নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিঃসঙ্গ পথচারী

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ

তারপরও মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ঘুরে দাড়াব.....।

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রূপান্তর নাটক বনাম সত্য-মিথ্যার রূপান্তর

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৮

রাস্তাঘাটে উত্তেজিত জনতা যখন কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে ও বিচার বহির্ভূতভাবে পিটিয়ে মারে তখন সে বিষয়টিকে বলা হয lynching। মনে আছে, এ ঢাকা শহরে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনার কথা? ছেলে ধরা সন্দেহে ভাটারা এলাকায়, উত্তেজিত জনতা কর্তৃক মাঝ বয়সী এক নারীকে পিটিয়ে মেরে ফেলার ঘটনা? রূপান্তর নাটকটি নিয়ে যে ঘটনা ঘটে গেলো, তা lynching এর সাথে তুলনা করা যায়।

/এখানে খোদ "রূপান্তর" নাটকটিই উত্তেজিত জনতার দৃষ্টিতে "ট্রান্সজেন্ডার" নামক অপরাধের সমার্থক অথবা যারা ট্রান্সজেন্ডার জীবনাচরণকে উৎসাহিত করে যা ইসলামিক মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।

/নাটকের অভিনেতা, পরিচালক এরা উত্তেজিত জনতার বিচারে অভিযুক্ত, দোষী সাব্যস্ত।

/ইতোমধ্যে ইউটিউব থেকে নাটকটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিনেতাও জনতার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।

/তাহলে বলা যায় যে জনতা কর্তৃক বির্তকিত নাটক ও নাটক সংশ্লিষ্ঠদের lynching সুসম্পন্ন হয়েছে।

অথচ মূল নাটকের ঘটনা অনুযায়ী নায়কের ছিল হরমোন জনিত প্রকৃতিগত সাস্হ্য সমস্যা। নায়ক নিজে থেকে হরমোন নেয়নি বা স্বেচ্ছায় রূপান্তর প্রক্রিয়া সংঘটনের জন্য কোন প্রকার অস্ত্রোপচারও করেনি। প্রাকৃতিকভাবে প্রদত্ত শরীরে ট্রান্সজেন্ডার মানুষ স্বেচ্ছায় অনেক কিছু পরিবর্তন করে নেন (হরমোন থেরাপী, অস্ত্রপ্রচার, প্রভৃতি....) যা নাটকের নায়ক করেনি।

অধিকাংশ উত্তেজিত জনতা নাটকটি না দেখে থাকলেও অধিকাংশেরই মনে প্রানে বিশ্বাস (অন্ধ বিশ্বাস) যে রুপান্তর নাটকের রূপান্তরের ঘটনাটা সম্পূর্ণরূপে মানব সৃষ্ট। যেকোনো মূল্যেই হোক, উত্তেজিত জনতা এটা বিশ্বাস করতে চায় (বা কোন পক্ষ সজ্ঞানে জনতাকে বিশ্বাস করাতে চায়) যে নাটকটি "মানব সৃষ্ট রূপান্তর" প্রক্রিয়াকে প্রমোট করছে, বাজারজাতকরন করছে।

নেট ফলাফল যা তা হল,
ঐ lynching অভিযুক্ত ব্যক্তিটর মতো পুরো নাটক ও তার সাথে সংস্লিস্ট মানুষজন আহত কিংবা নিহত হলো। আহত বা নিহত হল এমন এক অপরাধের জন্য, যে অপরাধ কখনো করা হয়নি। না করা অপরাধের জন্যও ক্ষমা চাইতে হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে জনতা হারিয়েছে তার সততা ও বিশ্বাস যোগ্যতা। কারণ সে বাস্তবে প্রমাণ করেছে যে, "প্রকৃত সত্য সেটাই যা সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিশ্বাস করে, এমন কি মিথ্যাও যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সত্য হিসেবে বিশ্বাস করে, তবে মিথ্যার সত্য হিসেবে "রূপান্তর" ঘটে এবং এই ইচ্ছাকৃত রূপান্তর কোনভাবেই অপরাধ নয়"

নোট:
উত্তেজিত জনতার মাঝেই ছোট্ট একটা গ্রুপ আছে, যারা প্রকৃত সত্যকে পাশ কাটিয়ে নিজস্ব বয়ান প্রতিষ্ঠায় অসম্ভব রকমের উৎসাহী । কারণ সত্য বা যেটা fact, তা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে গুজব বলে তো কিছু থাকবে না। ‌আর গুজবের খড়ে আগুন না দিলে বা আগুনে হাওয়া না দিলে লক্ষ মাত্রা অনুযায়ী viral হওয়া যাবে না, reach/view কমে যাবে। ফলশ্রুতিতে আনুপাতিক হারে Online এর বিজ্ঞাপন থেকেও উপার্জন যাবে কমে। At the end of the day, it ends up to how much money you can make by spreading rumors effectively among the stupid mass people.

