নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

দৃষ্টি আকর্ষনঃ কপি পেষ্ট পোস্ট (২) ও ব্লগীয় পরিবেশ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৩:৫৫

আমার এই পোস্টটি ব্লগার জ্যাকেলের “Plagiarism লেখা চুরি কাহাকে বলে, কত প্রকার ও কি কি ?”নামক পোস্টের মন্তব্য হিসাবে করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে সকলের জানার সুবিধার্থে পোস্ট আকারে প্রকাশ করছি।

কপি পেস্ট বিষয়ে ইতিমধ্যে ব্লগে বেশ আলোচনা হয়েছে। অতীতেও এই বিষয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে এবং এই সংশ্লিষ্ট পোস্ট এসেছে। কিন্তু তৎকালীন কপি পেস্ট পোস্ট বিষয়ক সমস্যার সমাধানের উদ্দেশ্য আর বর্তমান কপি পেস্ট সমস্যার সমাধানের প্রেক্ষাপট কিন্তু এক নয়।

বর্তমানে সামহোয়্যারইন ব্লগে কপি পেস্টের বিরুদ্ধে যে সচেতনতা মূলক ক্যাম্পেইন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তার সূত্রপাত যদিও একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বিশেষ বা ব্যক্তিদ্বয়ের উপর সংঘবদ্ধ ক্ষোভের কারণেই শুরু হয়েছিলো, তারপর আশা করব এই সচেতনতা সার্বজনীন হবে এবং সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে।

কেউ কপি বার বার পেস্ট পোস্ট বার বার করলে অনুগ্রহ করে তা মডারেটরের নজরে আনবেন। মেইল করবেন – [email protected] এই ঠিকানায়। ব্লগ টিমের সদস্যরা এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে কেউ যদি পোস্ট করার বিষয়বস্তুর অভাবে থাকেন, মানে বুঝতে পারছেন না কি বিষয় নিয়ে ব্লগ পোস্ট দিবেন, তাহলে উক্ত বিষয়টি ব্লগে পোস্ট দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে সবাইকে নিয়ে আলোচনায় মতান্তরে ক্যাচালে অংশ নিতে পারেন।

(কানে কানে পরামর্শ হচ্ছে মাঝে মাঝে ক্যাচাল করবেন, নইলে ব্লগার হিসাবে স্বীকৃতি তো দুরে থাক প্রভাবশালী বা জনপ্রিয় ব্লগার হওয়া যায় না, তবে যারা নিজ নিজ প্রজ্ঞা ও মেধা দিয়ে প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ব্লগার হতে চায় তাদের কথা উদহারনে আনতে চাই না। কারণ ব্যতিক্রম কখনও উদহারন হতে পারে না। সম্ভব হলে পোস্টটি কিছু ধর্মীয় আবহ দিবেন যেমন, বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে সালাম দিবেন, শেষে লিখবেন জাযাকাল্লাহ )

গত কয়েকদিনের আলোচনা থেকে আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন - কপি পেস্ট পোস্ট কি এবং কপি পেস্ট পোষ্টকে সবাই কি চোখে দেখেন। এরপরও যারা বুঝতে অক্ষম তারা মন্তব্যের ঘরে জানালে তখন সেখানে পুনরায় আলোচনা হবে।

এর পাশাপাশি, আমি অন্য কিছু বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আশা করছি, সকলেই এই বিষয়গুলো গুরত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন। পরবর্তীতে কাউকে নীতিমালার আওতায় আনা হলে আশা করি তখন কেউ কোন অভিযোগ করবেন না।

আমি লক্ষ্য করেছি, আমাদের মধ্যে অনেকেই পোস্টের শেষে সম্পাদিত নামক একটি শব্দ জুড়ে দেন। তাদের কাছে প্রশ্ন, সম্পাদনা বলতে তারা কি বুঝেন? ইতিপূর্বে দেখেছি, অনেকেই এই বিষয়ে কথা বললে রিএ্যাক্ট করছেন, রাগ করছেন এবং আজগুবি সব যুক্তি দিচ্ছেন।

আমি আশা করব বিভিন্ন পোস্টে গিয়ে হাস্যকর ও বালখিল্য মন্তব্য করে নিজেকে হাস্যকর প্রমাণ না করে যৌক্তিক আলোচনার মাধ্যমে নিজের ভুল শুধরে নিন অথবা আমাদেরকে শেখার সুযোগ করে দিন।

আমি বিস্তারিত আলোচনায় না গিয়ে, একজন সম্পাদকের কাজ সম্পর্কে খুবই বেসিক ধারনা দিচ্ছি।
একজন সম্পাদক লেখার মান যাচাইয়ের পাশাপাশি লেখার ভুল ত্রুটি সংশোধন করেন, পরিমার্জিত করেন বা কিছুটা পরিবর্ধনও করেন এবং সেটা হতে হবে কোন সুনির্দিষ্ট লেখায়। একজন সম্পাদক সবচেয়ে কঠিন মানসিকতার একজন পাঠক, অর্থাৎ একজন সম্পাদককে যে কোন লেখা খুব মনোযোগ দিয়ে এবং বিভিন্ন মানসিকতা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মূল্যায়ন করতে হয়।
বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ করে বা বিভিন্ন বই থেকে হুবহু কোন লাইন কোন পোস্টে সূত্র ছাড়া উল্লেখ্য করলে সেই পোস্টকে সম্পাদিত বলার সুযোগ নেই বা সেটা সম্পাদনাও নয়। এই ধরনের অন্যায় কাজ সাধারণত তৃতীয় শ্রেণীর বা গার্বেজ টাইপের কোন অনলাইন সংবাদপত্রের কর্মীরা করে থাকেন।

কিন্তু কোন স্বীকৃত ব্লগ বা কোন লেখক ফোরামে এই ধরনের কাজের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বা অনুমোদন নেই। আমি আশা করব, যারা বিভিন্ন ওয়েব সাইট থেকে হুবহু তথ্য নিয়ে নিজের মত করে কোন পোস্ট তৈরি করেন, যেখানে যেখানে তাদের কোন নিজস্ব কোন মূল্যায়ন বা মতামত থাকে না তারা অনুগ্রহ করে পোস্টের শেষে সঠিক সূত্র ব্যবহার করবেন। যদি কেউ যথাযথ রেফারেন্স ব্যবহার না করেন বা তথ্যসূত্র সংযুক্ত না করেন, তাহলে সেই পোস্টটি কপি পেস্ট পোস্ট হিসাবে চিহ্নিত হবে। তাছাড়া কেউ যদি কোন ভিডিও অবলম্বনে কোন পোস্ট লিখেন তাহলে সেখানেও ঐ ভিডিওর লিংক যুক্ত করতে হবে।

এই ক্ষেত্রে আমি একটি পোস্টের লিংক দিচ্ছি। আগ্রহীরা চাইলে দেখতে পারেন এখানে কিভাবে রেফারেন্স যুক্ত করা হয়েছে।

ইতিপূর্বে বহু বহুবার আমি বিভিন্ন পোস্টে উল্লেখ্য করেছি – তথ্যসূত্র হিসাবে ‘ইন্টারনেট’ কখনই গ্রহণযোগ্য হবে না। শুধু ইন্টারনেট বলা আর তথ্যসূত্র উল্লেখ্য না করার মাঝে কোন পার্থক্য নাই। এই পোস্টের শুরুতে যে পোস্টটির লিংক যুক্ত করা আছে, অনুগ্রহ করে সেই পোস্টটি সবাই পড়বেন, বিশেষ করে ব্লগার আরজুপনি আপা যে পোস্টটি লিখেছেন সেটা অনুসরণ করবেন।

আমি আরো একটি বিষয়ে আপনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ধর্ম বিষয়ক পোস্টের রেফারেন্স হচ্ছে কোরান, হাদিস, বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ওল্ড টেস্টামেন, বাইবেল, গসপেল অফ ম্যাথিউ সহ অন্যান্য স্বীকৃত বই সমুহ। ধর্ম বিষয়ক মাসালা বা নিয়মকানুন প্রায় সকল গ্রন্থেই একই। ফলে এই সংক্রান্ত তথ্য যখন উল্লেখ্য করবেন তখন তার রেফারেন্স যুক্ত করবেন।

ধরুন, আপনি রোজার উপকারিতা নিয়ে পোস্ট লিখবেন, এই ক্ষেত্রে লেখককে এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দেখলেন রোজা বিষয়ে অন্য কোন লেখক কোন একটি পত্রিকায় সুন্দর কিছু তথ্য দিয়েছে। আপনি দেখলেন এই তথ্যগুলো পোস্টে যুক্ত করলে আপনার পাঠক উপকৃত হবে। তখন আপনি সেই তথ্যগুলো পোস্টে যুক্ত করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনি উল্লেখ্য করে দিতে পারেন এই ভাবে…
রোজার উপকারিতা নিয়ে মুফতি আবদুল্লাহ দৈনিক সকালের আলো পত্রিকায় লিখেছেন …
এখানে তার লেখা তথ্যগুলো তুলে দিন। লেখার শেষে ছোট্ট করে একটা হাইপার লিংক এ মুল লেখাটি যুক্ত করে দিন। যার মন চায় তিনি মুল লেখকের লেখাটি পড়ে দেখবেন।

ব্যাস! রেফারেন্স যুক্ত হয়ে গেলো! এখন আপনি যদি এই সম্পর্কে কিছু বলতে চান, সেটা যুক্ত করুন। আপনার চিন্তা, দর্শন নির্ভয়ে বলুন। আপনার পোস্টটা পাঠক পড়ে আনন্দ পাবেন। অবশ্য যদি কারো আত্মবিশ্বাস বা উপযুক্ত লেখাপড়া না থাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই রেফারেন্স বিহীন কপি পেষ্ট করতে পারেন। পরের ধনে পোদ্দারী করার মজাই আলাদা। আমরা ধরে নিবো, আপনি আলেম হতে চেয়েছেন, জ্ঞানী হতে চেয়েছেন। কিন্তু আপনার মেধা আর আত্মবিশ্বাসে কুলাচ্ছে না, তাই আপনি চুপি চুপি অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন।

পাশাপাশি, ধর্ম নিয়ে স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি বন্ধ করতে আমি বেশ কিছু ব্লগারকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ধর্ম বিষয়ে সাধারন তথ্য জানার জন্য আমাদের বহু উপায় আছে। ব্লগ যে স্ট্যান্ডার্ড ধারন করে, সেই তুলনায় এখানকার ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টগুলো খুবই শিশুতোষ শ্রেনী। ধর্ম সংক্রান্ত কোন ভালো পোস্ট গত কয়েক মাসে এসেছে বলে আমার চোখে পড়েনি, অথচ কিছু কিছু ব্লগার ধর্ম নিয়ে সামান্য কোন সমালোচনা মুলক পোস্ট বা ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য আসলেই জিহাদী জোসে লাফিয়ে পড়েন।

অনেকেই দেখি পোস্টের শুরুতে বিসমিল্লাহ, সালাম যুক্ত করছেন! তাদের প্রজ্ঞার বালাই ষাট। আমি অনেক বড় আলেম, ইসলামবিদ বা আরো অনেক মানুষের লেখা পড়েছি, কোন প্রবন্ধ বা লেখার শুরুতে এইভাবে আলাদা করে সালাম বা বিসমিল্লাহ লিখতে দেখি নাই। আদতে এতে কোন সমস্যা না হলেও এইগুলো একধরনের লোক দেখানো কাজ, এক ধরনের স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি এটা বুঝতে বেশি যোগ্যতা লাগার কথা না।

যাইহোক, আগেও বলেছি ব্লগ বেসিক ধর্ম চর্চার জায়গা নয়, অন্তত সামহোয়্যারইন ব্লগ তো অবশ্যই না। আমরা বেসিক ধর্ম চর্চার জন্য মসজিদে যাই, খুতবা শুনি। ইউটিউবের কল্যানে আমাদের ঘরে ঘরে এখন মুফতি আর ওয়াজি বক্তারা। কিন্তু ধর্মের অনেক সুন্দর বিষয়, প্র্যাকটিক্যাল বিষয় নিয়ে আমাদের কারো জানা শোনা নাই। যেমন ফেতরা, যাকাত বা ইসলামিক ফাইনান্সিয়াল ব্যবস্থা। সমস্যা হচ্ছে একজন গড় পড়তার মুসলিম বা মুসলমানকে এই সব নিয়ে লেখা তো দুরের কথা কপি পেষ্ট করতে গেলেও মোটামুটি পড়াশোনা করতে হবে। পড়াশোনা করার চাইতে ইসলামে জীন, চার বিবাহ, দজ্জাল, নাস্তিক, হুর, নারীদের পর্দা, ইহুদি নাসারার ষড়যন্ত্র আল্লাহ অস্তিত্ব প্রমান নিয়ে লম্বা আলোচনা করা সোজা। এই ধরনের পোস্ট প্রকাশিত হলে এবং আমাদের কাছে মনে হলে আমরা হয়ত তা প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দিতে পারি। যাদের কাছে মনে হবে এটা তাদের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক, তাদের ধর্ম ভিত্তিক অধিকার হরন করা হয়েছে, তার নতুন কোন ব্লগ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এখানে অতিথি হিসাবে ব্লগিং করতে পারেন।

অনেকেই আমার কথায় হয়ত আহত হতে পারেন। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে দেখবেন যে আমি ভুল কিছু বলি নি বরং আমি চাইছি এখানে ধর্ম সংক্রান্ত এমন সব পোস্ট আসুক যেন অন্য সাধারন মানুষ ভালো কিছু পড়ার আশায় এখানে পাঠক হিসাবে আসবে।

ব্লগে অনেকেই চান ধর্ম ভিত্তিক সমালোচনা বন্ধ হোক। দুঃখিত এটা সম্ভব নয়, কারন এটা সঠিক দাবি নয়। যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যায় না, যে বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা যায় না, সেই বিষয়ে সমস্যা আছে। তাই আমরা চাই, মানুষ এখানে ধর্মের ভেতর লুকায়িত ভালো মন্দ নিয়ে কথা বলবে, যিনি বিশ্বাসী তিনি তার বিশ্বাসের জায়গা থেকে ধর্মের ভালোদিক সম্পর্কে বলবেন। যিনি অবিশ্বাসী তিনি ধর্মের প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। সবই হবে উপযুক্ত ও গ্রহনযোগ্য রেফারেন্সের মাধ্যমে। আর যিনি সংশয়বাদী তিনি সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজে বের করা পদ্ধতি বলবেন। কিন্তু অশ্লীলতা গ্রহনযোগ্য নয়। আপনি কোন ধর্মের কোন নবীকে, কোন দেবীকে বা কোন পদ্ধতিকে গালি দিতে পারেন না। সেই অধিকার কারো নেই। শুধু একটি নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে বললে ঐ ধর্মটিকে মাঝে মাঝে ব্লগার রাজীব নূর মনে হবে। ( কিছুটা কৌতুক করলাম, আশা করি সিরিয়াস ব্লগাররা বা রাজীবনূরকে যারা অপছন্দ করেন তারা খুব বেশি আহত হবেন না) অর্থাৎ মনে হবে আপনি উক্ত ধর্ম বিদ্বেষী। আমরা এই ধরনের বিদ্বেষ মুলক আচরনকে গ্রহন করতে পারি না। এটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর।

