নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির আতিথেয়তা গল্প, পর্ব -২

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৯

বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কাজে বা চাকরীসুত্রে আমাকে প্রচুর ভ্রমণ করতে হয়েছে। আমি এই কাজটি আনন্দ নিয়ে করতাম, ভ্রমণ করতে আমার খুব একটা খারাপ লাগে না। এই চলার পথে আমার অনেক মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে, অনেক অঞ্চলের মানুষের সাথে মিশেছি, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি, রীতি রেওয়াজ, আতিথেয়তা দেখেছি। অধিকাংশই আমার কাছে খুব উপভোগ্য ছিলো। এর মধ্যে সবচেয়ে দাগ কেটেছে মানুষের আতিথেয়তা। আমাদের বাঙালিদের আতিথেয়তা গল্প নতুন করে বলার কিছু নেই, বিরুপ পরিস্থিতিতেও আমি এমন সব আতিথেয়তা মুখোমুখি হয়েছিলাম, যা বুঝি শুধুমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব। আমার এই ধরনের কিছু অভিজ্ঞতা নিয়েই এই সিরিজ।


আমার জন্ম হয়েছিলো আমার নানা বাড়িতে। আমার নানা বাড়ির স্থানীয় নাম দারোগা বাড়ি। আমার নানার বাবা বৃটিশ আমলে পুলিশে যোগদান করেন। বৃটিশ আমলের শেষ দিকে তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী পদন্নোতি পেয়ে ইন্সপেক্টর হন। ফলে তখন তিনি প্রায় পাঁচ একর জায়গার উপর একটি বিশাল বাড়ি নির্মান করেন। এই বাড়িটি আমার কাছে একটি স্বপ্নের বাড়ি বলে মনে হতো। বাড়ির সম্মুখে একটি বিশাল পুকুর, ভেতরে মহিলাদের ব্যবহারের জন্য আরেকটি ছোট পুকুর, সেই পুকুরের পাড় ধরে জলপাই গাছের বাগান ও বিভিন্ন জাতের পেয়ারা ও আমের গাছ লাগানো হয়েছিলো। বাড়ির ভেতরে এবং পেছনে ছিলো সুপারি বাগান, আনারস বাগান। আর উঠোনের বিভিন্ন স্থানে ছিলো ডালিম গাছ, কদবেল গাছ এবং আরো অনেক নানা প্রজাতির ফলের গাছ। বাড়ির সীমানা বরাবর খাল খনন করে সেখানে প্রায় দুইশ নারিকেল গাছ লাগানো হয় যা দুর থেকে দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগত।

আমার নানা এই বাড়ির মায়ায় পড়েছিলেন। ফলে আমার নানার ভাই ও বোনেরা যখন ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে ঘর বাড়ি করে প্রতিষ্ঠিত, তখন তিনি তাঁর বাবাকে অনুরোধ করে সেই গ্রামেই থেকে গিয়েছিলেন। আমার নানা ছিলেন একজন সরকারী ডাক্তার। অনেক মানুষ তাঁকে চিনতেন। আমরা শহর থেকে গ্রামে গেলে যখন বাজারে যেতাম, তখন বলা হতো ডাক্তার সাহেবের নাতি। তখন সবাই খুব বাড়তি আদর যত্ন করতেন। আমার এই নানা আমাকে কেন যেন অদ্ভুতরকম ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন। আমি এটার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারব না।

আমি ছুটি পেলেই গ্রামে চলে যেতাম। নানার সাথে মাছ ধরতাম, পুকুরে সাঁতার কাটতাম, সাইকেল চালাতাম। চোখ বন্ধ করলে আমি এখনও দেখতে পাই, আমাকে পিছনে বসিয়ে নানা বাতাস কেটে সাই সাই করে প্যাডেল মেরে এগিয়ে যাচ্ছেন আর আমি তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছি। আমি সাইকেল চালানো শিখেছিলাম তাঁর কাছ থেকে। আমার জীবনের অন্যতম সেরা স্মৃতি - আমি সাইকেলে কিছুটা নড়বড় অবস্থায় প্যাডেল দিচ্ছি, নানা আমাকে পেছন থেকে ধরে রেখে ধীরে ধীরে ধাক্কা দিচ্ছেন। একসময় আমি ব্যালেন্স শিখে ফেললাম, সাইকেল চালাতে শুরু করলাম। নানা আমার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছেন আর উত্তেজনায় চিৎকার করছেন। সেদিন সেই সাইকেল নানা আমাকে উপহার দিয়েছিলেন, আমি প্রচন্ড খুশিতে কেঁদে ফেলেছিলাম। নানাভাই হাসছিলেন। আমার জীবনের সব সুন্দর মুহুর্তগুলো বিকেল বেলায়ই ঘটেছে, সেদিনও একটা অদ্ভুত সুন্দর বিকেল ছিলো।

আমি গ্রামে গেলে ফিরে আসতে চাইতাম না। বায়না ধরেছিলাম আমাকে যেন গ্রামের স্কুলে ভর্তি করে দেয়া হোক। কিন্তু আম্মা আব্বার চোখের কড়া শাসন আর বকুনিতে আমাকে শহরে ফিরে আসতেই হতো। শহরে ফেরত আসার দিনে, আমাকে ট্রেনে উঠিয়ে তিনি জানালা দিয়ে আমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। ট্রেন চলতে শুরু করলেও তিনি আমার হাত ছাড়তেন না, হাটতে থাকতেন। ট্রেনের গতি বেড়ে গেলে তিনি দৌড়াতেন। একদম প্ল্যাটফর্মের শেষ মাথায় এসে হাত ছেড়ে দিতেন। আমি সারা জীবনই এই সময়টায় নানাভাই নানাভাই বলে কান্না করতাম। ট্রেনের মানুষজন অবাক হয়ে আমাকে দেখত। ঢাকায় ফেরত আসার পর কিছুদিন আমার কোন কিছুই ভালো লাগত না। খালি কান্না পেতো। আজ এই লেখাটা যখন লিখছি, তখন আমার চোখে পানি। লিখতে যাচ্ছিলাম, বাঙালির আতিথিয়তার গল্প কিন্তু কি যে লিখছি আমি তা জানি না।

