নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বহুদিন আগে কোন এক বারান্দায় শেষ বিকেলের আলোয় আলোকিত উড়ন্ত খোলা চুলের এক তীক্ষ্ণ হৃদয়হরনকারী দৃষ্টি সম্পন্ন তরুনীকে দেখে ভেবেছিলাম, আমি যাদুকর হব। মানুষ বশীকরণের যাদু শিখে, তাকে বশ করে নিশ্চিন্তে কাটিয়ে দিব সারাটি জীবন।

কাল্পনিক_ভালোবাসা

একদিন সব হাসির ময়নাতদন্ত হবে, ফরেনসিক রিপোর্টে লেখা থাকবে - সবই মিথ্যে।

কাল্পনিক_ভালোবাসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল জগৎ ‘নিয়ন্ত্রণে’ কঠোর সরকার - আসছে নতুন তিন বিধান।

১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০০

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল ধরনের অনলাইন মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য সরকার কঠোর পন্থা অবলম্বন করতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত তিনটি খসড়া আইন প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সকলের মতে, এই আইন পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং গোপনীয়তা বলে কিছুই থাকবে না।
ক) সম্মানিত ব্লগাররা এই ব্যাপারে কি ভাবছেন ?
খ) সম্পুরক প্রশ্ন, সরকার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সকল অনলাইন মিডিয়াকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রন করতে চাইছে কেন?
গ) আপনি কি মনে করেন, মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করে যে কোন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা যায় বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রন করা যায়?
ঘ) আপনার ব্যক্তিগত তথ্য গোপনীয়তার অধিকার ক্ষুন্ন হতে যাচ্ছে - এই ব্যাপারে আপনার মতামত কি?
ঙ) সামান্য সমালোচনা বা ব্যাঙ্গ করার কারনেও আপনি অপরাধী হতে পারেন - এই ব্যাপারে আপনি কি ভাবছে




সূত্রঃ প্রথম আলো

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:০৮

বিজন রয় বলেছেন: কোনো বাঁধাকে ভয় পেলে মানব সভ্যতা এতদূর আসতে পারতো না।
অতএব নো চিন্তা ডু নিজের কাজ।

২| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দেশ বিরোধী ততপরতাকে কঠোর হাতে দমন করতে হবে কিন্তু বাক স্বাধীনতাকে অক্ষুন্ন রেখে; অনেকেই বাক স্বাধীনতা বলতে যা ইচ্ছা তাই বলতে পারবে এমন ভাবে এদেরকে নিয়ন্ত্রন করা দরকার, এরা সমাজ তথা রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর।

৩| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গলা যত চিপে ধরার চেষ্টা করবে সরকার তত হিতে বিপরীত হবে।

৪| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:২৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

পুরোপুরি নিয়ণ্ত্রণ করে নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।

৫| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

খাঁজা বাবা বলেছেন: যদি পারেন স্বৈরাচারদের নিয়ে একটা পোষ্ট করেন
পৃথিবী ব্যাপি স্বৈরাচারীদের লিষ্ট।
দেখান তাদের মধ্যে কে কে শান্তিতে বিদায় নিয়েছে বা বিদায়ের পর শান্তিতে থাকতে পেরেছে।
মুর্তি আর নাম দিয়ে বিদায়ের পর কোন কোন স্বৈরাচার মানুষের মনে আসন নিতে পেরেছে।

৬| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
"বজ্র আটুনি
ফস্কো গিরো"!

৭| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:১১

রানার ব্লগ বলেছেন: সরকার ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় করছে !!!!

৮| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: যতক্ষণ পর্যন্ত পিছানোর যায়গা আছে ততোক্ষণ পর্যন্ত বাঙ্গালী পিছুবে। যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাবে এবং পকেটে হাত দিয়ে দেখবে টাকা নাই, তখন চিন্তা করবে কিছু করার। কখন করবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু প্রতিবাদ আমরা দেখতে পাবো এবং সেগুলি কিছুদিন পরে অন্যকোনো টপিকের আড়ালে মুখথুবরে পরে থাকবে।

১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দেখা যাক কি অবস্থা হয়!