যারা নিয়মিত কপি পেষ্ট পোস্ট করতেন তাদের অনেকেই নিজেকে সংশোধন করেছেন বলে প্রকাশ্যে দাবী করেছেন এবং বিষয়টি প্রমানিতও। আমরা আশা করব, যারা ভুল থেকে সংশোধন করে ফিরে আসবেন তাদেরকে কেউ অন্যায়ভাবে কোন ট্যাগিং করবেন না এবং উদ্দেশ্যমুলক ‘খোঁচাখুঁচি’ করবেন না। আমি লক্ষ্য করেছি নামের দ্বিতীয় অংশে ‘শ’ আছে এমন একজন ব্লগার কোন কারন ছাড়াই আরেকজন ব্লগারকে খোঁচাচ্ছেন যেন তিনি বিতর্কিত কোন মন্তব্য করেন। এই ধরনের অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য বা পোস্ট কেউ করলে, তাদেরকেও আমরা নীতিমালায় আনব।

যে ব্লগারকে আপনাদের ভালো লাগবে না, সেই ব্লগারের লেখা অনুগ্রহ করে এড়িয়ে যান। ধরুন আপনি কোন ব্লগারকে পছন্দ করেন না। কোন কারনে উক্ত ব্লগারের প্রথম পাতায় পোস্ট প্রকাশের সুবিধা বন্ধ করা হলো। এরপরও যদি আপনি উক্ত ব্লগারের কোন প্রকাশিত পোস্ট নিয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে যুক্তি বলে - উক্ত ব্লগারের সাথে আপনার ব্যক্তিগত আক্রোশ আছে, যার কারনে আপনি তাঁকে অনুসরন করে চলেছেন। ফলে তখন আপনার অভিযোগটির গুরুত্ব হারাবে।

ব্লগার অপু তানভীরকে বলেছিলাম যারা কপি পেষ্ট করেন তাদের একটি সুনির্দিষ্ট তালিকা তৈরী করতে। তিনি সম্ভবত ভুলে ভেবেছেন আমি তাঁকে প্রেমের গল্প লিখতে বলেছি। ফলে সুনির্দিষ্ট তালিকা পাচ্ছি না। আমি আশা করব, যেহেতু তিনি ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়াতে গিয়েছেন তাই তিনি কষ্ট হলেও একটি তালিকা আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন। ঈদের পরে আশা করি, পোস্টটি তার কাছ থেকে পাবো। এই বিষয়ে তার সাথে স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি যোগাযোগ হয়েছে।

সর্বশেষ, মডারেটরের কাজ হচ্ছে সবার অভিযোগ, অনুযোগকে আমলে নেয়া। দোষ করুক বা না করুক সকল প্রকার অভিযোগ গ্রহন করা। যারা দায়িত্বে থাকেন তাদের কাজই হচ্ছে দোষ স্বীকার করে নেয়া। মডারেটরের সমালোচনা হচ্ছে সাধারন ব্লগারদের ক্ষোভ উৎরানোর জায়গা। এমন একটা জায়গা সাধারন মানুষেরও থাকা উচিত। যেহেতু সবাইকে খুশি করা সম্ভব নয়, তাই মডারেশন বা মডারেটের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সকলের অভিযোগকে সম্মান জানিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি।

সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা।

মন্তব্য ৫৭ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৫৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:১৪

গরল বলেছেন: সুনির্দিষ্ট বক্তব্য, বলা যায় দিক নির্দেশনার জন্য আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ। ঈদের শুভেচ্ছা রইল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি এই ইস্যুতে নৈতিকতার পক্ষে আছেন জেনে খুশি হলাম।

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:২৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: খুব আগ্রহ নিয়ে পোস্টটি পড়লাম।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: পোস্টের কোন অংশ আপনার কাজে লেগেছে জানালে খুশি হতাম।
তবে আপনাকে আমি ব্যক্তিগত একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে হালকা খোঁচাখুঁচি করার জন্য। এই ধরনের পোস্ট আগে আসত, এখন তেমন আসে না। ধরুন এই কারনে খোঁচাখুঁচি বলছি - দুনিয়ার হাজারো বাগধারা থাকতে আমাদের প্রিয় এই সিরিজটি শুরু হলো গাধা, বানর, আর চাঁদ দিয়ে। আমরা অবশ্যই জানি ব্লগে কে বা কাহারা, কাকে বা কাহাদিগকে উক্ত নামে ডাকেন বা কে কোন বস্তু! অবশ্য যদিও পোস্টে একটা বিশেষ ঘোষনা আছে, এটা ব্যক্তি বিশেষের উদ্দেশ্যে নয়, তাও আমার দুস্ট মন ভেবে নিতে মনে চায় - ইহার মাঝে অতি ক্ষুদ্র হলেও হয়ত ব্যক্তি বিশেষের সাথে সম্পর্ক আছে। সরাসরি না থাকলেও কিছুটা চমক সৃষ্টির উদ্দেশ্য যে আছে তা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

যাইহোক, পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি বাগধারা সিরিজটি চালিয়ে যাবেন।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৪:২৭

জ্যাকেল বলেছেন: একটাই চাওয়া, লেখা চুরি করে নিজকে জাহির করার প্রবণতা বন্ধ হউক।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টে মন্তব্য করতে গিয়েই এত বড় লেখা লিখেছি। পরে ভাবলাম, নিজেই ক্রেডিট নেই। আপনার পোস্টকে হিট বানিয়ে লাভ নেই। হা হা হা।

জোকস এ পার্ট, আমি মন্তব্য এ লেখাটি না দিয়ে আলাদা করে পোস্ট আকারে দিলাম যেন সবাই আলোচনা করতে পারে। আমরা সকলের মতামত জানতে পারি।

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

মনে করুন আমি কারো বক্তব্য বা উক্তি লিখছি এভাবে - হুমায়ুন আহমেদ বলেছেন - ১ম, ২য়, ৩য় প্রেম বলে কিছু নেই, প্রতিটি প্রেমই প্রথম।
এখানে আমি উক্তিটিতে " " ব্যবহার করিনি।

এটা কি কপি পেস্ট হবে?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখুন গোফরান উক্তি কিভাবে লিখতে হয় এটা খুবই বেসিক প্রশ্ন, বোধ করি ক্লাস সিক্স সেভেনে শেখানো হয়! আমার বয়স হয়ে গেছে। যতটুকু মনে পড়ে কারো বক্তব্য হুবহু লিখতে হলে কোটেশন ব্যবহার করতে হবে।

যদি হুমায়ূন আহমেদের সরাসরি বক্তব্য তুলে ধরেন, তাহলে কোটেশন ব্যবহার করাই শ্রেয়। নইলে তার বক্তব্যের বিচ্যুতি ঘটতে পারে, যা কাম্য নয় এবং ক্ষেত্র বিশেষে এটা কপি পেষ্টের চাইতেও ভয়াবহ ব্যাপার।

আপনি এই পোস্টের বিভিন্ন মন্তব্য বিশেষ করে জুবায়ের ভাই এবং সোনাবীজ ভাইয়ের মন্তব্যগুলো পড়ুন। আশা করি কপি পেষ্ট নিয়ে সকল দ্বিধা কেটে যাবে।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:৪৭

জটিল ভাই বলেছেন:
বিসমিল্লাহ্'হিররাহমানিররাহিম।
আসসালামুআলাইকুম।

ঘুমাতে যাচ্ছিলাম। কিন্তু এমন একটি আলোচনায় মন্তব্যের লোভ সামাল দিতে না পেরে লগ-ইন করলাম। পোস্টের জন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। এমন উদ্যোগকে স্বাগতম। (এই অংশটুকু না দিলেও চলতো। দেবার কারণ পরে বলছি।)

আমার পোস্টের ধারার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ২টি অংশ নিয়ে কথা বলতে চাই।

(কানে কানে পরামর্শ হচ্ছে.............................. সম্ভব হলে পোস্টটি কিছু ধর্মীয় আবহ দিবেন যেমন, বিসমিল্লাহ বলে শুরু করে সালাম দিবেন, শেষে লিখবেন জাযাকাল্লাহ ) (এ অংশ মনে হলো বিদ্রুপার্থে)
এবং
অনেকেই দেখি পোস্টের শুরুতে বিসমিল্লাহ, সালাম যুক্ত করছেন! তাদের প্রজ্ঞার বালাই ষাট। আমি অনেক বড় আলেম, ইসলামবিদ বা আরো অনেক মানুষের লেখা পড়েছি, কোন প্রবন্ধ বা লেখার শুরুতে এইভাবে আলাদা করে সালাম বা বিসমিল্লাহ লিখতে দেখি নাই। আদতে এতে কোন সমস্যা না হলেও এইগুলো একধরনের লোক দেখানো কাজ, এক ধরনের স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি এটা বুঝতে বেশি যোগ্যতা লাগার কথা না। (এ অংশ সুন্দর পরামর্শমূলক)

তা আমি রিসেন্টলি এভাবে পোস্ট লিখছি কারণ, প্রতিটি লেখক চান একটি ভিন্ন ধারা অবলম্বন করতে। আপনার মতো এভাবে আমিও কাউকে লিখতে দেখিনি বলেই আমার এভাবে লিখার আগ্রহ হয়েছে। এখন সবার সব ভালো না লাগা স্বাভাবিক। গতকাল যা জননিন্দিত ছিলো আজ তা জননন্দিত। তাছাড়া আগেও মনে হচ্ছে আপনাকে বলেছিলাম আমার ধর্ম আগে। সেক্ষেত্রে ব্লগের শুরুর সময় হতে এমন আবহে লিখার ইচ্ছে থাকলেও তখন ব্লগে ধর্মীয় আবহ দেখলেই অতিমাত্রায় জামাত-শিবির টাইপের বান এসে জর্জরিত করে ফেলায় তখন অনেক কথা চাইলেও বলা যায়নি। ফলে ব্লগীয় অপরাজনীতির ছোঁবল নতুন ব্লগার হিসেবে সেভাবে নিতে না পারাসহ আরো অনেক কারণেই ইচ্ছে থাকলেও নিষ্ক্রয় হয়ে যাই। আমার কাছে তখন অনেকের আচরণে তাদের শিক্ষা ও পরিবার নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে কিন্তু বলিনি।

তবে ইদানিং ব্লগে সুবাতাস বইছে যা সত্যি আগের চাইতে অনেক প্রশান্তিদায়ক। তাই চাচ্ছিলাম সুপ্ত বাসনার বিকাশ ঘটিয়ে ব্লগিং করি। যেমন এখন এই যে এতো বড় মন্তব্য লিখছি তার অনুপ্রেরণা আপনার থেকেই পেয়েছি যখন দেখেছি শত ব্যস্ততার মাঝেও আপনি মন্তব্য পড়ে সুন্দরভাবে উত্তর করেন। তাই সীমাবদ্ধতা হতে বেরিয়ে প্রাণ খুলে মন্তব্য করে তৃপ্ত হচ্ছি। সেজন্যে মন হতে আপনার প্রতি ধন্যবাদ আসছে যা আপনাকে বলা কর্তব্য মনে করছি। কিন্তু এই বিষয়টা আপনার দিক হতে স্ট্যান্ডবাজি মনে হতেই পারে, সেক্ষেত্রে কিছু বলার নেই। কিন্তু আমার ভালো লাগে যে, আপনি আদি ভাবনার যান্ত্রিক মডুর চরিত্র হতে বেরিয়ে রক্তে-গোস্তে গড়া মানুষের মতো আবেগ-অনুভূতিপূর্ণ আচরণ করছেন।

তেমনি আমার মনে হচ্ছে আপনি ব্লগ কর্তৃপক্ষের একজন হিসেবে শুরুতে, "প্রিয় ব্লগারগণ কেমন আছেন?" এই টাইপ কথা দিয়ে যদি শুরু করতেন তবে পাঠক আপনাকে কর্তৃপক্ষ নয়, নিজেদের একজন ভেবে পড়তে আর কমেন্ট করতে আরো সাচ্ছন্দবোধ করতো। এক্ষেত্রে কমিউনিকেসন ব্যারিয়ার অনেক কমে আসতো। পাঠকে প্রাধান্য পাওয়ায় কমিউনিকেসন আরো ইফেক্টিভ হতো যেমনি শেষটায় ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এটা অন্তরিকতা বলেই আমি মনে করি। অন্যকারো নিকট স্ট্যান্ডবাজি মনে হতেই পারে। কারণ, সবার চিন্তা ভিন্ন।

তেমনি মন্তব্যের ঘরে পয়েন্টে-পয়েন্টে আলোচনার চাইতে এই পোস্টেই, "সহমত, সুন্দর লিখেছেন, এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ, ইত্যাদি ইত্যাদি" অনেক মন্তব্য আসবে যা কঠিনভাবে নিলে মূল আলোচনার ব্যাঘাত ঘটানো ছাড়া কোনো কার্যকারিতা নেই। বরং অনেক গুরুত্বপূর্ণ মতামত এতে তলিয়ে যাবে। কমেন্ট পড়তে আসা অনেকেই বিরক্ত হতেও পারেন। কিন্তু এ জাতীয় মন্তব্যের ২টি উদ্দেশ্যই থাকতে পারে। স্ট্যান্ডবাজি তথা সস্তায় আপনার নজর কাড়া। অথবা আপনার লিখার মূল্যায়ণের মাধ্যমে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে লিখাটাকে সার্থক করা।

তেমনি উপরের না দিলেও চলতো অংশটুকু। এটা কারো কাছে সৌজন্যতা, কারো কাছে সস্তা কৌশল। এমতাবস্তায় লেখক-পাঠকের দিক বিবেচনা করে বিষয়টাকে আমার মতে আন্তরিকতার লেবেলে বন্ধি করাই উপযুক্ত। তেমনই সালাম আর ফি-আমানিল্লাহ্। একই বিষয় শুধু ভিন্ন ভাষায়।

