![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
----- আগে যেখানে প্রিপেইড মিটারে ৫০০-৬০০ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসতো এখন সেখানে ১৫০০-১৮০০ টাকা করে আসছে ! এই অসময়ে একেবারে 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' ! বলতে যা বোঝায়। -----
কাল সারাদিন বাসায় ইলেক্ট্রিসিটি ছিলো না। সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে শেষমেশ DESC'র অফিসে গিয়ে সমাধান করতে হয়েছে।
এতদিন, প্রতি মাসে প্রিপেইড মিটারে ৫০০-৬০০ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল আসতো। এই লকডাউনেও সেই হিসাবে এত দিন বিকাশের মাধ্যমে বিল দিয়ে আসছিলাম, মিটার চেক করার প্রয়োজন মনে করিনি। কিন্তু হটাত করে কাল বাসার ইলেকট্রিক লাইন কেটে গেলে মিটার চেক করে দেখি প্রি-পেইড মিটারের বকেয়া ৩৮০০ টাকা দেখাচ্ছে এত টাকা তো বাকী আসার প্রশ্নই আসে না। এদিকে বিকাশ-দোকান থেকে রিচারজও করা যাচ্ছিলো না। কোথাও সমাধান না পেয়ে শেষমেশ DESC'র অফিসে গেলাম সমাধানের জন্য। ওরা কোন সমাধান দিতে পারলো না। জানালো এত টাকা নাকি আমরা খরচ করেছি। আমি বললাম চারিদিকে যে শুনছি 'ভূতুড়ে বিল' দেখুন সে রকম কিছু ঘটেছে কিনা আমাদের বিলের সাথে। উনারা জানালেন প্রিপেইড মিটারে এমন কিছু হবার সম্ভাবনা নেই। আমি বললাম ভাইজান তাহলে মিটার-ই যেহেতু প্রিপেইড (অগ্রিম পরিশোধ) তাহলে এত টাকা বাকী আসে কিভাবে!! উনারা বললো লকডাউনে নাকি বাকী রাখার সুবিধা ছিলো। এবার আমি বললাম লকডাউনের আগেতো ভাই ৫০০ টাকায় সারা মাস ব্যাবহার করেছি। তখন তো বাকীও পড়েনি লাইন ও কাটেনি। এই দুই মাসে কি আমরা সব কিছু তিন গুন করে চালিয়েছি নাকি? আমাদের আগের কয়েক মাসের ব্যাবহার চেক করেন। তাহলেই বুঝবেন এই বিল অস্বাভাবিক। উনারা জানালো এক মাসের অধিক ব্যাবহারের তথ্য তাদের কম্পিউটারের থাকে না। এটা কতটুকু সত্য কথা আল্লাহ ভালো জানে। এদিকে বাসায় গরমে সবার হাল খারাপ, সারাদিন বিকাশ আর দোকানে কয়েকবার গিয়েও বিল দিতে না পারায় অলরেডি ৫ -৬ ঘন্টা নষ্ট হয়েছিলো। DESCO এখানে এসে বুঝলাম যে কথা বাড়িয়ে কোন সদুত্তর পাবোনা আর এই টাকা শোধ না করলে বাসায় কারেন্টও আসবে না। আসলে সিস্টেমের ভিক্টিম বলতে যা বোঝায় আরকি!! তাই শেষমেশ এই ক্ষতি মেনে নিয়ে তৎক্ষণাৎ পুরো ৪৫০০ টাকা ম্যানেজ করে বিল দিয়ে আসলাম। একেবারে 'মরার ওপর খাঁড়ার ঘা' বললে ভুল হবে না।
আল্লাহ ভালো জানে আসলে ঘটনা কি ঘটেছে। এর পর থেকে যেন আর এই সমস্যা না হয় সে জন্য মিটার রিডিং কিভাবে করতে হয় সেটার একটা লিফলেট নিয়ে আসলাম তাদের অফিস থেকে। সেই মত বাসায় এসে মিটার চেক করে দেখি এই মাসের ১৬ দিনেই খরচ হয়েছে ৭৩৫ টাকা বাকী দিন গুলোতে আরও কত উঠবে কে জানে। অতঃপর সারাদিনের দৌড়াদৌড়ির পরে ইলেকট্রিক লাইন সচল হইলো। বাসায় অন্যান্য সব ভাড়াটিয়ার কয়েক জনের সাথেও একই রকম হয়েছে। এছাড়া আমার কয়েকজন আত্মীয়ের ক্ষেত্রেও এই অস্বাভাবিক বিল এসেছে বলে শুনলাম। হাহাহা ......... আপনারা কে কতটুকু লকডাউনের সুফল পাচ্ছেন সেটা কমেন্ট করে জানাবেন।
