নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকামটা মুলত করে পুরুষে। তাই নারীদের হিজাব/নিকাব নিয়ে পুরুষের হিসাব নিকাশের আলোচনায় "পুরুষের ভূমিকা কি?" এ প্রসঙ্গ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক।
পুরুষের আকামঃ
/পুরুষ নারীকে ধর্ষণ করে।
/পুরুষ নারীর দিকে নোংরা দৃষ্টিতে তাকায়।
/রাস্তাঘাটে নারীদের টিজ করে।
/গণপরিবহনে শারীরিকভাবে নারীদের হেনস্থা করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌন নিপীড়ন করে।
/কর্মক্ষেত্রে যৌনতার (কর্মক্ষেত্রের যোগ্যতাকে পাশ কাটিয়ে) বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
/প্রেম-ভালোবাসা সম্পর্ককে শারীরিক সম্পর্কের দিকে নিয়ে যেতে নারীর প্রতি চাপ প্রয়োগ করে।
/শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার পরে নারীদের ইমারজেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ (উচ্চ মাত্রার এসব পিল ভবিষ্যতে গর্ভধারণে জটিলতা সৃষ্টি করে) পিল খেতে বাধ্য করে।
/তারপর যখন পুরুষ একবার টের পায় যে নারী গর্ভধারণ করে ফেলেছে, সে খুব অবলীলায়, বিকারহীনভাবে ঐ গর্ভধারণকারী নারীকে পরিত্যাগ করে।
/সম্পত্তি ও জমি জমা ভাগের সময় নারীদের বঞ্চিত করা হয়।
পুরুষ নারীদের ন্যূনতম সম্মান নিশ্চিত করে না কিন্তু মনে প্রাণে আশা করে যে সে হিজাব করবে।
সম্মানটা যদি দেয়া হতো তাহলে নারীরা নিজে থেকেই, নিজের তাগিদেই হিজাব করত। নারীর হিজাব করা নিয়ে এত গবেষণা, এত জোর জবরদস্তির কোন প্রয়োজন ছিল না।
পুরুষ যদি আশা করে যে উপরে বর্ণিত আকাম গুলো করেও সে হাশরের ময়দানে আল্লাহর বিচার হতে পার পেয়ে যাবে কারণ "নারীরা হিজাব করে না" এই দোহাই দিয়ে, তবে পুরুষ সন্দেহাতীত ভাবেই বোকার স্বর্গে বসবাস করছে।
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: কুরআনে কি পুরুষকে চক্ষু অবদমিত করতে আগে বলা হয়েছে, নাকি নারীকে বোরখা পড়তে আগে বলা হয়েছে?
পুরুষ নিজে যে অপকর্ম করে, সেগুলোর ক্ষমা আল্লাহ্ নিজেই করে দেবেন, কিন্তু যে অপকর্মের জন্য অন্যে ভুগে - তাকে কোনভাবেই ক্ষমা করবেন না, যতক্ষণ না ভুক্তভোগী তাকে ক্ষমা না করে।
আল্লাহ্র বিচার বাংলাদেশের দন্ডবিধি মানে না যে খুন করবে একজনকে - ফাঁসি দেবে আদালত, আর মাফ করে দেবে রাষ্ট্রপতি।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সবাই সবার উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে কিনা সেটা গুরুত্ব বহন করে। এক পক্ষ দায়িত্ব পালন করছে না আবার একই সাথে আরেকটি পক্ষকে দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা হচ্ছে। বিষয়টি চরম বৈষম্যমূলক।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
নতুন বলেছেন: হিজাব বর্তমানে নারীকে নিয়ন্ত্রনের একটা হাতিয়ার মাত্র।
দেশে যেই পরিমান আপাদমস্তক হিজাব পরিহিত নারী দেখা যায় তারা কি ৫ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ আদায় করে?
হিজাব এখন নারীরা সামাজিক দায়ীত্ব হিসেবে পরে।
নারীরা স্বালীন পোষাক পড়লেই হয়, আপাদমস্তক হিজাব অবশ্যই বাড়াবাড়ী।
গরমের দিনে কোন পুরুষ একদিন আপাদমস্তক হিজাব পড়ে বাইরে বের হলে কোনদিন নারীকে পড়তে বলতো না।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১১
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: পুরুষ কি তার চোখের পর্দা রক্ষা করে? সে কি তার চোখের হিজাব মেনে চলে? সে কি তার নোংরা দৃষ্টি দিয়ে মেয়েদের দিকে তাকানো থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করে কিংবা করতে পারে?
আসলে নিজে চিনি খাওয়ার বদ অভ্যাস না ত্যাগ করে অন্যকে চিনি খেতে নিষেধ করাটা হিপোক্রেসির নামান্তর।
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম আসলে মানুষকে কোনঠাসা করে রাখে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ধর্ম কোনঠাসা করে না। আসলে কোন ধর্মই করে না। করে মানুষ নিজেই।
নিজের সুবিধা মতো ধর্মের অপব্যাখ্যা করে নিজের আখের গোছায় আবার ধর্মকেই দোষারোপ করে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: বেহেস্তে যাবার হাজার তরিকা আছে।এমন কি ধর্ষণ করলেও,খুন করলেও।