এখন ভিন্ন মনের আর মতের কারণে আপনার নিকটে বিষয়টি খারাপ লাগলেও অন্যের কাছে ভালো লাগতেই পারে। কারো শুভ কামনা করা নিশ্চই নিন্দনীয় নয়।

এই পয়েন্ট ছাড়া বাকি অংশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন যা খুবই ভালো লেগেছে। সেজন্যে আন্তরিক ধন্যবাদ। এটা বলা স্ট্যান্ডবাজি করতে নয়, লেখকের ভুল ধরলে শুদ্ধতার জন্যেও সাধুবাদ প্রাপ্য সেটা ভুলে গেলে হবে না। কিন্তু এটা আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।

আপনাকে যতোটা চিনেছি, উল্লেখিত পয়েন্ট আমায় উদ্দেশ্য করে বলেননি। কিন্তু আমার সঙ্গে মিলে যাওয়ায় উপযাচন করেই কথাগুলো বললাম। মডারেটর হিসেবে লিখা সড়ানোর জন্যে যেমন রাগ হয়, নির্বাচিততে লিখা নেবার কারণে ভালো লাগাও হয়। এখন শুধু রাগ পুষা, কিংবা শুধু ভালো লাগা দেখানো অমূলক।

আপনার জায়গায় দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন কতটা কঠিন তা অবশ্যই উপলব্ধি করতে পারি। আবার ব্লগারদের স্থানে থেকে মানসিক অবস্থাটা কেমন সেটা আপনিও উপলব্ধি করতে পারেন। তাই সবাই সমান মানসিকতা রাখবে, কিংবা সবার ভাবনা এক হবে বা এক করার চেষ্টা বোকামি। ভাবনা ভিন্ন হোক, কিন্তু উদ্দেশ্য সৎ হোক। ভিন্নভাবে ভেবে যদি সবার ভাবনা উন্নয়নে অবদান রাখে তবে ভাবতে ক্ষতি কি? কিন্তু একই ভাবনা যদি ভালো কাজের অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা নিসন্দেহে নিন্দনীয়।

পরিশেষে আপনার জন্যেও রইলো ঈদের শুভেচ্ছা। আল্লাহ্ আপনার ও আপনার পরিবারের প্রতি রহমত করুন।

আল্লাহ্ হাফিজ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, আপনি সঠিক ধরেছেন, উক্ত অংশটি বিদ্রুপ করে বলা হয়েছে।

আমার এই পোস্টটি কিছুটা ইনফরমাল বা অনানুষ্ঠানিক ভাবে লেখা। ফলে এখানে আলাদা করে কোন শিরোনাম বা সম্বোধন করার প্রয়োজন বোধ করি নি। এখানে আমি আলোচনা চেয়েছি এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে মতামত এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি জানিয়েছি। সমস্যা হচ্ছে আপনি চাচ্ছেন আমি এইভাবে পোস্ট করি বা ইনফরমাল থাকি, অনেকেই আবার মনে করেন, মডারেটর মানেই ভাব গম্ভীর কিছু একটা!!

আপনাকে ইতিপূর্বেও আমি বলেছিলাম - যে ধর্ম যার যার ব্যক্তিগত বিষয়, আসলে কথাটি হবে ধর্ম পালন যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। একেকজন মানুষ একেক উদ্দেশ্য ও পদ্ধতিতে ধর্ম পালন করেন বা সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্য চায়। ধরে নিচ্ছি আপনি একজন ধার্মিক ব্যক্তি, আরো ধরছি, পোস্টের শুরুতে সালাম ও আল্লাহ নামে শুরু করছি এই লেখাটি লিখে আপনি আপনার ধর্মীয় বোধ বা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন এবং কিঞ্চিত ভাবছেন হয়ত সৃষ্টিকর্তাকে এইভাবে কিছুটা খুশিও করা যাবে। এমনটা আপনি ভাবতেই পারেন, এটা আপনার অধিকারও। কিন্তু অন্যের কাছে এটা লোক দেখানোও হতে পারে। লোক দেখানো যে কোন জিনিসই খারাপ। যদি ইসলাম ধর্মের রেফারেন্স চান তাহলে আল্লাহ তো সুরা মাউনে এই ব্যাপারে সুস্পষ্ট বলে দিয়েছেন।

এছাড়া আবু দাউদের একটি হাদীস আছে অনেকটা এমন যে, মানুষকে দেখিয়ে আমল করার পেছনে অন্যতম উদ্দেশ্য থাকে তাদের কাছে নিজেকে বড় করে তোলা। সবাই যেন তাকে পরহেজগার, মুত্তাকি মনে করে। বর্তমান সমাজে আমরা অনেকেই এই ব্যাপারে আক্রান্ত, যা নিজেরাও জানি না। ফলে আমি এই ধরনের আচরনকে স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজীই বলব। এতে ব্যক্তি উদ্দেশ্য ছাড়া ধর্মের কোন লাভ বা ক্ষতি নেই।

তবে আপনি আপনার পছন্দমত ব্লগিং করতে পারেন। ধর্ম কর্ম পালন করার কারনে কেউ আপনাকে জামাত শিবির বললে সেই ব্যাপারে ব্লগ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করবে। সমস্যা হচ্ছে জামাত শিবির এর কর্মকান্ড আর সুরা মাউনের তাফসীর প্রায় একই।

আপনার জন্যও আমার ঈদের শুভেচ্ছা রইল। আমাদের সকলের জন্য প্রার্থনা করবেন। আমরা সবাই যেন ভালো থাকতে পারি।

৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



কপিপেষ্ট সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব ছিলো ব্লগটিমের, ব্লগটিম সেটা করলেই সঠিক হতো; কিছু ব্লগারকে ইহাতে যোগ করাতে সমস্যার সমাধান যতটুকু হচ্ছে, সাইড-এপেক্ট হিসেবে অন্য সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: না, ভাইয়া আপনি সঠিক বলছেন না। আপনি ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখলে দেখবেন কপি পেষ্টের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি করে তারা ভুল কিছু করেন নি। ভুল হয়েছে - ব্যাপারটা শুধুমাত্র একজনকে টার্গেট করে শুরু করার কারনে। আপনি একজন সিনিয়র মানুষ, মানুষকে নীতি নৈতিকতা সম্পর্কে জানানোও আপনার কর্তব্য। এমন কি আপনিও তো কপি পেষ্ট সমথর্ন করে না। বিভিন্ন মন্তব্যেও বলেছেন।

অপ্রয়োজনীয় রাগ বা ইগো আমাদের কোন কাজে আসে না। যারা আপনার সমালোচনা করছে, তাদেরকে আপনি ছেড়ে কথা বলেন নি। সমস্যা হচ্ছে - সমালোচনার নামে কুৎসিত মন্তব্য করা বা অপ্রসাঙ্গিক মন্তব্য করা আপনার হাত ধরেই শুরু হয়েছে। ফলে অনেকেই ক্ষেপে গিয়েছে। আপনি মানুষকে ক্ষেপাতে পছন্দ করেন।

যারা আপনাকে পছন্দ করে তাদের অনেকেই আপনাকে পছন্দের নামে বিপদে ফেলে দেয়। মগজহীনভাবে সাপোর্ট করলে তো হবে না। যৌক্তিক বিষয়ে আপনাকে সাপোর্ট করতে হবে এবং অযৌক্তিক বিষয়ে আপনাকে বুঝাতে হবে। সব বিষয়ে যারা আপনাকে সাধুবাদ জানায়, তারা আদৌ আপনার বন্ধু কিনা তা নিয়ে ভেবে দেখার সময় এসেছে।


৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:২৮

জোবাইর বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ দুটি বিষয় নিয়ে ব্লগ টিমের চুড়ান্ত মতামত খোলামেলাভাবে জানিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সোজা কথা, ব্লগে সূত্রবিহীন কপি-পেস্ট এবং ধর্ম নিয়ে স্ট্যান্ডবাজি চলবে না

ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অপচর্চা

ব্লগে দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অপচর্চা চলছে তাতে অনেক সময় মনে হয় সামহোয়্যারইন ব্লগ বাংলাদেশের মুসলমানদের আরো সহী মুসলমান বানানোর জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে! ইসলাম ধর্মের একই টপিক নিয়ে একাধিক পোস্ট আসে, যা বিরক্তিকর। এতে ব্লগে দীর্ঘ সময় ধরে লেখালেখির যে বৈচিত্রতা ছিল তা এখন নেই বললেই চলে। তাছাড়া ধর্ম বিষয়ক যে পোস্টগুলো আসে তার বেশিরভাগই কপি-পেস্ট অথবা নিম্নমানের অথবা অযৌক্তিক ক্যাচালের।

যারা শুরু থেকেই ইসলাম ধর্মের চর্চা বা অপচর্চার এজেন্ডা নিয়ে ব্লগে এসেছে তাদের কথা নাহয় বাদ দিলাম। এখানে আরো এক শ্রেণীর ব্লগার আছে যারা পোস্ট ও মন্তব্যে নিজেদেরকে আধুনিক, দেশপ্রেমিক, বিজ্ঞানমনস্ক এবং বিদ্ধান হিসাবে জাহির করলেও আসল চরিত্র হলো সম্পূর্ণ বিপরীত। এরা ধর্মীয় চর্চাগুলোর সাথে জোর করে এক চিমটি বিজ্ঞান যোগ করে ধর্মীয় চর্চাগুলোকে আধুনিক করার চেষ্ঠা করে। এতে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এরা তালেবানদের মধ্যযুগীয় কার্যকলাপকে ভালো চোখে না দেখলেও তালেবানকে সমর্থন করে (অর্থাৎ কিছুটা মৌলবাদী)। এরা দেশপ্রমের নামে বাংলাদেশের শুধু নেতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে অপচর্চা করে এবং নিজের দেশকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রুপ করে (অর্থাৎ কিছুটা পাকিপ্রেমী)। ধর্মীয় পোস্টগুলোতে এরা একে অপরকে পিঠ চাপড়াচাপড়ি করে (অর্থাৎ কিছুটা সাম্প্রদায়িক)। এতে অনেকেই ধর্ম সম্পর্কে নিজে না জানলেও কপি-পেস্ট করে ধর্মীয় লেখায় উৎসাহিত হচ্ছে। যার কারণে হেফাজতে ইসলামের চিরশত্রু সামু ব্লগ এখন হাটাহাজারি মাদ্রাসায় পরিণত হয়েছে।

কপি-পেস্ট

দেরিতে হলেও কপি-পেস্ট বিষয়টি ব্লগে ব্যাপকভাবে আলোচিত হওয়ায় এ ব্যাপারে ব্লগারদের সচেতনতা বেড়েছে। কপি-পেস্ট সম্পর্কে ব্লগে আলোচিত পোস্টগুলো এবং মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য পড়ে আমার মনে হয়েছে, অনেকে মনে করে, কপি-পেস্ট করে তথ্যসূত্র যোগ করে দিলেই কপি-পেস্ট বৈধ হয়ে যায়। এটি ভুল ধারণা।

তথ্যসূত্র যোগ করলেও কোনো লেখা থেকে হুবহু লাইন বাই লাইন কপি-পেস্ট করা যায় না। যেমন: আমি যদি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন-এর জীবনী লিখতে চাই আমাকে তাঁর জন্মতারিখ, জন্মস্থান, বাল্যজীবন, শিক্ষাজীবন বিষয়ক কিছু তথ্য জানতে হবে। তথ্যগুলো আমি উইকিপিডিয়া থেকে সংগ্রহ করলাম। জীবনীটা সম্পূর্ণ নিজের ভাষায় লিখলাম। নিচে তথ্যসূত্র উইকিপিডিয়া উল্লেখ করলাম। এটাই বৈধ।

যদি কোনো প্রাসঙ্গিক কারণে হুবহু কপি-পেস্ট করতে হয়, তবে তারও কয়েকটি নিয়ম আছে। এ ব্যাপারে কিছু ধারণা ওপরের পোস্টে কাল্পনিক_ভালোবাসা দিয়েছেন। আমি এখানে আরো কয়েকটি উদাহরণ যোগ করলাম।
কপি-পেস্টে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, লেখার মধ্যে কপি-পেস্টের অংশটি আলাদাভাবে উল্লেখ করে দিতে হবে। যদি কপি-পেস্ট অংশটি কয়েক লাইনের হয়, তবে উদ্ধৃতি চিহ্ন দিয়ে লিখে সূত্র যোগ করে দিতে হবে। যেমন:
"অমিত অনেক সুন্দরী মেয়ে দেখেছে, তাদের সৌন্দর্য পূর্ণিমা-রাত্রির মতো, উজ্জ্বল অথচ আচ্ছন্ন; লাবণ্যর সৌন্দর্য সকাল-বেলার মতো, তাতে অস্পষ্টতার মোহ নেই, তার সমস্তটা বুদ্ধিতে পরিব্যাপ্ত। তাকে মেয়ে করে গড়বার সময় বিধাতা তার মধ্যে পুরুষের একটা ভাগ মিশিয়ে দিয়েছেন; তাকে দেখলেই বোঝা যায়, তার মধ্যে কেবল বেদনার শক্তি নয়, সেইসঙ্গে আছে মননের শক্তি।"
–শেষের কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
অথবা এইভাবে:
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) অপরাহ্নে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদের পরে বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'বিএনপি যেভাবে ঢাকা শহরে ২ কোটি মানুষের মধ্যে ২০০ মানুষের বিক্ষোভ করে এতেই বোঝা যায় তারা আসলে কতটুকু আন্দোলন করতে পারবে।'

যদি কপি-পেস্টের অংশটি বড় হয়, তবে এভাবে লেখা যায়:
বাংলাদেশের বেকার সমস্যা নিয়ে অমুক তারিখের দৈনিক সকালের আলো পত্রিকার মতামত বিভাগে কলামিস্ট জব্বার খান লিখেছেন:
এখানে তার লেখাগুলো হুবুহু তুলে দিন।
লেখার শেষে মুল লেখাটির লিংক যুক্ত করে দিন। লিংকে মূল লেখাটির শিরোনাম থাকবে। যে কোনো পাঠক প্রয়োজনে মুল লেখকের লেখাটি পড়তে পারবে। সূত্র প্রিন্ট মিডিয়া হলে এখানে লেখাটির শিরোনাম, লেখকের নাম, পত্রিকার নাম ও তারিখ উল্লেখ থাকবে।

উল্লেখ্য, প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের কারণে নতুন প্রজন্মের তথাকথিত অনেক মেধাবী ছাত্ররা জাতির জন্য কোনো অবদান রাখতে পারছে না। সুতরাং নতুন করে কপি-পেস্ট জেনারেশন সৃষ্টি হলে জাতির ভবিষ্যৎ আরো খারাপ হবে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ। সম্ভব হলে এই মন্তব্যটি পোস্টে যুক্ত করে দিতাম।

আমাদের ব্লগে বর্তমানে এমনও ব্লগার আছেন যিনি আপনার এই কমেন্ট ঠিক মত পড়বেনও না। যদি পাছে ঈমান চলে যায়।
এই হচ্ছে বর্তমানে ধার্মিকদের অবস্থা!। চারিদিকে লোক দেখানো কর্মকান্ডের হিড়িক! আপনার মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

আর দ্বিতীয় অংশটি আশা করি সবাই মনযোগ দিয়ে পড়বেন। এই অংশটি বুঝে পড়লে কপি পেষ্ট সংক্রান্ত সকল ইস্যুর উত্তর পেয়ে যাবেন।

প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের কারণে নতুন প্রজন্মের তথাকথিত অনেক মেধাবী ছাত্ররা জাতির জন্য কোনো অবদান রাখতে পারছে না। সুতরাং নতুন করে কপি-পেস্ট জেনারেশন সৃষ্টি হলে জাতির ভবিষ্যৎ আরো খারাপ হবে।


দেখা যাক অবস্থার উন্নতি হয় কি না।

আপনাকে আবারো আন্তরিক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা।

৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টটি আরো আগে আসার দরকার ছিল। যাই হোক পোস্টটিকে ষ্টিকি করার দাবি জানাচ্ছি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ পদাতিক ভাই। এটা আসলে ঠিক স্টিকি করার মত পোস্ট কিনা জানি না। এখানে তথাকথিত ফরমালিটিস বাদ দিয়ে ইনফরমাল ওয়েতে কিছু গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।

৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:১১

বিজন রয় বলেছেন: বিজ্ঞান বাদ দিয়ে অন্য কিছু (!) বেশি করে চর্চা করার ফল বর্তমান প্রজন্ম কপি পেস্টের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আসলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। ফলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
আমাদের তো দুইটাই প্রয়োজন। জোর করে ধর্ম কর্ম গেলাতে গেলে যা হয় আর কি!