আমাদে পানির বিল সহ অন্য সকল বিল আলাদা আলাদা করা। বাসায় মানুষ তিনজন। দুইটা ফ্যান-লাইট একটা কম্পিউটার একটা ফ্রিজ এই হল ইলেকট্রিক পণ্য। তাই ৫০০-৬০০ এর মধ্যেই এত দিন মাসে বিদ্যুৎ বিল দিতাম।
আসলে আমাদের উচিত ছিলো প্রতি মাসেই মিটার চেক করা। তাহলে চুরিটা (এই বকেয়া) ঠিক কখন হয়েছে সেটা জানতে পারতাম। যাই হোক, মহান আল্লাহর কাছে সবার সুস্বাস্থের ও সুন্দর জীবনের জন্য দোয়া কামনা করছি।- আব্দুল্লাহ ইথার।
২| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৩৯
জুন বলেছেন: আমাদের এক একটা এপার্টমেন্টে ১২ হাজার থেকে ১৭ হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক গুন বেশি। খবর নিয়ে জানা গেছে মিটার রিডাররা কোভিডের ভয়ে মিটার না দেখেই আন্দাজের উপর বিল করেছে। এটা নাকি আগামী বিলগুলোর সাথে এডজাস্ট করা হবে। এটা কি কিছু হলো! এতগুলো টাকা অনাবশ্যক একসাথে দেয়া। গবুচন্দ্রের দেশে বাস আমাদের
৩| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মি.সিম্পলম্যান,
ভৌতিক নয়, কারসাজি সম্ভবত মানুষের। কারন এবার প্রায় সব আবাসিক গ্রাহকদের বিদ্যুত বিল ডবল থেকে তিনচারগুন বেশী এসেছে। আমার নিজের বিদ্যুৎ বিল আগের ডবল এসেছে। অবাক করা ব্যাপার হলো বিলের কাগজে লাষ্ট মিটার রিডিং দেখানো হয়েছে ১৫্ই এপ্রিল'২০ আর কারেন্ট রিডিং দেখানো হয়েছে ১৫ই মে'২০ অথচ তারা মিটার দেখে বিল দিয়ে গেছে জুনের ১০/১২ তারিখে।
এভাবেই প্রতিমাসে বিল করা হয়। ২০/২৫ দিন আগে কার মিটার রিডিং কতো ছিলো তা মিটার রিডাররা কিভাবে জানেন? যাদু-টাদু দিয়ে জানেন মনে হয়। কেমনে কি ?????? নাকি হ্যাচকা একটা রিডিং দিয়ে দায়িত্ব সারেন????????
ব্যাপারগুলো তাচ্ছিল্য করে দেখার নয়। এর সাথে সাধারণ মানুষের শত শত কোটি টাকা লোপাট করার কারসাজি জড়িত।
৪| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৪৯
রাজীব নুর বলেছেন: দুঃখজনক।
৫| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:০৪
সুমন কর বলেছেন: এসব কেন হচ্ছে !!!
৬| ১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৩
নতুন বলেছেন: এটা নিয়ে মামলা করতে হবে তখন বড় জরিমানা করলে বিদ্যুত কম্পানিগুলি ঠিক হবে।
ওদের এই আকাজ এবং ইচ্ছাকৃত গাফলতি গুলি ভালো করে বিশ্লেষন করে পাক্কা প্রমান সহ একটা মামলা কইরা দেন।
ভোক্তা অধিদপ্তর বা অন্য যারা এই কম্পানীগুলিকে সোজা করতে পারে সেখানে মামলা করে দিন।
৭| ১৮ ই জুন, ২০২০ রাত ১:০৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমরা পোস্টপেইডেও একই সুবিধা পাচ্ছি।
৮| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩
আলাপচারী প্রহর বলেছেন: ঋণ দিয়ে বাঁশ।
আগে আমার বিল আসতো মাসে ১০০০/- এর আশে পাশে।
প্রিপেইডে ডিপিডিসি ৩০০০/- ঋণ দিলো।
১ মাসে ৩০০০/- বিল দেখিয়ে হজম !!!!
৯| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: াকে কি বলবো? বুঝি না! মিটারে যা আসছে তাই আসুক, কি একটা করে টাকা নিচ্ছে বোঝা যাচ্ছে না!
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২৫
বিজন রয় বলেছেন: ভৌতিক দেশে ভৌতিক কিছু অসম্ভব না।