নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।
শ্রীলংকা ভয়াবহ একটি আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে তারা প্রায় দেউলিয়া হবার পথে। এর কারন হিসাবে মনে করা হয় -অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার নামে সরকারের অতিমাত্রায় বিদেশী ঋনের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাওয়া। পাশাপাশি বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় খাতে বিপুল পরিমান ঋণের টাকা ব্যয় করা। (যেমন ধরুন বাংলাদেশে মত দেশে ঢাকা টু চট্রগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস চালুর সমীক্ষা করতে গিয়ে ১০০ কোটি খরচ করার পর জানা গেলো ইহা পুরোটাই জলে গেছে। আবার এলিভেটেড এক্সপ্রেস গাজীপুর অংশের নির্মান কাজ প্রায় সম্পন্ন হবার পর দেখা গেলো সেখানে ডিজাইনগত ত্রুটি আছে।), বন্ডের মাধ্যমে অতিরিক্ত আন্তর্জাতিক ঋণ নেওয়ার কুফল, জনগনের সামনে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবার মুলা ঝুলিয়ে সহজ শর্তে ঋণের রাস্তা বন্ধ করা ইত্যাদি।
এই ঋনের টাকা শ্রীলংকার পক্ষে পরিশোধ করা সম্ভব না। বরং সম্ভবনা আছে ঋণ খেলাপী হবার। ফলে দেশটির ক্রেডিট রেটিংও কমে গেছে। উল্লেখ্য ক্রেডিট রেটিং দিয়ে ঋন প্রাপ্তির পরিমাপ নির্ধারিত হয়। ইতিমধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে শ্রীলংকা চীনকে তাদের একটি গুরুত্বপূর্ন সমুদ্র বন্দর এবং প্রায় ১৫ হাজার একর জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিতে বাধ্য হয়েছে। আজকে প্রথম আলো এই সম্পর্কে লিখেছে যে, এখন পরিস্থিতি এতই করুণ যে তাকে ঋণ পুনর্গঠনের আবেদন করতে হচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, ঋণ পরিশোধে শ্রীলংকাকে এখন অর্থের বদলে চা দেওয়ার প্রস্তাব করতে হচ্ছে।
সমস্যা হচ্ছে, শ্রীলংকা না হয় চা দিবে কিন্তু উগান্ডা কি দিয়ে পরিশোধ করবে?
অনেকেই বলছে এই দেশীয় চা মচাদের দিয়ে সেই সকল ঋণ পরিশোধ করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি আমেরিকা এই সকল চা মচাকে বাতিল মাল ঘোষনা করায় এদের দিয়ে লেনদেনের ও সুযোগ নাই।
কথা সেটা না, আসল কথা হলো, উগান্ডার সরকার মনে করে - চায়না থেকে প্রাপ্ত ঋনের ব্যাপারে উগান্ডাবাসীদের মধ্যে যারাই এই ধরনের বেহুদা সন্দেহ করে, তারা সবাই উগান্ডা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী বা রাজাকার অথবা অন্য কিছু।
তবে বাংলাদেশ নিয়ে আমি এই ধরনের কোন চিন্তা করি না। আমি প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখতে চাই।
তিনি সম্প্রতি বলেছেন - ভোট চুরি করলে জনগন তাদের ছেড়ে দেয় না।
(তথ্য সুত্রঃ বাংলাট্রিবিউন, ১১ জানুয়ারী, ২০২২।)
আমিও বিশ্বাস করি, ভোট যারা চুরি করে তারা একদিন না একদিন ধরা খাবেই।
১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি নিশ্চিত থাকুন, এটা উগান্ডা সম্পর্কে বলা। বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়। ঘাড়ে মাথা কয়টা?
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
সাসুম বলেছেন: হবেনা উগান্ডার অবস্থা এরকম, অন্তত আগামী ১০/২০ বছরে। কারন মোটাদাগে এক্টাই - জেনে না জেনে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর মালিক আমাদের দেশ। এই মুহুর্তে আমাদের ইকোনমি দাঁড়িয়ে আছে দুইটা জিনিসের উপর। সস্তা সুইং আর সস্তা ফরেন লেবার। এই ফ্লো টা আমাদের ইকোনমিকে টেনে নিবে আরো অন্তত ২ দশক। মানে হল- ফরেন রিজার্ভ ফল করবেনা। এটা জরুরি জিনিষ।
বাট সমস্যা যেটা হল- অল্রেডি এই দুইটা মেইন লাইফ লাইনের ফল শুরু হয়েছে। এখন আগামী দিনে কিভাবে সরকার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রা এগিয়ে আসে সেটার উপর ডিপেন্ড করছে রিয়েলি। যেমন- সস্তা সুইং এর দিন শেষ হলেও আগামী ২০ বছর চলবে। বিদেশে লোক যা আছে, আস্তে আস্তে নেগেটিভ হলেও আরো ২০ বছর ধরেই টুকটাক আসবে যাবে।
বাট মোটাদাগে এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে ফিউচারে ফল করব আমরা। মনে করে দেখেন- সেই ৮০ এর দশকের মিডিল ইস্ট আর রিয়াজ গারমেন্টস এর এক্সপোর্ট এর উপর ভর করে গত ৪০ বছরের আমাদের হিউজ উন্নয়ন।
এখন সেই আগের মত আরো কয়টা টাকার গাছ খুজে বের করতে পারলেই সরকার টিকিয়ে ফেলবে দেশ। বাট সমস্যা হল- এই ইচ্ছাটাই নাই তাদের।
এটাই মূল ভয়। আপনার ভয় ঠিক আছে, বাট উগান্ডা এখনই ফল করবেনা। দেরি আছে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সামুম ভাই, আপনাকে ধন্যবাদ দারুন আলোচনা শুরু করার জন্য। নতুন প্রজন্মের ব্লগারদের দেখা উচিত - ব্লগিং এর আনন্দ কোথায়।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫০
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সাসুম ভাই আপনাকে ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আমি আসলে শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশকে এখনই মেলাতে চাইছি না। আপনি যেটা বলেছেন, সেটা কয়েক বছর পরের একটি হাইপোথিসি। যদি প্ল্যান না করে ঋণ নেয়া হয়, তাহলে বিপদে পড়তে বেশি সময় লাগবে না। একটা দেশের জন্য ১০/২০ বছর চোখের পলকে চলে যায়।
আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। আফসোস কি জানেন, দেশের বিষয়ে কোন প্রশ্ন তুললেই এক শ্রেনীর ইডিয়ট আপনাকে বিএনপি জামাত কিংবা রাজাকার হিসাবে চিহ্নিত করতে চায়। এরা বিদ্যান হলেও পরিত্যাজ্য।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
প্রথমত আপনি পোস্টে আলোচনা চাইলে পোস্টে একটি ছবি যুক্ত করুন। আপনার পোস্টে ছবি না থাকার কারণে পোস্টটি অনেকের চোখের আড়ালে চলে যাবে।
আমি উগান্ডা সম্পর্কে জানিনা। মধ্য আফ্রিকার চাদ প্রজাতন্ত্র সম্পর্কে কিছুটা জানি। চাদ প্রজাতন্ত্রেরও শ্রিলংকার মতো একই সমস্যা বিরাজমান। চাদ প্রজাতন্ত্র হতে নারী গৃহকর্মী মধ্যপ্রাচ্যে চাকরির নামে পাচার ও বিক্রয় হয়ে যাবে। এবং এই কাজে সহযোগিতা করবে চাদ প্রজাতন্ত্রের নারী মক্ষিরানী গ্রুপ ও তাদের দাল্লাহ দালাল সান্ডা পান্ডা।
ব্যক্তি ও প্রতিষ্টান ব্যাংক্রাপ্ট হোন, তবে একটি দেশও ব্যাংক্রাপ্ট হতে পারে এটি হয়তো অনেকেই জানেন না।
আল্লাহ চাদ প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করুন।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই। আমি বিষয়টা খেয়াল রাখব।
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শ্রীলংকার কথা বলা সময়ের অপচয় মাত্র। এই দেশটার দুর্ভাগ্য যে, এরা স্বপ্নচারী কোন নেতা পায় নাই, কিংবা আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর মতো কোন নেত্রীও পায় নাই। ইংরেজিতে ''ট্রায়াল এন্ড এরর'' বলে একটা সর্বজনস্বীকৃত কথা আছে। আর কেউ এটাকে কাগজে-কলমে প্রমান করুক আর না করুক, আমাদের প্রশাসন এটা ভালো করেই প্রয়োগ করে। এটা না করলে শিখবে কিভাবে? এরর করতে করতেই একসময়ে সবকিছু খাটি সোনাতে পরিনত হবে। ''সোনার বাংলাদেশ'' কথাটার মানে তখনই আমরা পুরোপুরি বুঝতে সক্ষম হবো। এই প্রক্রিয়াতে কিছু টাকা খরচ হতেই পারে। আমাদের মতো ধনী দেশের জন্য এটা তেজপাতা!!
অনেকেই লক্ষ-কোটি টাকা বিদেশে প্রচারের কথা বলে সরকার এবং দেশ বিরোধী প্রচারণা চালায়। ''রিস্ক ডাইভারসিফিকেশান'' বলে ইংরেজিতে আরেকটা কথা আছে। একটা পোর্টফোলিওর আওতায় ইনভেস্টমেন্টকে যতোবেশী ছড়িয়ে দেয়া যাবে, ঝুকি ততোটাই কমবে, এটাই এই কথার মূল। ফলে প্রশাসনের লোকেরা সেই ঝুকি কমানোর জন্য বিদেশে টাকা পাঠায়, ইনভেস্ট করে। প্রচার করে পাঠালে এ'দেশের বেকুব জনগন খামাখা চিল্লাচিল্লি করবে; এরা কিসে ভালো আর কিসে মন্দ তার কতোটাই বা জানে? তাই গোপনে পাঠায়।
আরেকটা কথা, অনেক অর্বাচীনই বলে অবকাঠামো খাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ না করে এর কিয়দংশ যদি স্বাস্থ্যখাতে দেয়া হতো, তাহলে আমাদের এই খাত হতে পারতো এশিয়ার অন্যতম গর্ব। এই দেশাদ্রোহীরা এই বিষয়টা এড়িয়ে যায় যে, একটা ধনী দেশের লোকজন যদি বিদেশে গিয়ে চিকিৎসাই না নিতে পারে, তাহলে কিসের ধনী? হাসপাতাল দিয়ে কি হবে; দেশে যদি ফ্লাইওভার, টানেল, মেট্রোরেলই না থাকে? উন্নয়ন মানেই স্যাটেলাইট আর এইসব দৃশ্যমান জিনিস। ভাত ছড়ালে যেমন কাকের অভাব হয় না, তেমনি টাকা থাকলে বিদেশে চিকিৎসা নেয়ারও কোন সমস্যা হয় না।
বাংলাদেশের সাফল্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এতো স্বল্প পরিসরে এসব নিয়ে আলোচনা বাতুলতা। উগান্ডার সরকারের উচিত হবে, আমাদের দেশের হাই প্রোফাইল মন্ত্রীদের এপয়েন্টমেন্ট নেয়া। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের মডেল রপ্ত করা আর শুকনা-স্বপ্ন দেখতে পারে এমন একজন স্বপ্নদ্রষ্টা নেতা বা নেত্রীর খোজ করা। তাতে যদি দেশটার গরীব থেকে উত্তোরণ ঘটতে পারে। এ'ছাড়া আমি আর কোন আশা দেখি না।
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০
পুলক ঢালী বলেছেন: আমাদের দেশের অপচয়ঃ উল্টো মগবাজার ফ্লাইওভার, একলক্ষ কোটি টাকা ব্যায়ে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প। অনেক অপচয়ের মধ্যে প্রধান প্রধান আর কি কি অপচয় আছে জানিনা, কেউ জানলে বলবেন প্লিজ, তবে উল্লেখ করা অপচয়ের ব্যাপারেই আমি আতংকিত।
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
সাজিদ! বলেছেন: চমৎকার মন্তব্য আসছে, আলোচনা হোক। ব্লগার সাসুমের মন্তব্যএর কিছু অংশের সাথে একমত। আমার মনে হয় আমরা টিকে যাবো।
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২২
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: সাসুম বলেছেন: হবেনা উগান্ডার অবস্থা এরকম, অন্তত আগামী ১০/২০ বছরে। কারন মোটাদাগে এক্টাই - জেনে না জেনে বিশাল এক জনগোষ্ঠীর মালিক আমাদের দেশ। এই মুহুর্তে আমাদের ইকোনমি দাঁড়িয়ে আছে দুইটা জিনিসের উপর। সস্তা সুইং আর সস্তা ফরেন লেবার। এই ফ্লো টা আমাদের ইকোনমিকে টেনে নিবে আরো অন্তত ২ দশক। মানে হল- ফরেন রিজার্ভ ফল করবেনা। এটা জরুরি জিনিষ।
আমার মনে হয় কপাল ভালো হইলে সফটওয়্যার আর আগ্রো প্রোডাক্ট এক্সপোর্ট মিলে সুইং এর ডাউনফলটুকুকে কাভার দিতে পারার পর্যায়ে চলে যাবে আগামী 20 বছরে।
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫২
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
আবগরী শুল্কর নামে সরকার যেখানে সেখানে কর বসিয়ে দিচ্ছে যা সরাসরি সাধারণ জনগনের উপর এসে পড়ছে। ব্যংকের পর শুনলাম এখন নাকি জ্বালানী ক্রয়ের উপরও এই কর বসানোর সুপারিশ করছে মন্ত্রণালয়?