১০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৫২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মূল জিনিসটা হলো : অন্যের কনসেপ্ট বা আইডিয়া নিজের নামে চালিয়ে দেয়া হলো অবৈধ। আপনি পানি দিয়ে জাহাজ চালানোর ফর্মুলা আবিষ্কারের পথে; গোপনভাবে আমি ঐ ফর্মুলা চুরি করে নিজের নামে প্রকাশ করলে সেটা অবৈধ হবে। এখানে ভাষাগত সাদৃশ্য নিতান্তই গৌণ ব্যাপার।

যেখানে ভাষাগত সাদৃশ্যটা এত গৌণ, সেখানে অন্যের কোনো লেখা হুবহু নিজের নামে চালিয়ে দেয়া তো রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে।

তবে, এ জিনিসটা মৌলিক রচনা বা আবিষ্কারের জন্য বেশি প্রযোজ্য। দৈনন্দিন খবরাখবর, ঘটনাপ্রবাহ, চিরায়ত বিষয়াবলী, জীবনী, স্থান, ইত্যাদির বর্ণনায় এতখানি প্রযোজ্য না। ধরুন, বর্ষাকাল নিয়ে কেউ রচনা লিখলো, বা জো বাইডেনের উপর জীবনী লিখলো - যতজনই লিখুক না কেন, তথ্যগুলোর মধ্যে তেমন পার্থক্য থাকবে না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, এইখানে প্লেজারিজম (plagiarism) চেকিং-এর জন্য বর্ণনার সাদৃশ্য খোঁজা হবে। রবীন্দ্রনাথ 'বর্ষাকাল' নিয়ে কবিতা লিখেছেন অজস্র। বাংলার অগুনতি কবিরাও অগণিত কবিতা লিখেছেন। প্লেজারিজম হবে তখন, আমি যদি লিখি - ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে। প্রেম-বিরহ, ইত্যাদির জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।

গবেষণায় অন্যের তথ্য, সূত্র/তত্ত্ব/মতামত হয় হুবহু বা সারসংক্ষেপ হিসাবে নিজের গবেষণায় ব্যবহার করা হয় ঐ বিষয়ে নিজের মতামত বা ফিলোজফি এস্টাব্লিশ করার জন্য। কিন্তু, আমি যদি আপনার ফিলোজফি কোট করে, স্টাডি করে আপনার ফিলোজফিই আমার গবেষণায় এস্টবালিশ করি (যদি না এটাই আমার গবেষণার মূল বিষয় হয়ে থাকে), তাহলে সেটা যে-কোনো উপায়েই প্লেজারিজম হবে।

একজন ব্লগার ঠিকই জানেন, তিনি নিজের সৃজনশীল পোস্ট লিখছেন, নাকি অন্যের লেখা নিজের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন। এই কাজটা মূলত দুই ধরনের ব্লগার করে থাকেন বলে আমার মনে হয়েছে, (১) যারা সক্রিয় ব্লগার এবং নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখাসহ উত্তরোত্তর বাড়ানোর জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছেন, তারা নিজের ক্রিয়েটিভিটিতে ঘাটতি পড়ে গেলে, কিংবা তাড়াহুড়ো করে পোস্ট লিখতে গেলেই অন্যের রেডিমেড সাবজেক্ট (বা অন্য ব্লগ বা পোর্টাল থেকে) দাড়িকমাসহ অথবা কিছুটা পরিমার্জন/সম্পাদনা করে পোস্ট করেন। (২) অকেশনাল ব্লগার, যারা কালেভদ্রে ব্লগে আসেন, নিজে একটা পোস্ট করে হাওয়া হয়ে যান, শুধু নিজের উপস্থিতি বা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য অন্যের লেখা (হয় একই ব্লগের, কিংবা অন্য পোর্টাল থেকে) পোস্ট করে যথারীতি হাওয়া হয়ে যান।

ভালো প্রবন্ধ শেয়ার করতে দোষ দেখি না। আমাকে দিতে/নিতে হবে শুধু শেয়ার করার ক্রেডিটটা। কিন্তু, অন্য বইয়ের বা পত্রিকার লেখা কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়ার নাম প্লেজারিজম। এখানে অনেকে গর্হিত চাতুর্যের আশ্রয় নিতে পারেন। স্রেফ উদাহরণ হিসাবে বলছি, চাতুর্যের মাত্রাটা কোন লেভেল পর্যন্ত হতে পারে। জামিল ডি আহসান, বীর প্রতীক, এই শিরোনামে আমি একটা পোস্ট ব্লগে শেয়ার করলাম, আর নীচে সুন্দর করে এভাবে সূত্র উল্লেখ করলাম : সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১৩। পাঠকসহ ব্লগ অথোরিটি নিশ্চয়ই ভাববেন, আমি একজন বড়ো গবেষক ও পাঠক, কী সাংঘাতিক একটা বই পড়ে তা থেকে জামিল ডি আহসানের উপর পোস্ট লিখেছি এবং সর্নিম্নে সূত্র উল্লেখ করে আমার সততার চূড়ান্তটা দেখিয়েছি। কিন্তু আপনি শোকে মুহ্যবান হবেন, যদি এই লিংক্টিতে যান। এটা প্রথম আলোর একটা লিংক, যেখানে নীচে সুস্পষ্ট করে লেখা হয়েছে : সূত্র: একাত্তরের বীরযোদ্ধা: খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথা, দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথমা প্রকাশন, ঢাকা ২০১৩। অর্থাৎ, এই সূত্রটা আমার লেখা না, যিনি এ রিপোর্টটা লিখেছেন, তার উল্লেখ করা সূত্র। জামিল ডি আহসান, বীর প্রতীক - সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান। আমার উদ্দেশ্য যদি মহৎ হতো, তাহলে আমাকে চাতুর্য বা চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হতো না। শিরোনামেই আমি স্পষ্ট করে লিখতাম – জামিল ডি আহসান, বীর প্রতীক – প্রথম আলো থেকে কপি-পেস্ট। তারপর নীচে এটাও লিখতে ভুল করতাম না- সম্পাদক: মতিউর রহমান, সংগ্রহ ও গ্রন্থনা: রাশেদুর রহমান।

আমার উদ্দেশ্য যদি এটাই হয়, এ তথ্যটা সবাইকে জানানো, তখন ওটা কার লেখা, কোথায় প্রকাশিত হয়েছে, এগুলো উল্লেখ করতে আমার মৌটেও সমস্যা হবে না। কিন্তু, নিজেকে জাহির করাটা মূল লক্ষ্য হয়ে গেলে তখন সমস্ত ক্রেডিট নিজেই নিয়ে নিতে ইচ্ছে করে।

লেখালেখি কপি-পেস্ট বিষয়ে আলোচনায় আমার কাছে মনে হয়েছে – আমাদের লজ্জার খুবই অভাব। কেউ আপনার দিকে আঙুল তুলে বললো, আপনি একজন চোর, যখন আপনি নিজেও জানেন যে আপনি লেখা চুরি করে থাকেন, তখন ‘লজ্জা’ পাওয়া উচিত, এবং এ কাজ থেকে সরে আসা উচিত। কিন্তু, আমাদের ‘চোরের মায়ের বড়ো গলা’ এবং চুরি করি তার সাথে দেখাই সিনাজুরি। কিছু ব্লগার এই অসৎ কাজগুলোকে দৃষ্টিকটুভাবে সাপোর্ট করে থাকেন, যার মধ্য দিয়ে তাদের রুচি, বিবেক ও প্রজ্ঞার মান যে কত প্রশ্নবিদ্ধ, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

আপনি নিজের লেখায় অন্যের সূত্র যত বেশি উল্লেখ করবেন, আপনি তত বেশি দায়মুক্ত থাকবেন ঐ লেখার পাঠক-প্রতিক্রিয়ার উপর, এ জিনিসটা মনে রাখতে হবে। জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে একটা বিদ্ঘুটে অপবাদে অপদস্ত হয়ে ধপাস করে ভূ-পাতিত হওয়ার মধ্যে অনেক লজ্জা ও অপমান নিহিত আছে, এ জিনিসটা যদি আমরা মনে রাখি, তাহলে প্লেজারিজম-এর প্রতি আমাদের কোনো লোভ থাকবে না।

ক্রিয়েটিভিটিতেই আপনার লেখকসত্তা। মৌলিক রচনাই আপনার ক্রিয়েটিভিটির স্বাক্ষর। এটাকে নিয়মিত চর্চা ও ঘষামাজা করে উন্নত করুন। কালের পাতায় আপনার নাম সুন্দর অক্ষরে লিখিত হবে।

সুন্দর ও সময়োপযোগী পোস্ট, জাদিদ ভাই। আমার মন্তব্যও অনেক বড়ো হয়ে গেল, দুঃখিত।

সবাই ভালো থাকিয়েন, সুখে থাকিয়েন, শুভেচ্ছা নিয়েন। ইদ মোবারক।



৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: প্রিয় সোনাবীজ ভাই, আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার পোস্টে আসার জন্য। আপনার মন্তব্যের সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ নেই।

অন্যের কনসেপ্ট বা আইডিয়া নিজের নামে চালিয়ে দেয়া হলো অবৈধ। - এর চাইতে ধ্রুব সত্য কিছু নেই বরং এটাই এই পোস্টের মুল ভাবনা। পাশাপাশি, যেখানে ভাষাগত সাদৃশ্যটা এত গৌণ, সেখানে অন্যের কোনো লেখা হুবহু নিজের নামে চালিয়ে দেয়া তো রীতিমতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে পড়ে। - আমি এই লাইনটির সাথেও একমত প্রকাশ করছি।

শুধু প্রবন্ধ নয়, গুরুত্বপূর্ন যে কোন লেখাই চাইলে ব্লগে প্রকাশ করা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে পোস্টের শুরুতেই এই বিষয়ে পাঠকে জানানো ব্যক্তিগত নৈতিকতার অংশ। এই ক্ষেত্রে কেউ যদি পোস্টের শুরুতে উক্ত পোস্ট সম্পর্ক এ দুই চার লাইন বলে পোস্টটি শেয়ার করে এবং মুল লেখার লিংক সংযুক্ত করে তাহলে উক্ত পোস্টটি ক্ষেত্র বিশেষে একটি স্বতন্ত পোস্টই হতে পারে।

যারা কপি পেষ্ট করেন, তাদের নৈতিকতার অভাব থেকেই করেন, ফলে এখানে উদ্দেশ্য খুঁজে আমাদের সময় নষ্ট করা উচিত হবে না।

আপনার মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া। এই ধরনের ঘটনমুলক মন্তব্য আমাদের প্রয়োজন। আমি মাঝে মাঝে সময় পেলে আপনি আরো আরো বেশ কিছু ব্লগারদের পুরানো পোস্টগুলো পড়ি আর নস্টালজিক হই।

শুভেচ্ছা জানবেন।

১১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১১:৩৮

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: * কপি পেস্ট কথায় এসে প্রথমেই আপনার লেখার কিয়দংশ কপি করে এখানে পেস্ট করলাম-
আপনার সবটুকু লেখার সাথে সহমত পোষণ করলেও পেস্ট করা অংশের সাথে জোরালো সহমত পোষণ ও সমর্থন করছি।
ব্লগে এসে ধর্মের সমর্থনে লিখলে (বিশেষ করে ইসলামের), ওয়াজ নসিহত করলে একশ্রেণির পাঠক এখানে তৃপ্ত হোন। কিন্তু যে কোন কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লিখলে, বা ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের সাংঘর্ষিক বিষয়ে লিখলে ওনারা চরম বিরক্ত হোন, রীতিমতো সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ শুরু করেন। এই বিষয়গুলো মরডারেটর মহোদয় নিরপেক্ষতার সাথে বিবেচনা করলে ভাল হয়।
* অপু তানভীর ভাইএর উদ্যোগ সফল হোক এই কামনা করি।
* কপিপেস্টকারী লেখকদের এখনো কিছু সময় হাতে আছে (অপু তানভীর ভাই নতুন করে কাজ শুরু করার)। আপনারা এর মধ্যে সাবধান হতে পারেন। নিজের কপিপেস্ট পোস্টগুলো মুছে বা ড্রাফটে রাখতে পারেন। আর যাঁদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে কপিপেস্টের ব্যাপারে (শুধু বলছেন বিস্তারিত লিখে প্রমাণ দিবেন, কোন দোষ করেননি), তারা দয়া করে নিজের সাফাই পোস্টটি তানভীর ভাইয়ের পোস্টের আগেই দিয়ে দিন, যেন পাঠকের কাঠগড়ায় নিরপেক্ষ বিচার পেতে পারেন। নইলে কেবল আপনাদের হম্বতম্বিই সার হবে।

সামহোয়ারইনব্লগ কপিপেস্ট অপসংস্কৃতির দায় থেকে মুক্ত হোক। মৌলিক ও গবেষণাধর্মী লেখায় এগিয়ে যাক। শুভ কামনা রইল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি সকলেই উপযুক্তভাবে সচেতন হবে। যদি দেখেন কেউ ধর্ম বিষয়ে স্বস্তা স্ট্যান্ডবাজি করছেন, সরাসরি সেই বিষয়ের প্রতিবাদ করুন। শুধু ধর্ম নয় যে কোন লোক দেখানো বিষয় নিয়েই আমাদের একই মনভাব থাকা উচিত।

১২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:০৮

নিমো বলেছেন: বর্তমান ব্লগীয় পরিবেশের সাথে সাযুজ্য থাকায় লেখাটি দেয়া হল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:২৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লিংকটি ক্লিক করে লেখাটি পড়লে অনেকেই আবার বলবেন - সর্বনাশ! লেখকের ভাষা এমন কেন!! উক্ত লেখককে কেউ আবার চাঁদগাজী ভেবে বসলে বিপদ!!

১৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:০১

অপু তানভীর বলেছেন: কপিপেস্টের বিরুদ্ধে কেবল সামু টিম পোস্ট দিয়েই হাওয়া না হয়ে যায় ! যদি কপিপেস্ট রিপোর্টের পর সাথে সাথে কিংবা অন্তত এক দুই দিনের ভেতরে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়, তাহলে রিপোর্ট কারী অন্তত এই টুকু বুঝতে পারে যে কর্তৃপক্ষে ব্যবস্থা নিচ্ছে । কিন্তু যখন দেখা যায় যে রিপোর্টের পর দিনের পর দিন পার হয়ে যায় তখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় না তখন মনভাব অন্য দিকে চলে যায় ।

অন্য সব রিপোর্টের সাথে সাথে এই কপিপেস্টকে যেন আরও গুরুত্বসহ কারে দেখা হয় এবং রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় এইটাই কেবল কাম্য । অন্তত সেই কপিপেস্ট পোস্ট যেন সরিয়ে দেওয়া হয় । তাহলে আমরা বুঝতে পারবো যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে । কপিপেস্ট কারী ব্লগারের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেটা পরে কর্তৃপক্ষ ঠিক করবেন কিন্তু আগে পোস্টটা কে সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক ।

আর কেবল ব্লগাররা রিপোর্ট করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে, নতুবা নয়, সেইটাও যেন না হয় । আপনি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে আছেন আপনি কোন ব্লগার কেমন লিখেন সেই সম্পর্কে আপনি একটা পরিস্কার ধারণা রাখেন । পোস্টের কিছু অংশ পড়লেই আপনি বুঝতে পারবেন যে সে তার আসল লেখা নাকি কপিপেস্ট । সেই ক্ষেত্রে দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন আশা করি । বিশেষ করে নির্বাচিত পাতায় পোস্ট নেওয়ার আগে এই টুকু সতর্কতা কাম্য ।

এবং সেই সাথে সকল ব্লগারদের কাছেও এই অনুরোধ যে আপনারা নিজেরা কপিপেস্টের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করুন । বিশেষ করে যারা সব সময় ব্লগে থাকেন, ব্লগে সময় দেন তারা এই কাজে এগিয়ে আসবেন বলে আশা করি । কপিপেস্ট তারা করে কারণ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে। নিয়মিত ব্যবস্থা নিলে তারা এই কাজ থেকে দুরে থাকবেন ।
তাই সকলের সম্মিলিত চেষ্টা কাম্য ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৩০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি পোস্টে কপি পেষ্ট পোস্টের ব্যাপারে একটি লিংক সংযুক্ত করেছি। আশা করি দেখেছেন, কপি পেষ্টের বিরুদ্ধে আমার অবস্থা কি এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের অবস্থানও কি। আমরা অনেকের সাথেই যোগাযোগ করি, পোস্ট সরিয়ে দেই। কেউ কেউ নিজেকে সংশোধন করেন, কেউ কেউ করেন না।

নির্বাচিত পাতায় পোস্ট অনেক সময় নির্বাচিত পাতায় নেয়ার পর সংশোধন করা হয়, সেই বিষয়ে আমার হাত নেই। কপি পেস্ট সম্মিলিত অবস্থান ছাড়া বন্ধ সম্ভব নয়।


১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্টের দু'টা অংশ। কপি পেষ্ট পোস্ট ও সাধারনভাবে ব্লগীয় পরিবেশ।

কপি/পেষ্ট নিয়ে মন্তব্য শুরু করতে গিয়ে দেখলাম, অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে। তাই ঠিক করেছি, ঈদের পরেই একটা পোষ্ট দিব। শুধু একটা জানার ছিল, আপনি বলেছেন, কেউ কপি বার বার পেস্ট পোস্ট বার বার করলে অনুগ্রহ করে তা মডারেটরের নজরে আনবেন। বার বার কথাটা কনফিউজিং। ঠিক কতোবার করলে মডারেটরের নজরে আনা যাবে? কেউ প্রথমবার করলে কি ইগনোর করতে হবে? :(

মেইল করবেন – [email protected] এই ঠিকানায়। এটা কি সব সময়ে কাজ করে? আমার অভিজ্ঞতায় বলে না। এ'জন্যই কয়েকদিন আগে বলেছিলাম, ব্লগ টিমের সাথে ব্লগারদের যোগাযোগটা আরো মজবুত করার উপায় দেখা দরকার। :)

আরো অনেক বিষয় নিয়েই বলার ছিল, তবে সেগুলো তর্কসাপেক্ষ। তাই মন্তব্য আর বড় করতে চাই না। সম্পাদনার বিষয়ে আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি একমত। আর মোটাদাগে আপনার পোষ্টের সাথে সার্বিকভাবেও আমি সহমতই পোষণ করি।

আপনাকেসহ আপনার মাধ্যমে সবাইকে অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৪১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে মফিজ ভাই! অনেক সময় আমরা কিছু কথার কথা বলি। যে কথা গুলোর অর্থ চাইলে বুঝা সম্ভব। যেমন ধরুন এখানে টাইপিং মিস্টেক আছে, এটা বুঝতে যদি কাউকে রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয়, তাহলে তো বিপদ! :) :)

মুল কথাটি ছিলো কেউ কপি পেস্ট করলে মডারেটরকে জানান। যদি কেউ বার বার কপি পেস্ট করেন অর্থাৎ কপি পেস্ট করার অভিযোগে কারো পোস্ট সরিয়ে ফেলার বা নিজেকে পোস্ট সরিয়ে ফেলার পরেও যদি কপি পেস্ট অভ্যাসটি অব্যহত থাকে তাহলে তা মডারেটকে জানাবেন।

আশা করি এই ব্যাপারে আর কোন সংশয় নেই।

কোন সমস্যার কথা ব্লগ টিম বা মডারেটরকে জানালে ব্লগ টিম সেই ব্যাপারে কিছুটা দেরীতে হলেও প্রতি উত্তর করে। অনেক সময় অভিযোগের বিষয়টি অনুধাবন করলে সেই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করে। সাধারনত মডারেটরকে কোন সমস্যার কথা জানিয়ে (ইমেইল ও পাসওয়ার্ড জনিত সমস্যা ছাড়া) মেইল করলে তার জবাব পাওয়া যায়।

এই পোস্ট আলোচনার জন্য, ফলে তর্ক সাপেক্ষ যে কোন বিষয় নিয়ে চাইলে বিনা দ্বিধায় আপনার মতামত জানাতে পারেন।

আপনার জন্যও ঈদের শুভেচ্ছা।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:৫৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: লেখক বলেছেন: পোস্টের কোন অংশ আপনার কাজে লেগেছে জানালে খুশি হতাম।
প্রায় পুরটা পোস্টটি আমার কাজের। আবারও বলছি আমি খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। খুব সহজ ও সুন্দর ভাবে ক্লিয়ার করা হয়েছে বিষয় বস্তু। এখন বাকিরা সেগুলি বুঝে নিলেই হয়।

দেখুন আমি প্রায় সাড়ে ১২ বছর ধরে ব্লগে আছি। এক সময় আমি প্রচুর সংগৃহীত কৌতুক পোস্ট করেছি। অদ্ভুত-আকর্ষনীয় ভিন্নধর্মী ছবি শেয়ার করেছি। তখন সূত্র যোগ করে দেয়ার বিষয়টা তেমন ভাবে মাথায় আসেনি। পরে একটু একটু করে সেগুলি দিতে শুরু করেছি। নিজেকে শুধরে নেয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। এই কয়দিন আগেও আমি যখন বাগধারা সিরিজটি শুরু করেছিলাম সেখানে কোনো সূত্র দেয়া ছিলো না। এই সেদিন কেউ একজন বলাতে আমি ভাবলাম সাধারণত যে যে বই থেকে আমি এই বাগধারাগুলি নিচ্ছি সেগুলির নাম দিয়ে দেয়া উচিত। এখন তাই বইয়ের নাম গুলি যুক্ত করে দিচ্ছি।

একটা বিষয় আমার বলার আছে ধর্মীয় পোস্ট গুলি সম্পর্কে।
আমি দেখিয়ে দিতে পারি কেউ কেউ একটি পোস্টে অন্ততো ৮-১০টি পোস্ট থেকে কিছু কিছু অংশ কেটে এনে নিজের পোস্টে জুড়ে দিয়ে বিশাল পোস্ট তৈরি করছেন। এবং সূত্র হিসেবে লিখে দিচ্ছেন- কোরআন ও হাদিস। সমস্যা হচ্ছে যিনি পোস্ট করেছেন তিনি কোরআন ও হাদিস গ্রন্থ থেকে সরাসরি নেননি। তিনি নিয়েছেন অন্য আরেকজনের লেখা থেকে।
এই বিষয়ে একটু দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করি।

তবে আপনাকে আমি ব্যক্তিগত একটা ধন্যবাদ দিতে চাই। সৃষ্টিশীল পদ্ধতিতে হালকা খোঁচাখুঁচি করার জন্য। এই ধরনের পোস্ট আগে আসত, এখন তেমন আসে না। ধরুন এই কারনে খোঁচাখুঁচি বলছি - দুনিয়ার হাজারো বাগধারা থাকতে আমাদের প্রিয় এই সিরিজটি শুরু হলো গাধা, বানর, আর চাঁদ দিয়ে।
সত্যি বলছি আমি বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে লিখি নাই। B:-)
তবে আমি জানতাম পোস্ট হওয়ার পরেই বিশেষ কেউ কেউ টার্গেট হয়ে যাবেন। ;)

অশেষ ধন্যবাদ আপনিকে।
সামু সামুর মতোই এগিয়ে চলুক।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি বিশেষ কাউকে উদ্দেশ্য করে লিখি নাই - কিন্তু টাইমিং এর কারনে আপনাকে শতভাগ সন্দেহ থেকে মুক্ত করা যাচ্ছে না। ;)

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১২

কাশফিয়া কাশফুল বলেছেন: চমৎকার !

০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৩১

নিমো বলেছেন: প্রাসঙ্গিক ও গুরুত্বপূর্ণ । আগের মন্তব্যটি মুছে দিন।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আশা করি ঠিক আছে।

১৮| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:




যাদের কাছে মনে হবে এটা তাদের ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক, তাদের ধর্ম ভিত্তিক অধিকার হরন করা হয়েছে, তার নতুন কোন ব্লগ খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত এখানে অতিথি হিসাবে ব্লগিং করতে পারেন।

:)

পোষ্ট এবং মন্তব্যগুলো সিরিয়াস কাভা কিন্তু আমি একটা জোক শেয়ার করি, যদিও খুবই কমন ।
My apology in advance, সামান্য অশালীন বলা যায় ।

এক শিক্ষকের স্ত্রী মাঝরাতে উঠে দেখলেন, স্বামী দু চোখ লাল করে উদভ্রান্তের মতো একটা পরীক্ষার খাতা খুলে একদৃষ্টে খাতার দিকে তাকিয়ে আছেন।

স্ত্রী : রাত দশটা থেকে দেখছি এই খাতাটা নিয়েই বসে আছো ?

শিক্ষকঃ একে কত নাম্বার দেব বুঝতে পারছি না।

স্ত্রীঃ কেন? কী লিখেছে?

শিক্ষকঃ লিখেছে, 'সম্রাট আকবর বিপদের দিনে জাঙ্গিয়া পরিতেন না'।

স্ত্রীতো অবাক।

স্ত্রীঃ জাঙ্গিয়া পরিতেন না? মানে তখন তো জাঙ্গিয়ার কোম্পানিই ছিল না!

শিক্ষকঃ সেটাই তো ভাবছি। কেন যে ছেলেটা এটা লিখল।

স্ত্রী ঘুমাতে গেলেন।

ভোর রাত্রে বেশ জোরে একটা শব্দে স্ত্রীর ঘুম ভেঙে গেল। উঠে দেখলেন, স্বামী উন্মাদের মত সারা ঘরে নেচে বেড়াচ্ছেন, সারা ঘরে খাতা কলম ছড়ানো। স্ত্রীকে দেখে স্বামী আরো খুশী।

শিক্ষকঃ, গিন্নী, নাম্বার দিয়েছি।

স্ত্রীঃ কত দিয়েছ?

শিক্ষকঃ শূন্য।

স্ত্রী অবাক।

স্ত্রীঃ সারারাত জেগে খাতা দেখে শুধু শূন্য দিলে ?

শিক্ষকঃ কারোটা নকল করেছে।

স্ত্রীঃ নকল? তার মানে আরো অনেকে লিখেছে?

শিক্ষকঃ না।

স্ত্রীঃ তবে?

শিক্ষকঃ ছেলেটা দেখতে ভুল করেছে । যারটা দেখে সে নকল করেছিল সে লেখেছিল 'সম্রাট আকবর বিপদের দিনে ভাঙ্গিয়া পড়িতেন না'। আর এই গাধাটা লিখেছে "সম্রাট আকবর বিপদের দিনে জাঙ্গিয়া পরিতেন না” ।

.................

নো মোর টুকলিফাইং, নো মোর কপিপেস্ট, নইলে কিন্তু শূন্য পাবে ! :)



০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হাহা। আপনি এই পুরানো কৌতুক কই পেলেন??