৯| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

ক) ৩২, ৫৪র পর আবারো নতুন তিন আইন??? অবশ্য ঈদের আগে যখন বড় বড় সাংবাদিক নেতাদের মালদ্বীপ প্রমোদ ভ্রমনে পাঠিয়ে সংসদে সাংবাদিকতার স্বার্থ বিরোধী আইন পাশ করিয়েছেন তখনই বুঝেছিলাম- সামনে আরো বয়াবহ কিছু আসবে!
আমাদের ভাবনা- সামু আবার বন্ধ হবে নাতো?
খ) লংকান ফোবিয়াক্রান্ত!!!!!???
গ) না।
ঘ) আমি যে ব্যাক্তি তাইতো ভুলতে বসেছি রাতের ভোটের সরকারের আচরণে! নতুন করে বুঝি আর ভাববার কিছু নেই।
ভদ্দর নোকের দেশের জন্য এই সব আপ্ত বাক্য। প্রবাদ আছে না- বাইন্ধা পিডাইলে কতক্ষন?
ঙ) খুবই দু:খজনক। এমনিতেও মানুষ নিরব যদিও প্রচন্ড ক্ষুব্ধ, এখনতো তবে নেমে আসবে কবরের নিরবতা!
তবে এর পরের পর্বই কিন্তু হয়ে ভয়ংকর। যুগ যুগান্তের ব্যাথা, কষ্ট, চেপে থাকা ক্ষোভ যখন বার্ষ্ট করে তখনই হয় দ্রোহ
আর তখন সব ভেঙ্গে পড়ে। লংকায় যা দৃশ্যমান।

১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় ভৃগু ভাই, পয়েন্ট আকারে আলোচনায় অংশগ্রহন করার জন্য।

সামু তো এক ধরনের অদৃশ্য ব্যানের মধ্যেই আছে। নতুন করে কি আর করবে! তবে যত যাই হোক না কেন, মানুষের কথা বলার এই স্বাধীন মঞ্চ আমরা বন্ধ হতে দেব না।

১০| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:১৪

জ্যাকেল বলেছেন: এই আইন গুলা গুজব নাকি বাস্তব? আপনার উচিত আইনের অনুচ্ছেদ এখানে পেস্ট করে দেওয়া কারণ আমি লিংক দেখতে পারছি না। বলছে কিছুই পাওয়া যায় নি।

১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: এখানে আমি মুল সংবাদে সোর্স দিয়েছি। আইন নয়।

১১| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার উল্লেখিত বিষয়ে ব্লগারদের অভিমত জানতে চাওয়ার জন্য আপনাকে মোবারকবাদ জাদিদ ভাই। কিন্তু বিষয় হলো, এই ব্যাপারে কিছু বলতে গেলে সরকারের ব্যাপারে কিছু ভালো-মন্দ কথা বলতে হবে। গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, ব্লগে ইদানীং কিছু চতুস্পদী শ্বাপদের আনাগোনা বেড়ে গিয়েছে। এরা আওয়ামী লীগের সমালোচনা করলেই রাজাকার ট্যাগ দেয় আর পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। এদের চিন্তা-ভাবনা হলো, আওয়ামী লীগ মানেই বাংলাদেশ। আওয়ামী লীগের তথা সরকারের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কিছু বলা!!

এমতাবস্থায়, কি বলবো বলেন! ট্যাগিং আমি এমনিতেই ভয় পাই। তাছাড়া, অনেক চেষ্টা-চরিত্র করে একটা দেশে এসে সুস্থির হয়ে বসেছি। এখন এই শেষ বয়সে পাকিস্তানে গিয়ে কি আমার পক্ষে নতুনভাবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব? কাজেই ভালো-মন্দ কিছু বলা থেকে বিরত থাকলাম। :-B

আশা করি, মনে কষ্ট নিবেন না।

১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: যে কোন ধরনের অন্যায় ট্যাগিং দেয়া মাত্র ব্লগীয় পাদুকার উপযুক্ত ব্যবহার করবেন। আমরা সুশীল ব্লগ নই। এই ধরনের অন্যায় ট্যাগ দিলে আপনার সাথে আমাকে সবার আগেই পাবেন। তবে কিছু কিছু ছুপা ছাগু আছে যাদের এখন পোয়া বারো! ঈদের দিন। কেন সেটা নিশ্চয় বলে দিতে হবে না।

যাইহোক, এই বিষয়ে ব্লগারদের কাছ থেকে জানতে চাইছি- কারন আমাদের এই নিয়ে আলোচনা করতে হবে, সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমি মনে করি, ব্লগারদের উচিত এই বিষয়ে প্রচুর লেখা প্রকাশ করা এবং প্রয়োজনীয় জনমত সৃষ্টি করা।

