![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুসলমানরা বলাবলি করে আত্তীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী নাজাত পাবেনা কখনোই। আমি practical মুসলিম না, আমি একজন বংশীয় মুসলমান। ১৪ পরিবারের সবাই কে একসাথে হতে দেখলামনা। সকল আত্তীয়সজন জীবনে ১/২বার একসাথে হওয়া তো গুনা না। একবার আমার সকল রিলেটিভ কে নিয়ে একটা ডিনার করার আইডিয়া করেছিলাম, মনে করেছিলাম - বহুদিন পর সকলের সাথে দেখা হবে, আবার কবে হয় না হয়।
অনেকেই আসেনি, তারা সবাই আত্তীয়তার হক থেকে দুনিয়াবি হক আদায়কারী মুসলমান। কেও বাসায় একা বলে আসেনি, কারো অফিস, কারো সন্তানের exam. কেও পোয়াতি, কেও সব দাওয়াতে যায়না, যত সব ছুতা। এই হলো মুসলমান রিলেটিভিটি, কখন এক সাথে হয় যানেন! কেও মারা গেলে হুমরি খায় সব আত্তীয়, যেন বিরাট দায়িত্ব তাদের, তবুও কেও ফাকি দেয়। কাক আত্তীয়সজন মনে হয় বর্তমানে অফশনাল বিষয়, হাদীসে মনে হয় আছে, দুনিয়াবি সকলকিছুর পরে রিলিটিভিটির হক। আমিও মুসলিম, তবুও সকল মুসলমান কে জিজ্ঞাস করি, ১৫০০ বছর আগের হাদীসের গুরুত্ব কি একশো বছর আগে কমে গিয়েছিলো মুসলিম সমাজের কাছে! নাকি আগের মতোই ছিলো! বর্তমানে মনে হয় গুরুত্ব কম দিলে কোন গুনাহ নাই। তাইতো পরিক্ষায় ফেল করলে বাবা মা বাসা থেকে বাহির করে দেয়, নামাজ, কুরআন, হাদিস না পড়লে ও আদর করে বাসায় ঘূম পারায়। জানজটের ভয়ে মুসলিমরা বাসা থেকে আগেই বাহির হয়, কিয়ামতের ভয়ে কিছুই করেনা। আমার কাছে কেন জানি মনে হয়, কোন নবীও যদি এখন আসে, তবুও মুসলিম রা হাতে ফোন রাখবেই, মুসলিম বাবা মা ও নবীর কাছে যেতে দিবেনা, বলবে কলেজ আছে, পরিক্ষা আছে। মুসলিমরা কুরআন পাঠ করতে পারেন সঠিক ভাবে, কিন্তু গান গাইতে পারে হুবহু। আজকের দুনিয়াতে সকল ধর্মের লোকের কাজ কাম একি কায়দাকানুনে চলছে।
©somewhere in net ltd.