![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাকাশ যানটা গভীর রাতে বাংলাদেশের রংপুর অঞ্চলে নামল ।সময়টা শীতকাল ।কুয়াশায় মোড়া চারিদিক । E-85 মিশনের মূল দায়িত্বে আছে ক্যাপ্টেন ক্রিপটান ।তারা এসেছে পৃথিবীতে তাদের টানুষ প্রজাতি বাঁচতে পারবে কিনা সেটা পরীক্ষণ করতে ।টেনডি রাডার দিয়ে বিপদজনক কিছু আছে কিনা দেখে নিল ক্রিপটান ।আশপাশ টা দেখতে গিয়ে তার গ্রহ ইলিবাস এর কথা মনে পড়ে গেল ।তাদের গ্রহটাও ঠিক এ গ্রহের মত বায়ুমন্ডল আছে ,মাটি আছে,আকাশ আছে ,সমুদ্র আছে ।তাই এই গ্রহ দখল নিতে পারলে অনেক সুবিধা ।তবে এই গ্রহে মানুষ নামক প্রজাতি কয়েককোটি বছর ধরে বাস করে আসছে ।এখন এখানে আস্তানা গাড়তে গেলে তাদের আস্তে আস্তে সরাতে হবে ।মানুষের সাথে তাদের দেহ গঠনে অনেক মিল আছে যেমন হাতপা চোখ মুখ সবি একই রকম ।পার্থক্যের দিক থেকে মানুষের আঙ্গুল লম্বা পাঁচ ভাগে বিভক্ত তাদেরটায় আঙ্গুলের যায়গায় সাপের লেজেরমত তিনটা অঙ্গ যা দ্বারা যে কোন কিছু পেঁচিয়ে রাখতে পারে ,মানুষের নাক মুখের মধ্যে আছে এদিকে তাদের নাক পায়ের মধ্যে এবং নাকের সংখা আটটি ।ক্যাপ্টেন ক্রিপটান তার দুই সঙ্গি চিপটান আর পিপটানকে নিয়ে মহাকাশযান থেকে বিশেষ সতর্কতার সাথে ভূমিতে নামলেন ।তারা স্পেস মডিউল দিয়ে সার্চ দিয়ে জানতে পেরেছে জায়গাটার নাম রংপুর ,আর যেখানে নেমেছেন সেটা ক্রিকেটগার্ডেন । চারিদিকের ঘন কুয়াশা তাদের স্পেস সুটের দেখার যে অংশটি আছে সেটিকে একদম ধোয়াসা করে দিল ।বিশেষ কিছু দেখা সম্ভব হচ্ছে না ।ক্যাপ্টেন ক্রিপটান কিছু দেখতে না পাওয়ায় তার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল কারণ কিছুক্ষণের মাঝেই কি দেখছে কি করছে সব মূল সার্ভারে প্রেজেন্ট করতে হবে ।সে ঠিক করল স্পেসসুট খুলে সরাসরি দেখবে খালি চোখে দেখতে কেমন এই গ্রহটি ।সে তার সঙ্গি চিপটান ও পিপটানকে এ ব্যাপারে বললে তারা ঘোর আপত্তি তুলল ।কিন্তু ক্যাপ্টেন ক্রিপটান তার স্বীদ্ধান্তে অনড় ।চিপটান ও পিপটান এমন বড় কোন যুক্তি খুজে পেল না যা দ্বারা ক্যাপ্টেনকে নিবৃত করে ।তার উপর এই গ্রহের পরিবেশ ,বায়ুর ভারসাম্য প্রায় সবি আশ্চর্য জনক ভাবে তাদের গ্রহ ইলিবাসের সাথে মিলে যায় ।এই গ্রহে তাদের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা শতকরা 3.182 পার্সেন্ট ।এই হাস্যকর সংখ্যা ক্যাপ্টেন কে নিবৃত করার জন্য যথেষ্ঠ নয় ।ক্যাপ্টেন স্পেস সুট খুলে বায়ুমন্ডল থেকে প্রাণ ভরে কার্বন ডাই অক্সাইড নিলো ।ক্যাপ্টেনের যখন কিছু হল না ক্যাপ্টেনের দেখাদেখি বাকি দুজনও স্পেসসুট খুলে ফেলল ।ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে তারা পৃথিবী পর্যবেক্ষণ শুরু করল ।শেষ পর্যন্ত প্রমাণ হল তারা এই গ্রহে থাকতে পারবে ।
তারা স্পেসসুট পরে মহাকাশ যানের দিকে এগোতে লাগল ।কিন্তু ততক্ষণে তাদের যা হওয়ার তাই হল ।ঠান্ডা লেগে সর্দি হয়ে গেল ।তাদের পায়ে নাক থাকায় কিছুক্ষণের মাঝে নিঃশ্বাস বন্ধ হবার যোগাড় ।মানুষের তাও নাক বন্ধ হলে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে কাজ চালায় কিন্তু টানুষ দেরতো সে সুযোগ নেই ।অনেক কষ্টে ক্যাপটেন মহাকাশ যানে পৌছুতে পারলেও সঙ্গী দুজন পারলো না । ক্যাপ্টেন মূলসার্ভারে এটুকু সংবাদ পাঠাতে পারল ,"পৃথিবী বড় ভয়ঙ্কর ।আমাদের প্রাণঘাতি রোগ সর্দি হইছে আমাদের বাঁচান ?" মূল সার্ভার থেকে মেসেজ আসল "বাবারা ,প্যারাসিটামল দুই বেলা ।"
২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৪১
পলাশের লাল রঙ বলেছেন: :-) :-)
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৪
হাসান বিন নজরুল বলেছেন: সুন্দর প্রেসক্রিপশন