পেটে ভাত না থাকলে এত উন্নয়ন দিয়ে কি করবে জনগন?
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৪৭
কলাবাগান১ বলেছেন: পৃথিবীর আর কোন জাতিকে দেখি না যে নিজের দেশকে এমন ছোট করার মানসিকতা...। জামাতি আমলে তো উগান্ডা না, একেবারে আমেরিকা ছিল বাংলাদেশ।
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
বাংলাদেশ ১৫০ মিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিয়েছে শ্রীলংকাকে।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, বাংলাদেশও এর বদলা একটি সমুদ্র বন্দর বা কিছু জমি পেয়ে যাবে?
পেলে মন্দ হয় না!
১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:০৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @শাহিন-৯৯ঃ আপনি ঠিক জায়গাতে হাত দিয়েছেন। সহজ করে একটা উদাহরন দেই।
১ টাকার একটা উন্নয়ন প্রজেক্টকে আপনি ১০ টাকা দেখালেন। ৯ টাকা মেরে দিয়ে বিদেশে পাচার করলেন। এই দশ টাকা রিজার্ভের টাকা হোক আর ঋনই হোক; এটা জনগনের টাকা অথবা করের মাধ্যমে এটা জনগনকেই শোধ করতে হবে। ফলে তাদের আয় স্ট্যাটিক থাকবে, ব্যয় বাড়বে। এতে কি হলো? একটা গোষ্ঠি বড়লোক হলো আর সাধারন খেটে খাওয়া জনগন আরো গরীব হলো। উন্নয়ন হতে হয় সুষম বন্টনের ভিত্তিতে; না হলে সেটাকে গণ-উন্নয়ন বলে না, ব্যক্তি বা গোষ্ঠির উন্নয়ন বলে। এই উন্নয়ন হলো ধোকাবাজির উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে সাধারন মানুষ চোখে সর্ষের ফুল দেখবে।
@সাজিদ!........টিকে থাকাটাই কি সব? তেলাপোকাও তো টিকে আছে। টিকে থাকাটা যদি অর্থবহ না হয়, তাহলে সেই টিকে থাকার মুল্য কতোটা? ভেনিজুয়েলার মতো তৈল-সমৃদ্ধ দেশের অর্থনীতিও মুখ থুবড়ে পড়েছে। চোখের সামনে শ্রীলংকা আছে। আমাদের প্রধান দুই খাত যদি বিপদে পড়ে, তাহলে পরিকল্পনা কি? চুরি করা ছাড়া আমাদের কোন প্ল্যান বি আছে?
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৭
স্প্যানকড বলেছেন: আচ্ছা টাকা কি নদীর জলে ভেসে আসে ! এই শতকোটি গরীব এর মাঝে বিতরণ করলে লাভ হতো। যারা এমন পরিকল্পনার সাথে জড়িত সব গুলারে চিকন জিংলা দিয়া পিটানো দরকার। ফালতু গুলি দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে আছে। প্রধানমন্ত্রীর উচিত এগুলোর বিহিত করা নইলে একবার মাথায় উঠে বসলে ঘাড় মটকে দিবে ! গরীবের কথা কিন্তু ফলে। ভালো থাকবেন সব সময়।
১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৬
সোবুজ বলেছেন: আমেরিকা ও তার মিত্ররা চাইলে কয়েকটি দেশ বাদে যে কোন দেশকে দেউলিয়া বানানো হাম হাতের খেল।এর মুলে আছে ডলার।যতদিন ডলার আন্তর্জাতিক বিনিময় মুদ্রা থাকবে ততদিন এর থেকে মুক্তি নেই।দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর সকল দেশের একটা রিজার্ভ জমা আছে আমেরিকার কাছে,অনেকেই ফেরত চেয়ে পাচ্ছে না,এটাও একটা কারন।আশার কথা হলো ইউরোপ চায় এই ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসতে কিন্তু উপায় বের করতে পারছে না।
১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:০৫
সেডরিক বলেছেন: উগান্ডার অ্যাগ্রো এক্সপোর্ট নিয়ে যারা আশা দেখায়, তাদের কাছে জানতে চাই?
উগান্ডায় পর্যাপ্ত চাষের জমি কোথায়? জমির উর্বরতা আগের মতো নাই কেন? উগান্ডায় পেয়াজ, চিনি, গম, চাল যত ডলারের আমদানি করা হয়, এক্সপোর্ট করে কি তার চেয়ে বেশি আয় হচ্ছে?
উগান্ডার সফটওয়্যার শিল্প নিয়ে যারা আশা দেখায়, তারা এতো আশা পায় কোত্থেকে?
উগান্ডার বলার মতো সফটওয়্যার প্রোডাক্ট কয়টা? কয়টা আইটি ফার্মের নিজস্ব সফটওয়্যার প্রোডাক্ট আছে? উগান্ডায় একটা সফটওয়্যার ফার্মের এন্ট্রি লেভেল ইঞ্জিনিয়ারের স্যালারী কতো? কেন ভালো ইঞ্জিনিয়ারগুলো উগান্ডায় থাকতে চায় না? কেন মিড লেভেল প্রোজেক্ট ম্যানেজারেরা চাকরি ছেড়ে নিজেরাই আইটি ফার্ম(!) খুলে বসে? খালি কোম্পানি খুলে এসইও, এসএমএম, ডিজিটাল মার্কেটিং আর ১৫০০ টাকায় ওয়েবসাইট বানিয়ে এই আইটি উদ্যোক্তাগন উগান্ডার সফটওয়্যার শিল্পের কত উন্নতি করলেন জানতে ইচ্ছে হয়।
উগান্ডায় ফরেন লেবার থেকে যেভাবে ডলার আসছে, সেভাবে বড় পদে কাজ করা ভারতীয় ও শ্রীলংকান এক্সিকিউটিভেরাও উগান্ডা থেকে ডলার নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে। এখন হয়তো রেশিও কম বলে চোখে লাগে না, কিন্তু কত দিন? উগান্ডার শিক্ষার মান না বাড়িয়ে খালি পাশ আর গ্রাজুয়েট বাড়িয়ে বেকার বসিয়ে রেখে বিদেশী গ্রাজুয়েট ভাড়া করে আনতে হয়।
বিদেশে নারী গৃহকর্মী পাঠিয়ে ফিজিক্যালী ও মেন্টালি এ্যাবিউজড হতে দিয়ে লেবারের ডলার নিয়ে গর্ব করা সাজে না।
উগান্ডার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে মাথার চুল হারানোর ইচ্ছা নাই। তার চেয়ে বরং উন্নয়নের গান শুনি আর বেকার সমস্যা ও ডেবট ট্রাপকে গুজব বলে উড়িয়ে দেই, এবং কোন এক মহান দার্শনিকের জন্মদিন উপলক্ষ্যে হাজার কোটি টাকা খরচ করে কয়েক বর্ষ জুড়ে উদযাপন করি।
১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৫
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন:
@সেডরিক
আপনার ভাই বক্তৃতা দেওয়ার অভ্যাস আছে নাকি ?
জমি উর্বর না হইলে কি এক্সপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া লাগবে ? Agro product বলতে প্রসেসড agro product এর কথা বলছি যেমন চা, বিস্কুট, জুস। যদি সেখানে ভুল বুঝে থাকেন তাহলে আমি নিজেই ভুল স্বীকার করছি, আমার আরো ক্লিয়ারলি বলা দরকার ছিল।
Bangladesh crossed billion dollar marking in processed food export in 2021.
ভাই, cefalo, brainstation 23, datasoft, bjit, reve systems এসব কোম্পানির নাম শুনেছেন ? আর তারা কি নিয়ে কাজ করে বা কাদেরকে কি সার্ভিস দেয় সেটা জানেন ? বেশি দূরে তাকানো লাগবে না pathao, bkash, রকেট কি আসমান থেকে নাজিল হইছে বলে আপনার ধারণা বা ভাবেন সব বাইরের দেশের ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে এগুলো চালানো হইতেছে?
১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: @নিরীক্ষক৩২৭ কাদের কে কি বলছেন........এনারা খালি চোখে চাদে লোক দেখতে পায় কিন্তু চোখের সামনে ৬ কিলোমিটার এর পদ্মা সেতু দেখতে পায় না
১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
যারা ধরেই নিয়েছেন বিদেশী শ্রমবাজার আর পোশাক শিল্প নিয়ে টিকে যাবে অর্থনীতি তাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে সুতার দাম আবার বাড়াতে চলেছে ভারত!! বছর দুই আগে একবার বাড়িয়েছে!!
সবচেয়ে বড় কথা, বিদেশী ক্রেতারা আগে যে দামে কিনতো এখনো সেই দামে কিনতে চায় অথচ কোয়ালিটি বাড়িয়েছে দশগুণ!!
কোয়ালিটি বুঝতে পারছেন তো? কোয়ালিটি বাড়াতে হলে ভাল সুতা, উন্নত ডাইস, ভাল কেমিকেল ব্যবহার করতে, খরচ বাড়ে কিন্তু দাম আগের মতই!!! আগে লাভ ছিল দশ টাকা, এখন দুই টাকা!! প্রতিবছর ইনক্রিমেন্ট হয়!!
এই খাত অতটা শক্ত অবস্থানে নেই যতটা বাহির থেকে দেখা যায়!!!
১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৫৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
সেতু, রাস্তা তৈরি এগুলো সরকারের রুটিন কাজ, এতে এত গর্ব করার কি আছে? নাকি শুধু বিদেশে টাকা পাচার করার জন্য সরকার গঠন হয়?
