩| ২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ১:৫৪
সুপারডুপার বলেছেন:
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মত আঁতেল ভাইরাসও সবাইকেই কম বেশি ধরে। পোস্টটি ও সবার মন্তব্য পড়ে অনেক মজা পেলাম। কিন্তু দুঃখ পেলাম যে, পোস্টে একজন আঁতেলের আসার পথে গাড়ি চাকা খুলে যাওয়ায় আর আসতে পারেন নি। আমার দুঃখ পাওয়াটা কাল্পনিক। কারো সাথে মিলে নিতান্তই কাকতালীয়।
কাভা ভাই মাঝে মধ্যে এই রকম মজার পোস্ট দিবেন।
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। আমিও উনাকে মিস করছি। কিন্তু উনিও জানেন, আমিও জানি - নীতিমালা সকলের জন্য সমান। উনি আমার প্রচন্ড প্রিয় ব্লগার হলেও আমি দায়বদ্ধ।
ভালো থাকবেন। আপনার মেইল পেয়েছি। আমি যোগাযোগ করব দ্রুত।
৫৪| ২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:২২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার কাল্পনিক বোন আঁতেলের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করে সঠিক প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন এবং আঁতেলীয় বৈশিষ্ট অনুধাবনের প্রচেষ্টার সূত্রপাত করেছেন। তবে আঁতেল কাকে বলে সে সম্পর্কে আপনার ছোট এক লাইনের সংঘার কথা শুনে
তিনি নীজকেসহ আপনাকে যতার্থ পন্ডিতের আসনে বসিয়ে তথাকথিত আঁতেল অভিধা থেকে মুক্ত করেছেন । তার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আপনি গল্পচ্ছলে দার্শনিক দৃষ্টিকোন হতে আঁতেলের সংঘাসহ এর বৈশিষ্টগুলি সুন্দর করে তুলে ধরেছেন লেখাটিতে । গ্রীক দার্শনিক থেলিসের পানিদর্শনের কথাও উঠে এসেছে লেখার একটি জায়গায় ।পানিই যে সমস্ত বস্তুর উৎপত্তির উৎস, পানিই যে দ্রব্যের মূল ও আদি উপাদান- এই কথাসম্বলিত থেলিসের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণযুক্ত বক্তব্যটিইতো মুলত পানিদর্শন (Water Philosophy) .
আপনার পোষ্টে থাকা এই পানিদর্শন এর প্রভাবে আমার আজকের সারাটি দিন গেছে পানিদর্শন ও এর ডালাপালা যথা গ্রীক ট্রেডিশন, ইন্ডিয়ান ট্রেডিশন ,সিরিমনিয়াল ট্রেডিশন, প্রভৃতি অনুসন্ধানে। এই কাজের ফলে আমার পরশ পাথর প্রাপ্তি প্রসঙ্গে সামুতে পোষ্টের জন্য অপেক্ষাধীন পরবর্তী পর্বের জন্য অনেক গুরুত্বপুর্ণ উপাদান পেয়েছি। এজন্য রইল আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা।
থেলিস যেমন কিছু যুগান্তকারী উপপাদ্যের জনক আপনিও তেমনি আঁতেল- একটি ভয়াবহ ছোঁয়াচে বুদ্ধিজীবি ভাইরাস বলে একটি থিওরির জনক হয়ে গেছেন।
আঁতেল বিষয়ে আপনার উদ্ভাবিত থিওরির প্রেক্ষিতে আমার একটি ব্যক্তিগত অভিমত( আপনি একমত হবেন না কিনা
জানিনা )আছে । তাহল আঁতেলের আভিধানিক অর্থধারী বিদ্ধান বা পন্ডিতগন কখনো নিজকে আঁতেল ভাবেননা কিংবা আঁতেল হিসাবে অভিহিতও করেন না । তাঁদের কথাবার্তা চালচলন যখন বুঝে কিংবা না বুজে কারো কাছে অতিরঞ্জিত বলে মনে হয় তখন অন্যরা তাদেরকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোন হতে তারস্বরে আঁতেল হিসাবে ডাকেন ,ভাবখানা এই যে তুমি পন্ডিতের থেকেও আমিও কম জানি কিসে ,আমিউ কম আঁতেল নই । প্রকৃত পক্ষে এরকম লোকদের আঁতেলগিরিই ভাইরাল হয়ে ভইরাসে পরিনত হয়।
শুভেচ্ছা রইল
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভাইয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এই পোষ্টে মন্তব্যের জন্য। আসলে এটা একটি রম্য পোষ্ট। এর পোষ্টের পেছনের ঘটনা হচ্ছে - আমার ছোট বোন সারাদিন ঘরে বসে বই পড়ে। ভালো কথা। মাঝে মাঝে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে পর্যন্ত যেতে চায় না। সেই কারনে মা রেগে গিয়ে বললেন, এই তুমি কি আঁতেল হইছ? সারাদিন কি কর এতো??