১৯| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১১

জগতারন বলেছেন:
কাল্পনিক সাহেবঃ
মৌলিক ব্লগ লিখা ও ব্লগার ছিলেন জ্বনাব চাঁদ গাজী।
আপনার মাধ্যমে সামু' কতৃপক্ষকে জানাইতে চাই;
ব্লগে ঝগড়া-ঝাটি, তক্ক-বিতক্ক, বাক-বিতন্ডা থাকবে, চলবে.....
থাকিলেও কাহারও গলা টিপিয়া ধরিয়া মারিয়া ফেলা অসমচিন মনেকরি।
তাই দয়া করিয়া জ্বনাব চাঁদ গাজী সাহেবের নিকটি ফিরাইয়া দেবার আকুল অনুরোধ করিতেছি।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:১৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আমরা বিনয়ের সাথে জানাচ্ছি যে, সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে ব্লগার চাঁদগাজী অধ্যায় শেষ।
ব্লগনীতিমালা অনুসরন না করার জন্য তাঁকে চুড়ান্তভাবে ব্যান করা হয়েছে। এই ব্যান তুলে নেয়ার কোন সম্ভবনা নেই।

২০| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৩২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার ক্লারিফিকেশানের জন্য ধন্যবাদ জাদিদ ভাই। আপনি সঠিক বলেছেন, কিছু কিছু ব্যাপার বোঝার জন্য রকেট সায়েন্টিস্ট হওয়ার দরকার নাই। তবে কিছু কিছু জিনিস বোঝা রকেট সায়েন্সের চেয়েও কঠিন মনে হয় আমার কাছে মাঝে মধ্যে। যেমন ধরেন, আমাদের দেশে ছোটখাটো চোরকে ধরতে পারলে আমরা পিটিয়ে মেরে ফেলি। কিন্তু বিশাল বিশাল চোরকে পারলে সকাল-বিকাল স্যালিউট করি, তেল মারি। তাদের সাথে কথা বলতে পারলে আমরা মোমের মতো গলে যাই। ঠিক তেমনি, একজন মানুষ বছরের পর বছর অন্যের ইন্টেলেকচ্যুয়াল প্রপার্টি চুরি করছে। চোর বললে গালাগালি করছে। ঠিক হওয়ার কোন নামই নিচ্ছে না বরং বুক ফুলিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছে, ''আমি অন্যায় কিছু করি নাই; যা করেছি ঠিকই করেছি। ব্লগ টিম অন্যায়ভাবে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে!!'' তখন আসলেই মনে হয়, ঠিক কতোবার চুরি করলে তার বিরুদ্ধে তিতা-চোর (অর্থাৎ যেই চোরের কোন সংশোধনের সম্ভাবনা নাই) জ্ঞানে ব্যবস্থা নেয়া হবে!!! :P

এই পোস্ট আলোচনার জন্য, ফলে তর্ক সাপেক্ষ যে কোন বিষয় নিয়ে চাইলে বিনা দ্বিধায় আপনার মতামত জানাতে পারেন। এই সুযোগ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। এটা করতে পারলে ভালোই হতো। তবে আপাততঃ কপি/পেস্টেই ফোকাসড থাকতে চাচ্ছি। অন্য বিষয় তো অবশ্যই আছে, কিন্তু সেসব নিয়ে আলাপ শুরু করলে ফোকাস সরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে; কারন সেইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা একবার শুরু হলে হয়তো সহসা থামা মুশকিল হবে। আর একসাথে অনেক কয়টা ব্যাপারে কনসেন্ট্রেড করাও আমার কাছে কৌশলগত কারনে ঠিক মনে হয় না। কাজেই ওগুলো না হয় আরেকদিনের জন্য তোলা থাক!!! :)

০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: জী, ভুয়া মফিজ ভাই, আমার মনে হয় আপনি যা বলেছেন, সেটা সবাই দেখেছে এবং এই সংক্রান্ত ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এমন যদি হতো আমরা এই ঘটনায় কোন ব্যবস্থা গ্রহন করি নাই বা কপি পেস্টকে উৎসাহ দিয়েছি তাহলে এখানে আপনি যে বিষয়টি বলতে চাইছেন তা নিয়ে পুনরায় আলোচনা হতে পারত।

আপনার হয়ত কোন কারনে সংক্ষুদ্ধ হবার যৌক্তিক কারন আছে। তাই হয়ত আপনি উক্ত ব্লগারের উপর ক্ষুব্ধ। আমি বলছি না আপনি বলেছেন - তবে অনেকেই ইনিয়ে বিনিয়ে উক্ত ব্লগারকে ব্যান করার দাবী করেছেন। এই ধরনের ঘৃণাকে আমরা সমর্থন করি না। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা কিছু নির্দিষ্ট চিহ্নিত রাজনৈতিক আদর্শের মানুষ ছাড়া আমরা সকলের ক্ষেত্রে 'সবাইকে নিয়ে চলতে চাই'।

তাছাড়া আমরা লক্ষ্য করেছি, আলোচ্য ব্যক্তি নিজেকে সংশোধন করার একটি প্রক্রিয়ায় আছেন। সেটা কতভাগ সত্য বা দীর্ঘ মেয়াদী আমি তা জানি না। এর পর যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় বা প্রমানিত হয়, তখন আমরা কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাবো।

কপি পেস্ট প্রতিরোধ হিসাবে কি করা যায় এই বিষয়ে কোন মতামত থাকলে প্লীজ জানাবেন।

২১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
যার যার গণ্ডিতে থেকে নিয়ম
মাফিক অভিযোগ করুন।
বিচারের ভার সবার হাতে
নয় শুধু ব্লগ টিমের উপর
ন্যস্ত থাকুক। এর বাইরের
কেউ আইন হাতে নিয়ে
অযথা ক্যাচাল পরিহার
করি।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:৪৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে এই মন্তব্যটি করেছেন।

২২| ০১ লা মে, ২০২২ রাত ১:১০

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: যদিও কপি পেস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের শুরু হয়েছিল গুটি কয়েক ব্লগারকে টার্গেট করে, তবে বর্তমানে এর পরিধির বিস্তার ঘটেছে তাদের বাইরেরও কপিপেস্টকারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্য নিয়ে। যে ব্লগার অনেক পরিশ্রম করে এই লিস্টটি তৈরী করেছেন সেই উদ্যোগী ব্লগার অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করছেন এবং আশা করা যায় তিনি সব ধরণের প্রভাবমুক্ত হয়ে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রেখেই কপিপেস্টের বিষয়ে নজরদারি করে যাবেন।

আমি অন্য একটি পোস্টে ব্লগার ঢাবিয়ানের একটি মন্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করছি এই বলে যে, কপিপেস্টের অপরাধে কাউকে 'চোর' বা এই ধরণের কোনো ধরণের চোর, চৌযবৃত্তিসহ নানাবিধ শব্দ ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ব্লগারদের প্রতি নূন্যতম সম্মান প্রদর্শনে ব্যপক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। এই ধরণের উক্তি বা আক্রমণ ওই সকল ব্লগারকে ভবিষ্যতে সংশোধিত হয়ে কপিপেস্ট থেকে বিরত হতে এনকারেজ করবে না বলেই আমার কাছে মনে হয়।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ব্লগাররা কেউ প্রথমে কাউকে চোর বলেন নি। কিন্তু বার বার মানা করা্র পরেও একই কাজ কন্টিউনিউ করায় এই ধরনের নাম শুনতে হচ্ছে। তবে যারা ক্ষমা চেয়েছেন, তাদেরকে এই ধরনের নামে ডাকার কোন যুক্তিকতা দেখতে পাচ্ছি না।

২৩| ০১ লা মে, ২০২২ ভোর ৫:২৮

ঈশ্বরকণা বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
আসসালামু আলাইকুম । আপনার পোস্টে কোনো কমেন্ট করতে শংকা থাকে সব সময়ই --- তাই আপনার পোস্টে কমেন্ট করার টেম্পটেশনটা বেশির ভাগ সময়ই এড়িয়ে যাই ।যেহেতু এই পোস্ট রিলেটেড আরো কিছু পোস্টে আমিও মন্তব্য করেছিলাম তাই মনে হলো এই পোস্টেও একটা মন্তব্য করা যায় ।তাই আপনার পোস্টে মন্তব্য না করার রিজার্ভেশনটা থাকার পরেও এই দীর্ঘ মন্তব্য। আপনার পোস্টটা ব্লগের লেখার মান, ব্লগারদের সৃজনশীলতা ঠিকঠাক রাখার জন্য জরুরি ছিল । আপনার লেখাটা কিন্তু বেশ বড়ই তবুও ব্লগের, ব্লগারদের লেখার মান উন্নয়নের বিবেচনায় আপনি কিছু জরুরি বিষয় উল্লেখ করেন নি (বা এড়িয়েও যেতে পারেন) । রিলিজিয়ন রিলেটেড কিছু বিষয়ে আপনার সার্কাস্টিক এক্সপ্রেশন (আমি একটু অবাকও হয়েছি তাতে স্বীকার করছি) লেখার গুরুত্বটা (শালীনতাও)একটু খর্ব করেছে বলে মনে হয়েছে । যেমন 'বিসমিল্লাহ' বা 'আসসালামু আলাইকুম' এই কথাগুলো নিয়ে সার্কাস্টিকাল না হয়েও এই লেখাটা আপনি লিখতে পারতেন আর তাতে লেখার গুরুত্বও কমতো না । অনুগ্রহ করে খেয়াল রাখুন ডক্টর সালাম তার রিসার্চ সেমিনারের প্রত্যেকটা প্রেজেন্টেশন স্লাইডের শুরুতেও "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম" লিখতেন (উৎস জাফর ইকবাল, বইয়ের নামটা ভুলে গেছি )।তাই ইসলামিক কিছু মূল বিষয় নিয়ে আপনার অতি সার্কাস্টিক মন্তব্যের পরে এই লেখাকে এখন একটু একপেশে মনে হলে নিশ্চই কিছু মনে করবেন না ?

আপনার লেখার শিরোনাম "দৃষ্টি আকর্ষনঃ কপি পেষ্ট পোস্ট (২) ও ব্লগীয় পরিবেশসরা" হলেও সরাসরি কাটপেস্ট,অন্যের লেখার অনুকরণ করে লেখা (চুরি আর বললাম না কিছু মনোনীয় ব্লগারের মানহানি হতে পারে দেখে। কিছু ব্লগার যেভাবে সন্মান রক্ষার চেতনায় উজ্জীবিত হয়েছেন লেখা চুরির বিষয়টা ইগনোর করে !),সম্পাদনা নিয়ে আপনার সহিষ্ণুতার অভাব না হলেও ধর্ম নিয়ে লেখার ব্যাপারে আপনার খানিকটা অসহিষ্ণুতা রয়েছে মনে হলো। ধর্ম নিয়ে লেখাগুলোর ব্যাপারে আপনার " ব্লগ বেসিক ধর্ম চর্চার জায়গা নয়, অন্তত সামহোয়্যারইন ব্লগ তো অবশ্যই না" মন্তব্যটার সাথে আমি একমত। বেশ কিছু আগে গত বছর সম্ভবত ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেব এরকমই কোনো আলোচনায় বলেছিলেন ব্লগে কেউ ধর্ম শিখতে আসে না। সেই মন্তব্যের সাথেও আমি একমতই ছিলাম। তাই ধর্ম --বিশেষ করে ইসলামের খুবই প্রাথমিক বিষয়গুলো নিয়ে কোনো পোস্ট ব্লগে দরকার আছে সেটা আমারও মনে হয় না। এটা প্রতিবাদ করে ব্লগারদের পোস্ট দিয়ে বলার চেয়ে আপনি এসব পোস্ট যারা করেন তাদের ইমেইল করে সরাসরি এ ধরণের পোস্ট না করতে বলে দিলেই কিন্তু এ'ধরণের পোস্ট কমে যেত। সেটা না করাতেই আপনার এখন বলতে হচ্ছে "ধর্ম সংক্রান্ত কোন ভালো পোস্ট গত কয়েক মাসে এসেছে বলে আমার চোখে পড়েনি---" । তবে রোজার শুরুতে রোজায় যে আমল,দোয়া অথবা তাসবীহগুলো রাসূল (সাঃ) করতেন বা যেগুলোর কথা হাদিসে বলা আছে সেগুলো নিয়ে একটা পোস্ট হতে পারে কারণ সেগুলো আমরা সবাই অনেক সময়ই জানি না বা জানলেও একসাথে এক জায়গায়গায় সে সব আমলগুলো না থাকায় মনেও থাকে না হয়তো । তাই এধরণের একটা দুটো পোস্ট হতেই পারে । তাতে অনেকের উপকারও হবে রোজায়। ব্লগ পোস্টগুলোর একটা উদ্দেশ্য নিশ্চই অন্যদের না জানা বিষয়গুলো জানানোও। কিন্তু আগের মন্তব্যের সাথেই জুড়ে দেয়া আপনার পরের "---অথচ কিছু কিছু ব্লগার ধর্ম নিয়ে সামান্য কোন সমালোচনা মুলক পোস্ট বা ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য আসলেই জিহাদী জোসে লাফিয়ে পড়েন" মন্তব্যটুকুর সাথে কিন্তু একমত হওয়া গেলো না । আপনার মন্তব্যে উদ্বুদ্ধ হয়েই মনে হয় এই লেখায় মন্তব্য করেছে "বিজ্ঞান বাদ দিয়ে অন্য কিছু (!) বেশি করে চর্চা করার ফল বর্তমান প্রজন্ম কপি পেস্টের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছে।" অথচ যার লেখাকে কেন্দ্র করে বার এই আলোচনার শুরু সেই কপিবাজ ব্লগার (এখানেও লেখা চোর বললাম না )কিন্তু ধর্মের বিশেষ কর ইসলামের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণাকারী স্বঘোষিত প্রগতিশীল আর বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ ! এর লেখাতেও কিন্তু মন্তব্যকারী ব্লগার হরহামেশাই মন্তব্যঃ করেন ! ইসলাম "ধর্ম সংক্রান্ত পোস্টগুলো খুবই শিশুতোষ শ্রেনী" যেমন আপনি বললেন তেমন করেই কিন্তু আপনি বলতে পারতেন ইসলামের মূল ইস্যুগুলো বিরোধিতা করে আসা মন্তব্য ও " পোস্টগুলো খুবই শিশুতোষ শ্রেনী" (রেফারেন্সটা ঠিকঠাক মত না লিখেও আপনাকে কাট পেস্ট করলাম !) তাহলে আপনার কোথায় একটা ভারসাম্য থাকতো। একটা উদাহরণ দেই । যেমন ইসলামের চোদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করতে কথায় কথায় হুর হুর করে অশালীন ইঙ্গিত করে নোংরামি করছে ব্লগের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কিছু অতিপ্রগতিশীল কিছু ব্লগার । আপনিও মনে হলো নেগিটিভ অর্থেই হুরদের কথা বলেছেন আপনার এই লেখায় । অথচ কুরআন শরীফের একটা খুবই বিখ্যাত সূরা হলো সূরা আল ওয়াক্বিয়া। এই সূরার ২৫-২৬ নং আয়াতে কিন্তু খুব পরিস্কার করেই বেহেস্তবাসীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে “No empty talk will they hear there, nor any call to sin (56:25-26)” । এর মানে হলো বেহেস্তবাসীরা কোনো ধর্মের পাপ কাজ বা কথাবার্তায় জড়াবে না। এর মানে হুর সম্পর্কিত কোনো নোংরা কিছু ভাবার সুযোগ কিন্তু নেই এই আয়াতের পরে। এটা মোহাম্মদ আসাদের খুবই গ্রহণযোগ্য একটা ইংরেজি অনুবাদ কুরআন শরীফের । আশাকরি আপনি মোহাম্মদ আসাদের ব্যাকগ্রাউন্ড আর তার স্কলারলি ইসলামিক কাজগুলো সম্পর্কে জানেন। অথচ ব্লগ শুরুর দিন থেকেই মনে হয় এই এই হুর আর আরো কিছু বিতর্কিত বিষয় দিয়ে নোংরা কথা কিন্তু কিছু তথাকথিত (বলা যায় নিশ্চই ?)ব্লগার ইসলাম সম্পর্কে বলে আসছে । এর কারণ এটাই হতে পারে এই ব্লগাররা কুরআন ভালো করে পড়েননি কখনো অথবা সেই সাত শতাব্দী থেকে ক্রিশ্চিয়ান পাদ্রীদের যেই ইসলাম বিরোধিতা শুরু হয়েছিলো কুরআনের কিছু ভার্সকে অপব্যাখ্যা করে সেই প্রোপাগান্ডা আমাদের মাননীয় ব্লগাররা এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন । এখানে মজার ব্যাপারটা হলো এই গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত 'ম' আছে 'স' আছে নিকে এমন একজন ব্লগারের ভাষা যে জঘন্য রকমের খারাপ এ'ব্যাপারে সেটা তাকে মনে করিয়ে তাকে ভাষাতে সংযত হবার কথা কিন্তু বলেছেন অধুনা ব্যান হওয়া (কপি পেস্টের কারণে না) এক মশহুর ব্লগার ! আপনি কিন্তু প্রকাশ্যে তাকে কখনো বলেননি যে তার অশালীন ভাষা ব্লগের স্ট্যান্ডার্ডে খাপ খায় না । এখন এই চূড়ান্ত অজ্ঞতা বা ইচ্ছাকৃত ইসলামের বিরুদ্ধে অশালীনতা দেখে যদি তার বিরুদ্ধে প্রতিমন্তব্য করেই কিছু ব্লগার তাহলেই সেটা "জিহাদী জোসে লাফিয়ে পড়েন" বলে সার্কাস্টিকাল মন্তব্য করা কতটুকু যৌক্তিক আপনিই বলুন ? কপি পেস্টের বিরুদ্ধে আপনার যেই অবস্থান বা গঠনমূলক নির্দেশনা সেই কঠিন অবস্থানটা ধর্ম সম্পর্কে অশালীন ভাষা ব্যবহারকারী আর অজ্ঞ পোস্টদাতাদের বিরুদ্ধে থাকাও দরকার ছিল ব্লগের স্ট্যান্ডার্ড মেন্টেইনের অংশ হিসেবে । কিন্তু এই পোস্ট পড়ে সেটা আছে বলে মনে হচ্ছে না ।