যদি দারিদ্র্য কমাতে পারতো, সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নত হতো তাহলে বুঝতাম ক্যারিশম্যাটিক সরকার!! গত তের বছর ধরে এই উন্নয়ন মুলা খাওয়াচ্ছে!!
নির্বাচন ব্যবস্থা ধংস করে, বিচার ব্যবস্থা হাসি তামাশা বানিয়ে বিনিময়ে কি দিচ্ছেন? উন্নয়ন!!
তেলের বাজারে আগুন দিয়ে জনগণের @মেরে বিনিময়ে কি দিচ্ছেন? উন্নয়ন!!
চাউল, ডাউল, আটার লাগামহীন দাম বাড়িয়ে বিনিময়ে কি দিচ্ছেন? উন্নয়ন!!!
ভাত রুটির বদলে উন্নয়ন বলদদের যদি উন্নয়ন খাওয়ানো যেত তাহলে বুঝতো কাঠের চোখের চশমা পরা এই উন্নয়ন খোর ছাগলের পাল।।
১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৭
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
দেড় যুগ আগে ক্ষমতা হারানো বিএনপি কি করেছিল, কি দিয়েছিল, এই নিয়ে যারা এখনো পড়ে আছে, তাদেরকে কি বলে ডাকা উচিত?
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম, যারা নতুন ভোটার এরা জানেই না ভোটের দিন এদেশে উৎসবের মত হতো। আজ সবকিছু স্তব্ধ করে শুধু এক গান উন্নয়ন!!
একদিন এই উন্নয়ন গলার কাটা হয়ে বিধবে এই জাতির গলায় যদি না এই লুটের দলকে জনগণ খুব দ্রুত না সরায়।
২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আশায় থাকেন আবার রাজাকারদের গাড়ীতে পতাকা দেখার
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: রাজাকারদের গাড়িতে যদি আবারও পতাকা উড়ে সেটার দায়ভার তাদেরকেই নিতে হবে, যারা রাজাকারের মত ঘৃন্য একটি শব্দকে রাজনৈতিক ফয়দার জন্য ব্যবহার করে, যারা সরকারের কাছে কোন বিষয়ে স্বচ্ছতার জন্য, জানার জন্য প্রশ্ন করলেই রাজাকার, বিএনপি বা বিরোধীদলের ষড়যন্ত্র হিসাবে আখ্যায়িত করে।
প্রতিটি বিষয়ে মিথ্যা বলতে বলতে অবস্থা হয়েছে রাখালের বাঘ দেখার মত। একদিন সত্যই বাঘ আসে, কিন্তু সেদিন আর কেউ রাখালের কথা বিশ্বাস করে না।
২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৩৭
সেডরিক বলেছেন: @নিরীক্ষক৩২৭,
আমি কয়েকটা প্রশ্ন করেছি। সেটার উত্তর দিবেন দয়া করে। প্রশ্ন বুঝে না থাকলে আরো ক্লিয়ার করে করছি।
১) উগান্ডার নিজস্ব "পিওর সফটওয়্যার প্রোডাক্ট" কতগুলো? কয়েকটার নাম জানাবেন?
- আমি আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার কিংবা এ্যাপ বেজড বিজনেস এর কথা বলছি না। পাঠাও - বিকাশ/রকেট এগুলো সফটওয়্যার প্রোডাক্ট না, পাঠাও রাইড শেয়ারিং বিজনেস এবং বিকাশ ফিনটেক। এমন উদাহরন দিলে প্রথম আলো বা ইত্তেফাক কেও সফটওয়্যার কোম্পানি বলা যায়, যেহেতু তাদেরও অ্যাপ/ওয়েবসাইট আছে।
২) উগান্ডার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানে একজন এন্ট্রি লেভেল ইঞ্জিনিয়ারের স্যালারী কতো?
- মাল্টি ন্যাশনাল বা ট্রিপল এ ক্যাটাগরির হাতে গোনা দু-চারটা কোম্পানির স্যালারী জানতে চাইনি। ইন্ডাস্ট্রি এভারেজ বলবেন।
৩) উগান্ডার সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে প্রোজেক্ট ম্যানেজার / টিম লিড / সিটিও পদগুলোতে বাইরের দেশের ইঞ্জিনিয়ারের প্রাধান্য কেন?
৪) উগান্ডার সিংহভাগ প্রবাসীরা কেন অদক্ষ শ্রমিক / গৃহকর্মী হিসেবে যায়?
- ফিলিপাইন ও নর্থ আফ্রিকা যখন নারী গৃহকর্মী পাঠানো বন্ধ করলো, আমরা কেন পাঠাচ্ছি। এবং নির্যাতিত হয়ে ফিরে আসা নারীদের ব্যাপারে কি করেছি?
৫) গত পাচ বছরের এ্যাগ্রো প্রোডাক্ট এর বানিজ্য ঘাটতি কত? রপ্তানী কত হলো এবং আমদানি কতো?
- আমি একটা লিষ্ট দেই, এটা International Trade Administration এর তথ্য (বাংলাদেশ ব্যাংক ও United States Department of Agriculture এর সূত্রে)। আপনার কাছে এ সম্পর্কে আপডেটেড তথ্য থাকলে জানান
উত্তর দিতে না চাইলে পদ্মাসেতুর ছবি দিয়ে দেন। উগান্ডার সকল সমস্যা ঐ পদ্মাসেতুর ছবি দেখে ভুলে থাকবো।
যদিও আমি কমেন্টে কোথাও বলি নাই উগান্ডায় কোন উন্নয়ন প্রোজেক্ট হচ্ছে না, তারপরেও এই একটা বিষয় জোশশশ লাগে, উগান্ডার সমস্যাগুলো নিয়ে জানতে চাইলেই পদ্মা সেতু আর মেট্রোরেল টেনে আনা হইতেছে।
২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:৪৮
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নিজ দেশকে উগান্ডা ভুগান্ডা বলা থেকে সরে আসা উচিত।
গণতন্ত্রের গ্রান্ডম্যাডামদের সেই আমলে আমলে ছিল একটানা ৬ বার দুর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ন,
নবনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার সংগে সঙ্গে দুর্নিতি কমতে কমতে ১৪-১৬ ভেতর উঠানামা।
সে আমলের রেখে দেয়া রিজার্ভ ছিল মাত্র ৩ বিলিয়ন।, বর্তমানে এত অপচয় হ্যাকিং চুরির পরও ৪৬ বিলিয়ন ডলার
পাকিস্তানের পত্রিকা দ্য ডনে প্রকাশিত এক নিবন্ধে আক্ষেপ দেখা যায়, পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার পর বাংলাদেশের অর্থনীতির জাতীয় আয় বেড়েছে ৫০ গুণ। আর মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২৫ গুণ, যা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনও বেড়েছে চার গুণ। রপ্তানি বেড়েছে শতগুণ। দেশটির শতভাগ বিদ্যুতাইত হওয়ার পথে।
১৯৯০ সালে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ দারিদ্র্য ছিল। বর্তমানে তা কমে এখন ২০ শতাংশে নেমেছে।
গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছরের কাছাকাছি। যা গ্লোবাল গড় আয়ু থেকেও বেশী।
কট্টর হাসিনা বিরোধী ডক্টর দেবপ্রীয় ভট্ট পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছে দেশের স্বাস্থ ব্যাবস্থা যে উল্লেখযোগ্য উন্নত হয়েছে শিশুমৃত্যু কমে গড় আয়ু বৃদ্ধি এটাই প্রমান।
বাংলাদেশে একটা ধারণ প্রচলিত যে উন্নত স্বাস্থ ব্যবস্থা বলতে যে দেশে সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মত ঝকঝকে ফাইভ স্টার হাসপাতাল বোঝাই শহর। কিন্তু ডাব্লুএইচও স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে সার্বিক জনস্বাস্থা সাপোর্ট দেয়া ও সবাইকে কম্মুল্যে বা বিনা মুল্যে টিকাদানের আওতায় এনে শিশুমৃত্যু মাত্মৃ মৃত্যু্র হার কমানো।
এবার আপনার ঋন প্রসংগে।
বাংলাদেশ কি শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের মত বেপরোয়ারা ভাবে ঋন নিচ্ছে , নিয়েছে?
বাংলাদেশ কি ঋন করে বড়লোক হইছে? না ভাই।
বর্তমানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মাথাপিছু বিদেশি ঋণের পরিমাণ মাত্র ২৪ হাজার ৮৯০ টাকা।
জিডিপির তুলনায় বিদেশি ঋণের পরিমাণ মাত্র ১৫%। বিশাল বিশাল অবকাঠামো প্রকল্প করেও একটু উদিয়মান দেশের মাত্র ১৫% ঋন খুবই কম। দির্ঘমেয়াদি ভাবে নিশ্চিন্ত সন্তষজনক।
আর অন্যান্ন দেশ দেখেন জিডিপির তুলনায় পাকিস্তানের ঋণ ৪৬% শৃলংকার বর্তমানে 101% Previous yr 86.80%
অনেকে ব্যাংগ করে বলে জিডিপি খায় না মাথায় দেয়?