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬

শায়মা বলেছেন: ছেলেধরা সন্দেহে এক মাকে মেরে ফেলা হয়েছিলো যে কিনা ভর্তির জন্য এসেছিলো বাচ্চার। কি যে মর্মান্তিক!!! :(

হুজুগ আর গুজবে বিশ্বাসী জনতা শুধু ভুলই করে।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫

প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন বলেছেন:




একটা মানুষ যদি প্রতিবন্ধি হয় তাহলে চিকিৎসা করবেন নাকি ওভাবেই রেখে দেবেন? শরীর পুরুষের চিন্তাভাবনায় নারী, বা শরীর নারীর চিন্তাভাবনায় পুরুষ, এটা হরমোনাল সমস্যা, এর চিকিৎসা আছে, চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব। সেটা না করে একটা মানুষকে রোগী অবস্থায় রেখে দিতে চান? কেমন মানুষ আপনারা!

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: একটা মানুষ যদি প্রতিবন্ধি হয় তাহলে চিকিৎসা করবেন নাকি ওভাবেই রেখে দেবেন?
সেটা না করে একটা মানুষকে রোগী অবস্থায় রেখে দিতে চান? কেমন মানুষ আপনারা!


আপনার প্রশ্নের আমিও উত্তর খুজে বেড়াচ্ছি। অসুস্থ্য মানুষকে কে অসুস্থ্যই রাখতে চায়। কে কে কে?

কিন্তু নাটকের নায়কও মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট নিচ্ছিল এবং স্বাভাবিক ভাবেই সে নায়িকার বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৬

নাহল তরকারি বলেছেন: ছেলেরা শাড়ি পড়লে বিশ্রী লাগে। দাড়ি ওয়ালা পুরুষ যখন শাড়ি পড়ে তখন, আমার চোখের যন্ত্রনা হয়। নারীরা শাড়ি পড়লে ও রুপচর্চা করলে বেশ সুন্দর লাগে। আগের ছেলেরা কত সুন্দর ছিলো। তাদের মধ্যে কেমন যেন একটা বেডা বেডা ভাব ছিলো। স্যুট বুট বলেন, বা পাজ্ঞাবি লুঙ্গি বলেন, তাদের হ্যানসাম লাগতো। বর্তমানে ছেলেরা কেমন যেমন মেয়েলী হয়ে গেছে। তাদের মধ্যে কি যেন নাই। তারা নারীর মত আচরন করে। যা আমার কাছে বিশ্রী লাগে।

৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই বিষয়ে আরেকটি লেখাও ব্লগে এসেছে , সেখানে কমেন্ট করিনি কারন সেই লেখিকা কখনও প্রতিউত্তর দেন না। সবচেয়ে আগে আমাদের বোঝা প্রয়োজন LGBTIQA+ stands for "lesbian, gay, bisexual, transgender, intersex, queer/questioning, asexual and many other terms (such as non-binary and pansexual)। কাজেই বিষয়টা যথেষ্ঠই বিতর্কিত। পশ্চিমা বিশ্বের মত খোলামেলা সমাজও এই ইস্যূ নিয়ে সবসময় অস্বস্তিকর অবস্থায় থাকে। সেখানে এশিয়ায় আপনারা কি আশা করেন? আমি যে দেশে থাকি সে দেশে এই ইস্যূ নিয়ে এখানকার সরকার কোন কথাই বলতে চায় না। সেখানে বাংলাদেশের মত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে যারা এইসব প্রমোট করছে তাদের উদ্দেশ্য অবস্যই সাধু নয়। সমাজে ব্যভিচার ছড়ানোই এদের মুল উদ্দেশ্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: সংখ্যার বিচারে আমার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। ঠিক আছে। কিন্তু ইসলামের কতটুকু মূল্যবোধ ধারন করি আমরা? যদি ধরেও নেই যে ইসলামের শুধু ব্যাক্তিগত ধর্মীয় বিষয়ই মানুষ পালন করবে, তাহলে আমরা মসজিদে ফজরের নামাজ পর্যবেক্ষন করি। দেখতে পাবো যে সেখানে দুই সারির কাতারও হয় না। মানে ব্যাক্তিগত যে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান, সেখানেও আমাদের ফাঁকিবাজি। তারপরও মানুষ গুরুত্ব দেয় সংখ্যাকে, গুনগত মানকে নয়।

সাধারন মানুষ খুব উৎসাহ সহকারে মৌলভিদের ওয়াজ শুনবে কিন্তু নির্বাচনে ঐ মোলভীরা্ই দাড়ালে সুনিশ্চিতভাবেই তারা জামানত হাড়াবে।