১২| ১২ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৪০

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: পা চাটা গণমাধ্যম বহুত আগে হতে নিয়ন্ত্রণে। বাকি থাকি আমরা যারা ব্লগে ফেবুতে ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যিমে লিখি। এমনিই কিছু লিখতে বলতে দেয়না। শতকরা যে ২-৪ ভাগ লেখার ও বলার স্বাধীনতা আছে এগুলোও থাকবেনা। আমরা শ্রীলঙ্কার চেয়েও নিচুস্তর এর জাতি।তারা অন্তত সংগ্রামের জন্য রাস্তায় নেমে আসছে, প্রতিবাদ করছে, আমাগো সে হেডুম নেই। সে কবে মোগো মেরুদণ্ড ভেংগে গিয়েছে। আমরা নাকি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। হাসবো না কাঁদব আপাতত তাহা নিয়া ভাবনার মাঝে আছি।।

১৩| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০২

শাহ আজিজ বলেছেন: লঙ্কার বাদ্যযন্ত্র এখানেও বাজবে আর তাইতো এত সতর্কতা । মুলত লঙ্কা কাণ্ড একটা শিক্ষা দিল আমাদের সবাইকে ।

নিপীড়ন আইন দিয়ে এরশাদও টিকতে পারেনি ।

এই সরকারের বড় ব্যার্থতা বাজার নিয়ন্ত্রন করতে না পারা । ব্যাবসা বান্ধব সরকার এতই আস্কারা দিয়েছে ব্যাবসায়িদের যে যার ইচ্ছা খুশী মুল্য আদায় করে নিচ্ছে । আম জনতা একদম অসহায় । নিউমার্কেট - ঢাকা কলেজ একটা ট্রায়াল হয়ে গেল । অর্থাৎ হেলমেট বাহিনীর প্রস্তুতি আছে ।

এইসকল সংবাদ কেউ লিখতে বা জানাতে বা আলাপ করতে পারব না এটা একদম বেশি বেশি দুর্দশা চর্চা হচ্ছে ।

এই বেপরোয়া আইন লিঙ্ক হয়ে যাবে একক নির্বাচনের অসৎ পন্থার সাথে । সবাই গর্জে উঠবে এবং উঠবো ঈশ্বরের ইচ্ছায় ।

১৪| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, খোলা মন নিয়ে এই ছোট পোস্টের অনেক সুন্দর ও ব্যাপক আলোচনা হতে পারে এবং হতে পারে এর মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধানও। তবে সেই আলোচনার পর কোন বর্তমান সমস্যার সমাধান না হলেও আলোচকদের জীবনে যে নতুন করে সমস্যার পাহাড় তৈরী হবে সেটা নিশ্চিত। কাজেই ---

সমালোচনা যে কারোর এবং যে কোন কাজেরই হতে পারে। কারন, এ দুনিয়ায় কোন জিনিষই শতভাগ ভাল বলে বিবেচিত হয়না । সব কিছুর (পন্য-মানুষ-পদ্ধতি) তা সে কোন পণ্য কিংবা পদ্ধতি বা সরকারই হোক না কেন।

পজেটিভলি সমালোচনাকে নিতে পারলে যে কারোর জন্যই তা ভাল ফলাফল বয়ে আনতে পারে। তবে বর্তমানে আমরা কেউই ( পণ্য বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান - অফিসের বস বা ক্ষমতাধারী কিংবা শাসক-প্রশাসক) সমালোচনাকে ভালভাবে গ্রহণ করতে পারছিনা। যে কোন কাজের বা যে কারোর সমালোচনা করা মানেই যে তার বিরোধীতা করা হচছে এমনটাও নয় বরং এক্ষেত্রে কোন পরামর্শ ফি ছাড়াই যে সমালোচনাকারী তার/তাদের দোষ-ত্রুটিগুলি ধরিয়ে দিয়ে তাকে আরও ভাল করার সুযোগ দিচছে ব্যাপারটাকে এমনভাবে কেউ দেখতে চায়না বরং সমালোচনাকারীর উপর যত ধরনের খড়গ চালানো যায় বা কিভাবে সমালোচনা দমন করা যায় তাতেই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে । তাতে অবশ্য ভাল থেকে খারাপই বেশী হয়ে বল প্রমাণীত । অথচ সবার সামনে এরকম হাজারো উদাহরণ থাকলেও কেউ তা থেকে শিক্ষা না নিয়ে একই রকম ভুল করে থাকে বার বার।

অথচ সমালোচনাকে পজেটিভলি নিয়ে যদি তারা তার/তাদের দোষ-ত্রুটিগুলি সংশোধনে মনোযোগ দেয় তাহলে তার ফল আপাতভাবে বেদনার (ধৈর্য্য ধরা খুবই কষ্ঠের কাজ বলে বিবেচিত ) বলে মনে হলেও আখেরে ভাল বলেই প্রমাণীত হয়। তবে আফসোস একটাই --