বাংলাদেশের দেসজ উৎপাদন (জিডিপি) অন্যান্ন দেশের মত শিল্পপতিরা বাড়াচ্ছে না, বানাচ্ছে দরিদ্র কৃষক জেলে মাছের ফার্ম মুর্গির ফার্ম ইত্যাদি ক্ষুদ্র এন্টারপেনররা। দেশে চাকুরি নাই তাই পেটের দায়ে উৎপাদন (জিডিপি) করছে।
এইসব জিডিপিতে সরকারের ভুমিকা নেই বলেই চলে, বরং সরকারি পেয়াদারা কর্তারা উৎকোচ চেয়ে বাধা দিচ্ছে। সরকারি দলের পান্ডারা চাঁদাবাজিকরে উৎপাদের অংশ ছিনিয়ে নিচ্ছে। এরপরও মরিয়া কৃষক শ্রমিক না থেকে উৎপাদন বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। সরকার যে ভাল কাজটা করেছে সেটা হল বিদ্যুৎ। সরকার বিপুল অর্থ অপচয় করে হলেও অনেক বাধা অতিক্রম করে বিদ্যুত উৎপাদনের ব্যাবস্থাটা অন্তত করেছে। রাস্তা ঘাট সেতু করেছে। কিন্তু দরিদ্র কৃষক শ্রমিক উৎপাদন বাড়িয়ে অপচয়ের ৫০ গুন বেশি অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছে। পরক্ষভাবে।
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে দারিদ্র কমছে এটা বাস্তব। একটা ছুটি পেলেই লাখ লাখ মানুষ ব্যায়বহুল কক্সবাজার কুয়াকাটায় গাড়ী ভাড়া করে যাচ্ছে, এরা কেউ ধনী উচ্চবিত্ত না উচ্চ মধ্যবিত্তও না, উচ্চবিত্তরা ভুটান যায় ভারত নইলে থাইল্যন্ড যায়।
এরা সাধারন নিম্ন মধ্যবিত্ত। এরা ৪০০ টাকায় নাস্তা করতে গায়ে লাগে না।
দেশে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ। দরিদ্র কৃষক সচ্ছল হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে। উচ্চমুল্যে ঘুষদিয়ে হলেও নিচ্ছে।
দেশের প্রায় শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রমান করে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে দারিদ্র কমছে, কমছে।
২৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৬:৫৬
সাসুম বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতি সচেতন মানুষের প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের এক্সাম্পল নিতে হলে এই ব্লগ পোস্ট এর কমেন্ট দেখলেই হয়ে যাওয়ার কথা। একদম করে চলেছে নির্লজ্জ চাটাচাটির দালালি আরেক দল বিজি রাজনৈতিক কারনে সরকার বিরোধিতা। অথচ আসল সমস্যা খুব কম লোকেই ফিগার আউট করছেন।
যাই হোক- আমার আগের কমেন্টের সূত্র ধরে
আমাদের মূল ইঙ্কাম সোর্স ২ টা এবং দুঃখজনক ভাবে আমি ২টার সাথেই জড়িত। বেশ ক বছর দেশ ও দেশের বাইরে আর এম জি সেক্টরে বেশ হাই পজিশনে জব করার ফলে এই সেক্টরের আঁতিপাঁতি থেকে শুরু করে মোটামুটি সব নখদপর্নে। আমাদের দেশের গত ৪০ বছরের এত এত উন্নয়ন আর অর্জনের পেছনে অন্যতম সস্তা সুইং আর সস্তা ফরেন লেবার। এখন এই জিনিষ তো আর সারা জীবন থাকবেনা বাট ভিন্ন কিছু লাগবে। এখানেই আসে আমাদের এক্সপোর্ট ডাইভারসিফিকেশান এর কথা। খেয়াল করে দেখবেন, আমাদের সরকার কিন্তু এখন দেশের আনাছে কানাছে ইপিজেড, এক্সপোর্ট স্পেশালাইজড এলাকা থেকে শুরু করে অনেক বিদেশী বিনিয়োগ আনা শুরু করেছে এবং একমাত্র ২টা মেইন এক্সপোর্ট আইটেম এর উপর নির্ভর না করে অনেক সেক্টরে যেতে চাচ্ছে বাট সমস্যা হচ্ছে সে রকম বড় কোন ফিল্ড এই মুহুর্তে খালি নাই যেখানে একদম কোন জ্ঞান না নিয়ে, কোন শিক্ষা না নিয়ে, তেমন বড় কোন ইনভেস্ট না করে খালি মূর্খ অশিক্ষিত অজ্ঞ ও বেকুব সস্তা লেবার দিয়ে হিউজ ফরেন রেমিটেন্স কামানো যায়।
যারা বলছেন গারমেন্টস দিয়েই খেয়ে যাব, তারা হয়ত জানেন না এখনো টিকে আছে এক্মাত্র সস্তা শ্রমের কারনে। একটা র ম্যাট কিনার জন্য বাংলাদেশ থেকে টীটী করা যায়না - এটা আপ্নারা কেউ জানেন?? ১০০ ডলার এর একটা স্যাম্পল কিনতে হলে ব্যাক টু ব্যাক এলসির এগেইন্সটে আবার এল সি খুলতে হয়, কাস্টম আর এয়ারপোর্টে মাসের পর মাস জুতার তলা ক্ষয় করে ফেলতে হয়। এক এয়ারপোর্ট আর চিটাগাং পোর্টের কারনে বছরে বিলিয়ন ডলার এর এক্সপোর্ট লস হয় এটা কেউ জানেন? একদিকে আমাদের জিডীপি বাড়ছে, আমাদের মানুষের খরচ বাড়ছে আমাদের সস্তা শ্রমিক দের বেতন বাড়ছে। ব্রান্ড রা এখানে তাহলে কেন অর্ডার দিবে যদি আমি ভেলু এড করতে না পারি?? তারা দরকার হলে মায়ান্মমার, ইথিওপিয়া যাবে- আমাদের চেয়ে সস্তা শ্রম। আমাদের এই সেক্টর এখন শেষের দিকে, জাস্ট আস্তে আস্তে ডিটেরিয়ট হচ্ছে এবং হবে।
আর ফরেন সস্তা লেবার এর কথা আর কি বল্ব- এক পাক পবিত্র আল্লাহর প্রিয় বান্দা সৌদিরা আমাদের সস্তা ফিমেল হোম ওয়ার্কার দের সেক্স স্লেভ এর মত অত্যাচার করার নিমিত্তে ইউজ করার জন্য বাধ্য করছে আমাদের নাস্তেক নাসারা সরকার কে। সেজন্য সে দেশের মার্কেট এখনো টিকে আছে । আর অন্য দেশ থেকে অশিক্ষিত মূর্খ লেবার দের আস্তে আস্তে পরিমান ও কমে আসছে। এদিকে সভ্য কোন দেশ এই বাংগাল দের কে ভিসা ও দিতে চায়না কারন আর ফিরবেনা এই জাহান্নামে তারা, ফলে ঘুরেফিরে ওই দুবাই ই ভরসা বাট সেটাও আস্তে আস্তে হালকা হয়ে আসছে, যদিও সরকার চাচ্ছে ম্যানপাওয়ার রপ্তানির সংখ্যা বাড়াতে। বাট সেটার কাহিনী ও চোর বাটপারে ভরা। হচ্ছেনা কোন কিছুই কারন আজকাল সস্তা অশিক্ষিত ও কাজ না জানা লোকের ভাত নেই এবং আমাদের দেশে সেটাই বেশি।
যারা বলছেন সফটওয়ার এর কথা, তাদের আইডিয়া নাই এই অঞ্চলে সফটওয়ার রপ্তানিতে ইন্ডীয়ার পজিশান। তাদের কে হটিয়ে আমরা কোন ভাবেই এই যায়গা দখল করতে পারব না। আরে ভাই, এক সিম্পল অনলাইনে কাজ করে পেমেন্ট নেয়ার মত পেপাল আনার ব্যবস্থা করতে পারলাম না আমরা আর আসছেন ভারতের এত বড় মার্কেটে ভাগ বসাতে। একটা সিম্পল গুগুল সার্ভিস কিংবা আমাজন ওয়েব সার্ভিস এর পেমেন্ট করতে মানুষের হাতেপায়ে ধরতে হয় তার ইন্টারন্যাশনাল কার্ড আছে কিনা সেটার জন্য আপনি আসছেন সফটওয়ার রপ্তানি করবেন। একটা স্টেবল ইন্টারনেট কানেক্টীভিটি নাই আমাদের্, নাই ডেটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার, নেই কর্পোরেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার, নেই এডুকেশান। আমরা ঐ দুই একটা বড় ফার্ম আছে, তাদের নিয়েই সুখে থাকব। সবচে বড় কথা জানেন আর মানেন কিনা জানিনা, আমাদের দেশে কাজ জানা লোকের বড় অভাব। পুরা দেশে হাই কোয়ালিটি সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার এর পরিমান ৩ ফিগার এর নীচে এবং তারা বেশির ভাগ দেশের বাইরে হয় ফ্রিল্যান্স করে নাইলে রিমোট জব করে। একটা রিয়াক্ট ন্যাটীভ ইঞ্জিনিয়ার খোজেন বাংলাদেশের একটা কোম্পানির জন্য, ৬ মাস ধরে খুজে জুতার তলা ক্ষয় করে ফেললেও পাবেন না। সেলারিও আকাশ ছোয়া। সবচে বড় কথা, আমাদের দেশের লোকজন শিখতে অনীহা, বরং গরীব ফকিন্নী দের খালি টাকা বানানোতে আগ্রহ। এই লুপহোলে পড়ে আছে তারা।
আর এগ্রো এক্সপোর্ট এর কি বল্ব, এটা একটা গলার ফাদ। আপনি যত বেশি এগ্রো এক্সপোর্ট করবেন তত বেশি আবার ইম্পোর্ট করতে হবে কারন আপনার দেশের কোটি কোটি আল্লাহর বান্দার মুখে খাবার তুলে দিতে হবেই হবে আর এদিকে আপনার দেশ খাদ্যে এখনো ফুলফিল্ড না বা হলেও কাটায় কাটায়। এরপর আমাদের পতিত কৃষি জমির পরিমান একদম কম এবং যা আছে তাও আমাদের আল্লাহর দুনিয়ার কোটী কোটী মুখের জন্য নতুন নতুন বিল্ডীং আর হাট বাজার বানাতে ভরে ফেলা হচ্ছে। এখন জমি না পাইলে করবেন কি??? কৃষি ফলাবেন কোথায়??? যত বেশি খাদ্য রপ্তানি করবেন তত বেশি আবার আমদানি করতে হবে। এর চেয়ে জোড় দেয়া উচিত লোকাল ডিমান্ড কি করে ফুলফিল করা যায়।
এদিকে আমাদের আরো একটা জিনিষ বেশি করে করা দরকার সেটা হল- লোকাল ডিমান্ড লোকাল জিনীষ দিয়ে মেটানো , যেমন আমাদের টিভি ফ্রিজের বিশাল বাজার এখন ওয়াল্টন মার্সেল এর হাতে। এই জিনিষ টা আমাদের দেশের বিলিয়ন ডলার সেভ করছে এবং দেশের টাকা দেশের ভেতরেই থাকছে। একই ভাবে আমাদের খালি রপ্তানি না খুজে দেশের বিশাল মার্কেট কে পই পই করে ধরা দরকার, নাইলে দিন শেষে রপ্তানি করবেন আর সরকার মাস শেষে আমদানি ব্যায় মিটাতে একই টাকা খালি পে করবে। আমাদের আমদানি কমাতে হবে , রপ্তানি বাড়াতে হবে।
এখন আমাদের উপায় কি তাহলে?? আমাদের একমাত্র উপায় দক্ষ ম্যান পাওয়ার তৈরি করা এবং তাদের কে শিক্ষিত, সচেতন এবং কর্ম বাজারের জন্য একদম পই পই করে ট্রেইন্ড করে তোলা।
এই যায়গাতে এসে আমরা মার খেয়ে যাই। আমাদের ইউনিভার্সিটি তে আমরা যাই সার্টিফিকেট এর জন্য, জ্ঞান অর্জনের জন্য না। আমাদের ইউনি থেকে বের হয় প্যারা মজিদ, আমাদের ইউনি থেকে বের হয় রগকাটা শুয়র, আমাদের ইউনি থেকে বের হয় হাতুড়ি পিটা ফুডপান্ডা বাহিনী , আমাদের ইউনির পোলাপাইন যেখানে মুক্তির জন্য , জ্ঞানের জন্য, সভ্যতার জন্য ভাবার কথা, চিন্তার কথা, নিজেদের দক্ষতা অর্জনের কথা সেখানে অমানুষের বাচ্চাগুলো স্টাব্লিশ্মেন্ট এর দালালি করে, নিজের মতের সাথে না মিল্লে সহপাঠীকে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং রাত দিন হয় বিজি থাকে মদ , গাঞ্জা, চাদাবাজি , টেন্ডারবাজি নিয়ে নাইলে ধর্মের নামে আরেকজনের রগ কাটার উপর।
