![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জনগনের দুই হাত, আর নেতাদের ২হাতে লাগানো ১০/১০ মানুষের ৪০ হাত। এই বিশ জনের সাথে জোরা লাগানো বেকারের হাত,তাই রাজনীতি এতো চাংগা এই দেশে।
উদাহরণ :- সেন্ট্রাল পার্টির সভাপতির সাথে যোগ রয়েছে ৭ বিভাগের সভাপতির, ৭জনের সাথেই যোগ রয়েছে ৭ বিভাগের ৬৭টি জেলার সভাপতি, জেলা সভাপতির সাথে যোগ রাখে ইউনিয়ন সভাপতিরা, ইউনিয়ন সভাপতির সাথে যোগ রাখে ওয়ার্ড/গ্রাম সভাপতিরা, ওয়ার্ড সভাপতিরা যোগ রাখে তৃনমূল কর্মীদের সাথে। তৃনমূলেই রয়েছে নাগরিকরা,এর মাঝেই রয়েছে লাখ লাখ বেকার।
নেতাদের মুখেই শুধু শুনি """" "ওরা আওয়ামীলীগ, ওরা বিএনপি, ওরা জাসদ, ওরা জাতীয় পার্টী, ওরা জামাত, ওরা বাসদ,ওরা এলডিপি, ওরা হিন্দু,ওরা মুসলিম """''" তাহলে জনগন কারা? ভোটার কারা? নাগরিক কারা? সবযদি ওরা হয়, তাহলে আপনারাওতো সকলের কাছে ওরা, --(একজন মানুষের সর্বোচ্য পরিচয় ন্যাশনাল আইডি,পাসপোর্ট) --- যারা, একজন মানুষের পরিচয়পএ থাকার পর ও তাকে অন্য নামে মানুষের কাছে পরিচয় করানোর চেষ্টা করে। সবাইকে একরকম পরিচয়পএ দিয়ে পরে তাদের আলাদা নামে ডাকার কোন মানেই হয়না।
যেই দেশের জনগণ যতো মুর্খ থাকে ঐ দেশে কম উন্নয়ন হয়, কারন জনগণ মুর্খতার কারনে কোনটা উন্নতি আর কোনটা অবনতি সেটা বুজতে পারেনা।
সকলের সুবিদার্থে আরো কিছু উদাহরন :-
★রাজশাহীতে রফিক নামের একজন ফরিদ নামের একজনের সাথে হাতাহাতি মারামারির একপর্যায়ে ফরিদ মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেলো, ফরিদের ওয়াইফ রফিক সহ রফিকের পরিবারের সবার নামে মামলা দিলো। পরের দিন সাংবাদিক এসে খোজ খবর নিলো এলাকায়, জানলো, রফিক একজন মাছ ব্যাবসায়ী, তার বয়স ৩৮, তার পিতা ও মাছ ব্যাবসা করতেন, তার মা বুরকা পরে,নামাজ পরে, বোনের জামাই ইমাম, অপর দিকে ফরিদ ছিলেন গ্রামের নেতা,সে নিয়মিতই চাদা নিতো, এই টাকা নিয়েই বিরোধ ঘটে। সাংবাদিক, রিপোর্ট জমা দিলো সিনিয়র রিপোর্টারের কাছে, পরের দিন পএিকায় ছাপা হলো- রাজশাহীতে এক মুসলিমের হাতে এ নাগরিক খুন।
এলাকাবাসী থ হয়ে গেলো, সারা দেশে হৈচৈ পরেগেলো, বিদেশীরা নিউজ করছে, বালাদেশে মুসলমান রা সাধারন মানুষ খুন করে। তখন এলাকার নেতাও খুনি বা রফিক জাউলা বলতে পারছেনা,কারন সবাই জেনে গেছে ওরা মূলত উগ্র, তাই বলতেছে ওরা মুসলমান উগ্রবাদী। এরপর থেকে রফিকের সকল আত্তিয়সজনরা উগ্রবাদী হয়েই এলাকায় পরিচিত। দেখলেন তো, একজন মাছ ব্যাবসায়ীকে কিভাবে ওরা বানানো হলো।
★ রফিক বাজার থেকে বেগুন কিনে, কেটে, ভেশন দিয় ভেজে নাম দিলো বেগুনী, সবাই বেগুনী কিনে খেলো, এরপর থেকে রফিক যাই ভাজে, সবাই বলে বেগুনী দেন। এরপর থেকে এলাকায় রফিকের বংশধরদের সবাই বেগুনী র বংশধর হিসেবেই চিনে। নেতা বলে ওরা বেগুনীর বংশধর, ওদের পিয়াজু বানানোর অধিকার নাই।
★জলিল এলাকার মসজিদের ইমাম, খুব ভালো মানুষ, এলাকার সবাই তাকে সম্মান করে, সবাই তাকে ডাকে ইমাম সাহেব। কোন এক দাওয়াতে ৭১ জন ইমাম একসাথে হলো, এইটা এক নেতা দেখে তার লোকদের বললো, ঐ দেখ জংগীরা সব একসাথে কিজানি করতেছি। এরপরথেকে নেতার মুর্খ লোকেরা ইমামের বংশধরদের দেখলেই বলে, """"আমাদের নেতা বলে দিছে এরা ওরা"""
আল্লাহু কি শুধু নেতাকে ব্রেইন দিছে নাকি নেতার লোকদেরকেও ব্রেইন দিছে? নেতা ব্রেইন খাটাইছে জাত বারাইতে, আর তার কর্মীরা ব্রেইন না অপচয় কইরাই পোশাক দারা জাত চিনেগেছে।
চিলে কান নিয়ে গেছে,দৌর দাও।
যারা মুর্খ, তারা উপরের পোশাক দেখলেই লাফ দেয়, আর যারা বিবেকবান, তারা পোশাকটাকে আলাদা নজরে দেখে আর ভীতরের মানুষটাকে বুঝার চেষ্টা করে। (( সকল চরুই যদি চরুই পাখির কাতারে পরে তাহলে সকল শ্রেণীর মানুষরা কেনো মানবের কাতারে পরেনা????)) আমার কাছে ১৭কোটিই একি গঠনের মানব, ৮৫০ কোটিই একি জাতের।
©somewhere in net ltd.