ক ) নিজের ভাবনা -

এমনিতেই মানুষ এখন পরিপার্শ্বিক নানা কারনে কোন ধরনের মন্তব্য (সরকারের কোন কাজের সমালোচনা কিংবা নিজেদের মতামত) করেনা । এর প্রভাব যে ভাল এমনটাও নয়। তারপরেও এ ধরনের আইন পাশ হলে এখনও দু একজন যাও সরকারের ভূল-ত্রুটিগুলি নিয়ে কথা বলে আইনের মারপ্যাচে পড়ে তারাও আর কিছু বলবেনা বা সাহস করবেনা। আর এর ফলে আপাতভাবে সরকারের লাভ বলে বিবেচিত হলেও শেষ পরিণামে তা ভাল বলে বিবেচিত নাও হতে পারে।

খ) সরকার কেন এগুলি (গণমাধ্যম) নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে ?

এর পিছনে যে একটি বা একক কোন কারণ এমন নয় । নানা কারনেই এবং সারা দুনিয়াতেই তা করা হয়ে থাকে সময়ে সময়ে। এর পিছনে মূল যে কারনটা আমার মনে হয় তা হলো সরকারের স্বার্থ (দেশ বা জনগণের নয় )। অথচ তাদের (গণমাধ্যম) নিয়ন্ত্রণ করে সরকার যতটা ফল লাভ করতে পারে তার থেকে অনেক ভাল ফল লাভ করতে পারে বা সরকার তার সুবিধাভোগী হতে পারে যদি তাদের মুক্ত করে দিয়ে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের সুযোগ করে দেয় তবে সরকার তাদের ভূল-ত্রুটিগুলিকে খুব সহজেই
সনাক্ত করতে পারে এবং এর ফলাফলও ভাল হতে বাধ্য । তবে ------

গ) মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ -

সাধারনভাবে, যে কোন কিছুর উপর স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ ভাল বলেই প্রমাণীত তবে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের ফলে কখনোই ভাল ফল আশা করা যায়না এবং ফল কখনোই ভাল হয়না তা সে মিডিয়া কিংবা মানুষ যাই হোক না কেন। যদিও আপাতভাবে মনে হয় অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের ফলে সফল তবে এ যেন অনেকটাই ঝড়ের আগে প্রকৃতি যেমন নীরব হয়ে যায় অনেকটা তেমনই হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ যে কোন কিছুর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহ বা নিয়ন্ত্রণ ভাল ফল বয়ে আনতে বাধ্য এবং অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ মানুষ-প্রকৃতির স্বাভাবিকতা নষ্ঠ করে দিয়ে এক অস্বাভাবিকতা পরিবেশের সৃষ্টি করে । যা কোন পক্ষের (শাসক-শাসিত) জন্যই ভাল ফল বয়ে আনেনা।

ঘ ) মৌলিক মানবাধিকার (মত প্রকাশ রদ-গোপণীয়তা লংঘন) হরণ-

সরকার চাইলেই যে কারো গোপণীয়তা লংঘন করতে পারে বা যে কারো কোন ধরনের স্বাধীনতা-অধিকার রদ করতে পারে তবে তার পিছনে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধতার অকাঠ্য প্রমাণ থাকা উচিত বলেই সাধারনভাবে বিশ্বাস করা হয়। তবে এ যেন শুধু বিরুদ্ধ মতকে দমনের জন্যই করা হয় এমনটার দিকেও সরকারের নজর রাখা উচিত।

ঙ ) সরকারের সমালোচনা বনাম রাজনৈতিক হয়রাণী -

সরকারের সমালোচনা দেশের ও সরকারের মংগলের জন্যই । সাধারণ মানুষের / বিরোধী দলের গঠনমূলক সমালোচনাকে সরকারের স্বাভাবিকভাবে নেয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য বলেই মনে করা হয় এবং তা আধুনিক গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত বলেও বিবেচিত হয়ে থাকে। তবে এখন নানা কারনেই সরকার এসবকে স্বাভাবিকভাবে না নিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বলে আমরা লক্ষ্য করছি । বর্তমানে ছোটখাট সরকারের সমালোচনার কারনেও অনেকেই নানা রকম অসুবিধার মুখোমুখি হয়ে পড়ছেন বা নিগৃহীত হচছেন প্রশাসন বা সরকারের সুবিধাভোগীদের দ্বারা, যা কোনভাবেই কাংখিত নয়।