আমাদের দেশের বড় দাগে সমস্যা এক্টাই অশিক্ষা , কুশিক্ষা আর অপশিক্ষা। এই শিক্ষার যায়গাটা যতদিন ঠিক করতে পারব না আমরা ততদিন কোন কিছু দিয়েই কাজ হবেনা, যাই করিনা কেন সেটা জাস্ট বড় কোন ক্ষতের উপর ব্যান্ড এইডের মত হবে। আসল সমস্যা সমাধান হবেনা। আমাদের সরকারের ফেইলিওর এখানেই। আমাদের ইউনিভার্সিটি থেকে প্রতি বছর লাখ লাখ বেকার বের হয় অথচ একটা প্রপার ম্যান পাওয়ার বের হয় না।
একদম ক্লিয়ার করে আমাদের বোঝা দরকার, যতদিন আমাদের ইউনিভার্সিটি গুলো থেকে সুশিক্ষিত ও দক্ষ লোক বের না হবে ততদিন আমাদের দেশের কোন সাস্টেইনেবল উন্নতি হবেনা। আমাদের এখন বের হয় একটা সার্টিফিকেট হাতে ফ্রেশ বেকার যাকে এক লাইন ইংরেজি বলতে বললে পারবেনা, একটা সিভি লিখতে পারবেনা, একটা কাজ করতে বললে নাক সিটকাবে এবং যার জ্ঞানের দৌড় হজরত আরিফ আজাদে গিয়ে শেষ। মোদ্দাকথা যতদিন আমাদের শিক্ষিত , সচেতন ও দক্ষ ম্যান পাওয়ার ইউনিভার্সিটি থেকে বের করতে পারব না ততদিন কোন আশা নেই। একটা দেশের উন্নতির জন্য একমাত্র উপায় ইউনিভার্সিটি থেকে সু শিক্ষিত গ্রেজুয়েট বের করে তাদের কে দিয়ে দেশ পরিচালনা ও দেশ গঠন করতে দেয়া। এর বাইরে কোন উপায় নাই, এর বাইরে কোন সিস্টেম নাই।
বিঃদ্রঃ যারা উন্নয়নের ফিরিস্তি দিচ্ছেন, ভাইরে ভাই! আপনার ভোটচোরের সরকার ক্ষমতায় না থেকে, যদি ঐ কেলাস এইট পাস পিএম এর সরকার ও ক্ষমতায় থাকত সেইম উন্নয়ন ই হত। কারন, উন্নয়ন সরকার করেনা, করে ফরেন ইনভেস্টর রা আর কন্ট্রাক্টডার এর সিন্ডিকেট রা। খালেদা জিয়া হোক, আর শেখ হাসিনা হোক, এস আলম গ্রুপের বিজনেসে কুনজর দেয়ার অধিকার কারো নাই। তারেক রহমান ব্রোর সাথে সায়েম সোবহান এর বড় ভাই খুনের আসামীর দহরম মহরম ভুলে যাইইয়েন না। আজকে প্রাণ গ্রুপের কিছু হবে? কিংবা সামিট বা ম্যাক্স তমা গ্রুপের??? বেক্সিমকোর বিজনেস জাস্ট একটু বাড়ছে আর কি অন্য সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেটা হত এম হাসেম এর পারটেক্স গ্রুপের। এখন না হয় মখা আলমগীর এক্টা ব্যাঙ্ক লুট করছে, ভিন্ন সরকার থাকলে আরো একজন লুট করত।
আর যারা খালি বর্তমান সরকার কে গাইলাচ্ছেন, আপনাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারনে আপ্নারা খালি ভুল জিনিষ খুজে গাইলান। উন্নয়ন সবাই করবে, সবাইকে করতে হবে। সব সরকার করবে। কেউ কম কেউ বেশি। আর করাপ্সানে এখন না হয় সেরা দশের ভেতর থাকতে কস্ট হচ্ছে, আপনাদের দালালীর সরকারে থাকতে সেটা ১ আর ২ য়ে উঠানামা করত। চুরি সবাই করেন আপ্নারা, কেউ সবাইকে দেখিয়ে কেউ লুকিয়ে। কেউ রাজাকার দের সাথে সহবাসে আনন্দ পান, কেউ দেশ বিক্রি করে ভালোবাসা ফিল করেন। এই আর কি তফাত । একদম চোর আরেক দল ডাকাত। আপ্নাদের বিরোধীতায় আপ্নারা ইনফ্রাস্ট্রাকচার কেন বানাইছে এসব না এনে, কেন জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিছে, কেন মানুষের কথা বলার যায়গা বন্ধ করছে, কেন মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিছে সেসব নিয়ে তোল্পাড় করেন। ( ও আমি তো ভুলে গেছিলাম, আপ্নারাই না তারা যারা আবার আপ্নাদের ধর্ম নিয়ে কিছু কইলে কল্লা ফেলতে চলে আসেন??? ) উফ, কি ঝামেলা!!!!
আসল সমস্যার যায়গা আমাদের সচেতনতার অভাব, আসল সমস্যার যায়গা আমাদের শিক্ষার অভাব, আসল সমস্যার যায়গা আমরা মানুষ হয়ে উঠতে পারিনি, আমরা হয়ে উঠেছি লকলকে বিশাল জিহবা বিশিষ্ট চাটার দল।
২৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪১
শ্রাবণধারা বলেছেন: শ্রীলংকা আমাদের ভবিষ্যত বা আয়না কোনটাই নয় বলে মনে করি। এর কারণটা আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর বা বিদেশে আমাদের এককোটিরও বেশি ওয়েজ আর্নার ভাইয়েরা যেমন তারচেয়েও বেশি দেশের ১৬.৫ কোটি মানুষের তৈরি করা চাহিদা। চাহিদা-নির্ভর অর্থনীতির (Demand-Side Economics), মূল কথাটা এই যে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের চালিকা শক্তি তার সামস্টিক চাহিদা। আর সেকারনে, কেইনস সাহেবের অর্থনীতির তত্ত্ব সঠিক হলে বলতেই হবে আড়াই কোটি জনসংখ্যার দেশ শ্রীলংকার ক্ষেত্রে যা সত্যি তা আমাদের ১৬.৫ কোটি মানুষের দেশে বাস্তব নাও হতে পারে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বর্তমান সরকারের কোন ভূমিকা আছে বলে মনে করিনা, তবে ক্ষতির দিক থেকে বিবেচনা করলে এদের দ্বারা যত ক্ষতি হয়েছে কোনভাবে প্রযুক্তি আর শিক্ষা কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে পারলে অন্তত অর্থনৈতিক ক্ষতিটা কটিয়ে ওঠা যেত।
পরিশেষে, আপনাকে ধন্যবাদ এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পোস্ট দেবার জন্য। আপনার পোস্টের সাথে বিশেষত সাসুম, সেডরিক আর শাহিন-৯৯ ভাইয়ের মন্তব্য মিলিয়ে অতি সমৃদ্ধ একটা লেখা পাঠের আনন্দ পাওয়া গেল সামুতে।
২৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৩
কলাবাগান১ বলেছেন: @ সাসুম "আমরা হয়ে উঠেছি লকলকে বিশাল জিহবা বিশিষ্ট চাটার দল...।"
চাটার দল তাদের কেই বলবেন যারা সাপোর্টের বদলে কিছু পেতে চায়
আপনি হয়ত আওয়ামী লীগের তৃনমুলের সাপোর্টারদের চিনেন না...তারা কিছু পাবার আশায় আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করে না...আদর্শগত ভাবেই করে..আমি নিজেই ১৯৭১ এর সনের রোল এর জন্যই আওয়ামী লীগকে সাপোর্ট দেই। আমি আওয়ামী লীগের কোন নেতা তো দুরের কথা কোন কর্মীর সাথেও দেখা বা কথা হয়েছে বলে মনে হয় না
২৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:০৩
সাসুম বলেছেন: @কলাবাগান ১ঃ
চাটার দল বলতে কে কি বোঝায় জানিনা, বাট আমার কাছে চাটার দলের আলাদা সংজ্ঞা আছে। চাটার দল হল তারা, যারা তাদের নিজের সাপোর্ট করা দলের ,
চুরি, ডাকাতি, মাফিয়া গিরী, ব্যাঙ্ক খেয়ে দেয়া, লক্ষ কোটি টাকা পাচার, দেশের শিক্ষা-কালচার এর মায়রে বাপ করা, দেশের জনগনের অধিকার কেড়ে নিয়ে ভেড়া বানিয়ে রাখা, বাক স্বাধীনতার কফিনে শেষ পেরেক টা ঠোকা, বিচার হীন ভাবে হিটলারের এস এস বাহিনী দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস কায়েম করা, গুম, খুনের মাধ্যমে সমাজে রাষ্ট্রীয় ভাবে ভীতির সঞ্চার করা, ধর্মের নামে মানুষ কে ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখা , মানুষের কথা বলার ও প্রতিবাদ করার সর্বশেষ সুযোগ টাও কেড়ে নেয়া, ভোট ডাকাতি করে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা সহ
এরকম হাজার হাজার লাখো অন্যায় এর পরেও মুখ চোখ আর ব্রেন বন্ধক দিয়ে নির্লজ্জ দালালী করে এবং কয়েক যুগ আগে ক্ষমতা থেকে চিরতরে বিলীন হয়ে যাওয়া এক অধপতিত দলের ঘাড়ে সব দোষ চাপায়।
আপনি যদি সেরকম কেউ না হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ভয় নেই। আপনাকে চাটার দল বলি নাই।
২৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার মত "সুশীল" আর কিছু বাংগালীকে নিজের কলিজা রান্না করে দিলেও বলবে যে লবন কম হয়েছে...লেসার অফ দ্যা টু ইভিলস কেই সাপোর্ট দেই।
যখন দেখি এই আপনাদের মতে ভোট চুরি করা সরকার এর বিকল্প হল চাপাতি উচিয়ে ৬৪ জেলায় এক সাথে বোমা ফাটানো আর জনসভায় গ্রেনেড মারার দল, তখন এক টা দলকে বেছে নিতেই হয়
নারায়নগন্জে নৌকা জিতল কি ভোট চুরি করে????
লেইট নাইট টিভিতে সরকার এর জামা কাপড় খুলে নেওয়ার মত সমালোচনা করার পর আবার বলে যে সরকার কথা বলতে দেয় না।
দুই একটা ঘটনা কেই জেনেরালাইজড করেই মোটা দাগে একই রেকর্ড বাজান....এখন তো আবার কিছু বলার সুযোগ পাচ্ছেন, ঘাপটি মারা দল জামাতি রা আবার ক্ষমতায় আসলে দেখব তখন আপনাদের মত সুশীল দের কন্ঠস্বর।
২৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
সাসুম বলেছেন: @কলাবাগান ১ঃ চাটার দলের আরো একটা বৈশিষ্ট আছে- সেটা হলঃ তারা ভাবে যারা জনগনের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় অধিকার ভোট ডাকাতির বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ৬৪ জেলায় চাপাতি উচিয়ে বোমা হামলা করা দলের সাপোর্টার।
মানে দুনিয়ায় সভ্য , জ্ঞানী, সত্যের পথে, ন্যায়ের পথে, অন্যায়ের বিপক্ষে বলা মানুষ যে থাক্তেই পারে এটা চাটার দলের মাথায় আসেনা কখনো।
২৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৫১
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনাকে কোথায় বলা হয়েছে
যে আপনি "৬৪ জেলায় চাপাতি উচিয়ে বোমা হামলা করা দলের সাপোর্টার।" নাকি ইচ্ছা করেই না বুঝার ভান করছেন
আমি বলেছি কেন আমি আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করি কেননা বিকল্প দল হল ৬৪ জেলায় বোমা হামলা করা দল।
আর কোন মন্তব্য করব না এখানে পোস্ট অপ্রাসংগিক কথাবার্তা চলে আসায়.