আমার নানা মারা যান ২০০৭ সালের আগষ্ট মাসে। সবাই কান্না করছিলো, আমি কেন যেন কাঁদতে পারছিলাম না। আমার নানাকে আমি নিজ হাতে কবরে শুইয়ে দিয়েছিলাম। চারিদিকে প্রচুর মানুষ। কয়েকশ লোক তাঁর জানাজায় এসেছেন। তাদের প্রিয় ডাক্তার আর নেই। এমন কি আমি নানাকে কবর দিয়েই ঢাকায় চলে আসি। যখন ট্রেন ছাড়ছিলো, তখন আমার সব কিছু এলোমেলো হয়ে গেলো। আমার মনে হলো, হায় হায় আমার হাত ধরার মানুষটা তো চলে গেলো। বার বার মনে হচ্ছিলো, প্লীজ কেউ আমার হাতটা ধরুক। আমি হাউমাউ করে কেঁদে উঠলাম। ট্রেনের মানুষজন অবাক হয়ে আমাকে দেখতে লাগলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে ঢাকায় আসলাম।

এরপর থেকে কেন যেন, আমার আর নানাবাড়ি যেতে মন চায় না, গেলেও আগের মত আনন্দ পাই না। একটা অদ্ভুত শূন্যতা আমাকে ঘিরে ধরে। আমার এই নানা বাড়িতে এখনও আমার নানী একাই বসবাস করেন। বিশাল একটা বাড়িতে আমার বৃদ্ধ নানী, তার বৃদ্ধ এক সহকর্মী আর দুই একজন কাজের মানুষ নিয়ে বসবাস করেন। আমার নানা বেঁচে থাকতে নানীকে বলেছিলেন- আমি মারা গেলে তুমি টেনশন করবা না, কারো কাছে থাকবা না, আমার নাতির কাছে থাকবা। তাই আমি সুযোগ পেলেই আমার নানীর কাছে যাই। আমরা দুইজন মিলে নানার স্মৃতিচারন করি, গল্প করি। নানা হয়ত আমাদের পাশে নেই, কিন্তু আমাদের অন্তরেই আছেন।

আমি তখন চট্রগ্রামে কর্মরত। কয়েকদিন ছুটি পেলাম। ছুটিতে হঠাৎ মনে হলো, গ্রামের বাড়ি যাই, নানীকে সারপ্রাইজ দেই। গ্রামের বাড়ি যখন পৌছালাম, তখন সন্ধ্যা হয়ে গেছে। পুরো বাড়ি শুনশান। কুকুরের ডাকাডাকিতে বাড়ির কাজের লোক বের হয়ে আসলো। আগে বলে আসি নাই দেখে নানী কপট অভিমান করলেন। বললেন কি খাওয়াই বলো তো দেখি!

আমি হাত মুখ ধুতে পুকুরে গেলাম। হাত মুখ ধুয়ে বাড়ির কাজের লোকের সাথে গল্প করতে করতে ঘরে ঢুকে দেখি, নানী খাবারের আয়োজন করে ফেলেছেন। কই মাছ দিয়ে আলু মটরশুটির দোপেয়াজা, হাঁসের ডিম দিয়ে নারিকেলের ঝোল, পেঁয়াজ কলি দিয়ে আলু ভাজি আর জলপাইয়ের চাটনি। হা ভাতের মত কত যে ভাত খেলাম তার ইয়াত্তা নেই। খাওয়া শেষে নানীর জোরাজুরিতে গরুর দুধ দিয়ে ভাত খেলাম। নানী দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, তোমার নানাভাই বেঁচে থাকলে আমার সাথে খুব রাগ করত, তোমার জন্য মুরগী জবাই করি নাই দেখে।

আমিও দীর্ঘশ্বাস ফেলে নানীকে জড়িয়ে ধরে বসে রইলাম। তারপর অনেক রাত পর্যন্ত দুইজন মিলে গল্প করলাম। আমার পরিচিত কয়েকটা মেয়ের ছবি দেখালাম। জিজ্ঞেস করলাম, কোনটাকে পছন্দ হয়েছে কি না। নানী বললেন, একটাকে পছন্দ হয়েছে, তবে আরো দেখা উচিত। তারপর আরো কিছুক্ষন দুইজন মিলে দুস্টামি করে ঘুমাতে গেলাম। কোন একটা অদ্ভুত কারনে গ্রামে গেলে আমার খুব ভালো ঘুম হয়। এক ঘুমে রাত পার।

তারপর দিন ঠিক করলাম, নানীকে নিয়ে বেড়াতে যাবো। কোথায় যাওয়া যায় ভাবতে ভাবতে ঠিক হলো, নানীর এক দুর সম্পর্কের বোন আছে তাঁর বাসায় বেড়াতে যাবো। আমরা নানী আর নাতি মিলে খুব সেজে গুজে, কিছু মিষ্টি আর ফলমুল কিনে ঐ বাড়ীতে গেলাম। গিয়ে দেখি বাড়ীতে কেউ নেই, উনারা ঢাকায় গিয়েছেন। আমি আর নানী দুইজনই বেশ হতাশ এবং কিছুটা বিরক্ত। কারন এখন আবার এই সব জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ীতে ফিরে যেতে হবে। কারো জন্য উপহার কিনে সেটা বাড়ি বয়ে নেয়া খুবই যন্ত্রনাদায়ক একটি ব্যাপার। আমরা যখন ফেরত আসব, তখন পাশের বাড়ি থেকে একজন আমার নানীকে দেখে ডাকলেন। বললেন, আন্নে শেফালী আফা নঞ? ও বাবুরে কত্তদিন হরে আন্নেরে ছাইয়ের!
নানীও তাঁকে দেখে চিনলেন। বললেন, ও মাগো! জোৎস্নানিরে! কিয়ারে বাবুরে! তুই তো ছাই বুড়া হই গেছস, চুল হাকি গেসেগৈ।

দুইজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আবেগে আপ্লুত হলেন। যা বুঝলাম, আমার নানী আর এই নানীর বাপের বাড়ি পাশাপাশি। ছোটকালে এক সাথে খেলাধুলা, স্কুলে গিয়েছিলেন। বিবাহ সুত্রে তিনি আবার নানীর এই বোনের প্রতিবেশি হয়েছেন। নানী আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন। আমি সালাম দিলাম। বললেন, তুঈ, তুহিনের হোলা নি! তারপর নানীর দিকে তাকিয়ে বললেন, হুরাই তো ডাক্তার সাহেবের জোয়ান কাল। তারপর হেসে আমার গাল টেনে দিলেন।

আমরা যখন চলে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছি, তিনি চিৎকার দিয়ে বললেন, ছলি যানের মানে? হাগল হৈ গেছেন নি কোন! আন্নে নাতিরে লই আইছেন হপইল্লা বার, আর হুদা ছলি যাইবেন? এরই হুইঞ্চতি!! ইগো বুউজা, অ্যাঁর বাড়িত বুঝি দুগা ভাত নাই? কেমনও?

ততক্ষনে বাড়ির ভেতর থেকে উনার ছেলের বউয়েরা আর নাতিরা বের হয়ে চলে আসল। মানা করার কোন সুযোগই ছিলো না। আমি খুশি হলাম যে, অন্তত এই কেনা ফলমুল আর মিষ্টির একটা গতি হলো।

উনারা এই বাড়িতে বেশ কিছু পরিবার এক সাথে বাস করেন। ইতিমধ্যে আমি বাড়ির ছেলেমেয়েদের সাথে আড্ডা দেয়া শুরু করেছি। একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, গ্রামের মেয়েরা কিছুটা সহজ সরল যেমন হয়, তেমনি কিছুটা ইচড়ে পাকা স্বভাবেরও হয়। কথা বলার সময় ক্লাস সেভেন এইটে পড়া মেয়েরা কেমন যেন প্রেম প্রেম দৃষ্টিতে তাকায়। আমার শহরের বান্ধুবীদের কথা ভাবলাম। মনে মনে আমার বেশ হাসি পেলো।

আমার ঐ নানীকে দেখলাম তিনি আয়োজন নিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আমার জন্য ডাব পাড়ালেন। মুড়ির মোয়া, ডাবের পানি আর ডিমের পিঠা খেতে দিলেন। ডিমের পিঠাটা আমি নিলর্জ্জের মত দুইবার চেয়ে খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষ করতেই নানির বড় ছেলে আসলেন। তিনি স্থানীয় কলেজে শিক্ষক। তিনিও আমার নানীকে চিনতে পেরে আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। আমাকে একটা লুঙি দিয়ে বললেন, যেন আরাম করে বসি। লুঙ্গি পড়ার যখন সিদ্ধান্ত নিলাম, তখন ঐ মামাকে ডেকে বললাম, তাহলে পুকুরে সাঁতার কাটব। তিনি হই হই করে আমাকে উৎসাহ দিয়ে বললেন, খুবই ভালো কথা, তাহলে মাছও ধরা যায়।

আমাকে পানিতে নামতে দেখে বাড়ির আরো কয়েকজন ছেলেপেলে পানিতে নেমে গেলো। মামা হাক দিয়ে বললেন, এই তোরা দুপুরে আমার বাড়িতে খাইস! এখন ভালো করি মাছ ধর! আমরা ঘন্টা দেড়েক দাপাদাপি করে পুকুরের মাছগুলোকে আতংক গ্রস্থ করে দুইটা বিশাল সাইজের কাতলা আর ব্রিগেড মাছ ধরলাম।

তারপর কিভাবে যেন সময় কেটে গেলো। গোসল শেষ করে মসজিদে নামাজ পড়ে আসতেই দেখি খাবার রেডি। খাবারের মেন্যু দেখে আমি আতংকিত হলাম। পোলাউ, সাদা ভাত, মুরগীর সাদা কোরমা, গরুর মাংস, ডিম দিয়ে মাষ কলাইয়ের ডাল, কাতলা মাছের ঝোল, ব্রিগেড মাছ ভাজা আবার ভুনা, সহ আরো বেশ কিছু আইটেম।

আমি খেতে বসে বললাম, নানী আমি নিজে নিয়ে নিবো। কিন্তু এই কথা তিনি বুঝতে ব্যর্থ হলেন। কোন মতে সামান্য পোলাউ খেয়ে উনাকে শান্ত করে ভাতের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম। পুকুরে দাপাদাপির কারনে বেশ খিদে লেগেছিলো। কাতলা মাছ টমেটো আর সামান্য দুই একটা অদিনের শীম দিয়ে রান্না করা হয়েছিলো, সেটা ঝোল যে কি দুর্দান্ত স্বাদের হয়েছিলো, সেটা লিখে বুঝাতে আমি অক্ষম। আমাদের অঞ্চলে মাংসের তরকারী দিয়ে মাসকলাইয়ের ডাল খায়। অর্থাৎ যদি মাংস খান, তাহলে সাইড ডিস হিসাবে মসুরের ডালের চাইতে মাষ কলাইয়ের ডাল বেশি পছন করে। আর এই ডালে হাঁসের ডিম দেয়া হয়, ফলে একটা অন্যরকম স্বাদ পাওয়া যায়। আমি দুই পিস গরুর মাংসের সাথে একটু কলাইয়ের ডাল আর হাফ ডিম দিয়ে খাওয়া শেষ করলাম। এই প্রতিটা আইটেম আসলে স্বয়ংসম্পূর্ন। অর্থাৎ যে কোন একটি দিয়েই শান্তিমত কয়েক প্লেট ভাত খাওয়া যায়। কিন্তু সবগুলো এক সাথে হলে তখন কষ্ট হয়ে যায়। আমারও অবস্থা হয়েছিলো তেমন। খাওয়া শেষে পাতে দেয়া হয়েছিলো মহিষের দই আর শ্রী মিষ্টান্ন ভান্ডারের মিষ্টি। খাওয়ার পর নড়তে পারছিলাম না।