সরকারকে এ ব্যাপারে আরও সহনশীল হওয়ার দরকার বলেই মনে করা হয়। কারন, গণতন্ত্রের মূল ও মানেই হলো জনগণ । আর সরকার জনগণের জন্যই । জনগনের মংগলই সরকারের মগংল বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

১৫| ১২ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: কেউ যদি সোশ্যাল মিডিয়া, গণমাধ্যমে লিখে সরকার ক্ষমতা না ছাড়লে শ্রীলঙ্কার মত মন্ত্রী এমপিদের ঘরে ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে। আপনি ক্ষমতায় থাকলে এটাকে কিভাবে হ্যান্ডেল করতেন? বা এই প্রচারনাকে কিভাবে দেখতেন?

১৬| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ৯:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এর আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন সেটাও ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এ আইনের প্রয়োগ ছিল অতি জঘন্য। মিথ্যা অভিযোগের দুর্বল ব্লগার এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে অকারনে জেল খাটানো হয়েছে।
সেটারও সংশোধন দরকার। মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ কারির কঠিন শাস্তি দরকার।
এখন আরো এক নতুন আইন হচ্ছে।
অনলাইনে একটা নিয়ন্ত্রণ খুবই দরকার। আমার মনে হচ্ছে অনলাইনে বাংলাদেশ মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতা ভোগ করছে
নিয়ন্ত্রণ অবশ্যই দরকার।
তবে মামলা হলেই গ্রেফতার করাটা বন্ধ করতে হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে একটি কাউন্সিলের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দিতে পারার ব্যবস্থা করা উচিত। তার বক্তব্য সন্তোষজনক হলে কাউন্সিল মামলা বাতিল করতে পারবে আদালতে যেতে হবে না। শুরুতেই এসব আইনের আদালত পুলিশ এসব না থাকাই ভালো।

কিছু অসাধু ব্যক্তি দেশে গন্ডগোল বাঁধানোর জন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা করার জন্য কোরআন রেখে আসে মন্দিরে মূর্তির পায়ের কাছে। নিজেই ছবি তুলে পোস্ট করে দেয় এবং সংঘবদ্ধচক্র এর মাধ্যমে ভাইরাল করা হয়। এরপর নিজেই ফেসবুক লাইভে এসে বলে "মুসলমান জেগে ওঠো"। আরেকদল পেট্রোল মশাল নিয়ে রেডিই ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে দুই শতাধিক ঘরবাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এর পরও ওরা থেমে নেই এরপর আর দশবার কোরআন রেখে আসার চেষ্টা হয়েছে মন্দিরে কিন্তু ধরা পড়ে গেছে কিন্তু ধরা পড়ার পরও তেমন কিছু হয়নি। কোরআন কি এতো সস্তা হয়ে গেল?

তবে সরকার একটা ভালো কাজ করেছে। আইন তৈরীর আগে আপনার মতই আলোচনা চাইছে।
প্রচলিত মিডিয়াগুলো ইতিমধ্যেই মিথ্যাচার শুরু করে দিয়েছে, 'আজ আমার মন খারাপ' লিখলেও নাকি জেলে যেতে হবে এটা নাকি আইন হয়ে গেছে এমন কথা পত্রিকায় দেখলাম।

১৭| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে সরকার ভীত। তাই তাঁরা মানুষের মুখ বন্ধ করতে চাইছে।

১৮| ১২ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৪১

গরল বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষ আসলে বাক স্বাধিনতায় বিশ্বাসি না, তারা শুধু বিশ্বাসি নিজের মতকেই প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সব কিছুতেই বাংলাদেশীরা দুটো ভাগ হয়ে এক ভাগ অন্য ভাগকে দমন করতে চায়। যেমন ধরুন ভারত বনাম পাকিস্তান সমর্থক, ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা, হিন্দু বনাম মুসলিম, আওয়ামিলীগ বনাম বিএনপি, আমেরিকা বনাম রাশিয়া এরকম সব ক্ষেত্রেই। এদের কোন পক্ষের কেউই তাদের সমালোচনা সয্য করে না। এটা যেহেতু আমাদের ডিএনএ তেই আছে অতএব তেমন কোন প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না।

১৯| ১৩ ই মে, ২০২২ সকাল ১০:০৮

জ্যাকেল বলেছেন: একটা জিনিস না বললেই নয়- প্রবাহমান নদীতে বাঁধ দেওয়া যায়। এই বাঁধ দিয়ে নদীর গতি কমানো যায় তবে একেবারে কমিয়ে ফেললে কিন্তু বিশাল বিপর্যয় নিশ্চিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.