৩০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:০৪
সাসুম বলেছেন: এক্টা জরুরি কমেন্ট এসেছে- সোবুজ এর। ইউ এস এর ফেডারেল রিজার্ভ গতিপথ ঠিক করে দেয় কোন দিকে যাবে।
এই মাসের শেষ কিংবা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ফেডারেল রিজার্ভ এর ইন্টারেস্ট এর রেট বাড়ছে। পুরা দুনিয়ার ইকোনমির উপর এক ভয়ানক আঘাত হানবে এটা। সব দেশ যারা ফেড রিজার্ভ এর উপর নির্ভর করে তাদের গ্রোথ রেট এবং জিডীপি দুইটাই সাফার করবে এর ফলে।
৩১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫১
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: @সেডরিক
মানে যতদিন না আমাদের কোন কোম্পানি নেক্সট কোন ফ্রেমওয়ার্ক বা আইটি টুল বানাচ্ছে ততদিন তাদের হিসাবেই ধরবেন না ? নিজদের প্রয়োজন নিজেরা মিটিয়ে ফেলতে একটা বড় স্টেপ। একদিনে তো আলাদিনের চেরাগ বানানো যাবে না, টাইম লাগবে আরো।
বেতনের ব্যাপার আসলে বলবো আমাদের গ্র্যাজুয়েটদের যেমন অবস্থা বেতন স্কেল তেমনই। যে গ্রাজুয়েট hello world প্রিন্ট করে ভাবে বিশাল প্রোগ্রামার হয়ে গেছে তাদের নিশ্চয় কোন কোম্পানি 50k দিয়ে স্টার্ট করাবে না। যারা মোটামুটি স্কিলড তারা ভালো কোম্পানিতে জয়েন করে, অন এভারেজ 40k দিয়ে স্টার্ট হয় স্যালারি। ফরেন ন্যাশনালদের আইটিতে আনার কারণ হিসেবে বলতে পারি অভিজ্ঞতা আর স্কিল। আমাদের দেশ যখন সাবমেরিন কেবলের সাথে যুক্ত হয় নাই তারও আগে থেকে এই লোকগুলো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। তাদের expertise আমাদের দরকার যেহেতু আমাদের প্রায় সব ভার্সিটিগুলো বিগ ফেইলিউর।
Agro product এর ব্যাপারটা আমার জানা ছিল না। আপনার কমেন্ট থেকে জানতে পারলাম তাই ধন্যবাদ।
৩২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:০৭
নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: @সাসুম
এদিকে আমাদের আরো একটা জিনিষ বেশি করে করা দরকার সেটা হল- লোকাল ডিমান্ড লোকাল জিনীষ দিয়ে মেটানো , যেমন আমাদের টিভি ফ্রিজের বিশাল বাজার এখন ওয়াল্টন মার্সেল এর হাতে।
আমি এই অংশটাতে ফোকাস করতে চেয়েছিলাম, আপনি আরো ভালোভাবে বলেছেন। ইন্ডিয়ার আইটি সেক্টরের তুলনায় আমরা দুধের শিশু এটা খুব সত্য। কিন্তু দেশের অনেক ইন্টারনাল সার্ভিস কিন্তু দেশের কোম্পানির গুলোই দিচ্ছে। যখন দেখি incepta র সিস্টেম ডিজাইন করে দিচ্ছে brainstation বা রেলওয়ের টিকিট সার্ভিসের বা নেটওয়ার্ক সেটাপের জন্য আমাদের বাইরের কোম্পানির কাছে যেতে হচ্ছে না আমার কাছে সেটা এ স্টেপ ইন রাইট ডিরেকশন।
৩৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২৮
সাসুম বলেছেন: @নিরীক্ষক৩২৭, ব্রেইন্সস্টেশান এর সার্ভিস এর সাথে আপনার রেলওয়ের সি এন এস সার্ভিস এর তুলনা উগান্ডার সাথে সুইডেনের তুলনার মত।
ব্রেইন্সটেশান একটা মাল্টীন্যাশনাল ব্রান্ড এই মুহুর্তে সো তাদের কাজ ও সেই লেভেলের। আমি পারসোনালি তাদের চিনি এবং কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে টুকটাক।
আর রেলের সি এন এর আওয়ামী লীগের এক্স মন্ত্রির পারসোনাল প্রতিষ্ঠান যাদের কারনে রেল প্রতিবছর লাখ কোটী টাকা গচ্চা দিচ্ছে এবং সার্ভিসের মানের গোমাসা হচ্ছে।
৩৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০২
জ্যাকেল বলেছেন: এই সমস্যা হওয়াটা উগান্ডুদেশের জন্য ইনেভিটেবল বলাই যায়। কারণ ফরেন রিজার্ভের সাথে টাকার মুল্যমান কিন্তু কমতেছে। তো ফরেন রিজার্ভে টান পড়ার ঘটনা ঘটতেই পারে। যেমন ধরেন আমেরিকার সাথে মিস্টি মিস্টি শত্রুতা যেইটা শুরু হইয়াছে ইহা যদি ক্রমাগত চলতেই থাকে তবে মিডল ইস্ট থেকে আমাদের চাকর শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো শুরু হইতে পারে। এরপর ধরেন লংকার গার্মেন্টস শিল্প যদি আমেরিকার কাছে গান্ডুদেশকে বাঁশ দেওয়ার খায়েস জাগে তাইলে তো বুঝতেই পারতেছেন লংকার কপাল যে খুলবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পলিটিক্সের খেলায় আপনার উল্লিখিত গান্ডুদেশ যে একেবারে তলানির দলে জুটেছে এই খবরও তো জানা আছে। তাই মারপ্যাচ যদি গান্ডুদের এগেইন্সটে যায় তাইলে দেখা যাইবে অনেক ফরেন ইনকামের রাস্তা বন্ধ হইয়া যাইতেছে।
এক হিসাবে পড়েছিলাম কোন এক দেশের অর্থ পাচারের পরিমান বাজেটের ২৫ শতাংশের কাছাকাছি। এখন গান্ডুদেশে যদি ঐ পরিমান পাচার হয় তাইলে ফরেন রিজার্ভের ঝুলি খালি হইতে মাত্র কয়েক সেশন টাইম লাগবে এরপরেই শাক দিয়ে ঢাকা মাছটি দেখা যাইবে। এতদিন তো নড়তেছিল, শাকটা উপর থেকে সরে গেলেই মাছ দেখা যাইবে। তখন শুরু হইবে ক্রাইসিস যাহা শ্রীলংকার চাইতে চরম খারাপ হওয়ার আশংকা করা যায়।
এখন গান্ডুদের ব্যাপারে আসি। অনেকেই আছেন সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইঅভার এর মুলা দেখিয়ে সাধারণ মানুষদের (দেশপ্রেমিক/দেশ এর কেয়ার করে এমন সকল মানুষদের) মুখে তালা মেরে দিতে চায়। এই যে উন্নয়ন উন্নয়ন বলে উচ্চকন্ঠে চিল্লানো হইতেছে এর মুদ্রার ওপর পিঠ কি দেখার কোন প্রয়োজন নাই? ২১ টাকার সেতু ৬৫ টাকা দিয়ে যে বানানো হইল এই পয়সা আমাদের মত সাধারণ মানুষেরা পরিশোধ করবে। (বসুন্ধরা/মেঘনা/এস আলম ইত্যাদি ধনীদের উপর সরকার কর/অর্থ আদায়ের কোন চিন্তা করে না।)
তো এক পদ্মা সেতু দেখিয়ে যে পরিমান গাঁটের পয়সা চলে গেল + ফরেন ডলার দিয়েই তো এই ব্যয় দিতে হইল। তার মানে চাকর/গার্মেন্টস এর ফকিরেরা ডলার আনতেছে আর পাচার তো আছেই বৈধ পথেই আবার এই ডলার গচ্চা যাইতেছে। দিনশেষে ফকির তো ফকিরই থাকতেছে।
একজন সুযোগসন্ধানী লোকের জন্য ১ কোটি টাকা যথেষ্ট এখন সে যদি ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েও শান্তি না পায় উন্মত্তের মত সে রাষ্ট্রের টাকা মেরেই চলেছে আর ঐদিকে ছোটলোক জনগণ আশায় আছে ফরেন রিজার্ভ আছে, নো টেনশন। হাঃহাঃহাঃ
আরেকটা কথা রিজার্ভও যে অক্ষত থাকবে এইরকম করাপ্ট লোকদের হাতে ইহা ভাবাও আরেক অর্বাচীনতা। কিছুদিন আগেও ৭০০ কোটি টাকা গচ্চা গেছে ফান্ড এদিক সেদিক করে। এখন ৭০০ কোটি তো সামান্য এক ফোঁটা খবর সাগর চুরির। আসল খবর জানার নসিব কি গান্ডুদেশের অভাগাদের জানা আছে?
অঃটঃ বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশের ওপর নির্ভর করে গান্ডুদেশের জনগণ পেটপুরে খেতে পারতেছে আর সাথে নাকি অবকাঠামো হইতেছে। এর ইনেভিটেবল ফিডব্যাক আসার সাথে সাথেই না হুশ হইবে কপাল পুড়া ঐ দেশের পাবলিকের।
৩৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন আলোচনা হচ্ছে। সবাইকে ধন্যবাদ আলোচনায় অংশ নেয়ার জন্য। ব্লগার নতুন বলেছেন - জনগণ আর রাজনৈতিক কর্মীর মাঝে পার্থক্য হইল। আমজনতা সমালোচনা করবে কিন্তু দলের নেতা কর্মীরা দলের সমালোচনা করবেনা, তাদের কান শুধু দলের প্রসংসা শুনতে চায়।
আমরা দেশকে ভালোবাসি। দেশের ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলার অধিকার আমাদের আছে। তাই আলোচনা চলবে। যারা সাধারন মানুষের ন্যায় আশংকা, দেশের ভালো মন্দের প্রতি চিন্তাকে চুড়ান্তভাবে অবমাননা করে তারাই সরকারকে কোন প্রশ্ন করা হলে, সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে অন্যদের রাজাকার বা অন্য কিছু বলে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করে।
এই ধরনের অন্যায় ট্যাগের কারনে রাজাকারের মত সর্বজন স্বীকৃত একটি ঘৃণিত শব্দ আজ তার গুরত্ব আগের চেয়ে হারিয়েছে। নতুন প্রজন্মের এই সকল নিরোদেরকে এক সময় জবাবদিহী করতে হবেই।
৩৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:০৮
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
পোস্টটি স্টিকি করার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রজাতন্ত্রের সরকার দেশের জন্য মানুষের জন্য সমাজের জন্য। নিজের জন্য নিজে সরকার নন। নিজের জন্য নিজে সরকার হলে দেশের প্রতিটি মানুষ নামের আগে পরে “সরকার, মন্ত্রী” উপাধি ধারণ করবে। যা কখনো ভালো ফলাফল দেয়নি। অতীত ইতিহাস আমাদের তাই বলে।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ অত্যন্ত সুন্দর মতামত রাখার জন্য।
৩৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:১০
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ...
কাভাকে না আমি ভালা লুক বলে জান্তাম,
কাভার জন্য তাহাজ্জুদেও কান্তাম।
আজ থিকা দিছি দোয়াখায়েরেই তালাক,
দেশ এগুবেই কাভারা যতই ফালাক।
দেশ বিরোধীরা ভালা কে দেখেছে কবে?
খাড়াও কাভা তোমার বিচার হবে।
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৪৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এইভাবে আমারে তালাক দিলেন!!
