![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা ৫৫ মিলিয়ন লাইট ইয়ার দুরের যে Black Hole এর ছবি দেখলাম এর মানে কি আমি ৫৫ মিলিয়ন ইয়ার বছর পূর্বের ছবি দেখছি ? অনেকে বলেছেন হ্যা। কিন্তু আমার হিসাবে সেটা মনে হচ্ছে না। যেহেতু টেলিস্কোপ দিয়ে দেখা হয়েছে, সেহেতু টেলিস্কোপ যত লাইট ইয়ার দূর ফোকাস করতে পেরেছে তত লাইট ইয়ার কম লেগেছে। এটা আমার অল্প ব্রেনের ধারণা। তাই ভুল ও হতে পারে।
উদাহরণ দিয়ে বোঝালে ব্যাপারটা এমন,
পৃথিবী থেকে আমরা সূর্যের ৮ মিনিট পূর্বে দেখি। কারন আমাদের চোখে আট মিনিট পরে সূর্যের আলো যখন এসে পড়ে তখন সেটা আমরা দেখি। এখন যদি আমি এমন একটা টেলিস্কোপ সূর্যের বরাবর সরাসরি তাক করে রাখি আর সেটা দিয়ে সূর্য দেখি তাহলে নিশ্চই আমি অন্যরা যারা টেলিস্কোপ ছাড়া দেখবে তাদের আগে দেখবো। এ জন্য অনেক সময় খবরে দেখি পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে "ধূমকেতু" ইত্যাদি জাতীয় খবর। তার কিভাবে জানতে পারছে এত আগে থেকে কারন তারা রাডার বা টেলিস্কোপ দিয়ে জিনিষটা আগেই দেখে নিয়েছে।
তাহলে এই হিসাবে ৫৫ মিলিয়ন ইয়ার আগের অতীতের ছবি আমরা দেখিনি বরং ছবি অতীতেরই দেখেছি তবে ৫৫ মিলিয়ন ইয়ার এর কম আগের অতীতের।
কিন্তু আবার আমার কনফিউশনটা হচ্ছে যে,
লাইট সবচেয়ে দ্রুত গতিতে চলে তাই ধূমকেতু আসার আগেই তার লাইট আমরা দেখি, আর এভাবেই আমরা কোন অবজেক্ট পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে তা আগে থেকে জানতে পারি। তো সেই হিসাবে যেহেতু লাইট ইয়ার দুরের কোন ছবি তার মানে সেটা অত আগেরই ছবিই। অর্থাৎ টেলিস্কোপ দিয়ে দেখি আর খালি চোখে দেখি উভয় ক্ষেত্রেই যতক্ষন না লাইট সেই অবজেক্টের উপরে এসে না পড়ছে ততক্ষন পর্যন্ত দেখতে পারছি না। আর যেহেতু টেলিস্কোপ অনেক দুরের দেখলেও অবস্থান তো করছে পৃথিবীর বুকেই তাই আসলে ৫৫ মিলিয়ন ইয়ার বছর পূর্বের (অতীতের) ছবিই দেখছি।
আসলে বিষয়টা নিয়ে আমি কোন সঠিক সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারছি না। ঠিক কোন যুক্তিটা ঠিক সেটা সিওর হতে পারছি না।
আমি কি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি নাকি আপনাদেরও মাথার উপর দিয়ে গেল। দয়া করে কমেন্টে জানাবেন। আর কোন হিসাবটা সঠিক তা যদি কেউ জানেন তাহলে কমেন্টে জানাবেন। প্লিজ আন্দাজে উত্তর দিবেন না। আমি বিষয়টা নিয়ে ভুলের মধ্য থাকতে চাই না।
তবে আমার বার বার মনে হচ্ছে আমার প্রথম হিসাবটাই ঠিক। কারন টেলিস্কোপ নিঃসন্দেহে অনেক দূর তার চোখ নিয়ে গেছে। সে, আমরা পৃথিবীতে থাকা মানুষের আগে আলো দেখতে পারবে। তাই ছবিটি ৫৫ মিলিয়ন বছরের অতীতের নয় তার থেকে কমের। কিন্তু এও ঠিক, টেলিস্কোপ তো পৃথিবীর উপরেই অবস্থিত তাই সে দূরে দেখলেও ছবি সাড়ে ৫ কোটি বছরের পুরনোই।
আমার এই পোস্টটি মূলত আমার ধারণা আসলে ভুল কিনা সেটা নিয়েই। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
রাজীব নুর বলেছেন: কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা বুঝি না।
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:২২
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: বিষয়টি নাসার কাছ থেকেই জেনে নিতে পারেন।
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:৩২