পরে বোন জানতে চায়, আমিও পরে দেখলাম - আরে এমন তো আমাদের আসেপাশে কম বেশি আছে। তবে সাধারন প্রেক্ষিতে বা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে যারা অপাত্রে জ্ঞান ফলাতে আসে তাদেরকে আমরা আঁতেল বলি। যেমন ধরুন, ইতিহাস, সাহিত্য, পৌরানিক বিষয়ে আমার অনেক কম জানা আছে। এখন কেউ যদি এই সব নিয়ে আমার সাথে গভীর আলাপে যেতে চায় - তাহলে আমার অবস্থা হবে অন্ধের হাতি দেখার মত আর কি। সেই কারনে এই মজা করে এই ব্যাপারে জানালাম।
আর থেলিসের কথা যে বললেন, এটাও কিছুটা কাকতালীয়। একটা বিষয়ে খুঁজতে গিয়ে পেয়েছি। দর্শন নিয়ে আমার কিছুটা আগ্রহ আছে। জানতে পারলাম, এই দার্শনিকের মাত্র দুইটা উক্তি অক্ষত অবস্থায় আমরা জানতে পেরেছি। একটি হলো, "সবকিছুই ঈশ্বরে পরিপূর্ণ" এবং অন্যটি "সবকিছুর আদিমতম উপাদান হচ্ছে জল'' ফলে লেখাতে পানির প্রসঙ্গটি আনতে গিয়ে উনার উক্তিটি ব্যবহার করেছি।
ব্যক্তিগতভাবে থেলিসের উক্তিটিকে বা এই দর্শনকে আমার সত্য বলেই মনে হয়েছে। বিজ্ঞানীরা তো প্রায়ই বিভিন্ন গ্রহে পানির অনুসন্ধান করার চেষ্টা করে। তাদের মতে পানি থাকলে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে। পবিত্র কোরানেও বলা আছে, ' আর প্রাণবান সমস্ত কিছু সৃষ্টি করলাম পানি থেকে ( সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৩০)। আরো চমকপ্রদ বিষয় হলো - থেলিসের জন্মকাল হচ্ছে (৬২৪ - ৫৪৬ খ্রিঃপূঃ) আর কোরান নাজিল হয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
ফলে এই সব দর্শন ও চিন্তাভাবনার মধ্যে অনেক কিছু জানার আছে, শেখার আছে। আপনার পোষ্টের জন্য অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন মন্তব্যের জন্য।
৫৫| ২৩ শে জুন, ২০২০ ভোর ৪:৫৪
মা.হাসান বলেছেন: ছাত্র অবস্থায় ভানুর সংজ্ঞা শুনেছিলাম- ইন্টেলেক্ট যাদের চোয়ালে এসেছে এনারা ইন্টেলেকচুয়াল। এর পর অনেক পানি গড়িয়েছে, কয়েক যুগ চলে গেছে। ওনাদের ইন্টেলেক্ট এখন আর চোয়ালে আটকে নেই , কোমরের কাছাকাছি কোথাও জমে আছে, কোথায় অনুমান করে নেন (আমি একটু জেন্ডার বায়াসড হয়ে গেলে মাইন্ড করবেন না)।
আমি ব্লগে ঘুরাঘুরি শুরু করি ২০১৮র শেষের দিক থেকে। ঐ সময়ে ব্লগে খুব একটা আঁতেল চোখে পড়তো না, কবিতা এড়ালেই আঁতেল এড়ানো সম্ভব হতো। ইদানিঙ অপদ্যের মধ্যেও একাধিক আঁতেল দেখছি, সে তুলনায় পদ্য অনেক বেশি নিরাপদ মনে হয়।
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! আপনি কিঞ্চিত দুষ্ট আছেন ভাই।
আমাকে একবার একজন প্রথিতযশা কবি বললেন, তিনি ১২ বছর ধরে কবিতা লিখে যাচ্ছেন। আমি অপার বিষ্ময়ে বললাম, এত বড় কবিতা কে পড়বে? ১২ বছর ধরে কবিতা লেখা তো সহজ কথা না। কোন ব্রেক নিয়েছিলেন?
তিনি আর তেমন কিছুই বলেন নি। সম্ভবত, আমি এখন আর তার বন্ধু তালিকায় নেই।
৫৬| ২৩ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:১৮
রুদ্র আতিক বলেছেন: হ ছোট বইনে ঠিকই কইছে, আপনিও আঁতেল !