৩৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য একটি সক্ষম বিরোধীদল না থাকা। মানে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মনিরোপেক্ষ আরেকটি বড় বিরোধীদল গড়ে না উঠা। বিএনপি এখন কোন দল না। তত্তাবধায়ক দিলেও মানবে না। ২০০৮ এর মত ক্লিন নির্বাচনও মানে নাই। বেতন ভাতা নেয়ার দিন বাদে একদিনের জন্যও সংসদে আসে নি।
আরেকটি ১৫ই আগষ্ট ঘটিয়ে না দেয়া পর্যন্ত বিএনপির কাছে কোন নির্বাচনই নিরোপেক্ষ হবেনা, নির্বাচনেও যাবে না।
কমুনিষ্ট পার্টি + বাম দলগুলো মিলে একটি ধর্মনিরোপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধ মানা একটি শক্তিশালী দল গড়ে উঠে আওয়ামীলীগকে চ্যালেঞ্জ করতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য বামদলগুলো জামাতি লেজুড়বৃত্তি করতে করতে হেফাজতের চেয়েও এককাঠি বড় মোসলমান হয়ে গেছে। আওয়ালীগে জামাতি ঢুকেছে জানি, তবে সবচেয়ে বেশী জামাতি ঢুকেছে বামদল গুলোতে।
স্বাধীনতার পর ৭২ এ ভাষানীর মত নেতা নিয়ে ন্যাপের একটা শক্ত অবস্থান ছিল। মোজাফফর ন্যাপ ও জাসদ থেকে ভাসানী ন্যাপ বেশি বাম প্রগতিশীল ধর্মনিরোপেক্ষ ডায়নামিক একটি দল ছিল। একটি প্রধান বিরোধী দল হওয়ার জন্য যা যা দরকার সবই ছিল।
৭৫ এ বংগবন্ধু হত্যার পর ভাষানীর নেতৃত্বে ন্যাপ বড় একটি বিকল্প শক্তি হিসেবে অবস্থান শক্ত করতে পারতো, কিন্তু হোল উল্টাটা।
মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে যখন রাজাকার-আলবদর খুনিদের বিচার শুরু হোলো ৭২ সালে,
তখন এই আইনের বিরোধিতাকরা শুরু করে দিয়েছিল মাওলানা ভাসানী।
শুধু বিরোধীতা করেই মাওলানা ক্ষান্ত হন নি, বরং এই বিচার বন্ধে তিনি আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন এবং ৭৩ এর নির্বাচনের প্রাক্কালে ন্যাপের মেনিফেস্টোতে রেখে এই বিচার বন্ধ করা হবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন।
আরেকটি জঘন্য ভুমিকা ভূমিকা ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও পুরো পরিবার সহ খুন হবার পর।
মাওলানা ভাষানী এই খুনী কর্ণেল ফারুক-ডালিম-রশিদদের জঘন্য হত্যালিলাকে বাহবা দিয়েছিলেন এই মাওলানা এবং খুনী মোশতাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। ১৫ই আগষ্ট সকালেই।
শুধু তাই না জেল হত্যার পর ন্যাপের মশিউর রহমান যাদুমিয়া ও হামিদুল হক কে খুনি জিয়ার হাতে দিয়ে দল গঠনে সহায়তা করেন।
এখানেই শেষ না।
নিজের দলের অতি মুল্যাবান নির্বাচনি প্রতিক 'ধানের শিষ' খুনি জিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন বা ফ্রীতে দিয়ে দেউলিয়া রাজনীতির (লেজুরবৃত্বির) শেষ সীমানায় পৌছেন। বর্তমান বামপন্থিদেরও একই অবস্থা।
বাংলাদেশে কবে একটি সক্ষম বাংলাদেশপন্থি দল বিরোধী দল গড়ে উঠে আওয়ামীলীগকে চ্যালেঞ্জ করবে?
৩৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
ভুয়া মফিজ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখীঃ আপনার হয় তো জানা নাই, আপনার যে কোনও মন্তব্য আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ি। কারন হলো, আপনার মন্তব্য কোন না কোন ভাবে আমাকে বিনোদন দেয়। আং সাং কথা বলে যে কোনও গঠনমূলক আলোচনাকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার কোন জুড়ি নাই। এটা অবশ্য সাধারনভাবে যে কোনও আওয়ামী খাস সমর্থকেরই বৈশিষ্ট্য। এই পোষ্টেই খুজলে উদাহরন পাওয়া যাবে।
যাই হোক, এই পোষ্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো, উগান্ডা দেশটার অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ। আপনি সেটার একশত গজের মধ্যে না গিয়ে আগের মন্তব্যে আলোচনা করলেন পুরাই বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে, যার প্রতিটা কথারই পাল্টা কথা বা যুক্তি আছে। বক্তব্য আছে। কোন মানে হয়? কোন রাজনৈতিক আলোচনার পোষ্টের জন্য না হয় এসব তুলে রাখেন, অথবা আপনিই একটা পোষ্ট দেন.......আমরা না হয় সেখানে গিয়ে এই বিষয়ে আলোচনা করলাম! প্রস্তাবটা কেমন?
৪০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:১২
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আল্লাহ্ রে, পরীক্ষার আগের রাইতেও এত্ত পড়তে হয় নাই। কিন্তু যা খুঁজতেছিলাম তা পাইলাম না।
উগান্ডাতে যাইবার চাই, কেম্নে কি করবাম ভাই?
৪১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:২৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ আপনার সংগে আমি সম্পূর্ণ একমত। আমিও বিনোদন পাইলাম।
৪২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
একদম করে চলেছে নির্লজ্জ চাটাচাটির দালালি আরেক দল বিজি রাজনৈতিক কারনে সরকার বিরোধিতা। অথচ আসল সমস্যা খুব কম লোকেই ফিগার আউট করছেন।
@ব্লগার সাসুম সরকার গঠিত হয় জনগনের রায়ের ভিত্তেতে, যখন ব্যার্থ হয় তখন সরকারকে সরিয়ে দেয় জনগন কিন্তু আজ সেই পথ বন্ধ। আপনি যে সমাধান চাচ্ছেন তা যে কোন সরকার স্বদিচ্ছা থাকলে করতে পারবে কিন্তু কোন সরকার সেদিকে না তাকায় তখন সাধারণ জনগনের দায়িত্ব তাকে সরিয়ে দিয়ে নতুন কাউকে সুযোগ দেওয়া কিন্তু আজ সেই সুযোগ নেই। তাহলে এখন আপনি বলুন মূল কাজ কি হওয়া উচিত দেশের জনগনের সরকার প্রতিষ্টা আগে চেষ্টা করা নাকি শুধু এভাবেই বলে যাওয়া ক করলে দুইটা ক পাওয়া যাবে?
৪৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৫
সাসুম বলেছেন: @শাহিন-৯৯ সবার আগে দরকার আমাদের শিক্ষা , এটা না করলে সরকার চেঞ্জ করে যাদের ক্ষমতায় বসাবেন তারা হজরত আরিফ আজাদের বই স্কুল কলেজে পাঠ্য করে দিবে এবং মহা উৎসাহে আরো দ্বিগুণ গতিতে চুরি শুরু করবে । ( অল্রেডি আমরা দেখেচ্ছি সেটা )
আপনার রোগ হয়েছে এটা খুজে করতে পারা আগে কাজ, এই কারনে দেখবেন আগে ডাক্তার এর কাছে গেলে টেস্ট দেয় পরে টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্নয় এর পর মেডিসিন দেয়।
আমাদের এখন টেস্টের মাধ্যমে রোগ নির্নয় স্টেজ হল আমাদের কে শিক্ষিত হওয়া, ভাল কোনটা আর মন্দ কোন্টা সেটা বুঝতে পারা এরপর বাকি কাজ মানে চিকিৎসা। আগে আমার উপর যে অত্যাচার হচ্ছে এবং এটা যে অন্যায় এই উপলব্দি আমাদের খুব জরুরি।
৪৪| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:০৫
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
@সাসুম
আপনি বলেছেন-আপনার রোগ হয়েছে এটা খুজে করতে পারা আগে কাজ। আপনি
রোগ কিন্তু সবার জানা কিন্তু চিকিসক কে বা কারা হবে এটাই মূল প্রশ্ন।
আরো বলেছেন-হজরত আরিফ আজাদের বই। কেন তার বই চলছে? কারা কিনছে?
আসুন আমি যে এলাকায় থাকি তার কিছু বর্ণনা দেই তাহলে আপনার রোগ খুঁজে পাবেন, আমি যে এলাকায় থাকি সেই এলাকার নাম কাঁচপুর, সোনাগাঁও, নারায়ণগন্জ। আমি এলাকায় আসি ২০০৭ সালে, পুরো এলাকায় তখন সবে মা্ত্র একটি কওমী মাদ্রাসা চালু হয়েছে একটি ফ্লোর ভাড়া নিয়ে এখন সেই মাদ্রাসাটি পাঁচতলা দুইটি ভবনের মালিক!! পুরো কাঁচপুর এখন কমপক্ষে ২০-২৫টি ছোট বড় মাদ্রাসা আছে? অবাক হচ্ছেন নিশ্চই? কিভাবে রাজধানী উপকন্ঠে এভাবে তারা বিস্তার করলো? কেন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী তারা পাচ্ছে?
আমি যে বাসায় থাকি তার নিচে ছোট একটি কওমী মাদ্রাসা, ছাত্র-ছাত্রী উভয় শাখা আছে, প্রতিদিন সকালে গামেন্টসগামী মা-বাবা তাদের সন্তানদের এখানে দিয়ে চলে যায়, রাতে এসে নিয়ে যায়!! নিশ্চই বুঝতে পারছেন কেন এই ধরণের শিক্ষা ব্যবস্থা বৃদ্ধি পাচ্ছে? সল্প আয়ের কোন বাবা-মা চাইলেও তার সন্তানকে প্রাইমারীতে ভর্তি করতে পারছে না কারণ যে সুযোগ তাদের নেই, সন্তানের নিরাপত্তা, দেখভালগুলো মাদ্রাস করছে, তাছাড়া খুব কম বেতনে কিছু হলেও পড়াশুনা হচ্ছে।
এখন এই সব ছেলে-মেয়ে বড় হয়ে কার বই পড়বে? এ দেশে সহজে রোগ খুঁজে পাওয়া যায়, পাওয়া যায় না ভাল চিকিসক? আমাদের কি রোগ আমরা জানি, শুধু খুঁজে বের করতে হবে একজন ভাল চিকিৎসক।
বর্তমার সরকার কওমীদের সনদ দেওয়ার ঘোষণা দিল, কিন্তু তাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষার ব্যবস্থা নিল না!! বা সেই ধরনের শিক্ষা সমন্বয় তারা করলো না।
এখন আপনি যদি বিশাল এই জনগোষ্টি বাদ দিয়ে শিক্ষার কথা বলেন তাহলে আমার আর কোন কথা নেই।
৪৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৫৪
জ্যাকেল বলেছেন: আমি একটা জিনিস বুঝতে অক্ষম যে উগান্ডাদেশের ফরেন রিজার্ভ/ডলার নিয়ে যেখানে আলোচনা থাকার কথা সেখানে কিভাবে বাংলাদেশের বালছাল জামাত বিম্পি বামাত টামাত ঢুকে যায়?
এরা আসলে সেই প্রকার লোক যারা যেকোন কিছুতেই বামহাত ঢুকাইতে ভালবাসে। উহাতেই তাদের সিদ্দিলাভ হয়। আমার সবিনয় অনুরোধ এইভাবে বায়ান্নো রাস্তা তেপান্নো গলিতে নিয়া যাইয়া আমাদের মত সাধারণ মানুষদের চক্কর দেওয়াইবেন না।
৪৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের জনসমষ্টির মধ্যে একটা অদৃশ্য অন্তর্নিহিত শক্তি আছে। যে শক্তির কারণেই হয়ত বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ...সাত কোটি মানুষকে আর দাবায়ে রাখতে পারবা না।
কিন্তু গাড়ির ৫ম গিয়ার থাকা সত্ত্বেও কেউ যদি ২য় গিয়ারে গাড়ি চালিয়ে তৃপ্তি পায় এবং সে যদি রিক্সার আগে যাচ্ছে এই খুশিতে ধেই ধেই করে নাচে তাহলে এই ধরণের নির্বুদ্ধিতা কল্যাণকর নয়।
বাংলাদেশ যদি চরম দরিদ্রের হার ৫% থেকে ১০% এর পর্যায়ে নামিয়ে আনতে পারে তাহলে দেশে উন্নয়নের সত্যিই জোয়ার লাগবে বলে মনে হয়।
৪৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৪১
অপু তানভীর বলেছেন: পোস্টের থেকেও পোস্টের মন্তব্য পড়ে বেশি আমোদিত হইলাম !