এখন অল্প কয়েকটা কথাই বলি কপি পেস্টের সাইটেশন সম্পর্কে । সাইটেশনের ইন্সট্রাকশনগুলো কিন্তু বদলায় । যেমন রিসার্চ পেপারের পাবলিকেশনের ব্যাপারে APA বা আমেরিকান সাইকোলজিকাল এসোসিয়েশনের সাইটেশন স্টাইলটা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় আমেরিকায় আর ইউরোপেও সম্ভবত । এটার সেভেন্থ এডিশন এখন ব্যবহার করা হয় যেটা ২০১৯ সালে এরা পাবলিশ করেছে । সিক্সথ এডিসন পাবলিশ করা হয়েছিল ২০০৯ সালে। তাছাড়াও শিকাগো স্টাইল, হার্ভার্ড সাইটেশন স্টাইল, MLA আরো নানা ধরণের সাইটেশন স্টাইল আছে যেগুলোও খুব প্রচলিত আর বিশেষ বিশেষ জার্নাল ফলো করে সেসব স্টাইল। অনেক ব্যাপারেই এই সাইটেশন স্টাইলগুলোর মধ্যে বিশাল পার্থক্য ।আরজুপনির যেই সাইটেশন স্টাইলের যে লেখার রেফারেন্স আপনি দিয়েছেন সেটা কোন স্টাইলের আমি জানি না। কিন্তু সেটারও নিশ্চই আপডেট ভার্সন থাকার কথা এতো বছর পরে।তাই কোন ধরণের সাইটেশন স্টাইল ব্লগের জন্য আপনার চান সেটাও ঠিক করুন । সেটার উদাহরণসহ একটা পোস্ট দিন বা এটার মধ্যেই যোগ করে দিয়ে সবাইকে জানবার ব্যবস্থা করুন (এই লেখা স্টিকি না করলে)। জনৈক সাংবাদিক ব্লগার যিনি ব্লগারদের মানসন্মান রক্ষায় অতিসচেন তিনি হুবুহু কারো কথা উল্লেখ করলে কোটেশন চিহ্ন দিতে হবে কিনা জিজ্ঞেস করায় আমি প্রগতিশীল ব্লগারদের লেখালেখির জ্ঞান দেখে স্তম্ভিত ! তার জন্যই এতো কথা বলতে হলো ।

যাহোক, ভালো থাকুন । ঈদ মোবারক । আল্লাহ হাফেজ ।

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার ঈশ্বরকনা,
আপনার সালামের জন্য ধন্যবাদ। আপনার জন্যও আমার একই প্রার্থনা রইল।

যদি কোন ব্লগার অন্য কোন নির্দিষ্ট ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য না করতে চায়, তাহলে সেটা একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। আমার পোস্টে আপনার নাতিদীর্ঘ মন্তব্যটি পড়লাম। আলোচনায় অংশ নেয়ায় কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমাদের প্রতিটি মানুষের কিছু নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি এবং আদর্শ থাকে। আমরা সেটার ভিত্তিতেই আমাদের জীবনাদর্শ এবং আচরন নির্দিষ্ট করি। আপনার এই মন্তব্যটিও আপনার ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা ও আদর্শের প্রতিচ্ছবি মাত্র।

আমি ভেবেছিলাম এই পর্যন্ত লিখেই আপনার মন্তব্যের জবাব দিবো। কিন্তু পরে ভেবে দেখলাম, অনেক সময় বিস্তারিত বক্তব্য না দেয়ার কারনে অনেকেই অনেক সহজ জিনিস বুঝতে ব্যর্থ হন এবং এই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তাই এবার বিস্তারিত জবাব দিয়েছি।

সম্পূরক হিসাবে যুক্ত করতে চাই, একটি সর্বজনীন বা বারোয়ারী সমাবেশ বা কথা বলার জায়গা যদি শুধুমাত্র কোন নির্দিষ্ট বনেদী ভাবধারা বা নির্দিষ্ট কোন আদর্শকে ‘আদর্শ’ ভেবে পরিচালনা করা হয় তাহলে সেটা আর সর্বজনীন থাকে না। এই সহজ কথাটি অনেক পন্ডিত বা বিদ্যান লোকের কাছে সহজবোধ্য হয় না। ফলে একই প্রসঙ্গ বার বার উথিত হয়। এবং তখন ‘এই করলে সেরা হতো’, ‘ঐ করলে ভালো হত’, ‘এমনটা মানায় না’ বা ‘অমুকটা করা উচিত নয়’ ইত্যাদি নীতি নির্ধারনী মুলক আচরন বিধি প্রণয়ন করার চাপ পর্যবেক্ষিত হয়। এটা নিঃসন্দেহে অদৃশ্য চাপ, দৃশ্যমান নয়। একটি বারোয়ারী জায়গায় সবাইকে সমান সুযোগ দিতে হয় এবং যারা এটা নিয়ন্ত্রনের কাজ করেন, তাদেরকে সেই মোতাবেক আচরন করতে হয়। বৈচিত্রময়তাকে গ্রহন করার অক্ষমতা এবং সহ্যশক্তির দুর্বলতা অনেক সময় মানুষকে এই ধরনের কাজ করতে বাধ্য করে যা সম্পর্কে সে নিজেও ওয়াকিবহাল থাকে না।

আপনার জানার সুবিধার্থে বলছি – আমার এই পোস্টটি ব্লগারদের সৃজনশীলতা বাড়ানো সম্পর্কিত কোন পোস্ট নয়। এখানে কপি পেষ্টের পর ২ ব্যবহার করা হয়েছে কারন ইতিপূর্বেও আমি এই বিষয়ে পোস্ট লিখেছিলাম, সেখানে উল্লেখ্য করেছিলাম কিভাবে পোস্টে রেফারেন্স যুক্ত করতে হয়। এবং পোস্টের শুরুতে আমি উল্লেখ করেছি – আমি এই পোস্টটি আরেকজন ব্লগারের পোস্টে মন্তব্য হিসাবে করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে আলোচনার সুবিধার্থে আমি পোস্ট আকারে দিয়েছি।

এটা উল্লেখ্য করে দেয়ার পরেও আপনার এই মন্তব্যের এই অংশটিকে যদি আমি অপ্রাসঙ্গিক হিসাবে চিহ্নিত করি, তাহলে কি খুব একটা ভুল হবে? বা কেউ যদি বলেন আপনি অহেতুক জ্ঞান দিতে ভালোবাসেন, তাহলে সেটা কি সঠিক শোনাবে?
- নিশ্চয়ই সেটা সঠিক শোনাবে না। (আমি একটা সম্ভবনার কথা বলেছি, এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত নয়।)

আমার এই লেখাটা প্রথমত একজন ব্লগার হিসাবে এবং দ্বিতীয়ত ব্লগের মডারেট হিসাবে কিছু পর্যবেক্ষন বা অভিজ্ঞতা মন্তব্য আকারে প্রকাশ করতে চেয়েছি। এই সংক্রান্ত ক্লিয়ারিফিকেশন আমি ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫ মিনিটে ৫ নাম্বার মন্তব্যে দিয়েছি, আপনি হয়ত সেটা লক্ষ্য করেন নি। হতে পারে ৯ নাম্বার মন্তব্য পড়তে গিয়ে আপনি এতটাই ক্ষুব্ধ বা বিরক্ত হয়েছেন যে অন্য দিকে আপনার দেখার সুযোগ হয় নি।

আপনি লিখেছেন - রিলিজিয়ন রিলেটেড কিছু বিষয়ে আপনার সার্কাস্টিক এক্সপ্রেশন……। কিন্তু মুলত লাইনটি লিখতে হয়ত আপনি ভুল করেছেন। আমি সংশোধন করে দিচ্ছি। মুল লাইনটি হবে – ধর্ম বিষয়ক ভন্ডামীর কিছু বিষয়ে আপনার সার্কাস্টিক এক্সপ্রেশন দেখে……।।

এইভাবে পড়তে পারলে আপনার বুঝতে সুবিধা হতো। আপনি নিশ্চয় জানেন, বিশ্ব সাহিত্যে ব্যাঙ্গ বা স্যাটায়ার কত শক্তিশালি একটি মাধ্যম যা দিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়, মানুষের দ্বিচারিতার মুখোস উম্মোচন করা হয়। আপনি জানেন কি জানি না, বিশ্ব সাহিত্যের বিখ্যাত লেখা গ্যালিভার ট্রাভেলস মুলত একটি স্যাটায়ার বা ব্যাঙ্গ।
আপনার বক্তব্য অনুসারে আমি যে স্যাটায়ার বা সার্কাস্টিক মন্তব্য করেছি – সেটা অনেকটা জুভেনালিয়ান ক্যাটাগরীর ব্যাঙ্গ। ডার্ক কৌতুক এই ক্যাটাগরীর ব্যাঙ্গ। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিকর্তা স্যাটায়ার বুঝতে সক্ষম। তিনি নিশ্চয় জানেন, কিসে তাকে অসম্মান করা হয়, আর কিসের মাধ্যমে তাঁর সম্মান রক্ষায় চেষ্টা করা হয়।
অবশ্য যুগে যুগে এই সব নিয়ে তথাকথিত বনেদী সমাজের সাথে অনেকের যুদ্ধ হয়েছে, তর্ক হয়েছে। ফলে বিজ্ঞান মেনেই আমরা অতীতের ধারা অনুসরন করছি মাত্র। তাই আপনার এই মন্ত্যবে আমার মিটিমিটি হাসি ছাড়া বাড়তি কোন অবজার্বেশন নেই।

আমি অত্যন্ত দৃঢ় ভাষায় আপনাকে জানাচ্ছি – ইসলামের কোন মুল বিষয় নিয়ে আমি কোন কটুক্তি করিনি। বরং আমি স্যাটায়ার করে দেখিয়েছি কিভাবে এক শ্রেনী লোক দেখানো ধর্ম পালন করছে। কোরানের রেফারেন্স পর্যন্ত টেনেছি। সব কিছু মধ্যে ধর্মকে টেনে আনা এক ধরনের মানসিক ব্যাধি।
ব্লগে কারা কি উদ্দেশ্যে আসে, তাদের কি ইগো এইসব আমরা অনেক ভালো করে বুঝি এবং জানি। প্রকৃত ধর্মের সাথে ব্লগের এই সব হাস্যকর লোক দেখানো কর্মকান্ডের কোন সম্পর্ক নেই।
তাই আপনাকে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি – এই ধরনের গড়পড়তার অভিযোগ করার পূর্বে অনুগ্রহ করে কিছুটা নিশ্চিত হবেন, আসলে মুল বক্তব্যটি কি?