অজ্ঞ বালক বলেছেন: এইডা নিয়া ভাবতে গেলে আমার হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ খাইবো। কাজেই কেউ বুঝাইয়া লেখে কি না সেই ওয়েইট খাইলাম। সেই লেখা পইড়া পরে আড্ডায় আমিও জ্ঞানী হওনের পার্ট নিমু।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১
ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: যদি সূর্য হঠাৎ নিভে যায় আপনি ৮ মিনিট পড়ে বুঝবেন ঐটা নিভে গেছে
যদি ব্ল্যাকহোলটা কেউ ডিপ ফ্রিজে ঢুকিয়ে ফেলে তাহলে, ৫৫ মিলিয়ন বছর পরে বুঝবেন এই আকামটা হয়েছে
ধন্যবাদ
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৪
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এ বিষয়ে আমি খুব কমই জানি।তবে পবিত্র কোরআন এ বিষয়ে এক বিস্ময়কর ধারনা দিয়েছে।আজ বিজ্ঞান বলছে তারকাগুলো ব্ল্যাক হোলে পতনের মাধ্যমে হারিয়ে যায় যা পবিত্র কোরআন ১৪০০ বছর পূর্বে এই কথাগুলো কোরআনে বলা হয়েছিল।
সুরা নং – ০৫৬ : আল-ওয়াকিয়াহ
আয়াত ৭৫-৭৭ঃ-
সুতরাং আমি কসম করছি (তারকা সমূহের)নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের(পতনের)।আর নিশ্চয় এটি এক মহাকসম, যদি তোমরা জানতে। নিশ্চয় এটি মহিমান্বিত কুরআন।
সূরা আত-তাকভীর,আয়াত ১৫-১৬ঃ
আমি শপথ করছি যেসব নক্ষত্রগুলোর যারা পশ্চাতে সরে যায়।চলমান হয় ও অদৃশ্য হয়।
এছাড়াও সূরা নাজিয়াতে ১,২,৩ নম্বর আয়াতে এ নিয়ে বলা হয়েছে।
৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
পুলক ঢালী বলেছেন: টেলিস্কোপে দেখুন আর খালি চোখেই দেখুন সাড়ে পাচঁকোটি আলোক বর্ষের অতীতের ছবিই দেখবেন । বর্তমানের ব্ল্যাকহোলের ছবি দেখতে চাইলে আরো ৫৫ মিলিয়ন আলোকবর্ষ অপেক্ষা করতে হবে। টেলিস্কোপ দুরের বস্তুকে কাছে আনলেও সেই অতীতের আলোই টেলিস্কোপে প্রবেশ করছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:৩২
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া
৮| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৯:৫৬
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ভাই, বিষয়টা এমন না; বিষয়টা হচ্ছে আপনি দুরবিন দিয়ে দেখেন, টেলিস্কোপ দিয়ে দেখেন আর যা দিয়েই দেখেন; ঐ আলোতো আপনার চোখে ঢুকতে হবে। এখন ফোকাস যত দূরেই করেন না কেন, মূল দুরত্ব এতটুকুও কমবে না বা বাড়বে না।
যাই হোক, ১ দিন আগের ছবি দেখলেই কি আর ৫৫ হাজার কোটি বছর আগের ছবি দেখলেই কি? আপনি যেই আপনি সেই আপনিই থাকবেন; আমি যেই আমি সেই আমিই থাকবো। হুদাই টাইম নষ্ট।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১১
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাইয়া। যুক্তি ঠিক আছে। অর্থাৎ টেলিস্কোপের গ্লাসের উপরে যখন আলো পড়বে তখন দেখতে পারবো।
এখানে ফোকাস দূরে থাকলেও সেক্ষেত্রে টাইমিং এর কোন হের ফের হবেনা, এই তো ?
আপনি কি সিওর আপনি ঠিক। নাকি আন্দাজে বলছেন। প্লিজ এমন প্রশ্নে মাইন্ড করবেন না। আমি বিষয়টা মিয়ে সিওর হতে চাচ্ছি।
---------
টাইম নস্ট না ভাইয়া, এটা বোঝার দরকার আছে, বিজ্ঞান মানুষকে আলোকিত করে। আমি আবার বিজ্ঞানের প্রতি অনেক অনুরক্ত ।। এতে আমার আল্লাহ্র প্রতি শুকরিয়া বেড়ে যায়। আল্লাহ উনার সৃষ্টিকে দেখে উনার মহত্ব অনুধাবন করতে বলেছেন।
আবারো ধন্যবাদ
৯| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০৩
থিওরি বলেছেন: টেলিস্কোপের কারণে তো দুরত্ব কমেনা। আলোকবর্ষ তো দূরত্বের একক। যেমন ধরুন, দূরবীন দিয়ে যদি দু কিলোমিটার দূরের বস্তুও আপনি খুব কাছে ও স্পষ্ট দেখেন, তার মানে কি ঐ বস্তুর দূরত্ব কমেছে??