আমি লাজ লজ্জা ভুলে প্যান্টের বেল্ট খুলে বিছানায় গা এলিয়ে দিলাম। সবাই আমাকে দেখে হেসে উঠলো।

বিকালে যখন আমরা বাড়ি ফিরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি, তখন তারা কোনভাবেই আসতে দিবেন না, বরং রাতের বেলা থেকে যেতে বললেন। নানী বহু কষ্টে ব্যাপারটা ম্যানেজ করলেন, আমার কাজের দোহাই দিয়ে। কিন্তু ঐ নানী আসার সময় টিফিন কারীতে করে মুরগীর কোর্মা, গরুর মাংস আর ডাল দিয়ে দিয়েছিলেন। আমাকে দেখিয়ে বলেছিলেন, আমার নাতি খাইতে পারে নাই। এইগুলো রাতে খাবে।

যখন রিকশায় উঠছিলাম, তখন চোখে পানি নিয়ে আমাকে বিদায় দিলেন। বললেন, ভাইরে! আর কখনও আমার বাড়িতে আসবি কি না জানি না। তোরে কত ছোট দেখছিলাম। কি খাইসো না খাইসো জানি না। তারপর আমার পকেটে জোর করে ৫০০ টাকা গুজে দিলেন। বললেন, তুমি কিছু কিনে খাইও।

তারপর আমার নানীকে জড়িয়ে ধরলেন। অশ্রুসজল চোখে একে অন্যকে বিদায় দিলেন। আমরা কিছুটা মন খারাপ করে বাড়ির পথ ধরলাম। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে টিফিনকারী খুলে দেখি, কিসের গরুর মাংস আর ডাল!! ঐ নানী আমার জন্য হাঁসের মাংস আর পিঠা রান্না করে দিয়েছেন।

আমি প্রচন্ড আবেগ আপ্লুত হলাম। মনে মনে ভাবলাম- মানুষের এই ভালোবাসা শহর ধারন করতে অক্ষম। এই শহরে ভালোবাসা বহু আগেই পালিয়ে গেছে। এই শহরে মেহমান মানে বাড়তি যন্ত্রনা, একজন লোক দুপুরে এক্সট্রা খাবে শুনলে ভ্রু কুঁচকে উঠে না এমন পরিবার খুব কমই আছে। কত কিছু হিসাব নিকাশ করে বাসায় আনতে হয়, রক্ষা করতে হয় সোশ্যাল স্ট্যাটাস। আসলে এই শহরে সবাই টানাটানির জীবন, টোনাটুনির সংসার! এমন জীবন কি সত্যি আমরা চাই?

সেবার নানী থেকে বিদায় নিয়ে যাওয়ার সময় নানী আমার পিছে পিছে বাড়ির শেষ সীমানা পর্যন্ত এসেছিলেন। দুই চোখের জলে তিনি আমাকে বিদায় দিলেন। আমি রিকশায় করে বাস স্ট্যান্ডের দিকে রওনা দিলাম। রাস্তা থেকে আমার নানার কবর দেখা যায়। কবরের কিছু গাছের ফুল ফুটেছে। ফুলগুলো বাতাসে এদিক সেদিক দুলছে। রিকশা চলতে শুরু করার সাথে সাথে মনে হলো ফুলগুলোও দ্রুত দোলা শুরু করেছে। আমার মনে হলো, গ্রাম থেকে শহরে ফেরার সেই ট্রেনটা ছেড়ে দিয়েছে, নানাভাই প্ল্যাটফর্মের শেষ প্রান্তে আর আসতে পারছেন না। আমি চোখের আড়াল পর্যন্ত প্রবল বেগে হাত নাড়িয়ে আমাকে বিদায় দিচ্ছেন।

আমি ও হাত তুললাম, হাত তুলে পাগলের মত নাড়তে থাকলাম আর বলতে লাগলাম, নানাভাই! ও নানা ভাই!! আমি যাই কেমন

বাঙালির আতিথিয়েতার গল্প-১।

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +২৮/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি অনেক স্নেহের মাঝে বড় হয়েছেন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।

২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩২

রানার ব্লগ বলেছেন: এরা একবার হারিয়ে গেলে বড্ড কষ্ট হয়, এই ভালোবাসা গুলো অন্যরকমের! শুধুই ভালোবাসা, দেনা পাওনার হিসেব নাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৪৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমি নানার বাড়ি থেকে এসএসসি পাস করেছি । কিন্তু অষ্টম শ্রেণীতে থাকতে নানা মারা যায়। উনাকে আজও ভুলি নাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হুমম। আল্লাহ আপনার নানাকে জান্নাত নসীব করুন।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৬

সোহানাজোহা বলেছেন: আপনার নানাভাইকে আল্লাহপাক বেহেস্ত নসীব দান করুন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৩৯