আসলে শুধু ইসলামি মূল্যবোধ নয়, অন্যান্য মূল্যবোধের কি অবস্হা? গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের অবস্হা এমন হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে যে এখন ময়দান থেকে রাজনীতি আর নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন উভয়ই বিলুপ্ত বলা চলে।

আসলে আমরা কোন মূল্যবোধেরই বিশেষ কোন তোয়াক্কা করি না।

খোলাখুলি আলোচনা হতে পারে। এতে অহেতুক গুজবের সম্ভাবনা কমে যায়। তবে জোর জবর-দস্তি করে LGBTIQA+ এর ধারনা চাপিয়ে দেয়া কোন অবস্হাতেই গ্রহনযোগ্য নয়।

৫| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪২

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার লেখায় ধন্যবাদ দিব কোনদিন চিন্তা করি নাই। ধন্যবাদ বিষয়টার মূলে 'আঘাত' করার জন্য

২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৫১

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: আ্চ্ছা আপনি কি কলাবাগানের বাসিন্দা? আমার নানার বাড়ি, কলাবাগান লেকসার্কাসে।

আরে মূলের শাখা প্রশাখায় আঘাত করতে গিয়ে তো চাকরীই "নাই" হয়ে গেছে।

যাই হোক, আপনার ধন্যবাদের জন্য আমার পক্ষ হতে ধন্যবাদ।

৬| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৬

মিরোরডডল বলেছেন:




নাটক দেখিনি কিন্তু লেখা পড়ে বুঝলাম কি হয়েছে।
আমাদের দেশের কিছু মানুষ সবকিছু নিয়েই এক্সট্রিম লেভেল বাড়াবাড়ি করে।
যাইহোক, জেনে একটু রাগও লাগছে কেনো নাটকটা সরিয়ে নিলো, ক্ষমা চাইলো!
এটা ঠিক করেনি।

সমকামীদের জীবনের স্ট্রাগল নিয়ে নাটক সিনেমা করা উচিত।
মানুষ যেন সত্যিটা অনুধাবন করতে পারে।
সমাজ যেনো তাদের স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে।

অনেকে ইসলামিক রাষ্ট্র বলে যে বিধিনিষেধের কথা বলে, what about night club, bar, আমাদের দেশে এখন এগুলো সবই চলছে। তাহলে LGBT নিয়ে এতো বাধা কেনো! They should have their rights to live like others.

২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:২৩

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: খোলাখুলি আলোচনার পথ যখন থাকে না, তখন ভুক্তভোগী গ্রুপটা হয় যায় চরমপন্থী, নয়তো চলে যায় আন্ডারগ্রাউন্ডে। কোনটাই সমাজের জন্য ভালো নয়। সত্য বা নিরেট বাস্তবতা আর আলোর মুখ দেখে না, চাপা একটা উত্তেজনা বিরাজ করে। অথচ আলোচনা হলে, সমাধানের কোন না কোন পথ বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা থাকে।

কোনটা শারীরিক বা মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা আর কোনটা প্রবৃত্তিগত সমস্যা সে পার্থক্যটাও আলোচনা-পর্যালোচনার নিরিখে নির্নয় করা উচিত। ওরা্ও তো চার হাত পা ওয়ালা মানুষ। এমন না যে তারা রাস্তার পাগলা কুকুর, তাই দ্রুততার সাথে তাদের সমাজচ্যুত করতে হবে। ধৈয্য সহকারে, আন্তরিকতার সাথে অপর পক্ষের কথা শোনার মানসিকতা আমাদের থাকতে হবে।

৭| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪১

অপু তানভীর বলেছেন: উত্তেজিত এই জনতার কাছে ঠিক বেঠিক বলে কিছু নেই । প্রকৃত ঘটনা কি ঘটেছে সেটা নিয়েও তারা খুব বেশি চিন্তা করে না । তারা যা বিশ্বাস করে তাই জোর করে চাপিয়ে দিতে কুন্ঠিত বোধ করে না ।

৮| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৮

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পৃথিবীর অন্যতম মর্মান্তিক lynching ঘটনা হচ্ছে নবী যীশুর(সা:), দুই হাজার বছর আগে ঘটেছিল। তাঁর দর্শন পৃথিবীকে অনেক সভ্য করেছে এবং তা করতে শত শত বছর লেগেছে। আমাদের দেশ এখনো অনেক ক্ষেত্রে হাজার বছর পিছিয়ে।

৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫২

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: নবী যীশু(peace be upon him); সা এর পর colon কে হাসির ইমোজি করে দিয়েছে। moderatot সাহেব এটি ঠিক দেবেন প্লিজ।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

মামুinসামু বলেছেন: আঃ/সাঃ এ colon এর পরিবর্তে বিসর্গ use করলে সমস্যা হওয়ার কথা না।