আশা করি পরিষ্কার হয়েছে।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:১৩
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাইয়া। যুক্তি ঠিক আছে। অর্থাৎ টেলিস্কোপের গ্লাসের উপরে যখন আলো পড়বে তখন দেখতে পারবো।
এখানে ফোকাস দূরে থাকলেও সেক্ষেত্রে টাইমিং এর কোন হের ফের হবেনা, এই তো ?
আপনি কি সিওর আপনি ঠিক।? নাকি আন্দাজে বলছেন। প্লিজ এমন প্রশ্নে মাইন্ড করবেন না। আমি বিষয়টা মিয়ে সিওর হতে চাচ্ছি।
---------
১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: ৯ নং মন্তব্যের সাথে সহমত।
১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১:২৮
নতুন বলেছেন: টেলিস্কোপ অনেক আলো প্রসেস করে দেখার ব্যবস্তা করে.... আপনি খালি চোখে যেটা দেখছেন সেই আলোই টেলিস্কোপ দেখছে.... আগের কিছু না।
১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ৩:১৩
দীপংকর চক্রবর্ত্তী বলেছেন: না ভাই। টেলিস্কোপ কিছুই ফোকাস করে নাই। এটা কোনো মহাজাগতীক বস্তুর সরাসরি ছবি তোলার মতো সমান জিনিস না। চাঁদের ছবি তোলতে আমরা যেমন টেলস্কোপকে জুম করি পরিস্কার ছবি পাওয়ার জন্য, এক্ষেত্রে এ রকম কিছু করা হয়নি। অন্যয় কথায়, আমরা ব্ল্যাক হোলের উপর ক্যামেরা ফোকাস করে ক্লিকের মাধ্যমে ছবিটি তুই নাই। এত বিশাল দূরত্ব, মহাকাশে ছড়ীয়ে ছিটিয়ে থাকা কোটি কোটি পদার্থ, আর আমাদের কিছু লিমিটেশন এবং পদার্থ বিজ্ঞানের সূত্রের ককারণে আমাদের সবথেকে শক্তিশালী টেলিস্কোপও দূরের জিনিস দেখার ক্ষেত্রে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারে না। তাই বিজ্ঞানীরা আলোক রশ্মি থেকে বড় তরঙ্গ দৈর্ঘ্য- রেডিও ওয়েভ ও ইনফ্রারেড রশ্মির সাহায্য নেন। এখন প্রশ্ন হল তাহলে ছবিটা কিভাবে তুলা হলো?
বিভিন্ন গ্যাসগুলো যখন ব্লাক হোলে প্রবেশ করে তখন তাপমাত্রা এতই বেড়ে যায় যে ইভেন্ট হরাইজন ঔজ্জ্বল্যতা লাভ করে। আর এই ইভেন্ট হরাইজনকে পর্যবেক্ষণ করার সবথেকে বেস্ট তরঙ্গ দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১ মিমি। যা ইনফ্রারেড ও রেডিও ওয়েভের মাঝামাঝি, কারণ গ্যাসগুলো ব্ল্যাক হোলে প্রবেশের পূর্বে এই নিদির্ষ্ট দৈর্ঘের তরঙ্গ সৃষ্টি করে। আর এই তরঙ্গগুলো বাধাহীন ভাবে মিলিয়ন মিলিয়ন আলোক বর্ষ ভ্রমণ করতে পারে। আর এভাবেই প্রতিনিয়ত ব্লাক হোক থেকে রশ্মি আমাদের পৃথিবীতে আসছিলো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের চোখ রেডিও কিংবা ইনফ্রারেড তরঙ্গ দেখতে পারে না এবং আমাদের সাধারণ যন্ত্রপাতি দিয়ে এই তরঙ্গগুলো সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছিলো না। সেজন্য বিশেষ ভাবে তোইরই করা EHT(Event Horizon Teliscope) টেলিস্কোপ দিয়ে ব্ল্যাক হোল থেকে আসা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য গুলো সংগ্রহ করে সুপার কম্পিউটার দ্বারা বিশেষ কোডিং এর সহায়তায় আমাদের জন্য ছবিটি প্রস্তুত করা হয়।
২৭ শে এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:১৬
মি.সিম্পলম্যান বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪
সুদীপ কুমার বলেছেন: মাথার উপর দিয়ে যাবার উপক্রম