লেখা চুরির পক্ষে অসুস্থ মানসিকতা ছাড়া কেউ নেই। অনেকেই সামগ্রিক পরিস্থিতি ও এবং সকলের সংঘবদ্ধ আচরনে ভেবেছিলেন কপি পেস্টের বিরুদ্ধে এই সচেতনতা বুঝি কোন নির্দিষ্ট ব্লগারের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ তিনি গত বেশ কিছুদিন ধরে কপি পেস্ট পোস্ট দিচ্ছেন না – এটা কপি পেষ্ট নিয়ে সবচেয়ে বেশি সরব তিনি পর্যন্ত স্বীকার করেছেন। ফলে অনেকের ভুল হতে পারে।

ব্লগ টিম থেকে এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে, কপি পেস্ট পোস্টের বিরুদ্ধে চলমান কার্যক্রমে তাদের সকলের সমর্থন চাই সেটা বুঝানো হয়েছে এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ব্লগে গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। ব্লগ টিমের অনেক কাজই প্রকাশ্য নয়।

আমার কোন কিছুই নিয়ে সহিষ্ণুতার অভাব নেই বরং মনে হয় সহিষ্ণুতার অভাব আছে আপনাদের। ইতিমধ্যে কেন আছে আশা করি বুঝতে পারছেন।

ধর্ম একটি গুরুত্বপূর্ন জিনিস। আপনি যখন ধর্ম নিয়ে লিখেন তখন সেটা আমি পড়তে ভালোবাসি, কারন এই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার পড়াশোনা আছে, আপনি জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছেন। সেটা নিয়ে আপনার সাথে তর্ক হবে বির্তক হবে। যেমন ধরুন জু থিউরি দিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে প্রমানের চেষ্টা আমার কাছে ভালোও লেগেছে আবার হাস্যকর লেগেছে। প্রথমত জু একটা হাইপোথিসিস – হাইপো থিসিস দিয়ে কোন কিছু প্রমান করা যায় না হয়ত কিছুটা ধারনা নেয়া যায়। সমস্যা হচ্ছে হাইপোথিসিস ভুলও প্রমানিত হতে পারে। এখন যদি কোন কারনে কোন দিন জু হাইপোথিসিস ভুল প্রমানিত হয়, তাহলে এতদিন যারা এই হাইপো থিসিস অনুসারে সৃষ্টিকর্তাকে কেন দেখতে পাচ্ছেন না এই বিষয়ে সান্তনা খুঁজে পেয়েছেন – তাঁরা তখন কোথায় যাবে? তারা কি তখন প্রতারণার মামলা করতে পারবে? ঈশ্বর বিষয়ে কেন আমাদেরকে ভুজুং ভাজং বুঝানো হইছে?
বরং সেখানে মানে বইটিতে উল্লেখ্য আছে – বিশ্বাসই ঈমান। আল্লাহকে দেখা যাবে না এটাই বিশ্বাস, এটাই ইমান। ব্যাস! ল্যাটা চুকে গেলো। ( আমি মুল ভাবটি উল্লেখ্য করেছি, হুবহু লাইন নয়)

ধর্ম আর বিজ্ঞান দুইটা আলাদা সেগমেন্ট। ধর্ম বিজ্ঞানকে প্রমান করতে পারবে না, বিজ্ঞানও ধর্মকে প্রমান করতে পারবে না। ফলে আমাদেরকে দুটো গ্লাস এক সাথে না মিশিয়ে দুটো গ্লাসই সংরক্ষন করতে হবে। সমস্যা হচ্ছে – আধুনিক কালের মুসলিমরা উপযুক্ত পড়াশোনা করছে না। পড়াশোনা করলে ধর্মকে তারা ‘বড় বাপের পোলায় খায়’ নামক জিনিসে পরিনত করত না। বড় বাপের পোলা হচ্ছে এক ধরনের খাবার যেখানে গরু ছাগল, মুরগী, মগজ, চিড়া মুড়ি ইত্যাদি বহুপদী জিনিস মিশ্রিত থাকে।

ব্লগ বেসিক ধর্ম চর্চার জায়গা নয়, অন্তত সামহোয়্যারইন ব্লগ তো অবশ্যই না" মন্তব্যটার সাথে একমত প্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

আপনি লিখেছেন, এসব পোস্ট যারা করেন তাদের ইমেইল করে সরাসরি এ ধরণের পোস্ট না করতে বলে দিলেই কিন্তু এ'ধরণের পোস্ট কমে যেত।
হা হা হা। ধরে নিচ্ছি এটা আপনি কৌতুক করে বলেছেন কিংবা আমার মত স্যাটায়ার!

তবে রোজার শুরুতে রোজায় যে আমল,দোয়া অথবা তাসবীহগুলো রাসূল (সাঃ) করতেন বা যেগুলোর কথা হাদিসে বলা আছে সেগুলো নিয়ে একটা পোস্ট হতে পারে কারণ সেগুলো আমরা সবাই অনেক সময়ই জানি না বা জানলেও একসাথে এক জায়গায়গায় সে সব আমলগুলো না থাকায় মনেও থাকে না হয়তো ।

হ্যাঁ এই ধরনের পোস্ট আসতে পারে। কপি পেস্ট পোস্ট নয়। তবে এই ধরনের দোয়ার বই অধিকাংশ মুসলমানদের বাসায় আছে। সেখান থেকে অনুগ্রহ করে কপি করে ব্লগে দেয়ার কোন কারন দেখি না। এমন না যে ব্লগ পোস্ট খুলে এই সব পোস্ট দেখে দেখে কেউ ইবাদত করবে। সেটার সম্ভবনা খুবই কম।

সাধারন দোয়া নিয়েও অনেক বুদ্ধিদীপ্ত পোস্ট দেয়া যায়। তার জন্য প্রয়োজন ইচ্ছে এবং পড়াশোনা। আমি এটাকেই জোর দিতে বলেছি! তবে মজার ব্যাপার হলো অনেকেই এটাকে দেখছে আমার সহিষ্ণুতার অভাব হিসাবে। হা হা হা।

---অথচ কিছু কিছু ব্লগার ধর্ম নিয়ে সামান্য কোন সমালোচনা মুলক পোস্ট বা ব্যাঙ্গাত্মক মন্তব্য আসলেই জিহাদী জোসে লাফিয়ে পড়েন" মন্তব্যটুকুর সাথে কিন্তু একমত হওয়া গেলো না । আমি দুঃখিত আপনি একমত না হলেও ইহা দিনের আলোর মত সত্য।
বিজ্ঞান বাদ দিয়ে অন্য কিছু (!) বেশি করে চর্চা করার ফল বর্তমান প্রজন্ম কপি পেস্টের মাধ্যমে দেখিয়ে দিচ্ছে।" – ইহা তো অস্বীকার করার মত কোন তথ্য না। বর্তমান যুগে এটার প্রভাব দেখা দিচ্ছে।

দুঃখজনকভাবে আপনার মন্তব্যের শেষে দিকে মনোযোগহীনতা প্রভাব স্পষ্ট। কারন আপনি যে সকল বিষয়ে কথা বলেছেন, সেই সকল বিষয়ে আমি আমার লেখায় সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা দিয়েছি। এরপরও এই বিষয়ে কথা বলার অর্থ হচ্ছে আপনি হয় আমার পুরো পোস্ট পড়েন নি অথবা ব্লগ যে একটি সর্বজনীন প্ল্যাটফর্ম আপনি এই তত্ব এ বিশ্বাস করেন না। বিশ্বাস না করলে আপনি জানাতে পারেন, সমস্যা নেই।

আমি ভারসাম্যপূর্ন বক্তব্য দিতে চাই না। আমি চাই সঠিক এবং যৌক্তিক বক্তব্য দিতে চাই। সঠিক ও ন্যায়পূর্ন বক্তব্যের পর যদি কেউ তাতে পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পান, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার, আমার নয়।

বাংলাদেশে নাস্তিকতা চর্চার নামে যে সংস্কৃতি চালু হয়েছিলো সেটা অন্যায় এবং বিদ্বেষমুলক একটি সংস্কৃতি। ঘৃণাবাক্য ছড়ানো আর নাস্তিকতা এক বিষয় না। ফলে এই ঘৃণাবাক্য ছড়ানো বিষয়টি আমরা নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করছি।

প্রগতিশীলতা নিয়ে বাংলাদেশে একটি নির্দিষ্ট জেনারের মানুষের মধ্যে কিছুটা আতংক আছে। এক শ্রেনীর মানুষ জানে না প্রগতিশীলতা কি এবং আরেক শ্রেনীর মানুষ প্রগতিশীল শুনলে ওযু করে। ইহা বহুল চর্বিত চর্বণ টাইপ একটি বিষয়। তাই এই বিষয়ে আর কথা বাড়াচ্ছি না।

আরজুপনির যে পোস্টের লিংক দিয়েছি তা রেফারেন্স যুক্ত করার জন্য তৎকালীন সময়ে একটি সেরা পোস্ট ছিলো, পরবর্তীতে এই ধরনের পোস্ট তেমন একটা আসে নি। আমরা ব্লগের পোস্টকে কোন একাডেমিক জার্নাল বানাতে চাই না।
ধরুন আপনি একাডেমিক জার্নালের মত দিক নির্দেশনা মেনে পোস্ট করবেন, সবাই আপনাকে বাহবা দিবে। রেফারেন্স হিসাবে আপনার নাম আসবে।

আমি সাধারন ব্লগার হিসাবে কোন মতে মুল লেখার রেফারেন্স পোস্টে এ্যাড করে কপি পেস্ট করার অভিযোগ থেকে দায়মুক্ত পেলেই খুশি। তবে আধুনিক রেফারেন্স লেখার কৌশল নিয়ে আপনি পোস্ট লিখতে পারেন, সেই ক্ষেত্রে পাঠক চাইলে তা রেফারেন্স হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে।

আপনার মন্তব্যের কারনেই আমাকে এত দীর্ঘ মন্তব্য করতে হলো। আমার জবাব পড়তে দীর্ঘ সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার এবং আপনার পরিবারের প্রতি রইল ঈদের শুভেচ্ছা।

২৪| ০১ লা মে, ২০২২ সকাল ৯:৫৮

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লিংকটি ক্লিক করে লেখাটি পড়লে অনেকেই আবার বলবেন - সর্বনাশ! লেখকের ভাষা এমন কেন!! উক্ত লেখককে কেউ আবার চাঁদগাজী ভেবে বসলে বিপদ!!
হা হা হা! সত্যি বলতে কী, আমি ঐ লেখাটি পড়ার পর বর্তমান ব্লগীয় পরিবেশের সাথে এতটাই মিল পেয়েছি যে আমারও মনে হয়েছে লেখক এই ব্লগেরই কেউ নয়তো। অমুকরা দশ বছরের নাবালকের মত তমুককে সমুক বলাতে, তমুক যা করেছেন তার সাথে কালামের কামড়ে দেয়ার কোন পার্থক্য নাই। তৎপরবর্তী ঘটনাবলী লেখক যা বলতে চেয়েছেন তাই। লেখকের কথাটা ধার করেই বলি-
এ শ্রেণির থাকবে শুধু অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশন। থিংকিং অ্যানিমেল বলে কোথাও কেউ থাকবে না!

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একটা সময়ে এই ব্লগে হাজার হাজার লেখক ছিলো। সময়ের সাথে সাথে এবং ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারনে অনেকেই বিদায় নিয়েছেন।

এ শ্রেণির থাকবে শুধু অ্যাকশন আর রিঅ্যাকশন। থিংকিং অ্যানিমেল বলে কোথাও কেউ থাকবে না! - দারুন একটা কোটেশন! পড়ার মত একটা পোস্ট!

২৫| ০১ লা মে, ২০২২ দুপুর ১২:১২

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: এমন পোস্ট ঝুলানো হয় না ,ঝুলানো হয় ব্যাক্তি উস্কানির ,ব্যাক্তি জাহিরের পোস্ট

০২ রা মে, ২০২২ রাত ২:১১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যেমন?

২৬| ০২ রা মে, ২০২২ রাত ৩:২০

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: (মডু দের বলি) এমন পোস্ট স্টিকি হয়না...

০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:২১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি বলেছেন ঝুলানো হয় ব্যাক্তি উস্কানির ,ব্যাক্তি জাহিরের পোস্ট। সেটার ব্যাখ্যা আপনাকে দেয়ার অনুরোধ করছি।

২৭| ০২ রা মে, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: কেউ কপি পোস্ট করতে করতে লেখক হয়ে উঠলে আমার কোন দোষ নেই।

০২ রা মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কপি পেস্ট জিনিসটা এক ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া। এটাকে হালকা ভাবে দেখার উপায় নেই।

লিখুক, কপি করুক। স্বীকার করুক।

২৮| ০২ রা মে, ২০২২ রাত ৮:১৯

নীল আকাশ বলেছেন: এত বড় পোস্ট লিখেছেন যার কারণে সে কি ঠিক হয়েছে?
পোস্টের শব্দ সংখ্যা দেখে ভয় পেয়েছি। ইদানীং কিছুই লিখতে ইচ্ছে করে না।

২৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৫

[email protected] বলেছেন: @কাভা, নাটাকটা দেখবেন


তারপর গল্পঃ নওরিনের বিপদ গল্পটা পড়বেন

অপু তানভীর ব্লগে কপিপেস্টে জড়িত ব্লগারদের তালিকা আগে যখনই কপিপেস্টের অভিযোগ উঠেছে তখন সেই কপিপেস্টকারী লজ্জায় ব্লগ ছেড়ে পালিয়েছে নয়তো ব্লগ কর্তপক্ষ তাকে ব্যান করে দিয়েছে । কিন্তু বর্তমানে কপিপেস্টকারী লজ্জা তো পাচ্ছেই না, উল্টো যারা এই কপিপেস্টের বিরুদ্ধে বলছে তাদেরকেই দোষারোপ করছে । যেন তারা কপিপেস্ট করে কোন দোষ করে নি, এটার বিরুদ্ধে যারা বলছে তারাই আসল দোষী । সামহোয়্যারইন ব্লগের মত প্লাটফর্মের জন্য এটা খুবই দুঃখজনক একটা ব্যাপার !

৩০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৯

আরোগ্য বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম,
একটা জিজ্ঞাসা আছে, কোথায় সমাধান পাবো বুঝতে না পেরে মডারেটরের ব্লগে লিখছি। আমি আমার ব্লগ থেকে সব পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছি, ড্রাফট, অটোড্রাফট থেকেও। এখন অনুশোচনা হচ্ছে। কোন উপায় আছে কি ৪/৫ টা পোস্ট পুনরুদ্ধার করার। যদিও মস্তিষ্কে চাপ দিলে কী বোর্ডে এসে যাবে কিন্তু মন্তব্যগুলো তো আর পাবো না। কিছু সিনিয়র ব্লগারের মন্তব্য আছে, যাদের এখন আর একটিভ দেখি না। আশা করি একটা সমাধান পাবো।
ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.