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি ইসলামি মূল্যবোধ অবক্ষয়ের কথা বলেছেন। ইসলামিক লেবাসের ভেক ধরে যারা অপকর্ম করে বেড়ায় তাদেরকে ইসলামে মুনাফেক বলাই হয়। এইসব বকধার্মিকের জন্যতো আর ইসলামী মূল্যবোধকে দোষারোপ করা যায় না।

বিগত এক বছরে হঠাৎ পাঠ্যপুস্তকে শরীফ থেকে শরীফার গল্প, আড়ং এ সমকামীদের জন্য রংধনু ডিজাইনের পাঞ্জাবী সেল বা ইউটিউবে রুপান্তর নাটক নির্মান কি আপনার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় না? মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশে কেন ইসলামি মূল্যবোধের বিরুদ্ধে গিয়ে এই জাতীয় কর্মকান্ড প্রমোট করা হচ্ছে তা নিয়ে একটু ভাবুন। নিজেকে আধুনিক , প্রগতিশীল প্রমান করার আগে বেশি প্রয়োজন সমাজের জন্য কোন কর্মকান্ড মঙ্গলজনক তা নিয়ে ভাবা।



২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ‌ইসলামী মূল্যবোধকে দোষারোপ করা হয়নি। গত ১৪০০ বছর ধরেই ইসলামকে অবমূল্যায়নের বিস্তর অপচেষ্টা চলেছে। কিন্তু ইসলাম ধর্মের কোন প্রকার ক্ষতি হয়েছে কি? তবে অনুসারী হিসেবে মুসলিমরা ইসলামী মূল্যবোধ ধারন করতে ব্যার্থ হয়েছে। তাই দোষটা ইসলামের বা ইসলামী মূল্যবোধের নয়। ধারন করতে না পারার দোষ। ফার্স্ট ক্লাশ একটা ধর্মের (শুধু ধর্ম না ইসলাম হলো জীবনবিধান) থার্ড ক্লাশ অনুসারী আমরা মুসলিমরা।

/পাঠ্য পুস্তকে শরীফ থেকে শরীফার গল্প ইস্যুকে কেন্দ্র করে আলোচিত শিক্ষক জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে যাননি। অথচ ঐ গল্প সম্বলিত বইটির প্রকাশক তারাই। সমস্যার মূলে যারা আছেন, তাদের কাছে ব্যাক্ষা না চেয়ে, উনি গেছেন মাদ্রাসা শিক্ষকদের ফোরামে। কেন? কর্তৃপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই আত্ম পক্ষ সমর্থন করে যে যুক্তিযুক্ত ব্যাক্ষা দিত, সে ব্যাক্ষার মুখোমুখি ঐ আলোচিত শিক্ষক হতে চাননি।

/আড়ং এর পান্জাবিতে ছিল ছয় রং। কিন্তু জোর জবরদস্তি করে যারা বির্তক আরোপ করতে চেয়েছিলেন তারাই ছয় রংকে রংধনু বলে দিব্যি গুজব রটিয়ে দিল। গর্দভ জনগন ফ্যাক্ট চেকিংএর ধারে কাছেও গেলো না। মিথ্যাচার এ খেলাতেও জয়জুক্ত হলো।

/রূপান্তর নাটকের বিষয়বস্তু পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ধর্মীয় সংবেদনশীলতা ও অজ্ঞতার কারনে LGBTQ+ ইস্যু নিয়ে মানুষের মাঝে অসহনশীলতা, বিরোধীতা থাকবেই। কিন্তু মিথ্যাচার করে, অসততার আশ্রয় নিয়ে গুজব ছড়ানো গ্রহনযোগ্য কিনা? ইসলামী মূল্যবোধ কি তা সমর্থন করে?

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভাই মৌলবাদী রাজাকার জঙ্গিরা শুধু রূপান্তর নাটকের কারণে রিপোর্ট করে আমাদের মডেল সামিরা খান মাহির ২৪ লাখ ফলোয়ার এর পেজটি খায় দিসে। এরা নোংরা। সবকিছুর মধ্যে ধর্ম টেনে আনে।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমাদের দেশের অভিনেতাদের ব্যক্তিত্ব বলতে কিছু নেই, এদের নিজস্ব চিন্তাধারা, নীতি নৈতিকতা বলতেও কিছু নেই, এরা চলেই হচ্ছে মানুষের সস্তা সেন্টিমেন্টের উপর নির্ভর করে। টাকা খরচ করে একটা নাটক বানিয়েছে, কিন্তু কিছু পাবলিকের সেন্টিমেন্টে আঘাত লাগার কারণে পুরো নাটকটাই ডিলিট করে দিতে হবে? হাত জোর করে ক্ষমা চাইতে হবে? তাহলে নটাকের গল্প লেখার সময় কি এসব মাথায় ছিল না?

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমাদের সমাজে অজ্ঞতা আর গুজব হাত ধরাধরি করে চলে এটাই হলো মূল সমস্যা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.