আই গেস, সাম পিপুল ক্যান নেভার বি চেঞ্জড !
৪৮| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ ভোর ৪:১৫
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ ভুয়া মফিজ
যারা কমেন্টে নিজ দেশকে গান্ডুদেশ বলছে, পরিশ্রমি শ্রমিকদের চাকর ফকির বলছে।
যারা নর্মাল রাজনীতিতে হাসিনার পতন ঘটাতে ব্যার্থ হয়ে কোন উপায় না পেয়ে না পেরে বিদেশী হস্তক্ষেপ কামনা করে দেশের খারাপ অবস্থা চায়। (বিদেশী শক্তির সাহায্যে কথিত গান্ডুদেশকে বাঁশ দেওয়ার খায়েস) দেশের ধ্বংশ কামনা করে বাংলাদেশী পোষাক শিল্পে লাল বাতি জলা কামনা করে শ্রমিকদের ভিকিরি বানাতে চায়, আরবের শ্রমিকদেরও দেশে ফিরিয়ে এনে দারিদ্রকে ডেকে মোনাজাত করতছে এদের কে কি বলবেন?
একজন কি লিখেছে দেখেন।
রিজার্ভের সাথে টাকার মুল্যমান কিন্তু কমতেছে। তো ফরেন রিজার্ভে টান পড়ার ঘটনা ঘটতেই পারে। যেমন ধরেন আমেরিকার সাথে মিস্টি মিস্টি শত্রুতা যেইটা শুরু হইয়াছে ইহা যদি ক্রমাগত চলতেই থাকে তবে মিডল ইস্ট থেকে আমাদের চাকর শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো শুরু হইতে পারে। .. গার্মেন্টস শিল্প যদি আমেরিকার কাছে গান্ডুদেশকে বাঁশ দেওয়ার খায়েস জাগে তাইলে তো বুঝতেই পারতেছেন লংকার কপাল যে খুলবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক পলিটিক্সের খেলায় আপনার উল্লিখিত গান্ডুদেশ যে একেবারে তলানির দলে জুটেছে এই খবরও তো জানা আছে। তাই মারপ্যাচ যদি গান্ডুদের এগেইন্সটে যায় তাইলে দেখা যাইবে অনেক ফরেন ইনকামের রাস্তা বন্ধ হইয়া যাইতেছে।
..... .. ফরেন রিজার্ভের ঝুলি খালি হইতে মাত্র কয়েক সেশন টাইম লাগবে এরপরেই শাক দিয়ে ঢাকা মাছটি দেখা যাইবে। এতদিন তো নড়তেছিল, শাকটা উপর থেকে সরে গেলেই মাছ দেখা যাইবে। তখন শুরু হইবে ক্রাইসিস যাহা শ্রীলংকার চাইতে চরম খারাপ হওয়ার .... (আহারে কত স্বপ্ন দেখেরে ..)
কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বাংলাদেশ উলটো বাংলাদেশ শ্রীলংকার বিদেশী ঋনের কিস্তি পরিশোধ করে যাচ্ছে। মাত্র কিছুদিন আগে শ্রীলংকা আরেকটি কিস্তি পরিশোধের জন্য পুনরায় অর্থনৈতিক ভাবে সক্ষম বাংলাদেশের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
বাংলাদেশ আগের শর্তেই রাজি হয়েছে, অর্থাৎ ডলারের সমান পরিমান শ্রীলংকান মুদ্রা বন্দক রাখবে।
৪৯| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:৪৯
জ্যাকেল বলেছেন: হুমম, দেখা যাইতেছে কেহ কেহ বাংলাদেশের সাথে উগান্ডার বিশেষ মিল পাইতেছেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমার সাফ কথা উপরে আমি ঘুর্নাক্ষরেও কিন্তু বাংলাদেশের কথা বলিনি। প্রকৃত সত্য হইতেছে বাংলাদেশ তো বর্তমানে মালেশিয়া সিংগাপুরের জন্য অনুসরণীয় এক মডেল দেশ। এই দেশের সামান্য এই একটু আধটু সমস্যা ছাড়া বলতে পারেন উন্নত দেশের কাতারেই আছি। আমাদের দেশে কোন ফকির নাই, কোন রাস্তা কাঁচা নাই, অবকাঠামো উন্নত করা হইয়াছে, এক পদ্মা সেতুর মত সেতু দুনিয়ার কোথাও আর নাই। আর এই দেখেন মেট্রোরেল হইতেছে ইহা আমাদের উৎকর্ষতার প্রমাণ। এ ছাড়া আমরা শ্রীলংকার মত নামকরা দেশকে পর্যন্ত কাগজের বিনিময়ে ডলার দিতে পারতেছি কারন আমাদের আছে। তাই না? আমরা আসলেই ধনী দেশ, বিশ্বের খুব কম দেশেরই আমাদের চাইতে মাথাপিছু জিডিপি বেশি। আর বাংলাদেশে যে গণতন্র চালু আছে ইহা আমেরিকার মত নামে গণতন্ত্রের দেশের কাছে কিছু না হইলেও গণতন্ত্রের রোল মডেল চীনের সাথে দেখেন কত মিল। তাই নামকা ওস্তে গণতন্ত্রের দেশ আমেরিকা আমাদের দাওয়াদ দেয় না, আসলে ওদের হিংসে হয় যে আমরা সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাইতেছি। তাই দেখেন নিষেধাজ্ঞা দিয়া দমাই রাখতে চায়। কিন্তু গণতন্ত্রের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঠিকই এগিয়ে যাবে।
যারা কথায় কথায় বলে যে আওয়ামীলীগ আমলে দেশে বাকস্বাধীনতা, গণতন্ত্র নাই, গুম-খুন হইতেছে, শেয়ার/লুট, দুর্নিতি লুটতরাজ চলতেছে ইত্যাদি ইত্যাদি বলে এরা আসলে নব্য রাজাকার। এরা জামাতি, বিএনপির চেলা এদের কথায় কান দিবেন না। এরা বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে হিংসায় জ্বলতেছে, এরা আসলে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের শত্রু। এদের কোন কথা বিশ্বাস কইরেন না।
৫০| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পুরো পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো আবারো পড়লাম খুবই ভালো লাগছে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা দেখে শুধু ২/১টি বিশেষ দালালের মন্তব্য ছাড়া। আলোচনা চলতে থাক; ব্লগ আসলে এরকমই হওয়া উচিত।
৫১| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৪১
নতুন বলেছেন: আমি যেহুতু রাজনৈতিক কর্মী না তাই আমি সরকারের সমালোচনা করবো।
দেশের ভবিষ্যতে র্গামেন্সের আয় কমে আসবে। ( সেই দিকে কোনো ভাবনা নাই )
দলীয় দূর্নতি এখন শৈল্পিক র্পযায়ে পৌঁছেছে। ( আপনার আমার বন্ধু বা পরিবারের মানুষ ই করছে)
যারা মন্দের ভালো থিইওরিতে বিশ্বাসি তাদের বোঝা দরকার ধান্ধাবাজেরাই বর্তমানে রাজনৈতিক নেতা। এরা চেতনা বিক্রি করছে।
দেশের অনেক উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু সেটা ঠিকদারী কাজের মাধ্যমে টাকা আয়ের উদ্দেশ্য পুরন হচ্ছে।
জনগণ বা দেশের জন্য খুবই কম কাজ হচ্ছে।
৫২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:২০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: উন্নয়নের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে একদিন আমরা সবাই অন্য কোন দেশে চলে যাব নিশ্চিৎ।
৫৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আমার ধারণা ছিল অন্তত দুইজন ব্লগার এই পোস্টে ট্যাগিং, ওই দলের আমলে কি ছিল, পাকিস্তানের এখন কি অবস্থা, শ্রীলঙ্কাকে আমরা অর্থ সাহায্য দিয়েছি-ইত্যাদি টপিক তুলে পোস্টের মূল বক্তব্যকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করবেন। কমেন্ট সেকশানে সেই দুই ব্লগারেরই সরব উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে।
প্রেডিকশন মিলে গেলে মাঝে মাঝে নিজের পিঠ চাপড়ে দিতে ইচ্ছা করে।
৫৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক দিন তো হয়ে গেল এবার আমাকে সেফ করা যায় কিনা যদি একটু দেখেন।
৫৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ২:৩৫
গরল বলেছেন: শ্রিলংকার এই দেউলিয়াত্বের সাথে তাদের নিজেদের ব্যার্থতা অবশ্যই আছে তবে তার চেয়ে বেশি কাজ করেছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, বিশেষ করে চীন এর কারসাজি। এর বিপরীতে ভারত ও আমেরিকার চক্রও কাজ করেছে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ার কারণে। এর ব্যাকগ্রাউন্ড অনেক ব্যাপক ও সুদুরপ্রসারি।
আপনি "ষ্ট্রিং অব পার্লস" নামে চীনের একটা সমুদ্র বন্দর নেটওয়ার্ক এর নাম অবশ্যই। তার পরেও একটা লিংক দিলাম আবার একটু বিস্তারিত দেখে নেওয়ার জন্য।
Here Is All You Should Know About 'String Of Pearls', China's Policy To Encircle India
রোহিঙ্গা সমস্য ও আরাকানের জমি দখলও একই সুত্রে জড়িত যার সহযোগিতায় আছে পাকিস্তান ও। কারণ দেখবেন আরাকান লিবারেশন আর্মিকে (রোহিঙ্গা বিদ্রহী) অস্ত্র ও রসদ দিয়ে সহযোগিতা করে তাদের উস্কে দিয়ে মায়ানমারকে উদ্বুদ্ধ করেছে রোহিঙ্গা নিধনে। কারণ হচ্ছে আরাকানে হবে চীনের পোর্ট কারণ বাংলাদেশ চিটাগাং পোর্ট সেভাবে দিতে রাজি হয় নাই যেহেতু ইন্ডিয়ার প্রভাব আছে। আর তাই রোহিঙ্গা দিয়ে বাংলাদেশকেও একটু চাপে ফেলা গেল। সড়ক পথে বা ট্রেনে আরাকান (কুনমিং থেকে আরাকান) পর্যন্ত এসে তারপর জাহাজের চড়লে এশিয়া ও আফ্রিকাতে পণ্য সরবরাহের খরচ চার ভাগের এক ভাগ কমে যাবে আর সময়ও কমবে মোটামুটি তিন ভাগের এক ভাগ। কারণ এখন সেটা পাঠাতে হয় ম্যাকাও বন্দর হয়ে যা ঘুরে আসে উপরের ছবির ম্যাপ অনুযায়ি।
আশা করি বাংলাদেশ এই আশংকা থেকে উতরে গেছে তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে পেয়েছে রোহিঙ্গা সমস্যা। চিটাগং এর বিকল্প হিসেবে পেয়েছে আরাকান কে। যেহেতু কলম্বোর কোন বিকল্প নাই তাই শ্রিলংকাকে একটু বেশই মূল্য দিতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০০
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার লেখা সংশোধন করা উচিত খানিকটা দুয়েক জায়গায়, না হলে পাঠক উগান্ডা আর দেশ মানে বাংলাদেশ গুলিয়ে ফেলে একটা বিভ্রাট-ফ্যাসাদ ঘটিয়ে ফেলতে পারে।