ওমেরা বলেছেন: শিরোনাম গ্রাম বাংলার আতিথিয়তার গল্প হলে বেশী ভালো হতো মনে হয় । শহরে যারা বাস করে তারাও তো বাঙালি কিন্ত তাদের ভিতর তো এটা নেই ।
লিখাটা খুব ভালো লাগলো ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ওমেরা। আসলে আমি গ্রামে ও শহরে অনেক জায়গায় হঠাৎ অনেক আন্তরিক আতিথিয়েতা পেয়েছি। কেউ পরিচিত কেউ পরিচিত! তাই আসলে গ্রাম আর শহরে ভাগ না করে জাতিগত ব্যাপারটাকেই ফোকাস করেছি।

৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়ছিলাম আর ভাবছিলাম মানুষের জীবনে কতোরকমের শুখের স্মৃতি থাকে,কিন্ত যখন ঘটে তখন কি এতটা শুখ অনুভূত হয়!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, আসলে কিছু সুখ তাৎক্ষনিক পাওয়া যায় না, কিছু সুখের অনুভবের জন্য 'অতীত' হওয়া প্রয়োজন।

৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:২৩

ঢাকার লোক বলেছেন: বেশ লম্বা লেখা দেখে ভেবেছিলাম একটু চোখ বুলিয়ে নেই, পরে পড়ব, কিন্তু কখন শেষ করে ফেললাম বুঝতেই পারিনি! সুন্দর স্মৃতি! আপনি সত্যই ভাগ্যবান!

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, এত বড় একটি লেখা পড়ার জন্য।

৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৫

ঢাকার লোক বলেছেন: তবে গ্রাম মানেই এমন ভাবলে সে ভুল! আপনার নানার বাড়ি বা নানির বান্ধবীর বাড়ির মত সচ্ছল পরিবার গ্রামাঞ্চলে এখনো হাতে গোনা! এর বিপরীতে দুবেলা ডাল-ভাত যোগাড় করতে হিমসিম খাওয়া পরিবারের সংখ্যা এখনো অনেক। বেশ আগে দেখা 'নিমন্ত্রণ' ছবিটা এখনো চোখে ভাসে।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না গ্রাম মানেই আসলে এমন নয়, দুই বেলা দু মুঠো ভাত খেতে হিমসিম হয় এমন পরিবারও দেখেছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, সুযোগ পেলে তারাও সাধ্যের সবটুকু দিয়েই আপ্যায়ন করবে। আমার এই সংক্রান্ত আগের পোস্টে তেমন একটা ঘটনা আছে। যদিও তাঁরা তুলনামুলক অবস্থাসম্পন্ন ছিলেন। কিন্তু আমি শহরে আমার এক বন্ধু বাসায় গিয়েছিলাম, যাদের আক্ষরিক অর্থে দু বেলা ডাল ভাত খেতে কষ্ট হতো। তাদের সেই আপ্যায়ন আমি এখনও ভুলি নাই।

৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১১

বিডি আইডল বলেছেন: গ্রামের লোকজনদের এইসব ভালোবাসার দেনা কোনদিন শোধ হবার নয়। অসাধারণ লাগলো।

নোয়াখালীর কোথায় বাড়ী?

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ভাইয়া! গ্রামের লোকজনদের এই সব ভালোবাসা আসলে শোধ হবার নয়। ক্ষেত্র বিশেষে আমি খুবই ভাগ্যবান।

আমার গ্রামের বাড়ি, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ি।

১০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৩

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার মতো অভিগতা অসাধারন।
সবার এমন ভাগ্য না রে ভাই।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ, ক্ষেত্র বিশেষে আমি খুবই ভাগ্যবান।

১১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার নানাবাড়ি সম্পর্কে জানলাম। কিছু স্মৃতি সময়ের সাথে সাথে মুছে যায়.....আর কিছু স্মৃতি আমাদের মনে এমনভাবে গেথে যায় যে, তা আমৃত্যু অমলিন থাকে।

আপনার লেখাটা পড়তে পড়তে ভাবছিলাম, আমার স্বভাবগত কিছু মন্তব্য করবো..........কিন্তু শেষ লাইনটা পড়ে মন কেমন যেন একটা বিষাদে ভারাক্রান্ত হলো। তাই আর কিছু লিখতে মন চাইলো না।

মহান আল্লাহ আপনার নানাভাইকে জান্নাতবাসীদের অন্তর্ভুক্ত করে নিন, এই দোয়া করছি।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ঠিক বলেছেন মফিজ ভাই। কিছু স্মৃতি আসলে হয়ত ভোলা যায় না। এই গুলো জীবনের সম্পদ হিসাবে রয়ে যায়! আনন্দের বিষয়ে আমাদের ব্লগের বেশ কিছু ব্লগার আমার নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন অবশ্য বাড়িটা তার যৌবন হারিয়েছে!

তবে খানা পিনা নিয়া আপনি নিশ্চিন্তে কইতে পারেন। হে হে!

১২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমার জীবনে আমি দেখেছি নানাজান নানীজান, দাদাজান দাদীজান অর্থই হচ্ছে বিশাল বড় মনের মানুষ। এরা সত্যিকার অর্থে পরিবারের গভর্ণর ছিলেন। পরিবারে হাসিখুশি ভালোবাসা কিভাবে ধরে রাখতে হয় তা তাঁদের জীবন থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। জীবন থেকে নেওয়া গল্প খুবই ভালো লেগেছে, বিদায় বেলা কেনো এমন করুণ কষ্টকর হয় তা আমারও প্রশ্ন?

আপনার নানাজানের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি, পরম করুণাময় আল্লাহপাক উনাকে বেহেস্ত নসীব দান করুন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ঠাকুর মাহমুদ ভাই। কৃতজ্ঞতা জানবেন। আসলে দাদাজান, নানাজান এরা হচ্ছে আমাদের বটবৃক্ষ!!

১৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কাল্পনিক_ভালোবাসা ভাই,
লেখাটি আমি প্রিয়তে রাখছি। প্রিয়তে রাখছি এই কারণে নানাজান নানীজান, দাদাজান দাদীজানের অনেক অনেক অবদান আছে আমার জীবনে। আপনার লেখা থেকে আমি কিছু লেখার অনুপ্রেরণা পাবো।

আপনার নানাজান ও নানীজানের জন্য দোয়া প্রার্থনা করছি।


০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আল্লাহ আপনার পরিবারের সকল মুরুব্বীদের হেফাজত করুক। তাদের প্রতি রইল আমার শ্রদ্ধা ও সালাম।

আপনার লেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
এখন মানুষ অনেক যান্ত্রিক। তবু কারো কারো অতিথি আপ্যায়ন মনে রাখার মত।

আপনার অভিজ্ঞতা দারুন।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী ধন্যবাদ। আসলে খাওয়া দাওয়া বেশি করালেই যে আপ্যায়ন ভালো হয় তা কিন্তু নয়। আন্তরিকতা বড় জিনিস।

১৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩০

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: গ্রাম বাংলার মানুষের অভাব অনটন থাকলেও আতিথেয়তায় তারা বিশ্বসেরা। আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে পড়তে হারিয়ে যাচ্ছিলাম, আপনি নিঃসন্দেহে ভাগ্যবান।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের গ্রামের মানুষগুলো খুবই আন্তরিক। আমি অবশ্যই ভাগ্যবান। আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার নানা-নানীর গল্প পড়ে নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হলাম। শৈশবের স্মৃতি ফিরে এলো। আপনি খুব ভাগ্যবান; আমিও যে নই তা নয়। আর আতিথেয়তা এই দেশের গ্রামগঞ্জের খুব পুরনো ঐতিহ্য; যদিও আমরা শহুরে জীবনে এমন আতিথেয়তার সাথে খুব একটা পরিচিত নই।
আপনার নানা-নানীর জন্য শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা আর আপনাদের মেজবান সেই নানীর জন্যও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। শুভেচ্ছা রইল।

১৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: শিরোনামে "আতিথিয়েতা" আসলে "আতিথেয়তা" হবে। ঠিক করে দিন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আবারও ধন্যবাদ। আমি সংশোধন করে দিয়েছি।

১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

আমি সাজিদ বলেছেন: লেখাটা পড়ে আমি একটু বেশীই আপ্লুত হয়েছি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ!

১৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

আমি সাজিদ বলেছেন: গ্রামে এমন আতিথেয়তা দেওয়া মানুষগুলো আস্তে আস্তে কমে যাচ্ছে। সামনে শহুরে ভাবধারার মানুষরাই মনে হয় গ্রামে থাকবে। প্রজন্ম একটা বিশাল ভূমিকা রাখে এই ক্ষেত্রে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:২৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা ভেবে আমি মাঝে মাঝে চিন্তিত হই। তাদেরকে উপহার দেয়ার মত কি আছে আমাদের কাছে?

২০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৩

নতুন নকিব বলেছেন:



লেখাটা লিখতে গিয়ে আপনার চোখ অশ্রুসজল হয়েছিল, বলেছেন। কিন্তু পড়তে পড়তেও তো একই অবস্থা। চোখ দু'টো কখন যে ভিজে উঠলো, আমিও তো টের পাইনি। চমৎকার লিখেছেন। আপনার যত লেখা পড়েছি, এই লেখাটা তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

আল্লাহ তাআলা আপনার নানা ভাইকে জান্নাতুল ফিরদাউসের শান্তিময় জীবন দান করুন। আপনার লেখার যোগ্যতাকে আল্লাহ পাক আরও শানিত করুন। +

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নকিব ভাই। আসলে এখন আগের মত লেখার উৎসাহ পাই না। তাও মাঝে মাঝে নিজেকে নিজে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করি। এই স্মৃতিগুলো হচ্ছে আমার জীবনের সেরা অর্জন! হয়ত একটা সময় এই স্মৃতিগুলো নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।

২১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার চোখে পানি এসে গেলো ভাইয়া। স্মৃতিকাতর মন পিছনে ফিরে যায় বারবার

:)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি আপা।

২২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৫

নিয়াজ সুমন বলেছেন: নানা, নানীর স্নেহ মমতা সবসময়েই ছিলো এবং থাকবে নাতি, নাতনীর জন্য।
আপনি পেয়েছেন। আপনি সৌভাগ্যবানদের কাতারে।
ওনাকে জান্নাতবাসী করুক।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হ্যাঁ। নিঃসন্দেহে আমি ভাগ্যবানদের কাতারে!

২৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: সহজ সরল ভাষায় দারুন আবেগময় লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে রাজীব ভাই!

২৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:২৫

সামিয়া বলেছেন: মধুর অভিজ্ঞতা

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ সামিয়া। আশা করি পরিবারের সবাই ভালো আছে।

২৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বাংগালীর ধীরে ধীরে অতিথীপরায়নতা ভুলে যাচ্ছে এবং যান্ত্রিক হয়ে উঠছে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার এবং সামনে আমাদের নতুন প্রজন্মদের জন্যও চিন্তার বিষয়। কিন্তু কৃত্তিমত্তা আমাদেরকে এত বেশি জাপ্টে ধরেছে যে এর থেকে মুক্তি পাওয়া ভীষন কষ্টের।

২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০০

জুন বলেছেন: কেমন মন খারাপ করা এক লেখা যাতে মিশে আছে গভীর ভালোবাসা। গ্রামের সেই মেঠো আদরও মনে হয় আজকাল ফুরিয়ে আসছে কাল্পনিক কারন আদর করার লোকগুলো সব একে একে চলে যাচ্ছে। আমার দাদার কথা মনে পরলো। সন্ধ্যার ঝুঝকো আধারের মাঝে আমাদের ছই আলা নৈকাটা খাল বেয়ে দাদা বাড়ির ঘাটে ভিড়তো। আব্বা বাজান বাজান বলে ডাকের সাথে সাথে হারিকেন হাতে দাদার পরিমরি করে দৌড়ে আসা _----
অনেক ভালো লাগা রইলো।
+