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যাক ভাই, আপনি নিরাপদ আছেন জেনে আমি আনন্দিত।
৫৭| ২৩ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩১
পদ্মপুকুর বলেছেন: চন্দ্রীলকে আমার খুব পছন্দ। ইউটিউবে তাঁর ডিবেট, বক্তব্য শুনি।
১১ নম্বর কমেন্টে সত্যপীরবাবার মন্তব্য যথার্থ। আমি যখন দেশের বিভিন্ন টকশোতে সলিমুল্লাহ খানকে দেখি, তখন অন্য আলোচকদের মৌখিক পতিক্রিয়া দেখতে খুবই মজা লাগে। বিশেষ করে যখন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে তিনি আলোচনায় আসেন। কারণ রাজনৈতিক নেতারা সাধারণত দেশীয় আসপেক্টে কথা শুরু করেন, অন্যদিকে সলিমুল্লাহ খান শুরু করেন ওই সত্যপীরবাবার নোয়াম চমস্কি থেকে। উনি তো আরও এক ডিগ্রি উপরে। মাঝে মধ্যেই ফরাসী বলা শুরু করেন।
যদিও আমরা আঁতলামী বা আঁতেল কিছুটা নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার করি, যদিও তাঁরা নিজের অর্জিত জ্ঞান আজাইরা ফলাইতে চান, তবুও আঁতেলদের কাছ থেকে দেশ জাতি উপকৃতই হয়, যেমন সলিমুল্লাহ খান।
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সলিমুল্লাহ খান একজন প্রকৃত আঁতেল বা বুদ্ধিজীবি - যাকে মানুষ আমন্ত্রন করে নিয়ে যায়। আর চন্দ্রীল তো আরো খাসা। তিনি মোটামুটি রসটস লাগিয়ে খুব কঠিন ভাবে আতলামি করেন, ফলে মাঝে মাঝে তিনি পার পেয়ে যান।
প্রকৃত আঁতেলদের থেকে দেশ উপকৃত হয়। আমার মত আঁতেলদের কাছ থেকে দেশের কোন খানা নাই।
৫৮| ২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার আর আঁতেল দুইটাই একসাথে হওয়া যায় না। আমার দুইটাই হতে ইচ্ছে করছে (আঁতেলের এত গুণ কীর্তন শুনে)।
২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সমস্যা নাই। আপনি হবেন 'ব্লগার সাড়ে আঁতেল'
হাহা - নামটা কেমন হলো বলেন?
৫৯| ২৩ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫২
পদ্মপুকুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: প্রকৃত আঁতেলদের থেকে দেশ উপকৃত হয়। আমার মত আঁতেলদের কাছ থেকে দেশের কোন খানা নাই।
মন খারাপ করবেন না, আপনার প্রো-পিকটা একদম পারফেক্ট আঁতেলের মত। প্রথমে দর্শনদারী, পরে গুণবিচারি.....
২৩ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। এটা অবশ্য এই প্রথম শুনলাম। এর আগে যদিও অনেকেই অনেক রকম ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আঁতেলের মত লাগছে এই প্রথম শুনলাম। হা হা হা।
৬০| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৭
শের শায়রী বলেছেন: আতলামির ইচ্ছা আমারো ষোল আনার ওপর দুই আনা, কিন্তু অল্প কিছুক্ষন পরই ধরা খাইয়া যাই না হয়, ফিক কইরা হেসে দেই, যা সম্পূর্ন আতেল পরিপন্থি হিসাবে বিবেচিত
লেখা ভালো হইছে আমার লাইকে তো আর পোষ্ট নির্বাচিততে যাবে না তাই বিনা দ্বিধায় লাইক মারলাম।
২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা! ধন্যবাদ ভাইয়া।
৬১| ২৪ শে জুন, ২০২০ রাত ১:১৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: উনিভার্সিটিতে সিরিয়াস টাইপ পোলা-মাইয়া যারা নতুন ইয়ার শুরু হওয়ার আগে বই কিনে পড়া শুরু করতো তাদের আঁতেল বলতাম।
২৪ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
৬২| ২৬ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৫
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা......
পোস্টখানা পর্যবেক্ষণে রাখা হইলো।
২৬ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আর রাইখেন না, এমনিতেই মুসিবতে আছি।
৬৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আতঁলামির ইচ্ছা অনেকের মাঝেই আছে
..................................................................
ধরা খাবার ভয়ে অনেকে প্রকাশ্যে স্বীকার করেনা ।
....................................... আতঁলামি যারা করে তাদের মাথায় কি ঘটে তাকায়ে দেখুন । ...............................
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আঁতেলদের প্রতি সম্ভবত আপনার টান আছে। বুদ্ধিজীবি ভাইরাস বললেন!
আপনি আপনার বোনকে গুগল করতে বলেছেন। আমিও একটূ গুগল করলাম আঁতেল নিয়ে।
আঁতেল অর্থ আসলেই বুদ্ধিজীবি!!!
সত্য কথা বলি- আমি আগে জানতাম না।