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: লিখতে গিয়ে আপা আমারও অতীতের কথা মনে হয়েছে, আমি স্মৃতি কাতর হয়েছি। আসলে যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ।

আপনার বাবা, দাদা সকলের প্রতি রইল আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা।

২৭| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


মনযোগ দিয়ে আথিথেয়তাময় স্মৃতি কথামালা পাঠ করলাম ।
বাংগালীর আথিথেয়তার একাল সেকালের কিছু বাস্তব চিত্র
লেখাটিতে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে । লেখাটি পপাঠে
আমার স্মৃতিকেও নিয়ে গেছে অনেক পিছনে । এ পোষ্টের
কথাই কথাই যেন বলে গেছে । লেখাটি প্রিয়তে তুলে
রাখলাম ভাল লাগার কারণে ।

শুভেচ্ছা রইল

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় আলী ভাই! আপনি পড়েছেন জেনে আমি আনন্দিত।

২৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:



খেয়েও আসা হয়েছে আবার ৫০০ টাকাও ? B:-) বাহ !
শুরুতেই নানা বাড়ীর যে বর্ণনা, পড়েই মনে হচ্ছে সেই জলপাই, পেয়ারা, আম বাগানে কিন্তু একটা সামু পিকনিক হতেই পারে, আফটার অল কাভার নানা বাড়ী ।

এমন সব মজার মজার উপাদেয় খাবারের বর্ণনা, এটা কিন্তু ঠিক না কাভা ! X((
কেউ খাবে আর কেউ খাবে না , তা হবে না তা হবে না । ভাগ্য ভালো এটা অতীতের ঘটনা , তা না হলে বলতাম, হে ভগবান একটা পোকা যাস পেটে ওর ঢুঁকে ।

গ্রামের মানুষের সরলতা আর আতিথেয়তা আমাকে সব সময়ই মুগ্ধ করে । ওরা অনেক সরল বলেই ওদের আতিথেয়তায় কোনও কার্পণ্য থাকে না ।

কাভা এতো আবেগ দিয়ে এতো সুন্দর লিখতে পারে, আগে এরকম পড়িনি । সত্যিই লেখাটা স্পর্শ করেছে ।



০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আনন্দের বিষয় আমার গ্রামের বাড়িতে বেশ কিছু ব্লগার গিয়েছিলেন। কেউ শীতে গিয়েছিলেন, কেউ আবার বর্ষায়।

খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে আমি বরাবরই উৎসাহী। আর এই ধরনের বাংলা খাবার হলে তো কোন কথাই নেই। আসুন সপরিবারে বা বন্ধু সমেত আমার গ্রামের বাড়ি ঘুরে যাবেন। সাগর আছে, নদী আছে, দ্বীপ আছে, এমনকি রোহিঙ্গাও আছে হা হা হা।

২৯| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সত্যি ই বয়স এগুচ্ছে আর স্নেহের দৃষ্টিগুলো সব দৃষ্টির আড়লে চলে যাচ্ছে :( অপূর্ব মমতা ভরা লেখা।

আমার ছাত্রজীবনে খন্ডকালিন চাকুরীর সুবাদে এমন কিছু মমতা ভরা গল্প আছে। যাদের সাথে পরিচয় ছিল না, এবং জীবনের আরদেখা হবার ও সম্ভাবনা নেই। এমন সব পরিবারে স্মৃতিতে রেখে দেয়ার মত কিছু অতিথিয়তা পেয়েছিলাম।

লেখায় ভালোলাগা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপা জানেন, এই যে আপনাদেরকে আপা ডাকি, আপনারা স্নেহ করেন, ভালোবাসেন, এটার মুল্য আমার কাছে অনেক বড়। আফসোস কি জানেন, বর্তমানে এই মুল্যবোধগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এটা আমার খারাপ লাগে।

মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপা।

৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর একটা লেখা।নানাজানের অকৃত্রিম ভালোবাসা ২০০৭ সালে শেষ হয়ে গেছে পড়ে খুবই খারাপ লাগছিল। মনে হলো আমিই যেন সেদিন ট্রেনে করে বিদায় নিচ্ছি আর উনি বাইরে গা স্পর্শ করে ছুটতে ছুটতে প্লাটফর্মের শেষ পর্যন্ত এলেন। ওনার চলে যাওয়া ওনার উপস্থিতি ভীষণ করে হৃদয়ে ধাক্কা দিয়ে গেল আপনার লেখনীর গুণে।

চট্টগ্রামে কর্মরত অবস্থায় নানীকে সঙ্গে নিয়ে আরেক নানীকে বাসায় না পেয়ে নানীর শৈশবের বন্ধুকে পেয়ে অতিথিয়েতা গ্রহণ ও সুন্দর পারিবারিক উপভোগের পর্বটি বেশ‌ লাগলো। আপনি বিনয়ী লজ্জা করে খেয়েছেন বলে ঐ নানী আবার রাতের খাবার পাঠালেন সঙ্গে ৫০০টাকা দিয়ে বাইরের পছন্দ মত জিনিস কেনার কথা বলাতে গ্রামবাংলার মানুষের শাশ্বত সরলতা, অকৃত্রিম ভালোবাসা,সততা প্রকাশ পেল। কিন্তু আজ এমন আপ্যায়ন এক কথায় অস্তমিত। শহরের যান্ত্রিকতা গ্রামীণ সংস্কৃতিকেও গ্রাস করেছে। স্মৃতিকথায় মুগ্ধতা।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় পদাতিক ভাই, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য আমি দুঃখিত।
আসলে আমি যত বড় হই না কেন, যেখানে যাই না কেন, গ্রাম থেকে ফেরত আসার ঐ দৃশ্যটি কখনও ভুলতে পারি না। সেই অন্তরের হাহাকারও এখনও বুকে আছে।

আসলে অনেক খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করলেই যে মন তৃপ্ত হয় তা কিন্তু নয়, শুধু ডাল দিয়ে ভাত খেলেও মনটা আনন্দে ভরপুর হয় যদি সেখানে আন্তরিকতা থাকে। আমরা এমন সোনার দিন ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছি। আমাদের জীবনে বাসা বাঁধছে কৃত্তিমত্তা আর জটিলতা।

৩১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই স্মৃতি শেকড়ের
এই স্মৃতি খাঁটি বাঙালী আতিথেয়তার
এই স্মৃতি নিখাঁদ প্রেমের
এই স্মৃতি আন্তরিকতায় ভরা হৃদয়বান মানুষের...

পাষান নগরের ইট কাঠ পাথরে কোথায় খুঁজে পাবেন? ভায়া
মনে হলো যেন সত্তর দশকের দারুন প্রেমময় এক স্মৃতিচারণের চলচ্চিত্র দেখলাম!
ভায়া কাল্পনিক হলেও বর্ণনা গুলোয় যেন জীবন্ত প্রতিটি চরিত্র, ঘটনা, অনুভব . . .

নানাজানের জন্য আন্তরিক প্রার্থনা রইলো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:৩৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় ভৃগু ভাই। ইদানিং আপনাকে ব্লগে দেখি না।

পাঠক হিসাবে পড়ে আপনি আনন্দ পেয়েছেন, এটা আমার জন্য দারুন আনন্দ!

৩২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০২

রামিসা রোজা বলেছেন:

স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা পড়ে নস্টালজিক হয়ে গেলাম ।
আমরাও যখন ছোটবেলায় নানাবাড়ি দাদা বাড়ি যেতাম
বাসায় ফিরে এসে অনেক কান্নাকাটি করতাম আর চিঠি
লিখতাম ।
ট্রেন চলতে শুরু করলেও তিনি আমার হাত ছাড়তেন না,
হাটতে থাকতেন --মুরুব্বিদের নিখাদ স্নেহ আদর পাওয়া
ভাগ্যের ব্যাপার ।
লেখাটা পড়ে অনেক ভালো লাগলো ।

৩৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৫১

ঢুকিচেপা বলেছেন: গর্ব করে মনে রাখার মতো আপনার অতীত স্মৃতিমালা।
অসাধারণ বর্ণনায় চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে প্রতিটি মুহুর্ত।
সাইকেল চালানো শেখা এবং ঐ সময় সাইকেল উপহার পাওয়া মনে রাখার মত বিষয়।

কিছু মুহুর্তের অনুভূতি প্রকাশ করা সম্ভব নয় এমন কিছু লাইন
“একসময় আমি ব্যালেন্স শিখে ফেললাম, সাইকেল চালাতে শুরু করলাম। নানা আমার পিছনে পিছনে দৌড়াচ্ছেন আর উত্তেজনায় চিৎকার করছেন।”

“ট্রেন চলতে শুরু করলেও তিনি আমার হাত ছাড়তেন না, হাটতে থাকতেন। ট্রেনের গতি বেড়ে গেলে তিনি দৌড়াতেন। একদম প্ল্যাটফর্মের শেষ মাথায় এসে হাত ছেড়ে দিতেন।”

“কি খাইসো না খাইসো জানি না। তারপর আমার পকেটে জোর করে ৫০০ টাকা গুজে দিলেন। বললেন, তুমি কিছু কিনে খাইও।”

বাঙালির আতিথিয়েতার গল্প-১। অনেক আগেই পড়েছিলাম কিন্তু কমেন্ট করা হয়নি সেসময়। তবে যেটা বলতে চেয়েছিলাম সেটা এখন বলি, এরপর এদিকে এলে আওয়াজ দিয়েন।

৩৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩৭

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: এতো সুন্দর করে গুছিয়য়ে লেখার হাত আপনার পড়তে খুব আরাম পেলাম। এমন করে আরও অভিজ্ঞতার কথা লিখুন ।

৩৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ২:২৫

সোহানী বলেছেন: নানা নাতির এমন ভালোবাসায় মুগ্ধ হলাম।

আর এরকম আতিথিয়েতা পুরো পৃথিবী খুজেঁ কোথাও পাওয়া যাবে না। আপনার গল্প শুনে খুব লোভ হচ্ছে এরকম পুকুর, মাছ, সাইকেল, ট্রেন.......... অদ্ভুত এক নস্টালজিয়ায় চলে গেলাম। আহ্ শেষ কবে গ্রামে গেছি ভুলে গেছি প্রায়। কি সহজ সরল একটা জীবন।

বাই দা ওয়ে আপনার অঞ্চলের মানুষরা একটু বেশীই অতিথিপরায়ন :P । খোজাঁ-খুজিঁ করলে দেখা যাবে আপনার সাথে কুট্টিকালে দেখা হয়েছিল B:-/

৩৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৪১

সামিয়া বলেছেন: পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ, আপনার কাছে একটা দাওয়াত পাওনা ছিল ভুলে গেছেন হয়তো :) মেয়ে হয়ে তাও বড় হয়ে গেলো আমার। ;)

৩৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার নানাজানের আত্মার শান্তি কামনা করছি। বাঙ্গালির আথিতেয়তা বাঙ্গালির গৌরবের বিষয়।

৩৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৭:১৪

ডাব্বা বলেছেন: নানাকে পাইনি। নানির কিছু পাগল করা ভালবাসা মনে পড়ে গেল। ভালো লাগলো পড়তে।

৩৯| ২৬ শে জুন, ২০২১ দুপুর ২:২১

ফড়িং-অনু বলেছেন: গল্পটা যতক্ষন পড়ছিলাম মনে হচিছল আমি শৈশবে নানীর বাড়িতে। আপনার লিখার অনেক দারুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.